নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
বঙ্গমাতা
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পুণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে
মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে
হে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি, তব গৃহক্রোড়ে
চিরশিশু করে আর রাখিয়ো না ধরে।
দেশ দেশান্তর-মাঝে যার যেথা স্থান
খুঁজিয়া লইতে দাও করিয়া সন্ধান।
পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে
বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভালো ছেলে করে।
প্রাণ দিয়ে, দুঃখ স’য়ে, আপনার হাতে
সংগ্রাম করিতে দাও ভালোমন্দ-সাথে।
শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে
দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া ক’রে।
সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ কর নি।
কাব্যগ্রন্থঃ চৈতালি
সাত কোটি ‘বাঙালি’ নিঃসন্দেহে আজ সতের কোটি ‘মানুষ’ এ পরিণত হয়েছে। সেটা সম্প্রতি পুনঃ প্রমাণিত হলো বৈষম্যবিরোধী সমাজ গঠনে ছাত্র-জনতার অকুতোভয়, সফল (আপাতঃ) আন্দোলনের মাধ্যমে। সে আন্দোলনের পরিণতি দেশের যে শত্রুর অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দিয়েছে, তারই শঙ্কিত হাতে ছোঁড়া বানের বাণ লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছে। অভূতপূর্ব বানের জোয়ার শাপ নয়, অভূতপূর্ব বর দিয়ে যাচ্ছে বাংলার সাধারণ জনগণকে, তার প্রলয়ঙ্করী শক্তির সম্মুখীন করে প্রতিরোধের দীক্ষা দিয়ে । জনগণের মাঝে সংহতি সুদৃঢ় হচ্ছে। তিনজন বাঙালির মাঝে যেখানে অন্ততঃ দুইটা ‘সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেখানে শত শত হাত একসাথে মুষ্টিবদ্ধ হচ্ছে। বন্যার একটা ছবিতে দেখলাম, প্রবল বিধ্বংসী জোয়ারের প্রমত্ত শক্তিকে উপেক্ষা করে কিছু কিশোর-কিশোরী-যুবা প্রায় বুক সমান জলস্রোতে দাঁড়িয়ে দড়ি ধরে একসাথে তীরের দিকে অগ্রসর হতে চেষ্টা করছে। কেউ কাউকে ভেসে যেতে দিচ্ছে না। একজন যদি ক্লান্তিতে একটু অসাড় মত হয়ে যাচ্ছে, তাকে অন্ততঃ দু’জন এসে সামনে ঠেলে দেবার চেষ্টা করছে। তাদের একহাতে দড়ি ধরা, অন্য হাতে বিপন্ন ব্যক্তির হাত কিংবা কোমর ধরা। এর নাম সম্মিলিত শক্তি। এ শক্তির বলে যে জাতি বলীয়ান, সে জাতিকে কেউ ‘দাবায়ে রাখতে পারবে না’। বানের জলের এ ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করার বীরত্বগাথা আজ হেথায় হোথায় অন্য কোথায় রচিত হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে। এ বীরত্বগাথাকে বানের জলে ভেসে যেতে দেয়া যাবে না। হে বাংলার ছাত্র, শিক্ষক, সাহিত্যিক, সমাজসেবক, চিত্রগ্রাহক, সাংবাদিক, ইতিহাসবিদ ও কবিকূল, আপনারা আপনাদের চোখ খুলুন। এ বীরত্বগাথাকে গেঁথে রাখুন আপনাদের দেয়ালে দেয়ালে।
রিজাইনা, সাস্কাচুয়ান, কানাডা
২২ অগাস্ট ২০২৪
২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
আমি ভালো আছি; ধন্যবাদ, জিজ্ঞাসার জন্য।
"এখনও সময় হয়নি উপসংহার টানার" - জ্বী, তা হয়নি বটে। পরের কথাতাও সত্য বটে। তবুও, আমি যেন এক নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি। এতদিন ধরে জাবর কাটা ঘ্যানর ঘ্যানর কথা শুনতে শুনতে জাতি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এখন বুঝা যাচ্ছে, কতটা অন্তঃসারশূন্য ছিল সেসব কথা।
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
বাউন্ডেলে বলেছেন:
হে টিকটকার, ফেজবুকিয়ান ইহা কি চিত্র নহে ? ব্লগেই শুধু অল্পকিছু মানুষ আছে।
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
জটিল ভাই বলেছেন:
স্যালুট জানাই সকল বাংলাদেশী বীরদের।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
যে জাতি বীরকে সম্মান করে না, সে জাতিতে বীর সহজে জন্মায় না।
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৮
কিরকুট বলেছেন: অপেক্ষা করেন কয়দিন পর রবীন্দ্রনাথের কুশপত্তলি পোড়ান হবে শাহাবাগের মোড়ে ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: জুজুর ভয়কে ভয় পাই না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:১৫
ক্লোন রাফা বলেছেন: আস্সালামালাইকুম । কেমন আছেন ভাইজান?
বাঙালী’কে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবেনা সঠিক। কিন্তু বাঙালী নিজেই যখন দাবিয়ে রাখে তখন কেউ উঠে দাঁড়াতেও পারেনা।
এখনও সময় হয়নি উপসংহার টানার । সফলতা কখনও কখনও ব্যার্থতার চাইতে নির্মম হয়॥
ধন্যবাদ, চমতকার লেখনি’তে।