নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সুন্দর করে সাজাও । আমি নারী তাই কথাও বলি নারীদের নিয়ে।

কামরুননাহার কলি

আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।

কামরুননাহার কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসম্মানী মানুষদের প্রতি সম্মান দেখানোর প্রশ্নই উঠে না।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯



পৃথিবীতে সম্মানের যোগ্য সেই ব্যক্তিরাই হয় যারা অন্যের সম্মান করতে যানে। তারা কখনোই হয়না, যারা অন্যের অসসম্মান করে নিজেদের সম্মান অর্জন করে, তারা কখনো সম্মানীত ব্যক্তি হতে পারে না। তারা করো না কারো চোখে, কোননা কোন কালে অযোগ্য এবং অসম্মানের পত্র হয়ে থাকে।

পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা পৃথিবীতে অনেক সম্মান অর্জন করেছেন। তাদের নাম, জস, খ্যাত আজীবন মানুষ মুখে মুখে উচ্চরিত হয়। তাদের শিক্ষায় মানুষ শিক্ষিত হয়। কিন্তু ঠিক তারাই আবার পৃথিবীতে এমন কিছু কথা বলে গেছেন যা তাদের ভবিষৎ জীবনের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের পরবর্তী প্রজন্মদের চোখে যে তারা ঘৃর্ণা সৃষ্টি করে গেছেন সেটা হয়তো তারা বুজতে পারেননি। আমি আজ তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনের নাম উল্লেখ্য করবো। তারা হলেন- বীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেপোলিয়ান, অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ, শংকর, মেনানডার, সমরেশ মজুমদার। আমরা জানি এরা খুবই বিখ্যাত ব্যক্তি, কিন্তু এরা যে সমাজে উক্তি বলে গেছেন সেটা তাদের প্রতি ঘৃর্ণা ছাড়া সম্মানের প্রশ্নই আসে না। তাদের নিয়ে আমরা মাতামাতি করি ঠিকই, কিন্তু তারা যে আমাদের সমাজে নারীদের নিয়ে নোংরা উক্তি উপহার দিয়ে গেছেন সেই সব কি ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবেন, পারবেন না।

এই সব গুণি লোকেরা মেয়েদের নিয়া যেসব উক্তি বলিয়া গিয়াছেন সেসব উক্তিগুলো নিচে দেয়া হইলো। এরপরও কি করে এদের মতো মানুষদের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা মন থেকে দেখাবো সেটার উক্তি আমার কাছে নেই। আজ হয়তো মেয়েরা বোঝে কম তাই হয়তো এদের প্রতি এতো শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা উতরিয়ে পরে তাদের জন্য। তাই ভালোবাসাপ্রতী মানুষগুলোর কু-উক্তিগলো দেখে নিতে পারেন। আপনরা নিজের চোখেই।

১। মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সবচেয়ে কম, নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রানীও বটে। ... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২। পুরুষেরা মেয়েদের খেলার সামগ্রী এবং মেয়েরা শয়তানের খেলার সামগ্রী। মেয়েরা সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বৈ কিছু নয় ...নেপোলিয়ান
৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে। ... অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ
৪। কম বয়েসী মেয়ে হলো রসগোল্লার মতো, যেখানে রাখবে সেখানেই পিঁপড়ে ধরবে। ...শংকর
৫। পৃথিবীতে বা সমুদ্রে যতো হিংস্র প্রাণী আছে, সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাণী হল মেয়েরা। ...মেনানডার
৬। মেয়েটাকে বিয়ে করে ফেললেই তো পার, ফ্রিতেই যদি গাভীর দুধ মেলে তাহলে কোন মূর্খ টাকা খরচা করে ঘরে গাই পোষে? ...সমরেশ মজুমদার

কেউ হয়তো বলবেন, এরা খারাপের থেকে ভালোর দিকটা বেশিই দিয়ে গেছেন জাতিকে। কিন্তু আমি বলবো- এক বালতি গাইয়ের দুধের মধ্যে এক ফোটা লেবুর রস হলেই যথেষ্ট।

ঠিক আমার মতো হয়তো একদিন ঠিক এই ভাবে ভবিষতে, কোন কালে, কোন যুগে বা কোন একসময়, এই আজকের বাংলাদেশের মানুষদের প্রতি ঘৃর্ণায় চোখ ফিরিয়ে নিবে আগামী প্রজন্মরা। ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে থাকবে আজকের স্বাধীন বাংলা, পরাধীন বাংলাদেশ হয়ে থাকাটা।

আমিও একদিন গল্প করবো আগামী প্রজন্মের নিকট। গল্পটা হবে এই রকম- আমাদের একটা দেশ ছিল, নাম ছিল বাংলাদেশ, একদিন এদেশে স্বাধীন করেছেন ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়। তারা স্বাধীনাত ছিনিয়ে এনেছেন ঠিকিই কিন্তু তা রক্ষা করতে পারেনি কেউ, তারপর থেকেই দেশের, আমি প্রতিদিন পেপারে শুধু ধর্ষণ, ধর্ষণ, খুন, গুম, হত্যা, অত্যাচার-নির্যাতন, অপমান, অপদস্ত, দুনীর্তী দেখেছি কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি, দেশে আইন ছিলো না, দেশে সঠিক বিচার ছিলনা, সেই দেশেরই মেয়ে আমি।ওরা তখন আমাকে প্রশ্ন করবে তারা কারা?, যারা এই সব কিছুর প্রশ্রয় দিয়েছে?-সেই প্রশ্নের জবাবটা তখন কি হবে? কি হবে! সেটা হয়তো সবাই বুঝে গেছেন। আর সবার কাছেও সেটার উত্তর স্বর্ণের অক্ষরে অক্ষরিত হয়ে থাকবে জনম জনম।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন:

এইযে ইনারা হচ্ছেন উনারা,
যাহারা আছেন এখনো ঘুমাইয়া!

হটাৎ যদিওবা উঠিবেন কদাচিৎ,
ভাবিবেন, দেখিতো কি করা যায় দূরভিসন্ধি?

ঘুম থেকে উঠেই বলিবেন,
এইযা... বড্ড দেরী হইয়া গেল।
দেখিতো কি আছে ধান্ধা!

কি হইবে, অযথা বাক্য ব্যয়ে?
টকশো, সম্মেলন কিংবা সভায় -
না হয় পাওয়া যাইবে কিছু নগদ নারায়ন।

উনারা কুম্ভকর্ন, উঠিবেন না ততক্ষন-
যতক্ষন না হয় নিজস্বার্থ!

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: উপরের মহিলাদের ১জনকে বাদে বাকি কাউকেই চিনি না আমি।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এটা অমোঘ সত্যি যে,যুগে নারীর শত্রু নারীরাই বেশী।

পুরুষ নারীকে তার প্রয়োজনে / ভালবেসে যেমন কখনো জায়া-জননী-ভার্যা বানিয়েছে আবার তেমনি আবার প্রয়োজনে তাকে দেহপসারনী-নর্তক-বারবনিতা ইত্যাদি নানারুপে ও উপস্থাপন করেছে অবস্থান এবং অবস্থার প্রেক্ষাপটে।আর সারা পৃথিবীতে সকল প্রানী জন্ম মাত্রই সেই প্রানীর বৈশিশ্ষ্ঠ্য ধারন করে বা সেই প্রাণী হয়ে যায় । মানুষ ই একমাত্র প্রানী যার জন্ম মানুষ হিসাবে হলেও তাকে মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে হয়।আর তার জন্য পারিবারিক শিক্ষা এবং পরিবেশ,সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয়-অর্থনৈতিক অবস্থা,চলার পথে তার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মানষিকতা এবং সর্বোপরী প্রকৃত শিক্ষা/ নৈতিক শিক্ষায় যথাযথ শিক্ষিত হলেই সে একজন ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে পারে ।আর তা না হলে সে আকৃতিতে মানুষ থাকলেও প্রকৃতিতে পশুই থেকে যায়।তা সে নর কিংবা নারী যেই হোক না কেন।

আর সৃষ্টিকর্তা নরনারী উভয়কে সৃষ্টি করেছেন তাদের পরিপুরক করে এবং একের জন্য অন্যের সাথে কল্যান ও মংগল রেখেে।তাদের মাঝে একে অপরের সম্পর্ক সহযোগীতার ,প্রতিযোগীতার নয়।এই পুরুষ আর নারীর ভালবাসার পরিণতিতেই এই দুনিয়ার সকল সুখ-সাফল্য।তাদের মাঝে যুদ্ধ বা অসম্মানের মাধ্যমে নয়।

যুগে-যুগে, কালে-কালে মতবাদের ভিন্নতা কিছু ছিল-আছে - থাকবে । তারপরেও কথা তাকে সম্মান দেয়ার দেয়ার এবং আদায় করার বিষয় করুনার বা দয়ার নয়।তা মুলত নির্ভর করে দাতা-গ্রহিতার শিক্ষা-মানষিকতা-পরিবেশের উপর।

আর যখন নর-নারী সহযোগী হিসাবে উভয়ে উভয়কে মূল্যায়ন করবে ,ভালবাসবে এবং সর্বোপরী উভয়ে উভয়কে মানুষ হিসাবে মূল্যায়ন করতে শিখবে তখনই মানুষে মানুষে প্রকৃত সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে ।আর এর মাধ্যমেই সমাজ এবং পরিবার হয়ে উঠবে শান্তিময় আর নারী পাবে তার যথাযথ ভালবাসা-মর্যাদা-সম্মান আর পুরুষ নারীর কাছে হয়ে উঠবে ভরসার প্রতিক তথা পিয়তম হিসাবে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: পুরুষ যে পশু সেটার পরিচয় সবাই দেয় না সেটা পরিচয় দেয় কিছু ‍পুরুষ নামে কলঙ্ক পশুরা । এর বেশি কিছু বলার আমার নেই। যারা মানুষ তারা নিজেদেরকে মানুষ হিসেবেই পরিচয় দেয় পুরুষ/পশু হিসেবে পরিচয় দিতে তারা দ্বিধাবোধ করে। কারণ পুরুষ আর পশু দুটোই সমান। তবে এখন আমি দেখতেছি পুরুষদের পশুর সাথে তুলনা করলে পশুদের অপমান করা হয়। কারণ পুরুষের তুলনা পশু অনেক ভালো।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৫

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার ক্রোধের প্রতি সমর্থন, তবে এই অবজ্ঞা, ঘৃণা যেন আমাদের পারিবারিক, সামাজিক ও বন্ধুবান্ধবের ঘনিষ্ঠ পরিমণ্ডলে নারীদের প্রতি অসম্মান যারা করে, তাঁদের প্রতিও আমরা প্রদর্শন করি, এই অনুরোধ রইল।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভাই আপনার কথাগুলো আমি বুঝতে পারিনি। সরি।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪২

অরণি বলেছেন: উহাদেরকে সম্মান করিলে উহারা হয়েনা হয়ে উঠবে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হায়েনা বলা যায় না হায়েনা থেকেও পুরুষ অদম।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসম্মানী মানুষদের প্রতি সম্মান দেখালে ওরা বেপরোয়া হয়ে উঠবে। সুতরাং না দেখানোই ভালো।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ঠিক।

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

স্থিতধী বলেছেন: উপরের লিস্টে আল্লামা শফীর টা নাম বাদ পড়ে গেলো;

৪ নং উক্তির " রসগোল্লা ও পিপড়া" তত্বের মতো আল্লামা শফী ও " তেঁতুল ও লালা" তত্ব দিয়ে গেছেন নারী বিষয়ে।
৩ নং উক্তির মতো তিনি বলেছেন " মেয়ে দেখলেই খালি বিবাহ করতে ইচ্ছা করে। দিলের মধ্যে লালা ঝড়ে"
২ নং উক্তির নেপোলিয়নের সাথে তিনি একমত হয়েছেন। পবিত্র কুরআনে আছে যে মেয়েরা পুরুষের জন্য শস্যক্ষেত্রের মতো, তাই আল্লামা শফীও বলেছেন যে মেয়েদের কাজ পুরুষের সন্তান ধারন করে তাদের লালন পালন করা পর্যন্ত। অতটুকু করার জন্য যতটুকু পড়তে হয় ততটুকু পড়াশোনাই যথেষ্ট। বাকী দুনিয়াবী অন্য কাজের লেখাপড়া ও চাকরি বাণিজ্য নারীর জন্য নয় বলে তিনি ফতোয়া দেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনাদের ধারণা আর পবিত্র আল কোরআনের ব্যাখ্যার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত রয়েছে। তাই তো আল্লাহ তায়লা পবিত্র কোরআনেরই বলেছেন আমার আয়াতকে যারা নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করবে তাদেন জন্য রয়েছে চরম লাঞ্জনা দায়ক শাস্তি। পবিত্র কোরআনের মেয়েদের শস্যক্ষেত্র মানি হলো মেয়েরা পৃথিবী জুড়ে আল্লাহর দানে মানুষ জন্ম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর এটা না হলে আপনাদের মতো মানুষ আজ পৃথিবী বিস্তার হতে পারতো না। যেমন আল্লাহ দানে যদি পৃথিবীতে ফসলের ক্ষেত না থাকতো তাহলে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ না খেয়ে মরতো। আশা করি বুজতে পেরেছেন। আল্লামা শফী বলেন আর ধর্ষক বলে তারা আল্লাহ বিচারে সামনে যেয়ে একবিন্দু ও ক্ষমা পাবে না। যেকথা গুলো পরুষ নামে পশুরা মেয়েদের বলে বুঝাতে চায় সেটার জন্য তো একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। সেটা দুনিয়াতে না দাড়ালেও আখিরাতে দাড়াঁতে হবেই।

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধিক্কার ও ঘৃণা

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১১

রাজীব নুর বলেছেন: যারা ছেলে জন্ম দিচ্ছেন- তারা ছেলেদের সঠিক শিক্ষা দিন দয়া করে। আপনার ছেলে যেন বড় হয়ে ধর্ষনকারী আর দূর্নীতিবাজ না হয়। আজ যারা ধর্ষনকারী আর দূর্নীতিবাজ তারাও একসময় শিশু ছিলো। জন্ম দেওয়া সহজ। সত্যিকার ভাবে সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা কঠিন। যদি ছেলেকে সঠিক শিক্ষা দিতে না পারেন তাহলে কোনো সন্তান দুনিয়ায় আনবেন না।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

সত্যপীরবাবা বলেছেন: ব্লগার স্থিতধী এর সঙ্গে একমত।
আরো যোগ করতে চাই, যেসব (কু)যুক্তি দিয়ে নারীকে শস্যক্ষেত্র বা তেঁতুলের সাথে তুলনাকে হালাল করা হয়, সেই একই যুক্তি দিয়ে পোস্টে উল্লেখিত উক্তিগুলোকেও যায়েজ করা যায়।
শস্যক্ষেত্র আর তেঁতুলের তুলনা বিষয়ে "মহৎ" সব মন্তব্য পড়ার জন্য পপকর্ন নিয়া বসলাম।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: কোরআনের ব্যাখ্যা যদি কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রয়োগ করে তাহেল সেটা না বিশ্বাস করাই ভালো। কারণ কোরআনে এমন কোন আয়াত বা এমন কোন শব্দ নেই যেখানে আল্লাহ নারীদের অপমান করে কথা বলেছেন। বরং তিনি সকলকে মানুষ এবং সমান বলেই ব্যাখ্যা করেছেন পবিত্র আল কোরআনে। আর এই সব মহৎ কাজ অর্থ্যৎ যারা কোরআনের আয়াতকে ভুল ব্যাখ্যা করে তাদের বিচার কিয়ামতের ময়দানেই হবেই হবে। যারা কোরআনের ব্যাখ্যাকে ভুল প্রয়োগ করে তাদের জন্য নিচের এই মন্তব্যটুক পড়ে দেখবেন।

পুরুষ যে পশু সেটার পরিচয় সবাই দেয় না সেটা পরিচয় দেয় কিছু ‍পুরুষ নামে কলঙ্ক পশুরা । এর বেশি কিছু বলার আমার নেই। যারা মানুষ তারা নিজেদেরকে মানুষ হিসেবেই পরিচয় দেয় পুরুষ/পশু হিসেবে পরিচয় দিতে তারা দ্বিধাবোধ করে। কারণ পুরুষ আর পশু দুটোই সমান। তবে এখন আমি দেখতেছি পুরুষদের পশুর সাথে তুলনা করলে পশুদের অপমান করা হয়। কারণ পুরুষের তুলনা পশু অনেক ভালো।

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



রবীঠাকুর, হুমায়ুন আজাদ, কবি নজরুল, ফ্রয়েড কি বুঝাতে চেয়েছেন, উহা আপনি বুঝতে পারেননি; না বুঝে বিরাট ম্যাঁওপ্যাও লাগায়ে দিয়েছেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: উহা আমি ভালো কইরাই বুঝি। বোজার বয়স হইয়াছে আমার। তাই সবই বুঝি। এদের শিষ্যরাই আজ ম্যাঁওপ্যাও বুঝায় মেয়েদের। তাই ম্যাঁওপ্যাও আমরা লাগাই না তারাই লাগায় যারা যখন বলে রবী দাদা মেয়েদের এটা বলেছেন, আজাদ দাদা মেয়েদের ওটা বলেছেন, শংকর দাদা ঠিকই বলেছেন, শফী দাদু বেশ বলেছেন। এটা বুঝেন না কেনো? এটা বোঝার ক্ষমতা রাখেন।

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

স্থিতধী বলেছেন: তাই তো আল্লাহ তায়লা পবিত্র কোরআনেরই বলেছেন আমার আয়াতকে যারা নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করবে তাদেন জন্য রয়েছে চরম লাঞ্জনা দায়ক শাস্তি।......আল্লামা শফী বলেন আর ধর্ষক বলে তারা আল্লাহ বিচারে সামনে যেয়ে একবিন্দু ও ক্ষমা পাবে না। যেকথা গুলো পরুষ নামে পশুরা মেয়েদের বলে বুঝাতে চায় সেটার জন্য তো একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। সেটা দুনিয়াতে না দাড়ালেও আখিরাতে দাড়াঁতে হবেই।

তাহলে কি আপনি বলছেন, আল্লামা শফি কুরআনের এক্ষেত্রে কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বেড়িয়েছেন সারাজীবন, আর আপনি যেভাবে কুরআনের বাণীটিকে ইন্টারপ্রীট করছেন সেটাই সঠিক ব্যাখ্যা? তাহলে আপনি দয়া করে আপনার লিস্ট টি আপডেট করে পোস্ট টি দিন, কেননা সে বিবেচনায় এই লিস্টে আল্লামা শফীর নাম থাকাটাও অবশ্য বাঞ্ছনীয়। স্পষ্টত , তিনি ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কুরআনের বানীকে নেপলিয়ন, হূমায়ুন আজাদ আর শঙ্করের নারী বিষয়ক উক্তির সাথে এক কাতারে এনে ফেলেছেন।আর তাঁর অজস্র মুরীদ রাও তাকে এতো সম্মান দিয়ে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে সেক্ষেত্রে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: সফী দাদা মেয়েদের নিয়ে যে কথাটি বলেছেন সেটা তার ভুল ছিলো। তিনি ব্যাখ্যা টি ভালোভাবে দেননি, ব্যাখ্যা সম্পর্কে তার জানা সত্যেও্। তাই তিনি এতো আলোচনায় এসেছেন।

আর সফীদাদার মতো হাজারও আনাচে কানাচে পরে রয়েছে। মেয়েদের নিয়ে কু-কথা বলার মতো। তাই উপরে কিছু বিখ্যাত মানুষদের এড করেছি। যদি আমি সফীদাদাকে এড করতে যাই তাহলে আমাকে দেশের কোটি কোটি নাম এড করতে হবে।

আর আপনাকে বলছি যদি কোরআনের ব্যাখ্যাটি অন্যের কাছ থেকে না শুনে সরাসরি কোরআনে খোজ করুন, আর যদি আপনার মাথায় জ্ঞান থাকে তাহলে ওখানেই বুজতে পারবেন কোরআনে কি ব্যাখ্যা আছে। আপনাকে আমন্ত্রণ রইলো সর্ম্পুণ কোরআন পড়ার ব্যাখ্যা সহ। তাহলে মানুষের কথা আর কান দিতে হবে না। তখন নিজেই বুঝতে পারবেন আসলে কোরআন কি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: নেপলিয়ন, হূমায়ুন আজাদ আর শঙ্কর এরা কোন কোরআনের ব্যাখ্যা দেননি এরা দিয়েছেন হিংস্রতার ব্যাখ্যা। আসা করি বুঝতে পেরেছেন।

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

স্থিতধী বলেছেন: আর আপু, যেহেতু আপনি কুরআনের সহী ব্যাখ্যা দানে দক্ষতা রাখেন বলে মনে হচ্ছে, তাই আপনাকে জিজ্ঞেস করে নিজের অজ্ঞতা দূর করতে চাই। লোকেরা বলে যে কুরআনে পুরুষ কে নারীর উপরে মর্যাদা দেয়া হয়েছে এবং তাই প্রয়োজনে পুরুষ নারীকে প্রহারও করতে পারে তাঁকে ঠিক পথে রাখার জন্য। আসলেই কি তাই?

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: লোকের কথায় কান না দিয়ে কোরআন অনুসর করুন। দেখবেন কোরআন আর লোকের কথায় অনেক অমিল রয়েছে।
দেখুন পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারা আয়াত, ২২৮, এর আগে পরেও কিছু আছে তবে এই আয়াতের মাঝ থেকে বলছি- “নারীদের তেমনি অধিকার আছে যেমনি অধিকার পুরুষদের আছে নারীদের প্রতি। তবে কিছু ক্ষেত্রে নারীদের উপর পুরুষদের মর্যাদা আছে” এই আয়াতে একটি ঘটনা আছে। এই আয়াতটি একটি তালাকের আয়াত। তখনকার যুগের মানুষেরা তালাক দিতো আবার স্ত্রীকে নিয়ে আসতো বিয়ে না করে বা ইদ্দাত না শেষ হওয়া পর্যন্ত। এতে স্ত্রীরা খুবই বিরক্ত হতো। ঠিক সময় একজন ভুক্তভোগী মহিলা বিরক্ত হয়ে আয়েশা (রাঃ) এর নিকট আসলেন আর তার স্বামীর ব্যাপারে তাকে বললেন। সে একজন তালামপ্রাপ্ত মহিলা অথচয় তার স্বামী তাকে বার বার তালাক দিচ্ছে আর ফিরিয়ে আনছেন। এই জন্য মহিলা খুবই বিরক্ত। এই কথগুলো আয়েশা (রাঃ) রাসূল (সাঃ) কে খুলে বললেন আর আর তখন তালাকের বিধান আয়াত নাজিল হয়। তার মধ্যে এই কথাটি লেখা আছে। স্বামী-স্ত্রীর তালাক হলে, ইচ্ছে করলেই কোন স্বামী তার স্ত্রীকে জোড় করে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এখানে আরো কথা আছে তবে আমি সংক্ষিপ্তে বললাম। আসা করি কিছুটা হলে বুঝবেন।

এবার আসি প্রহারের কথা নিয়ে। প্রহর আর মর্যাদা এই দুইটি আলাদা আলাদা সূরা এবং আয়াত। সূরা নিসা আয়াত ৩৪, এখানে বলা আছে- আর “পুরুষ নারীর রাক্ষাকারী কেননা আল্লাহ তাদের একজনকে আরেকজনের উপর মর্যাদা দিয়েছেন আর তারাই তো ব্যয় করে সম্পদ, সুতারং সতী নারী অনুগত, আল্লাহর হেফাজতে তারাই তো স্বামীর অবর্তমানে সম্পদ রক্ষা করে। কিন্তু যখন তারা অবাধ্যতা হয় তখন তাদের উপদেশ দেও, তারপর তাদের শস্যাবস্থান করো, যদি তাও না মানে তাহলে তাকে প্রহর করো। যদি তারা অনুগত হয়ে যায় তাহলে তোমরা তাদের ব্যপারে আর বাহনা খোজ না আল্লাহ মহামর্যাদাবান। এর পরের আয়াতটি আরো সুন্দর ভাবে বলা আছে।” এই আয়াতের শানেনুযুন হলো-একদা সাদ ইবনে রাবী ও তার স্ত্রী হাবীবার মধ্যে কিছু নিয়ে বিরোধ ছিল। আর তার জন্য সাদ (রাঃ) হাবীবাকে একটি চপেটাঘাত করে। এতে হাবীবা পিতার নিকট অভিযোগ করলেন তার পিতা যুবায়ের কন্যাকে নিয়ে রাসূল (সাঃ) এর নিকট গেলেন তিনি ঘটনা শুনে তখন রাসূল (সাঃ) নির্দেশ দেন যে সাদ (রা) হাবীবাকে যতটা জোড়ে মেরেছে ঠিক ততটা জোড়ে হাবীবা (রা) সাদ (রা) কে মারবেন।

আর প্রহর মানি এই নয় যে কোন পুরুষ ইচ্ছে করলেই তার স্ত্রীকে প্রহর করতে পারবে। স্ত্রী যদি খারাপ হয় তাহলে বুঝিয়ে শুনিয়ে ভালোর পথে না আনতে পারলে তারপর তাকে প্রহর করতে পারবেন। এমনি কোন প্রকারে আঘাতও করতে পারবে না স্ত্রীকে সে যতই অন্যায় করুক। স্ত্রীর উপর আঘাত করলে ঠিক সেই ভাবে স্বামীর উপর ও আঘাত করার অধিকার স্ত্রীর আছে।
ঠিক একই ভাবে স্বামী যদি অনুগত না হয় তাহলে স্ত্রীরা তাকে প্রহর করতে পারে। স্বামীকে তালাক দিয়ে দিতে পারে স্ত্রীরা।

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

স্থিতধী বলেছেন: আর সফীদাদার মতো হাজারও আনাচে কানাচে পরে রয়েছে। মেয়েদের নিয়ে কু-কথা বলার মতো। তাই উপরে কিছু বিখ্যাত মানুষদের এড করেছি।

তাঁর আল্লামা শফী হুজুর বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ব্যাক্তি নন!! এমনি এমনি তাঁর জানাযায় লাখ মানুষের ঢল!!!.. আপু আপনি অবশ্যই খুব জ্ঞানী ব্যাক্তি মনে হচ্ছে। আমার তো চোখ খুলে গেলো!

নেপলিয়ন, হূমায়ুন আজাদ আর শঙ্কর এরা কোন কোরআনের ব্যাখ্যা দেননি এরা দিয়েছেন হিংস্রতার ব্যাখ্যা।

আর আল্লামা শফী হুজুর দিয়েছেন নারী কে ভালোবাসার ব্যাখ্যা !! আর তাই উক্ত " বিখ্যাত" লোকদের সাথে খুব " অখ্যাত" আর মুরীদ হীণ শফী হুজুরের বক্তব্য একটুও মিল খায়না!! ..। আসলেই আপনার সুযুক্তির সাথে একমত না হয়ে থাকাই যায়না! শুভেচ্ছা নিরন্তর! ( দয়া করে এই মন্তব্য গুলো মুছে দিবেন না, আমার মতো অজ্ঞাণীদের অজ্ঞানতা দূর হতে এগুলো কাজে আসবে) :-B

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: মানুষ হিসেবে আমি মানুষকে ভালোবাসি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাদের নয় যারা আল্লাহ এবং রাসূলের বিরুদ্ধে কথা বলে। উনি জীবনে অনেক নেক কাজ করেছেন উনি জান্নাত বাসী হোক। কিন্তু তার নামের আগে কেনো তেতুল হুজুর হলো? এটা আমার মাথায় আসে না। উনি কেনো কোরআন অনুযায়ী নারীদের সম্মানের সাথে কথা বললেন না? যারা নারীদের অবমাননা করে তারা সমাজের চোখে ঘৃর্ণীত ছাড়া আর কিছুই না।

১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেছেন: যতদিন ভবে , না হবে না হবে , তোমার অবস্থা আমার সম
ঈষৎ হাসিবে, শুনে না শুনিবে ,বুঝে না বুঝিবে যাতনা মম- সংগৃহীত

উপরের উনারা প্রত্যেকেই চরিত্রহীনা । উন্মাদের মোড়াল চরিত্র বলে কিচ্ছু নাই ।
পয়সা দিলে এরা সাপের গালে ও চুমু খাবে আবার ব্যাঙের গালে চুমু খাবে ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হতে পারে।

১৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এই বিখ্যাত উক্তিগুলোর রেফারেন্স দিলে ভালো হতো। মূল লেখা পড়ে,বুঝে,নিশ্চিত হতে চাই। এই কালেকশনের যুগে মূল রেফারেন্স না দেখে কিছু বিশ্বাস করার উপায় নেই।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এরা তো বিখ্যাত তাই গুগল মামাকে সার্চদিলেই অনেক কিছু পেয়ে যাবেন।

১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব জানেন। সব বুঝেন। উনিই নিশ্চয়ই সব দেখছেন। উনার কাছে নালিশ দিতে হবে। অন্যথায় কিচ্ছু হবে না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: উনি তো তামশা দেখেন ।

১৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: সেটা আপনাকে দেখলেই বোঝা যায়। যারা নীতি ছাড়া অনীতি কথা বলে তারাই বোঝে কোন বিদ্যা ভালো।

১৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কথাগুলো কবি সাহিত্যিকদের উক্তি নয়।
ফিকশান মানে গল্পের বই। যদি বোঝেন। গল্পের বিভিন্ন ভাল মন্দ চরিত্রে বিভিন্ন প্রক্ষিতে আজে বাজে কথা থাকতে পারে।
এসব কোন কিছুই লেখকের উক্তি বা বক্তব্য নয়।
আপনের মত শিক্ষিত মানুষ ফেবুর কপিপেষ্ট জিনিষ হাজির করে নামীদামী সম্মানিত লেখকদের বিরুদ্ধে ঘৃনা ছড়াচ্ছেন। ছিহ .

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ঠিক বলেছেন সম্মানীত ব্যক্তি তারা, কত নামিদামি তারা। অথচয় আমি তো মানতে পারিনা এইসব নামী দামি লোকদের। কারণ তারা নারীদের অবমাননা করেছেন। আপনে ‍বুঝবেন কোথার থেকে সেটা আপনে তো পুরুষ। নারী হলে ঠিকই বুঝতেন।

১৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৪৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ময়লায় ফেলে দেয়ার মত একটি লেখা। যাদের নাম বললেন তাদের লেখা পড়ে কেউ কখন ধর্ষক হয়েছে বলে আমার জানা নাই, কিন্তু শফি এবং তাদের অনুসারিরা মেয়েদের নিয়ে কিভাবে নোংরা কথা বলতে হয় তার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মাদ্রাসায় মাদ্রাসায়। দয়া করে তেতুল হুজুরের তেতুল বানী বিশ মিনিট শুনবেন।
লেখাটা যদি এমন হত যে মানুষ কেন ধর্ষক হয়, তার একটি মননগত মিল থাকে, সে উচ্চ শিক্ষিত হোক আর নিম্ন, সেইটা তার আচরনে প্রভাব ফেলে না, সে নিয়তই ধর্ষক, একজন ব্লগার হিসেবে আপনার এইসব আলোচনা করা উচিত ছিল। আপনি তা না করে কি করলেন, কিছু উক্তি নিয়ে আসলেন। আপনি রবিন্দ্রনাথ কোন বইয়ে এই কথা বলছে বলেন। সমরেশ কোথায় এই কথা বলছে বলেন। একটু যৌক্তিক আলাপ সবসময় গ্রহনযোগ্য। সেটা মাথায় রেখে লিখবেন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: মোঃ সাকিবুল ইসলাম আপনি হয়তো জানেন না। মানুষের মনে কখন ঘৃর্ণা ছড়ায়। সেটা যদি আপনাকে কোন নারী বলতো তাহলে ‍বুঝতেন যে ঘৃর্ণা কেনো ছাড়ায়। এই পৃথীবিতে যারাই নারীদের নিয়ে কু-কথা বলবেন তারাই যুগে যুগে কালে কালে ঘৃর্ণা পাত্র হয়ে থাকবে কারো না কারো নিকট। সে হোক বিখ্যাত হোক সে কু-খ্যাত।

২০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার এই লেখায় বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য আসার কারন হল , উপর্যুক্ত লেখকদের বিভিন্ন সাহিত্যকর্মের পাতা থেকে, সৃষ্ট চরিত্রের মুখের সংলাপ আপনি কনটেক্সট থেকে বিচ্ছিন্ন করে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যেন তাঁদের পুরো জীবনদর্শনই ছিল নারীদের যৌনবস্তু হিসেবে দেখা। যেটা আদতে সত্য নয়। মেয়েদের একতাল মাংস হিসেবে মনে করা, বা প্রচার করাই যদি রবীন্দ্রনাথ - আজাদ - সমরেশ - নেপোলিয়নের জীবনের এজেন্ডা হত, তবে বহু আগেই তাঁদের ইতিহাস ভুলে যেত।

এছাড়াও, আপনি রেফারেন্স সংযুক্ত করেন নি কোন লেখার সঙ্গে। ফলে আপনার লেখার সত্যাসত্য সম্পর্কেও মানুষের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক।

যাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করলেন, তাঁদের তো নারীদের সম্মান দিয়েও উক্তি / লেখা খুঁজলে পাওয়া যাবে। বিশেষ করে নেপোলিয়নের - ' আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব' উক্তিটি তো এখনো আমার মাথায় ভাসছে। কাজেই, তাঁদের প্রতি এরকম একপেশে মনোভাব দেখানো কীভাবে সমর্থন করি?

প্রথম মন্তব্যে যেটা বলেছিলাম, সেটা সহজ করে বলি। শিল্পী সাহিত্যিকদের ছিদ্রান্বেষণ করা যায়। যেতে পারে। তাতে আত্মস্লাঘাও বোধ হয়। হতে পারে। কিন্তু আপনার - আমার প্রথম কর্তব্য, সর্বক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্যে, নিজেদের পারিবারিক পরিমণ্ডলে নারীর সম্মান নিশ্চিত করা। আপনার বাবা - চাচা - মা - খালা - বড় ভাই - ভাবী'র মত নিকট আত্মীয়দের কেউ যখনি নারীদের প্রতি অসম্মানসূচক মন্তব্য করবে, জেন্ডার বায়াজড কমেন্ট করবে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে তাঁদের শুধরে দেয়ার চেষ্টা করুন। আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব আমাদের নিজেদের কাছের মানুষজনের প্রতি, তাঁদের চিন্তাভাবনা বদলানোর প্রতি।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: পুরুষরা বললেন কোন দোষ নেই সে বিখ্যাত, সে সম্মানী, তার মধ্যে আরো ভালো গুন রয়েছে। আর মেয়েরা বললেন কালো, যেমন- তসলিমা নাসরিনকে দেখলেই বুঝা যায়। সারা পৃথিবী জুড়ে পুরুষরা মেয়েদের সাথে সৃষ্ট্রির শুরু থেকে যে সব অন্যায়, অপরাধ করে যাচ্ছে, সেটা দেখবেন কি করে, সেটা দেখতে হলে তো চোখ থাকতে হবে। , আজ বাংলাদেশে কি হচ্ছে, দেখেন না, পশুরা হাজার কু-কথা বলে পার পেয়ে যায় আর তাসলিমা নাসরিনের মতো মেয়েরা দেশ ত্যাগ হয়। করেছেন কখনো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

২১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনি বক্তৃতা দেয়ার ভঙ্গীতে মন্তব্য করেন। ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং।

যাই হোক, আপনি প্রত্যেকটি মন্তব্যকেই আক্রমন হিসেবে বিবেচনা করছেন, আর আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছেন। পুরুষ হলেই সাত খুন মাফ, আর নারী হলে তার অপরাধ ছাই দিয়ে চেপে ধরতে হবে - এটা আমার মতামত নয়। অপরাধী অপরাধী-ই, চাই সে পুরুষ হোক, বা নারী। এটা সত্য যে আমরা একটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোতে বাস করি, এবং নারীদের প্রতি নানারকম অভব্য অন্যায় আচরণ পুরুষদের তরফ থেকে আসে। তাই বলে যে যা নয়, তাকে সেই পরিচয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলাটা সমর্থনযোগ্য নয়।

আপনি প্রায়ই কোরআন বা হাদিসের রেফারেন্সে কথা বলেন। এ জন্যে কেউ যদি আপনাকে জামাত শিবিরের মহিলা উইং এর নেত্রী বলে দাবী করে, সে দাবী কি সঠিক হবে? সেটাকি আপনার পূর্ণাঙ্গ পরিচয়?

তাসলিমা নাসরিনের দুঃখে আপনি দুঃখিত, দেখে ভালো লাগলো। এদেশে ধর্মকর্ম চর্চা যারা করে, তাঁদের অধিকাংশই তাসলিমা নাসরিনকে পছন্দ করে না। বছরখানেক আগে দেখেছিলাম কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রেখে তাসলিমার হাস্যোজ্বল ছবি। আমি ওনার কোন লেখা এখনো পড়ি নি, তাই নির্দিষ্ট করে জানি না - ঠিক কোন লেখার প্রেক্ষিতে তাসলিমাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়।

আপনি নিশ্চয়ই জানেন তাসলিমার কোন লেখার প্রেক্ষিতে, কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। আমাকে জানিয়ে বাধিত করুন অনুগ্রহ করে। গুগলে খুঁজে দেখার পরামর্শ না দেয়ার অনুরোধ ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনি প্রায়ই কোরআন বা হাদিসের রেফারেন্সে কথা বলেন। এ জন্যে কেউ যদি আপনাকে জামাত শিবিরের মহিলা উইং এর নেত্রী বলে দাবী করে, সে দাবী কি সঠিক হবে? সেটাকি আপনার পূর্ণাঙ্গ পরিচয়?

একটা সত্যি কথা কি জানেন, আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কিছু মানুষ। যেটার প্রমাণ আপনিও । দেশের কেউ কোরআন হাদিস নিয়ে কথা বললেই সে শিবির, জামাত। বাহ বাহ। কি চমৎকার। আপনার সাথে কথা বলার রুচি হারিয়ে ফেলিছি। এই জন্যই বলি নীতিহীন মানুষ কখনো নীতির পথে চলতে পারে না।

২২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এরা তো বিখ্যাত তাই গুগল মামাকে সার্চদিলেই অনেক কিছু পেয়ে যাবেন।

গুগল কোনো নির্ভরযোগ্য উৎস নয়। আপনি তাদের উক্তি নিয়ে পোস্ট করেছেন।তাই আপনি নিশ্চয়ই জানেন তারা কোথায় এই উক্তি করেছেন। তাই সঠিক রেফারেন্স দেয়া উচিৎ আপনার।আর যদি না জেনে অন্যের কথা শুনে পোস্ট করে থাকেন তাহলে বলবো,আল্লাহর দেয়া মূল্যবান মস্তিষ্কটা অন্যের কাছে বর্গা দিয়ে না রেখে নিজে একটু ব্যবহার করেন। আশাকরি সঠিক রেফারেন্স পাবো এবার।

২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

রাশিয়া বলেছেন: মেয়েরা প্রথমবার যার প্রেমে পড়ে তাকে ঘৃনা করলেও ভুলে যেতে পারে না। পরিষ্কার জল কাগজে পড়লে দেখবেন শুকিয়ে যাওয়ার পড়েও দাগ রেখে যায়। - সমরেশ মজুমদার

রাজায় করিছে রাজ্য শাসন, রাজারে শাসিছে রাণী
রাণীর দরদে ধুয়ে মুছে গেল রাজ্যের সব গ্লানি - কাজী নজরুল ইসলাম

স্ত্রীলোকদিগের উপর যেমন কঠিন শাসন, পুরুষের উপর তেমন কিছু নেই। কথায় কিছু হয় না, ভ্রষ্ট পুরুষের কোন সামাজিক দণ্ড নেই। একজন স্ত্রী সতীত্ব সম্বন্ধে কোন দোষ করিলে সে আর মুখ দেখাইতে পারে না। হয়তো আত্মীয় স্বজন তাকে বিষ প্রদান করেন, আর একজন পুরুষ প্রকাশ্যে সেই সব কাজ করিয়া রোশনাই করিয়া জুড়ি হাকাইয়া রাত্রিশেষে পত্নীকে চরণরেণু স্পর্শ করাইয়া আসেন, পত্নী পুলকিত হয়েন। - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

মেয়েরা ব্যাক্তিগত চাহিদার কাছে কখনো পরাজিত হয় না - হুমায়ূন আহমেদ

যে পুরুষ একটি নারীকে বুঝতে পারে, সে পৃথিবীর যেকোনো জিনিস বুঝতে পারার গৌরব করতে পারে । — জে বি ইয়েটস

নারীদের অনুমান পুরুষদের নিশ্চয়তা হতে অনেক বেশী ঠিক । — রুডইয়ার্ড কিপলিং

নিরবতা এক ধরনের অলঙ্কার যা মহিলাদের জন্য অত্যন্ত শোভনীয় । — হেনরি ডেজন

এদেরকে সম্মান দেখাতে তো আশা করি কোন আপত্তি নেই।

২৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৪

স্থিতধী বলেছেন: “নারীদের তেমনি অধিকার আছে যেমনি অধিকার পুরুষদের আছে নারীদের প্রতি। তবে কিছু ক্ষেত্রে নারীদের উপর পুরুষদের মর্যাদা আছে

উক্ত আয়াতে তালাকের যে শানে নাযুল আপনি দিয়েছেন সেটা পড়ে কিন্তু এটা মোটেও বোঝা গেলোনা যে কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষের মর্যাদা নারীর চাইতে বেশী? [ যদিও মূল অনুবাদ আসলে" কিছু ক্ষেত্রে" কথাটা নেই, ওখানে বলা হয়েছে " অবশ্য নারীদের উপর পুরুষদের বিশেষ মর্যাদা আছে" (দায়িত্ব ও ক্ষমতা বিবেচনায়)] আপনার ই ব্যাখ্যা অনুযায়ী নারীকে যদি ইচ্ছামত তালাক দিয়ে আবার ফিরিয়ে আনা না যায় এবং নারীরও পুরুষকে তালাক দেবার অধিকার থাকে তাহলে এখানে আচমকা এটা কেন আবার বলা হলো যে পুরুষের মর্যাদা বেশী!

“পুরুষ নারীর রাক্ষাকারী কেননা আল্লাহ তাদের একজনকে আরেকজনের উপর মর্যাদা দিয়েছেন আর তারাই তো ব্যয় করে সম্পদ,

তো পুরুষ যেহেতু বিবাহের পর নারীর ভরন পোষণ করে সেহেতু তাঁর মর্যাদা বেশী একথা তো পরিষ্কার হয়ে গেলো তাই না? এবং এই বেশী মর্যাদার কারনেই কিন্তু পুরুষ নারীর সতীত্ব বা অবাধ্যতার ব্যাপারে সন্দেহ করলে নারী যদি তাঁর কথা না মেনে নেয় ( বা চরিত্রহীনা থাকে, যেটাই হোক) তবে এক পর্যায়ে গিয়ে সে পুরুষ গায়ে হাত তোলার অধিকার রাখে। এ পর্যন্ত ব্যাখ্যা কিন্তু কুরআনেই স্পষ্ট ভাবে আছে। তাহলে কুরআন অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারলাম;
১) নারীর চেয়ে পুরুষের মর্যাদা বেশী ( আপনারই শেয়ার করা দুটো আয়াতে এই বার্তা একদম স্পষ্ট, কোন সন্দেহের ওজর নাই)
২) নারীকে বিবাহিত জীবনে অবাধ্য পেলে/ সন্দেহ করলে তাঁকে শাসন করার জন্য পুরুষের নারীর গায়ে হাত তোলা জায়েজ

এতে হাবীবা পিতার নিকট অভিযোগ করলেন তার পিতা যুবায়ের কন্যাকে নিয়ে রাসূল (সাঃ) এর নিকট গেলেন তিনি ঘটনা শুনে তখন রাসূল (সাঃ) নির্দেশ দেন যে সাদ (রা) হাবীবাকে যতটা জোড়ে মেরেছে ঠিক ততটা জোড়ে হাবীবা (রা) সাদ (রা) কে মারবেন।

এবারে আপনি একটি চমকপ্রদ বিষয়ের অবতারণা করলেন! তবে এটি আপনার পোস্টটির মতই চমকপ্রদ। কেননা আপনি এই শানে নাযুলের কোন স্পেসিফিক রেফারেন্স দেন নাই ঠিক যেমনটা আপনার পোস্টের উক্তিগুলোর রেফারেন্স দেন নাই। আপনি নিজ থেকেই এর পর বলেছেন যে " স্ত্রীর উপর আঘাত করলে ঠিক সেই ভাবে স্বামীর উপর ও আঘাত করার অধিকার স্ত্রীর আছে।ঠিক একই ভাবে স্বামী যদি অনুগত না হয় তাহলে স্ত্রীরা তাকে প্রহর করতে পারে।" কিন্তু এই কথা তো আমরা কুরআনের বাণীতে পেলামনা! এমনকি আপনি যদি আপনার রেফারেন্স না দেয়া হাবীবা (রা) ও সাদ (রা) এর ঘটনার উপর ভিত্তি করেও এই কথা বলে থাকেন যে "স্বামী যদি অনুগত না হয় তাহলে স্ত্রীরা তাকে প্রহর করতে পারে" তাহলেও তা ধোপে টিকছেনা, কারন সেখানে তো সাদ (রা) কোন বিবাহ বহির্ভূত ব্যাভিচারের কাজ করেছিলো বলে লেখা নাই!!

অতএব, অন্য আর সব ব্লগারের দাবীর মতো আমিও আপনার এই শানে নাযুলের স্পেসিফিক রেফারেন্স চাই এবং দেখতে চাই যে সেটি অনুযায়ী "স্বামী যদি অনুগত না হয় তাহলে স্ত্রীরা তাকে প্রহর করতে পারে" আপনার এই মন্তব্য টি সঠিক হয় কিনা। দয়া করে, অন্যদের মতো আমাকেও এখানে " গুগল মামা" সার্চ করার সুপরামর্শ দিবেন না। আমি কিন্ত শোকে দুঃখে দুধ চিনি ছাড়া এক কাপ চা খেয়ে ফেলবো তাহলে!

"কারণ কোরআনে এমন কোন আয়াত বা এমন কোন শব্দ নেই যেখানে আল্লাহ নারীদের অপমান করে কথা বলেছেন। বরং তিনি সকলকে মানুষ এবং সমান বলেই ব্যাখ্যা করেছেন পবিত্র আল কোরআনে।"

এটি ব্লগার সত্যপীরবাবার ৯ং কমেন্টে আপনার উত্তর ছিলো। এখন বলুনতো আপনার স্ববিরোধিতা খুঁজে পান কিনা? কারন আল কুরআন নারী ও পুরুষকে সমান মোটেও বলেনাই তা আপনার নিজের ই শেয়ার করা দুটি আয়াতে দিবালকের ন্যায় স্পষ্ট। পুরুষের মর্যাদা নারীর উপরে বলা হয়েছে, যেখানে নারীর পুরুষের উপর শুধু কিছু অধিকার রয়েছে কিন্তু অর্থব্যায় ও ক্ষমতার উছিলায় পুরুষের মর্যাদা অধিক এটি একাধিকবার উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আপনার ব্যাখ্যায় মনে হচ্ছে নারী ও পুরুষ সমানে সমান! আপনি নিজেই কোন কুরআনের অপব্যাখ্যা করে নিজের উপর "চরম লাঞ্জনা দায়ক শাস্তি" ডেকে আনছেন কি? ভয় হচ্ছে তো!



০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: যারা বোঝেনা তাদের সারাদিন কান খোচালেও বুঝবে না। নারী-পুরুষ সমান সেটা কোরআনে আছে কোন না কোন আয়াতে আমি পড়েছি। কিন্তু আমার মনে পড়ছে না। এবং অনেক আয়াত আছে যেখানে পরুষের থেকে নারীর অধিকার বেশি আছে আবার নারীর থেকে পুরুষের অধিকার বেশি আছে। বুঝতে পেরেছেন। একটা দুটো আয়াত দিয়ে বিচার করলে হবে না। আপনি আমার সাথে তর্ক করছে নারী-পুরুষ নিয়ে। আমার পোষ্টে কি সেই বিষয় আছে? নেই।

মুর্খেরা কখনোই কিছু বোঝার চেস্টা করে না। তারা যেটা বোঝে সেটাই বোঝায়। আর এটা সবাই বোঝেনা। কথাটি মনে রাখবেন।

২৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৫

স্থিতধী বলেছেন: কিন্তু তার নামের আগে কেনো তেতুল হুজুর হলো? এটা আমার মাথায় আসে না। উনি কেনো কোরআন অনুযায়ী নারীদের সম্মানের সাথে কথা বললেন না? যারা নারীদের অবমাননা করে তারা সমাজের চোখে ঘৃর্ণীত ছাড়া আর কিছুই না।

আপনার যদি মনেই হয় যে শফী হুজুর কোরআন অনুযায়ী নারীদের সম্মানের কথা না বলে, নারীদের অবমাননা করে সমাজের চোখে ঘৃর্ণীত হয়েছেন তাহলে আপনি কেনো এই লিস্টে তাঁর নাম ঢোকাতে চাইছেন না ? আপনার নিজের দেয়া যুক্তিতেই তো তিনি অপরাধী, তাহলে তাঁর নাম টি কেন এই লিস্টে ঢোকাবেন না? তিনিও তো যদি আরো ভালো কাজ করেও বা থাকেন তবুও এই একটি খারাপ কাজ আপনার ভাষায় " গাইয়ের দুধে এক ফোটা লেবুর রস" হয়ে গেলো, তাইনা? নাকি আপনি একটি মহল কে খুশী রেখে নিজেকে সেফ রেখে নিজের হিপোক্রেসি টা উন্মুক্ত করে রাখতেই বেশী আগ্রহী?

"মানুষ হিসেবে আমি মানুষকে ভালোবাসি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাদের নয় যারা আল্লাহ এবং রাসূলের বিরুদ্ধে কথা বলে। উনি জীবনে অনেক নেক কাজ করেছেন উনি জান্নাত বাসী হোক।"

“অবশেষে অরিন্দম তুমি কহিলা বিষাদে!”... আহরে আপু! এই কথাটা যদি সততার সাথে নিজের মূল পোষ্টে বলে দিয়ে প্রকাশ করে দিতেন যে আপনার আসল সমস্যা আসলে তথাকথিত নাস্তিক – প্রগতিশীল লেখকদের বিরুদ্ধে। নারীবাদ, নারী সম্মান বা নারী সমতা ইত্যাদি শুধু একটা বাহানা আপনার উক্ত লেখকদের প্রতি ঘৃণার বিষ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে; তাহলেই তো ল্যাঠা চুকে যেতো! এতো ভণিতা কিসের জন্য? আমরাও খামাখা আর আপনাকে এতো পরামর্শ বা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতামনা ( যদিও শুরু থেকেই বুঝেছি কেনো এভাবে লিখেছেন। এ জাতীয় লেখা তো আসলে নতুন কিছুনা! পড়লেই বোঝা যায় কাদের লেখা। তবু আমরা নানা ভাবে আপনার জ্ঞান, ধারণা ও যুক্তির ধাঁর পরীক্ষা করে দেখছিলাম যে তাতে কতটুকু কাঁটার ক্ষমতা আছে। দুঃখে সাথে বলতে হয়, যারা আপনাকে ব্লগে এসব লেখার তালিম দিয়েছে তাঁরা বেশ কাঁচা কাজ করেছে। জমেনাই তালিম টা।)

২৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৬

স্থিতধী বলেছেন: আপনি আমাকে, ব্লগার সাজিদ উল হক আবির কে, ব্লগার মোঃ সাকিবুল ইসলাম কে মূর্খ, বোধশক্তিহীন, নীতিহীণ ইত্যাদি নানা বিশেষণ এ বিশেষায়িত করে গেছেন আমাদের প্রশ্নগুলোকে আরামসে পাশ কাটিয়ে গিয়ে। আমি সহ একাধিক ব্লগার আপনার কাছে আপনার সকল দাবীগুলোর স্পেসিফিক রেফারেন্স জানতে চেয়েছি, আপনি তা না দিতে পেরে, আপনার মনগড়া কথামালার লেকচার দিয়ে চলেছেন। এভাবে তো ব্লগিং হয়না আপু! এভাবে ফেসবুকিং চলতে পারে। আর আপনি আমাদের থেকে বেশী তো জানেন বটেই আপনি এমনকি কুরআন শরীফের সহী অর্থ ও তাফসীরও আল্লমা শফী হুজুর থেকে বেশী জানেন। আপানাকে সামু ব্লগের সবচাইতে জ্ঞানী তালগাছ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া যেতে পারে। সবাই তাদের প্রতিদিনের ব্লগিং এর শুরুটা আপনার লেখা পড়ে করবে।

আপনি আমার সাথে তর্ক করছে নারী-পুরুষ নিয়ে। আমার পোষ্টে কি সেই বিষয় আছে? নেই।

আবারো স্ববিরোধী কথাবার্তা। আপনার লেখার মূল বিষয়বস্তুই কয়জন বিখ্যাত পুরুষের ( যারা সকলেই আবার অমুসলিম) নারী সম্পর্কীয় অপমানজনক উক্তি নিয়ে । আপনি বলেছেন এদের ভালো কাজ গুলোর কোন মূল্য নেই এবং এরা সম্মানের যোগ্য নয় নারী বিষয়ের উক্তির কারনে। (কিন্তু শফী হুজুরের এদেরই মতো নারী বিষয়ক উক্তি থাকার পরও আপনি তাঁর জন্য জান্নাত প্রার্থনা করছেন , তাঁর ভালো কাজগুলোকে আপনি স্বীকৃতি দিতে চেয়েছেন।) ব্লগার হাসান কালবৈশাখী কে আপনি বলেছেন; " আপনে ‍বুঝবেন কোথার থেকে সেটা আপনে তো পুরুষ। নারী হলে ঠিকই বুঝতেন।" তো আপনার পুরো পোস্টটাই তো নারী ও পুরুষ কেন্দ্রিক! এখানে অন্য কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবার কথা?

নারী-পুরুষ সমান সেটা কোরআনে আছে কোন না কোন আয়াতে আমি পড়েছি। কিন্তু আমার মনে পড়ছে না।

মনে না পড়লে মনে পড়ান, প্রয়োজনে আপনার প্রিয় " গুগল মামা" দিয়ে সার্চ করে দেখুন। কিছু খুঁজে পেলে তারপরে সেটার রেফারেন্স উল্লেখ করে কথা বলুন। আমিও দেখতে চাই কুরআনে একি বিষয়ে একেক জায়গায় একেক রকমের কথা বলা আছে কিনা। সেটা কুরআনের বৈশিষ্ট্য হবার কথা নয়। হলে পরে কুরআন বিশ্বাস যোগ্যতা ও গুরুত্ব হারায় আপনার মতো।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:০২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ওকে আপনার কমেন্টের প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে আমি একটি পোষ্ট দিবো। আসা করি সেটা পড়লে বোজবেন যে নারী-পুরুষ সমান কিনা। তবে সমান না সমান বললে আমারি ভুল হবে। কারণ পুরুষদের থেকে নারীদের স্থান অনেক উচুতে। এটা হয়তে বিশ্বাস করবেন না। কারণ বিশ্বাস সমান সেটাকেই তাহলে আরো বেশি সম্মান সেটা কি করে বিশ্বাস করবেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের স্থান আল্লাহ অনেক বেশি দিয়েছেন। সেটা মায়ের ভুমিকার কথা চিন্তা করলেই বুঝবেন।
আর একটা কথা যারা কোরআনের আয়াত না বুঝে উদ্ধিত দেয় সেটা ঠিক না।
তাই ব্যাখ্যা সহ আমি আপনার প্রত্যেকটি কমেন্টস নিয়ে শিঘ্রই একটি পোষ্ট দিবো। তাছাড়াও আপনি আমার একটি পোষ্ট আছে এটা পড়ে নিতে পারেন। আর এই পোষ্ট থেকে আরো ভালো এবং বেশি তথ্য নিয়ে আরেকটি পোষ্ট দিবো।
এবার আসি আল্লামা সাফিকে নিয়ে। আমি আপনার একটি কমেন্টেসে বলেছি যে সাফির মতো হাজারও মানুষেকে আমার এড করতে হবে, উনাকে যদি এড করতে যাই। তাই আমি সাফির কথাকে গুরুত্বদিলাম না।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:০৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: Click This Link

২৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপু, আপনি অনুগ্রহ করে ব্লগারদের বিভিন্ন যৌক্তিক প্রশ্নকে আক্রমন হিসাবে দেখবেন না। সবাই আপনার সাথে একমত হবে না। তাছাড়া বিভিন্ন মন্তব্যে আপনার দ্বিমুখীটা ফুটে উঠছে। আল্লামা শফী নারীদেরকে অবমাননা করার পরও আপনি তাঁর নাম নারী অবমাননাকারীদের তালিকায় তুলতে চান না আবার বিভিন্ন লেখকের সাহিত্য রচনায় যে সকল ডায়লগ এসেছে, সেইগুলোকে রেফারেন্স ধরে নিয়ে তাদেরকে নারী অবমাননার জন্য দোষী করছেন।

আমি যদি আপনার জায়গায় থাকতাম, তাহলে চেষ্টা করতাম আমি যতটুকু জানি তার আলোকে জবাব দিতে। কারন বিশ্বাস আপনি যুক্তি দিয়ে প্রমান করতে পারবেন না। ধর্ম একটি বিশ্বাসের জায়গা। যারা ধর্মের বিষয়ে প্রমান চায়, তারা কিছুটা অযৌক্তিক দাবী করেন। আর যা জানি না, সেটা বলতাম ভাই আমি এই বিষয়ে জানি না।

যাইহোক, আমি চাই, এই পোষ্টে সুন্দর আলোচনা হবে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:০৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: দ্বিমখী যখন কেউ প্রশ্ন ছুড়ে দেয় তাহলে তো আমার কিছু করার নেই তাইনা ভাইয়া।
দেখুন সাফী আর আমার পোষ্টে ৬ ব্যক্তি কিন্তু না পৃথিবীতে অর্ধেকের বেশি আছে নারীদের সমালোচনাকারী। তাই তাদের নাম যদি আমাকে এড করতে হয় তাহলে আমাকে সারাজীবন ব্যয় করতে হয়। তাছাড়া তেতুল হুজুর বাংলাদেশে অনেক আছে। তাই ওটাকে বেশি আমি কেয়ার করিনি। আর সত্যি কথা বলতে সাফির ব্যপারটি আমার মাথায় ছিলো না। ।

২৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

স্থিতধী বলেছেন: তাছাড়াও আপনি আমার একটি পোষ্ট আছে এটা পড়ে নিতে পারেন।

অনেক ধৈর্য নিয়ে আপনার সেই দীর্ঘ পোস্টটি পড়লাম এবং দুঃখজনক ভাবে নারী ও পুরুষ সমান কিনা তা নির্দিষ্ট ভাবে কুরআনের আয়াতের দ্বারা সেখানে প্রতিষ্ঠিত হতে দেখলামনা। বরং সেখানেও আপনার নিজের মতো করে কিছু উদাহারণ তৈরি করে আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কে কুরআন দিয়ে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস দেখলাম। ঐ লেখার ১১ নং প্যরার শুরুতেই আপনি বোল্ড করে দিয়ে লিখেছেন যে, কেঊ দেখাতে পারবে কিনা কুরআনের আয়াত দিয়ে, নারী পুরুষ সমান নয়? দাবী করেছেন এমন কোন আয়াত নেই!

অথচ , আপনার এই পোষ্টে র কমেন্টে আপনার ই শেয়ার করা কুরআনের দুটি আয়াত স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে যে নারীর চেয়ে পুরুষের বেশী মর্যাদা রয়েছে ! এই আয়াত গুলোর বক্তব্য এতো বেশী স্পষ্ট যে এ নিয়ে ধানাই পানাই অন্য গল্প ফাঁদার কোন সুযোগ ই নাই! ( একভাবে রয়েছে অবশ্য, যদি বিবাহিত জীবনে নারী, পুরুষের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেয় তবে সেক্ষেত্রে সে যুক্তিতে নারীর মর্যাদা পুরুষের থেকে বেশী হবার কথা এবং তখন পুরুষের অবাধ্যতায় নারীর তাঁকে প্রহারের অধিকারও থাকার কথা)। অন্যদিকে, আপনার সেই পোস্টে ব্লগার নূরু ৪ নং কমেন্টে সূরা বাকারার আরেকটি আয়াত শেয়ার করেছেন যা পড়ে আবারো বোঝা যায় যে , পুরুষের মর্যাদা নারীর অধিক, কেননা তা বলে দিচ্ছে যে সাক্ষী নেওয়ার ক্ষেত্রে একজন পুরুষের দেওয়া সাক্ষী, দুইজন নারীর সাক্ষীর সমান হয় !

আবার আমরা সবাই জানি সম্পত্তি বন্টনের ক্ষেত্রে কুরআনের বানী স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে যে , নারীরা তাঁদের পিতা-মাতার সম্পত্তির ওসিয়তে তাঁদের আপন ভাইয়ের প্রাপ্ত সম্পত্তির অর্ধেক পাবে । অর্থাৎ এক্ষেত্রেও একি পিতা-মাতার থেকে আসা ভাই ও বোন সমান হতে পারলোনা!

শেষে, আরেকটা কথা জনিয়ে যাই। আখিরাতে বা জান্নাতে নারী- পুরুষ সমান ভাবে মর্যাদা পাবে কিনা সেই বিষয়ে কিন্তু আমরা আলাপ করছিনা। জান্নাতে মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত হওয়া, বা অধিক তাকওয়া সম্পন্ন মানুষের জান্নাতে মর্যাদা পাওয়া বা নারীরাও জান্নাতে স্বর্গীয় সুরা পান ও আয়তলচণা কম বয়সী সখীদের সান্নিধ্য পাবে কিনা সেটা আগ্রহের বিষয় ছিলোনা।
এই দুনিয়ায় থাকাকালীন সময়ে আল কুরআন, নারী ও পুরুষ কে সমান বলে ঘোষণা করেছে কিনা, বিষয় ছিলো সেটা এবং দেখা গেলো তিনের অধিক আয়াতে আল কুরআন এটা বারবার রিপীট করেছে যে , এই দুনিয়াতে নারী ও পুরুষের মর্যাদা সমান নয়। যে কারনে দুনিয়াতে সাক্ষী অথবা সম্পত্তি প্রাপ্তির বিষয়েও নারী পুরুষের অর্ধেক হিসেবে বিবেচিত হয় ।

তাই অহেতুক আপনি নিজেই কুরআনের বানীর মনগড়া অপব্যাখা দিয়ে নিজের জন্য সমস্যার সৃষ্টি না করেন, সেটাই ভালো।

আর এই পোষ্ট থেকে আরো ভালো এবং বেশি তথ্য নিয়ে আরেকটি পোষ্ট দিবো।

দিতে পারেন। দয়া করে সেখানে ঝেড়ে কাশবেন, ভণিতা করবেন না। সুনির্দিষ্ট রেফারেন্স দিবেন উক্ত সাহিত্যিক ও দিগ্বিজয়ী সমরনায়কদের বক্তব্যগুলো উল্লখ করে যাতে বোঝা যায় কোনটা উপন্যাসের চরিত্র আর কোনটা প্রবন্ধ। একি সাথে জানাবেন যে কিভাবে কোথায় কোন কুরআনের তাসফিরকারী উল্লেখ করেছেন যে নারীও প্রয়োজনে পুরুষকে প্রহার করতে পারে বিবাহিত জীবনে। স্পষ্ট রেফারেন্স দিয়ে দিয়ে কথা বলবেন, আপনার নিজস্ব মতামত কুরআন বা সাহত্যিক দের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবেন না।

২৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

স্থিতধী বলেছেন: এবার আসি আল্লামা সাফিকে নিয়ে। আমি আপনার একটি কমেন্টেসে বলেছি যে সাফির মতো হাজারও মানুষেকে আমার এড করতে হবে, উনাকে যদি এড করতে যাই। তাই আমি সাফির কথাকে গুরুত্বদিলাম না।

আপনার এই নির্লজ্জ ভন্ডামীটি নিয়ে আসলে বেশী কিছু আর বলার নাই । ব্লগের মডারেটর থেকে শুরু করে বুদ্ধি থাকা সাধারণ পাঠক সকলের সামনেই আপনার এই দ্বিমুখী চরিত্রটি উন্মুক্ত হয়ে আছে। আপনাকে কেঊ হাজার মানুষের নাম ঐ লিস্টে যোগ করার কথা কিন্তু বলেনি! কিন্তু ঐ হাজার / লাখ/ কোটি মানুষের আদর্শ, আল্লামা শফীর দেয়া বক্তব্য টিও যে একই রকমের নারী অবমাণনাকর ছিলো সেটাকে আপনারই দেয়া যুক্তি দিয়ে আপনাকে বোঝানো হয়েছিলো। আপনি তা কিছুটা মেনেও নিয়েছেন। কিন্তু যেহেতু আপনি অমুসলিম কিংবা ইহুদীদের নারী অবমাননার দোষ উন্মুক্ত করতে বেশী আগ্রাহী আর মুসলিম বড় বড় ধর্মীয় নেতাদের দোষ গুলোকে ঢেকে রাখতে চাচ্ছেন ( বা তাঁদের মুরীদ দের ভয় পাচ্ছেন) সে জন্য আপনি ওনার বক্তব্য টিও আপনার এই লিস্টে সংযুক্ত করে আপনার সমগোত্রীয় ভাইদের গোস্বার স্বীকার হতে চাচ্ছেন না আরকি। এটা বোঝার জন্য এখন এখানে কাউকে কুরআনে হাফেজ কিংবা বাংলা সাহিত্য বিশারদ না হলেও চলছে।

৩০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: স্থিতধী বলেছেন: এবার আসি আল্লামা সাফিকে নিয়ে। আমি আপনার একটি কমেন্টেসে বলেছি যে সাফির মতো হাজারও মানুষেকে আমার এড করতে হবে, উনাকে যদি এড করতে যাই। তাই আমি সাফির কথাকে গুরুত্বদিলাম না।

আপনার এই নির্লজ্জ ভন্ডামীটি নিয়ে আসলে বেশী কিছু আর বলার নাই । ব্লগের মডারেটর থেকে শুরু করে বুদ্ধি থাকা সাধারণ পাঠক সকলের সামনেই আপনার এই দ্বিমুখী চরিত্রটি উন্মুক্ত হয়ে আছে। আপনাকে কেঊ হাজার মানুষের নাম ঐ লিস্টে যোগ করার কথা কিন্তু বলেনি! কিন্তু ঐ হাজার / লাখ/ কোটি মানুষের আদর্শ, আল্লামা শফীর দেয়া বক্তব্য টিও যে একই রকমের নারী অবমাণনাকর ছিলো সেটাকে আপনারই দেয়া যুক্তি দিয়ে আপনাকে বোঝানো হয়েছিলো। আপনি তা কিছুটা মেনেও নিয়েছেন। কিন্তু যেহেতু আপনি অমুসলিম কিংবা ইহুদীদের নারী অবমাননার দোষ উন্মুক্ত করতে বেশী আগ্রাহী আর মুসলিম বড় বড় ধর্মীয় নেতাদের দোষ গুলোকে ঢেকে রাখতে চাচ্ছেন ( বা তাঁদের মুরীদ দের ভয় পাচ্ছেন) সে জন্য আপনি ওনার বক্তব্য টিও আপনার এই লিস্টে সংযুক্ত করে আপনার সমগোত্রীয় ভাইদের গোস্বার স্বীকার হতে চাচ্ছেন না আরকি। এটা বোঝার জন্য এখন এখানে কাউকে কুরআনে হাফেজ কিংবা বাংলা সাহিত্য বিশারদ না হলেও চলছে।

+++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.