নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'তুমি অনেক বুড়া\'!

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮



এবারে আমাদের আদরের নাতনিটা চল্লিশ দিনের মত বেড়িয়ে গেল দেশ থেকে। এই চল্লিশ দিনের মধ্যে ওর জন্মদিনটাও পড়েছিল। সেদিন ওর মা, বাবা ও ছোটভাইটা সহ ওরা সুন্দরবনে ছিল। সেখানে ছোট্ট করে শুধুমাত্র পরিবারকে নিয়ে ওর জন্মদিন স্মরণ করা হয়েছিল। ফিরে আসার পর একটি অনুষ্ঠান করে ওর জন্মদিনটাকে পালন করা হয়। অনুষ্ঠান থেকে ফিরে এসে সে উৎফুল্ল মনে ওর গিফটগুলো খুলে খুলে দেখছিলো। নগদ টাকা হাতে পেয়েও সে খুব খুশি! একটু পরে সে একটা ডায়েরি আর কলম নিয়ে এসে বসলো। সেখানে সে তালিকা করছিল ওর উপহারের টাকা দিয়ে কাকে কাকে উপহার কিনে দিবে। তালিকার এক নম্বরে দেখলাম ওর প্রাণপ্রিয় ছোটভাই আরহামের নাম, যদিও চব্বিশ ঘণ্টা জুড়েই ওদের মধ্যে খুনসুটি লেগেই থাকে। দেখলাম, তখন পর্যন্ত করা তালিকার মধ্যে আমার নামটি নেই। তার পরের কিছু কথোপকথনঃ

- লিস্টে আমার নাম নেই কেন?
-ওয়েট করো।
- আরহামকে তুমি কী কিনে দিবা?
-গাড়ী।
-আমাকেও একটা গাড়ী দিও।
-না, তুমি গাড়ী পাবা না।
-কেন?
- কারণ তুমি অনেক বুড়া! (You are too old for toy cars!)
-তা'হলে আমাকে তুমি কী দিবা?
-পরে দেখবা।

এর পরে আর বলার কীই বা থাকে! তাই কথা আর গড়ালো না, শুধু মুখ টিপে হাসলাম। পরেরদিন বিকেলে সে তার মাকে নিয়ে ইউনিমার্ট থেকে সবার জন্য গিফট কিনে এনে যার যার হাতে তুলে দিল। আমাকে দিল একটা কলম। বুঝলাম, বুঝে শুনেই সে আমার গিফটটা কিনেছে।

ইতোমধ্যে কানাডায় ওর স্কুল খুলে গেছে বেশ কয়েকদিন হলো। কানাডায় ওদের সাথে ছিলাম ৯৫ দিন। আমরা ফিরে আসার দুইদিন পর ওরা ঢাকায় এসে থেকে গেল একনাগাড়ে ৪০ দিন। একসাথে প্রায় ১৩৫ দিন থাকার ফলে বুকের মাঝে মায়ার বৃক্ষ দিনে দিনে অনেক ডালপালা ছড়িয়েছে। ওদের যাবার সময়টা যতই নিকটে আসছিল, ভেতরে ভেতরে ততই শূন্যতার অনুভূতি ঘনিভূত হচ্ছিল।

বুড়ি ফিরে গেছে। বাসার আনাচে কানাচে রেখে গেছে অনেক, অনেক ছোট ছোট স্মৃতি! ও ফিরে যাবার পর ঘরটা যেন শূন্য খাঁচায় পরিণত হয়েছে, আমরা হয়ে গেছি empty-nesters। আমরা এদিকে ওদিকে ঘুরি ফিরি, কখনো দু'জনে এককভাবে, আবার কখনো দীর্ঘদিনের বন্ধুদের সাথে যূথবদ্ধ হয়ে। দিনশেষে ঘরে ফিরে এলে, ঘর ফাঁকা!

এই তো জীবন! যুগ যুগ ধরে এভাবেই মানুষ প্রিয়জনদের সান্নিধ্য লাভ করে উষ্ণ হয়েছে, উৎফুল্ল হয়েছে; একসময় তাদেরকে দৃষ্টির অগোচরে বিদায় জানিয়ে বিষাদগ্রস্ত হয়েছে, বুকে ও চোখে ধারণ করা তাদের স্মৃতিগুলোকে অবসরে স্মরণ করে আপন মনে ভারাক্রান্ত হয়েছে। ওর দিদিকেও দেখি, ওর কথা বলতে বলতে উঠে গিয়ে আড়ালে চোখ মুছে আসে। এই যে মায়া, এ মায়ার বাঁধন থেকে মানুষের যেন কোন নিস্তার নেই!



ঢাকা
০৬ অক্টোবর ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ৩৮৯

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার ছোট্ট নাতনির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনার এ পোস্ট পড়ে আমার মায়ের একটা কথা মনে পড়লো।
তিনি প্রায়ই বলতেন "টাকার চেয়ে নাকি আনার মায়া বেশি হয়"
অর্থাৎ এক সময় ছেলে, মেয়ের চেয়ে নাতি, নাতনির মায়া বড় হয়ে দেখা দেয়।
ভাল থাকবেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "টাকার চেয়ে নাকি আনার মায়া বেশি হয়" - আপনার মায়ের কথাটা আমি হাড়ে হাড়ে টের পাই।
ছেলেরা (মেয়ে নেই) ভয়ে কাছে ভিড়তো না। নাতি নাতনিদের সে ভয় ডর নেই, কারণ ওরা জানে যে ওরা কোন বকা খাবে না। সেজন্য ওরা ঠাস ঠাস করে মুখের উপরই সবকিছু বলে ফেলতে পারে।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার নাতনী এখন কোন শ্রেণীতে পড়ছে?

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চতুর্থ গ্রেডে।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:




- কারণ তুমি অনেক বুড়া!

বাবুটা অনেক কিউট, ওর গল্প শুনেই ওকে ভালো লাগছে।

আমার বোনের বাবু যখন আমার এখানে বেড়াতে এসেছিলো, তার সাথে আমার সময়টা কি যে ভালো গেছে!
ও চলে যাবার পর আমি অনেক মিস করেছি, সবকিছুর মধ্যে ওকে খুঁজি।

আবার আমি যখন ঢাকা থেকে চলে এসেছিলাম, বোন বাবুকে নিয়ে বেড়াতে মায়ের কাছে আসলে বাবু নাকি শুধু এ ঘর ও ঘর আমাকে খোঁজে। না পেয়ে বলতো, মাম বাসায় চলো। খালামনি নেই, তাই নানুর বাসায় ভালো লাগে না।

সম্পর্কগুলো এরকমই হয়। মায়ার বাঁধনে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে।


০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ও পুটুস পুটুস করে অনেক কথা বলে গল্প করতে ভালোবাসে। গল্প শুনতেও ভালোবাসে।
"খালামনি নেই, তাই নানুর বাসায় ভালো লাগে না" - যাদেরকে ওরা ভালোবাসে, তাদেরকে ওরা এভাবেই খোঁজে, না পেলে মিস করে।
"সম্পর্কগুলো এরকমই হয়। মায়ার বাঁধনে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে" - একদম ঠিক কথা!
পোস্টে প্রথম প্লাসটি দিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




দুদিন পর আসলো কেনো!
একসাথে আসলে জার্নিটাও উপভোগ্য হতো।

লেখক নানুভাইয়ের জন্য কলমটা পারফেক্ট উপহার হয়েছে।


০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "দুদিন পর আসলো কেনো!" - সে এক হযবরল এর ইতিহাস!
"কলমটা পারফেক্ট উপহার হয়েছে" - দ্বিমত নেই।
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২

অপু তানভীর বলেছেন: পাইলট ভি ফাইভ মনে মনে হচ্ছে ! আমিও এটাই ব্যবহার করি এখন যদিও লেখালেখির পরিমান কমেছে অনেক । যা কাজ হয় সব পিসিতেই ।

বুড়ির স্মৃতিরা জমে থাকুক অন্তরের কাছাকাছি ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পাইলট ভি ফাইভ মনে মনে হচ্ছে" - জ্বী, ঠিক তাই। কলমের গায়ে লেখা আছেঃ Pilot Hi-tecpoint V5 Grip।

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ অনেক মায়া আপনার নাতনী' র অনেক কিউট সে।
কেমন গুছিয়ে সবার কথা মনে রেখেছে, রিটার্ন গিফট ও কিনেছে।
অনেক দোয়া।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আসলেই সে এক মায়াবতী। ওর ছোট ভাইটা ওর সাথে খেলনা মোটেই শেয়ার করতে চায় না, তবুও সে সারাক্ষণ ভাইটাকে আগলে রাখে। ভাইকে কেউ কিছু বললে ও শাসায়। তবে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে সে নিজেই ভাইকে দুই একটা ঠাস ঠাস লাগাতে কসুর করে না। কিন্তু আমরা কেউ কিছু বললেই ও ক্ষেপে আসে, আর বলে, "তোমরা জানো না সে কত ছোট্ট একটা বেবী"? ভাই শেয়ার না করলেও সে ঠিকই তার খেলনা ভাইকে ধরতে দেয়।

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: এই তো জীবন।দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যায়।স্বাদ গ্রহন করা আর হয় না।ছোট চোট স্মৃতিগুলিই জীবনের পরম পাওয়া।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার উপরের প্রতিটি কথার সাথে একমত। অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার নাতি/নাতনিরা এতদিনে কত বড় হয়েছে?

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার নাতনি অসাধারণ প্রতিভার ক্ষমতা বহন করছে,
এটা তার কথা বার্তা ও আচরণ থেকেই বুঝা যাচ্ছে ।

তার জন্য রইল দোয়া ।

আপনার প্রতি রইল শুভেচ্ছা

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: দোয়া এবং শুভেচ্ছার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নাতনির প্রশংসায় নিজেই গর্বিত বোধ করছি।

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




জীবন এমনটাই! কিছু সান্নিধ্য যেমন জীবনে উষ্ণতা ছড়ায় তেমনি আবার তার অবর্তমানে বিষাদগ্রস্ততায় ছেয়েও ফেলে। মানবিক সম্পর্কগুলো এমনই স্পর্শকাতর!

লেখাটির শেষের দু'টি প্যারা হৃদয়গ্রাহী।
তবে আপনার নাতনী আপনার জন্যে একদম সঠিক উপহারটিই পছন্দ করেছে। লিখিয়ে বুড়োদের জন্যে এর চেয়ে ভালো উপহার আর হয়না।
ওর জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার, সহমর্মী মন্তব্য এবং পোস্টে প্লাস রেখে যাবার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
"লেখাটির শেষের দু'টি প্যারা হৃদয়গ্রাহী" - ধন্যবাদ, শেষের দু'টি প্যারাই লেখাটির মূল বক্তব্য।
"তবে আপনার নাতনী আপনার জন্যে একদম সঠিক উপহারটিই পছন্দ করেছে" - জ্বী, আপনি ঠিক বলেছেন।

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২৩

শায়মা বলেছেন: সে ঠিকই বুঝেছে টয় কার নিয়ে তোমার খেলার বয়স নেই একেবারে। হা হা হা

বুঝা যাচ্ছে সে খুবই ইনটেলিজেট!:)

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: শুধু 'বুঝেছে'ই নয়, ব্লান্টলি মুখের উপর বলেও দিয়েছে। :)
বুঝা যাচ্ছে সে খুবই ইনটেলিজেট! - দোয়া করবেন।

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনি আর আপনার স্ত্রীর কথা ভেবে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমার মা-বাবার কথা মনে পড়ে গেল। বাড়িতে তারা দু'জন একা। বাবা তো তেমন কথা বলতে পারেন না। আমার অসহায় মা তাকে টানতে টানতে নিজের খেয়াল রাখতে পারেন না। আজব এক জীবন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: যতদূর পারেন, তাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। চলে গেলে তা আর করতে চাইলেও পারবেন না।

১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৫:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: বিয়ের অনেক পরে বাচ্ছা নেয়াতে তারা ছোটই বলা চলে।নাতিন সাড়ে পাঁচ।নাতি চার।তারা তাদের মতো থাকে ।খুব একটা কথা বলে না।একটা বড় মেয়ের অন্য জন মেঝো মেয়ের।ছোট মেয়ের এখনো বিয়ে হয়নি।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: “তারা তাদের মতো থাকে” - এটাই তো স্বাভাবিক, এভাবেই তো থাকার কথা।
প্রতিমন্তব্যের জবাবে পুন:মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নাতনী অনেক বুদ্ধিমতী। এক কারণেই আপনাকে খেলনা গাড়ি না দিয়ে কলম দিয়েছে। আপনিও অনেক ভাগ্যবান। কারণ সবার ভাগ্যে নানা বা দাদা হওয়ার সৌভাগ্য হয় না। আমার ধারণা এটা অন্য ধরণের একটা অনুভূতি যেটা নানা বা দাদা না হওয়া পর্যন্ত বোঝা যায় না। যেমনটা বোঝা যায় না বা বোঝানো যায় না পিতা হওয়ার অনুভূতি যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ সন্তানের পিতা না হয়।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কথায় আছে, "Grandparents are the spoilers of grandchildren". পুত্রদেরকে যখন মানুষ করি, তখন জীবন-সূর্য ছিল মধ্য গগনে, তাই কর্মে ও দৃষ্টিতে তেজ ছিল। ওরা আদর দেখেছে কম, তেজ দেখেছে বেশি। নাতি নাতনিদের বেলায় সূর্য পশ্চিম গগনে; তাই তেজ স্তিমিত, দৃষ্টি দিগন্ত প্রসারিত। জীবনের অভিজ্ঞতা শিখিয়ে দেয় নমনীয় হতে, শাসনের বদলে স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে ওদের মন জয় করতে। এই স্নেহ-ভালোবাসার কারণেই grandparents এবং grandchildrenদের মধ্যে আন্তরিক একটা টান অনুভূত হয়। এটা একটা ঐশ্বরিক অনুভূতি।

১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: "মায়ার বাঁধনের মধুর যাতনা..."

ভালবাসা আর দোয়া রইলো কিউট বাবুটা আর তার বুড়া দাদুটার জন্য।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "মায়ার বাঁধনের মধুর যাতনা..." - ধন্যবাদ, এমন কাব্যিক প্রণোদনার জন্য।
"ভালবাসা আর দোয়া রইলো কিউট বাবুটা আর তার বুড়া দাদুটার জন্য" - :)

১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: কলম গিফ্ট টা যুৎসই হয়েছে। দোয়া ও আদর রইর বুড়ির জন্য। এই স্মৃতিটা ও সারা জীবন মনে রাখবে, কারণ এটা বারবার আসেনা

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "কলম গিফ্ট টা যুৎসই হয়েছে" - আমিও এ কথার ইঙ্গিত দিয়েছি পোস্টে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে একটা সত্য কথা বলি- যখন ভাবি একদিন বুড়ো হয়ে যাবো। মাথার চুল সাদা হয়ে যাবে। তখন খুব কষ্ট হয়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা তো প্রকৃতির চিরন্তন নীতি; অমোঘ বিধান। বয়স হলে মানুষ বুড়ো হয়ে যায়, চুল পেকে সাদা হয়ে যায়, দাঁত পড়তে শুরু করে, বার্ধক্যজনিত অসুখ বিসুখ দেখা দেয়। এ নিয়ম মেনে নিয়েই দুঃখ নয়, আনন্দের সাথে জীবন যাপন করতে হবে, কেননা প্রকৃ্তির নিয়মের বিরুদ্ধে কেউ যেতে পারে না।

১৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনার জন্য নাতনির উপহার নির্বাচন দেখে অভিভূত হলাম! একসময় তাকে বুকে করে রাখতেন, এখন সে এমন উপহার দিল যা আপনি বুকে করেই রাখতে পারেন, পকেটে।‌

ভালো লাগলো তার সোজা সাপটা কথার ধরণ। আপনার নাতি নাতনির জন্য শুভকামনা রইল।

১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ভাবনাটা চমৎকার। খুব ভালো লাগলো॥
ওদেশে থাকতে থাকতে ওর আরো বেশি সোজা সাপ্টা কথা বলার অভ্যাস হচ্ছে।
মন্তব্য এবং লাইক এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সত্যিই তাই। আমার ম'কে দেখে বুঝতে পারি। দাদা-দাদী আর নানা-নানীর ভালোবাসাটা অনেক গভীর হয়। নিজের ভবিষ্যতের কথা ভেবেও ভয় পাই, তবুও ওরা ভালো থাকুক এটাই চাওয়া। নাতনীর জন্য অনেক অনেক আদর রইলো। ধন্যবাদ।

১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: দাদা-দাদী আর নানা-নানীর ভালোবাসাটা অনেক গভীর হয় - এ কথাটার সত্যতার প্রমাণ আমি আমার দাদা-দাদী আর নানা-নানীর কাছ থেকে যেমন পেয়েছি, তেমনি এখন আমার নাতি-নাতনিদের কাছ থেকেও পাচ্ছি।
নাতনীর জন্য অনেক অনেক আদর রইলো - অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, পোস্ট পড়ে এমন একটি সৌহার্দ্যমূলক মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্য।
ভালো থাকুন, শুভকামনা....

১৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

ক্লোন রাফা বলেছেন: আসসালামালাইকুম , খা.আহসান ভাই।
আহা......জিবন । আহারে জিবন...
এক জিবনে কতগুলো চরিত্রের দেখা মিলে আমাদের !
শুভ কামনা সকলের জন্য।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আস সালাম!
নতুন নামে এলেন? আপনি কেমন আছেন?

২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৯

ক্লোন রাফা বলেছেন: বাধ্য হয়ে নতুন নামে এলাম । পুরোনো আইডি উদ্ধারে ব্যার্থ হয়ে । ভালো থাকার সংগ্রাম চলছে।নতুন ফ্রেন্চাইজ বিজনেছ শুরু করলাম এই বছর। যার প্ল্যান ছিলো করোনার পুর্বে। দোয়া করবেন যেনো বাংলাদেশ ও বাঙালীর সন্মান বাড়াতে পারি বিন্দু পরিমান হোলেও।
আশা করি সবাইকে নিয়ে ভালো আছেন। ভালো থাকুন প্রার্থণা করি। ধন্যবাদ।

১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভালো থাকার সংগ্রাম চলছে" - অনেক, অনেক শুভকামনা রইলো, নিরন্তর।
"দোয়া করবেন যেনো বাংলাদেশ ও বাঙালীর সন্মান বাড়াতে পারি বিন্দু পরিমান হোলেও" - অবশ্যই, এগিয়ে চলুন অধ্যবসায়ের সাথে, পরিশ্রমের ফল বৃথা যেতে পারে না। দোয়া রইলো।
শুভকামনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শেষের কথাগুলো আমার হ্রদয় ছুঁয়ে গেছে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। লেখকের অনুভূতির সাথে একাত্মবোধ করতে পেরেছেন জেনে প্রীত ও বাধিত হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.