নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সুন্দর করে সাজাও । আমি নারী তাই কথাও বলি নারীদের নিয়ে।

কামরুননাহার কলি

আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।

কামরুননাহার কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমুসলিমদের কাছে কোরআন এবং বিজ্ঞান কী?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩



ইসলাম কি? অমুসলিমদের কাছে কোরআন আর বিজ্ঞান কি? অমুসলিমদের বিশ্বাস কোরআন নয় বিজ্ঞানই হলো সব। তাদের বিশ্বাস বিজ্ঞান থেকেই কোরআন এসেছে। এখন আসল কথা হলো- “যে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছাকে সৃষ্টিকর্তার উপর সম্পর্ণ করে সেই হলো প্রকৃতি মুসলিম”। অমুসলিদের সব থেকে বড় ভুল ধারনা হলো- তারা মনে করে ইসলাম একটি নতুন ধর্ম আর রাসূল (সাঃ) এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু তারা জানেনা যে ইসলাম পৃথিবী সৃষ্টিকাল থেকেই এসেছে। যখন থেকে মানুষ পৃথীবিতে পা রেখেছেন তখন থেকেই ইসলাম শুরু হয়েছে। "Islam is there since man set foot on this earth." আর রাসূল (সাঃ) হলেন ইসলামের সর্বশেষ এবং চূড়ান্ত রাসূল। আর পৃথীবিতে আসা ১০৪ খানা কিতাবের মধ্যে কোরআন হলো সর্বশেষ কিতাব। কোরআনের প্রতিটা আয়াত হলো প্রত্যেক মানুষের জন্য শিক্ষা বা ভিত্তি যা পৃথীবিতে এসেছে চোদ্দশত বছর আগে।



অমুসলিমরা বিশ্বাস করেনা যে একমাত্র কোরআনই হলো মানুষের জীবনের ভিত্তি। তারা বুঝতে চায়না যে, কি ভাবে মানবজাতির জীবন-সামগ্রীক, সকল দিক-নিনদের্শনা সাড়ে ১৪০০ শত বছরের পুরনো পবিত্র গ্রন্থে পেতে পারি। তারা বুঝতে চায়না যে, পবিত্র কোরআন হলো মানবতার প্রকাশিত ঘোষনার দয়া ও জ্ঞানের ভান্ডার। এই পবিত্র কোরআন হলো- “বিপদগামীদের দিক নিদের্শনা, অসর্তকদের সর্তক বানী, দ্বিধা গ্রস্থাদের জন্য নিশ্চয়তা, নিপীড়নদের জন্য শান্তনার বানী, এবং হতাশা গ্রস্থদের জন্য আসার আলো”। তাই কোরআন হলো পৃথীবির সবচেয়ে পবিত্র এবং সর্বশেষ্ট গ্রন্থ বানী। অমুসলিমদের মতো কোন বিজ্ঞান যদি বলে- যে পৃথিবী সমতল! তাহলে কি এ যুগে এসে কোন মানুষ এটা বিশ্বাস করবে? নিশ্চয় না।


তাহলে আজ আমরা দেখবো কোরআন কি আধুনিকতার ছোয়া নাকি বেমানান। নোভেল পুরুষ্কার বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein) তিনি বলেছিলেন- ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান খোঁড়া, এবং বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ "Science Without Religion Is Lame And Religion Without Science Is Blind" তাই পবিত্র কোরআন কোন বিজ্ঞান বই নয়, এর মানি Science এর বই না। "The Quran is not a Book Of S-C-I-E-N-C-E, But it's a Book of S-I-G-N-S" কোরআন হলো সাইন এর বই। যার অর্থ এই বইয়ের আয়াত ছন্দে আবদ্য করা। আর এই পবিত্র কোরআনে রয়েছে ৬৬৬৬ "Signs" অর্থাৎ ছয় হাজার ছয়শত ছিষট্টিটি আয়াত যার মধ্যে এক হাজারেরও বেশি আয়াত বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। আসুন এবার দেখি পবিত্র কোরআনে বিজ্ঞান নিয়ে কিছু আয়াত।


Earth Theory, (পৃথীবি):
কয়েক যুগ আগে ধরুন ১৯৪৬ অথবা ১৯৭০ দশকের দিকে এক দল বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন, তারা নোভেল পুরুষ্কারও পেয়েছেন।তাদের একসাথে বলা হয়- বিগ ব্যাং "Big Bang" এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন পৃথীবি সৃষ্টি সম্পর্কে, অর্থাৎ মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব সম্পর্কে। তারা ব্যাখ্যা করেছেন- “প্রথমে এই বিশ্বজগত ছিল একটা বিন্দু, তারপর একটা বিস্ফোরণ হয়ে সব কিছু আলাদা আলাদা হয়ে যায়। এরপর সৃষ্টি হলো গ্রালাক্সি, নক্ষত্র, গ্রহ, সূর্য্য এবং পৃথীবি যেখানে আমরা বাস করি। আর এই দলের বিজ্ঞানীদের নাম হলো "Big Bang"। বিশ্বজগত বিন্দু থেকে বিস্ফোরণের কথা আমরা জানতে পেরিছি মাত্র ৪০/৫০ বছর আগে। কিন্তু পবিত্র কোরআনে এর সম্পর্কে লেখা আছে সেই চোদ্দশত বছর আগে। সূরা আম্বিয়া, সূরা নং ২১, আয়াত নং ৩০- “কাফেরেরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশ ও পৃথীবি মিশে ছিল, আর আমি তা পৃথক করে দিলাম, পানি হতে সব প্রানী সৃষ্টি করলাম, তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না”। তাহলে বিজ্ঞান ৪০/৫০ বছর আগে যেটা বলল সেটা কি করে ১৪০০ শত বছর আগে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন, কি করে? তারপরও কি করে অমুসলিমরা বলে কোরআন কোন মানুষের সৃষ্টি, কোরআনে যা আছে সে গুলো অনেক আগে থেকে বিজ্ঞান জানে! আশ্চর্য।


বহু যুগ আগের মানুষ মনে করতো পৃথীবি সমতল ভূমি। এরপর ১৫৭৭ শতাব্দীতে "স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক", (Sir Francis Drake) তিনি জাহাজে করে পৃথিবীর চারপাশে ঘুড়ে আসলেন তখন তিনি প্রমাণ করলেন যে, “আমরা যে পৃথীবিতে বাস করি তা একটা বর্তুল আকারের”। কিন্তু পবিত্র কোরআনে এ কথাটি বলেছেন আল্লাহ সেই চোদ্দশত বছর আগে। পবিত্র কোরআনে আছে, সূরা না-যি-আ-ত্ সূরা নং ৭৯, আয়াত নং ৩০- “এবং তিনি পৃথিবীকে করেছেন ডিম্বাকৃতি বা বিস্তৃত” এখানে বলা হয়েছে পৃথীবি বলের মতো গোল নয় এটি আসলে পূর্বে এবং পশ্চিমে একটু চাপা আকৃতির। অর্থাৎ এটি দেখতে উটপাখির ডিমের মতো আর সেটাই বোঝায়। কারণ উটপাখির ডিমও কিন্তু বর্তুল আকারে পৃথীবির মতো।



আগেকার মানুষ ভাবতো চাদের আলো তার নিজস্ব আলো আছে। কিন্তু কিছু দিন আগে মানুষ জানতে পেরেছে যে চাঁদের কোন নিজস্ব আলো নেই। এটা একটা প্রতিফলিত আলো বা ধার করা আলো। হয়তো এটা বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছে ৫০ বছর, ১০০ বছর বা ২০০ বছর আগে। কিন্তু পবিত্র কোরআনে সূরা ফোরকান, সূরা নং ২৫ আয়াত নং ৬১- “তিনি কত মহান তিনি আকাশে সৃষ্টি করেছে রাশিচক্র, সেখানে স্থাপন করেছেন সূর্য্য, প্রদীপ যার নিজস্ব আলো এবং চাঁদ যার প্রতিফলিত আলো”। এই কথাটি পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন সেই চোদ্দশত বছর আগে।


আগেকার দিনের বিজ্ঞানীরা বলতেন- “সূর্য্য কক্ষ পথে প্রদক্ষিণ করে, তবে তার নিজ অক্ষের চারপাশে আবর্তিত হয় না”। তারপর মাত্র কয়েক দশক আগে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছেন- “একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে সূর্য প্রায় ২৫ দিন সময় নেয়।” (Sun Takes About 25 Days To Complete One Rotation.) পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন- সূরা আম্বিয়া, সূরা নং ২১, আয়াত নং ৩৩- “আর তিনিই রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র সৃষ্টি করেছেন; যারা প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে”। যা সাড়ে চোদ্দশত বছর আগে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলে দিয়েছেন তা কি করে মাত্র কয়েক দশক আগে বিজ্ঞান বলে। আর অমুসলিমরা বলে যে এসব কিছু কোরআনের আগে বিজ্ঞান বলেছে।


এখন অমুসলিমরা বলবে যে, আরবরা বা খ্রিষ্টানরা জ্যোতি বিদ্যায় খুবই শক্তিশালী। তারা জ্যেতিবিদ্যার দিক দিয়ে খুবই উন্নত। হতে পারে তারা খুবই উন্নত, তারা খুবই শক্তিশালী। কিন্তু অমুসলিমদের জানা উচিত যে, তারা যে জ্ঞান অর্জন করেছেন তা কোরআন নাজিল হওয়ার কয়েক শত বছর পরে। আরবরা কোরআন নাজিল হওয়ার পর কোরআন থেকে জ্যোতি বিদ্যা সম্পর্কে জানতে পেরেছে।


Hydrology (পানিচক্র)
আমরা পানিচক্র সম্পর্কে পড়েছি বিজ্ঞান বইতে যে- “সমুদ্র থেকে পানি বাষ্প হয়ে উপরে উঠে মেঘে পরিনত হয় তারপর একসময় সেটা বৃষ্টি হয়ে মাটিতে পরে। প্রথম বারের মতো পানিচক্র সম্পর্কে বর্ননা দেন “স্যার বার্নার্ড প্যালিসি” (Sir Bernard Palissy) তিনি ১৫৮০ সালের দিকে পানিচক্রের বর্ননা করেন। কিন্তু পবিত্র কোরআনে সেই চোদ্দশত বছর আগে বলা আছে- “সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে উপরে উঠে মেঘে পরিনত হয় মেঘগুলো একেত্রীত হয়ে আকাশে ভেসে বেড়ায় তারপর বৃষ্টি হয়ে পড়ে যায়” পানিচক্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে অনেকগুলো সূরার আয়াতে আছে। যেমন সূরা রুম, আয়াত ২৪, সূরা জুমার আয়াত ২১, সূরা মুমিনুল আয়াত ১৮ সূরা হিজর আয়াত২২, সূরা সুরা আয়াত ২৪, সূরা আরাফ আয়াত ৫৭, সূরা রদ আয়াত ১৭, সূরা ফোরকান আয়ত ৪৮-৪৯, সূরা ফাতির আয়াত ৯, সূরা কাফ আয়াত ৮-৯, সূরা ওয়াকিয়া আয়াত ৬৮-৭০, সূরা মূলক আয়াত ৩০, সূরা তারিক আয়াত ১১, এরকম আরো অনেক সূরায় আছে পানিচক্র সম্পর্কে।



Oceanography (সমুদ্রবিদ্যা):
সমুদ্রবিদ্যা সম্পর্কে কয়েকদশক আগে বিজ্ঞানীরা বলেছেন সমুদ্রের পানি নোনা ও মিষ্টি। কিন্তু পবিত্র কোরআন এটা চোদ্দশত বছর আগে মহান আল্লাহ বলেছেন- সূরা ফোরকান, সূরা নং ২৫ আয়ত নং ৫৩-“এবং তিনিই দু’সমুদ্রকে মিলিত ভাবে চালিত করেন; যার একটি মিষ্টি-তৃপ্তিকর অন্যটি নোনা-লবনাক্ত খর উভয়ের মাঝে অন্তরায় ও ব্যবধান রেখেছেন”। তাহলে অমুসলিমরা কিভাবে বলে যে কোরআন এর আগে বিজ্ঞান বলেছে।


Biology (জীববিদ্যা):
জীববিদ্যা সম্পর্কে আরবের সেই শুষ্ক মরুভূমিতে কে বলল যে, সমস্ত প্রাণীকুল পানি হতে সৃষ্টি। অমুসলিমরা বলে এসবই বিজ্ঞান বলেছে। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞান তো মাত্র কিছু দিন আগে বলেছে যে, সকল প্রাণীকুল পানি হতে সৃষ্টি। আর আল্লাহ বলে দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে সেই চোদ্দশত বছর আগেই। সূরা আম্বিয়া, সূরা নং ২১, আয়াত নং ৩০- “পানি হতে সব প্রানী সৃষ্টি করলাম, তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না। মাত্র কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছে যে প্রত্যেকটি জীবের শরীরের মধ্যে কোষ থাকে আর কোষের একটি মূল উপাদান হচ্ছে সাইতপ্ল্যাজ্ম (Cytoplasm)। তবে এখন বিজ্ঞান বলে প্রত্যেক জীবের শতকরা ৫০% থেকে ৯০% ভাগই রয়েছে পানি। সকল প্রাণী (প্রায় 80% জল ধারণ করে, Contains about 80% water) । তারপরও অমুসলিমরা কি ভাবে বলে যে কোরআন ভুল আর বিজ্ঞান সঠিক। বিজ্ঞান তো তৈরি হয়েছে কোরআন থেকেই। এটা কেনো তারা অবিশ্বাস করে আমি বুঝতে পারি না।


Botany (উদ্ভিদবিদ্যা):
উদ্ভিদবিদ্যা সম্পর্কে মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন- সূরা তোয়াহা, সূরা নং ২০, আয়াত নং ৫৩-“এবং তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষালেন; অতঃপর আমি তা দ্বারা বিভিন্ন উদ্ভিদ উদগত করাই”। এরকম আরো কিছু আয়াত আছে কোরআনে। বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদবিদ্যা সম্পর্কে বলেছে যে গাছ-পালারও স্ত্রী এবং পুরুষ লিঙ্গ আছে। বিজ্ঞান তো বলেছে মাত্র কয়েক দশক আগে। আর কোরআনে তো আল্লাহ তায়ালা সেই চোদ্দশত বছর আগে বলে দিয়েছেন। তারপরও কি অমুসলিমরা বলবে এটাও তাদের বিজ্ঞান বলেছে!


Zoology (প্রাণীবিদ্যা):
আগেকার মানুষ জানতো না যে, মানুষের মতো সকল প্রাণী বিচরণশীল বা দলবন্ধ ভাবে চলে। কিন্তু বর্তমান যুগের বিজ্ঞান বলে মানুষের মতোই সকল প্রাণীরা বিচরণশীল বা দলবন্ধ ভাবে চলে ও বসবাস করে। কিন্তু এই কথাটি আরো চোদ্দশত বছর আগে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলে দিয়েছেন, সূরা আন্’আম্, সূরা নং ৬, আয়াত নং-৩৮- “সমগ্র জগতে যত প্রকার বিচরণশীল জীব বা ডানার সাহায্যে উড়ন্ত পাখি তারা সকলেই তোমাদের মতই একেকটি শ্রেণী”।


কোরআনে আল্লাহ তায়ালা মৌমাছি সম্পর্কে বলেছেন- সূরা নাহল্, সূরা নং ১৬ আয়াত নং ৬৮ থেকে ৬৯, “আর আপনার রব মৌমাছিকে ইংগিত দিলেন, পাহাড়ে, বৃক্ষে এবং মানুষ যে সকল গৃহ নির্মণ করে তাতে মৌচাক তৈরি করতে। ৬৮ অতপর চোষণ করে নেও প্রত্যেক প্রকার ফল হতে, তৎপর তোমরা রবের সহজ সরল পথে চলতে থাক; আর তার উদর হতে নানা বর্ণের পানীয় (মধু) নিগর্ত হয়, যাতে মানুষের জন্য আরোগ্য রয়েছে। নিশ্চয় এর চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নির্দেশন। কোরআনে মাকড়সার জীবনপ্রণালীর কথা বলা হয়েছে, সূরা আনকাবূত, সূরা নং ২৯, আয়াত নং ৪১। কোরআনে পিপড়ার জীবনপ্রণালীর কথা বলা হয়েছে সূরা নামল, সূরা নং ২৭ , আয়াত নং ১৮ আর কিছুদিন আগে বিজ্ঞান জানতে পেরেছে আমরা যে মধু খাই সেটা মৌমাছির পেটের মধ্যে প্রক্রয়া হয়ে মধু সৃষ্টি হয়। আর এখনকার বিজ্ঞানীরা বলে যে, আমরা “মধুতে মাঝারি মাত্রায় এন্টিস্পেটির এর গুনাগুন রয়েছে” (There are mild Antiseptic properties in honey) আর সেটা মানুষের শরীরের ওষুধের মতো কাজ করে। কোথাও পেলো এই কথাটি আজকের বিজ্ঞান? কোরআন ছাড়া।


Physiology, (দেহতত্ব):
কোরআন নাজিল হওয়ার ৬০০ বছর পর ইবনে আল-নাফিস প্রথম মুসলিম সাইন্স ফিকশন রচয়িতা কারক। তিনি জীবদের রক্ত সংবহন ও দুধ উৎপাদনের ব্যপারটা পৃথীবির সামনে তুলে ধরেন। এর পর ৪০০ বছর অর্থাৎ কোরআন নাজিল হওয়ার ১০০০ বছর পর উইলিয়াম হার্বে পশ্চিমা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন একই ব্যাখ্যাটি। কিন্তু কোরআনে কি ভাবে সেই চোদ্দশত বছরে আগে এই কথার ব্যাখ্যা আসলো এটা কি অমুসলিমরা জানে না। সূরা নাহল, সূরা নং ১৬, আয়াত নং ৬৬- “নিঃসন্দেহে তোমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষা চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে। তাদের উদরস্থিত গোবর ও রক্তের মধ্য হতে তোমাদেরকে পান করাই খাটি দুগ্ধ যা পানকারীদের পরিতৃপ্তি দান করে। রক্ত সংবহন এবং দুধ উৎপন্নের কথা বর্ননা করে মহান আল্লাহ তায়ালা সেই চোদ্দশত বছর আগে, তবুও অমুসলিমরা কেনো মিথ্যে বলে যে বিজ্ঞান তাদের জীবনের সব।


Embryology, (ভ্রূণতত্ত্ব):
ভ্রূণতত্ত্ব সম্পর্কে কোরআনে বিভিন্ন পর্যয়ে, স্থরের কথা একেবারে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেছেন। সূরা মুমিনুর, সূরা নং ২৩ আয়াত নং ১২ থেকে ১৪ “১২-আর আমি তো মানুষকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছি ১৩- তারপর তা শুক্রবিন্দুরুপে নিরাপদ স্থানে রাখি। ১৪- পরে শুক্রবিন্দুকে জমাট বাঁধা রক্তে পরিনত করি, তারপর ওই জমাট বাঁধা রক্তকে মাংস পিণ্ডে পরিনত করি, ওই মাংস পিণ্ডকে অস্থিতে, পরে অস্থিকে গোসত দ্বারা ঢেকে দিয়েছি। তারপর তাকে গড়ে তুলি সতন্ত্র সৃষ্টি। মহান আল্লাহ যিনি উত্তম স্রষ্টা”। এর মানি প্রথমে ছিল (লুতফা, তারপর আলাক, তারপর মুগদা এরপর ইজমা)। অর্থাৎ প্রথমে মানুষ জোকের মতো দেখতে হয় তারপর সেটা হয় চিবানো মাংসের মতো তারপর সেটা হাড়গোরে পরিনত হয় তারপর হাড়গোর ঢেকে দেয় মাংসের মধ্যে। মানুষ তুচ্ছ শুঙ্কানু হতে সৃষ্টি হয়েছে, এটা এক অন্যান্য সৃষ্টি। এরপর বিজ্ঞান ১৯৮০ দশকের প্রথম দিকে এই আয়াতগুলো দেখানো হয়েছে ড. কিথ মুরকে (Dr. Keith Moore) যিনি সে সময়ের বিখ্যাত শরীরবিদ্যা ও ভ্রূণতত্ত্বের সেরা একজন বিষেজ্ঞতা ছিলেন। তিনি তখন ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।


ড. কিথ মুরকে (Dr. Keith Moore) পবিত্র কোরআনের এই আয়াতগুলো দেখে তিনি বলেছিলেন- আধুনিক বিজ্ঞানের ভ্রূণতত্ত্বের বিস্তারিত এর চেয়ে অনেক বেশি বিস্তারিত পবিত্র কোরআনের আছে। তিনি বলেছেন এই কথাগুলো কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না বলা, এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া। তাই একমাত্র আল্লাহ তায়ালার পবিত্র এই বানী, আর তার প্রিয় রাসূল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে মানতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আজকের বিজ্ঞান কোরআন থেকে এতো কিছু জানার পরও তারা অবিশ্বাস করে পবিত্র কোরআনকে।


অমুসলিমরা বলে যে, আমরা যখন মারা যাবো, হাড়গোর সব আলাদা হয়ে যাবে মাংস পচে যাবে। তাহলে আল্লাহ কি ভাবে মৃত্যুর পর আমাদের পচে যাওয়া মাংস আর হাড়গোরগুলোকে একত্র করবে, তারা বলে এটা কি করে সম্ভব! শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ কি করে মানুষকে আবার পুনরায় সৃষ্টি করবেন, নাউযুবিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এর উত্তর সুন্দর ভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন, তিনি বলেছেন- সূরা ক্বিয়ামাহ, সূরা নং ৭৫ আয়াত নং ৩ থেকে ৪ “মানুষের কি ধারণ যে, আমি তার অস্থিসমূহ কখনো একত্র করবো না? অবশ্যই আমি একত্রিত করবো, আমি আঙ্গুলের কর কেও সংস্থাপন করতে সক্ষম”। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে সুন্দর ভাবে বলে দিয়েছেন আমি শুধু জীবত না, অস্থিতগুলোই শুধু একত্রিত করবো না, আমি প্রতিটি মানুষের আঙ্গুলের আগ্রভাগকেও জোড়া লাগিয়ে দিবো। যেটাকে আজকের বিজ্ঞান ফিঙ্গারপিন বলেন। আর ফিঙ্গারপিন সম্পর্কে পৃথীবিতে এমন কোন মানুষ নাই যে না জানে। পৃথীবিতে যদি ৮০০ (আটশত) কোটি মানুষ থাকে তাহলে তাদের প্রত্যেকের ফিঙ্গারপিন আলাদা আলাদা, কারো সাথে কারোটা মিলে না।



১৮৮০ সালের দিকে স্যার ফ্রান্সিস গ্যাটন, (Sir Francis Gatton) তিনি আঙ্গুলের ছাপের নিয়ম আবিষ্কার করেন। তিনি তখন বলেছিলেন একজন মানুষের আঙ্গুলের ছাপের সাথে অন্য আরেকজন মানুষের আঙ্গুলের ছাপ কখনোই মিলবে না। তাই বর্তমানে এই আঙ্গুলের ছাপ দিয়েই প্রকৃত অপরাধীকে খোজে পাওয়া সহজ। আর এটা কে বলে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের? অমুসলিমরা কি জানে না যে, এটা কোন বিজ্ঞানের কাজ নয়, এটা সেই চোদ্দশত বছর আগে আরবের এক নিরক্ষক সর্বশ্রেষ্ট মানুষ ও রাসূলের নিকট ওহী রুপে পাঠিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা।



ফ্রান্সিস বেকন (Francis Bacon) তিনি একজন বিখ্যাত দার্শনিক, তিনি বলেছিলেন- “বিজ্ঞান সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান একজন মানুষকে করে তুলে নাস্তিক। তবে বিজ্ঞান সম্পর্কে বেশি জানলে মানি ১০০% জানলে সে হয় সত্যিকারি একজন বিজ্ঞানী আর সঠিক ধার্মিক। অর্থাৎ আল্লাহ ও তার সৃষ্টির প্রতি তার অদম বিশ্বাস থাকে। তাই অনেক বিজ্ঞানীরা বালিত করেছেন আল্লাহর প্রতিমূর্তিকে, বাতিল করেছেন মূর্তিপুজারীদের, বাতিল করেছেন আল্লাহ ব্যতিত কোন উপসনাকে।

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

নুরহোসেন নুর বলেছেন: প্রভু জগতের সবকিছু উন্মক্ত করেছে সবার জন্য,
বিশ্বাসীরা জয়ী আর অবিশ্বাসীরা পরাজিত!
ইসলাম আছে থাকবে, বিরোধীরা মমের মত গলে যাবে এটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: কিতাব ১০৪খানা
০৪ কিতাব- কুরাআন, তাওরুদ, জাবরুল, ইঞ্জিল
আর ১০০ সম্পর্কে ত জানানেই
প্লীজ জানাবেন ------------

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ১০০ কিতাম সম্পর্কে ইসলামিক বিভিন্ন বইগুলোতে পড়েছি, ছোটবেলা থেকেই জেনেছি। কিন্তু কি কি তা জানি। আরো শুনেছি পৃথীবিতে অনেক নবীদের আল্লাহ পাঠিয়েছেন হয়তো বা তাদের উপর সে গুলো নাজিল হয়েছে। যদি তা না হয় তাহলে যারা এই ১০০ কিতাবের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাদেরই ভুল। আমরা তো নতুন প্রজন্ম কি করবো বলেন। কেউ যদি ভুলটা আমাদের শিখায়।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ১। তাওরাত অবতীর্ণ হয় হযরত মুসা [আ.]-এর উপর,
২. যাবুর< অবতীর্ণ হয় হযরত দাউদ [আ.]-এর উপর,
৩. ইনযিল< অবতীর্ণ হয় হযরত ঈসা [আ.]-এর উপর, এবং
৪. আল‌‌-কোরআন< সর্বশেষ এবং পরিপূর্ণ আসমানী কিতাব, যা অবতীর্ণ হয় হযরত মুহাম্মদ [স.]-এর উপর।

বাকী ১০০খানা আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়

হযরত শীস [আ.]-এর উপর ৫০খানা, হযরত ইদ্রিস [আ.]-এর উপর ৩০খানা এবং হযরত ইব্রাহীম [আ.]-এর উপর ২০খানা সহীফা। (মনে পড়ে)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ আগে জানতাম না ১০০টি কিতাব সম্পর্কে।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কোন সুরা থেকে যোগ,বিয়োগ, পুরণ, ভাগ, সমীকরণ, পীথাগোরাসের থিওরী, পদ্মাসেতু বানানোর টেকনোলোজী শিখেছেন; কোন সুরা থেকে স্টক-মার্কেটের নিয়মাবলী শিখেছেন?

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

নতুন বলেছেন: বহু যুগ আগের মানুষ মনে করতো পৃথীবি সমতল ভূমি। এরপর ১৫৭৭ শতাব্দীতে "স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক", (Sir Francis Drake) তিনি জাহাজে করে পৃথিবীর চারপাশে ঘুড়ে আসলেন তখন তিনি প্রমাণ করলেন যে, “আমরা যে পৃথীবিতে বাস করি তা একটা বর্তুল আকারের”। কিন্তু পবিত্র কোরআনে এ কথাটি বলেছেন আল্লাহ সেই চোদ্দশত বছর আগে।

ধম` আশার আগে অনেক দাশ`নিক বিভিন্ন জিনিস নিয়ে অনেক চিন্তা করেছেন। প্রাচীন গ্রীক,রোমান দাশ`নিকেরা সৌর কেন্দ্রিক মহাবিশ্ব, পৃথিবি গোলাকার এই রকমের অনেক কিছুই ধারনা দিয়ে গেছেন....

এই সব ধারনা কোরানে বলার হাজার বছর আগেই প্রাচীন কালে দাশ`নিকেরা ধারনা দিয়েছিলেন....

আপনি যেই ঘটনাগুলিন কথা বলেছেন তা কোরানের আগেই প্রচলিত ছিলো.... হয়তো আরবের মানুষের মাঝে এটা নতুন কিছু ... কিন্তু বিজ্ঞানের শুরু ১৪০০ বছর আগে না.... তার অনেক আগে থেকেই

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

নতুন বলেছেন: https://en.wikipedia.org/wiki/Spherical_Earth <<
The earliest documented mention of the spherical Earth concept dates from around the 5th century BC, when it was mentioned by ancient Greek philosophers.[1][2] It remained a matter of speculation until the 3rd century BC

https://en.wikipedia.org/wiki/Heliocentrism <<
Heliocentrism[a] is the astronomical model in which the Earth and planets revolve around the Sun at the center of the Solar System. Historically, heliocentrism was opposed to geocentrism, which placed the Earth at the center. The notion that the Earth revolves around the Sun had been proposed as early as the 3rd century BC by Aristarchus of Samos,[1]

উল্লেখ খৃস্টপূব` ৩ শতাব্দী মানে কোরান নাজিলের ৭০০-৮০০ বছর আগের কথা...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #চাঁদগাজী আঙ্গেলের কমেন্টে উত্তর দিয়ে দিয়েছি পড়ে নিয়েন। আসা করি ওখানে উত্তর পেয়ে যাবেন।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: কোরআন এবং বিজ্ঞান এ দুটো মোটেই পরস্পরের সংগে সাংঘর্ষিক নয়।
তবে মুসলিম এবং অমুসলিম সাংঘর্ষিক। আর এইখান থেকেই সমস্ত সমস্যা শুরু।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম ঠিক।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাপানীদের কমনসেন্স বেশী নাকি বাংগালীদের কমনসেন্স বেশী? আপনার সম-লেভেলের একজন আমেরিকান বেশী জানেন, নাকি আপনি বেশী জানেন বলে মনে হয়?

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোরান ও ইসলাম নিয়ে প্রতিদিন নতুন ব্যাখ্যা যোগ হচ্ছে; আজকে আপনি নতুন কিছু যোগ করেছেন, অভিনন্দন। মন্তব্য মুছবেন না, ব্লগিং'এর নিয়ম হলো, মন্তব্যের উ্ত্তর দেয়া।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: নতুনটা কোথায় দেখান। কোরআন যা বলেছে আমি তাই বলেছি।

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিজ্ঞান হলো, মানুষের লব্ধজ্ঞান, আপনি প্রতিদিন যা শিখছেন, সেটা বিজ্ঞান

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: বিজ্ঞানটা কোথার থেকে আসলো। আর মানুষের মাথায় জ্ঞানই বা কোথার থেকে আসলো।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার কিছু প্রশ্নের উত্তর আমি পরে দিবো নামাজে যাচ্ছি।

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

নতুন বলেছেন: https://slideplayer.com/slide/10797427/

ব্যবিলনিওনরা খৃস্টপূব` ২০০০ বছর আগে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করতো, ব্যবসার প্রমান হিসেবে, চাইনিজরা খৃস্টপূভ` ২০০ বছর আগে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করতো....

তাই কোরান আশার অনেক আগেই এই বিষয়ে মানুষ জানতো এবং ব্যবহার করতো।

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " বিজ্ঞানটা কোথার থেকে আসলো। আর মানুষের মাথায় জ্ঞানই বা কোথার থেকে আসলো। "

জ্ঞানের উৎস পড়ালেখা, লব্ধজ্ঞানের উৎস লজিক্যাল ভাবনা; আপনি পড়ালেখা করেছেন, সেজন্য ব্লগে লিখছেন, কোরান পড়ছেন, নজরুল ইসলামের লেখা পড়ছেন, জ্ঞানী হয়েছেন; আপনার সমবয়ষ্ক মহিলা, যিনি পড়েননি, উনি "বুয়া"র কাজ করছেন। মানুৃষের মাথায় বুদ্ধি আসে, কারণ মানুষ লজিক্যালী ভাবতে পারেন, ও মানুষ পড়ালেখা করেন; যারা পড়ালেখা করেন না, তারা কমবুদ্ধিমান। একজন পিএইচডি থেকে একজন মৌলভী অনেক কমবুদ্ধিমান।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " নতুনটা কোথায় দেখান। কোরআন যা বলেছে আমি তাই বলেছি। "

-কোরান চলে আসছে হযরত মোহাম্মদ (স: ) এর সময় থেকে, এবং উনার সময় এি নতুন ধর্মকে "ইসলাম" নাম দেয়া হয়েছে; এর আগে অন্য ধর্মীয় বই চলে আসছে, ও সেইসব ধর্মের সঠিক নাম আছে; কিন্তু আপনি নতুন করে বলার শুরু করেছেন , "মানুষ পৃথিবীতে পা দেয়ার সময় থাকে ইসলাম ছিলো"। ইহুদীরা ও খৃষ্টানেরা কি ছিলো না, ও নেই? ইসলাম কি ওদের পালিত ধর্ম?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #চাঁদগাজী আঙ্গেল; আমি জানি না আপনি কোন ধর্মে, আমার পোস্টের আপনার প্রথম কমেন্ট ছিলো আমি যোগ, বিয়োগ,গুন, পিথাগোরসের থিওরী কিভাবে শিখছি এটা কোন সূরায় পেয়েছি। “সূরা বনি ইসরাইল, সূরা নং ১৭ আয়াত নং ১১, আর মানুষ অকল্যান কামনা করে, যেমন সে কামনা করে কল্যাণ, মানুষ খুবই চঞ্চল। আয়ত নং ১২, আর রাত ও দিনকে আমি দুটি নির্দেশন করেছি; রাতের নির্দেশনকে করেছি নিষ্প্রভ আর দিনের নির্দশনকে করেছি দর্শনযোগ্য, যেনো তোমরা আপন রবের অনুগ্রহ খোজ করতে পারো, আর যাতে তোমরা বছর গণনার হিসাবও জানতে পারো প্রতিটি বস্তুই আমি ব্যাখ্যা করেছি”।

এবার আসি এর ব্যাখ্যায় নিয়ে, মহান আল্লাহর সৃষ্ট্রির মধ্যে তিনি মানুষদের করেছেন অসীম জ্ঞানের ভান্ডার। তিনি মানুষদের দিয়েছেন জ্ঞান, বিচার বুদ্ধির প্রয়োগ করার ক্ষমতা। তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন মানুষের ইচ্ছা স্বাধীনতার উপর নির্ভর করার জন্য। তিনি একমাত্র মানুষদের দিয়েছেন নিজের ক্ষমতার উপর চলার। এছাড়া অন্য কোন সৃষ্টিকুলকে তিনি এই ক্ষমতা দেননি। তাই যুগে যুগে অনেক পন্ডিত অনেক দার্শনিক অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি তিনি পৃথীবিতে পাঠিয়েছেন। তবে ঐসব মহামানুষ বা পন্ডিতদের চেয়ে আল্লাহ যুগে যুগে অনেক নবীদের পাঠিয়েছেন যারা মানুষদের শিখিয়ে দিয়ে গেছেন কি ভাবে পৃথীবি চড়াতে হয়। যেমন হযরত সুলাইমান (আঃ) তিনি প্রতিটি প্রাণীর ভাষা বুজতে পারতেন, তিনি বায়ুর সাথে ভেসে বেড়াতে পারতেন। তার এই ক্ষমতা আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন। কিন্তু আপনি কি দেখাতে পারবেন এই ক্ষমতাবান কোন অমুসলিমকে, পারবেন না। আরো অনেক নবীদের আল্লাহ অনেক ক্ষমতার অধিকারী বানিয়েছেন। যা পৃথীবিতে কোন বিজ্ঞান পারে নাই আর পারবেনা।

গ্যালিলীও, নিউটন, কোপনসিয়া এরা পৃথীবী এবং মহাকাশের অনেক কিছুর রহস্য উদঘাটন করেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন তাদের আগেই একজন ব্যক্তিকে আল্লাহ নিজেই সেই সব মহাকাশ আর সাত আসমান সম্পর্কে সব কিছু দেখিয়েছেন আর তিনি হলেন আমাদের শেষ নবী রাসূল (সাঃ)।

দুইজন মানুষ জান্নাত থেকে পৃথীবিতে এসেছেন তারা কার জানেন? তারা হলো আদম ও হাওয়া (আঃ) এইসব কিছু আল্লাহ আলৌকিক ঘটনা ছিলো। সেগুলো সেই সময়ের মানুষেরা বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের রহস্যগুলো উদঘাটন করতে করতে একটা সময় মানুষ আল্লাহ সাথে পাল্লা দিতে থাকে। ওরা আল্লাহর বানী বা ওহী এবং নবীদের নিয়ে রির্সাস করতে থাকে। ওরা হিংসায় অনেক কিছুই শিখতে পেরেছে বলতে পেরেছে জানতে পেরেছে। আর ঐসব মানুষদেরওকে আল্লাহ সেই জ্ঞানটা দিয়েছে। আর এগুলো কোরআন নাজিল হওয়ার অনেক আগেই ছিলো আর সাথে ছিল অন্যান্য কিতাবগুলো। সেই সব কিতাবগুলোই ছিলো ওদের রির্সাসের একমাত্র হাতিয়া। সূরা বনি ইসরাইল আয়াত, ২১, তাকাও দেখ? দুনিয়ার ক্ষেত্রে আমি একজনকে অন্যজনের ওপর বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা দিয়েছি”।

এবার আসি আপনার দ্বিতীয় কমেন্টের কথায়, আমি কেনো জাপানী আর আমেরিকাদের মতো হতে যাবো? আল্লাহ একেক জাতিকে একেক রুপে সৃষ্টি করেছেন। আমাকে আমার মতো আর জাপানী আমেরিকাদের তাদেরকে তাদের মতো। জাপানী আমেরিকারা অর্থাৎ পশ্চিমা বিশ্বের মানুষেরা যে ধর্মই করুক না কেনো তাদের ধর্মের প্রতিও তাদের কোন বিশ্বাস নেই আর আল্লাহর প্রতি তো তাদের বিশ্বাসই নেই। তাহলে শুনুন কেনো বিশ্বাস নেই। বহু যুগ আগে কোরআন নাজিল হওয়ার আগে অন্যান্য নবীদের উপর তিনি অনেক কিতাব নাজিল করেছেন। আজ কিন্তু সেই কিতাবগুলোই তাদের ধর্মেই ব্যবহার করে কিন্তু তারা সেগুলোতে বিশ্বাসী না। আল্লাহ নিজে বলেছেন কোরআন থেকেও সেই সব কিতাবগুলোতে আল্লাহ ভালো ভালো নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু সেগুলোকে ওরা অমান্য করেছে, অবিশ্বাস করেছে। ওরা ঐ কিতাবগুলোকে নিজেদের মতো বানিয়ে নিয়েছে। আল্লাহ নিজেই কোরআনে বলেছেন আমি বনি-ইসরাইল অর্থাৎ আজকের যে পশ্চিমা বিশ্বের জাতিগুলো আছে তাদের কে আল্লাহ পৃথীবিতে সব থেকে সম্মানী জাতি হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তার কোন মূল্য ওরা দেয়নি। তাই আল্লাহ ওদেরকে কিছু বানর শকুর আর কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে পৃথীবিতে মানুষ হিসেবে।

যখনি কোন নবীর উপর আল্লাহ ওদের কাছে ভালো ভালো ওহী নিয়ে পাঠিয়েছেন আলৌকিক ভাবে, সেগুলোকে ওরা অমান্য করেছে। আল্লাহর বিরুদ্ধে ওরা যা না তাই করেছে, আল্লাহ ওহীগুলোকে ওরা নিজেদের মতো বানিয়ে ফেলেছেন। সেই সব নির্দশনা থেকেই অনেক দার্শনিক, অনেক পন্ডিত অনেক কিছু জানতে পেরেছে।

আপনার তৃতীয় কমেন্ট সম্পর্কে বলি; প্রথম লাইনের ব্যাখ্যাটি পরে দিচ্ছি তার আগে শেষ লাইনেই কথাটির উত্তর দিচ্ছি। জানেন তো, ছোট বেলা থেকে আমার খুব জিদ। আমাকে কেউ কিছু বলল আর আমি হেরে গিয়ে তার উত্তর না দিয়েই চলে যাবে এটা কেউ ভুলেও ভাবে না। কিন্তু আপনি ভাবলেন! যাগগে হয়তো আপনি জানেন না আমার জিদ সম্পর্কে । তাই কি করে ভাবলেন, আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই কমেন্ট মুছে ফেলবো। আমি কি এতো বোকা যে দাত ভাঙ্গা জবাব না দিয়েই চলে যাবো। তাহলে মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছি কেনো?

এবার আসি আপনার চতুর্থ কমেন্টের জবাব নিয়ে। দেখুন আমি জানি বিজ্ঞান হলো মানুষের একধরণের জ্ঞানী ভান্ডার এটা কেউ পারে কেউ পারে না। যারা পেরেছেন তাদের কাছ থেকে আমরা শিখি আর আগামীতেও শিখবে। কিন্তু এই বিজ্ঞান আর জ্ঞান কোথার থেকে, কিভাবে, কার মাধ্যমে আসলো সেটাও তো আমাদের জানতে হবে তাই না? এখন কেউ যদি বলে আমি মহাকাশ সৃষ্টি করেছি, আমি চাঁদ সুর্য্য সৃষ্টি করেছি, আমি আমার মাথার মস্তিস্ক সৃষ্টি করে তারপর আমি নিজেই জ্ঞানী বা বিজ্ঞানী হয়েছি এটা কি কেউ বিশ্বাস করবে? কোন অবলা প্রাণীও তো এটা বিশ্বাস করবে না। আল্লাহ বলেছেন আমার কিতাব যারা বুঝতে তারাই জ্ঞানী। হতে পারে আল্লাহ এই কথাটি বিজ্ঞানীদে জন্য একটি দিক-নির্দেশনা।

মানুষ লেখা পড়া করলেই কি সব জানে বলেন। কারো মাথায় যদি বুদ্ধি বা জ্ঞান না থাকে তাহলে তো বিজ্ঞানী দুনিয়ার বই গুলো চিবিয়ে খাওয়ালেও অনেকে কিছুই বুঝবে না। আর যারা কিছুই পারেনা একেবারেরই নিরক্ষক তারাও তো জ্ঞানী হতে পারে তাই না। যেমন ধরুন আমাদের নবী (সাঃ) তিনি তো কিছুই লেখাপড়া করতে পারতেন না। তিনি ছিলেন আরবে একজন মেস পালক। সে কি করে এতো জ্ঞানী হলেন আল্লাহ তাকে না দিলে। আর তাকে নিয়েই আজকের বিজ্ঞান বিশ্বগুলো এখনও হইচই করে বেরাচ্ছে। হিংসে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে অমুসলিম বিজ্ঞানীগুলো। কিন্তু এখনও তার রহস্য উদঘাটন করতে পারছেনা। আর এই সকল নবীদের কারণেই দেখেন আজকের বিজ্ঞান এতো উন্নত। অমুসলিমরা তাদের নিয়ে রির্সাস করতে করতে একটা সময় আল্লাহ তাদের অনেক জ্ঞানী সুশীল মানুষ বানিয়ে ছাড়েন। কিন্তু এই ছাড়া তো সেই ছাড়া নই গো চাঁদগাজী আঙ্গেল এখনো অনেক সময় পরে আছে তাদের।

আজকের বিজ্ঞানীরা এতোই বড় বড় বিজ্ঞানী তারা প্রকৃতি জিনিসগুলোকে ফেলে অপ্রকৃতিক জিনিস দিয়ে সারা বিশ্বটাকে ধোকার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। করুন তারা কত পারে করতে কথা আছেনা বিড়ালের দৌড় বাড়ির ছাদ পর্যন্ত।

এবার আসি আপনার শেষ কমেন্টের কথায়। ইসলাম হযরত মোহাম্মদ (সঃ) থেকে শুরু না ইসলাম নাম না হলেও আল্লাহ ইসলামের কথা বার্তা নিয়েই যুগে যুগে নবীদের পাঠিয়েছেন। দেখুন আমি আগেই বলেছি কোরআনের থেকেও আল্লাহ ভালো ভালো নির্দেশন নিয়ে কিতাব পাঠিয়েছেন পৃথীবিতে নবীদের ওহীবাহক রুপে। কিন্তু সেগুলোকে ওরা আল্লাহ সাথে টেক্কা দিতে যেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। ভুল মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে ওরা সেই কিতাব গুলো নকল করে ফেলেছে যুগে যুগে। তারপর আল্লাহ শেষ নবী পাঠিয়েছেন কোরআন নিয়ে যাতে অতিত, ভবিষৎ সবগুলোর নির্দেশনা আছে। কোরআনে যা যা আছে সেগুলো সেইসব কিতাবেই ছিলো। কিন্তু সেগুলোকে সেই যুগের মানুষেরা অবিশ্বাস করেছে অমন্য করেছে। আর যুগে যুগে পয়দা হয়েছে অনেক কবি লেখন দার্শনিক। আসা করি অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন।

১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের দাবীদারদের দেখে মাঝে মাঝেই হাসি।

জ্ঞানের শর্ত হলো জানো, না জানলে জানার চেষ্টা করো। যত মাধ্যম থেকে সম্ভব।
অথচ উনারা না জানেন, না জানার চেষ্টা করেন! বরং আক্রমনেই বিজয় ভাব নিয়েই ঝাপিয়ে পড়েন। বলিহারি !

ইসলাম কি? জানার চেষ্টা করলেই জ্ঞান অবশ্যই মিলে যায়। আর জ্ঞান মিলে গেলে কু-তর্ক অর্থহীন হয়ে পড়ে।
প্রচলিত শরয়ী দাড়ি, টুপি হিজাব মানেই ইসলাম নয়! তবেইসলাম কি?
প্রশ্ন না করে জানতে চাইলে গুগল করুন না! হাজার লক্ষ তথ্য সোর্স পাবেন। পড়ুন, জানুন। তারপর না জানা বিষয়ে আলোচনা করুন। সেটাই না জ্ঞান এবং জ্ঞানীর লক্ষন।

বিশ্বাস করুন না করুন সে আপনার, কিন্তু জানতেতো হবে আগে। ভাসা ভাসা জানা নিয়ে কু-তর্ক করা যাবে। ভাব নেয়া যাবে। মিথ্যে আত্মপ্রসাদে ভোগা যাবে- অথচ যে ভুগছে সে নিজে নিজের ভেতরের খবরই কিছু জানে না।
তার একফোটা বীর্য থেকে কে তাকে এত বড় ভাবনার মানুষ বানাল অনুভব করে না। আবার কেনইবা তাকে মাটিতে বিলিন হয়ে যেতে হয়, তা্ও ভাবে না। অথচ জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের বিশাল ধামা ধরা ভাব।

জন্ম, মৃত্যু এবং জীবনের সত্য নিয়ে হাইপোথিসিস কপচানোই কি জ্ঞানের শেষ মার্গ!
আমিও আগ্রহী। আসলেই জানতে চাই- কেন এই খেলা?
কেন এলাম? কোথায় যাব? ট্রান্সফর্মেশনের পথ পদ্ধতি কি?

ইসলাম পূর্ন ব্যাখ্যা এবং ইশারা দিয়ে গেছে। যে মানছে সে বিশ্বাসী। যে মানছেনা সে অবিশ্বাসী।
ঝামেলা ফিনিশ!
আমি ভাই বিশ্বাসীদের দলে! :)

১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০০

সুপারডুপার বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। বিজ্ঞান তো তৈরি হয়েছে ধর্মে গ্রন্থ থেকেই। স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে পড়ে হুদায় সময় নষ্ট হলো। ধর্মে গ্রন্থ ও ধর্ম গ্রন্থের ব্যাখ্যা গুলোর উপর লেখা বই গুলো পড়লে ও গবেষণা করলেই বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার , ব্যারিস্টার হয়ে যেতে পারতাম। ধর্ম গ্রন্থেয় তো সব আছে। ক্যান যে মাদ্রাসার ছেলে মেয়েরা ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চায়, বুঝি না!

আপু, আপনার ছেলে মেয়েকে আপনি কি মাদ্রাসা তে নাকি স্কুল/কলেজ /ইউনিভার্সিটিতে পড়াচ্ছেন?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #চাঁদগাজী আঙ্গেলের কমেন্টে উত্তর দিয়ে দিয়েছি পড়ে নিয়েন। আসা করি ওখানে উত্তর পেয়ে যাবেন।

১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: সব কিছু ব্যাদে আছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভালো কথা ।

১৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্টে+++

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি মন্তব্য করবো। আমি ফিরে আসবো আবার এই পোস্টে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আসুন। এবং চাঁদগাজী আঙ্কেলের কমেন্টের গুলো দেখে আমার উত্তরটাও পড়ে নিবেন তাহলে মন্তব্য করতেও সুবিধা হবে।

১৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

সুপারডুপার বলেছেন: কামরুননাহার কলি আপু, চাঁদগাজী সাহেবের কমেন্টের উত্তরে যা লিখেছেন, সেখানে আমার প্রশ্নের উত্তর দেন নাই। প্রশ্নের উত্তর দিবেন না, ভালো। কিন্তু ভুল বলেন কেন?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আর আপনার প্রশ্ন বড় বেমানান আমার কোন ছেলে মেয়ে নাই আমি এখনও বিয়ে করিনি। আমি পড়ালেখা করিছি ভার্সিতে। পড়াটা হলো আমার জীবন জীবীকা নির্ভর করার জন্য। আমার জ্ঞান আল্লাহ যতটুক দিয়েছেন ততটুকোর মধ্যে আমি সামিল থাকি। আর ধর্মটা আমার পুরো জীবনের সঞ্চয় করার জন্য। যাতে আমি ইহজীবন পরজীবন সুন্দর করে পার করতে পারি। আর ভুলটা কোথায় বলেন শুধরে দিবো।

২০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: বিশ্বাস হল এমন একটা জিনিস যেটা নিতে তর্ক করার কোন মানে হয় না। নাস্তিকদের সাথে তর্ক করার কোন মানে হয় না। শত চেস্টা ক রেও আপনি এদের বিশ্বাস আনতে পারবে না। এই চেস্টা করবেনও না। লাভ নেই। এদের হৃদয়ে সীল মেরে দেয়া হয়েছে।

আপনার জন্য সুরা আর রাহমান থেকে কিছু আয়াতের বঙ্গানুবাদ দিলাম।

হে জ্বীন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুঞ্জ তখন তোমরা সেইসব প্রতিহত করতে পারবে না। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটা রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? সেদিন মানুষ না তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে, না জ্বীন। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে; অতঃপর তাদের কপালের চুল ও পা ধরে টেনে নেয়া হবে। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
[সূরা আর-রাহমান, আয়াত ৩৩ থেকে ৪২। এই সূরায় মোট ৩১ বার জ্বীন ও মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে, অতএব, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?]

ধন্যবাদ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: চাঁদগাজীর ধর্ম নিয়ে অনেক চুলকানী। একবার এই চুলকানী শুরু হলে আর থামতে চাইনা। কমেন্টের মাধ্যেমে চুলকায়ে চুলকানী কমায়... অবিশ্বাসীদের সামনে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা নেমে আসলেও তারা সেটা যাদুটোনা দৃষ্টি বিভ্রম যুক্তিটুক্তি দিবে তাও মানবে না। তারা মানবে খুব তাড়াতাড়ি কিন্তু তখন আর বিশ্বাসী হওয়ার সুযোগ থাকবে না। তাই তাদের এতো বুঝাতে যাবেন না। তাদের যত পারবেন ইগনোর করবেন....

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: কি করবো বলে দাত ভাঙ্গা জবাব না দিলে যে আমি শান্তি পাই না। আর চাঁদগাজী আঙ্কেলের সাথে আমার তর্ক করতে আমার হেব্বি ভালো লাগে।

২২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

সুপারডুপার বলেছেন: কামরুননাহার কলি আপু, ভুল, ঐ যে আপনি বললেন , #চাঁদগাজী আঙ্গেলের কমেন্টে উত্তর দিয়ে দিয়েছি পড়ে নিয়েন। আসা করি ওখানে উত্তর পেয়ে যাবেন। কিন্তু ওখানে আমার প্রশ্নের উত্তর নাই।

উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার বয়েসে আমিও necessity is the mother of invention ও জানতাম; ধর্মের উপর জন্মগত কঠিন বিশ্বাসে, ধর্ম থেকে বিজ্ঞান এসেছে এটাও ভাবতাম।বাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞান-মরিস বুকাইলি , Scientific Indications in the Holy Quran - Islamic Foundation Bangladesh বই গুলো পড়েছি। তাই আপনি যা লিখেছেন তার অনেক কিছু আগেই পড়েছিলাম। বিদেশে আসার পর দেখলাম, নিয়মিত চার্চে যাওয়া খ্রিস্টানরাও বলছে বিজ্ঞান এসেছে বাইবেল থেকে। বাইবেল ও অনেক কিছু আছে যা বিজ্ঞান পরে আবিষ্কার করেছে। তারাও বাইবেলের বিভিন্ন রূপক অর্থ করে বলছে বিজ্ঞান এটা পরে আবিষ্কার করেছে। কিন্তু তাদের গন্ডি ঐ চার্চেই, ইউনিভার্সিটিতে না। হিন্দুরাও একই কাজ করছে। আশ্রম , গির্জা ও সিনাগগে যাওয়ার পরে বুঝেছি , মোটামুটি সব ধর্মই এই রকম দাবি করে চলছে ও অন্য ধর্মের নিন্দায় মেতে উঠেছে। তাদের সবার মূল ট্রিক্স : ' রূপক অর্থ '

তুলনামূলক পড়াশুনা করলে, আপনার ও এক সময় হয়তো ভুল ভাঙবে। বিজ্ঞান ও ধর্মকে আর এক করতে পারবেন না।

ভালো থাকবেন !

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: দেখুন আল্লাহ ধর্মগ্রন্থগুলো একেক জাতির নিকট পাঠিয়েছে। আর সেটা সকল মানুষদের জন্য। আল্লাহ প্রত্যেকটি মানুষকেই তার ডাকে সাড়া দিতে বলেছেন। তাকে উপসনা করতে বলেছেন অন্য কাউকে না। কিন্তু সেসময়ের মানুষগুলো ছিলো দাপটে দাপটে, দাপটে হওয়ার কারণ ছিলো আল্লাহ সৃষ্টি মানুষ এর উপর প্রথম থেকেই শয়তানের একটা আচ ছিলো। আর শয়তান আল্লাহ সাথে চেলেঞ্জ করে মানুষদের ধোকায় ফেলার শক্তি নিয়ে এসেছে পৃথীবিতে। এতে করে শয়তান প্রতিটি মানুষের মধ্যে ডুকে শয়তানি কারবার করে বেরায় যাতে করে মানুষ আল্লাহর পথ থেকে সরে দাড়ায়।

ধর্ম আল্লাহ সবার জন্যই সমান করেছেন। কারো ধর্মই আলাদা আলাদা না। মানুষ আল্লাহকে অবিশ্বাস করে আলাদা আলাদ ধর্মে ভাগ হয়ে গেছে। আল্লাহ মানুষের জন্য যুগে যুগে যে ধর্মগ্রন্থ পাঠিয়েছেন সেগুলোর উপর মানুষ হাত দিয়েছে নকল করে ফেলেসে সেই ধর্মগ্রন্থগুলো। তারপর আল্লাহ যেসকল নবীদের পাঠিয়েছেন তাদের নিকট ওহী পাঠিয়েছে মানুষদের সঠিক পথে আনার জন্য। কিন্তু মানুষ নিজের ক্ষমতার বড়াই করে আজ তারা সবাই আলাদা আলাদা। বাইবেল বেদ এগুলো আল্লাহর পাঠানো ধর্মগ্রন্থ। এগুলোকে সেই যুগের দাপুটেরা আল্লাহর বানীগুলোকে নিজেদের বানী বানিয়ে চালিয়ে দিয়েছে। তবে সবগুলো না। আপনি যাদের কথা বলেন তারা নিজেরাই জানেনা যে তাদের ধর্মগ্রন্থে কি আছে।

আর বিজ্ঞানের কথা বলেন, দেখুন বিজ্ঞান এবং কোরআন দুটোই আলাদা কিন্তু অমুসলিমরা দাবি করে কোরআন কিছুই না বিজ্ঞানই সব। আমার কথা ছিলো বিজ্ঞানটা আসলো কোথার থেকে। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন, জ্ঞান দিয়েছেন তারপর সে একজন বিজ্ঞানী হয়েছেন, তারপর আল্লাহ সাথে পাল্লা দিয়েছে। কিন্তু আল্লাহর সাথে পাল্লা দিয়ে কি এপযন্ত কেউ টিকে থাকতে পেরেছে বলেন? পারেনি। প্রতিটি ধর্মগ্রন্থে আল্লাহ দুনিয়াতে যা কিছু করবে সে সম্পর্কে আল্লাহ বলে দিয়েছেন, প্রত্যেক জাতিকে। আসা করি বুজতে পেরেছেন। বলার আরো অনেক কিছু আছে কিন্তু সময় নেই ।

২৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: শিরোনামটি আরো ভাল ভাবে দিতে পারতেন আপা।

আমার কাছে কোন ভাল বই-ই খারাপ না।

২৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

নতুন অতিথি বলেছেন: আমার মনে হয়, কুরান আসার আগেও বিজ্ঞান ছিলো। কারন কুরান নাযিলের আগেও অনেক কিতাব নাযিল হয়েছে। সেখানে থাকতে পারে। বরং বলা যেতে পারে কুরানে যে গুলো বিজ্ঞান নিয়ে বলা তা তখনও সবার কাছে পরিষকার ছিলো না, পরে হয়েছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: পরিস্কার ভাবে আল্লাহ প্রতিটি কিতাবই নাজিল করেছেন। স্পর্শ ভাবে আল্লাহ প্রত্যেক নবীদের উপর ওহী নাজিল করেছেন। আল্লাহ নিজেই কোরআনে বলে দিয়েছেন। আমি কোরআন থেকেও আরো আরো ভালো ভালো নির্দেশনা মুসা ঈশা (আঃ) কাছে কিতাব পাঠিয়েছি সেখাসে বিভিন্ন জাতিকে সম্মান দিয়ে পাঠিয়েছি কিন্তু ওরা আমার কিতাবকে অমন্য করেছে। আর সেই জন্য যুগে যুগে আমি বহু জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি। আর যাদের পৃথীবিতে রেখিছি তারা দেখু জানুক আগের প্রজন্মকে কিভাবে শাস্তি দিয়েছি। আর পরকালের শাস্তি তো ওদের জন্য রয়েছেই। আর আমার কিতাব যারা নিজেদের মতো নকল করেছেন তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি।

হে নবী আমি তোমার উপর যে কিতাব নাজিল করলাম এটা আমিই সংরক্ষন করবো। ওদের বলো আল্লাহর কিতাবের মতো আরেকটা কোরআন রচনা করো, আল্লাহ সাহায্য ছাড়া। তা না হলে কিছু সূরা বানিয়ে আনতে বলল আল্লাহর সাহায্য ছাড়া। আল্লাহ আরো সহজ করে দিয়েছেন একটা সূরা বানিয়ে আনতে আল্লাহর সাহায্য ছাড়া। তিনি আরো সহজ করে দিয়েছেন একটি আয়াত বানিয়ে আনতে আল্লাহর সাহায্য ছাড়া। কিন্তু দেখেন আজ অব্দি কোন বিজ্ঞান, কোন ধর্ম, কোন জ্বিন বা মানুষ পারলো না কোরআনের একটা হরফ বানাতে বা নকল করতে। তবে কোরআন যারা যে ভাষায় অনুবাদ করেছে তারা সেগুলো নিজেদের মতো করেছেন। কিন্তু আরবি ভাষায় কেউ নকল করতে পারেনি। আর পারবে ও না ।

২৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

নতুন বলেছেন: প্রথমত কারুর জবাব না দিয়ে অন্য কারুর কমেন্টের জবাব পড়ে নিতে বলা ব্লগীয় ভদ্রতা না। এবং ঐ জবাবে আমার কমেন্টের কোন জবাব নেই। আমি স্পেসিফিক বিষয়ে আপনার দাবীর অসাড়তা দেখিয়েছি সেটা মনে হয় আপনি বুঝতে পারেন নাই।

দ্বিতীয়ত আমার প্রশ্ন হয়তো আপনি বুঝতে পারেন নাই।

আপনার জবাব পড়ে মনে হয়েছে আপনার জানার সুত্র কিছু ওয়াজ বা অল্পকিছু ধমী`য় বই যেখানে বিজ্ঞানের কথা বলা আছে... আপনি নিজে বিজ্ঞানের বিভিন্ন জিনিস অনুসন্ধান করে দেখেন নাই।

আল্লাহ নিজে বলেছেন কোরআন থেকেও সেই সব কিতাবগুলোতে আল্লাহ ভালো ভালো নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু সেগুলোকে ওরা অমান্য করেছে, অবিশ্বাস করেছে।

আল্লাহ নিজেই কোরআনে বলে দিয়েছেন। আমি কোরআন থেকেও আরো আরো ভালো ভালো নির্দেশনা মুসা ঈশা (আঃ) কাছে কিতাব পাঠিয়েছি সেখাসে বিভিন্ন জাতিকে সম্মান দিয়ে পাঠিয়েছি কিন্তু ওরা আমার কিতাবকে অমন্য করেছে।


আল্লাহ কোথায় বলেছেন এই কথা সেটার যদি একটু রেফারেন্স দিতেন???

সেগুলো সেই সময়ের মানুষেরা বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের রহস্যগুলো উদঘাটন করতে করতে একটা সময় মানুষ আল্লাহ সাথে পাল্লা দিতে থাকে। ওরা আল্লাহর বানী বা ওহী এবং নবীদের নিয়ে রির্সাস করতে থাকে। ওরা হিংসায় অনেক কিছুই শিখতে পেরেছে বলতে পেরেছে জানতে পেরেছে। আর ঐসব মানুষদেরওকে আল্লাহ সেই জ্ঞানটা দিয়েছে। আর এগুলো কোরআন নাজিল হওয়ার অনেক আগেই ছিলো আর সাথে ছিল অন্যান্য কিতাবগুলো। সেই সব কিতাবগুলোই ছিলো ওদের রির্সাসের একমাত্র হাতিয়া।

এটা পুরাই ওয়াজের জজবা ওয়ালা ডাইলোগ :) কোরান থেকে সব রিসা`স করে ইহুদি নাসারা এতো কিছু আবিস্কার করলো আর কয়েক কোটি মানুষ কোরানের দাড়ি কমা মুখস্থ করে বসে আছে তারা কিছু আবিস্কার করতে পারলো না?

উপরে ব্লগার সুপারডুপার ভাই একটা কথা বলেছেন সেটা আপনি বুঝতে পারেন নাই।

দেশের মানুষ বিশ্বাস নিয়ে ওয়াজ শোনে এবং শেখে এন্টাকটিক মহাদেশের নিচে ৬টা পৃথিবি আছে সেটা ১২টা দেশ দখল করে রেখেছে, হিটলার ওখানে পালিয়ে বেচে আছে,....

বিজ্ঞান প্রমান ছাড়া বিশ্বাস করতে বলেনা, প্রশ্ন করা সেখায়, করতে বলে। ধম` বিশ্বাস করতে বলে প্রশ্নাতীত ভাবে....

বাইরের দুনিয়া দেখলে, বুঝতে চেস্টা করলে, বিজ্ঞান জানলে, প্রশ্ন করলে তখন আপনার ভুল গুলি ভাঙ্গবে....

আপনার জন্য কয়েকটা প্রশ্ন:-

* কোরানের আয়াত সংখ্যা কতটি?
* বিবি হাওয়া আ: কে সাপ আকারে কে কু পরামশ` দিয়েছিলো?
*

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনি অনেক কিছুই মন্তুব্য করেছেন গুগল মামার রেফারেন্স নিয়ে। গুড ভালো গুগল মামা আপনাকে খুব সাহায্য করেছে। এক কথা বার বার বলতে আমার ভালো লাগে না তাই চাঁদগাজী আঙ্কেলের মন্তব্যের উত্তরটা পড়তে বলেছিলাম। কারন আমি তো গুগল মামার থেকে কপি করছি না। লিখতে হাত ব্যথ্যা হয়ে যায়। আমার কমেন্টর লেখাটি হুবাহু কোরআনের অনুবাদ না হলেও। কথাটি কিন্তু কোরআনে আছে। সেখানে ঐ কথাটিই বলা আছে। কিন্তু কোন সূরারয় আর আয়াতটা ঠিক আমার মনে নেই । আমি কোরআন থেকে বের করে আপনাকে সময় করে দিবো। তবে আমি জোড় গলায় বলছি কোরআনে এরকম আল্লাহ বলেছেন।

আর বিজ্ঞান নিয়ে বলতে বলতে অনেক বলেছি আর কত বলেন। আমি কোন ওয়াজের ডায়লগ ছাড়ছিনা। কোরআন যেটা বলছে আমি সেটাই তুলে ধরেছি। আর মুসলিমদের মধ্যে বিজ্ঞানীর কথা বলছেন যুগে যুগে অনেক মুসলিম বিজ্ঞানী ছিলেন পৃথীবিতে। খুজে দেখতে পারেন। আর সব থেকে বড় বড় বিজ্ঞানী হলেন আদের প্রত্যেক নবী রাসূল গণ। তাদের মতো ক্ষমতা বান মানুষ পৃথীবিতে পয়দা হয়নি। আল্লাহ তাদের বিজ্ঞানের সাক্ষী হিসেবে পাঠিয়েছেন। আসা করি বুজতে পেরেছেন।

বিজ্ঞান দেখে আমার ভূল কখনো ভাঙ্গবে না। কারণ বিজ্ঞান আমাকে শিখায় জীবিকা নির্ভর করার জন্য। কিন্তু এই বিজ্ঞানটা কোথার থেকে পয়দা সেটা আমাকে ভাবায়।

আপনি আমাকে দুটো প্রশ্ন করেছেন- প্রথম প্রশ্নটা দেওয়া আছে কোরআনে কতটি আয়াত আছে। আমার পোস্টে তিন নং প্যারায় সেটা উত্তর পেয়ে যাবেন।

দ্বিতীয় প্রশ্ন এমন আজিব কথা আপনার কাছে এই প্রথম শুনলাম। হাহাহাহা। “বিবি হাওয়া (আঃ) কে সাপ আকারে কে কু পরামর্শ দিয়েছিলো”। এই ধরনের কথা কোথায় পেলেন ভাই। এটা কি আপনি গবেষনা করে পেয়েছেন। তবে আমি আপনার কথায় যেটা আন্দজ করেছি সেটা যদি হয় তাহলে আমি আপনাকে একটা রেফারেন্স দিচ্ছি পড়ে নিবেন।

সুরা আরাফ, সুরা নং ৭, আয়াত নং ১৯ থেকে ২৭ আয়াত পর্যন্ত। তাদের ঘটনাটা পুরো এই আয়াতগুলোতে লিখা আছে।


০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: কোরআন কখনো ভুল ছড়ায় না। আপনার বিজ্ঞানের মতো।

২৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

সুপারডুপার বলেছেন: @ ব্লগার নতুন ভাই ,

* বাইবেল জেনেসিস অধ্যায় ৩ -এ: ইভ /বিবি হাওয়া আ: কে সাপ কু পরামশ` দিয়েছিলো (লিংক Genesis Chapter 3 - Bengali Bible). আল কোরআনে সেটা শয়তান। আল কোরআন ও বাইবেলের অনেক অংশেই এখানে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। বাইবেল ও কোরআন পাশাপাশি রেখে পড়ে দেখতে পারেন।

** কোরানের আয়াত সংখ্যা বিতর্কিত।

ভুল হোক শুদ্ধ হোক, লেখিকা একটি বিশ্বাস নিয়ে থাকতে চান। এইজন্য একটা প্রশ্নের উত্তর অযথা অনেক দীর্ঘায়িত করছেন বা জানাতে চাচ্ছেন উনি অনেক কিছু জানেন। আর এইরকম মানুষ সব ধর্মেই আছে।আর উনার এই বিশ্বাসে তো কারো ক্ষতি হচ্ছে না, উপকারও হচ্ছে না । তাই, উনাকে সেই বিশ্বাসেই থাকতে দিন। বিজ্ঞান ও ধর্ম আলাদা এটা বুঝতে উনার সময়ের দরকার আছ।

২৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩১

নতুন বলেছেন: @সুপারডুপার ভাই আপনার কথা আমি আগেই উল্লেখ করেছি যে দেশে ওয়াজশুনে যারা ইসলাম এবং বাইরের দুনিয়া সম্পকে ধারনা তৌরি করে তারা অনেকটাই ভুলের ভেতরে আছে। সেটা আপনিই তাকে বলেছিলেন।
অবশ্যই যে কেউই একটা ধারনা বা বিশ্বাস নিয়ে থাকতে পারে । কিন্তু সেটা যদি ব্লগে উপস্থাপন করে তবে সেটার উপরে প্রশ্ন আসবেই, সেই প্রশ্নের জবাব দিতে না চাইলে ব্লগে এইজিনিস নিয়ে আসার দরকার নাই।

@কামরুননাহার কলি:- আপনার লেখা অনুসারে আয়াত ৬০০০ সেটা মনে হয় ভুল। আপনি নিজে কোরানের আয়াতের সংখ্যাগুলে দেখতে পারেন. ৬২৩৬ পাবেন আপনার বাসায় যেটা আছে।

এই প্রশ্নদুটি আমি করি সাধারন দুই সমাজে চলমান ভুল ধরনাকে দেখার জন্য। বেশির ভাগ মানুষ কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬ বলে কারন সেটাই প্রচলিত কিন্তু নিজে একবার গুনে দেখেনা আসলে আয়াত সংখ্যা কত!!!

কোরানে কোথাও নেই যে হাওয়া আ: গন্ধম আদম আ: কে খাইয়েছিলেন।

বাইবেল বা অন্য কিতাব নামে যা প্রচলিত আছে তা সবটুকুই মানুষ রচিত তাই সেটাকে বিশ্বাস করে প্রচার করার কিছু নাই।

আর যদি কাউকে জবাব দিতে কস্ট তবে ব্লগ না লেখাই ভালো্। আর না হলে বলে দেবেন যে আপনি মন্তব্যের জবাব দেবেন না বা কারুর সমালোচনা ব্লগে দরকার নাই।

২৮| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

ফেনা বলেছেন: তথ্যে পরিপূর্ণ একটা পোষ্ট।
অনেক উপকারে আসবে।

আপনার জন্য শুভকামনা।

২৯| ০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

এভো বলেছেন: আপনি কি আমাকে এই ব্যপারে ব্যাখা দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন. .

বিজ্ঞান বলে ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে বিগ ব্যাঙ্গের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্ঠি হয়েছিল , এর ৮.৭ বিলিয়ন বৎসর পরে সূর্যের সৃষ্ঠি হয় এবং ৯ বিলিয়ন বৎসর পর পৃথিবীর সৃষ্ঠি হয় -- কিন্তু কোরান অনুযায়ী আল্লাহতালা সবার আগে পৃথিবী তারপর আকাশ মন্ডলি নক্ষত্ররাজি সৃষ্ঠি করেছেন , যদি তাই হয় তাহোলে পৃথিবীর জন্ম ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে হওয়ার কথা ।

এই বিষয়ে নাস্তিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারি নি , কাইন্ডলি একটু সাহায্য করবেন


আল্লাহ পৃথিবী, গাছপালা প্রাণিজগত আগে সৃষ্টি করেছেন, এরপরে সপ্ত আকাশ বা মহাকাশ।

বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
কুরআন ৪১ঃ৯-১২

তোমাদের জন্য তিনি ভূ-মন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভমন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের প্রতি দৃষ্টি দিয়া ইহাকে সাত স্তরে বিভক্ত করিয়াছেন, তিনিই সকল বস্তু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।
কুরআন ২ঃ২৯

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.