![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......
আমি প্রথমেই বলে রাখি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুব বেশী না। তবে রবীন্দ্রনাথ সম্পের্কে আমার আগ্রহ হয়। রবীন্দ্রনাথকে আমার কাছে মহাবিশ্বের একজন বিস্ময়কর মানুষ মনে হয়। তিনি খুব প্রেমময় মানুষ ছিলেন। তার সংসার ,সন্তান , সম্পদ, বংশ পরিচয়, সম্মান সবই ছিল।
কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গান ও কিছু কিছু ডাক শুনলে মনে হয় তিনি খুবই নিশ্বঙ্গ ছিলেন। তবে একথা কোথাও শুনিনি যে- রবী ঠাকুর নিশ্বঙ্গ ছিলেন। আমার মনে হয় এ বিষয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে।
এবার বলি রবী ঠাকুর যে গান ও কবিতা লিখেছে। তা একজন নিশ্বঙ্গ মানুষের পক্ষেয় সম্ভব।তিনি হয়তো খুব অসুখী ছিলেন। নিজের অশান্তি ঢাকতে গান লিখতেন।
এবং তার অসংখ্য গানে তিনি এক অসম্ভব ভালোবাসার সন্ধান দিয়েছেন। যে ভালোবাসা হয়তো তিনি নিজেও পাননি।সেটায় তার কষ্ট ।সেই কষ্ট থেকে তিনি গান লিখেছেন। তার ভালোবাসা পাওয়ার খুব লোভ ছিল। সে ভালোবাসা তার স্ত্রী বা প্রেমিকা বা প্রিয়সী কেউ-ই তাকে দিতে পারেনি। নিজের কষ্ট ঢাকতে তিনি ভালোবাসার গান লিখেছেন। । তিনি যে অসম্ভব ভালোবাসার সন্ধান করেছেন তা কেবলি স্বর্গীয় ও অবাস্তব। অর্থাৎ তার কপালেও তা জোটেনি।
কয়েকটা কলি দিলাম-
তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রবদতারা।- এখানে কে এই ধ্রবতারা?
আমি কান পেতে রই। -কোথায় কান পেতে রই?
পাতার ভেলা ভাসায়।– কেন তিনি সত্যিকারের ভেলা না ভাসিয়ে পাতার ভেলা ভাসালেন।
কতবারো ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া- কেন তিনি আপনা ভুলেছেন? কার জন্যে আপনা ভুলেছেন?
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে।-
কেন তার ডাক শুনে কেউ আসে না? কেন তিনি একলা চলবেন।
ইত্যাদি।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১১
খালিদ১২২ বলেছেন: গানের কথা সেকথা বলে না
জোনাকি কি সুখে ঐ ডানা তুমি মেলেছে।
কেন তার জোনাকির সুখের প্রতি এত হিংসা।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৫
নাগরিক কবি বলেছেন: সে আমার বন্ধু ছিল। আমি সব জানি। । ছ্যাকা খাওয়া গান হলেই কি মানুষ নিঃসঙ্গ হয়!!
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২০
খালিদ১২২ বলেছেন: এই লেখাটি আপনার মত রক্ষণশীলদের জন্যে নই
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৮
নাগরিক কবি বলেছেন: জি, তবে আমি যা বলছি তা কিন্তু সত্য। আপনি রবীন্দ্রনাথ এর অন্য কোন লেখা কি পড়েন নি! আপনার কি সন লেখা পড়ে মনে হয়েছে উনি একজন নিঃসঙ্গ মানুষ।
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:০৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রবদতারা।- এখানে কে এই ধ্রবতারা?
এই কলিটি কি কবি কে নিঃসঙ্গ বুঝায় , এখানে কবি যাকে পরম আত্না ভাবতেন তাকে চীরসত্য রূপায়িত করেন।
যেমন একযায়গায় " মাঝে মাঝে দেখা পাই চীর কাল কেন পাই না" - কাকে কবি চীরকাল দেখতে চান?
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
খালিদ১২২ বলেছেন: প্রতিটি জায়গায় তিনি ভিন্ন কিছুর সন্ধান দিচ্ছেন। যেমন পরমাত্মা। আর বারবার তাকে খোঁজা নিশ্বঙ্গতা থেকে আসছে।
৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:২৯
কানিজ রিনা বলেছেন: আপনি সুনীলের প্রথম আলো দুই খন্ড কিনে
নিন সবই জানতে পারবেন। তবে রবীন্দ্রনাথ
স্ত্রী বিয়োগের পর এক কন্যা সন্তান যক্ষা
রোগে মৃত্যুর পর নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে
করতেন। ধন্যবাদ
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
খালিদ১২২ বলেছেন: ধন্যবাদ
কিন্তু ঠাকুরের ভেতরের কথা মানে গানগুলো বলছে তিনি ভিন্ন কিছু খজছেন
৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: নিঃসঙ্গতা ভেতর থেকে আসে। বাহিরের কেহ উহা পূরণ করিতে পারে না। কবি , সাহিত্যিক , লেখক , বুদ্ধিজীবীদের (আমাদের দেশের গলাবাজ বুদ্ধুজীবী নহে ) নিঃস্বঙ্গতা থাকিতে হয়। না হইলে সৃষ্টিশীল কাজ করিতে পারা যায় না। তবে সৃষ্টিশীলতা এক যন্ত্রনা বিশেষ।
এক অস্থিরতা। এই অস্থিরতা দূর করিতেই সৃষ্টিশীল মানুষেরা এক আধটু লুচু হয়।
তবে এই লুচ্চামি নিঃসঙ্গতা দূর করিতে পারে না। তাই দেখা যায় নজরুল বার বার প্রেমে পড়িয়াছেন ! রুদ্র কে তসলিমা নাসরিন পতিতালয় থেইকা ফিরাইতে পারে নাই ! রবীন্দ্রনাথের পিতার মালিকানাধীন ৩৩ টা পতিতালয়ও নিঃঙ্গতা দূর করিতে পারে নাই। তাসলিমাতো কবি সাহিত্যিকদের ল্যাংটা করিয়া দিয়াছেন ! বহু কবি সাহিত্যিকের পতিতা গমনের অভ্যাস ছিল , আছে। সুতরাং রবি ঠাকুরের মুরিদগণ ঝাপাইয়া পরিয়েন না। বাংলা সাহিত্যের আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বলিতেন, কবি সাহিত্যিকরা এক আধটু ইয়ে হয় , বলিয়া তিনি হাসিয়া দিতেন। আমরা বুঝিয়া লইতাম ! মানিয়া লইতাম। কি আর করা। সৃষ্টিশীল মানুষের সংসার এই কারণে সুখী হয় না। ইহারও ভুরি ভুরি প্রমান আছে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
খালিদ১২২ বলেছেন: হে কবিদের কষ্ট , অনুভূতি ও নিশ্বঙ্গতা থেকে সাহিত্য আসে
৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮
মহেড়া বলেছেন: রবি ঠাকুরের ছোট বেলাটি সত্যিই নিঃসঙ্গ ছিল। তিনি সেই সময়টি তাঁদের বাড়িতে বংশ পরিচয়হীন মূল্যায়ণহীন ভাবীর সাথে কাটেছে। জানালা দিয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে বাহিরের জগত-আকাশ দেখেছে এমন অনেক সময় ছিল। পরে বড় হলে আবার তাঁর উল্টোটি ঘটেছে। তখন পুরোপুরি স্বাধীন। ছিলেন বিলেতে। এর এই নিঃসঙ্গতার জন্যেই তিনি বিলেতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনি। তাই ছেড়ে চলে আসেন। তবে ঐ বিলেতকালীন সময়ে তিনি অনেক বড় মনের কিছু মানুষের সাথে মেশেন। দেশে এসে তিনি আবার অনেক মানুষের সানিধ্য পান কারণ বিলেত ফেরত। এই দেশে আবার বিলেত ফেরতের অনেক কদর ছিল, বিলেত থেকে সে কি নিয়ে এসেছে বা করে এসেছে এটা কোন বিষয় নয়। তাই পরে দেশে এসে আর একা থাকতে পারেনি,কিন্তু তিনি ছেলেন মূলত নিঃসঙ্গ। তিনি অনেক কোমল মনের ছিলেন বলে কারো সাথে রূঢ় আচরণ করতে পারতেন না। রবি ঠাকুরের নিঃসঙ্গতার অনুষঙ্গ কখনো শেষ হয়নি। এক সময় পারিবারিক জীবনে,ব্যাক্তি জীবনে আবার আত্মিক জীবনে। তবে তিনি অসুখী ছিলেন না কখনো। তিনি নিজের ভেতর ভাবনার জগত এবং সুখ তৈরি করতেন। আরো অনেক কথা আসে কমেন্ট তো কত বলা যায়। কথার বিপরীতে রেফারেন্স দিলাম না কলেবর বাড়বে বলে। অলসতার ব্যাপার তো আছেই। তবে আপনার আলোচনার বিষয়টি ভালো লেগেছে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১
খালিদ১২২ বলেছেন: মানুষের নিশ্বঙ্গতা বাইরে থেকে বোঝা যায় না
৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০৬
মহেড়া বলেছেন: রবি ঠাকুরের মধ্যে লুচুমী{অন্যরা যেভাবে বলেন} ছিল না। থাকতে তিনি কিছু লেখা আছে উনার যেগুলো উনি লিখতে পারতেন না। আর ঐ সময়ের প্রেক্ষাপট তো আজকের দিন না। উনি মানুষের মননের সাথে মিশে যেতেন, যারা এমনটি মিশে যায় তারা লুচু হতে পারে না। এমনটি যার বেলায় ঘটেনি তিনি এটি তেমন জানবেনই না আমি মনে করি। অগাধ ভালোবাসা ছাড়া এত লেখা হয় না।
" তোমায় যেন হয়নি পাওয়া সেই কথা রয় মনে"[ ঈশ্বরকে]। গীতাঞ্জলী
"আমারে কে নিবি ভাই সপিতে চাই আপনারে"
"ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে"
[ ঈশ্বরের জন্যে কান্না। ]
গীতিবিতান
"এ চির জীবন তাই আর কোন কাজ নাই রবি শুধু অসীমের সীমা
আশা দিয়ে ভাষা দিয়ে তাহে ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলি মানুষী প্রতিমা"
মানসী
"ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল
স্থলে-জলে-বনোতলে লাগলো যে দোল"
এগুলো লুচুমী দিয়ে হবে না। কেউ চাইলেও পারবে না।
৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২০
খালিদ১২২ বলেছেন: লুচ্চমি লেখককে লেখায় প্রভাবিত করে। এটা ভাবতে পারিনি।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৭
নাগরিক কবি বলেছেন: না! রবী ঠাকুর খুব উৎফুল্ল মানুষ ছিল