নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিজাইনার চিঠি

১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


বিষণ্ণ বিদায়!
২৮ জুন ২০২৪, ২১ঃ৩৩

সাস্কাচুয়ানের গরম

আমি এখন আছি কানাডার সাচকাচুয়ান প্রভিন্সের প্রাদেশিক রাজধানী রিজাইনা শহরে। সাস্কাচুয়ানের নাম শুনলেই সবার মুখে এক কথাঃ উহ, কি ঠাণ্ডারে বাবা! সবার খালি মেঘে ঢাকা ধূসর আকাশ থেকে টিপটিপ ঝরে পড়া শ্বেতশুভ্র তুষারপাতের কথাই মনে হয়। এখানে আসার আগে আমি যখন ঢাকায় একটা সেমিনারে যোগ দিতে আসা এক কানাডিয়ান যুবকের সাথে পরিচিত হয়ে তাকে বলেছিলাম, ‘আমি তোমাদের দেশে বেড়াতে যাচ্ছি’, তখন সে সাস্কাচুয়ানের নাম শুনে বলে উঠেছিল, ‘ও, দ্যাটস আ ভেরী কোল্ড প্লেস’! তাই শুধু প্রবাসী বাঙালীরাই নয়, খোদ কানাডিয়ানরাও সাস্কাচুয়ানের শীতকে ভয় পায়।

সাস্কাচুয়ানের নাম শুনলেই সবাই শীতের কথা বললেও, আমি আজ বলছি সাস্কাচুয়ানের গরম নিয়ে কিছু কথা। গত বছরেও আমি বছরের এ সময়টাতে রিজাইনাতে ছিলাম। সেবারে মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই মোটামুটি শীত সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছিল। অর্থাৎ, কোন গরম পোষাক ছাড়াই অন্ততঃ দিনের বেলায় শুধু শার্ট প্যান্ট পড়ে ঘরের বাইরে যাওয়া যেত। এবারে একই ধরনের আবহাওয়া পেতে জুন মাসের শেষার্ধ অবধি অপেক্ষা করতে হলো।জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহটাতে এখানকার আবহাওয়া চমৎকার ছিল। দৈনিক তাপমাত্রা মোটামুটি ২৪-১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত থাকতো। ০৮-০৯ তারিখে সেটা বেড়ে ২৮-২১ এর মধ্যে থাকে, যা মোটামুটি সহনীয় (আমার কাছে আরামদায়ক) পর্যায়ে ছিল। কিন্তু গত দু’দিনে সেটা দিনের বেলায় ৩৪ পর্যন্ত ওঠায় দেখি এখানকার লোকজনের হাঁসফাস উঠে গেছে। ঢাকার মত এখানে হিউমিডিটি’র সমস্যা প্রকট নয় (এখন অবশ্য একটু বেশিই চলছে, ৬৯%), তাই শরীর থেকে তেমন ঘাম ঝরে না। তবুও মানুষ গরম গরম করছে। আমরা ঢাকার মানুষেরা তো এইটুকু গরমে এতটা অস্থির হই না। তবে এ সপ্তাহ থেকে আমরাও এখানে দিনের বেলায় এসি ব্যবহার শুরু করেছি। যেসব বাঙালী পরিবার এ সময়টাতে অনেক কষ্ট ও যত্ন করে নিজস্ব এলাকায় শাক-সব্জীর বাগান (কিচেন গার্ডেন) করেছেন, তারা অবশ্য গরমে বেশ উৎফুল্লই আছেন। কেননা এরকম গরম পেলে শাক-সব্জীর গাছপালা লতা-পাতা লকলক করে বেড়ে ওঠে। অবশ্য তার চেয়েও দ্রুত বেড়ে ওঠে আগাছার জঞ্জাল।

১৯৯২ থেকে ২০২১, এই ত্রিশ বছরের গড় আবহাওয়ার ভিত্তিতে রিজাইনার আবহাওয়ার কিছু পরিসংখ্যান এবং পাশাপাশি বাংলাদেশেরও কিছু তথ্য নিম্নে তুলে ধরলামঃ
* উষ্ণতম মাসঃ জুলাই। তাপমাত্রা- ২৬/১২, গড় ১৯ সেঃ।
* উষ্ণতম তিন মাসঃ জুন থেকে অগাস্ট, উচ্চতম/নিম্নতম তাপমাত্রা- ২২-২৬/৯-১২ সেঃ। বাংলাদেশে এপ্রিল-জুন।
* শীতলতম মাসঃ জানুয়ারী। তাপমাত্রা- মাইনাস-৯ থেকে মাইনাস-২০, গড় মাইনাস-১৪। বাংলাদেশেও জানুয়ারী।
* শীতলতম তিন মাসঃ ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী, উচ্চতম/নিম্নতম তাপমাত্রা- মাইনাস-৭ থেকে মাইনাস-২০ সেঃ।
* আর্দ্রতম মাসঃ জুন। গড় বৃষ্টিপাতঃ ৭৪..৪ মিঃমিঃ (বাংলাদেশে জুলাই, ৪২৭ মিঃমিঃ।
* সবচেয়ে তীব্র বাতাসের মাসঃ এপ্রিল। বাতাসের গড় গতিবেগঃ ৩৫ কিঃমিঃ/ঘণ্টা। (বাংলাদেশে এপ্রিল, গড় গতিবেগ ৭ মাইল বা প্রায় ১২ কিঃমিঃ/ঘণ্টা)।
* বার্ষিক বৃষ্টিপাতঃ ৩৭১..৪ মিঃ মিঃ, প্রতি বছর। (বাংলাদেশের ২০৩০ মিঃ মিঃ প্রতি বছর)।

গ্রীষ্মকালের ছুটোছুটিঃ

কানাডার অন্যান্য প্রভিন্সের মত এবং বিশ্বের অন্যান্য শীতল দেশের নাগরিকদের মত সাস্কাচুয়ানের লোকজনও গ্রীষ্মকালের দিকে মুখিয়ে থাকে। একটু একটু উষ্ণ আবহাওয়া শুরু হতে থাকলেই তারা প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তেই কোথাও না কোথাও সপরিবারে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এখানে গাড়িতে দুই/তিন ঘণ্টার দূরত্ব-পথের মধ্যে (ড্রাইভিং ডিসট্যান্স) অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে দেখার মত। তার মধ্যে রয়েছে পার্ক, লেক, ক্যাম্পিং এরিয়া পিকনিক স্পট এবং রিসোর্ট। সবখানেই বার-বি-কিউ এর ব্যবস্থাও আছে। আড়াই-তিন ঘণ্টার মধ্যে সাস্কাচুয়ানের আরেক শহর সাস্কাটুনেও যাওয়া যায়। সেখানেও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে বলে শুনেছি। লং উইকএন্ড (তিন দিনের) পেলে কিংবা দুইদিনের উইকএন্ড এর সাথে আরও দুই এক দিনের ছুটি যোগ করতে পারলে কেউ ছোটে পূর্বে, কেউ পশ্চিমে। পূর্বে আছে ম্যানিটোবা প্রভিন্স, সেই প্রভিন্সের আছে প্রধান দুটো শহর দেখার মত। একটা উইনিপেগ, অপরটা Portage la Prairie, ফ্রেঞ্চ নাম। দুটো শহরেরই অনেক পুরনো ঐতিহ্য রয়েছে। গতবছর আমরা এ দুটো শহর বেড়িয়ে এসেছি, এ বছরে যাওয়ার এখনো কোন পরিকল্পনা নেই। আর পশ্চিমে আছে এ্যালবার্টা প্রভিন্স, আর সেই প্রভিন্সে বেশ কয়েকটা বড় শহর রয়েছে, নিজস্ব ঐতিহ্য ধারণ করে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যালগেরী, এডমন্টন, জ্যাসপার, ক্যানমোর, ব্যানফ, ম্যালিন, হিন্টন, ইত্যাদি।

এডমন্টন ও ম্যালিন ছাড়া গতবছর এ্যালবার্টার সব শহরগুলোই ঘুরে এসেছি। ঐ জায়গাগুলো অনেক বড় ও বিস্তৃত, এক বারে সব দেখা সম্ভব নয়। তাই আমরা আবারও সেসব জায়গায় গিয়েছি, তবে গতবারে যা যা দেখেছিলাম, এবারে সেসব বাদে অন্যান্য জায়গা দেখার জন্য এবং জায়গাগুলোর পৃথক পৃথক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। এছাড়া এবারে এডমন্টন শহরেও গিয়েছিলাম। সেখানে আমার এক কলেজ-বন্ধু সস্ত্রীক তার ছেলের বাসায় বেড়াতে এসেছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করা আমার সেই বন্ধুর সাথে ক্ষীণ যোগাযোগ থাকলেও গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের মাঝে কোন দেখা সাক্ষাৎ হয় নাই। সে বারংবার আমাকে ফোন করে কিছুক্ষণের জন্য হলেও তার সাথে একবার দেখা করে যাবার অনুরোধ করে। কিন্তু যাত্রার দিন কিছুটা দেরিতে যাত্রা শুরু করাতে এবং পথে কিছুটা দেরি হবার কারণে আমরা সেদিন বেশ বিলম্বে এডমন্টন পৌঁছি। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত আর ব্যাটে-বলে হয়নি। আমার আরেক বন্ধুও সস্ত্রীক এডমন্টনে অবস্থান করছিল, কিন্তু আমাদের যাবার কয়েকদিন আগে তাদেরকে কিছুদিনের জন্য আমেরিকায় যেতে হয়েছিল। আমরা যেদিন ক্যালগেরী থেকে ফিরে আসছিলাম, সেদিন সেই বন্ধু আমেরিকা থেকে ফিরে এসে ক্যালগেরীতে অবস্থান করছিল। সেও আমাকে ফোন করে তাদের সাথে দেখা করে যাবার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু আমরা ততক্ষণে ক্যালগেরী থেকে অনেক দূরে চলে এসেছিলাম, আর পাঁচদিনের ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার একটা তাড়া ও ক্লান্তিবোধ ছিল বলে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আমাদের একই প্রভিন্সের আরেক শহর সাস্কাটুনে অবশ্য এখনও যাওয়া হয় নাই। গতবারেও যাই নাই। এবারে কানাডা ত্যাগের আগে একবার সেখানেও যাওয়ার আশা ও আগ্রহ রয়েছে।


রিজাইনা, সাস্কাচুয়ান, কানাডা
১১ জুলাই ২০২৪
শব্দ সংখ্যাঃ ৮১১

(তথ্যসূত্রঃ আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যগুলো গুগুল ঘেঁটে সংগৃহীত)

আপডেটঃ ডঃ এম এ আলী গুগুল ঘেঁটে এ বিষয়ে আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জানিয়েছেন যে ১৯৮১-২০১০ পর্যন্ত সময়কালে রিজাইনার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩. ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস (জুলাই মাসে) এবং সর্বনিন্ম - 50 ডিগ্রী সেলসিয়াস (তিনি মাস উল্লেখ করেন নি, তবে সম্ভতঃ জানুয়ারী মাসে, কারণ, বছরের ওটাই রিজাইনার সর্বাধিক শীতল মাস)। অর্থাৎ এ তথ্য থেকে এটাই পরিষ্কার হলো যে শুধু শৈত্যেই রিজাইনা এক্সট্রিম নয়, মাঝে মাঝে উষ্ণতায়ও এক্সট্রিম হয়ে থাকে। তাপমাত্রার এই চরম খামখেয়ালিপনা ও এক্সট্রিমিটি আমাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণগুলো অনুসন্ধান করে তার প্রতিকারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। বাংলাদেশে ২০২৩ সালে অত্যধিক গরম ছিল। তবে আবহাওয়াবিদগণ আশঙ্কা করছেন, ২০২৪ সাল ২০২৩ এর চেয়েও উষ্ণতর বছর হিসেবে রেকর্ডে লিপিবদ্ধ থাকবে। হয়তো বাংলাদেশে ২০২৪ সালই এ যাবত রেকর্ডকৃত উষ্ণতম বছর।



তুষারাচ্ছাদিত পাহাড় ও ঝর্না। কলাম্বিয়া আইসফিল্ড যাবার পথে, চলন্ত গাড়ি থেকে তোলা।
২৯ জুন ২০২৪, ১২ঃ৪৪


উঁচু অরণ্য, আকাশ, পাহাড় ও ঝর্না ।
২৯ জুন ২০২৪, ১২ঃ৩৮


উঁচু অরণ্য, আকাশ ও পাহাড়।
২৯ জুন ২০২৪, ১২ঃ৩৬


নীরব, নিঝুম এলাকায় একটি লাস্যময়ী পাহাড়ি ঝর্না, নিম্নে ধাবমান।
২৯ জুন ২০২৪, ১১ঃ২২


প্রায় ১৪০/১৫০ কিঃ মিঃ গতিবেগে ছুটে চলা গাড়ি থেকে তোলা এ ছবিটি Borden নামক একটি এলাকার। এ ছবির সাথে বাংলাদেশের গ্রামীন ছবির মিল রয়েছে।
২৭ জুন ২০২৪, ১৩ঃ২৭


প্রায় ১৪০/১৫০ কিঃ মিঃ গতিবেগে ছুটে চলা গাড়ি থেকে তোলা এ ছবিটি Battleford নামক একটি এলাকার। ছবিটি নর্থ সাস্কাচুয়ান রিভারের। এর সাথেও হয়তো বাংলাদেশের কোন না কোন নদীর মিল রয়েছে।
২৭ জুন ২০২৪, ১৫ঃ৪৮


@Lake Maligne Boat House, Cadomin, Alberta, Canada.
28 June 2024, 17:52

শুধু পাহাড়ের সাদা তুষারাবৃত অংশটুকুকে সবুজ মনে করে নিলে এটাকে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি লেক বলে মনে হতে পারে।
@Lake Maligne, Cadomin, Alberta, Canada.
28 June 2024, 17:52


Lake Maligne এর পথে..... জায়গাটির নাম Robb.
২৮ জুন ২০২৪, ১৩ঃ৪৩


Motor Boat Cruise on Lake Maligne
28 June 2024, 16:47


Lake Maligne এর পথে..... @ক্যাডোমিন, আলবার্টা, কানাডা
২৮ জুন ২০২৪, ১৫ঃ০৭


গ্রীষ্মে রিজাইনা বীচে ছুটে যাওয়া মানুষের ভিড়.....
০৭ জুলাই ২০২৪, ১৫ঃ৪৪


'কমিউনিটি গার্ডেন' এর কার পার্ক এর সতর্কবাণী
১৫ জুলাই ২০২৪, ২০ঃ৩৪


'কমিউনিটি গার্ডেন' এর অভ্যন্তরীণ রাস্তা
১৫ জুলাই ২০২৪, ২০ঃ৪৪


'কমিউনিটি গার্ডেন' এর একটি সব্জী প্লট
১৫ জুলাই ২০২৪, ২০ঃ১৯


'কমিউনিটি গার্ডেন' এ মানুষ নিজেরা যেমন নিজেদের জন্য সব্জী উৎপন্ন করছে, পাখিদের জন্যেও একটি নিরাপদ ঘর তৈরি করে সেখানে জলখাবার ছিটিয়ে রাখছে।
১৫ জুলাই ২০২৪, ২০ঃ৪১



মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ঝরঝরে বর্ণনা। দারুন লাগলো পড়তে। কয়েকটি ছবি দিলে আরো উপভোগ্য হতো।

১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম 'লাইক'টির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। +
লেখার প্রশংসায় প্রাণিত হ'লাম। আপনি যেমনটি বলেছেন, এখানে এ যাবত মন্তব্যকারী প্রায় সকল পাঠক ছবি সংযোজনের অনুরোধ ও পরামর্শ রেখেছেন। কয়েকটা ছবি যোগ করে দিলাম। জুম্মার নামায পড়ে এসে আরও কয়েকটা সংযোজনের আশা রাখি।

২| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:




ছবি কোথায়?
কিছু সুন্দর ছবি দেখবো ভেবে আসলাম :(

১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিছু ছবি দিয়েছি। অনুগ্রহ করে প্রতিমন্তব্য পড়ার সময় আবার যখন আসবেন, তখন লক্ষ্য করে দেখবেন।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:১০

আরইউ বলেছেন:


খায়রুল,

চিঠি পেয়ে ভালো লাগলো। আশাকরি ভালো আছেন, সাস্কাচুয়ানের গরম "উপভোগ" করছেন। লাইলীর সাথে শতভাগ একমত কয়েকটা ছবি হলে ১০০ তে ১১০ দিতাম (এখন মাত্র ১০০ পেয়েছেন)।

আসলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ফলাফল আমরা সবাই আমাদের চোখের সামনেই দেখছি। পুরো পৃথিবীর তাপমাত্রার ব্যালেন্স সম্ভবত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

খুব করে ঘোরাঘুরি করুন। শুভকামনা!

১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: চিঠির 'প্রাপ্তিস্বীকার' এর জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী, ভালো আছি এবং গরমও 'উপভোগ' করছি। তবে অবশ্য আজকের গরমের মাত্রাটা গতকালের চেয়ে আরেকটু বেশি ছিল।
"পুরো পৃথিবীর তাপমাত্রার ব্যালেন্স সম্ভবত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে" - সত্যিই তাই। আগামীতে আরও যে কী হবে, তা ভাবতে গেলে শঙ্কিত হই। আমরা হয়তো তবুও কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকতে থাকতেই গতায়ু হয়ে যাব, কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় নেই। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বিষয়টির গুরুত্ব সম্পর্কে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকের সচেতনতা ও উদ্বেগ থাকলেও, রাষ্ট্রীয় কিংবা কোন প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তেমন কোন সুসমন্বিত উদ্যোগ দৃষ্ট হচ্ছে না। বাংলাদেশে তো নয়ই, বহির্বিশ্বেও এ নিয়ে যেন মাথা ব্যথাটা খুবই কম।
কয়েকটা ছবি দিয়েছি। দেখুন।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:০০

জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই, বরাবরের মতোই সুলিখনী। তবে যাই লিখুন, যাই করুন, সবার আগে শরীরের প্রতি নজর রাখবেন। আরও নতুন নতুন স্থান ঘুরে নতুন নতুন তথ্য জানিয়ে ব্লগকে সমৃদ্ধ করবেন এই প্রত্যাশায় রইলাম।

১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনার এই কনসার্ন এবং পরামর্শের জন্য।
আপনিও ভালো থাকবেন, শুভকামনা....

৫| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

শায়মা বলেছেন: রিজাইনার চিঠি টপিক পড়ে ভেবেছিলাম তোমার নাতির নাম বুঝি রিজাইনা আর সে তোমাকে চিঠি লিখেছে ভাইয়া .... :P

যাক প্রথম লাইনেি ভ্রম কাটিলো!!!

শীত আমার খুবই অপছন্দের কাল। এর থেকে কটকটা গরমও ভালো। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকার মানুষ আমি নহি তাই শীত শুনলেই আমার ভালো লাগে না। আর সাথে গলা বসে যাওয়ার ভয়ে কোথাও শীত শুনলে আগেই আমার গলা বসে যায়। :(

তবে রিজাইনাতে নিশ্চয় গরম অনেক সুন্দর সময়!!! :)


আসলেও কিন্তু রিজাইনা নামটা সুন্দর একটা মেয়ের নাম হতে পারতো!! :)

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: রিজাইনার ইংরেজী বানান Regina. আমাদের দেশ হলে আমরা সম্ভবতঃ এর উচ্চারণ করতাম রেজিনা। কিন্তু কানাডিয়ানরা এটাকে রিজাইনা উচ্চারণ করে, তাই আমিও 'রিজাইনা'ই লিখি।

শীতে আমারও গলা বসে যায়, আমি সহজে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে যাই। এমনকি গ্রীষ্মকালেও রাতে একটানা এসি চললে কিংবা জোরে ফ্যান চালালে আমার গলা বসে যায়, নাকে ইরিটেশন হয়। তাই শীত গ্রীষ্ম নির্বিশেষে আমার নিত্যসঙ্গী থাকে একটি কোমল মাফলার, যা নেপাল ভ্রমণকালে আমি এক দরিদ্র, বয়স্কা নারীর অনুরোধে কিনেছিলাম।

"তবে রিজাইনাতে নিশ্চয় গরম অনেক সুন্দর সময়" - জ্বী, খুবই সুন্দর সময়। মানুষের আনন্দে ঘুরে বেড়ানোর সময়। গাছপালা, আকাশ, মেঘ, পাখি, বিস্তীর্ণ মেঠো প্রান্তর, বন্যপ্রাণী, সবার মাঝেই এই আনন্দানুভূতি লক্ষ্য করা যায়।

"আসলেও কিন্তু রিজাইনা নামটা সুন্দর একটা মেয়ের নাম হতে পারতো!!" - তা তো পারতোই। কিন্তু সেটা জেনেও আপনি প্রথমে রিজাইনা নামটা শুনে সেটা আমার নাতনি'র নাম না ভেবে 'নাতি'র নাম কেন ভেবে বসলেন, সেটাই বুঝলাম না। :)

৬| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: অনেকটা জার্নালের মতো করে লেখা, পড়তে ভালো লাগলো। তবে কিছু ছবি থাকলে আরো ভালো লাগতো।

আবহাওয়ার পরিসংখ্যান পেয়ে, বিশেষ করে এর সাথে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান দেয়ার বিষয়টি খুব ভালো লাগলো। বাংলাদেশের সাথে তুলনা করা গেল সহজেই। শিকাগোতে উইন্ডমিল দেখে আমি ভাবতাম আমাদের দেশে এটা করলে কতটুকু কার্যকরী হবে। এখন আপনার দেয়া পরিসংখ্যান থেকে দেখলাম বাংলাদেশে বাতাসের গতি রিজাইনার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ!

আপনার মনে হয় বিশাল এক বন্ধুদের সার্কেল আছে দেশে এবং বিদেশে। তবে অল্পের জন্য বন্ধুর সাথে দেখা হলো না জেনে খারাপ লাগছে।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনেকটা জার্নালের মতো করে লেখা" - জ্বী, আমার লেখাগুলো ওরকমই হয়ে যায়। এর কারণ হয়তো আমি আলাপচারিতা ভালোবাসি, আলাপের মত করেই লিখি।
ছবি দিয়েছি। সময়াভাবে পোস্টের সাথে একই সময়ে দিতে পারিনি, পরে দিয়েছি।
"শিকাগোতে উইন্ডমিল দেখে আমি ভাবতাম আমাদের দেশে এটা করলে কতটুকু কার্যকরী হবে" - যতদূর মনে পড়ছে, আমার কোন একটি লেখায় গিয়াস উদ্দিন লিটন মন্তব্যে লিখেছিলেন যে তাদের এলাকার কাছাকাছি কোথাও সরকারি উদ্যোগে উইন্ডমিল বসানো হয়েছিল। কিন্তু গোড়াতেই কি একটা কারিগরি গলদ থাকায় সেগুলো থেকে তেমন কোন ফায়দা পাওয়া যায়নি। আপনি আমার প্রথম বছরের পোস্টগুলো বাদে প্রায় সকল পোস্টই পড়েছেন হয়তো বা। লিটনের সেই মন্তব্যটা হয়তো আপনিও খেয়াল করে থাকতে পারেন।
"তবে অল্পের জন্য বন্ধুর সাথে দেখা হলো না জেনে খারাপ লাগছে" - যে দু'জন বন্ধুর উল্লেখ করেছি, তার মধ্যে প্রথমজন আমার কলেজ ফ্রেন্ড, পরেরজন আমার প্রফেশনাল কোর্সমেট। দু'জনের সাথেই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, অনেক পুরনো স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তবে তাদের সাথে দেখা হবার আশা ছাড়িনি, এখনও সম্ভাবনা রয়েছে।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কিছু ছবি দিতেন!

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: দিয়েছি।

৮| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ৫০ বছর দেকা হয় না, সেই বন্ধুর আহবানে সারা দেওয়া উচিৎ ছিলো। এমন ভ্রমণ কাহিনী আমার মনকে উতলা করে........ভালো থাকবেন বড় ভাই।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা দুটো পরিবার একটা বড় গাড়িতে ভ্রমণ করছিলাম। দু'টি শিশুসহ আমরা মোট সাতজন ছিলাম। আমার বন্ধুটি তার নিজের বাড়িতে ছিল না। সেও তার ছেলের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। ওদের ঘরে একটা ছোট বাচ্চাও আছে। ছেলে ও তার স্ত্রী উভয়ে কর্মজীবি। পরের দিনটা কর্মদিবস ছিল। তাই অনেক কিছু ভাবতে হয়েছিল। তাও একটা ভদ্র সময়ে পৌঁছাতে পারলে অবশ্যই দেখা করতাম। তবে ওদের সাথে দেখা হবার আশা ছাড়িনি, এখনও সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনি তো ভ্রমণ কাহিনী লেখা অনেক কমিয়ে দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১৯

ঢাকার লোক বলেছেন: বরাবরের মতোই সুন্দর ঝরঝরে বর্ণনা, সুযোগ পেলে কিছু ছবি যোগ করে দিলে বেশ হবে ! শীতের দেশে সবাই সামারের আগমণের অপেক্ষায় থাকে; ওভারকোট, জ্যাকেটের ভারমুক্ত হয়ে কটাদিন ঘুরাঘুরির জন্য !
কানাডায় আপনার বাকি দিনগুলোও আনন্দময় হোক, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি যোগ করে দিয়েছি।
ওভারকোট, জ্যাকেটের ভারমুক্ত হওয়াটা এক বিশাল আনন্দ। তবুও ঘর হতে বের হতে হলেই সবসময় একটা হাল্কা জ্যাকেট সাথে রাখতেই হয়।
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও কিছু ছবি'র অভাববোধ করছি।
বরাবরের মত চমৎকার বর্ণনা। এমন শীতের জায়গায় থাকার খুব ইচ্ছে আমার- কিন্তু দেশ ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হয় না।

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার 'অভাববোধ' টা পূরণ করার চেষ্টা করেছি।
আপনি তো এমনই এক শীতের দেশে (কিংবা এর চেয়েও বেশী) অনেক বছর কাটিয়ে এসেছেন। মনে হয় সেই সময় শীতটা খুব উপভোগ করেছিলেন।
মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: সাসকাচুয়ান প্রভিন্সের ব্যাপারে অনেক কিছু জানা হল, বিশেষ করে আবহাওয়া এবং মানুষের জীবনধারা। আপনাদের ওখান থেকে আলবার্টা প্রভিন্সের দূরত্ব কত? ওখানে ভাল তুষার পরে শুনেছিলাম। বছরের এই সময়টাতে অবশ্য আলবার্টা এবং আপনাদের ওখানে ঠিকঠাক আবহাওয়া আছে, ঘুরাঘুরির জন্য উপযুক্ত সময়।

আমি আগে ওরেগনে ছিলাম, সেখানেও প্রচুর ঠান্ডা পড়ত। বছরের ৯/১০ মাসেই প্রায় প্রতিদিনই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামত। আমরা অপেক্ষায় থাকতাম কবে সামার আসবে। সামারের সেই দু-তিন মাস মানুষজন অনেক ঘুরাঘুরি করত।

বরাবরের মতই সুন্দর বর্ণনা, সেখানকার মানুষের জীবনধারার একটু ধারণা পেলাম।

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের এখান থেকে আলবার্টা প্রভিন্সের ক্যালগেরী শহরের দূরত্ব প্রায় ৭৬০ কি.মি.। ড্রাইভিং ডিসট্যান্স সাড়ে সাত ঘণ্টা, পথের বিরতি সহ প্রায় ৮/৯ ঘণ্টা। রিজাইনাতে প্রচুর তুষারপাত হয়, ক্যালগেরীতেও হয়।
"বছরের এই সময়টাতে অবশ্য আলবার্টা এবং আপনাদের ওখানে ঠিকঠাক আবহাওয়া আছে, ঘুরাঘুরির জন্য উপযুক্ত সময়" - জ্বী, সেজন্যেই আমাদের কোন অসুবিধে হচ্ছে না।
মন্তব্যে এখানকার জীবনধারা সম্বন্ধে জানার আগ্রহ প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ২:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: সাস্কাচুয়ানের আবহাওয়া এবং এডমন্টন ভ্রমণ বর্ণনা আর ছবি ভালো লাগলো।

ক্যালগারি হয়ে কেনমোর, ব্যানফ (লেক লুইস, মোরাইন লেক), হিন্টন, জ্যাসপারের রাস্তা ধরে রকি পর্বতমালার পাদদেশের অপূর্ব সুন্দর সব লেকগুলোর সৌন্দর্য অপার্থিব। তারই কিছু আলোকচ্ছটা আপনার এই পোস্টটিতেও প্রকাশিত হয়েছে।

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: যে ক'টা জায়গার নামোল্লেখ করলেন, সেগুলো সবই অনিন্দ্যসুন্দর। আমার সৌভাগ্য, আমি এ জায়গাগুলো দেখে যেতে পারলাম।
ভ্রমণ বর্ণনা আর ছবি আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ভ্রমন পিয়াসী মানুষের সুন্দর ভ্রমন বিবরণী হতে জানা গেল অনেক কিছু।
যে কোন ভ্রমন বিবরনীতে থাকা সেখানকার আবহাওয়া , জলবায়ু
ও সেখানকার জীববৈচিত্র বরাবরই আমাকে প্রলুব্ধ করে ।
রিজাইনার চিঠিতে সেখানকার জলবায়ুর একটি সার্বিক চিত্র জানা গেল ।
সেখানকার গড় শীত ও গ্রীস্মের গড় তাপমাত্রা হতে বুঝা গেল জায়গাটা
মানুষের বসবাসের জন্য খুব একটা অসয্যকর নয় । তবে এ বিষয়ে
১৯৮১-২০১০ পর্যন্ত সময়কালের রিজাইনার জলবায়ুর ইতিহাস হতে জানা
যায় সে সময়ে সেখানে সর্বোচ্চ ৪৩. ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস ( জুলাই মাস)
ও সর্বনিন্ম - 50 ডিগ্রী সেলসিয়াস এ নেমেছিল( সুত্র উইকিডিডিয়া) ।
বুঝা গেল সেখানে শীত আর গরম দুটোই বেশ চরম আকারও ধারণ করতে
পারে ।

ভাল লাগা কোন ভ্রমন বিবরনী পাঠের সময় মাঝে মাজে লেখা পাঠে বিরতি
দিয়ে সে পোস্টে থাকা বিষয়বস্তু সংস্লিষ্ট আরো কিছু অধিকতর তথ্য জানার
মানসে আমি গুগল অন্তরজালে বিচরণ করে আমার জানার কৌতুহলকে
তুষ্ট করার চেষ্টা করি । এতে করে আমার জানার পরিধি বাড়ার সাথে সাথে
মুল পোষ্ট লেখকের প্রতিও শ্রদ্ধাটা বাড়ে , বুঝতে পারি তিনি কত প্রয়াস
নিয়ে আমাদেরকে একটি অজানা বিষয়ে বেসিক অনেক তথ্য পরিবেশন
করে সে বিষয়ে আরো জানার জন্য প্ররোচিত করে যান ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, ১৯৮১-২০১০ পর্যন্ত সময়কালের রিজাইনার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩. ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস (জুলাই মাসে) ও সর্বনিন্ম - 50 ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল, এ তথ্যটুকু মন্তব্যে উল্লেখ করার জন্য। আমার চিঠিতে এ দুটো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাদ পড়ে গিয়েছিল।
"বুঝা গেল সেখানে শীত আর গরম দুটোই বেশ চরম আকারও ধারণ করতে পারে" - জ্বী, উপরে দেয়া তথ্যটুকু তো তাই বলে।
আপনার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা কথাগুলো আমার জন্য এক বিরাট প্রেরণা। মন্তব্য ও পোস্ট 'লাইক' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০৫

জুন বলেছেন: আবহাওয়া সম্পর্কে সুন্দর প্রাঞ্জল বর্ননা খায়রুল আহসান। কিন্ত সেপ্টেম্বর অক্টোবর নিয়ে তো কিছু দেখলাম না। আমার ছেলে বলে "মা ভীষণ স্মুদিং ওয়েদার তখন , ঠান্ডাটা খুব আরামদায়ক, আর প্রকৃতিও দারুণ সাজে সেজে উঠে, এখন তো ভীষণ গরম"।
টিকেট বুকিং দিয়ে রেখেছি, জানি না কি হয়। এবার তো এপ্রিলে গিয়ে আমেরিকায় ৬ সপ্তাহ থেকে চলে এসেছি, ইভেন আমার গ্রীন কার্ডটা আসতে এক সপ্তাহ দেরী হয়েছে তাও অপেক্ষা করি নি।
এখন সেপ্টেম্বরে গেলে নিউইয়র্ক দুদিন থেকে সরাসরি কানাডা চলে যাবো। দেখা যাক কি হয়। আপনার চিঠিটা দারুণ কাজে লাগবে আমার।
ভালো থাকুন আর এমনি করেই লিখতে থাকুন কানাডার চিঠি।
+

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ছেলে যা বলেছে তা সত্য। ঐ সময়ের আবহাওয়াটা বেশ 'সুদিং' এবং ঠাণ্ডাটা আরামদায়কই হয়ে থাকে বলে জানি, যদিও গত বছর আমি সেপ্টেম্বর আসার আগেই কানাডা ত্যাগ করেছিলাম। তবে অক্টোবরের শেষার্ধ থেকে ঠাণ্ডাটা একটু একটু করে জেঁকে বসতে শুরু করে।
সেপ্টেম্বরে আপনার নিউইয়র্ক হয়ে সাস্কাটুন যাওয়ার পরিকল্পনাটা বাস্তবায়িক হোক, এটাই কামনা করছি। তারপর মা ছেলে মিলে অনেক ঘুরে বেড়াবেন এবং 'ফল' এর ছবি দিয়ে অনেক ছবিব্লগ পোস্ট করবেন।
মন্তব্য ও 'লাইক' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

আরইউ বলেছেন:



ছবিগুলোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, খায়রুল! খুব সুন্দর লাগছে।

আপনার সাথে একমত যে শেষের দু'টো ছবিকে বাংলাদেশের কোন এলাকার বললে কেউ সন্দেহ করবেনা সম্ভবত।

উন্নত বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক কথা হয়, হচ্ছে। কিন্তু কার্যকর কোন সমাধান দেখছিনা এখনো। চিন, ইউএসএ - র মত বড় দেশগুলো যদি নিজেদের কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রন না করে তাহলে ভবিষ্যত আরো গ্লুমি মনে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যায় পরবে আসলে বাংলাদেশের মত দরিদ্র দেশগুলো আর প্যাসিফিক আইল্যান্ড ন্যাশনগুলো।

আমি অবশ্য ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে যতটা পারি চেষ্টা করি গ্লোবাল ওায়ার্মিং-এ কম কন্ট্রিবিউট করতে - ফুল ইলেক্ট্রিক ভেহিকেলে যাইনি তবে হাইব্রিড কার ব্যবহার করছি; বাড়িতে সোলার প্যানেল ইনস্টল করেছি বেশ কয়েক বছর আগেই; আমার সুপার ফান্ড-এ ফসিল ফুয়েলে কোন ইনভেস্টমেন্ট নেই, ইত্যাদি। আমরা সবাই সাধ্যমত একটু একটু চেষ্টা করলে ভবিষ্যতের জন্য আমরা আশাবাদী হতেই পারি। মানুষের পক্ষে অসম্ভব বলে কিছু কি আছে?

ভালো থাকুন!

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আপনার কথাগুলো শত ভাগ সঠিক। এ বিষয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপনার প্রয়াস ও অবদানকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানাই।
"আমরা সবাই সাধ্যমত একটু একটু চেষ্টা করলে ভবিষ্যতের জন্য আমরা আশাবাদী হতেই পারি" - জ্বী, একমত।
পুনঃ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:২৩

জুন বলেছেন: একটা বানান ভুল হয়েছে স্মুদিং না *স্যুদিং হবে খায়রুল আহসান । ঠিক করে দিলাম নইলে কখন কে রে রে করে আমার ঘাড়ে এসে পরবে ঠিক যেন পরবি তো পর মালীর ঘাড়ের মত :||
:)

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সংশোধনী ছাড়াই আমি সেটা বুঝতে পেরেছিলাম, হয়তো পাঠকরাও ঠিক ঠিকই বুঝে নিয়েছিলেন। তবুও, সংশোধনীর জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৫১

সোহানী বলেছেন: বাহ্, চমৎকারভাবে সাস্কাচুয়ানের বর্ননা করেছেন সংক্ষেপে। এবং ছবিগুলোও দারুন। তবে আমি বলবো পুরো কানাডার জন্যই এটা প্রযোজ্য। এমন করেই আমরা সামার উপভোগ করি। যদিও আমার কাছে বারো মাসই উপভোগ্য ;) । প্রতিটা সিজনের আলাদা সৈান্দয্য এখানে। আমি প্রতিটাই উপভোগ করি।

সাস্কাচুয়ানে ঠান্ডা বটে তবে উপভোগ করার মতো অনেক কিছুই আছে।

আপনি আলবার্টা ঘুরে এসেছেন। আশা করি এনজয় করেছেন।

আমি মিস করলাম এবার। যাওয়ার প্লান করেও বাতিল করলাম। কারন সামারে এতো এক্সপেন্সিভ....। আগে থেকে বুকিং না করলে ঝামেলা বাঁধে। গাড়ি পাইনি, যেটা পেলাম সেটা প্রায় ৫/৬ গুন বেশী। ধুর, বাড়তি টাকা খরচ তাই বাদ দিলাম।

কবে ফিরবেন?

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তবে আমি বলবো পুরো কানাডার জন্যই এটা প্রযোজ্য" - জ্বী, আমি আমাদেরটা এবং আমাদের পূর্বে ও পশ্চিমে আরও দুটো প্রভিন্সে ঘুরে বেড়িয়েছি। এতে আমারও তাই মনে হয়েছে।

"প্রতিটা সিজনের আলাদা সৈান্দয্য এখানে। আমি প্রতিটাই উপভোগ করি" - পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলে আমরা ঋতুবৈচিত্র দেখতে পাই। মরু (পোলার, ডেজার্ট নয়) অঞ্চলে এবং বিষুবীয় অঞ্চলে এ বৈচিত্র কমতে কমতে শূন্য হয়ে যায়, আর ক্রান্তীয় অঞ্চলে (ট্রপিকাল) তা বেড়ে যায়, স্রষ্টার প্রাকৃ্তিক নিয়মেই। আপনি ঠিকই বলেছেন, প্রত্যেক ঋতুর আলাদা বৈশিষ্ট ও সৌন্দর্য রয়েছে, এবং আমিও তা আলাদা আলাদা উপভোগ করে থাকি।

"সাস্কাচুয়ানে ঠান্ডা বটে তবে উপভোগ করার মতো অনেক কিছুই আছে" - সঠিক।

আলবার্টা চমৎকার একটি প্রভিন্স। প্রকৃ্তি এ অন্চলে তার অপার সৌন্দর্য উদারভাবে মেলে ধরে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে।

সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরে যাবার কথা রয়েছে। তবে তার আগেও যেতে হতে পারে।

মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



সাস্কাচুয়ান সম্পর্কে আমারও ধারণা ছিলো যে, শীত আর শীত!
আপনার লেখায় দেখলুম তা নয়।
আসলে পৃথিবী সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা থাকে। এই যেমন, "আলাস্কা" বরফের দেশ হলেও সেখানে কি ফুল ফোটেনা? ফোটে তো!!!!
ভালো লাগলো বিষয়টি, ঝরঝরে লেখার গুনে।
ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যে দেয়া সাস্কাচুয়ানের আবহাওয়ার তথ্য এই পোস্টে বাড়তি সংযোজন।
আরইউর মন্তব্যে পরিবেশ নিয়ে তার সচেতনতাও ভালো লাগলো।

১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পৃথিবী সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা থাকে। এই যেমন, "আলাস্কা" বরফের দেশ হলেও সেখানে কি ফুল ফোটেনা? ফোটে তো"!!!! - তাই নাকি? জানতাম না।

"ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যে দেয়া সাস্কাচুয়ানের আবহাওয়ার তথ্য এই পোস্টে বাড়তি সংযোজন" - অবশ্যই। ওনার মন্তব্য সব সময় আমাদের পোস্টগুলোকে সমৃদ্ধ করে।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে আরইউ এর প্রয়াস অভিনন্দনযোগ্য।

মন্তব্য ও 'লাইক' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:২৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: কী দারুন ছবি! গাড়ীর সামনে সিট থেকে সর্পিল রাস্তাটা মনে করিয়ে দিল ২০০৯ সালে সিলেট জাফলং গিয়েছিলাম তখন এমন সুন্দর রাস্তা (এর পর আরো গেলেই সেই সৌন্দর্য কেন যেন দেখিনি!)
অসম্ভব সুন্দর ছবিগুলো দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল ঘন্টার পর ঘন্টা এসব জায়গায় বসে দেখা যায়।

আমার বান্ধবী দম্পতি গত বছর গিয়েছে রিজাইনাতে। ওদের ছবিতে দেখলাম কমিউনিটি থেকে পারমিশন নিয়ে সবজি বাগান করছে। ভালো লাগে দেখতে বাচ্চা নিয়ে খুব মজা করে সবজি বাগান করছে।

আপনার রিজাইনার ব্লগ গুলো পড়লে মনে পড়ে এই ব্লগেই একজন ব্লগার ছিলেন (নিকটা আমি ভুল না করলে মাহবুব১৪৫) ফেসবুকে মাহবুবুর রশিদ নাম। খুব প্রিয় একজন ব্লগার ছিলেন। এখন আর আসেন না হয়ত ব্লগে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ২:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: জাফলং এ আমি প্রথম গিয়েছিলাম গিয়েছিলাম ১৯৭৩ সালে, কলেজের শিক্ষা সফরে। তখন নদী, ঝর্না, পাহাড়, সড়ক ও তার আশপাশের এলাকা সবই অনিন্দ্যসুন্দর, দৃষ্টিনন্দন ছিল। এই মনোহর সৌন্দর্যের অন্যতম কারণ ছিল সীমিত লোকালয়, স্বল্প জনসংখ্যা, বিরল পর্যটকদের স্বল্প সংখ্যায় আনাগোনা, ইত্যাদি। এছাড়া তখন পাহাড়ি নদীর অগভীর তলদেশ থেকে পাথর উত্তোলনের কোন বালাই ছিল না। এসব কারণে সকল সৌন্দর্যই আদি, অকৃত্রিম এবং অস্পর্শিত থাকতো। তাই প্রথমবারের দেখা জাফলং এর সৌন্দর্যের সেই pristine রূপটাই আমার মনে আজও গেঁথে আছে। এর পরেও আমি সেখানে ১৯৮৪ ও ১৯৯৭ সালে গিয়েছি। যতবার গিয়েছি, প্রতিবার মনে হয়েছে তার আগের বারের চেয়ে জাফলং এর সৌন্দর্য কমে যাচ্ছে। ২০০০ সালে এক বছরের জন্য সেখানে বসবাসও করেছি। তখন সিলেট থেকে জাফলং এর রাস্তাটার সম্প্রসারণের কাজ চলছিল, তাই যাতায়াত দুরূহ ছিল। তবুও গিয়েছি আর আশাহত হয়েছি।
আপনার বান্ধবী দম্পতি কমিউনিটি থেকে পারমিশন নিয়ে যেখানে সব্জী বাগান করছে, সেখানেই আমি গত পরশু সন্ধ্যায় আমাদের এক প্রতিবেশীর সব্জী বাগান দেখতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে এসে শেষের চারটি ছবি পোস্টে সংযুক্ত করেছি। কে জানে, হয়তো সেখানে আপনার বান্ধবী দম্পতির সাথেও কোনদিন দেখা হয়ে যেতে পারে, কিংবা হয়ে গেছেও ইতোমধ্যে। :)
মন্তব্যে ব্যক্তিগত স্মৃতির কথা উল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ।

২০| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার লেখনীতে মানস ভ্রমণ সারা হয়ে গেল অনেকটা। Lake Maligne এর ছবিগুলো খুব মনে ধরেছে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.