নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীতের মেরুতে অগস্ত্য যাত্রা, এ কোন খেয়ালে.....

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৩

আজ ঢাকার তাপমাত্রা ২৪/১৪, এবারের শীতকালের এ যাবত শীতলতম দিন। এ টুকুতেই পায়ে মোজা, গায়ে কয়েক পরতে কাপর চোপর এবং গলায় মাফলার জড়িয়েও যেন রক্ষা নেই। এর পরেও যেন আমার বুকে ত্রাহি-ত্রাহি রব, এই বুঝি ঠাণ্ডা বাতাস নাসারন্ধ্র দিয়ে প্রবেশ করে লাংসসহ কলজেটাকে খামচে ধরে! গত কয়েকদিনে ফজরের নামাযের পর প্রাতঃভ্রমণে বের হয়েছিলাম। সেটা করতে গিয়ে কিছুটা অসাবধানতা বশতঃ একটা বিশ্রী রকমের ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়েছি। এ ধরণের সর্দ্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলে আমি সাধারণতঃ হট স্যালাইন ওয়াটার গার্গলিং করি এবং নাপার বাইরে কোন ঔষধ সেবন করি না। কিন্তু এবারে মনে হচ্ছে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

গতকাল 'সামহোয়্যারইনব্লগ' এ ব্লগার শেরজা তপন রচিত চমৎকার একটি পোস্ট পড়লাম এস্কিমোদের জীবনধারা নিয়ে। পোস্টটা পড়ার সময় ভাবছিলাম, আমার যদি ১৪+ প্লাস তাপমাত্রায় এ অবস্থা হয়, এস্কিমোরা মাইনাস ৬০- এর মধ্যে উন্মুক্ত মেরু প্রান্তরে বরফের ব্লক দিয়ে বানানো ঘরে হু হু শৈত্য প্রবাহের মাঝে কী করে বেঁচে থাকে! পোস্টটা পড়ে আরও জানতে পারলাম, পশ্চিমে কৃষ্ণাঙ্গদেরকে যেমন নিগ্রো বা নিগার বলা একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত ও ঘৃণিত হয়, উত্তরের মেরুবাসীদেরকে এস্কিমো বলাটাও তেমনি একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত ও ঘৃণিত হয়। এখন তাদেরকে 'এস্কিমো' এর পরিবর্তে 'ইনুইট' নামে ডাকা হয়। আমিও এখন থেকে ওদেরকে 'ইনুইট' নামেই ডাকবো।

যাহোক, পোস্টটা পড়তে পড়তে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা অত্যন্ত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পেশীবহুল 'ইনুইট'দের জীবনের শেষ পর্যায়ে ক্ষয়ে যাওয়া বা প্রকৃতির বুকে চিরতরে বিলীন হয়ে যাওয়ার করুণ একটা কাহিনী পড়ে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে রইলাম। বয়স্ক ইনুইট নরনারীরা কি করুণ এবং সাহসী একটা পরিণতিই না স্বেচ্ছায় বরণ করে নেয়! এ বিষয়ে আমি লেখকের পোস্ট থেকেই নীচের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করছিঃ

"আকস্মিক রোগ শোকে কিংবা দুর্ঘটনায় যে কোন সময় মানুষ মারা যেতে পারে। এস্কিমোরা খুব কম ক্ষেত্রেই রোগে আক্রান্ত হয়। ওরা কিছু ক্ষেত্রে শিকার করতে গিয়ে শিকারের আক্রমণে মারা যায়। একজন ইনুইট সুদীর্ঘ সময় সুস্থ সবল দেহে বেঁচে থাকে। ইনুইট সমাজে অকর্মণ্যদের কোন স্থান নেই! হোক সে বয়স্ক কিংবা নারী। ইনুইট বৃদ্ধরা শারীরিকভাবে এত বেশী সুস্থ থাকে যে, তাদের বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন অর্গ্যান দুর্বল হয়ে পড়লেও মৃত্যু এসে সহজে হানা দেয় না। একজন বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা যখন বুঝতে পারে যে সে প্রায় অক্ষম হয়ে যাচ্ছে, তখন সে কারও জন্য বোঝা হয়ে ওঠার আগেই স্বেচ্ছা মৃত্যু বেছে নেয়।

কোন এক কঠিন শীতের রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে- সে ধীরে ধীরে তাঁর প্রিয় কম্বলখানা ছেড়ে উঠে পড়ে। শেষবারের মত 'তিমির তেলে'র পিদিমের আলোতে ইগলু ঘরখানা আর তাঁর অতি প্রিয় ও আপনজনদের ভাল করে দেখে নেয়। তারপর ধীরে ধীরে লাঠি হাতে বের হয়ে যায় অজানার উদ্দেশ্যে... তাঁর এই শেষ প্রস্থান কেউ হয়তো দেখে- কিন্তু আটকায় না। এইটাই ওদের নিয়তি! যে দেখে সে একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবে তাকেও বেঁচে থাকলে একদিন নিশ্চিত এমন নির্মম সিদ্ধান্ত নিতে হবে!"

চিন্তা করা যায়, জীবনের মায়া সাঙ্গ করে এমন নির্মম একটা স্বেচ্ছামৃত্যু বরণের পেছনে কতটা সাহস আর কতটা নীরব বেদনা অদৃশ্য রয়ে যায়! সেইসব বয়স্ক নরনারীরা জানে যে নিশীথ রাতে নিজের ইগলু থেকে বের হয়ে তারা বেশি দূর যেতে পারবে না। হয় ক্লান্ত হয়ে বরফের উপরেই শুয়ে থেকে, তুষারাবৃত হতে হতে তুষারগর্ভে বিলীন হয়ে একদিন জীবাশ্মতে পরিণত হবে; নয়তো কোন মেরুপ্রাণীর খাদ্য হয়ে হজম হয়ে যাবে। তারপরেও তারা এভাবেই সাহসের সাথে বের হয় তাদের অগস্ত্য যাত্রায়, পরিবারের সদস্যদের কারও মাথার বোঝা না হয়ে তাদেরকে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে দিয়ে। বিষয়টি নিয়ে আমি আরেকটু ঘাঁটাঘাটি করে জানলাম, কয়েক শতক পূর্বে কোন এক দুর্যোগের সময়ে চরম খাদ্যাভাবের কারণে অপেক্ষাকৃত কম বয়স্করা যেন সঞ্চিত খোরাক থেকে অল্প অল্প করে কিছু খেয়ে পরে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারে, সে লক্ষ্যে পরিপক্ক বয়সী ইনুইটরা স্বেচ্ছায় অনন্তের উদ্দেশ্যে তাঁবুত্যাগ করেছিলেন। তখন থেকেই ইনুইটদের মাঝে বয়স্কদের এ আত্মত্যাগ প্রথা প্রচলিত হয়। উত্তর প্রজন্মের জন্য পূর্বসূরী বয়স্ক নরনারীদের চরম আত্মত্যাগ সভ্যতার আলো ছড়ানোর অনেক আগে থেকেই মানুষের মাঝে প্রচলিত ছিল। একেই বলে রক্তের টান!

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ ব্লগার শেরজা তপন


ঢাকা
০৯ জানুয়ারি ২০২৪
শব্দ সংখ্যাঃ ৫৩৪

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনিও শেরজার বানোয়াট লেখার ভক্ত হয়ে গেছেন! শেরজা কিছু পড়লে বুঝতে পারে না, মনে হয়; এবং উনার জ্ঞান, অনুধাবন ও কল্পনাশক্তি সীমিত।

ভয়ংকর কোন দুর্ভিক্ষের সময় পরিবারের কম বয়সী লোকজনের শেষ খাবারটুকুতে ভাগ না বসানোর জন্য ২/১ জন ইনুইট অনন্ত যাত্রা করেছিলো কোন আদিম যুগে, সেটা ওদের গোত্রের লোকেরা বীরত্বের কাহিনী হিসেবে বলে বেড়ায়। সেটা শেরজা বুঝতে পারেনি; শেরজায় সব লেখায় গোজামিল আছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "শেরজা কিছু পড়লে বুঝতে পারে না, মনে হয়; এবং উনার জ্ঞান, অনুধাবন ও কল্পনাশক্তি সীমিত" – দেখুন, কাউকে ছোট করে নিজেকে বড় করা যায় না। আমি ব্লগ পড়তে আসি লেখকের জ্ঞান, অনুধাবন ও কল্পনাশক্তি মূল্যায়নের জন্য নয়; তার লেখা আমাকে ভাবনার কোন খোরাক যোগায় কি না, তা অনুভব করতে। এ ব্লগে আমার অনেক পোস্ট আছে যা অন্যদের গল্প, কবিতা বা এমনকি শুধুমাত্র একটা লাইন পড়েও মনে যে ভাবনার উদ্ভব হয়েছে, সেসব ভাবনার সূত্র ধরে লেখা। আলোচ্য পোস্টেও তাই হয়েছে। আমি যে ঘটনাটির দ্বারা স্পর্শিত হয়ে এ পোস্ট লিখেছি, তরুণ কবি জাহিদ অনিক এর নিম্নোক্ত মন্তব্য থেকে বোঝা যায়,একই ঘটনাটির দ্বারা আলোড়িত হয়ে উনিও বিষয়টি নিয়ে কতটা ভেবেছেনঃ
"এই যে মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ে এলে তারা কোনও এক রাতে চুপি চুপি সব মায়া বুক ভরে একবার দেখে তারপর গোপনে চলে যায় - এটা তো মারাত্মক জীবনবোধ আর দর্শন ও ফিলোসফির প্রকাশ। এই একটা ঘটনাতেই বুঁদ হয়ে আছি দুপুর থেকে"। এ থেকেই বোঝা যায়, বয়স নির্বিশেষে ঘটনাটি পাঠক মন স্পর্শ করেছে, পাঠককে ভাবিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী সব মানুষের জীবনেই কোনও না কোন গল্প আছে, কবিতা আছে। কিন্তু সবাই তো সেসব গল্প, কবিতা বা অভিজ্ঞতার কথা লিখে প্রকাশ করতে পারে না, মুখেও গুছিয়ে বলতে পারে না। কবি-সাহিত্যিক-লেখকগণ তাদের হয়ে সে কাজটিই করে যান। তাদের গল্প, কবিতা বা অভিজ্ঞতার কথাগুলো তাদের জবান থেকে তুলে এনে বিশ্বব্যাপী পাঠকদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের মন ও মননকে আলোকিত করেন, আলোড়িত করেন, তাদের মনে ভাবনার খোরাক যোগান।

"শেরজায় সব লেখায় গোজামিল আছে" – আমার তা মনে হয় না। বড়জোর এটুকু বলা যায়, উনি একটা লেখা শেষ করে তা সম্পাদনায় সময় দেন না, এর ফলে হয়তো তার লেখায় কিছু ব্যাকরণগত ও ভাষাগত ত্রুটি রয়ে যায়, তবে তা গোঁজামিল এর পর্যায়ে পড়ে না।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২১

জাহিদ অনিক বলেছেন: প্রিয় কবি, কবিতা ছাড়া কবিদের অন্যান্য পোষ্ট পড়তেও ভালো লাগে। কবিতা না হলেও, কবিতার মতই একটা মোলায়েম স্বর পাওয়া যায়, বোঝা যায় যিনি লিখেছেন আত অন্তর কবিতার শব্দের মতন কোমল।

আপনার এই পোষ্টটা আর শেরজা ভাইএর লেখাটা দুটোই পড়া আছে দেখে মন্তব্য করতে সুবিধে হচ্ছে। স্কুলের ব্যাকবেঞ্চারের মতন না বুঝে প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে না।

যে ঘটনার আলোকপাত নিয়ে আপনার এই পোষ্ট'টা সেটা আমাকেও বেশ ভাবিয়েছে। ওদের ঐ আত্মত্যাগের মধ্যে মাহাত্ম্য, সাইকোলজি বেশ গভীর ছিল। কী নেই ওতে, জীবনবোধ আছে, আবার এবসার্ডিজম দুটোই আছে।

হ্যাঁ ঢাকাতে আজ দারুণ শীতের তীব্রতা।
কম্পুটারের কিবোর্ডে দস্তানা হাতে টাইপ করছি, তাও মনে হচ্ছে বেশ ঠাণ্ডা কিবর্ড।

সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম অনুচ্ছেদের কথাগুলোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কথাগুলো আপনার গদ্য লেখার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
"যে ঘটনার আলোকপাত নিয়ে আপনার এই পোষ্ট'টা সেটা আমাকেও বেশ ভাবিয়েছে। ওদের ঐ আত্মত্যাগের মধ্যে মাহাত্ম্য, সাইকোলজি বেশ গভীর ছিল। কী নেই ওতে, জীবনবোধ আছে, আবার এবসার্ডিজম দুটোই আছে" - জ্বী, একমত।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


প্রচন্ড শীত পড়েছে।
আমি রোগী মানুষ ।
বিধায় অনেক দুর্বল ।
সেই কারণে আমার উপর শীতটা বেশি জাকিয়ে পড়েছে ।
এত শীত আগে কখনো দেখিনি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার আশু রোগ নিরাময় কামনা করছি।
গত সপ্তাহখানেক ধরে শীতটা যেন একটু বেশিই জাঁকিয়ে বসেছে। যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করে চলবেন।
আপনি মালয়েশিয়া থেকে কি একেবারেই চলে এসেছেন?

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:



ঢাকার উইন্টার আমাদের স্প্রিংয়ের মতো, স্পেশালি সেপ্টেম্বরে যেমন হয়।
আমার কাছে এটা কোন ঠান্ডা মনে হয়না, যেটুকু হালকা ঠান্ডা এটা খুব ভালো লাগে :)

একজন বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা যখন বুঝতে পারে যে সে প্রায় অক্ষম হয়ে যাচ্ছে, তখন সে কারও জন্য বোঝা হয়ে ওঠার আগেই স্বেচ্ছা মৃত্যু বেছে নেয়।

খালেদ খানের একটা নাটক দেখেছিলাম এরকম, নাম ভুলে গেছি :(


১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেপ্টেম্বরে আমার অস্ট্রেলিয়ায় থাকা হয়নি। তবে দুই দফায় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জুলাই পর্যন্ত থাকা হয়েছে। ঢাকার এখনকার আবহাওয়াটা আমার দেখা অস্ট্রেলিয়ার মার্চ এপ্রিলের আবহাওয়ার মত মনে হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার শীতকালটা আমার একদম ভালো লাগেনি। সেটা নিম্ন তাপমাত্রার জন্য ততটা নয়, যতটা বৃষ্টি আর মন বিষণ্ণ করা গোমরামুখী আকাশের জন্য। তবে অস্ট্রেলিয়ার সামার তুলনাহীন।
"আমার কাছে এটা কোন ঠান্ডা মনে হয়না, যেটুকু হালকা ঠান্ডা এটা খুব ভালো লাগে" - আপনার বয়সে এ রকম আবহাওয়া ভালো লাগারই কথা। আমারও ভালো লাগে, তবে আমার বয়সে যেটুকু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল, তা না করেই ঠাণ্ডা উপভোগ করতে হাঁটতে বের হয়েছিলাম কয়েকদিন সকাল সন্ধ্যায়। ব্যস, তাতেই ঠাণ্ডা জাপটে ধরে বসেছে।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
গত পরশুদিন দেখলাম কলাবাগানের সাততলা থেকে পড়ে একজন বৃদ্ধ মহিলা মারা গেছেন জানিনা উনার কি সমস্যা কিন্তু উনি নাকি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন । তবে কিছুদিন আগে ওনার হাজব্যান্ড মারা গিয়েছেন এটা শুধু বলছিলেন উনার ছেলেরা । শেরজা তপন ভাইয়ের লেখাটা আমার পড়া হয় নাই আমি পড়বো ।

ঢাকায় খুব ঠান্ডা পড়েছে এজন্য আমিও গত সপ্তাহ খুব অসুস্থ ছিলাম এখন ভালো ।
ভালো থাকবেন ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে পোস্টে এলেন, সুস্বাগতম!
কলাবাগানের সাততলা থেকে পড়ে যাওয়া সেই বৃদ্ধা মহিলার মারা যাওয়ার কথা জেনে ব্যথিত হলাম। কমিউনিকেশন এর অভাবে আজকাল বয়স্ক নরনারীগণ বিষণ্ণতার শিকারে পরিণত হচ্ছেন। এমনকি কম বয়সীরাও। মানুষের সাথে মানুষের তো বটেই, এমনকি পরিবারের সদস্যদের মাঝেও কমিউনিকেশন ন্যূনতম পর্যায়ে নেমে গেছে। পরিস্থি্তি কোন পর্যায়ে গিয়ে যে ঠেকবে, তা কে জানে!
স্মার্টফটোন আমাদের জীবনকে এক জটিল আবর্তে নিয়ে যাচ্ছে।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি ভেবে দেখেন, ১টি তিমি মারলে ইনুইটদের ১৪ গোষ্টী ও তাদের কুকুরেরা ১ বছর খাইতে পারতো; এছাড়া সীল ও মাছ ভর্তি ছিলো মেরুতে।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩২

সোহানী বলেছেন: দেশে যেহেতু হিটিং সিস্টেম তেমন নেই, তার উপর আমাদের মতো গরম কাপড় পাওয়া যায় না তাই সামান্য শীতেই আপনারা কষ্ট পান। আপনার জন্য কয়েকটা সাজেশান;

- কয়েক স্তরের কাপড় পড়বেন, এমন কি মোজাও। শীত কম লাগবে।
-কানাডা থেকে থার্মাল ড্রেস কিনে নিবেন। দেশে বসুন্ধরাতে বা গুলশান মার্কেটে পাওয়া যায়। খুব পাতলা কিন্তু অসম্ভব গরম। আমি আমার বাবার জন্য গত শীতে পাঠিয়েছিলা, খুব কাজে দিচ্ছে।
- হিটার কিনতে পারেন, ঘর গরম করার জন্য।
- এ মূহুর্তে বাইরে কম যাবেন। গেলে অবশ্যই কানটুপি, মোজা, মাফলার পড়বেন। ঠান্ডা কম লাগবে।

শেরজা ভাই এর লিখা মানেই নি:সন্দেহে চমৎকার কিছু। যদিও বর্তমানের চিত্র ভিন্ন, ওরাও আমাদের মতো অনেকটা আধুনিক হয়ে গেছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এদেশে ৫২ সপ্তাহের বছরে শীত এখন প্রকৃতপক্ষে মাত্র ২ সপ্তাহের মত থাকে। আরও একটা সপ্তাহে হয়তো হাল্কা সোয়েটার পরা লাগে। বছরের বাকিটা সময়ে কোন গরম পোষাক পরা লাগে না। তবে কোন কোন বছরে শৈত্যপ্রবাহ একটু দীর্ঘস্থায়ী হলে হয়তো অতিরিক্ত আরেকটা সপ্তাহ গরম পোষাক পরে চলতে হয়।
এখন আমি মোট তিন স্তরে পোষাক পরে আছি। মোজা এক স্তরেই।
আপনার উপকারী সাজেশনগুলোর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
"বর্তমানের চিত্র ভিন্ন, ওরাও আমাদের মতো অনেকটা আধুনিক হয়ে গেছে" - এই আধুনিকতা ওদেরকে কতখানি বদলে দেবে, এবং আখেরে সেটা ওদের কতটা উপকার আর কতটা অপকার করবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: শীত ঋতু আমার দুর্ভোগের সময়, অতএব আক্ষরিক অর্থেই শীতকে হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছি।

আমি বেশি শীতে নেপাল ছাড়া কোথাও যাইনি, তাই ঠান্ডার অভিজ্ঞতা আমার তেমন নেই। আপনি তো অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন, ঠান্ডার অভিজ্ঞতা আপনার অনেক বেশি থাকার কথা। অবশ্য আমি তো ঘরেই থাকতে পারছি, ইচ্ছা হলেই গরম খাবার পাচ্ছি, কিন্তু এই শীতেও যারা খোলা আকাশের নিচে অভুক্ত কাটাচ্ছে তারা কিভাবে দেখছে কে জানে।

ইনুইটদের নিয়ে শেরজা তপনের লেখার একটি অংশ তুলে দেয়ায় আবার পড়ে দেখলাম। সত্যি এটা অবাক করার মতোই ঘটনা যে এরা এই বরফের মধ্যে কিভাবে জীবনযাপন করে!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: শীতকাল আপনার প্রতি আজীবন বৈরী, এ কথাটি আগেও আপনার কয়েকটি পোস্ট থেকে জেনেছি। শীতকাল এই কয়েক বছর আগেও আমার প্রিয় ঋতু ছিল, কিন্তু এখন আর নেই। এখন আমার প্রিয় ঋতু হেমন্ত। ক্ষণস্থায়ী এ নাতিশীতোষ্ণ ঋতুটাকে আমার কাছে বড় নির্দোষ মনে হয়। দুপুর হতে হতেই যেন দিন শেষ! একটু একটু কুয়াশা আর শিশির পড়া শুরু হয় এ ঋতু থেকেই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অবশ্য এখন এ ঋতুকে নাতিশীতোষ্ণ না বলে উষ্ণ বলাই সমীচীন।

"এই শীতেও যারা খোলা আকাশের নিচে অভুক্ত কাটাচ্ছে তারা কিভাবে দেখছে কে জানে" - শহর ও শহরতলী এলাকায় তবু কিছু কিছু হৃদয়বান ধনী ব্যক্তি মাঝে মাঝে রাতের বেলায় গাড়িতে করে এসে দরিদ্রদের মাঝে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করে, কিন্তু গ্রামের লোকেরা বলতে গেলে কিছুই পায় না। অথচ শহর এলাকার চেয়ে গ্রামে শীত বেশি থাকে।

মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যে কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু প্রথম মন্তব্য সবকিছু এলোমেলো করে দিল। ভদ্রলোক যে কোনভাবে চাচ্ছেন আমাকে ক্ষেপিয়ে তুলতে! তার মত মাস্টার মাইন্ড ক্রিমিনাল ব্লগার ব্লগীয় ইতিহাসে আসেনি বলে আমার বিশ্বাস- সেজন্যই তাকে সব বাংলা ব্লগে তার ভাষ্য অনুযায়ী 'সুলেমানী ব্যান' করা হয়েছে।
একজন ঠান্ডা মাথার খুনীও বড় ধরনের দার্শনিক হতে পারে, মানব দরদী, জ্ঞানী দয়ালু হতে পারে। কিন্তু তার ভেতরের ওই নষ্ট আত্মাটা সব ভাল পরিচয় মুছে দেয়। সোনাগাজীর মগজটা পচে গেছে -ওর আত্মাটা মরে গেছে! ওর মধ্যে শুধু হিংসুটে ভয়ঙ্কর এক শয়তান মানুষের আত্মা ঘুরে বেড়ায়। কেউ যদি ওকে ভাল মনে করে সেটা তার ব্যাপার- তার সাথে আমার বিরোধ নেই।
আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপনার পোস্টে এমন বাজে মন্তব্য করার জন্য। আপনি নির্ভেজাল ভাল মনের একজন মানুষ। কারো সাতে পাঁচে নেই। ওর মন্তব্যের প্রতিউত্তর দারুন গুছিয়ে দিয়েছেন সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। য়াপনি দয়া করে আমার মন্তব্যটা ইগ্নোর করবেন। উত্তর দেবার প্রয়োজন নেই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "মন্তব্যে কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু প্রথম মন্তব্য সবকিছু এলোমেলো করে দিল" - আপনার আহত অনুভূতির প্রতি পূর্ণ সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। আপনার উষ্মা বোধগম্য এবং সেটা বিনা কারণে উদগীরিত হয়নি।
আমিও দুঃখ প্রকাশ করছি, আমার একটা পোস্টে আপনার বিরুদ্ধে এমন অসত্য ও অসম্মানজনক কথাবার্তা উচ্চারিত হলো বলে।

১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




খেলাঘর প্রায়ই ফিডব্যাক পোষ্ট দিয়ে জানতে চায় কেনো তাকে ব্যক্তিআক্রমের কথা বলে।
This is the reason.
কমেন্ট নং ১০ সম্পূর্ণরূপে ব্যাক্তি আক্রমন।

ঐ সময় বাংগালীরা ওখানে চোরাকারবারী ও আদম বেপারীর সাথে যুক্ত ছিলো। আপনার লেখার মাঝে ওসবের সন্ধ পাওয়া যায়।

শেরজার কোন লেখা পড়ে মনে হয়েছে চোরাকারবারী ও আদম বেপারীর সাথে যুক্ত ছিলো, প্যারা লাইনসহ give us some proofs.
Without any logical ground, you just simply can't spread this kind of words about someone.

আপনি কি করেছেন ওখানে কে জানে; তবে, পড়ালেখা করেননি,

খেলাঘর আমেরিকার ইউনিভার্সিটি থেকে হায়ার ডিগ্রি নিয়েছে।
সেখান থেকে কি শিখলো যদি এটাই না জানে যে মানুষকে অনুমান নির্ভর হয়ে এভাবে জাজ করতে হয়না!!!

খেলাঘরকে নিয়ে প্রাউড ফিল করি যে অনেক সুশিক্ষিত এবং লজিক্যাল কিন্তু এ ধরনের মন্তব্য দেখে হতাশ হয়ে যাই, অনুমান নির্ভর হয়ে না জেনে না বুঝে যেটা মনে আসছে তাই বলে যাচ্ছে। খেলাঘরের যেমন কিছু পাঠক আছে, শেরজারও আছে যারা তার লেখা লাইক করে। খেলাঘর যতই এসব কমেন্ট করুক, সেইসব পাঠকদের কাছে শেরজার ইমেজ এতোটুকু নষ্ট হবে না।

ধরে নিচ্ছি শেরজা সবচেয়ে খারাপ মানুষ বা লেখক, তাতে খেলাঘরের কি যায় আসে???
you live your life and let him live his life.

We were so happy to have you back. Just giving you a heads-up, don't do anything like this so that you'll be ban again so quickly. We don't wanna lose you again.


১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



@মিরোরডডল,

ব্লগে লেখা পড়লে ফিডব্যাক দিতে হয়, ভুল থাকলে বলতে হয়। কারো ধারণাগত ভুল থাকলে ব্লগার খায়রুল আসসান সাহেব, আপনি ও অনেকে সেটা নিয়ে আলাপ করেন না।

ব্লগার খায়রুল আহসান সাহেব জীবনে বড় সরকারী চাকুরী করেছেন, তিনি সেই অভিজ্ঞতা কোনদিন শেয়ার করেছেন? মোটেই করেননি। উনি সুর্য ডোবার সময় সৃষ্টিকর্তার মহিমাকে অনুভব করার অভিজ্ঞতা শে্যর করেছেন। কিন্তু উনি বড় চাকুরী করার সময় মানুষের জন্য কি করেছেন, জাতির জন্য কি করেছেন, তখনকার সরকারের ভুমিকা নিয়ে লিখলে মানুষ বেশী উপকৃত হতেন। আপনার সাথে আমার ভাবনার অনেক গরমিল আছে।

১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:




ব্লগে লেখা পড়লে ফিডব্যাক দিতে হয়, ভুল থাকলে বলতে হয়।

you're absolutely right.
ভুল ধরিয়ে দেয়ার সাথে সাথে সঠিক কোনটা সেটা লজিক্যালি মেনশন করতে হবে।
আমি যদি বলি তুমি ভুল, লিখতে জানোনা, যা লেখো বানোয়াট এটাতো ফিডব্যাক হলো না।
টু দ্যা পয়েন্ট এড্রেস করতে হবে তার কোন ইনফো ভুল ছিলো, সঠিক ইনফো উল্লেখ করে দিবে, প্রয়োজনে রেফারেন্স দিবে।
সবাই নতুন কিছু শিখতে জানতে আগ্রহী। we'll appreciate you if you do it in the right way.

কারো ধারণাগত ভুল থাকলে ব্লগার খায়রুল আসসান সাহেব, আপনি ও অনেকে সেটা নিয়ে আলাপ করেন না।

একজন ব্লগার যতটুকু নিজে থেকে শেয়ার করে সেটা নিয়ে কথা বলা যায়, তাও যদি সেই বিষয়ে নলেজ থাকে।
যে বিষয়ে জানি সেটা নিয়ে বলবো, কিন্তু যা জানিনা, শুধু মাত্র বলার জন্য বলা সেটা করিনা।
It's not a very good practice to tag someone as a thief, someone as a criminal, someone as a porn writer just by guessing.
অবশ্যই আলাপ করবে, কিন্তু ট্যাগ দিবে না।

ব্লগার খায়রুল আহসান সাহেব জীবনে বড় সরকারী চাকুরী করেছেন, তিনি সেই অভিজ্ঞতা কোনদিন শেয়ার করেছেন? মোটেই করেননি।

I have no idea about it. May be he did, may not be.

উনি সুর্য ডোবার সময় সৃষ্টিকর্তার মহিমাকে অনুভব করার অভিজ্ঞতা শে্যর করেছেন।

খেলাঘর যেমন ট্রেইনে বাসে মেয়েদের সাথে খুনসুটি নিয়ে লিখতে পছন্দ করে, আমরাও সেগুলো পড়তে পছন্দ করি।
সেরকম উনি সৃষ্টিকর্তার মহিমা নিয়ে লেখেন। যার যেটা নিয়ে লিখতে ভালো লাগে।

কিন্তু উনি বড় চাকুরী করার সময় মানুষের জন্য কি করেছেন, জাতির জন্য কি করেছেন, তখনকার সরকারের ভুমিকা নিয়ে লিখলে মানুষ বেশী উপকৃত হতেন।

এ বিষয়ে খেলাঘরের সাথে একমত, এরকম অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখলে মানুষ উপকৃত হবে।
আবার এটাও সত্যি, যে তিনি লিখতে বাধ্য নন।
কতটা লিখবেন আর কী নিয়ে লিখবেন সেটা তার ব্যক্তিগত পছন্দ।

আপনার সাথে আমার ভাবনার অনেক গরমিল আছে।

খুব স্বাভাবিক, ব্যক্তিবিশেষে ভাবনায় ভিন্নতা থাকবে।

Let's not talk about this anymore in his post.
We'd better give him a floor to reply to others.

খেলাঘরের সাথে কথা কন্টিনিউ হবে অন্য কোনো পোষ্টে।
থ্যাংকস খেলাঘর, ভালো থাকবে।

১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩০

জুন বলেছেন: আপনার মত আমারও লেখার এই জায়গটুকু মনকে নাড়া দিয়ে গেছে খায়রুল আহসান। তবে বিষয়টি আমি জানতাম। বান্দরবান এর উপজাতির একটা রেওয়াজ আছে বুড়োদেত নিয়ে। ঘটনাটি আমাদের ভাড়াটে গাড়ির ড্রাইভার কাম গাইডের মুখে শুনে শরীর হিম হয়ে গিয়েছিল। তারা নাকি তাদের পরিবারে অসমর্থ, অক্ষম বয়স্কদের পা ধরে যুবকরা মাথার উপর চরকির মত ঘুরাতে থাকে যতক্ষণ না তাদের মৃত্যু হয়। এরপর তাদের কেটেকুটে রান্না করে খেয়ে ফেলে। এই কারনে তাদের মৃত্যু নিয়ে কোন অনুষ্ঠান নেই, নেই কবরখানা বা শশ্মান।
অনেক অনেক ভালো লাগলো
+

অফ টপিক : আমার ছেলে টরেন্টো থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন শেষ করে সাস্কাচুয়ানে গেছে সহজে পি আর পাওয়ার জন্য। সেখানকার শীত দেখে তার বাবা তো সারাক্ষণ তাকে বলছে ফিরে আসতে। আপনার কি মনে হয় সেখানে সার্ভাইভাব করা সম্ভব? কারণ আপনি কিছু দিন আগে সেখান থেকে ঘুরে এসেছেন তাই জিজ্ঞেস করছি আশাকরি কিছু মনে করবেন না। আমরা স্বামী স্ত্রী দুজন খুব চিন্তিত :(

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মত আমারও লেখার এই জায়গটুকু মনকে নাড়া দিয়ে গেছে খায়রুল আহসান - সেটাই। শেরজা তপন এর পোস্টের ঐ অংশটুকুই সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। তাই ঐ অংশটুকু পড়ে আমার মনে যে ভাবনার উদ্ভব হয়েছিল, তা নিয়েই আমি আমার পোস্ট লিখেছি।
তবে আপনার বিবৃত বান্দরবান এর ঘটনটাটি বড়ই লোমহর্ষক এবং নির্মম!

আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে সাস্কাচুয়ান হচ্ছে প্রদেশের নাম। সেই প্রদেশে দুটো শহর ( বা জেলা, আমাদের ভাষায়) আছেঃ সাস্কাটুন আর রিজাইনা। পরেরটি প্রাদেশিক রাজধানী এবং সেখানেই প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট বসে। আপনার ছেলে কোন শহরে আছে? যেখানেই হোক, সাস্কাচুয়ানে শীতকালে মাঝে মাঝে তাপমাত্রা মাইনাস ৩০/৪০ এও নেমে আসে। তবে এতে ওদের খুব একটা অসুবিধা হয় না, ওরা দ্রুতই অভ্যস্ত হয়ে যায়। এ নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করবেন না, ভাই সাহেবকেও নিষেধ করবেন।

১৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



গতকাল এখানে তাপমাত্রা ছিলো ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর কাছাকাছি। আজ এখন ৬ ডিগ্রী । সাথে ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর বাতাস। বুঝতেই পারছেন আমার কি অবস্থা!
প্রচন্ড সংবেদনশীল একটি লেখা।
একটা প্রতিমন্তব্যে এখানটায় চমৎকার বলেছেন ---
বিশ্বব্যাপী সব মানুষের জীবনেই কোনও না কোন গল্প আছে, কবিতা আছে। কিন্তু সবাই তো সেসব গল্প, কবিতা বা অভিজ্ঞতার কথা লিখে প্রকাশ করতে পারে না, মুখেও গুছিয়ে বলতে পারে না। কবি-সাহিত্যিক-লেখকগণ তাদের হয়ে সে কাজটিই করে যান। তাদের গল্প, কবিতা বা অভিজ্ঞতার কথাগুলো তাদের জবান থেকে তুলে এনে বিশ্বব্যাপী পাঠকদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের মন ও মননকে আলোকিত করেন, আলোড়িত করেন, তাদের মনে ভাবনার খোরাক যোগান।

মিরোরডডল কিছু মন্তব্যের বিপরীতে চমৎকার ও বিশ্লেষিত মন্তব্য করেছেন খুবই শালীনতার সাথে। তাকে ধন্যবাদ।

আর, আমাদের বয়েসটা খুবই ভঙ্গুর। সবধরনের পরিস্থিতিতে সাবধানে সতর্কতার সাথে চলবেন। যদিও এমন উপদেশ দেয়ার প্রয়োজন ছিলোনা তবুও কেন যেন দিতে মনে হলো।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছান্তে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সদুপদেশের জন্য এবং আমার প্রতিমন্তব্য থেকে কিছু কথা এখানে উদ্ধৃত করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন এই বৈরী শীতের মাঝে, দূর প্রবাসে।

১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

সোহানী বলেছেন: মন্তব্য করার সময় বাকি মন্তব্য পড়ার সুযোগ হয়নি। এখন ফিরে এসে খুব অবাক এবং বিরক্ত লাগছে।

গাজিভাই, দয়া করে নিজের চড়কায় তেল দেন। আপনাকে ব্লগের গুরু কেউ বানায় নাই এক রাজিব সাহেব ছাড়া। আপনাকে এরকম উপদেশের খাতা খুলতে কেউতো বলেনি। গায়ে পড়ে উপদেশ দেবার অভ্যেসটা এবার ছাড়ুন প্লিজ।

শেরজা তপনের পোস্ট আপনার ভালো না লাগলে পড়বেন না। আমাদের ভালো লাগে, আমরা পড়ি।

আর আপনি যে ভাষা ইউজ করেছেন আমি যথেষ্ট অবাক হয়েছি। আপনি শেরজা তপনকে প্রশ্ন করেছেন সে কি করেছে দেশের জন্য? এখন প্রশ্ন করি, আপনি কি করেছেন তা আগে বলেন, প্লিজ?? এবং প্রমান সহ বলবেন।

শেরজা তপন যথেষ্ট ভদ্রতা ও ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। আশা করি সেটা বুঝে এবার চুপ থাকুন, প্লিজ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী।
একজনের পোস্টে এসে অন্য আরেকজন সম্পর্কে আক্রমণাত্মক ও অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা অত্যন্ত আপত্তিকর, বিরক্তিকর এবং দৃষ্টিকটু।

১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওকে।

১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

জুন বলেছেন: @ সোনাগাজী আমার মনে হয় আপনার গায়ের চামড়া একটা বিশেষ প্রানীর মত। আপনার যদি মনে হয় কারো লেখায় কিছু ভুল আছে তবে ভদ্রভাবে সেটুকু ধরিয়ে দিন। আপনি একটা মানুষকে অযথা ছোট বা অপমান করতে পারেন না। শেরজার লেখা তো আমিও পড়েছি, কখনো মনে হয় নি তো সে রাশিয়ায় পড়াশোনা না করে আদম ব্যবসা করে! আর যদি করেও থাকে তাতে আপনার কি? সে তার ঘটনাগুলো লিখেছে, আমাদের কাছে তো শেরজা কখনো মতামত জানতে চায়নি যে "আমি রাশিয়ায় আদম ব্যাবসা করেছি এটা কি ঠিক হয়েছে না কি! বা আমি রাশিয়া গিয়ে পিএইচডি করে ইউনিভার্সিটির টিচার ছিলাম "। এমন কথা কি উনি লিখেছেন? আপনি এসব কি লিখেন বিভিন্ন মানুষের উদ্দেশ্যে !
আমি আপনি রাজনৈতিক লেখাগুলো পছন্দ করি, মন্তব্যও করি। তারপর ও আপনি আমার পোস্টে বেশ কয়েকবার আমাকেও অনেক কটু কথা বলেছেন,আমি হজম করেছি যাকে বলে ইগনোর করেছি। কিন্ত বর্তমানে আপনি মাত্রা অতিক্রম করে যাচ্ছেন। মানুষের সহ্যের সীমা অতিক্রম করছেন। আশাকরি ভবিষ্যতে আপনি নিজেকে সংশোধন করবেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরামর্শ যথার্থ, কিন্তু কতটুকু গ্রাহ্য হবে, সেখানেই সন্দেহ।

১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

বিজন রয় বলেছেন: এদ সুন্দর একটা পোস্ট এটা!!
কিন্তু অন্য দিকে চলে গেল।

ভেরি সরি।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: কি আর করা! ফুলবাগানে কানা হাতি ঢুকে পড়েছে, যদিও ফুল তার খাদ্য নয়, নৈবেদ্যও নয়।
"ভেরি সরি" - সহমর্মিতার জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: ১। আসলে কয়লা ধুইলেও ময়লা যায় না। সোনাগাজীর ক্ষেত্রে এটা পরম সত্য।

২। বাই দ্য ওয়ে, পোস্ট চমৎকার হয়েছে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বাই দ্য ওয়ে, পোস্ট চমৎকার হয়েছে" - মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
প্রীত ও প্রাণিত।

২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪

অর্ক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো খায়রুল ভাই। গত দুয়েক দিন বেশ ভালো শীত গেছে। আজ এখানে রৌদ্রময় দিন আপাতত। শেরজার সে লেখা পড়বো। ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। ইনুইটরা খুব এক্টিভ লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত। তাই ওরকম শীতে তুষারেও স্বাভাবিকভাবে টিকে থাকে। আমি নিজেও শীতে ঠান্ডায় সর্দি কাশি জ্বর নাক বন্ধ প্রায় ভুলে গেছি। সেভাবে মনে পড়ে না শেষ কবে হয়েছিলো। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র আমার খেলাধুলা চর্চার জন্য। এর থেকেও ঢেরবেশি তীব্র শীতে দৌড় স্কিপিং প্র্যাকটিসের পর ঠান্ডা পানিতে গোসল করে থাকি। প্রথমে গরম পানি, তারপর ঠান্ডা পানি। স্কিপিং, দৌড় থেকে প্রচুর ঘাম হয়। আপনি সম্ভব হলে ভালো ট্রেডমিল, এক্সারসাইজ সাইকেলে প্রতিদিন ব্যায়ামের জন্য এক ঘন্টা হলেও রাখবেন। এতে খুব ভালো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। শীতকালীন শারীরিক সমস্যাগুলো নিশ্চিতরূপে আর কাছে ঘেষতে পারবে না। দৌড়ে সমস্যা হলেও অটোমেটিক এক্সারসাইজ সাইকেল চালানোতে কোনও সমস্যা হবে না। ধীরগতিতে দিব্যি চালাতে পারবেন। র্যান্ডম চালিয়ে হলেও শরীর থেকে ঘাম ঝাড়ানো গেলে দারুণ হবে।

ইনুইটদের স্বেচ্ছা মৃত্যুর এই ব্যাপারটা লেখায় পড়ে সত্যি খুব খারাপ লাগলো। এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান বহু এগিয়ে গেছে। দেখা যাবে, যে সময় তারা স্বেচ্ছা মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সঠিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে সেখান থেকেও আরও বহুদিন বাঁচতে পারতো। পৃথিবীতে এরকম উপজাতিদের মাঝে সভ্যতা, আধুনিকতা গ্রহণের ক্ষেত্রে আজও বিভিন্নক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ার উপজাতিদের নিয়ে কোথাও পড়েছিলাম। ওরা আজও জঙ্গলেই বাস করতে চায়। বিভিন্ন আকর্ষণীয় সুযোগসুবিধা দিয়ে রাষ্ট্রের মূল ধারায় আসার ক্ষেত্রে অনীহা তাদের। অথচ বাইরে থেকে লোকজন এসে নতুন করে উন্নত সুখী জীবন শুরু করছে সেখানে। সাদা চামরার লোকদের লোকদের প্রতি ভয় অবিশ্বাস এর একটা কারণ হয়তো।


হার্দিক শুভেচ্ছা থাকলো।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার খেলাধুলা চর্চার কথাটি জেনে খুশি হলাম। আমার এখন বহিরাঙ্গণ খেলাধুলার বয়স নেই, তবে ছাত্রজীন থেকে শুরু করে প্রৌঢ়ত্ব পর্যন্ত প্রচুর খেলাধুলা করেছি। এখনও প্রায় নিয়মিতই হাঁটাহাটি করি।

হার্দিক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

২১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দারুন উপলব্দি নিসৃত একটি লেখা ।
জীবন যেখানে যেমন । বিষুবীয় অঞ্চলের মানুষ উত্তর কিংবা দক্ষীন মেরুর কাছাকাছি
গেলে যে অবস্থায় পতিত হবে ইনুয়িটদেরকেও যদি বিষুবীয় এলাকায় আনা হয় তাদের
অবস্থাও করুন হবে ।

মন্তব্যের ঘরে ইনুয়িট বিষয়ে বলা যায় পূর্বকালে ইনুইট তাদের বয়স্কদের বরফের উপর রেখে যেত
মৃত্যুর লক্ষন নিকটবর্তী হলে । তবে দুর্ভিক্ষের সময় ছাড়া এটি বিরল ছিল। ইনুইট সেনিসাইডের সর্বশেষ
পরিচিত ঘটনাটি ছিল ১৯৩৯ সালে ( সুত্র : https://en.wikipedia.org/wiki/Senicide )

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নীচে দেয়া উৎসের তালিকায় গেলে পাওয়া যাবে ।
1. "Did Eskimos put their elderly on ice floes to die?" The Straight Dope (May 4, 2004)
Click This Link
2. "Senilicide and Invalidicide among the Eskimos" by Rolf Kjellström in Folk: Dansk etnografisk tidsskrift, volume 16/17 (1974/75)
3. "Notes on Eskimo Patterns of Suicide" by Alexander H. Leighton and Charles C. Hughes in Southwestern Journal of Anthropology, volume 11 (1955)
4. Eskimos and Explorers, 2d ed., by Wendell H. Oswalt (1999)

শীতের বিষয়ে যে কথা বললেন তা কি কানাডায় থাকা আপনার নাতি জানে !!
সে মনে হয় এ কথা জানতে পারলে হেসেই গড়াগড়ি যাবে ।
যাহোক শীতে প্রয়োজনীয় গরম কাপড় চোপর পরিধান করাই শ্রেয় ।
আমিতো এখানে পুরা শীতকালেই সেন্ট্রাল হিটিং এর পরেও
হাতে পায়ে মোজা , ট্রাউজার দুই প্রস্ত , গায়ে পাঁচ প্রস্ত ; প্রথমে গেঞ্জী ,
তারপরে হাফ সুয়েটার , তার উপরে সার্ট, তার উপরে হাফ সুয়েটার
তার উপরে ফুল সুয়েটার তার উপরে হাফ জেকেট ,
তার পরে গলায় মাফলার , তারপরে সোফায় কিংবা বিছানায়
পিছনে বালিস কয়েকটা রেখে হেলান দিয়ে গা গতরের উপর একটি
পশমী কম্বল দিয়ে কুলের উপর লেপটপ নিয়ে বসি পড়াশুনা আর
লেখালেখির লাগি । আমার কান্ড দেখৈ পরিবারের সকলেই করে
হাসাহাসি। তারপরেও টেপের গরম টানিতে অজু করে রুমে
ডোকার পরে করি কাশাকাশী । শীত ঠেকানোর জন্য ঘরের
বাইরে যাওয়ার বিবরণ আর দিলাম না । গরমরে পাইনা ভয়
শীত আমার জম , একটু ঠান্ডাতেই নাক দিয়ে পানি ঝরে
অবিরাম । ফ্লো ভেকসিন কোন কিছুই কাজে না ধরে
দিন গুনি শেষ যাত্রার তরে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বিষুবীয় অঞ্চলের মানুষ উত্তর কিংবা দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি গেলে যে অবস্থায় পতিত হবে ইনুয়িটদেরকেও যদি বিষুবীয় এলাকায় আনা হয় তাদের অবস্থাও করুণ হবে" - 'বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে'!

পোস্টের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্যের সূত্রগুলো দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

শীত নিবারণের লক্ষ্যে আপনার পাঁচ প্রস্থ পোষাক পরিধানের কথাটা জেনে আশ্বস্ত হলাম, আমোদিতও হলাম।

মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে ও প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।

২২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তপন ভাইয়ের পোস্ট পড়া হয়নি কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে ইনুইটদের গভীর জীবনবোধ মর্মানুভূতির পরিচয় পেলাম।এগারো বারো ক্লাসে আমাদের এস্কিমোদের জীবনযাপন সম্মন্ধে পড়তে হয়েছিল। আমাদের সিলেবাসে ছিল ওদের বরফের তৈরি গৃহ ইগলুর কথা।সিলমাছ শিকার করার কথা। ওদের সুঠাম দেহ সৌন্দর্যের জন্য পশুর চামরার নির্মিত ব্যাগে দুধ পচিয়ে চক করে খাওয়ার প্রথা জেনেছিলাম। অনেকটা আমাদের টক দই খাওয়ার মতো। ওদের ধারণা নাকি দুধ টক করে খেলে তা শরীরের পক্ষে বেশি উপযোগী।আমি তপন ভাইয়ের পোস্টে গিয়ে ওনার পোস্টের বিষয়বস্তু ও আমার স্কুল জীবনের ধারণা মিশিয়ে একটা কমেন্ট করবো। সেদিন থেকে আজ অব্দি জানতাম না যে এস্কিমো শব্দটা একটা জাতির কাছে আপত্তিকর। আপনার সঙ্গে আমিও স্থির করেছি আর কখনো ঐ শব্দটা মুখে আনবো না।এখন থেকে শুরু ইনুইট।


কিন্তু তার আগে আপনি যেভাবে ঐ পোস্টের নির্যাস তুলে ধরেছেন তা রীতিমতো মর্মস্পর্শী বটে। পরিবারের বোঝা না হবার জন্য নির্জন নিশুতিতে প্রিয় বাসস্থান ইগলু ছেড়ে শেষবারের মতো আপনজনদের একপলকে দেখে নিয়ে মাইনাস টেম্পারেচারের খোলা আকাশের নিচে অগস্ত যাত্রায় বের হবা কতোটা জীবন বোধ ও মুল্যবোধে আদর্শীত ভাবলে অবাক হতে হয়।
সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন স্যার।
প্রথম কমেন্টে সোনাগাজীর আক্রমণাত্মক বিদ্রূপ কমেন্ট দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি ওনার স্বভাব ইহজীবনে যাওয়ার নয়।উনি বর্গীয় শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন। ওনার অসুস্থ মানসিকতাকে ধিক্কার জানাই।ছি সোনাগাজী ছি।
খুব শীঘ্রই যদি ওনার এই নিকের ব্লগিং অগস্ত যাত্রায় গমনে মডু বাধ্য করেন অবাক হবো না।
ভালো থাকবেন স্যার। শুভেচ্ছা আপনাকে।



৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সেদিন থেকে আজ অব্দি জানতাম না যে এস্কিমো শব্দটা একটা জাতির কাছে আপত্তিকর" - আমিও তা জানতাম না। এখন জেনেছি, এখন থেকে আর ঐ শব্দটি ব্যবহার করবো না। এখন থেকে শুধু 'ইনুইট' ব্যবহার করবো।

মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আশা করি এখন ভাল আছেন?
ইনুইটদের কথা জেনে খারাপ লাগছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আল্লাহর রহমতে দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠেছি।
বয়স্ক ইনুইটদের এ আত্মত্যাগের কথা জেনে আমারও খারাপ লেগেছিল বলে এ পোস্ট লিখেছি।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৩

জুন বলেছেন: আমার ছেলে থাকে সাস্কাটুনে :(

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরেরবার রিজাইনা (কানাডা) গেলে সাস্কাটুনেও যাবার আশা রাখি। গতবার প্ল্যান করেও শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয় নি। তখন ভাতিজারও খোঁজ খবর নেব, হয়তো দেখাও হয়ে যেতে পারে।

২৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি আগেও এই পোস্ট'টি দেখেছিলাম কিন্তু ব্যস্ততার কারণে মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি।
ইনুইটদের শেষ বয়সের এই স্বেচ্ছা নির্বাসন/মৃত্যুর বিষয়টি আমার হ্রদয়কে ছুঁয়ে দিয়েছে। :((

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ইনুইটদের শেষ বয়সের এই স্বেচ্ছা নির্বাসন/মৃত্যুর বিষয়টি আমার হ্রদয়কে ছুঁয়ে দিয়েছে" - আমারও, এবং সে কারণেই এ পোস্ট লেখা।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা !
শেরজার লেখা পড়েছিলাম, আপনারটা আজ দেখলাম। দেশে শীতের প্রকোপের পুরো সময়টা প্রতমে সিলেট এরপর নওগাঁ ছিলাম। সিলেটে তবুও রোদ উঠেছিলো আর নওগাঁ তে ছিল সর্বনিম্ন।
নিজের যত্ন নিবেন।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন শীত চলে গেছে। এখনকার ঢাকার আবহাওয়া অত্যন্ত আরামদায়ক, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে ঢাকায় শীতের স্থায়ীত্বও বেশি ছিল, প্রাবল্যও বেশি ছিল।
মন্তব্যে প্রীত হলাম। মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩৬

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: শেরজা সাহেবের লেখা আমার কাছেও ভালো লাগে। অনেক অজানা বিষয় জানতে পারি। ইনুইট নিয়ে ওনার ঐ লেখার মতন বিস্তারিত লেখা আর বাংলায় পাই নি। সেদিন গুইসাপ নিয়ে একটা পোস্ট দিলেন, ওটাও দারুন।

সেদিন হুট করে সামনে একটা ডকুমেন্টারি সামনে আসলো, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে মেরু ভালুক, ইনুইট সহ অনেক মেরু অঞ্চলে বেঁচে থাকা প্রাণ শঙ্কায় আছে। আমরা যেমন নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে বেঁচে থেকে অভ্যস্ত, ঠিক তেমনি ইনুইটদের জন্য ঐ মাইনাসের বহু নিচের তাপমাত্রা। যারা ঐ অঞ্চলে, রীতি মেনে থেকে যাচ্ছে, তাদের জন্য উষ্ণতাই বরং বিপদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এ ধরণের লেখা গুলো ভালো লাগে। অনেকটা স্পিন অফ মনে হয়। মাঝে মাঝে ভালো লাগা পোস্ট গুলো নিয়ে এভাবে লিখবেন। ধন্যবাদ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ইনুইট নিয়ে ওনার ঐ লেখার মতন বিস্তারিত লেখা আর বাংলায় পাই নি" - শেরজা তপন এর সেই পোস্টের ১৭ নং মন্তব্যে ডঃ এম এ আলী ইনুইটদের জীবনাচার দর্শন নিয়ে তার লেখা একটি চমৎকার পোস্টের লিঙ্ক দিয়েছেন। সেটা পড়ে দেখবেন, অনেক ডিটেইলসে জানতে পারবেন।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৭

মেঘবৃষ্টির গল্প বলেছেন: বয়স্কদের এই উদারতার কথা জানা ছিলো না। জেনে ভালো লাগলো।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়েছেন, সেজন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হলাম।

২৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


আপনার নতুন পোষ্টের জন্য সচরাচরতো এমন গ্যাপ পরেনা ।
কামনা করি লেখায় কোন কারণে গ্যাপ পড়লেও আপনি
যেন সুস্থ শরীরে বহাল তবিয়তে থাকেন ।

শুভেচ্ছা রইল

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আপনি ঠিকই খেয়াল করেছেন, আমার নতুন পোষ্টের জন্য সচরাচর তো এমন গ্যাপ পড়ে না। ব্লগে নানা কারণে দিনে দিনে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলছি। তবুও আপনার মত কিছু সুধী শুভানুধ্যায়ীদের জন্য একেবারে হারিয়ে যেতে পারি না।
আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। আপাততঃ সুস্থ শরীরে বহাল তবিয়তেই আছি।

হয়তো লক্ষ্য করেছেন, গতকাল একটা নতুন পোস্ট দিয়েছি।

৩০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

এখন আমার করা মন্তব্যের উত্তর দেখতে এসে লক্ষ করলাম আপনার একটি নতুন পোষ্ট আছে ।
দেখব ইনসাল্লাহ । ্আপনিউ হয়ত লক্ষ্য করেন নি, আমারো একটি নতুন মেরাথন পোষ্ট আছে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার নতুন সে পোস্টও এক নজর দেখেছি, কিন্তু সময় নিয়ে মনযোগের সাথে আবার পড়তে হবে বলে আপাততঃ কোন মন্তব্য করছি না। শীঘ্রই আসবো আপনার সে পোস্টে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.