![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......
আরণ্যক সাহিত্য চর্চা করবে। কিন্তু তার ভাষা প্রকাশের পূর্ণতা নেই। আচ্ছা ভাষা প্রকাশের জন্যে কি প্রেম করতে হয়। আচ্ছা আরণ্যক যদি কখনো প্রেম করে তাহলে প্রিয়সীকে সে কি দিয়ে অভিনন্দন জানাবে? আরণ্যক ভদ্র ।বিনয়ী। এটা কি তার প্রিয়সীর জন্যে যথেষ্ঠ নয়? আরণ্যকের ইচ্ছে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি সুন্দর মেয়ের প্রেমে দোল খেতে।আচ্ছা আরণ্যককে যদি এখন ক্যাম্পাসে সুন্দরী একটি মেয়ে বলে আরণ্যক তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি। আমি তোমার প্রেমে পড়েছি। মনে করা যাক সে হীমার চেয়েও বেশী সুন্দর মেয়ে । তাহলে কি হবে? আরণ্যক কি তা বিশ্বাস করতে পারবে? হে পারবে। কারণ আরণ্যক জানে বিশ্বজগতে অনেক কিছুই সম্ভব। আবার অনেক কিছুই অসম্ভব। আরণ্যক ঐ মেয়েটিকে কি কলবে? হে কি বলবে তা জানা হয়ে গেছে। সে তখন ঐ মেয়েটিকে যেকোন উপায়ে বোঝাবে তার দ্বারা প্রেম করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন কারণ দেখানো শুরু করবে।কিন্তু আরণ্যক কখনো আসল কারণ বলবে না। কারণ আরণ্যক নিজেকে সুন্দরী মেয়ের অযোগ্য মনে করে। আবার অসুন্দরী মেয়েদেরকে জীবন সঙ্গী বা প্রিয়সী হিসেবে একেবারে ভাবতে পারেনি। আচ্ছা আরণ্যক কি তাহলে দেহ নির্ভর? নারী দেহতে ও খুব পূজা করে। সে প্রসঙ্গে একটু পরে আসি।
আরণ্যক মনে মনে নিজেকে ধন্য মনে করবে। সে মনে মনে মেয়েটিকে বলবে -হে মেয়ে আমাকে ঘৃণা করে একটি ধুলিও আমার গায়ে পড়েনি। কখনো আমার গায়ে একটি প্রজাপতি বা ফড়িং বসেনি। আমি হলাম অপ্রয়োজনীয় দূর্বা ঘাস। আমার কাছে এসো না। কোন এক সময় কোন একটি মেয়ে আমার একটু প্রশংসা করেছিল , তাতে আমি ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আমি আর সেই মেয়ে ধারে কাছে যায়নি। তাহলে কি নারী কাতররা এরকম হয়? আরণ্যক কি নারী কাতর?
আচ্ছা নারীরা কি দিয়ে তৈরি? সুন্দরী মেয়েরা এত সুন্দর হয় কেন? সুন্দর্যইকি সম্ভব? হিমা এত সুন্দর কেন? হিমার চেয়েও সুন্দরী অনেক মেয়েতো আছে? তাহলে হিমাকে এত সুন্দর লাগে কেন? হিমা কি অন্য মেয়েদের মত নয়? আচ্ছা হিমাকে নিয়ে একটি সুন্দর বড় কবিতা লিখলে হয়। হে আরণ্যক লিখতে বসে গেল। আশেপাশে কেউ নেইতো। না কেউ নেই। না হিমার সুন্দর্য ও হিমার প্রতি ভালোবাসা কোন কবিতায় লেখা সম্ভব নয়। সে যদি বড় সাহিত্যিক হয় তবুও সম্ভব নয়। বিন্দুমাত্র সম্ভব নয়। আচ্ছা প্রতিটি পুরুষ কি আরণ্যকের মত হয়?
হতে পারে। আরণ্যক ভাবে। নাওতো হতে পারে। আচ্ছা হিমাকে নিয়ে কবিতা লিখলে হিমাকে ছোট করা হবে। হিমা অনেক বড়। আচ্ছা কাউকে বড় ভাবা এটা কি ভদ্রতা? নিজেকে ছোট ভাবা একা কি ভদ্রতা? আরণ্যক কলা ভবনের ক্যাম্পাসে হাটে আর ভাবে।
আচ্ছা মন আগে ? ধর্ম আগে? ইচ্ছা আগে? নাকি বিবেক আগে? আরণ্যক কোনটাকেই তো বাঁধতে পারল না।
আরণ্যক চলছে আর ভাবছে। পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে।কেউ তার সাথে কথা বলবে না। তাকে চিনলেও তার সাথে কথা বলবে না। কারণ আরণ্যককে সেরকম করে করে কেউ ভাবতে পারেনি। আরণ্যকের সাথে কথা বলে কেউ সময় নষ্ট করবে না। আরণ্যক হাটছে । তার প্রতিটি পদক্ষেপ যেন আলাদা।গায়ের ঘাম ও পায়ের ব্যথা আরণ্যকের সাথে কথা বলে। আরণ্যককে তার হাটুতে বলেছে, গায়ের ঘামে বলেছে তুমি একদিন অনেক বড় হবে আরণ্যক । কিন্তু কোথায় বড় হওয়া? বড়তো সে হতে পারলো না? আর কতদূর গেলে সে হিমাকে পাবে? সুন্দরী মেয়েদের অনেক প্রশংসা পাবে?
আচ্ছা নারীর শরীর নিয়ে একটু গবেষণা করলে হত না । একটা নারীর সুন্দর হাত দুটি কেটে দেখলে কি পাওয়া যাবে। বুকের স্তন দুটি কাটলে কি পাওয়া যাবে? রক্ত ও মাংস । হিমাওতো তাই। আরণ্যকের কারোর সাথে কথা বলার সময় নেই ।তার ভাবনারও শেষ হল না। এত ভেবেও হিমাকে সে ছোট চোখে ভবেতে পারল না। সাহিত্য চর্চাও করা হল না। আরণ্যক বুকে একটা টানা শ্বাস খেলা করছে। মনে হচ্ছে সমস্ত পৃথিবীর মাঝে সেই সব থেকে ছোট।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: খালিদ১২২


আপনার অরণ্যকনামা ভালোলেগেছে !
তাই একটা লাইক দিয়ে গেলাম!