নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
ওরা চেয়েছিল আমাদের বানের জলে ডুবিয়ে মারতে,
আমরা পিঁপড়ের দলের মত কুন্ডলী পাকিয়ে
একে অপরকে জড়িয়ে ধরে জলে ভেসে রইলাম।
আমরা আজ ভাসতে জেনে গেছি, ডুবতে ভুলে গেছি!
এক ঐশ্বরিক শক্তি বলে সারা দেশ যেন এক হয়ে গেল!
অন্য সময়ে ভিন্ন ভিন্ন মতের শতধা বিভক্ত এই জাতি
এক দৃপ্ত শপথে আজ নিজেদের একতাবদ্ধ করে নিল।
তাদের ঐক্যে কোথা থেকে কে যেন সীসে ঢেলে দিল!
বন্যার্তদের সাহায্যার্থে যে যার সাধ্যমত এগিয়ে এলো।
হিন্দুরা পূজোর খরচ কেটে কুটে ত্রাণের দান নিয়ে এলো,
মুসলিমরা জুম্মাবারের সংগৃহীত অর্থ পুরোটাই দিয়ে দিল,
চট্টগ্রামের ভিক্ষুরা মানুষের প্রাণরক্ষায় জলে নেমে এলো!
সকল উপাসনালয় বিপন্নদের জন্য সরব হলো প্রার্থনায়
দ্রুত সাড়া দিল সামরিক বাহিনীগুলো ত্রাতার ভূমিকায়।
হেলিকপ্টার উড়ে এলো গুলি বা গরম পানি ছুঁড়তে নয়,
বন্যার্তের জন্য ত্রাণ নিয়ে, বিপন্ন জলবেষ্টিতদের উদ্ধারে।
সেনা ও নৌবাহিনী এগিয়ে এলো তাদের নিজস্ব ত্রাণ নিয়ে,
মমতাময়ী নারীসৈনিক অপত্য স্নেহে এক শিশুকে বাঁচালো
বুকের মাঝে জাপটে ধরে, হাঁটুজল মাড়িয়ে। আশ্রয় পেল
এক তরুণ নৌ-সেনার কোলে অচেতন দুগ্ধপোষ্য শিশু।
ছাত্রদের আহবানে টিএসসি’র মোড়ে জনতা সমবেত হলো।
স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা ঢেলে দিল ব্যাঙ্ক থেকে তাদের সঞ্চিত মুদ্রা।
ত্রাণদ্রব্য নিয়ে সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে গেল অগণিত মানুষ ও গাড়ি।
যার যা আছে তাই নিয়ে ওরা ঝাঁপিয়ে পড়লো এই ত্রাণযজ্ঞে।
এ এক নতুন বাংলাদেশ! যত বড় দুর্যোগ, তত শক্ত হয় ঐক্য।
সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার এক গর্ভবতী নারীকে উদ্ধার করে
পৌঁছে দেয় হাসপাতালে; সেখানেই জন্ম নেয় এক নবজাতক।
ধ্বংসযজ্ঞে প্রস্ফূটিত হয় এক রক্তগোলাপ, ভবিষ্যতের দিশারি!
রিজাইনা, সাস্কাচুয়ান, কানাডা
২৩ অগাস্ট ২০২৪
২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সবাই জানে, আপনিও জানেন।
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: সাহস করে ভাসুরের নামটা নিতে পারলেন না।সবার জানা একরকম না।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাশুর হোক, শ্বশুর হোক কিংবা পিতাই হোক, সেটা আপনারই। সে জন্যেই তো নামটা আপনার জানা থাকা সত্ত্বেও অযথা খোঁচাখুচি করছেন।
৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: খবর নিয়ে দেখতে হবে পাগলা মসজিদ কত টাকা দান করেছে।লোকে কোটি কোটি দান করে পাগলা মসজিদে।লোকদের প্রয়োজনে সেই মসজিগ কত টাকা দান করলো।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি খবর রাখুন, খবর নিয়ে দেখুন। সম্ভব হলে আপনিও দান করুন।
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: চির উন্নত মম শির!
অপরাজেয় বাংলা।
আমার জন্মভূমি,
প্রিয় বাংলাদেশ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী।
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭
করুণাধারা বলেছেন: আমি অবাক হয়ে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে পরিচালিত কাজকর্ম দেখছি। একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলতেই ছাত্রলীগের কদর্য কাজকর্ম ছাড়া আর কিছু মনে আসতো, অথচ এখন দেখতে পাচ্ছি তারুণ্যের শক্তি, কল্যাণকর কাজে তাদের অংশগ্রহণ!
শুধু টিএসসি না, অল্প কয়েকজন ছাড়া সারা দেশের মানুষ এখন জেগে উঠেছে শুভ এবং কল্যাণের পক্ষে। এ এক নতুন বাংলাদেশ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এখন দেখতে পাচ্ছি তারুণ্যের শক্তি, কল্যাণকর কাজে তাদের অংশগ্রহণ!" - জ্বী, তরুণদের আহবানে জনগণ যে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছে এবং দিচ্ছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।
"শুধু টিএসসি না, অল্প কয়েকজন ছাড়া সারা দেশের মানুষ এখন জেগে উঠেছে শুভ এবং কল্যাণের পক্ষে। এ এক নতুন বাংলাদেশ।" - অজেয় বাংলাদেশের প্রতিভূ ওরা।
৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫
বাকপ্রবাস বলেছেন: ব্যাপারগুলো ঐশ্বরিকই , কোন অস্ত্র ছাড়া লাঠি হাতে ছাত্ররা ধ্বশিয়ে দিল এক ফেসিবাদ সাম্রাজ্য। তারপর সবাই হাতে হাত ধরে ট্রাফিক কন্ট্রোল করল, লুটেরা খুনিদের ধরিয়ে দিল, সবাই এক হয়ে দূর্যোগ মোকাবেলা করছে। অন্য এক বাংলাদেশ
২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ দেশের ইতিহাস বলে,
লাঠিই যথেষ্ট, ছাত্র-জনতার ঐক্য হলে!
৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: ৫ই আগষ্ট সকালে অপু তানভীর একটা পোস্ট দিয়ে পরে সরিয়ে নিয়েছিলেন। সেই পোস্টে আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে একটা মন্তব্য করেছিলাম- সেটা সত্য হয়েছিল। আমি দীর্ঘ সময় ধরে সেনাবাহিনী নৌ বাহিনী ও বিমানবাহিনীর উঁচু মাঝারী ও নীচের সারির অফিসারদের খুব কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি- ব্যবসায়িক কাজে তাদের সাথে সম্পর্ক হলেও কারো কারো সাথে বন্ধুত্ব পর্যন্ত গড়িয়েছে। এদের নিয়ে আমার ধারনা ভুল নয়। হ্যাঁ কিছু বেপথে আছে সত্য, তেমনি আছে প্রচুর বেহিসেবী অর্থের ছড়াছড়ি, এরপরেও তারা অনেক স্মার্ট ও দেশপ্রেমী।
আপনার সার্বিক মঙ্গল কামনায়।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিছু কিছু ক্ষেত্রে বড় ধরণের স্খলন হয়েছে। তবুও, তাদের উপর এখনও ভরসা রাখা যায় বলে মনে করি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৮
জটিল ভাই বলেছেন:
সত্যিই এ এক অন্য বাংলদেশ।
তবুও যে রাতে ঘুমের মাঝে জুজুর ভয় ছাড়েনা
২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "জয় করে তবু ভয় কেন তোর যায় না?"
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধ্বংসযজ্ঞে প্রস্ফূটিত হয় এক রক্তগোলাপ, ভবিষ্যতের দিশারি!
২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৫:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, কবিতা থেকে উদ্ধৃতির জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:১৭
কামাল১৮ বলেছেন: কারা চেয়েছিলো বলে আপনার ধারণা।