নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আজ ভোরে ফজরের নামাযের পর মাসজিদের নিকটস্থ খালের পাড় ধরে বিছানো ওয়াকওয়েতে টানা চল্লিশ মিনিটের মত হাঁটা শেষ করে যখন “অনন্যা” গেটের কাছাকাছি আসলাম, তখন দেখি কুয়াশা ঢাকা ভোরে আপাদমস্তক চাদরাবৃত একজন মহিলা গেইট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছেন। তিনি কয়েকবার আমার মুখের দিকে তাকালেন, আমারও তাকে চেনা চেনা মনে হচ্ছিল। আমাকে অতিক্রম করার সময় তিনি আমাকে সালাম জানিয়ে প্রশ্ন করলেন, “আংকেল, আপনি কেমন আছেন? আমাকে চিনতে পারছেন”? তাকে চেনার ব্যাপারে আমি একটু দ্বিধাগ্রস্ত হওয়াতে তিনি নিজের থেকেই পরিচয় দিয়ে বললেন, “আংকেল, আমি রানু। আপনার বাসায় এক সময় কাজ করতাম। খালাম্মা কেমন আছেন”? এবারে আমি তাকে সঠিক চিনতে পারলাম, তিনি একে একে বাসার সবার ভালোমন্দ থাকার বিষয়ে খোঁজ খবর নিলেন। আমিও তাকে তার ছেলে মেয়েদের কথা জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তার ছেলেটা আগামি ২০২৫ এর মার্চ-এপ্রিলে এসএসসি পরীক্ষা দিবে। দোয়া চাইলেন। আমি তার ছেলেমেয়ে মোট কতজন তা নিশ্চিত জানতাম না। তাই আন্দাজের উপর জিজ্ঞাসা করলাম, “ছেলেটা আগামি বছরে এসএসসি পরীক্ষা দিবে, আর মেয়ে কোন ক্লাসে পড়ে”? তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, “আংকেল, মেয়েও আগামি বছরেই অনার্স পরীক্ষা দিবে”।
মনে মনে ভাবছিলাম, মেয়ে আগামি বছরে অনার্স পরীক্ষা দিবে, এটা তো তার জন্য এক বিরাট খুশির এবং গর্বের ব্যাপার। এটা বলতে তার দীর্ঘশ্বাস বের হলো কেন? খানিকক্ষণ পর তিনি নিজেই এ প্রশ্নের উত্তর দিলেন এই বলেঃ “আংকেল এই মেয়েটার জন্য আমার জীবনটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল! আপনারা তো জানেন, আমি আর আমার স্বামী কত কষ্ট করে ছেলে মেয়ে দুটোকে লেখাপড়া শিখাচ্ছি”! আমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস করতে হলো না, এর পরে বাকিটুকু তিনি নিজেই অনর্গল বলে গেলেন। তার মেয়েটা অনেক মেধাবী ছিল। স্কুল কলেজের সব পরীক্ষাতেই সে ভালোভাবে পাশ করে গেছে। টিউশনি করে নিজের হাত খরচ চালিয়েছে। মেয়েটা অনার্সে ভর্তি হবার পর তিনি ও তার স্বামী তাকে একটা ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দেবার উদ্যোগ নেয়া শুরু করেন। একটা উপযুক্ত ছেলের সাথে সম্বন্ধ করার প্রস্তাবও এসেছিল। কিন্তু সেটা আসার পর থেকেই মেয়েটার মাঝে অস্থিরতা দেখা দেয়। এক রোযার মাসে ক্লাস থেকে সে সময়মত ঘরে ফিরে না আসাতে তিনি তাকে বিরতিহীন ফোন দিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু মেয়েটি কিছুতেই ফোন ধরছিল না। অবশেষে একবার ফোন ধরে সে স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে সে তার পছন্দমত একটি ছেলের সাথে বের হয়ে এসেছে, আর ঘরে ফিরে যাবে না।
এ কথা শুনে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং পরপর তিন দিন ধরে তার জ্ঞান আসছিল, আর যাচ্ছিল। পাড়া পড়শিরা তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সেবা শুশ্রূষা করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার মনের দুঃখের অনল কিছুতেই নির্বাপিত হচ্ছিল না। তার রাগী স্বামীও পণ করে বসলেন যে এ মেয়েকে তিনি আর কোনদিন ঘরে প্রবেশ করতে দিবেন না। তাদের উভয়ের এতটা দুঃখের কারণ হচ্ছে যে তারা অনেক কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যয় নির্বাহ করেছেন। তাদের মত আর্থিক বলয়ের আর কেউ সাধারণতঃ ছেলেমেয়েদেরকে এতটা উচ্চ শিক্ষিত করার স্বপ্ন দেখে না। আমি নিজেও দেখেছি রানু কতটা পরিশ্রম করে sincerely এবং diligently তিন তিনটা বাসায় গায়ে গতরে খেটে তার জীবিকা অর্জন করেছেন। তার স্বামী পেশায় রডমিস্ত্রী, তিনিও অত্যন্ত পরিশ্রম করে তাদের সংসারের ব্যয়ভার নির্বাহ করেছেন। কিন্তু মেয়েটি তাদের এ নিষ্ঠা ও শ্রমের কদর করলো না! সে ঘর থেকে পালিয়ে যে ছেলেটিকে বিয়ে করেছে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা তার তুলনায় অনুল্লেখ্য। পঞ্চম শ্রেণী পাশ সে যুবক পেশায় একজন রাজমিস্ত্রীর যোগালি। থাকে ময়মনসিংহের ফুলপুরে। রানু ও তার স্বামী জামাই হিসেবে তাকে মেনে না নেয়াতে সে ভীষণ নারাজ। বিয়ের পর থেকে সে মেয়েটাকে বাবা মায়ের কাছ থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
বিয়ের পর রানুর মেয়ে নিগার সুলতানা তুলি অন্তঃসত্ত্বা হতে সময় নেয় নি। এ খবর পেয়ে রানু পাগলের মত হয়ে যান। তার স্বামীরও মেয়ের উপর ক্ষোভ তীব্র হয়ে ওঠে। কিন্তু হাজার হোক, মায়ের মন তো, আত্মজা বলে কথা! মেয়ের পেটের সন্তানের কথা ভেবে তার নিজের পেটে মেয়েটির বেড়ে ওঠার কষ্টের কথা হয়তো তার মনে পড়ে গিয়েছিল। মেয়ের এবং মেয়ের অনাগত সন্তানের কথা ভেবে দৃঢ়চেতা রানু নিজেকে সামলে নেন, মাতৃ্ত্বের স্বর্গীয় মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের কাছে নতজানু হয়ে পড়েন। একই সাথে তিনি তার অনড় স্বামীকেও ম্যানেজ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকেন। একসময় তিনি সফল হন, তার স্বামীকে রাজী করিয়ে মেয়েটিকে ঘরে তুলে আনেন। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি এখন তার মায়ের ঘরে থেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। মায়ের সেবা যত্নের মধ্য দিয়ে তার কষ্টের দিনগুলো পার করছে। ২০২৫ এর প্রথমার্ধে তার জন্য একই সাথে দুটো পরীক্ষা অপেক্ষা করছে; এক, জানুয়ারি মাসে সফলভাবে সন্তান জন্ম দেয়া এবং দুই, মার্চ মাসে অনার্স পরীক্ষায় পাশ করা। সে যেন উভয় পরীক্ষায় আগের সকল পরীক্ষার মত সাফল্য অর্জন করতে পারে, রানু সেজন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার কাছেও দোয়া চাইলেন। অনেক সময় আপন সন্তানেরা তাদের জীবনে মা বাবার অবদান শুধু চোখে দেখেই ক্ষান্ত থাকে, আবার অনেক সময় দেখেও দেখে না। চাক্ষুষ দেখা সত্ত্বেও তারা সে অবদানটুকু অনুধাবন করে অন্তরে ধারণ করতে পারে না। তাদের মা বাবার এ দুঃখটা চিরকাল অন্তরে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়!
মেয়েটারও নিশ্চয়ই এ বিষয়ে অনেক কিছু বলার থাকতে পারে। কিন্তু তার কথা তো আমি শুনিনি, তাই কিছু না জেনে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোন মন্তব্য করাটাও সমীচীন হবে না। তবে এটুকু নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এ ধরণের অসম বিয়ের পেছনে বহু মনস্তাত্ত্বিক অনুঘটক কাজ করে থাকে। এ বয়সের ছেলে মেয়েরা অনেকেই প্রথম প্রেমের বাঁধনেই আটকা পড়ে যায়। প্রথম দর্শনেই যাকে ভাল লাগে, তাকেই জীবনের চিরসঙ্গী ভেবে তারা ভবিষ্যতের স্বপ্ন আঁকতে থাকে। বয়ঃসন্ধিক্ষণে বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবে তাদের মাঝে গভীর আবেগ এবং প্রণয়ের জোয়ার আসে এবং এর ফলে একের প্রতি অপরের ভালোবাসা ও মানসিক নির্ভরতার ক্রমবিকাশ ঘটে। এটাকেই বলে ‘পাপি লাভ’ (Puppy Love), আধুনিক ভাষায় যেটাকে আদর করে “ক্রাশ” নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। তরুণ বয়সে অনেকের মাঝেই এই ক্ষণিকের ক্রাশ অতিক্রম করে ঊর্ধ্বে ওঠার মত দূরদর্শিতা ও সক্ষমতা থাকে না।
ঢাকা
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
শব্দ সংখ্যাঃ ৮৮৪
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি যে কথাগুলো বলেছেন, তা ideal এবং অবশ্যই তা করতে পারলে ভালো হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে এখনও অনেক বাবা মায়ের পক্ষে ওভাবে আদর্শিক আচরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
"অনেকদিন পর ব্লগে লিখলেন" - জ্বী, প্রায় সাড়ে তিন মাস পর একটা পোস্ট নিয়ে এখানে হাজির হ'লাম। এর আগে এই ব্লগে পোস্ট দিতে এতটা বিলম্ব কখনোই ঘটেনি।
প্রথম মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
অনেকদিন পর! এতো দীর্ঘবিরতি কেনো?
আই উইশ অল গুড।
কামালের মন্তব্যের সাথে সহমত। সন্তানের সাথে বাবা মায়ের বন্ধুসুলভ আচরণ হলে তারা কাদের সাথে মেলামেশা করে, কোথায় যায় সেসব জানা থাকে। ভুল করলে সেটা শোধরানোর সুযোগ থাকে।
আরও একটা বিষয় যোগ করতে চাই, এই যে অল্প বয়সে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করলে সন্তানরা এরকম ভুল করে ফেলে।
পোষ্টে উল্লেখিত ক্র্যাশকে লাভ ভেবে ভুল করে এরকম একজনের সাথে পালিয়ে যাওয়া নাও হতে পারতো। একসময় হয়তোবা মেয়ে নিজেই বুঝে সরে আসতো। বিয়ের প্রেশার থাকায় সে ওটাকেই সব মনে করে চলে গেছে। এরকম কেইস দেখেছি, তাই বললাম।
যাই হোক, হয়তো সামনের দিনগুলো ভালো যাবে। বাচ্চা এক বিশাল দায়িত্ব। আশা করি মেয়েটি স্মুদলি পড়ালেখা এবং সংসার দুটো চালিয়ে যাবে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনেকদিন পর! এতো দীর্ঘবিরতি কেনো?" - গত বছরের শেষ কয়েকটা মাস একটু ব্যস্ত ছিলাম, আবার একই সাথে কিছুটা খারাপ সময় পার করছিলাম। তাই এতটা বিলম্ব ঘটে গেল। শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১২
করুণাধারা বলেছেন: কোন মা-ই সন্তানের দেয়া আঘাত অপমানের যন্ত্রণা মনে রাখেনা। মায়ের মনের বিশেষত্ব এটাই। চমৎকারভাবে এই কাহিনীতে ফুটিয়ে তুলেছেন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার উপসংহার। অনেক ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮
ক্লোন রাফা বলেছেন: আমাদের দেশের নিম্নবিত্ত পরিবারের অহরহ সমস্যাগুলো এমনই হয়। হয় বড় কোন ভুল করবে কিংবা মা/বাবা’কে অস্বীকার করার প্রবণতা।
ফিরে আসার জন্য শুভেচ্ছা ।
কেমন আছেন খা.আহসান ?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ঠিক বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
"ফিরে আসা" বলতে যদি আপনি পোস্টসহ ফিরে আসা বুঝিয়ে থাকেন তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু পোস্ট না লিখেও আমি এর আগে মাঝে মাঝে ব্লগে এসেছি। কয়েকজন পাঠকের পোস্ট পড়েছি এবং কদাচিৎ মন্তব্যও করেছি।
আমি ভালো আছি, ধন্যবাদ।
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: @আমি সাজিদ,
পোস্টটা "প্রিয়" তে নেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: এতদিন কোথায় ছিলেন?!!!!!
বড় বাস্তব একটা লেখা লিখেছেন। কিন্তু এই শীতে ঠান্ডায় বের হলে ঠান্ডা লেগে যাবে।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই তো এখানেই ছিলাম, কিংবা আশেপাশেই কোথাও।
ঠান্ডায় বের হলে যথাসম্ভব প্রস্তুতি নিয়েই বের হই।
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:০০
ঢাকার লোক বলেছেন: বেশ অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম, আশা করি ভালো আছেন।
আপনার এ লেখায় বর্তমান সমাজের একটা জীবন ঘনিষ্ট সমস্যার চিত্র ফুটে উঠেছে। অসম বিবাহে কিছু সমস্যা হতেই পারে। বিয়ে যদি হয়েই যায়, এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে উভয় পক্ষের পারিবারিক সহানুভূতি-সহায়তা প্রয়োজন। ভালো, যে মেয়ের মা বাবা শেষমেশ তাদেরকে গ্রহণ করে নিয়েছে যখন তাদের সাহায্য অত্যন্ত দরকার।
এজন্যই, পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি যাতে না হয়, ইসলাম কনের অভিভাবকের (বাবা, বড় ভাই ইত্যাদি) অনুমোদন ছাড়া বিয়ে নিষিদ্ধ করেছে, দেশে এ ধরণের বিয়ে যারা পড়ান বা নিবন্ধন করেন তাদের উচিত এ বিষয়টা খেয়াল রাখা।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
মেয়ের মা বাবা শেষমেশ তাদেরকে নয়, শুধু মেয়েকে পরিচর্যার জন্য গ্রহণ করে নিয়েছে। একটা সুষ্ঠু সমাধানের জন্য এখনও তাদেরকে অনেকটা পথ হাঁটতে হবে।
৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১৩
ঢাকার লোক বলেছেন: জানিনা উনারা কোন পথে হাঁটবেন, সবার যাতে মঙল আল্লাহ সে পথেই হাঁটার তৌফিক দান করুন এবং তাদের এ পথ চলাকে সহজ করে দিন!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, একমত; তাই যেন হয়, আমীন!
৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের সমাজের বাবা মায়েদের একটা কমন মনভাব হচ্ছে যেহেতু আমি কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের মানুষ করেছি তাই তাদেরকে অবশ্যই আমাদের কথা শুনতে হবে। যুগযুগ ধরেই এই মনভাব হয়ে আসছে। বাবা মায়েদের যুক্তি শুনলে মনে হবে বুঝি এটাই সঠিক, তারা ঠিক আছেন আবার ছেলে মেয়েদের যুক্তিও ফেলে দেওয়ার মত না। বিয়ের পরে ভাল থাকার সাথে আসলে কোন কিছুরই খুব একটা সম্পর্ক নেই। আপনি খুজে খুজে আপনার মেয়ে/ছেলের জন্য সর্বগুণ সম্পন্ন পড়াশোনা জানা ভাল চাকরি করা কাউকে খুজে আনবেন তারপরেও কোন নিশ্চয়তা নেই যে বিয়ের করে তারা সুখে থাকবে।আরেকটা কথা যে অন্য বুদ্ধিতে বিয়ে করে খারাপ থাকার চেয়ে নিজের সিদ্ধান্তে বিয়ে করে খারাপ থাকা ভাল।
একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব অবশ্যই তাদের আছে কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরে তাদের উপর নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া উচিৎ না। বিশেষ করে বিয়েশাদির বেলাতে তো নয়ই।
অনেক দিন পরে আপনার লেখা পেলাম । যাই কোন আপনার ফেসবুকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছিলাম। সম্ভবত সেটা আদার্স বক্সে গিয়েছে এই কারণে আপনার নজরে আসে নি ।
ভাল থাকুন সব সময়।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব অবশ্যই তাদের আছে কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরে তাদের উপর নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া উচিৎ না। বিশেষ করে বিয়েশাদির বেলাতে তো নয়ই।" - আপনার এ কথাটির সাথে দ্বিমত পোষণ করার কোন অবকাশ নেই। তবে সন্তান এবং অভিভাবক, উভয়ে যদি একে অপরের অবস্থান এবং আকাঙ্খার প্রতি একটু যত্নবান ও রেস্পেক্টফুল থাকেন, তাহলে পরিণতিটা সাধারণতঃ ভালো হয়ে থাকে।
কী মেসেজ পাঠিয়েছিলেন? সে রকম কোন মেসেজ দেখেছি বলে তো মনে পড়ছে না।
১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিন্তু মেয়েটা ধরলো তো ধরলো একটা অযোগ্য ছেলের হাত ধরলো। তার মা বাবাকে বুঝিয়ে বলতে পারতো পড়াশুনা শেষ করে বিয়ে করবে, বুঝাইতো তা না করে সে নিজেই বেড়াজালে পা রাখলো।
ভাইজান কেমন আছেন? ব্লগে নিয়মিত আশা করছি
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঐ বয়সের ছেলেমেয়েরা, বিশেষ করে মেয়েরা আবেগের বশবর্তী হয়ে এ ধরণের ভুল করে বসে। মা বাবার পক্ষ থেকেও হয়তো কোন না কোন Lacking ছিল। হয়তো যথেষ্ট কমিউনিকেশনের অভাব ছিল।
আমিও আশা করছি ব্লগে নিয়মিত হবার। মন্তব্য ও 'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৪
কামাল১৮ বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে লিখলেন।
বাবা মায়ের কাছ থেকে ছোট বেলায় ভালো শিক্ষা পায় নাই।ছেলে মেয়াদের সাথে বন্ধুর মতো আচরন করতে হয়।দৈনন্দিনের কথা শেয়ার করতে হয়।সমস্যা নিয়ে আলাপ করতে হয় বন্ধুর মতো।আশেপাশের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে মতোবিনিময় করতে হয়।তবেই ছেলে মেয়েরা কিভাবে বেড়ে উঠছে জানা যায়।