| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খায়রুল আহসান
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
একজন লেখক যখন কোন কিছু লিখেন, তিনি কিছু বলতে চান বলেই লিখেন। বলাটা সব সময় সহজ হয় না, আবার একই কথা জনে জনে বলাও যায় না। তাই লেখক কাগজ কলমের আশ্রয় নেন, হাল আমলে কম্পিউটার কী-বোর্ডের। অনেক লেখক গল্প বলতে চান, আমার বয়সের লেখকেরা স্মৃতিকথাও লিখতে পছন্দ করেন; কিন্তু তাদের কোন শ্রোতা নেই, এই ব্যস্ততার যুগে থাকা সম্ভবও নয়। তবুও তারা লিখে চলেন, সুযোগ পেলেই কোথাও না কোথাও তা প্রকাশও করে ফেলেন। যে লেখকের কোন সুনির্দিষ্ট শ্রেণির পাঠক নেই, তাদের জন্য আজকের যুগে এক অনন্য সুযোগ এনে দিয়েছে ফেসবুক। আগে নিজের প্রোফাইল পাতায় ‘ফেসবুক নোটস’ নামে একটি আলাদা জায়গায় কোন কিছু লিখে রাখার সুবিধে ছিল। এখন আর সে সুবিধেটা নেই, তবে তার চেয়ে আরও উন্নত মানের সুযোগ করে দিয়েছে বিভিন্ন ‘ফেসবুক গ্রুপ’ এর পেইজ, বিশেষ করে কিছু সাহিত্য গ্রুপের পেইজ। একজন লেখক তার পছন্দমত কোন বিষয়ের উপর একটা কিছু লিখে তার পাঠকের সাথে শেয়ার করার জন্য সেই লেখাটা সেসব পেইজে প্রকাশ করতে পারেন এবং পাঠকের মন্তব্য প্রাপ্তির পর তাদের সাথে লেখাটা নিয়ে আরও বিশদ আলাপচারিতায় অংশ নিতে পারেন।
সাধারণতঃ ফেসবুক এর এসব ‘গ্রুপ পেইজ’ এর পাঠকেরাই আমার যেকোন লেখার প্রথম পাঠক। তার পরে আছে হোয়াটসএ্যাপ এর কিছু ‘গ্রুপ পেইজ’। তার পরে আমি মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে কিছু লেখা বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপার জন্য পাঠাই। সম্পাদকমণ্ডলী পছন্দ করলে সে লেখাটি তারা ছাপিয়েও ফেলেন। তেমন নামকরা কোন লিটল ম্যাগাজিনে নয়; যেসব ম্যাগাজিনে সেসব লেখা প্রকাশিত হয়, তাদের পাঠক সংখ্যা খুবই সীমিত। যেমন এলাকার কমিউনিটি ম্যাগাজিন, পেশাগত জীবনের সতীর্থদের গোষ্ঠীভিত্তিক ম্যাগাজিন, বিগত শিক্ষাজীবনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন আনুষ্ঠানিক পর্ব বা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ম্যাগাজিন, ইত্যাদি। তেমনিভাবেই আমাদের এলাকার কমিউনিটি ম্যাগাজিন “দীপশিখা” এর ডিসেম্বর ২০২৪ সংখ্যায় প্রকাশের জন্য আমি একটা লেখা পাঠিয়েছিলাম। লেখাটার শিরোনাম ছিল “বর্ষণমুখর দিনের বিক্ষিপ্ত ভাবনা”। কোন এক বর্ষণমুখর শুক্রবারের কিছুটা সময়ের বিক্ষিপ্ত ভাবনা নিয়ে লিখেছিলাম। খুবই সাধারণ একটা ঘটনা নিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম। কিন্তু ঘটনা সাধারণ হলেও, লেখার সময় ভাবনাগুলোকে তো আর কেবল সেই ঘটনার সাথে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। তাই যদিও লেখাটা একটানে শেষ করেছিলাম, কিন্তু লেখার ঐটুকু সময়ের মধ্যেই ভাবনাগুলো ‘টাইম এ্যান্ড স্পেস’ এর সকল সীমারেখা অতিক্রম করে ছুটে গিয়েছিল দেশে মহাদেশে, কৈশোর যৌবনের আরও বহু ছোট ছোট ঘটনার কাছে। সেসব ভাবনার সম্মিলিত সমাহারই ছিল “বর্ষণমুখর দিনের বিক্ষিপ্ত ভাবনা”।
“দীপশিখা” প্রকাশিত হবার পর আমার হাতেও একটি সৌজন্য সংখ্যা পৌঁছেছিল। হাতে পাবার পর আমি নিজের লেখাটি আরেকবার পড়েছিলাম। আমার ভালো লেগেছিল। নিজস্ব কিছু অনুভূতি ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছে দেখে আমি খুশি হয়েছিলাম। তারপর ভুলে গিয়েছিলাম লেখাটির কথা। একদিন অভ্যেসবশতঃ আমি আমাদের এলাকার পুকুড়পাড়ে হাঁটছিলাম। হাঁটার সময় দেখি আমার এক এক্স-সিনিয়র কলীগ অপর দিক থেকে হেঁটে আসছেন। আমরা কখনও একই স্টেশনে কর্মরত ছিলাম না। ফলে চাকুরিকালীন সময়ে আমাদের মাঝে কোন কথা হওয়া তো দূরের কথা, কোনদিন দেখা সাক্ষাৎও হয়নি। তবে অবসর গ্রহণের পর থেকে এখন একই এলাকায় থাকি বলে মাঝে মাঝে এখানে সেখানে দেখা হয়েছে এবং টুকটাক আলাপচারিতাও হয়েছে।
উনি আমাকে দেখে একটু দূর থেকেই উষ্ণ হাসি হেসে হাত বাড়িয়ে দিলেন করমর্দনের জন্য। কাছে এসে সস্নেহে ঘাড়ে হাত রেখে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন, এবারের দীপশিখায় প্রকাশিত আমার লেখাটি তার খুবই ভালো লেগেছে। আমার ‘বিক্ষিপ্ত ভাবনা’র অনেকগুলোর সাথেই উনি সম্পূর্ণভাবে নিজেকে রিলেট করতে পেরেছেন। যার সাথে আমার তেমন কোনো ইন্টারএ্যাকশন নেই, এমন একজনের মুখ থেকে লেখাটির ভূয়সী প্রশংসা পেয়ে আমিও যারপরনাই অভিভূত হ’লাম। এর পর থেকে যখনই আমাদের একে অপরের পথ অতিক্রম করেছে, উনি থেমেছেন, খানিক কথা বলেছেন, তারপর শুভকামনা জানিয়ে চলে গিয়েছেন। সব লেখকই হয়তো চান, তার লেখার মাঝে পাঠক নিজেরও কিছু কথা খুঁজে পাক, নিজেকেও খুঁজে পাক। তার কোন লেখা কোন গৃহকোণে পড়ে আছে, লেখকের পক্ষে তা জানা সম্ভব নয়। তবে কোনো পাঠক যদি তার লেখা পড়ে তার সাথে নিজেকে রিলেট করতে পেরে তা লেখককে জানান, লেখকের জন্য তা হয়ে ওঠে এক বিরাট সন্তুষ্টির কারণ। আমার মনে হয়, একজন লেখকের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় পাওনা।
ঢাকা
০৬ এপ্রিল ২০২৫
শব্দ সংখ্যাঃ ৬০৬
এর পরের প্রাসঙ্গিক পোস্টঃ একটি বর্ষণমুখর দিনের কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনা
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, আগামীকাল দেখে নেব যে লেখাটি এর আগে এখানে প্রকাশ করেছিলাম কিনা। যদি না করে থাকি, তবে পোস্ট করে দেব।
প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম 'লাইক' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শুভরাত্রি।
২|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার কূটনৈতিক জীবন নিয়েও লিখুন।
আমরা পড়ে কিছু জানি ও শিখি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপাততঃ এখানে যেটা লিখেছি সেটাই পড়ুন এবং ভেবে দেখুন, এটার উপরই কিছু বলা যায় কি না। বাকিটা পরে দেখবো।
৩|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
একজন লেখক যখন কোন কিছু লিখেন, তিনি কিছু বলতে চান বলেই লিখেন।
একজন লেখকের জন্যে এটাই সত্য তা যে মাধ্যমেই হোক না কেন!
এ লেখাটাও একটা স্মৃতি কথার মতো মনে হ'লো।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ে একটি সুন্দর মন্তব্য রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
৪|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৪৩
সোহানী বলেছেন: হাঁ তাই, তাইতো আমরা লিখি।
আমরা জানি কোথাও না কোথাও কারো সাথে আমাদের ভাবনা মিলে যাবে, হয়তো সে নিজেকে সেখানে খুঁজে পেয়ে আপ্লুত হবে, কিংবা নিজের ভাবনায় আবার ডুবে যাবে...............
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখক-পাঠকের ভাবনা কোথাও এক সূত্রে মিলে গেলে আমি লেখক হিসেবে যেমন আপ্লুত হই, পাঠক হিসবেও তেমনি। এই ব্লগেই আমি অনেক ভালো ভাল গল্প ও কবিতা পড়েছি, যেগুলো পড়ার সময়েই লেখাগুলো আমার মনে ও কানে একটা করে ঘণ্টা বাজিয়ে গেছে।
ভালো লাগল আপনাকে পোস্টে পেয়ে।
৫|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় খুব সুন্দর করে মনের ভাব প্রকাশ করেছেন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:১১
শায়মা বলেছেন: একজন লেখকের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিকথা লিখে রাখার সাথে নিজের মনের যে আত্মতৃপ্তি তার সাথে আর কিছুর মিল মনে হয় পাওয়া যায় না। তবুও আমরা আমাদের ভালোলাগার স্মৃতিগুলি কাউকে শোনাতে চাই। এই শোনানোতেও থাকে আরেক ভালোলাগা। আর পাঠকের নিজের সাথে লেখকের ভাবনা স্মৃতি বা ভাল লাগা মন্দ লাগা কখনও কখনও মিলে যায় বলেই হয়ত লেখকের লেখা পাঠকপ্রিয়তা পায়!
আমার জীবনের সবচাইতে ব্যস্ততম সময় শুরু হয়েছে মনে হয় কয়েক বছর হলো। আমি শুধু ভাবি অবসরে যাবার পর আমি আমার সব অং বং ছেড়ে দিয়ে শুধু লিখবো আর লিখবো! কারো জন্য লিখবো নাকি জানিনা তবে নিজের জন্য হলেও লিখবো। আসলে আমাদের কত না বলা কথাই না লুকিয়ে থাকে হৃদয়ের গভীরে। যা কাউকেই হয়ত বলা হয় না। লিখে লিখে তাই শান্তি পেতে চাই আমরা বা আমি নিজে ...। ![]()
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "একজন লেখকের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিকথা লিখে রাখার সাথে নিজের মনের যে আত্মতৃপ্তি তার সাথে আর কিছুর মিল মনে হয় পাওয়া যায় না" - কথাটা একদম সঠিক ও সত্য।
"আর পাঠকের নিজের সাথে লেখকের ভাবনা স্মৃতি বা ভাল লাগা মন্দ লাগা কখনও কখনও মিলে যায় বলেই হয়ত লেখকের লেখা পাঠকপ্রিয়তা পায়!" - এটাও ঠিক কথা।
মন্তব্যের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের কথাগুলো খুব ভালো লাগল।
"লিখে লিখে তাই শান্তি পেতে চাই আমরা বা আমি নিজে ..." - আপনি অবশ্যই লিখবেন এবং এর জন্য অবসরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। আপনার সব কয়টা নিকের পোস্টগুলো, বিশেষ করে যেগুলো নিজেকে নিয়ে লিখেছেন, অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বলাই বাহুল্য, যেসব লেখায় ব্যক্তিগত আবেগ অনুভূতির উপস্থিতি প্রবল, সেসব লেখার পাঠকপ্রিয়তাও বেশি, মানও উচ্চ হয়ে থাকে।
অনেক ধন্যবাদ, চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
৭|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: লেখালেখি যারা করি, আমরা একটু-আকটু যাই,
মনে হয় সব লেখকের জন্যই পাঠক একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগে আমাদের এই সামু ব্লগেই অনেক পড়ুয়া ও ভালো মানের পাঠক-লেখিকা ছিলেন, যারা একইসাথে চৌকস লেখক ও পাঠক। এখন তারা অনেকেই নানা ব্যস্ততার কারণে নেই। তখন গল্পে, কবিতায় সব কিছুতেই ভালো আলোচনা ও সমালোচনা হতো।
যাই হোক, সেসব অতীত।
একজন লেখকের জন্য যেকোনো লেখার প্রথম পাঠক তো তিনিই, যিনি লেখেন। তিনিই এর মূল সমালোচকও বটে। তারপর লেখকের মনে একজন-দুজন পাঠক থাকে, যারা তাঁর আরাধ্য পাঠক। হতে পারে সে এই পৃথিবীর কেউ নয়, হতে পারে সে অপার্থিব কোনো সত্তা, যে লেখকের মানসে এই লেখার মূল পাঠক। এমন কেউ কেউ থাকে। আবার কোনো কোনো পাঠকের সাথে লেখকের বা কবির আন্তরিক ও আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, শব্দের অবাধ চলাচলের মাধ্যমে।
আপনি নিজে অনেকগুলো প্ল্যাটফর্মে লেখেন। আপনার লেখালেখির ধারা ও ব্যাপ্তি, দুটোই বেশ গভীর। আমি আপনার লেখার ভক্ত। সেজন্যই এলাম এই পোস্টে। ভালো লাগা রইলো।
লেখকের প্রাপ্তি ও সন্তুষ্টি বোধহয় এটাই তিনি লিখলেন, আর কেউ (বা কোনো সত্তা) পড়লেন।
সামিয়া বলেছেন: দীপ শিখায় প্রকাশিত লেখাটি পড়তে চাই প্রিয় লেখক। - আমিও পড়তে চাই
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "মনে হয় সব লেখকের জন্যই পাঠক একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়" -অবশ্যই।
"আগে আমাদের এই সামু ব্লগেই অনেক পড়ুয়া ও ভালো মানের পাঠক-লেখিকা ছিলেন, যারা একইসাথে চৌকস লেখক ও পাঠক। এখন তারা অনেকেই নানা ব্যস্ততার কারণে নেই। তখন গল্পে, কবিতায় সব কিছুতেই ভালো আলোচনা ও সমালোচনা হতো" - জ্বী, আপনি ঠিক বলেছেন। তখন উন্নত মানসম্পন্ন লেখাই সংখ্যাধিক ছিল। আমার মনে আছে, তখন এই ব্লগে আমি অনেক ভালো ভালো গল্প, কবিতা, ট্রাভেলগ ইত্যাদি পড়েছি। কাক শিরোনামে একটা চমৎকার গল্প পড়েছিলাম। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের বাড়িতে মাসে বা সপ্তাহের কোনাদিন ইলিশ রান্না হলে আনন্দের বন্যা বয়ে যেত। পরিবারে মা নিজের অংশ আত্মত্যাগ করে আমন্ত্রিত মেহমানদের খাওয়াতেন, ইত্যাদি জীবনঘনিষ্ঠ ঘটনাবলী নিয়ে লেখা বহু ছোটগল্প মনে রেখাপাত করে গেছে।
"একজন লেখকের জন্য যেকোনো লেখার প্রথম পাঠক তো তিনিই, যিনি লেখেন" - জ্বী, অতি অবশ্যই। এবং বোধকরি তিনি একবার নয়, একাধিকবার নিজের লেখাটা পড়ে সন্তুষ্ট হয়েই তবে সেটা প্রকাশে আগ্রহী হন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার বর্তমান ব্যস্ত জীবন থেকে কিছুটা সময় আগ্রহভরে আমার লেখায় ব্যয় করলেন, এজন্য।
'দীপশিখা'য় প্রকাশিত লেখাটির সফট কপির সন্ধান করছি। পেলেই পোস্ট করবো।
ভালো থাকুন সুস্বাস্থ্যে, শুভকামনা...
৮|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:০৫
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সব লেখকই হয়তো চান, তার লেখার মাঝে পাঠক নিজেরও কিছু কথা খুঁজে পাক, নিজেকেও খুঁজে পাক। তার কোন লেখা কোন গৃহকোণে পড়ে আছে, লেখকের পক্ষে তা জানা সম্ভব নয়। তবে কোনো পাঠক যদি তার লেখা পড়ে তার সাথে নিজেকে রিলেট করতে পেরে তা লেখককে জানান, লেখকের জন্য তা হয়ে ওঠে এক বিরাট সন্তুষ্টির কারণ। আমার মনে হয়, একজন লেখকের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় পাওনা।
-এ ধরণের সন্তুষ্টি লেখকদের কাছে অমৃতসম।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, নাতিদীর্ঘ একটি প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি (পোস্ট থেকে) এবং হ্রস্ব একটি বাক্যের মাধ্যমে কি চমৎকারভাবেই না মন্তব্য করে গেলেন! বিশেষ করে অমৃতসম শব্দটি যুৎসই হয়েছে।
৯|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
অসাধারণ একটি লেখা। খুব স্নিগ্ধ, গভীর ও অন্তর্মুখী ভাষায় একজন লেখকের মনের কথা উঠে এসেছে এখানে। আপনার অনুভব, একাকিত্ব, পাঠকের অভাব, আর সেই অভাব পূরণের ছোট ছোট তৃপ্তির মুহূর্তগুলো এত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন—যেন আমরা পাঠকরাও সেই অনুভূতির অংশ হয়ে উঠি।
"বিক্ষিপ্ত ভাবনা" প্রকাশের পর এক প্রাক্তন সহকর্মীর মুখে প্রশংসা শুনে যে প্রশান্তি অনুভব করেছেন, তা নিঃসন্দেহে একজন লেখকের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি—একজন অজানা পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া।
এই লেখাটিও ঠিক সেই কাজটাই করেছে। শুধু লেখকের না, একজন পাঠকের চোখেও লেখা কেমন করে জীবন্ত হয়ে ওঠে—তার বাস্তব উদাহরণ হয়ে থাকবে এটি।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা রইল। লিখে যান নিরবচ্ছিন্নভাবে, কারণ আমরা আছি আপনার কথামালা পাঠের অপেক্ষায়।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটি মন্তব্য- অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন। +
"বিক্ষিপ্ত ভাবনা" প্রকাশের পর এক প্রাক্তন সহকর্মীর মুখে প্রশংসা শুনে যে প্রশান্তি অনুভব করেছেন, তা নিঃসন্দেহে একজন লেখকের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি—একজন অজানা পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া - জ্বী, সেটাই বলতে চেয়েছি। চেনা পাঠকেরা তো প্রশংসা করেনই, অনেকটা হয়তো সৌজন্যের খাতিরে। আবার কেউ কেউ মাঝে মাঝে সমালোচনাও করতে ছাড়েন না। দুটোকেই স্বাগত জানাই। তবে একজন অজানা পাঠকের প্রশংসা নির্ভেজাল হবারই কথা।
১০|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এটাই একজন লেখকের জন্য বড় পাওনা।
একজন পাঠকও যদি পড়ে তাও নিজেকে সার্থক মনে হয়
ভালো লাগলো ভাইজান
লিখাটি এখানে প্রকাশ করবেন আশা করি
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এটাই একজন লেখকের জন্য বড় পাওনা" - জ্বী।
"লিখাটি এখানে প্রকাশ করবেন আশা করি" - সফট কপিটা খুঁজতেছি। পেলেই পোস্ট করে দিব।
১১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
১২|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৫
করুণাধারা বলেছেন: লেখকের ভাবনা যদি পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়, তবে লেখাটা সার্থক হয়েছে বলে মনে হয়। আপনার এই ভাবনার সাথেও আমার ভাবনা মিলে যায়। কবিগুরুর কবিতা মনে পড়ে গেল:
শুধায়োনা, কবে কোন গান
কাহারে করিয়াছিনু দান
পথের ধুলার পরে
পড়ে আছে তারি তরে
যে তাহারে দিতে পারে মান!
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটা উদ্ধৃতি দিয়েছেন, ধন্যবাদ।
১৩|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লেখা পড়ার পরে অচেনা কেউ প্রশংসা করলে বোঝা যায় এই প্রশংসা নির্ভেজাল। পরিচিত লোকের প্রশংসা অনেক সময় ভেজাল হয়। আপনার অপরিচিত সিনিয়র পথে হাঁটার সময় যে প্রশংসা করেছেন সেটা নিখাদ। যে কারণে আপনিও যারপরনাই অভিভুত হয়েছেন। এটা থেকে আপনি আপনার লেখার মান সম্পর্কে এক ধরণের নিরপেক্ষ মতামত বা প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন। যে কোন শিল্পী বা লেখকের ক্ষেত্রে এই ধরণের নিরপেক্ষ মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ। পরিচিত লোকের কৃত্রিম কিন্তু অধিক প্রশংসা অনেক সময় লেখককে বিভ্রান্ত করে। তখন সে নিজের লেখার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "লেখা পড়ার পরে অচেনা কেউ প্রশংসা করলে বোঝা যায় এই প্রশংসা নির্ভেজাল। পরিচিত লোকের প্রশংসা অনেক সময় ভেজাল হয়। আপনার অপরিচিত সিনিয়র পথে হাঁটার সময় যে প্রশংসা করেছেন সেটা নিখাদ। যে কারণে আপনিও যারপরনাই অভিভুত হয়েছেন" - জ্বী, সেটাই আমার সন্তুষ্টির কারণ ছিল।
"পরিচিত লোকের কৃত্রিম কিন্তু অধিক প্রশংসা অনেক সময় লেখককে বিভ্রান্ত করে। তখন সে নিজের লেখার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না" - এটাও ঠিক বলেছেন, একদম ঠিক কথা।
মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৪|
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: @সামিয়া, কবি জাহিদ অনিক এবং কাজী ফাতেমা ছবি,
আপনাদের অনুরোধে সেই লেখাটি আজ পোস্ট করলাম এবং সেটার লিঙ্কও এ পোস্টে দিয়ে দিলাম।
১৫|
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: ফেসবুক নোটের ব্যাপারটা চমৎকার ছিল। নিজের লেখাগুলো চমৎকার ভাবে সাজিয়ে রাখা যেত। গ্রুপে অবশ্য লেখা এলোমেলো থাকে। এর থেকে পেইজ ভাল। তবে লেখা জমা রাখার ব্যাপার ব্লগই সেরা।
ব্লগ বা ফেসবুক লেখকের লেখার স্পীহার অনেকটাই পূরণ করেছে সত্যি তবে ছাপার অক্ষরে যকখন লেখা প্রকাশিত হয়, কোন পত্রিকা কিংবা বই আকারে, তখন লেখকের মনে যে অনাবিল আনন্দের জন্ম হয় সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "তবে লেখা জমা রাখার ব্যাপার ব্লগই সেরা" - জ্বী, অবশ্যই। এখান থেকে অনেক লেখার মাঝ থেকে সুনির্দিষ্ট একটা লেখা খুঁজে বের করে আনাটাও সহজ।
"তবে ছাপার অক্ষরে যখন লেখা প্রকাশিত হয়, কোন পত্রিকা কিংবা বই আকারে, তখন লেখকের মনে যে অনাবিল আনন্দের জন্ম হয় সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না" - এটাও সত্য কথা। এ অভিজ্ঞতা যাদের আছে, কেবল তারাই সম্যক জানে সে আনন্দ ও সন্তুষ্টির গভীরতা সম্পর্কে।
ফেসবুক নোটস কে আমি এখনও মিস করি।
১৬|
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমিও এই ব্যাপারটা আপনার সাথে রিলেট করতে পারলাম, আসলেই ভীষণ আনন্দ হয় কেউ লেখার প্রশংসা করলে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখকগণ তার লেখার উপর পাঠকদের কাছ থেকে কিছু শোনার জন্য মুখিয়ে থাকেন, এটা ঠিক। পাঠকের প্রশংসা বা অনুমোদন পেলে তারা ভীষণ আনন্দিত হন, এটাও ঠিক। তবে লেখকরা কিন্তু ঠিকই বুঝতে পারেন কোনটা মন থেকে করা প্রশংসা, আর কোনটা লোক দেখানো কিংবা শুধুই লেখককে তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে প্রশংসা।
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৭|
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮
সোনালি কাবিন বলেছেন: নিরাভরণ আবেগের স্নিগ্ধ বহিঃপ্রকাশ।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অতি চমৎকার ও কাব্যিক একটি হৃদয়গ্রাহী মন্তব্য। +
অশেষ ধন্যবাদ জানবেন।
১৮|
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার একটি বর্ষণমুখর দিনের কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনা অসাধারণ ছিল। আর এ ধরনের লেখা কাগজে প্রকাশ পেলে সেটা পড়তে আরও ভালো লাগার কথা।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অসাধারণ ছিল" - অশেষ ধন্যবাদ।
"এ ধরনের লেখা কাগজে প্রকাশ পেলে সেটা পড়তে আরও ভালো লাগার কথা" - জ্বী, ঠিক বলেছেন।
১৯|
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: @জাহিদ অনিক,
আমার এ লেখাটিতে আপনি মন্তব্য করেছেন, 'লাইক' দিয়েছেন এবং তার কিছুদিন পরে এসে এটাকে আপনার "প্রিয় তালিকা" তে তুলে নিয়েছেন, এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আন্তরিক শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:১৬
সামিয়া বলেছেন: দীপ শিখায় প্রকাশিত লেখাটি পড়তে চাই প্রিয় লেখক।