নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আড্ডাটা জমেছিল বেশ। ২৪ মে ২০২৪, ২২ঃ১০
(সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিঃ লেখাটা বেশ বড়। সময় স্বল্পতা থাকলে পাঠ পরিহার করুন!)
এ বছরের শুরুর দিকে ভাবছিলাম সস্ত্রীক কানাডা যাবো আমাদের বড় ছেলের কাছে। তবে তার আগে নিউ ইয়র্ক প্রবাসী আমার ছোটভাইয়ের আতিথ্যে নিউ ইয়র্কেও কিছুদিন থেকে যাবো। গত ফেব্রুয়ারীর শেষের দিকে আমেরিকা প্রবাসী এক্স-ক্যাডেট আবদুল্লাহ আল মঈন এক সংক্ষিপ্ত সফরে এসেছিল ঢাকায়। ব্যাচ হিসেবে সে আমার ২৩ বছরের জুনিয়র হলেও কিছু কমন সামাজিক প্ল্যাটফরমে জড়িত থাকায় আমরা একে অপরকে চিনি। ঢাকা থেকে চলে আসার আগে সে কয়েকজনকে একটি ডিনারে নেমন্তন্ন করেছিল। সেখানে আমিও অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। তার সাথে কথা প্রসঙ্গে আমার সম্ভাব্য নিউ ইয়র্ক সফরের প্রসঙ্গটি উঠেছিল। সে জানালো, মে মাসের ২৪-২৬ তারিখে নিউ ইয়র্কে মেকানা রিইউনিয়ন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে; আমি যেন অবশ্যই সেখানে যাই। সে যাবে কিনা তা জিজ্ঞেস করায় সে জানালো, ঠিক ঐ সময়টাতেই তার একটা গুরুত্বপূর্ণ এ্যাসাইনমেন্ট থাকবে বলে খুব সম্ভবতঃ সে যেতে পারবে না। আমি যাবো কি যাবো না তা নিয়ে একটু দোলাচলে থাকলেও, টিকেট কাটার সময় আমি ঐ তারিখগুলো মনের পেছনে রেখেই ট্রাভেল আইটেনেরারি ঠিক করেছিলাম।
আমি নিউ ইয়র্কে পৌঁছানোর ঠিক দুই সপ্তাহ পরে রিইউনিয়ন শুরু হবার কথা। প্রথমে কয়েকদিন চুপচাপ ছিলাম, বন্ধুদেরকেও আমার নিউ ইয়র্কে আসার কথা জানাইনি। তবে প্লেনে বসে এবারের সফর নিয়ে একটা ট্রাভেলগ লেখা শুরু করেছিলাম। ভাইয়ের বাসায় পৌঁছে সেটা সম্পাদনা করে আমাদের ব্যাচের হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেছিলাম। সেটা দেখে প্রথমে হেলাল (আমিনুল হক হেলাল, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক এর ছোট ভাই) ফোন করে কুশল বিনিময় করলো এবং রিইউনিয়নে যোগদানের অনুরোধ জানালো। ঢাকায় থাকতেই ওহায়ো স্টেট ইউনিভারসিটির প্রফেসর সালেহ তানভীর (Former Nelder visiting Fellow at Imperial College London) মেসেঞ্জারে জানতে চেয়েছিল রিইউনিয়নে যাবো কিনা। তার যোগদানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও, আমরা গেলে সেও ভাবীকে নিয়ে আসতে পারে বলে জানালো। ইশতিয়াক (ভিন্সি) ফোন করে জানতে চাইলো রিইউনিয়নে যাবো কিনা। আমার কিছুটা নিমরাজি ভাব আঁচ করতে পেরে সে আমাকে আর কিছু না বলে রিইউনিয়ন সমন্বয়ক কাজীকে বলে দিল আমার যোগদানের কথা। কাজী আমাকে মেইল করে রেজিস্ট্রেশন লিঙ্কসহ যাবতীয় লিঙ্ক পাঠালো। টেনিসির পালমোনোলজিস্ট, ঘুম বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্ট লেখক ডাঃ হুমায়ুন কবিরও জানালো সে সস্ত্রীক আসছে। রিইউনিয়ন ছাড়াও নিউ ইয়র্কে একই সময়ে অনুষ্ঠিতব্য ‘বইমেলা’ অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে সে সম্পৃক্ত বিধায় তাকে দুটো অনুষ্ঠানের মাঝে সময় ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আমি আর কালবিলম্ব না করে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম এবং তারপর কাজীকে মেইল করে তা জানালাম।
২৪ মে অপরাহ্নে আমরা যখন অনুষ্ঠানস্থল লাগার্ডিয়া ম্যারিওটে গাড়ি থেকে নামছিলাম, তখন সামনে দেখতে পেলাম মেকানা প্রেসিডেন্ট মীর মিজানকে; সেও তার পরিবার নিয়ে হোটেলের প্রবেশপথের দিকে এগোচ্ছিল। তার সাথে আগে কখনও দেখা না হলেও আমি তাকে ফেসবুকের এবং গ্রুপ মেইলের কল্যাণে চিনি। সে আমাকে নামে চিনলেও কোনদিন না দেখার কারণে চেহারায় চিনতো না। তবে সে বুঝতে পেরেছিল, আমরা রিউনিয়ন উপলক্ষে সেখানে আগত। হাসিমুখে সে হাত বাড়িয়ে দেয়াতে আমি আমার পরিচয় দিলাম। দেখলাম, সে আমাকে চাক্ষুষ না চিনলেও আমার কিছু লেখালেখির কারণে আমাকে নামে চেনে। সে তার মেয়েদেরকে কাছে ডেকে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল, একইভাবে উপস্থিত কয়েকজন এক্স-ক্যাডেটকে ডেকেও পরিচয় করিয়ে দিল। আমরা তার আন্তরিক, উষ্ণ অভ্যর্ধনায় মুগ্ধ হ’লাম। একইভাবে চেনা অচেনা অন্যান্য কয়েকজন এক্স-ক্যাডেটদের সাথে মিলিত/পরিচিত হয়েও আনন্দিত বোধ করলাম।
আমরা যখন রেজিস্ট্রেশন বুথের দিকে এগোচ্ছিলাম, তখন দেখি ডাঃ হুমায়ুন কবির বইমেলা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য সস্ত্রীক বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে এগিয়ে দেয়ার জন্য ইশতিয়াকও তাদের সাথে ছিল। হেলাল এবং লুসি ভাবির সাথেও দেখা হলো। রেজিস্ট্রেশন আইডি গলায় ঝুলিয়ে আমরা অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে আসন গ্রহণ করলাম। প্রথম দিনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় রাহাত জামান ছিল। কিছু স্মৃতিচারণ হলো, গানবাজনাও হলো; লুসি ভাবি একজন এক্স-ক্যাডেট এর সাথে জীবনের পথ চলার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি চমৎকার বক্তব্য রাখলেন। এক সময় মীর মিজান এসে উপস্থাপক রাহাতের কানে কানে কিছু বলে গেল। তার পরেই শুনলাম রাহাত আমাকে আহবান জানালো মঞ্চে উঠে আমার স্বরচিত কবিতা পাঠ করতে। সেলফোন থেকে বের করে আমি আমার লেখা একটা বাংলা ও একটা ইংরেজী কবিতা পাঠ করে নেমে আসলাম। ইউসুফ ভাই তার আসন ছেড়ে উঠে এসে আমাকে অভিনন্দন জানালেন। সন্ধ্যা থেকেই নানারকমের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিল। শেষ হলো ভাবিদের রান্না করা সুস্বাদু কাচ্চি বিরিয়ানি এবং তৈরি করা মিষ্টান্ন দিয়ে।
দ্বিতীয় দিনে পঞ্চম ব্যাচের আমরা পাঁচজন ব্যাচমেট মিলে আলাদা করে একটি স্থানীয় রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হলাম। সেজন্য রিইউনিয়ন কর্মসূচীর দুটো সেমিনারে যোগ দিতে পারিনি। তানভীর সেদিন মলি ভাবিকে নিয়ে প্রায় নয় ঘণ্টা ড্রাইভ করে নিউ ইয়র্কে উপস্থিত হয়েছিল রিইউনিয়নে যোগ দেয়ার জন্য। তার পরেরদিন সকালেই তারা আবার একই পথে ফিরে যায়, কারণ মাত্র একদিন সময় হাতে রেখে তাদের শিকাগো হয়ে লন্ডন যাবার কথা। এত ব্যস্ততার মাঝেও তারা শুধু ‘ক্যাচ আপ’ করার জন্য এত কষ্ট করে এতদূর থেকে এসেছিল। তাদের এই অসাধারণ রিইউনিয়ন স্পিরিটকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। সেদিন রাতের জমকালো অনুষ্ঠানটাই ছিল রিইউনিয়নের মূল অনুষ্ঠান। খাওয়া দাওয়াও যেমন ভালো ছিল, এক্স ক্যাডেটদের পরিবেশনায় সঙ্গীতানুষ্ঠানগুলোও তেমনই ভালো ছিল। ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের একজন এক্স-ক্যাডেট অতিথি শিল্পী হিসেবে নৃত্য পরিবেশন করেন। এরই মাঝে চলছিল ব্যাচে ব্যাচে মিলনমেলা, অগ্রজ, অনুজ, বন্ধু সতীর্থরা যেমন উচ্ছ্বসিত, তাদের জীবন সঙ্গীণিরাও তেমনি। আর তাদের সমবয়সী সন্তানেরাও অনুষ্ঠানগুলো নিবিড়ভাবে উপভোগ করছিল।
তৃতীয় দিনে আমরা গিয়েছিলাম মেকানা পিকনিক অনুষ্ঠানে, যেটা এক্সক্যাডেট এহসান নূর এর সৌজন্যে ও অর্থায়নে আয়োজিত হয়েছিল। চমৎকার একটি পরিবার নূর পরিবার। পরিবারের সকলে মিলে আমাদের যেন একটুও অসুবিধা না হয়, সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছিল। অবাক হয়েছিলাম, কতটা যত্ন করে ওরা আমাদের জন্য উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে কাটা গাছের গুঁড়িতে বসে ওযু করার ব্যবস্থা করেছিল, তা দেখে। অনেক ছোটখাট প্রয়োজনীতাও তাদের নজর এড়ায়নি। একটুও অসুবিধা হয় নাই ওযু করতে ও নামায পড়তে। খাওয়া দাওয়া পরিবেশনার সর্বস্তরে যত্নের ছাপ ছিল। বিরাট এলাকা জুড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে নির্মিত তাদের বাড়িটির নাম রেখেছে “আনন্দধারা”। শুধুমাত্র নির্জন, নির্মল, শান্ত প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণেই নামটি আমার কাছে যথার্থ মনে হয়েছে। এক ফাঁকে এহসান নূরকে কাছে ডেকে কিছুটা আলাপচারিতা সারলাম। তার বাবার পরিচয় জেনে আশ্বস্ত হলাম যে সে একজন যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান। তার বাবাও একজন মিশুক এবং সামাজিক ব্যক্তি ছিলেন। আমরা ১৯৮৫-৮৭ সালে একই দপ্তরের একই শাখায় কর্মরত ছিলাম। তিনি আমার চেয়ে প্রায় দশ বছরের মত সিনিয়র ছিলেন।
পিকনিকে যাবার সময় আমরা লাগার্ডিয়া ম্যারিয়ট থেকে অন্যান্যদের সাথে বাসে করে গিয়েছিলাম। বাসের সম্মুখ আসনের একদিকে আমি ও আমার স্ত্রী বসেছিলাম, অপরদিকে বসেছিলেন আমাদের সময়ের কলেজ ক্যাপ্টেন শফিক চৌধুরি ভাই। আমাদের ঠিক পেছনের আসনে বসেছিলেন প্রথম ব্যাচের মাহবুব হাসান ভাই ও ভাবি। এখানে ওনারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে স্বনামধন্য। যাত্রার শুরু থেকে সারাটা পথ শফিক চৌধুরি ভাই একটানা গল্প বলে যাচ্ছিলেন, নানা রকমের। তার গল্প শুনে আমার স্ত্রী তো অবাক! সে আমাকে চুপিচুপি বললো, ‘ভাই এত সুন্দর করে গল্প করতে জানে’! তার গল্প শুনতে শুনতে এক সময় আমি তন্দ্রা গিয়েছিলাম, হয়তো একটু নাক ডাকাও শুরু হয়েছিল। উনি সেটা খেয়াল করেছিলেন বলে আমার স্ত্রী আমাকে পরে জানিয়েছিল। তারও পরে বুঝলাম, হাসান ভাইও আমার নাসিকাধ্বনির সূরমূর্ছনা শুনতে পেয়েছিলেন। এই পোস্টের সুযোগে আমি উভয় বড়ভাই এর কাছে আমার আন্তরিক এ্যাপোলজি নিবেদন করছি। পেছনের আসনে বসা আর অন্য কেউও যদি সে মূর্ছনা শুনে থাকেন, তাদের কাছেও।
যাত্রা শুরুতে কিছুটা বিলম্ব ঘটায় বাসচালক থেকে থেকে বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন নানা অযুহাতে। শফিক ভাই তাকে গুড হিউমারে রেখে সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু তার শিষ্টাচার অগ্রাহ্য করে এক পর্যায়ে বাসচালক একটু সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল বলে শফিক ভাই যে ভাষায় কথা বললে সে সোজা হবে, সে ভাষায় কথা বললেন। তারপর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত সেই বাসচালক একদম সোজা ছিল। বাস থেকে নামার সময় অবশ্য শফিক ভাই তাকে কিছু বখশিস দেয়াতে দেখলাম সে খুশিমনে তা গ্রহণ করলো। এই তিনদিনের মধ্যে একমাত্র পিকনিকেই ঘুরে ঘুরে সবার সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল, কারণ সেখানে কোন গান বাজনার বা বাদ্যযন্ত্রের আয়োজন ছিল না। আমার জ্যেষ্ঠদের মধ্যে হাসান ভাই, ইউসুফ ভাই, শফিক ভাইরা কলেজে আমার জন্য রোল মডেল ছিলেন। কলেজে থাকতে কোনদিন প্রখর মেধাবী ও নেতৃত্ব গুণাবলীর অধিকারী এই বড় ভাইদের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারিনি। কিন্তু এ কয়দিনে তাদের সাথে আন্তরিকভাবে মিশে বুঝতে পারলাম তারা কতটা বড় হৃদয়ের মানুষ। স্রেফ তাদের পাশে বসে তাদের কথা শুনলেই মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়। শফিক ভাই এবং ইউসুফ ভাই এর সাথে এর আগে তবুও কিছুটা আলাপ সালাপ হয়েছিল, কিন্তু হাসান ভাইকে ৫৪ বছর পর এই প্রথম দেখলাম। তিনি এবং ভাবি উভয়ে আমার ও আমার স্ত্রীর হৃদয় স্পর্শ করেছেন তাদের প্রজ্ঞা, ঔদার্য ও সৌজন্যবোধের কারণে।
রিইউনিয়ন সমাপ্তির তিন দিন পর আমরা কানাডা চলে আসি, সাথে নিয়ে আসি মেকানা রিইউনিয়ন ২০২৪ এর অমূল্য স্মৃতি, যা কোনদিন ভোলার নয়। আমি ও আমার স্ত্রী আমার ব্যাচমেট ইশতিয়াক, তানভীর, হেলাল ও হুমায়ুন (ক্যাডেট নং অনুযায়ী, অভ্যাসগতভাবে) এবং তাদের স্ত্রীদের নিকট কৃতজ্ঞ, এমন একটি মনভোলানো অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। মীর মিজান, সাদাত এবং তাদের টীমকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য। যেসব ভাবিরা এই অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পর্দার অন্তরালে থেকে তাদের সময় ও শ্রম ব্যয় করেছেন, তাদেরকেও জানাই বিশেষ কৃতজ্ঞতা। সকলের জন্য দোয়া রইলো, সবাই সুস্থ থাকুন সপরিবারে। আমাদেরকেও সবাই দোয়ায় রাখবেন, এই কামনা করি। আল্লাহ হাফিজ।
রিজাইনা, সাচকাচুয়ান,
কানাডা
০৪ জুন ২০২৪
শব্দ সংখ্যাঃ ১৩৬৯
পাদটীকাঃ MECANA = Mirzapur Ex-Cadets’ Association in North America
বন্ধুর সাথে, @লা গার্ডিয়া ম্যারিয়ট, ২৪ মে ২০২৪ সন্ধ্যা ২১ঃ০৩
আনন্দধারা, @ নিউ সিটি পিকনিক স্পট, নিউ ইয়র্ক। ২৬ মে ২০২৪, ১৪ঃ৫৬
২৬ মে ২০২৪, ১৪ঃ৩৭
With the host of MECANA Picnic 2024 @New City, New York, 26 May 2024, 13:53
০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা দেখি, পরে কয়েকটা ছবি সংযোজন করে দিতে পারি কিনা।
"আমি ভীষণ ঘরকুনো হবার কারণে তেমন কোনো প্রোগ্রামে যাওয়া হয় না। তারপরও এসব প্রোগ্রাম দেখতে বা লেখা পড়তে ভালো লাগে" - বন্ধুদের সাথে 'কানেক্টেড থাকুন'; এতে কিছুটা ঝামেলা সামলাতে হলেও, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটা জরুরি।
আমরা যখন কলেজে ছিলাম, লেখক শাহাদুজ্জামান তখন ছিলনা। সে বোধকরি আমরা চলে আসার দুই এক বছর পরে গিয়েছিল।
প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম 'লাইক' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সাজেশন অনুযায়ী আজ কয়েকটা ছবি যোগ করে দিলাম।
২| ০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:২৫
ঢাকার লোক বলেছেন: যদিও উল্লেখিত কারো সাথেই আমার কোনই সম্পৃক্ততা নেই তবু ভালো লাগলো পড়তে প্রবাসে আপনাদের পুরোনো বন্ধুদের আন্তরিকতা ও আতিথেয়তায় সফল এক মিলনমেলার সুন্দর বিবরণ ! যে যেখানেই থাকুন সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন , কানেক্টেড থাকুন !
০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার, প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। এ পোস্ট অনেকটা ব্যক্তিগত দিনলিপির মত। পাঠকদের কেমন লাগতে পারে সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল। আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগল।
আপনার মন্তব্যের শেষ দুটো শব্দ আমার উপরের প্রতিমন্তব্যটিতে উদ্ধৃত করেছি, কারণ শব্দ দুটো আমার ভালো লেগেছে।
ভালো থাকুন সপরিবারে, সুস্বাস্থ্যে।
৩| ০৬ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: একটু ছেড়ে ছেড়ে পড়লাম। শফিক ভাই এর স্পিরিট ভাল লাগল।
আনন্দধারায় আপনাদের সবার মিলন মেলা ও প্রশান্তি যেন সপ্নের মত মনে হয়।
০৬ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পৃথিবীর অন্য এক প্রান্তে এ যেন এক টুকরো আনন্দ হৃদ্যতার মিশেল।
অনেক অনেক ভালোলাগা।
০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এমন চমৎকার মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য ।
৫| ০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৩০
প্রামানিক বলেছেন: পুরো কাহিনীটাই পড়লাম। পৃথিবীর অন্য প্রান্তে গিয়েও চেনা অচেনা লোকদের সাথে মিলেমিশে অনুষ্ঠান করার কাহিনী খুবই ভালো লাগল। আশা করি সামনে এরকম আরো ভ্রমণ বর্ননা আপনার কাছ থেকে শুনতে পাবো।
০৭ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, 'পুরো কাহিনীটাই' পড়ার জন্য। আশাকরি আপনি কুশলে আছেন এবং নিয়মিত পোস্ট লিখে ব্লগকে সমৃদ্ধ করে যাবেন।
মন্তব্যে প্রীত ও প্রাণিত। +
৬| ০৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই ধরনের রিইউনিয়নে অংশগ্রহন করা সব সময়েই আনন্দের। আমার এমন সুযোগ কদাচিৎ আসে, তবে আসলে আমি কোন সময়েই এমন সুযোগ হাতাছাড়া করি না। সুপাঠ্য লেখাটা একটানেই পড়ে ফেললাম। কখনওই খুব বড় বা বাহুল্য মনে হয় নাই।
যাত্রা শুরুতে কিছুটা বিলম্ব ঘটায় বাসচালক থেকে থেকে বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন নানা অযুহাতে। শফিক ভাই তাকে গুড হিউমারে রেখে সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু তার শিষ্টাচার অগ্রাহ্য করে এক পর্যায়ে বাসচালক একটু সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল বলে শফিক ভাই যে ভাষায় কথা বললে সে সোজা হবে, সে ভাষায় কথা বললেন। তারপর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত সেই বাসচালক একদম সোজা ছিল। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাক্য। আসলে আমাদের আশেপাশে এমন মানুষ বহু আছে, যারা ''শক্তের ভক্ত, নরমের যম''। আমাদের ব্লগটাও এর বাইরে না!!!
০৭ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা একটানেই পড়ে ফেলেছেন জেনে খুশি হ'লাম এবং পাঠকালে তা কখনোই খুব বড় বা বাহুল্য মনে হয় নাই জানতে পেরে অনেক প্রাণিত হ'লাম।
লেখা থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ। সেই বাসচালক ছিল একজন কৃষ্ণাঙ্গ। তার আচরণ দেখে আমার মনে হয়েছিল, উচ্চঃস্বরে কথা বলা তার স্বভাবজাত অভ্যেস ছিল। কিন্তু একসময় তার কথাবার্তা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সে সময় আদারওয়াইজ পোলাইট শফিক ভাই খাঁটি আমেরিকান এ্যাক্সেন্টে তাকে সাইজ করে দেন।
৭| ০৭ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:০২
শ্রাবণধারা বলেছেন: মেকানা রিইউনিয়ের ঘটনাবলী খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।
আমি এ ধরনের একটি মিলনমেলায় অংশ নিয়েছিলাম। খুবই অবাক হয়েছি এটা জেনে যে আপনাদের প্রোগ্রামগুলো যেভাবে হয়েছে তার প্রায় একইধরনের পুনরাবৃত্তি আমাদের এখানেও হয়েছিলো।
কৈশোরের সুহৃদ ও বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়ার এই স্মৃতি সত্যি অমূল্য, যা আপনার লেখায় সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
০৮ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: মেকানা রিইউনিয়ন এর ঘটনাবলী খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রবাসে প্রত্যেকেই অত্যন্ত ব্যস্ত থাকেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও এত বড় মাপের একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করা চাট্টিখানি কথা নয়। কিছু তরুণ তুর্কিরা না থাকলে আমাদের বয়সীদের দ্বারা এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হতো না। কলেজে ওরা যেভাবে বড়ভাইদের মান্য করতো, এখনো সেভাবেই করে, অনেক সময় স্বয়ং নিজেদের উচ্চ অবস্থান ও মর্যাদা অগ্রাহ্য করে। ৭৭জন এক্স-ক্যাডেট রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন, পরিবারের সদস্যসহ মোট ১৭৮ জন উপস্থিত হয়েছিলেন। মানুষ স্বভাবগতভাবে স্মৃতিকাতর। দূর দূরান্ত থেকে অতিথিরা আসেন অনেক সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে, শুধুমাত্র কৈশোরের সুহৃদ ও বন্ধুদের একটুখানি সান্নিধ্য লাভের জন্য, কিছুটা সময় নস্টালজিয়ায় ডুবে থাকার আশায়। তার পর আবার যে যার মত আপন ডেরায় ফিরে যায়। এসব সময় ও স্মৃতি সত্যিই অমূল্য। আমি দেখে আনন্দিত হয়েছি যে আমাদের অর্ধাঙ্গিণী ও সন্তানেরাও আমাদের এ আবেগ, অনুভব ও স্মৃতিকাতরতাকে কতটা হৃদয় দিয়ে অনুভব করে এবং সেটা নিয়ে তারাও কতটা গর্ব বোধ করে। এ নিয়ে তাদের কয়েকজনের ভাষণ ও কথোপকথন আমাকে মুগ্ধ করেছে।
৮| ০৭ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কমন সামাজিক প্ল্যাটফরমে জড়িত থাকার একটি সুন্দর সুফলের বিবরণ জানতে পারলাম মে মাসের ২৪-২৬
তারিখে অনুষ্ঠিত নিউ ইয়র্কে মেকানা Mirzapur Ex-Cadets’ Association in North America
রিইউনিয়ন ২০২৪ এ আপনার যোগদানের বিবরণী থেকে ।
মেকানা প্রেসিডেন্ট মীর মিজান আপনাকে চাক্ষুষ না চিনলেও লেখালেখির কারণে নামে চেনে।একজন লেখকের
জন্য এর থেকে বেশী চাওয়ার আর কি থাকতে পারে ।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ, গানবাজনা সাথে আপনার স্বরচিত বাংলা ও ইংরেজী কবিতা পাঠ নানারকমের
খাওয়া দাওয়া বিশেষ করে আপনাদের ভাবিদের রান্না করা সুস্বাদু কাচ্চি বিরিয়ানি এবং তৈরি করা মিষ্টান্ন,সবকিছু
মিলিয়ে দারুন ভাবে উপভোগ্য রিইউনিয়নের প্রথম দিবসটি বেশ মনোজ্ঞ হয়েছে বলেই মনে হল ।
দ্বিতীয় দিনে আপনাদের পঞ্চম ব্যাচের পাঁচজন ব্যাচমেট মিলে আলাদাভাবে স্থানীয় রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজের
মিলন সভার কারণে রিইউনিয়ন কর্মসূচীর দুটো সেমিনারে যোগ দেয়াটা অসম্ভব না হলে সেমিনারে আলোচিত
গুরুত্বপুর্ণ কথা শুনা যেতো । জানা যেতো এতসব মহতিজনের সমাবেশে সমসাময়িক দেশী বিদেশী সামাজিক ,
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে কেমন আলোচনা হয় আর সে সব আলোচনার সম্ভাব্য
প্রভাবই বা আমাদের সকলের জন্য কেমন তাও হয়ত জানা যেতো ,মনে হয় একটি দু্র্লভ সুযোগ হতে আমরা
বঞ্চিতই হলাম ।
আপনাদের বন্ধুবর তানভীরের সস্ত্রীক নয় ঘণ্টা ড্রাইভ করে শুধু ক্যাচ আপের জন্য রিইউনিয়নে যোগ দেয়ার
বিষয়টি বেশ অনুকরনীয় । সেদিন রাতের জমকালো অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের একজন
এক্স-ক্যাডেট অতিথি শিল্পীর নৃত্য পরিবেশন, মাঝে মাঝে ব্যাচে ব্যাচে মিলনমেলা, অগ্রজ, অনুজ, বন্ধু সতীর্থ
সাথে তাঁদের উচ্ছ্বসিত জীবন সঙ্গীণিগন এবং এর সাথে তাদের সমবয়সী সন্তানেরাও অনুষ্ঠানগুলো নিবিড়ভাবে
উপভোগ করছিল শুনে বুঝা গেল এটা বেশ বড় মাপের একটি রিইউনিয়ন ছিল, তাতে কোন সন্দেহ নেই ।
তৃতীয় দিনের বিবরণ থেকে দেখা যায় একজন এক্স ক্যাডেট এর সৌজন্যে ও আর্থায়নে আয়োজিত মেকানা
পিকনিক এ গিয়েছিলেন । বিরাট এলাকা জুড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে নির্মিত তাদের “আনন্দধারা” নামের
বাড়িটি সত্যিই আনন্দধারার উৎস ।পিকনিকে যাবার সময় বাস যাত্রার বিবরণ ও কথোপকথন থেকে জানা
গেল সেখানে অনেক এক্স ক্যডেটই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে স্বনামধন্য।
এটাও জানা গেল রি ইউনিয়নের তিনদিনের মধ্যে একমাত্র পিকনিকেই ঘুরে ঘুরে সবার সাথে কথা বলার সুযোগ
হয়েছিল, কারণ সেখানে কোন গান বাজনার বা বাদ্যযন্ত্রের আয়োজন ছিল না। আমার কাছে তো মনে হল বাকি
দু দিন ধরে রিইউনিয়নের পোগ্রাম না করে একদিন আরো লম্বা সময় ধরে পিকনিকে গেলে রিই্উনিয়ন আরো
অনেক বেশী ফলপ্রসু হতো । যাহোক, তাই কি হয়, এটা আমার একটা কথার কথা মাত্র ।
এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সময়ের কলেজ ক্যাপ্টেন শফিক চৌধুরি আর বাস সহযাত্রী মি.হাসান দম্পতিকে
আপনার নাসিকাধ্বনির সূরমূর্ছনা শুনানোর জন্য আন্তরিক এ্যাপোলজি নিবেদন করা থেকে ধরে নিতেই পারি
আপনার মত আরো অনেক মির্জাপুর এক্স ক্যডেটই হয়ত সামুতে লেখালেখি করেন কিংবা শুধু পাঠক হিসাবে
নিয়মিত সামুতে বিচরণ করেন । এত এত স্বনামধন্য মানুষের সামুতে বিচরণকারি হিসাবে বিরাজমান থাকায়
আমরা সামুর ব্লগারগন প্রিয় সামুকে নিয়ে গর্ব অনুভব করতেই পারি ।
আমিরিকা হতে সহি সালামতে কানাডায় প্রিয়জনরদের কাছে গিয়েছেন শুনে খুশি হলাম।
সেখানকার ভ্রমন বিবরণ শুনার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ।
নিরন্তর ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
০৮ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের প্রতিটি প্রসঙ্গে আলাদা আলাদা করে গোছানো মন্তব্য রেখে যাবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঐ সেমিনার দুটো আসলে ছিল তরুণ প্রজন্মের জন্য, যারা সেখানে চাকুরির সন্ধান করছে কিংবা এক চাকুরি থেকে অন্য চাকুরিতে যাবার চেষ্টা করছে। ওগুলোকে অবশ্য সেমিনার না বলে আলোচনা সভা বা মত বিনিময় সভা বলাই সমীচীন ছিল।
৯| ০৭ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: এমন মিলনমেলা সত্যিই খুব আনন্দদায়ক। ভালো লাগলো আট হাজার মাইল দূরের মিলনমেলার কাহিনী। এ বছরের শুরুতে আপনার ক্যাডেট কলেজেও বোধহয় এমন আনন্দদায়ক মিলনমেলা হয়েছিল।
১১ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এ বছরের শুরুতে আপনার ক্যাডেট কলেজেও বোধহয় এমন আনন্দদায়ক মিলনমেলা হয়েছিল" - জ্বী, আপনার প্রখর স্মরণশক্তির আমি বরাবরই তারিফ করি। আল্লাহতা'লা আপনাকে একটি অসাধারণ গুণে গুণান্বিত করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
সেটা ছিল 'মেকা (MECA) পিকনিক-২০২৪', অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ বছরের ০২ ফেব্রুয়ারি তারিখে। আর এবারের এটা ছিল 'মেকানা রিইউনিয়ন ২০২৪', অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৪-২৬ মে ২০২৪ তারিখে। MECA এবং MECANA এর মধ্যে পার্থক্য শুধু নামের শেষে 'ইন নর্থ আমেরিকা' যোগ হওয়া।
১০| ১৭ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৮
শোভন শামস বলেছেন: আনন্দময় সময় উপভোগ করুন। দূর প্রবাসে পুরনো সতীর্থদের সাথে আড্ডা আনন্দের। সেই ছোট বেলার দিনগুলোতে ফিরে যাওয়া। ভাল থাকবেন।
১৮ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য এখানে রাখার জন্য।
১১| ১৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
এই পড়ন্ত কালেও এক সময়ের কলেজ জীবনের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আনন্দের শিহরণ জাগানো একটি সমাবেশের কথন অতি নিপুন ভাবে তুলে ধরেছেন।
একটি প্রতিমন্তব্যে এই যে বললেন - "মানুষ স্বভাবগতভাবে স্মৃতিকাতর। দূর দূরান্ত থেকে অতিথিরা আসেন অনেক সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে, শুধুমাত্র কৈশোরের সুহৃদ ও বন্ধুদের একটুখানি সান্নিধ্য লাভের জন্য, কিছুটা সময় নস্টালজিয়ায় ডুবে থাকার আশায়। তার পর আবার যে যার মত আপন ডেরায় ফিরে যায়। এসব সময় ও স্মৃতি সত্যিই অমূল্য।" আমিও আমার এই মন্তব্যের প্রথম লাইনে এই সত্যটাই বুঝিয়েছি।
একটি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান নস্টালজিয়ায় ডুবে থাকার আশাতেই মনে হয় করা হয়!
ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা জানবেন..............
১৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা আগ্রহ সহকারে পাঠ করার জন্য এবং ৭ নং প্রতিমন্তব্য থেকে আমার কিছু কথা উদ্ধৃত করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
চমৎকার মন্তব্যে প্রীত ও প্রাণিত হয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:২০
দীপ্ত একাত্তর বলেছেন: ভালো লাগলো। পিকচার থাকলে আরও ভালো লাগতো। আমি ভীষণ ঘরকুনো হবার কারণে তেমন কোনো প্রোগ্রামে যাওয়া হয় না। তারপরও এসব প্রোগ্রাম দেখতে বা লেখা পড়তে ভালো লাগে।
লেখক শাহাদুজ্জামান ভাই কি সেখানে ছিলেন। তিনিও মির্জাপুর ক্যাডেট এর স্টুডেন্ট ছিলেন।