নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সুন্দর করে সাজাও । আমি নারী তাই কথাও বলি নারীদের নিয়ে।

কামরুননাহার কলি

আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।

কামরুননাহার কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প “মৃত্যুকূপ”

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯



ক’দিন যাবৎ হঠাৎ করে নন্দিনীর মা অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। মায়ের পাশেই নন্দিনী বসে আছে। ঘরে একটা টাকাও নেই যে মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। কলসিতে হাত দিয়ে দেখে সেখানেও বেশি একটা চাল নেই, ফুরিয়ে গেছে। হাড়িতে পান্তা ভাত ছিল; তার থেকে কিছু মাকে দিয়ে নন্দিনীও খেয়ে নিল। কিন্তু এই পান্তা ভাত খেয়েতো মা আরো অসুস্থ হয়ে যাবে। কি করবে ভেবে পাচ্ছে না নন্দিনী। রাত হয়ে গেছে, নন্দিনী আর মা ঘুমিয়ে পড়ল। সকালের মিষ্টি সূর্যের আলো এসে নন্দিনীর মুখের উপর একরাশ আলো ছড়িয়ে দিলো। ঘুম ঘুম চোখে নন্দিনীর মনে হলো ওর মা চোখে মুখে আদর মেখে দিচ্ছে। এরই মধ্যে কিসের শব্দে যেন হঠাৎ নন্দিনীর ঘুম ভেঙে গেলো। ঘুম থেকে উঠে দেখলো মা খুব হাঁপাচ্ছে, মায়ের খুব কষ্ট হচ্ছে। নন্দিনী ডাকলো, “ও মা, কি হয়েছে তোমার? এমন করছো কেনো তুমি? খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার? ওমা, মা, কি হলো তোমার!” নন্দিনীর চোখে মুখে হতাশার ছাপ। কি করবে এখন? কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে এখন নন্দিনী? কেউ তো নেই ওর পৃথিবীতে মা ছাড়া। এখন যদি এই মা’টাকেও হারায় কোথায় যেয়ে দাড়াবে নন্দিনী?

ঘর থেকে দৌড়িয়ে রমেজ কাকুর বাড়ির দিকে গেল নন্দিনী। পৃথিবীতে যদি নন্দিনীদের দিকে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে সেই মানুষটি হলো রমেজ কাকু। একমাত্র উনিই আছেন নন্দিনীদের একটু-আধটু সাহায্যের জন্য। আর রমেজ কাকুর বাড়িতেই মা একটু-আধটু কাজে হাত লাগান কাকি’মার সাথে। হাঁপাতে হাঁপাতে নন্দিনী রমেজ কাকুর বাড়িতে গিয়ে উঠলো। রমেজ কাকু নন্দিনীকে দেখে বলল, “কি রে নন্দিনী, কি হয়েছে? এমন করে হাঁপাচ্ছিস কেনো?” নন্দিনী বলল, “কাকু আমার মা!” কাকু জিজ্ঞাসা করলেন, “কি হয়েছে তোর মায়ের?” নন্দিনী বলল, “কাকু মা কেমন জানি করছে। মনে হয় আমার মাকে আর বাঁচানো যাবে না গো কাকু। চলো না কাকু, আমার মাকে একটু হাসপাতালে নিয়ে যাবে।” রমেজ কাকু বুড়ো মানুষ। তাই তার ছোট ছেলেকে ডেকে বললেন, “অপু, তুই একটু নন্দিনীর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে আয় তো বাবা।” অপু নন্দিনীর সাথে বাড়ি গেলো এবং ওর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিলো।

পৃথিবীটা বড়ই অদ্ভুত! কখন যে এর রঙ পাল্টায়, এর কার্যকরণ সম্পর্কে কেউ জানেনা। অপু নন্দিনীর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে সব ঠিকঠাক করে দিলো। অপু নন্দিনীর কাছে এসে বলল, “নন্দিনী, আমি সবকিছু ঠিক করে দিয়েছি, এখন তুমি তোমার মায়ের কাছে থাকো। ডাক্তারকে বলে দিয়েছি, উনি এসে কিছুক্ষণ পরপর দেখে যাবেন, কেমন। তুমি ভয় পেয়ো না, তোমার মা ঠিক হয়ে যাবেন।” অপু নন্দিনীর দিকে চেয়ে, মনে মনে ভাবলো, কতই আর বয়স হবে মেয়েটার! হয়তো ১৪/১৫ , এর বেশি তো আর না। কিন্তু দেখ বিধাতার কি নিয়তি, মানুষকে কতটা অসহয় ভাবে থাকতে হয়। মেয়েটার মা ছাড়া কেউ নেই পৃথিবীতে। যদি এই মা’টাই না থাকে তাহলে কোথায় যাবে মেয়েটা! এগুলো ভাবতেই অপুর চোখের কোণে একটু জল বেয়ে পড়ে। পিছন ঘুরে অপু যখন যাইতে নিবে তখন হঠাৎ, পিছন থেকে ডাকা দিলো, “অপু দা, তুমি খুব ভালো, খুব ভালো।” অপু নন্দিনীর দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে নন্দিনীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, “ঠিক আছে, তুমি তোমার মায়ের পাশে থাকো। আমি আবার এসে তোমার মাকে দেখে যাবো। এর মধ্যে যদি কিছুর প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে খবর দিয়ো, কেমন?” নন্দিনী বলল, ‘ঠিক আছে , অপু দা ।”
নন্দিনীর মা এখন একটু সুস্থ। তবে কি রোগ হয়েছে তা জানা যায়নি । একটু একটু কথা বলতে পারে। মায়ের পাশেই সারাক্ষণ বসে থাকে নন্দিনী, কখন কি লাগে না লাগে সেই জন্য রাতও জাগতে হয় নন্দিনীর। কত দিন যে ঠিক মতো ঘুমায়নি নন্দিনী সেটাও ভুলে গেছে। সারাক্ষণ একটাই ভয়, মা যদি হারিয়ে যায় তখন কি করবে নন্দিনী। মা ছাড়া তো আর কেউ নেই ওরা।

আজকের রাতে নন্দিনীর মায়ের বুকের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছে। মায়ের সাথে ও বিড়বিড় করে কথা বলছে, মা-ও ইশারায় মেয়েকে অনেক কিছু বলতেছে, হাসতেছে। আজ একেবারেই অন্যরকম লাগছে নন্দিনীর। কিন্তু নন্দিনী যে কখন ঘুমিয়ে গেছে টেরই পায়নি মা। মেয়েকে আজ অনেক দিন পর হাত বুলিয়ে আদর করে ঘুম পড়িয়ে দিয়েছে। , কিন্তু মায়ের মনটা কেনো জানি খুব খারাপ লাগছে। মনে মনে ভাবছে যদি একটু ঘুমাতে পারতাম হয়তো ভালো লাগতো। এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে যে ইচ্ছে করছে না, কারণ এই জগতে যে তার আদরের ধন নন্দিনী রয়েছে। চলে গেয়ে মেয়েটা বড় একা হয়ে যাবে। ওকে দেখার জন্য যদি কেউ থাকতো তাহলে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে একটুও আফসোস হতো না। ওপারে যেয়ে শান্তি ঘুমাতে পারতাম। কিন্তু এখানে ওকে একা রেখে কি করে শান্তিতে ঘুমাবো উপরে যেয়ে! এসব ভাবতে ভাবতে মায়ের চোখের কোণ দিয়ে জলে গড়িয়ে পড়লো বালিশের উপর। অঝড়ে ঝড়তে থাকে এই চোখের অচেনা জলরাশি, ব্যথায় ভরে ওঠে বুকের পাজর। চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছে করে আর বলতে ইচ্ছে করে, “হে বিধাতা, তুমি কেমন নিষ্ঠুর! আমার মেয়েটাকে একা করে দিতে চাও, এটা কেমন বিচার তোমার! তুমি তো অসীম দয়ালু, আমার জন্য না হয়, তুমি এই নিষ্পাপ মেয়েটির জন্য আমাকে বাঁচিয়ে রাখো।” মায়ের বুক ভিতর থেকে কষ্টে চৌচির হয়ে যাচ্ছে, মুখ দিয়ে আর যেনো কথা বের হতে চায় না। বারবার দম আটকিয়ে আসছে।

রাত এখন তিনটের কাছকাছি, নন্দিনী ঘুমাচ্ছিলো, আসেপাশের সাবইও ঘুমের ঘোরে আছে, কেউ জেগে নেই। মায়ের এমন ছটফট শব্দে নন্দিনীর ঘুম ভেঙে গেলো। জেগে উঠে মায়ের মুখের ‍দিকে তাকিয়ে বলল, “কি হয়েছে মা তোমার? খুব খারাপ লাগছে? তুমি এমন করছো কেনো মা? ও মা তুমি তো রাতেও ভালো ছিলা, আমার সাথে কথা বললা, হাসলে। এখন কি হলো মা তোমার!” নন্দিনী মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলো মায়ের অবস্থা একেবারেই খারাপ হচ্ছে। এই গভীর রাতে কেউ জেগে নেই, সবাই যে যার মতো করে ঘুমাচ্ছে। শুধু পাশের বেডে নন্দিনীর মায়ের বয়সী একজন মহিলা স্বামীর মাথার পাশে বসে আছেন। এছাড়া মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীজাতি ঘুমের রাজ্যে পড়ে আছে। তবে এই রুমের আশেপাশের বেড গুলো থেকে কান্নার শব্দ আসছে। কেউ দৌড়াচ্ছে, কেউ কাঁদছে,
কেউ বা আবার চিৎকার চেঁচামেচি করছে। হয়তো হাসপাতাল ছাড়া পৃথিবীর সব সুখের রাজ্যের প্রাণিকূল ঘুমিয়ে আছে। পাখিরা ঘুমাচ্ছে, গাছেরা ঘুমাচ্ছে, সুখি মানুষগুলো ঘুমাচ্ছে। শুধু জেগে আছে নন্দিনীর মতো অসহায় মানুষগুলো। বিধাতা মনে হয় ওদেরকেই অসহায়ের পথে বসিয়েছেন।

নন্দিনী আর বসে থাকলো না, দৌড়িয়ে নন্দিনীর পরিচিত ডাক্তারের চেম্বারে চলে গেলো। কিন্ত ডাক্তার সাহেব চেম্বারে নেই। তবে পাশেই অন্য একজন ডাক্তার দেখলো । নন্দিনী কাদেতে কাদেতে তার কাছে গিয়ে বলল, “ও ডাক্তার বাবু আসো না, মা কেমন যানি করছে। এবার মনে হয় আর বাঁচবে না গো আমার মা। এসো না মাকে একটু দেখে যাও না গো।” ডাক্তার বলল, “ যা তো কাল সকালে দেখবো এখন না। এখন রাত ক’টা বাজে ঘড়িতে দেখেছিস?” । “যতটাই বাজে, তুমি চলো না আমার মায়ের কাছে, একটু দেখে এসো। ডাক্তার বলল, “আরে বললাম না কাল যেয়ে দেখবো! নন্দিনী খুব রেগে গেলো, কেনো যাবে না তুমি এখন? কাল কি যাবে আমার মায়ের মরা মুখখান দেখতে? তোমাদের কাছে কি মানুষ আসে চেহারা দেখাতে না রোগ দেখাতে? যে ক’টাই বাজে, তোমাদের রোগী দেখার দায়িত্ব রোগী দেখবে, চলো বলছি আমার সাথে।” নন্দিনী ডাক্তার বাবুর শার্ট ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেল। ডাক্তার নিরূপায় হয়ে নন্দিনীর সাথে গেল। ডাক্তার বাবু নন্দিনীর মায়ের হাত ধরে কি যেন দেখে অচমকা নিচের দিকে তাকিয়ে আছেন। নন্দিনী বলল, “কি হলো ডাক্তার বাবু, মা ভালো আছে তো, কথা বল না কেন? ও ডাক্তার বাবু”।
ডাক্তার বাবু নন্দিনীর ‍দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, “নন্দিনী তোমার কি আর কেউ নেই?” মানে তোমার বাবা, ভাই-বোন এরা কেউ নেই?” নন্দিনী নিচের দিকে তাকিয়ে বলল, “না ডাক্তার বাবু। আমার মা ছাড়া কেউ নেই এই পৃথিবীতে, কেউ নেই। শুধু আমি আর মা এই দু’জনই আছি পৃথিবীতে। ডাক্তার বাবু, আমার মা-ও যদি চলে যায় তাহলে আমি কাকে নিয়ে থাকবো? তুমি একটু দেখো না আমার মায়ের কি হয়েছে, কথা বলছে না কেন, চোখ দিয়ে তাকায়ও না কেনো। কি হলো বলো তো মায়ের।? কিন্তু ডাক্তাব সাহেব নন্দিনীর কথায় একে বারেই থমকে গেলেন, পৃথিবীর কোনো ভাষাই নেই আজ ডাক্তার বাবুর কাছে। ডাক্তার সাহেব মনে মনে বললেন, “মাটি তুই দু’ভাগ হয়ে যাও, আমি তোমার মধ্যে চলে যাই”। নয়তো আকাশ তুমি আমাকে এই পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাও, যাতে নন্দিনীকে আমার শান্তনা দিতে না হয়।

এই জীবনে কত রোগী দেখেছি, কত মানুষকে নির্মমভাবে মরতে দেখেছি চোখের সামনে; কোনো দিনতো এমন অসহায় লাগেনি, কোনদিন তো চোখের জল এভাবে পড়তে দেখিনি। তাহলে আজ কেন বলতে পারছি না নন্দিনীকে, আজ কেনো মুখে বাঁধছে নন্দিনীকে বলতে যে, “তোমার মা আর পৃথিবীতে নেই “সি ইজ ডেথ” কেনো বলতে পারছি না, নিয়ে যাও তাকে বেড খালি করে দেও। কিন্তু ডাক্তার বাবু আর দাঁড়াতে পারলেন না, দ্রুত সেখান থেকে চলে গেলেন। নন্দিনী ডাক্তার বাবুর পিছন পিছন দৌড়ে গেলো, “ও ডাক্তার বাবু, তুমি চলে যাচ্ছো কেনো, বলে যাও আমার মায়ের কি হয়েছে, আমার মা ঠিক আছে তো”? ডাক্তার বাবু একজন নার্সেকে পাঠালেন। নার্স এসে বলল, “তোমার মা মারা গেছেন সে আর নেই, এখন তাকে বাড়িতে নিয়ে যাও।” নন্দিনী নার্সের কথা সহ্য করতে পারলো না। নন্দিনী বলল, “তমি মিথ্যে বলছো আমাকে, আমার মা বেঁচে আছে, আমার মায়ের কিচ্ছু হয়নি। মা, ওমা, দেখ না ওরা কি সব বলছে। তুমি নাকি নেই! তুমি নাকি মারা গেছো! ওমা তুমি উঠো তো। সবাই কে দেখিয়ে দেও তো, তুমি বেঁচে আছ। আমাকে ছেড়ে তুমি কোথাও যাওনি।, যেতে পারো না, বলো না মা। মা, ওমা কথা বলছো না কেনো?” নন্দিনীর কান্না শুনে পাশের বেডের সবাই চলে আসলো। নন্দিনীকে সবাই বলল তোমার মা আর নেই, উনি মারা গেছেন। তোমার যদি কেউ থাকে তাহলে তাদর আসতে বল, তারা নিয়ে যাবে বাড়িতে।
এবার নন্দিনী সবার কথায় বুঝতে বাকি রইলো না, যে সত্যিই মা মারা গেছে, মা আর নেই। এখন নন্দিনী চিৎকার করছে আর বিলাপ করে বলছে, “আমাকে ছেড়ে তুমিও চলে গেলে মা! আমাকে এখন কে দেখবে, আমাকে কার কাছে রেখে গেলো মা তুমি? নন্দিনীর চিৎকারে পুরো হাসপাতাল ভারী হয়ে গেছে, থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। থমকে গেছে পাহাড়-পর্বত আকাশ-বাতাশ। আজ সাগরের গর্জন থেমে গেছে, নদীর পানি নিরব হয়ে গেছে। ভারী হয়ে গেছের গাছের পাতা। মনে হচ্ছে নন্দিনীর কান্নার ভাগ সবাই নিয়েছে আজ- হঠাৎ দূর থেকে ভেসে আসছে একটি সঙ্গিত-
মনরে... ও মনরে
দূরে চলে যাবি যদি?
একটা করে কেনো গেলি?
সঙ্গে করে কি পারলি ,
নারে নিতে আমায়।
মন...ও মনরে।

এই গল্পটিতে আমি তৃতীয় স্থান অধিকার করিছি। বেসরকারি বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক এ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পুরস্কার পাওয়ার মত গল্পই বটে! ভাল লেগেছে।
তা পাঠক ৬ জন কেন ? আপনি কি প্রথম পাতায় এক্সেস পান নি ?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: না ভাইয়া আমাকে এখনো প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ দেয়নি কেনো দেয়নি তাও জানিনা।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: পুরস্কার পাওয়ার মতই গল্প। ভালো লাগল।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

ঋতো আহমেদ বলেছেন: সুন্দর গল্প। ভাল লাগলো।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ ঋতো আহমেদ ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.