নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের পথ ধরেই; এমিরেটস এর ফ্লাইটে, দুবাই হয়ে। এবারে ইচ্ছে হলো পূবের পথ ধরে উড়াল দিতে। আমার এ ইচ্ছেটার কথা প্রকাশ করার আগেই ট্রাভেল এজেন্ট জানালো, ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স তাদেরকে হংকং হয়ে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে যাত্রী পাঠাতে উৎসাহিত করছে এবং এর জন্য তারা আকর্ষণীয় টিকেট মূল্য ধার্য্য করেছে। আমার ইচ্ছের সাথে ট্রাভেল এজেন্টের এ প্রস্তাব মিলে যাওয়াতে আমি বেশ আগ্রহী হয়ে তাদের কাছে দুইজন যাত্রীর জন্য ফ্লাইট ডিটেইলসসহ কোটেশন চাইলাম। টিকেটের মূল্যটা বেশ সাশ্রয়ী মনে হলেও হংকং এ মাত্র ৫৫ মিনিটের ট্রাঞ্জিট বিরতির কথা জেনে শঙ্কিত বোধ করলাম এবং বিনা দ্বিধায় আমার শঙ্কার কথাটা তাদেরকে জানালাম। কেননা, দুই ঘণ্টার কম ট্রানজিট বিরতি থাকলে আমি মনে স্বস্তি পাই না। সেখানে এ যাত্রায় এক ঘণ্টারও কম!
আমার শঙ্কার কথাটা জেনে ট্রাভেল এজেন্ট আমাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলো এই বলে যে হংকং এর টার্মিনাল বেশি বড় নয়, এবং একই টার্মিনাল থেকে কানেক্টিং ফ্লাইটের যাত্রা শুরু হয় বলে এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ খুবই তৎপর থাকে তাদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সকল যাত্রীকে এই স্বল্প সময়েই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরিয়ে দিতে। তাদের এ কথায় পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে না পেরে আমি জিজ্ঞেস করলাম যে যদি কানেক্টিং ফ্লাইট মিস করি, তবে পরবর্তী ফ্লাইট কত ঘণ্টা পরে পাওয়া যাবে। তারা জানালো সাড়ে সাত ঘণ্টা পর। আমি চিন্তা করে দেখলাম, আমরা এখন মুক্ত বিহঙ্গ; আমাদের কোন তাড়াহুড়ো নেই। আর সাড়ে সাত ঘণ্টার চেয়ে অনেক বেশি সময়ের ট্রানজিট কাটানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। তাই কানেক্টিং ফ্লাইট মিস করলেও কোন ব্যাপার না; মনে মনে ঠিক করে ফেললাম এই ফ্লাইটেই যাবো। টিকেটও করে ফেললাম, তবে টিকেট কাটা এবং ফ্লাইটের মধ্যবর্তী সময়ের দিনগুলোতে আমি বারে বারে তাদের কাছে অনুরোধ করেছি আমার আগে যাওয়া একই রকম পথপঞ্জীর (itinerary) যাত্রীদের কাছ থেকে তাদের অভিজ্ঞতার আপডেট সংগ্রহ করে আমাকে জানাতে। তারা আমাকে চারজনের আপডেট জানিয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনই ঠিকঠাক মত কানেক্টিং ফ্লাইট ধরতে পেরেছেন, একজন পারেন নাই। যিনি পারেন নাই, তিনি আবার ট্রাভেল এজেন্টেরই বোন (কাজিন)। তার এ কথা শুনে আমার এটাকে অনেস্ট আপডেটই মনে হলো।
আমাদের ফ্লাইটের আগের সাতদিনের ফ্লাইট রেকর্ড ইন্টার্নেটে খুঁজে দেখলাম প্রায় প্রতি রাতেই ঐ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে গড়ে কমবেশি দেড় ঘণ্টা বিলম্বে যাত্রা শুরু করেছে। অগত্যা মনে মনে কানেক্টিং ফ্লাইট মিস করার সম্ভাবনাকে মেনে নিয়েই রাত দশটা বিশ মিনিটে বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে সস্ত্রীক রওনা হয়ে গেলাম । ফ্লাইট টাইমের ঠিক তিন ঘণ্টা আগে চেক-ইন কাউন্টারের সামনে দাঁড়ালাম, যদিও পূর্ব পরিকল্পনা ছিল চার ঘণ্টা আগে দাঁড়াবার। ফ্লাইট ‘অন টাইম’ আছে কিনা তা চেক-ইন স্টাফকে জিজ্ঞেস করলে তিনি একটা অর্থপূর্ণ হাসি দিয়ে বললেন, “So far, yes!” আমি ইঙ্গিতটা বুঝে নিলাম। রাত বারটার মধ্যে ইমিগ্রেশনসহ সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্লেনে আসীন হবার জন্য আমাদের ঘণ্টা দুয়েকের প্রতীক্ষার পালা শুরু হলো।
এর মধ্যে একজন স্টাফ জানালেন যে বিমানবন্দরে আমাদের প্লেনের জন্য নির্দিষ্ট বোর্ডিং ব্রীজটিতে জরুরি মেরামত কাজ চলছে বিধায় প্লেন বোর্ডিং ব্রীজের সাথে সংযুক্ত থাকবে না। আমাদেরকে লাউঞ্জের সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে হবে, আবার প্লেনের খাড়া সিঁড়ি বেয়েই ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে আমরা উভয়ে স্বাভাবিক হাঁটা চলা করতেই হাঁটুতে একটু অসুবিধে বোধ করছিলাম, তার উপর আবার চলে এলো এই উটকো ঝামেলা। লাউঞ্জে বসে বারংবার ডিপারচার মনিটরে চোখ রাখছিলাম ফ্লাইট বিলম্বিত হয় কিনা সেটা দেখার জন্য। সেখানে ফ্লাইট ‘অন টাইম’ই দেখাচ্ছিল। সেই টাইমফ্রেম অনুযায়ী যথাসময়ে আমাদের বোর্ডিং চেক ও শেষ সিকিউরিটি চেক সম্পন্ন হবার পর আমাদেরকে বোর্ডিং গেইটের সামনে এনে বসানো হলো। তারপর থেকে যেন কেমন একটা স্থবিরতা ও নীরবতা নেমে এলো। স্টাফরা সবাই এদিকে সেদিকে ঘুরাঘুরি করে নিজেদের মধ্যে যেন কি সব আলাপ করছিল আর বার বার একটু দূরে গিয়ে ওয়াকি টকিতে কথা বলছিল। হঠাৎ মাইকে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স এর পক্ষ থেকে ‘দুঃখের সাথে’ জানানো হলো যে বিমান বন্দরে “এয়ার ট্রাফিক” এর সমস্যার কারণে ফ্লাইট আধা ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়বে। যাত্রীরা সবাই উসখুস শুরু করলেন, একে অপরের মাঝে কানাঘুষা চলতে থাকলো- অবশেষে কি আমরা কানেক্টিং ফ্লাইটটা মিস করতে যাচ্ছি?
বোর্ডিং গেইটের সামনে অপেক্ষা করার সময় একজন হুইলচেয়ার যাত্রীর সাথে আমরা পরিচিত হ’লাম। তিনি বহু বছর আগে অগ্রণী ব্যাংক এর অফিসার তার স্বামীকে হারিয়ে একাই তিন ছেলেমেয়েকে মানুষ করেছেন। তিনি একাকী ভ্রমণ করছিলেন ভার্জিনিয়ায় অবস্থানরত পিএচডি ছাত্রী তার ছোট মেয়ে নিপার কাছে যাবার জন্য। বসে থাকতে থাকতেই তিনি সেলফোন বের করে তার মেয়েকে কল করলেন। পাশে বসার কারণে তাদের কথোপকথন আমাদের কানে আসছিল। তিনি মেয়েকে আমাদের কথা বললেন। এক পর্যায়ে তিনি ফোনটি আমার হাতে দিয়ে বললেন যে তার মেয়ে আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে। তার উৎকণ্ঠিত মেয়েটি আমাকে সালাম জানিয়ে অনুরোধ করলো আমরা যেন তার মাকে একটু দেখে শুনে রাখি এবং প্রয়োজনে সাহায্য সহযোগিতা করি। সুদূর প্রবাসী পিতৃহারা মেয়েটির তার মায়ের জন্য অকৃ্ত্রিম এই উৎকণ্ঠা আমাকে স্পর্শ করলো। আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম, অবশ্যই। ইন শা আল্লাহ আমরা একসাথেই তার মাকে নিয়ে নিরাপদে নিউ ইয়র্কে পৌঁছাবো।
যাহোক, আধা ঘণ্টা নয়, অবশেষে এক ঘণ্টা বিশ মিনিট পর আমাদের প্লেনটি রাতের আকাশে পাখা মেলে উড্ডীন হলো। আমার আসনটি ছিল পাখার উপরে। পাখার আলো, ঢাকা মহানগরের রাস্তার আলো আর রাতের নক্ষত্রের আলো দেখতে দেখতে আমি কানেক্টিং ফ্লাইটটা মিস হবার সম্ভাবনা ও শঙ্কার মাঝেও একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আসনের সামনের মনিটর অন করলাম।
ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স এর গ্রাউন্ড স্টাফ এবং কেবিন ক্রুদের পেশাগত আচরণ এবং সৌজন্য আমার কাছে উচ্চমানের মনে হয়েছে। কিন্তু ঢাকা বিমানবন্দরের “এয়ার ট্রাফিক” ব্যবস্থাপনাকে আমার কাছে মোটেই আশানুরূপ মনে হয়নি। নইলে কেন প্রতি রাতে ফ্লাইটগুলো যথারীতি সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পরেও “এয়ার ট্রাফিক” সমস্যার কারণে টার্মিনালে বসে থেকে এতটা বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে! আমি মনিটরে চোখ রাখছিলাম এটা দেখার জন্য যে পাইলট এই বিলম্বটুকু কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারেন কিনা। দেখলাম, মাঝে মাঝে প্লেনের গ্রাউন্ডস্পীড ৯৭০/৯৮০ কিঃমিঃ পর্যন্ত উঠছিল। অবশেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্বে আকাশে উড়েও ক্যাপ্টেন মহোদয় মাত্র আধ ঘণ্টা বিলম্বে আমাদেরকে নিয়ে হংকং বিমানবন্দরে অবতরণ করলেন। যাত্রা শুরুর বিলম্বটুকু অনেকটা পুষিয়ে নেয়াতে মনের মাঝে কিছুটা ‘দুরাশা’র সঞ্চার হলো।
অন বোর্ড ফ্লাইট সিএক্স৬৬২
হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১০ মে ২০২৪
শব্দ সংখ্যাঃ ৯৩২
পরের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ২
১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার ভ্রমণ কাহিনীর প্রশংসা করার জন্য এবং তা পাঠের প্রতি আগ্রহ প্রকাশের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
২| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সময়ে সময়ে আপডেট দিয়েন।
আপনার যাত্রা নিরাপদ এবং আনন্দময় হউক।
১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপডেট দেয়ার চেষ্টা থাকবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪
শোভন শামস বলেছেন: আপনার যাত্রা নিরাপদ এবং আনন্দময় হউক।
১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, শামস।
৪| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আশা করছি মনোরম এক ভ্রমণ কাহিনী আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
আপনাদের ভ্রমণ নিরাপদ ও আনন্দময় হোক।
১৪ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখা নিয়ে এতটা আশাবাদ ব্যক্ত করায় মনে মনে প্রাণিত হ'লাম ঠিকই, তবে কতটা সে আশা পূরণ করতে পারবো, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে।
শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ভ্রমণ শুরুর অপেক্ষায় রইলাম। ছবি সহ পোস্ট করবেন।
১৪ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি তোলা কিংবা পোস্ট করা, কোনটার ব্যাপারেই আমি পারদর্শী নই। তবুও আপনার আগ্রহের কথা স্মরণে রেখে চেষ্টা চালিয়ে যাব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪১
সুনীল সমুদ্র বলেছেন: নিখুঁত বর্ণনায় উপভোগ্য ভ্রমণ কাহিনী ! দূরের যাত্রা শুভ হোক।
১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রাণিত।
৭| ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৩:২০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনি এমন একটা সময় নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন যখন আমি বাংলাদেশে। যাইহোক, আপনার যাত্রা শুভ হোক। ধন্যবাদ।
১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কবে নাগাদ নিউ ইয়র্কে ফেরত আসবেন?
বাংলাদেশে আপনার অবস্থা্ন নিরাপদ এবং আনন্দময় হোক!
৮| ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: তারপর ঘটনা কোন দিকে গেল?
ফ্লাইট কি মিস হল? ৫৫ মিনিটের ভেতরে ৩০ মিনিট তো এমনিতেই চলে গেল !
তবে পোস্ট যদি হংকং এয়ারপোর্টে বসে লিখে থাকেন তাহলে ফ্লাইট তো মনে হয় মিস হয়েই গেছে । দেখা যাক পরে কী হয় !
১৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "তারপর ঘটনা কোন দিকে গেল?" - এটা আজকেই আর কিছুক্ষণ পরে জানতে পারবেন নতুন পোস্টে।
"ফ্লাইট কি মিস হল? ৫৫ মিনিটের ভেতরে ৩০ মিনিট তো এমনিতেই চলে গেল!" - না। জ্বী, তবুও না।
"তবে পোস্ট যদি হংকং এয়ারপোর্টে বসে লিখে থাকেন তাহলে ফ্লাইট তো মনে হয় মিস হয়েই গেছে" - পোস্টের নোটস লিখেছিলাম প্লেনে বসেই, নানা নাটকীয়তার মধ্যেও। তবে সেটা ব্লগে পোস্ট করেছি গন্তব্যে পৌঁছে, একটু থিতু হয়ে।
"দেখা যাক পরে কী হয়!" - জ্বী, আজকেই দেখবেন, ইন শা আল্লাহ!
চমৎকার মন্তব্য, যা গভীর মনোনিবেশ সহকারে পোস্ট পাঠের স্বাক্ষর। আপনার উৎকণ্ঠা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানবেন।
৯| ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:২৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ আনন্দদায়ক হোক এই কামনা করি খায়রুল আহসান ভাই।
আশা করি আপনার নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ বৃত্তান্ত নিয়ে আরো লিখবেন।
১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ বৃত্তান্ত নিয়ে আরও কিছু লিখার ইচ্ছে আমারও রয়েছে।
শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১০| ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভ্রমণ নিরাপদ ও সুন্দর হোক।
১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১১| ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
আপনি যেদিন ( ১০ই মে'২৪) নিউ ইয়র্কের পথে উড়াল দিলেন ঠিক সেদিনই আমি সিডনী থেকে উড়াল দিয়ে সানফ্রান্সিসকো ফিরেছি। কাকতালীয়???
আশা - নিরাশার মাঝে ভ্রমন শুরু হলেও আপনার নিউ ইয়র্ক ভ্রমন যেন শেষতক সহি-সালামতেই সম্পন্ন হয়।
শুভেচ্ছা থাকলো............
১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কাকতালীয় বটে!
"নিউ ইয়র্ক ভ্রমন যেন শেষতক সহি-সালামতেই সম্পন্ন হয়" - অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এ শুভকামনার জন্য।
প্লাসে প্রাণিত।
১২| ১৪ ই মে, ২০২৪ ভোর ৫:৩৭
ঢাকার লোক বলেছেন: আপনাদের নিউ ইয়র্ক ভ্রমন নিরাপদ এবং আনন্দময় হউক।
১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এ শুভকামনার জন্য।
১৩| ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫২
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমার ভাবতেই ভালো লাগছে যে আবার কিছু ভ্রমন কাহিনী পেতে যাচ্ছি আমরা ইনশাআল্লাহ । আপনার পুঙ্খানুপুঙ্খ নিঁখুত বর্ননা খুব উপভোগ্য হয়। আল্লাহ তায়ালা সুস্থ রাখুন আপনাদের, ভ্রমন নিরাপদ ও সুন্দর হোক এই কামনা করছি।
১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমার ভাবতেই ভালো লাগছে যে আবার কিছু ভ্রমন কাহিনী পেতে যাচ্ছি আমরা ইনশাআল্লাহ" - জ্বী, আমারও ইচ্ছে রয়েছে কয়েকটি পর্বে আমাদের এ সাদামাটা জীবনের কিছু ভ্রমণ কাহিনী লিখে যাবার। ব্যাক্তিগত আর্কাইভ বা ডায়েরি হিসেবে এ ধরণের ভ্রমণ কাহিনীর বর্তমানে নিজের কাছে মূল্য না থাকলেও ভবিষ্যতে নাতিপুতিদের কাছে এটার মূল্যায়ন হবার একটা সম্ভাবনা তো থেকেই যায়।
লেখার প্রশংসা, শুভকামনা এবং 'লাইক' এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার প্রোফাইল পিকচারের (বাচ্চার) ছবিটা কার?
১৪| ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
খুবই উৎকণ্ঠা নিয়ে আপনার লেখাটি পড়লাম। ক্যাথে প্যাসিফিক ভালো এয়ারলাইনার, কিন্তু হংকং এয়ারপোর্টে অতিরিক্ত নিরাপত্তা তল্লাসির কারণে আপনার দেরি হবার কথা। তাছাড়া বাংলাদেশ এয়ারপোর্টের সাথে যাদেরই ট্রান্জিট বা স্টপওভার থাকে, তারা বিলম্বের হয়রানিতে পড়বেই। কারণ হরেক রকমের কিন্তু পরিণতি একটাই, বিলম্ব। পরের পোস্টে সাসপেন্স আছে ধরে নিচ্ছি!
১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, হংকং এয়ারপোর্টে নিরাপত্তা তল্লাসির মাত্রাটা একটু অতিরিক্তই। তবে পেশাদারি দক্ষতা দিয়ে তারা পরিস্থি্তি সামলে নিয়েছে। নইলে তাদের এতগুলো আসন খালি যেত এবং পরবর্তীী ফ্লাইটে এতগুলো আসনের ব্যবস্থা করতে হতো, কারণ আমরা মূল স্টেশন থেকে তাদের ফ্লাইটেরই যাত্রী ছিলাম।
"তাছাড়া বাংলাদেশ এয়ারপোর্টের সাথে যাদেরই ট্রান্জিট বা স্টপওভার থাকে, তারা বিলম্বের হয়রানিতে পড়বেই" - একদম ঠিক কথা।
"পরের পোস্টে সাসপেন্স আছে ধরে নিচ্ছি" - জ্বী আছে। সাসপেন্সও আছে, নাটকীয়তাও আছে। একবার সময় করে পড়ে নেবেন।
১৫| ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: সাড়ে সাত ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হবে কিনা, আপনার মনের এই উৎকন্ঠা সব পাঠকের মনে ছড়িয়ে দিলেন... অপেক্ষায় রইলাম কী হয় দেখার জন্য।
একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলি, আমি যতবার বিমানের ফ্লাইটে গেছি, কোনদিন নির্দিষ্ট সময়ে প্লেন ছাড়ে নি এবং ছাড়ার পর বিমানের মানুষের আচরণ দেখে মনে হয়েছে তাঁরা আমাদের দয়া করে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে আমার পরিচিত একজন সানফ্রান্সিসকো গেছেন ক্যাথে প্যাসিফিক দিয়ে, তিনি বলেছেন তার অভিজ্ঞতা ভালো নয় বিশেষ করে খাবারের ব্যাপারে, আগে থেকে বলে রাখা সত্ত্বেও তিনি যা খাবার বলেছিলেন তা পাননি। তাই আপনার অভিজ্ঞতা শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
ছবিগুলো মনে হচ্ছে খুব তাড়াহুড়ো করে তোলা। চারটা আটত্রিশে দুটো ছবি!!
১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি ইতোমধ্যে আপনার অপেক্ষার অবসান হয়েছে। আপনি উত্তরটা জেনে গেছেন।
ফ্লাইট মিস করে সাড়ে সাত ঘণ্টার ট্রানজিট আমার জন্য কোন ভয়ের কারণ নয়। করোনাকালে ২০২০ এর মার্চে মেলবোর্ন থেকে ফেরার সময়ে চীনের গুয়াংজু বিমানবন্দরে দু'দিন আটকা পড়ে ছিলাম। সে সময়ে চলমান চীনা কর্তৃপক্ষের কঠোর স্বাস্থ্য পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতার কারণে এই অনভিপ্রেত বিপর্যয় ঘটেছিল। অবশ্য আমাদেরই মত আটকে পড়া অন্যান্য সহযাত্রীদের সাথে মিলে মিশে থেকে অনেক মজা করে সময় কাটানোর ফলে সে দীর্ঘ সময়টা নিমেষেই ফুরিয়ে গিয়েছিল। ফ্লাইটের সময়সূচী অনুযায়ী সাতজনের মধ্যে সবাই একে একে আমাদের আগেই বিদায় নিয়ে চলে যায়। আমরা বিমানবন্দর ছেড়েছিলাম সবার শেষে, সন্ধ্যার পর। খুব ভালো সময় কেটেছিল সে দুটো দিন। তাদের মধ্যে একজন এখনও মাঝে মধ্যে হাই হ্যালো বলে।
"আগে থেকে বলে রাখা সত্ত্বেও তিনি যা খাবার বলেছিলেন তা পাননি" - আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক এর উল্টোটি। আমিও টিকেট কাটার সময়েই পথে আমাদেরকে যেন হালাল খাবার (ওদের ভাষায় Moslem Food) দেয়, সে অনুরোধ রেখেছিলাম। ঢাকা-হংকং এবং হংকং-নিউ ইয়র্ক উভয় সেক্টরেই প্রথমেই বিমানবালা আমাদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করেন যে আমরা মিস্টার এ্যান্ড মিসেস আহসান কিনা। হ্যাঁ বলাতে সাথে সাথেই তিনি দুটো ফুড ট্রে আমাদেরকে দেন, যেটার উপর আমাদের নাম এবং Moslem Food কথাটা লেখা ছিল। এটাতে বোঝা যায়, ফুড ডিস্ট্রিবিউশনে ওনারা যাত্রীদের দেয়া চয়েসের ব্যাপারে যত্নবান ছিলেন।
১৬| ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৮
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ১ নং পর্বটাও পড়ে গেলাম!!
৩ ৪ ৫ ৬ সবগুলো পোস্ট ইনশা আল্লাহ পড়বো নিশ্চয়!
১৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।
১৭| ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমার প্রোফাইল পিকচারের ছবির বাচ্চাটা আমিই।
শুনেছি তখন আমার বয়স ৬/৭ মাস। বসতে পারিনা বিধায় এক পাশ থেকে ভাইয়া ধরে রেখেছে আরেক পাশ থেকে আব্বা। পুরো ছবিটা আপনার দেখার জন্যে দিলাম, আমার খুব পছন্দের ছবিটা।
আমার প্রোফাইল পিকচারের ছবির বাচ্চাটা আমিই।
শুনেছি তখন আমার বয়স ৬/৭ মাস। বসতে পারিনা বিধায় এক পাশ থেকে ভাইয়া ধরে রেখেছে আরেক পাশ থেকে আব্বা। পুরো ছবিটা আপনার দেখার জন্যে দিলাম, আমার খুব পছন্দের ছবিটা।
১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। ভাইবোনের ছবিটা সুন্দর! ভাই কতটা দায়িত্বের সাথে বোনের হাত ধরে আছে!
১৮| ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কবে নাগাদ নিউ ইয়র্কে ফেরত আসবেন? বাংলাদেশে আপনার অবস্থা্ন নিরাপদ এবং আনন্দময় হোক!
বাংলাদেশে কিছু সরকারি কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে, আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই ফিরতে পারবো। আপনার নিউ ইয়র্ক ভ্রমন সুন্দর হোক এটাই প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ।
১৭ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: নিরাপদে, সুস্থ দেহে ও সতেজ মনে আবার ফিরে এসে এখানকার দৈনন্দিন জীবন চক্রে প্রবেশ করুন, এই কামনা করি।
১৯| ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৪
অধীতি বলেছেন: আপনার ভ্রমন বৃত্তান্ত বেশ নান্দনিক লাগে। প্রবীণ বয়সে এসে পৃথীবির পথে পথে ঘোরার যে অভিজ্ঞতা বলে চলেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও পোস্ট পাঠ এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
২০| ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার ফ্লাইট বিলম্বের মত আমারো অনেক বিলম্ব হলো
আপনার পোষ্টের সাথে উড়াল দিতে ।
সিংগাপুর এয়ারলাইনের মাধ্যমেই অনেক সময় সাস্রয়ী
ভাড়ায় পশ্চিমের পথে ইউএসএ যাওয়া যায় । আমার
ট্রেভেল এজেন্ট বেশ কয়েকবার আমাকে এরকম
সুযোগ দিয়েছে ।
পিতৃহীন পিএইচডি ছাত্রীটির মাতাকে সহযোগীতার আশ্বাস
সেই মেয়েটির জন্য অবশ্যই অনেক উৎকন্ঠা নিবারনে
সহায়ক হয়েছিল ।
পরের পর্ব দেখতে চললাম ।
শুভেচ্ছা রইল
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এর আগের দু'বারে এমিরেটস এ গিয়েছিলাম। ওদের সার্ভিসও খুব ভালো ছিল। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়া গিয়েছিলাম। এমিরেটস এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বিশ্বের উন্নতমানের এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে অন্যতম।
"পিতৃহীন পিএইচডি ছাত্রীটির মাতাকে সহযোগীতার আশ্বাস সেই মেয়েটির জন্য অবশ্যই অনেক উৎকন্ঠা নিবারনে সহায়ক হয়েছিল" - আমিও আশাকরি তিনি আমার সাথে কথা বলে মোটামুটি আশ্বস্ত হতে পেরেছিলেন। জে এফ কে বিমানবন্দরের ব্যাগেজ কালেকশন পয়েন্টে তার মায়ের সাথে শেষ দেখা হয়েছিল। তিনি হাসিমুখে বিদায় নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। তার ছেলের তাকে নেয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসার কথা ছিল।
২১| ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল ভাবে গন্তব্য পৌছে গেছেন।
নতুন নতুন সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন সেই অপেক্ষাতেই থাকব।
ভ্রমন সময়টা আপনার অনেক ভাল কাটুক।অনেক শুভ কামনা রইল।
২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর রহমতে আমরা ভাল ভাবেই সেদিন গন্তব্য পৌছেছিলাম।
পোস্ট পাঠ, মন্তব্য, শুভকামনা এবং 'লাইক' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ। +
২২| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
জুন বলেছেন: ব্যাংকক হয়ে আমার ঢাকা ফেরার ইচ্ছে ছিল ক্যাথে প্যাসিফিকে। আপনার সুলিখিত বিবরণ শুনে শেষে মত পাল্টালাম। আবার সেই চির পুরাতন এমিরেটসে
আপনি যা সুন্দর করে ভ্রমণ কাহিনী বর্ননা করেন খায়রুল আহসান, আমি জানি না আমার কি দশা হবে লিখতে বসে। তবে আমার লেখাগুলো হবে মুলত আকর্ষণীয় বিষয় ভিত্তিক।
আপনি ও কাকু আর ব্যানানা গার্ডেনের সাথে দেখা হলে মজাই হতো। অবশ্য আমাদের আরও ব্লগাররা এদেশে আছে। তার মাঝে মেঘদূত এর সাথে দেখা হলে খুশি হোতাম। সে আমার প্রথম দিকের হাবিজাবি সব লেখার বিশেষ উতসাহদাতা ছিলেন।
যাইহোক আপনার সফর আনন্দময় হোক এই দোয়া রইলো। লিখতে থাকুন সাথে আছি।
+
২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এমিরেটস এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স দুটো উন্নত মানের এয়ারলাইন্স। ক্যাথে প্যাসিফিককেও আমার ভালো লেগেছে। ওরা নিরাপত্তার ব্যাপারগুলোতে একটু কঠোর, তবে দারুণ প্রফেশনাল বলে মনে হয়েছে। যার কারণে আমরা কানেক্টিং ফ্লাইটটা মিস করতে করতে বেঁচে গিয়েছি।
"তবে আমার লেখাগুলো হবে মুলত আকর্ষণীয় বিষয় ভিত্তিক" - জ্বী, একমত। আর এ ছাড়াও আপনার লেখাগুলোতে কিছুটা ইতিহাস-ভূগোলেরও ছোঁয়া থাকে, সেজন্য আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
"অবশ্য আমাদের আরও ব্লগাররা এদেশে আছে। তার মাঝে মেঘদূত এর সাথে দেখা হলে খুশি হোতাম" - মিশিগান থেকে একজন ব্লগার আমার সাথে যোগাযোগ করে আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন; ভালো লেগেছে।
মন্তব্য ও 'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।
২৩| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৩
জুন বলেছেন: আকর্ষণীয় বিষয় মানে আমার লেখা আকর্ষণীয় এটা নয় খায়রুল আহসান, আমি বুঝাতে চেয়েছি পর্যটক আকর্ষনীয় স্থান ভিত্তিক
২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি বুঝাতে চেয়েছি পর্যটক আকর্ষনীয় স্থান ভিত্তিক" - জ্বী জ্বী, আমি ঠিকই বুঝেছি। 'পর্যটক আকর্ষনীয় স্থান'গুলো সাধারণতঃ সেগুলোই হয়, যার পেছনে আকর্ষণীয় ইতিহাস রয়েছে।
২৪| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৯
সোহানী বলেছেন: আমিও একবার কানেকটিং ফ্লাইট নিয়ে মারাত্বক বিড়ম্বনার সাঝে পড়েছিলাম। শেষ যাত্রী হিসেবে দৈাড়ে ঢুঁকতে পেরেছিলাম। আপনার কাহিনী সেটা মনে করিয়ে দিলো।
০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কানেকটিং ফ্লাইট ধরার সময় সময়-স্বল্পতার জন্য একবার ফুকেট থেকে ব্যাংকক হয়ে চিয়াং মাই এ যাবার টিকেট অনেক মাশুল গুণে পরিবর্তন করতে হয়েছিল। ট্রাভেল এজেন্ট এর উপর অন্ধভাবে নির্ভর করার জন্য এ আক্কেল সেলামি দিতে হয়েছিল। আরেকবার আমেরিকায় আটলান্টা থেকে ফ্লোরিডা যাবার সময় আমরা একেবারে কাঁটায় কাঁটায় চেক-ইন কাউন্টারে উপস্থিত হয়েছিলাম। আমাদেরকে চেক-ইন করার সাথে সাথেই কাউন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যাত্রাপথের শিডিউল নিয়ে যতই নিখুঁত পরিকল্পনা করার চেষ্টা করি না কেন, মাঝে মাঝে এ ধরণের উটকো বিপত্তি এসেই পড়ে। আবার কেমন কেমন করে যেন সেগুলোকে সামলেও উঠতে পারি।
পোস্ট পাঠ, মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: ভ্রমন বিতান্ত নিয়মিত জানাবেন।আপনার ভ্রমন কাহিনী খুব সুন্দর হয়।