নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সুন্দর করে সাজাও । আমি নারী তাই কথাও বলি নারীদের নিয়ে।

কামরুননাহার কলি

আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।

কামরুননাহার কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সঠিক জায়গায়, সঠিক লোকের মূল্যায়ন করার মতো যোগ্যতা থাকতে হয়!

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১১



“বাংলাদেশ” পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো ও সুন্দরতম দেশ। কারণ এই দেশে আমার জন্ম, মৃত্যু হলে এই মাটিতেই আমার দাফন হবে। তাই আমার কাছে পৃথিবীর সবথেকে মায়াময় ও সুন্দরতম দেশ “বাংলাদেশ”। পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষই যার যার দেশের প্রশংস করে, দেশ নিয়ে অহংকার করে, গর্ব করে, তাই আমিও করি। কারণ আমার দেশ প্রকৃতিভাবে কোন দিক দিয়ে কম নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায়। আমার দেশ এক অপূর্ব, সুন্দর মনোরম, নাতীশীতষ্ণ দেশ। আমার দেশের ছয়টি ঋতু যা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে নাই।

আমার দেশ কোনদিক দিয়েই কম নয়, অভাবে নয়। অভাব শুধু ভালো মানুষের। অভাব শুধু আমাদের ভালো মন-মানসিকতার। তাই আমাদের দেশে সুন্দর হয়েও সুন্দর না।

আমার একজন সম্মানী শিক্ষক, ভার্সিটির। উনি বড়মানের একজন “কম্পিউটার সাইন্স ইনঞ্জিনিয়ার” তিনি দেশের সরকারি অনেক বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করেন। তার একটি সফটওয়্যার কোম্পানিও আছে। এবং তিনি একজন শিক্ষকও। উনি একদিন ক্লাসে বলেছেন- তোমরা হয় বড় কোন ইনঞ্জিনিয়র হও, না হয় বাদ দেও। কারণ এভাবে পড়ালেখা করে এই দেশের মাটিতে ভাত জুটবে না। কারণ এই দেশে তোমাদের কোন মূল্যায়ই করবে না।

উনি তখন একটা কথা বললেন- “তোমরা জানো এই দেশ মেধাদের কোন মূল্যায়ন করে না।” তোমরা জানো আজকের যারা মেধাবী, জ্ঞানী তারা কোথায়? তাদের মূল্যায়ন কোথায় করা হয়েছে? না স্যার জানিনা!



দেশের সম্পদ, দেশের মেধাবী এদেশ থেকে বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়, হয়েছে এবং ভবিষতে হবে। কানাডাতে বড় বড় প্রফেসর যারা বাংলাদেশি। অস্টোলিয়া, লন্ডনে অনেক বড় বড় ডাক্তার, ইনঞ্জিনিয়ার, গবেষক, বিজ্ঞানীরা পড়ে আছে বড় বড় দেশগুলোতে। কারণ জ্ঞানীদের এদেশে মূল্যায়ন করেনা। তাদের প্রাপ্ততা দেওয়া হয় না। তাদের যে সম্মান সেটা দেওয়া হয় না। তাদের আগাছার মতো উগলে ফেলে দেওয়া হয়। দেশের হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা খরচ করে দেশ থেকে বিদেশে যায় পড়ালেখা করতে। দেশে ভালো ভালো প্রফেসরার দেশের বাইরে পড়ে আছে। তারা নিজের দেশের জন্য কিছুই করতে পারে না। অন্যের দেশের সম্মান আর মূল্য পেয়ে ভুলে গেছে দেশে। আমি তাদের দোষ দিবো না। কারণ তারা সঠিক মূল্যায়ন পেতে, সঠিক সম্মান পেতে সঠিক দেশেই পাড়ি দিয়েছেন তারা।

তাই উপরের প্যারার কথা অনুযায়ী- আমার দেশ এতো সুন্দর থাকার পরও আমরা গর্ব করতে পারি না, অহংকার করতে পারিনা। অন্যান্য দেশের সাথে আমাদের মাথা নিচু হয়ে থাকতে হয়।

তাই আমাদের জানা উচিত-“সঠিক জায়গায়, সঠিক লোক, সঠিক ভাবেই মূল্যায়ন করবে। কোথায়ও যদি কোন মূল্যবান মানুষকে মূল্যায়ন না করা হয় তবে রাগ করতে নেই। বুঝে নিতে হবে আমরা ভুল জায়গায় বাস করছি। মনে রাখবে তারাই তোমাকে মূল্যায়েন করবে, তোমার মূল ‍দিবে, যাদের মূল্যাবোধ আছে, গুন ও গুনীর মর্ম উপলব্ধি করার মতো যোগ্যতা আছে। এমন জায়গায় তোমরা থেকেনা যেখানে তোমার প্রকৃতি মূল্যায়ন করার যোগ্য মানুষের বড্ড অভাব।”




ইন্টারনেট থেকে ছবি সংগ্রহ

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট একটা পোষ্ট। কিন্তু খুব সুন্দর এবং দরকারী।
পোষ্টে খাটী কথা বলেছেন।

বড় বড় পদে অযোগ্যরা বসে থাকেন।
বহু ভোলানাথকে দেখেছি ক্ষমতাবান মামা চাচার কারনে বড় বড় পদে বসে থাকে। অথচ ওডের প্রাইমারী স্কুলের বাচ্চাদের পড়ার ক্ষমতা পর্যন্ত নাই।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: বাইরে যারা দেশের সম্মান বাড়িয়েছেন, এনাদের সবাইকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে পারলে মন্দ হতো না। সমস্যা হচ্ছে দেশে ব্রিটিশ কলোনিয়ান সিস্টেমের এক নাক উঁচু দালাল গোষ্ঠী বসে আছে। পরিবর্তন করতে হলে এদের সিস্টেমের আগে পরিবর্তন করতে হবে। নাহয় ওই ইনস্যুরেন্সের সাবেক দালালই স্বাস্থ্যসেবার মুখপাত্র হবে। বিজ্ঞান না পড়া লোক প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ে সচিব হবে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এখন দেশের একটা পরিবর্তন হওয়া দরকার।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার স্যার সম্পর্কে অনেক কিছু বলার ছিলো, আপনি মনেপ্রাণে যা বিশ্বাস করেন তাই লিখেছেন। আপনার স্যার মহান মানুষ তিনি যা বলেছেন তা অমরবাণী। মাইক দিয়ে বলতে হবে - আপনার স্যার মানুষ না! আপনার স্যার মানুষ না! - তিনি মহামানব। বাংলা সিনেমার মতো প্রতিধ্বনি হতে থাকবে “তিনি মহা মানব - হা মানব - মানব - নব - নব - নব - - - - - -

অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি - বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিকগুলো প্রবাসে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে আপনার বক্তব্যর মতো দেশের বদনাম করে শেষ জীবনে আফসোস করে করে মরে। - তখন তাদের জন্য করুণাও হয় না। বিশ্বাস করুন তাদের জন্য সামান্যতম করুণাও করি না।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: করুনা হবে কি ভাবে ভাইয়া। কারণ ওরা আর এমন কি, যে ওদের জন্য করুনা হবে। ওদের কষ্টের রেমিটেন্সগুলো হাতে পেলেই হলো তাহলে আর ওদের দরকার নেই আমাদের।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি ইউনিভার্সিটিতে? এতদিন আপনার লেখা দেখে মনে করতাম, আপনি প্রাইমারী স্কুলে আছেন এখনো।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনি যেটা মনে করেন । আমার সমস্যা নেই।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: তবে আমার পড়া এখন শেষ। হাতে একখানা সার্টিফিকেটও পেয়েছি। দোয়া করবেন।

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



রেমিটেন্স পাঠান মধ্যপ্রাচ্য থাকা গরীব পরিবারের ছেলেরা। আপনার স্যার’রা রেমিটেন্স পাঠান না, তারা খ্যান্যাডা, ম্যারিকা নিজেদের প্লাট এপারমেন কিনে সে দেশের তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে ধন্য মনে করেন। ভুলেও বলবেন তারা দেশে রেমিটেন্স পাঠান - তাহলে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের অভিশাপ লাগবে।

আপনার স্যার মহামানব। তিনি যেনো ভুলেও বাংলাদেশ না আসেন - বাংলাদেশে তার মূল্যায়ন হবে না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আমার স্যার বাংলাদেশে আছেন। তিনি এই কথাটি বলার একটাই কারণ সে তার প্রাপ্তা সম্মান পান না। প্রাপ্তাতা তারাই পায় যারা স্যারের থেকে তিন গুণ নিচে পরে আছে। সেখানে যদি আপনি থাকতেন তাহলেও স্যারের মতো কথা বলতেন।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হতাশ হবেন একদিন দেশ নিয়ে গর্ব করা যাবে। রাতের শেষে দিনের আলো।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: অপেক্ষায় থাকবো। আর সবাইকে বোঝার, জানার ক্ষমতা দেক আল্লাহ।

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯

আমি সাজিদ বলেছেন: এটা সত্য আমি ঠাকুর ভাইয়ের সাথে একমত। তারা যতই বড় পোস্টে থাকুক না কেন ওই দিকে দেশে তারা প্রথম শ্রেনীর নাগরিক নন। তবে তারা ঠিকই আমাদের দেশের সম্মান বাড়িয়েছেন। এই যে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং বললে আমরা বলি ফজলুর রহমান খানের কথা, বা এই যে বর্তমানে বাইডেনের প্রশাসনে নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশী জেইন সিদ্দিকি বা কোভিডে দেশে ছুটে আসা আমেরিকান ডাক্তার ফেরদৌসের কথাই ধরিনা কেন, এনারা তো অযোগ্য লোক না। আমরা অনেক সময় তাদের নিয়ে গর্ববোধ করি। যারা উজ্জ্বল তারা নিজ মহিমায় উজ্জ্বল, তারা বিশ্বনাগরিক হয়েছেন, কিন্তু এইটা ঠিক দিন শেষে দেশের মাটির টান সবাইকে কাঁদায়। কিন্তু ঠাকুরভাইয়ের একটি কথার সাথে আমি একমত না। বিশ্বায়নের এই যুগে নিজের যোগ্যতা ও পরিশ্রমে উন্নত বিশ্বে জায়গা করে নেওয়া সবাই যে ঠাকুর ভাইয়ের কথায় পরিত্যাজ্য তাও কিন্তু নয়। এই যে এই বছরই এক কোটির উপর ভারতীয় কোভিডের মধ্যেও বাইরে মাইগ্রেট হলো। আমেরিকা ইউরোপে উঁচু উঁচু পদে অনেক ভারতীয় চীনা নাগরিক সম্মানের সাথে কাজ করছে সেটাও মাথায় রাখতে হবে। এখন দেশ এদেরকে কিভাবে ব্যবহার করবে সেটা দেশের নীতিনির্ধারকেরা ঠিক করুক। এভাবে ঢালাওভাবে বিদ্বেষ পোষন করা উচিত নয়। আমাদের বরং এটা ভাবা উচিত যে, আমাদের দেশ যে ভুল করেছে সেনসিটিভ এইসব মানুষকে দূরে ঠেলে দিয়ে, তা শুধরানোর কোন উপায় আছে কি না। এদের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায় কিনা! সবাই তো ডাঃ জাফর ইকবাল, জাফরউল্লাহ বা ফজলে হাসান আবেদের মতো নিজ থেকে সাহস নিয়ে সব ছেড়ে দেশে চলে আসবেন না, একটা সুযোগ করে দিতে হবে। এই ব্লগেই অনেকে বিদেশে অনেক ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে, আমি তাদেরও এই পোস্টের আলোচনায় আমন্ত্রন জানাতে চাই। একটিভ ব্লগারদের মধ্যে সোহানী আপু, আলী স্যার, ভুয়া মফিজ ভাই, মিরোররডল আপু, ঢাবিয়ান ভাই, ওমেরা আপু এনাদের মতামত জানতে চাই।

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

আমি সাজিদ বলেছেন: শাহ আজিজ স্যার, চাঁদগাজী সাহেব, জুন আপু এনাদেরও ট্যাগ করে দিচ্ছি। আলোচনা হোক। চমৎকার একটি বিষয়ে কথা বলার ও মতামত জানার সুযোগ এসেছে।

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



@আমি সাজিদ ,
আমি এসব আলোচনায় অংশ নেবো না, আমার কিছু দুর্বলতা আছে।

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্ট নিয়ে বলার কিছু নাই। সবই সঠিক........তবে শুধু এন্জিনিয়ার হতে হবে, বিষয়টা এমন না। যে কোনও ডিসিপ্লিন হতে পারে। অবশ্য আমার ধারনা, উক্ত শিক্ষক উদাহরন হিসাবেই এটা বলেছেন।

সবগুলো মন্তব্যই পড়লাম। দাওয়াত যেহেতু ব্লগার আমি সাজিদ দিয়েছে, তাই ওনার মন্তব্য থেকেই আমি কিছু কথা বলি।

তারা যতই বড় পোস্টে থাকুক না কেন ওই দিকে দেশে তারা প্রথম শ্রেনীর নাগরিক নন। আমি যেহেতু বৃটিশ নাগরিক, তাই আমার জন্য বৃটেনের কথা বলাই শোভনীয়। ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার কথা যাদের বলার তারাই বলুক। আমি আগ বাড়িয়ে বলতে চাই না। প্রথম/দ্বিতীয়/তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকের কনসেপ্ট আমাদের বাংলাদেশে এখনও আছে। কাগজে-কলমে না থাকলেও বাস্তবে অবশ্যই। তবে বৃটেনে নাই। দু'ক্ষেত্রেই আমি প্রচুর উদাহরন দিতে পারি। তবে মন্তব্য অনেক বড় হয়ে যাবে। শুধু একটা কথা বলি, দু'একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা কেউ তুলে ধরবেন না দয়া করে। এক্সেপশান কখনও এক্সাম্পল হয় না।

বর্তমান যুগটা গ্লোবালাইজেশানের যুগ। যে যেখানে ভালো সুযোগ পাবে, সেখানে যাবে। এটা নিয়ে যারা কথা বলে, আমি তাদেরকে সোজা বাংলায় হিংসুক বলি। তবে এটা ঠিক, দেশের প্রতি ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা, কমিন্টমেন্ট না থাকলে দেশের সাথে বেইমানী করা হয়। তবে কথা হলো, দেশ তো কোন জীবন্ত সত্ত্বা না। দেশের ক্ষমতাধররা যদি যোগ্য লোককে কাজে না লাগায়, তাদের জন্য সঠিক কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত না করে অথবা সঠিক মুল্যায়ন তো দুরের কথা অবমুল্যায়ন কিংবা হেনস্থা করে.....তাহলে চীনা জোকের মতো শুধু দেশপ্রেমের কারনে কয়জন লেগে থাকতে পারবে? আবারও বলছি, এ'ক্ষেত্রে দু'একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা কেউ তুলে ধরবেন না দয়া করে।

দেশে তথাকথিত বড় পোষ্টে আমিও ছিলাম। কাজেই সুযোগ-সুবিধার কথা কেউ আমাকে নসিহত করতে আসবেন না দয়া করে। আমি এসব খুবই.....খুবই ভালো জানি।

আরেকটা কথা। দেশের জন্য কিছু করতে চাইলে, সদিচ্ছা থাকলে তা করার জন্য দেশেই থাকতে হবে; এমন কোন কথা নাই। সেই যুগ গত হয়েছে। বর্তমানে ফিজিক্যালি উপস্থিত না থেকেও বহুকিছু করা সম্ভব। বিদেশে বসেও চাইলে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছু করা যায়। বরং বিদেশে বসে যারা দেশের জন্য কিছু করে, তারা যাই করুক না কেন.....সেটাই দেশের বিশুদ্ধ পাওয়া। কারন এর মধ্যে দেশের সাধারন মানুষকে শোষণ করার মতো কোন দু'নম্বরী ব্যাপার-স্যাপার নাই। শুধুই দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে।

আমার সাথে অনেকেই দ্বি-মত পোষণ করতে পারেন। সেটা তাদের স্বাধীনতা। তবে যুক্তি দিয়ে দেখলে অনেক কিছুই পরিস্কার হয়ে যায়.....খুব বেশী কিছুর দরকার হয় না তার জন্য। শুধু দেখার মতো চোখ আর বোঝার মতো মন থাকা চাই!!

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #ভুয়া মফিজ@ সালাম নিবেন।
আমি দুঃখিত, আমার পোষ্টোর মূলভাবটি অনেকেই বুঝতে পারেননি। আমি কিছু উদাহরণ দিবো-
আমার শিক্ষক কেনো এই উদাহরণ টা দিয়েছেন, সেই ব্যপারে অনেকেই ক্লিয়ার না। দেখুন, আমি দেশের বাইরে পরে থাকা যে বিজ্ঞ,জ্ঞানী মানুষগুলোর কথা বললাম কেনো বললাম সেই প্রশ্নটা কেউ করলো না। অনেকেই উল্টাপাল্টা বললেন। তাতে দুঃখ নেই।
আমি একটা উদাহরণ দেই- “দরুন একজন ডাক্তার, বাংলাদেশের বড় ডাক্তার। হতে পারে সেই ক্যান্সারের, হার্ড কিডনি, বা গাইনি অথবা সেই শিশু বিশেজ্ঞাতা। এখন তার থাকার কথা কোথায়? নিশ্চয় দেশে, কারণ সে দেশে থেকে দেশের সেবা দিবে, দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করবে তাই তো?

এখন এই ডাক্তারকেও তো পালন করতে হবে তাই না? তাকে তো তার প্রাপ্ত সম্মান দিতে হবে, তার মর্যাদা দিতে হবে। এবার বলি আসল কথা- ধরুন এই ডাক্তারের গ্রামের বা পরিচিত অথবা অপরিচিত কোন ব্যক্তি তেমন ভালো পড়ালেখা জানা না, বা ভালো চাকুরিও করে না। নেতামি করে, রাজনীতি করে বেড়ায় মাসে ইনকাম করে লাখ লাখ টাকা, বাড়ি করেছে, গাড়ি করেছে বিশাল আরাম আয়েসে থাকে। এবার বলুন ঐযে ডাক্তার যে কষ্ট করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এতো বড় একজন ডাক্তার হলো তার সম্মান থাকার কথা বেশি, ঐ নেতার সম্মান থাকার কথা বেশি? ডাক্তারের তো বাড়ি গাড়ি থাকার কথা তাই না। তার বসার আসনটা তো সবার উপরে থাকার কথা তাই না? তাহলে কেনো সেই অল্প শিক্ষিত একজন নেতা কাছে হার মানতে হয় একজন ডাক্তারকে, একজন ইনঞ্জিনিয়ারকে একজন বিজ্ঞানীকে।

কেনো তাকে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়? কেনো বিদেশিরা তাকে তার প্রাপ্ত সম্মান দিয়ে ধরে রাখে? সেটা কেনো পারেনা এই দেশর সরকার। যেটা করার কথা এই দেশের সরকারের। কেনো একজন বিজ্ঞ মানুষকে তার প্রাপ্ত সম্মান, প্রাপ্ত মূল্যায়ন না দিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে?

অনেকেই বলেন তারা নিজেদের জীবন সেটেল করার জন্য এই সব ভাবে। তাহলে বলুন তো বিশ্বের অন্যান্য দেশের এরকম বিজ্ঞ মানুষগুলো তার নিজ দেশ ছেড়ে পালায় জীবন সেটেল করার জন্য। তারা কিন্তু নিজের দেশের সেবা দেয় সবার আগে, তারপর অন্যান্য দেশেও দেয়, তারা অনেক বেশি সম্মান পায়। সেটা আমাদের দেশে কেনো নয়? এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।

আর এই জন্য এখন আমাদের দেশের ডাক্তারখানা হয়ে গেছে কসাইখানা, ইনঞ্জিনিয়ার খানা হয়ে গেছে হাতুরে ইনঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানখান হয়েছে লোহায় জমে ধরার মতো। তাই বিষণ কষ্ট হয়। এতো সুন্দার দেশে বাস করেও মানুষগুলোদের সুন্দর পেলাম না। তারা সবাই কসাই খানা গড়ে নিয়েছে। তাই খুব করুনা হয়, খুব মনে ধরে, খুব কষ্ট হয়, ধম বন্ধ হয়ে আসে এই দেশে বাস করতে। এটাই কি হওয়ার কথা ছিলো স্বাধিনতার দেশে।

ব্লগে অনেকেই ভালো ভালো বিজ্ঞজনেরা বিদেশে থাকেন। তারা নিজেরা নিজেদের কাছে প্রশ্ন করুন তো। আজ বিদেশ যেয়ে জীবনের যেটুক উন্নত করতে পেরেছেন সেই প্রাপ্তটুক যদি দেশের মাটিতে পেতেন তাহলে কি দেশ ছেড়ে যাওয়া চিন্তা করতেন। যদি পদে পদে মনে আতংক, পদে পদে অসম্মান না সইতে হতো তাহলে কি বিদেশে পড়গাছের মতো পড়ে থাকতেন?।

যারা কয়েক বছর দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পরে আছেন তারা একবার এসে দেখেন দেশের মাটিতে দেখবেন পিছন থেকে চামচিকাটাও আপনাকে লাথি মারবে। আপনার বড় বড় ডিগ্রি, বড় বড় সম্মান তার সামান্যটুকো মূল্য থাকবেনা। এদেশের পাতি নেতা খেতাদের কাছে। বা সামান্য গ্রামের ছোকরাদের কাছেও আপনার কোন মূল থাকবে না। তাই শুধু একটু ভাবুন আমি কেনো স্যারের এই উদাহরণটা দিলাম। স্যার কতটা কষ্ট নিয়ে কথাটি বলেছেন।

স্যার বলেছেন-আমি একজন ইনঞ্জিনিয়ার সরকারি বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করি। আমার বেতন দেয় রিক্সাচালকের সমান। যেখানে একজন ঢাকার শহরের রিক্সাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আর আমি ইনঞ্জিনিয়ার হয়ে ৩০ টাকা বেতন পাই। বাকি টাকা যারা কিচ্ছু বোঝেনা, যারা প্রজেক্টের ঠিকাদারি তারা সব পেটে ভরে। আর আমার সম্মান তো দূরের কথা কষ্টের পারিশ্রমিকটাও দেয়না। এটাই যদি হয় তাহলে তাদের বলবো যারা না বুঝে কথা বলেন তারা হয়তো সেই পর্যায় পৌছাতে পারেনি। তারা অল্পকে টাকার মালিক হয়েছে।

১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ ভুয়া মফিজ, আপনি আপনার দেশের ( ব্রিটেন) কথা বলেছেন। আমি সব দেশের হয়ে বলতে চাই যে এই তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক জিনিষটা কি? বিদেশে ওয়ার্ক পার্মিট, এমপ্লয়মেন্ট ভিসা, পার্মানেন্ট রেসিডেন্সী , সিটিজেনশিপ এই শব্দগুলোই শুধু আছে। এই প্রথম/ দ্বীতিয়/ তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিকত্ব জিনিষটা আসলে কি বোধগম্য নয়।

১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮

মিরোরডডল বলেছেন:



@ সাজিদ, এটা একটা বিশদ আলোচনার বিষয় । এখানে অনেকগুলো বিষয় একে অপরের সাথে জড়িত । তবে সাজিদ ওপরের মন্তব্যে সুন্দর বলেছে ।

• ঠামার ৩নং মন্তব্য একতরফা হয়ে গেছে এবং অনেক বিদ্বেষ প্রকাশ পাচ্ছে । কিছু লোক দিয়ে সবাইকে একরকম জাজ করা ঠিক না ।

• অনেকদিন আগে এই ব্লগে কারো পোষ্টে একটা মন্তব্য করেছিলাম । সেটা আবারও বলছি । দেশ ভাগ , ভিসা এগুলো সবই মানুষের সৃষ্টি এবং আবিষ্কার । হতে পারতো পুরো পৃথিবীটা একটা ভিসামুক্ত দেশ । গ্লোবালী যদি চিন্তা করি বিষয়টা । একটা ছেলে বা মেয়ে যেমন ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় পড়ালেখা করতে আসে, ইউনি শেষে জব নিয়ে ঢাকায় থেকে যায় জীবনের প্রয়োজনে , তার সাথে নো ডিফারেন্স আমাদের বাইরে পড়তে আসা, ভালো জব অফার নিয়ে রেসিডেন্স হয়ে থেকে যাওয়া । ওটা ছোট পর্যায়ে দেশের ভেতরে আর এটা দেশের বাইরে বড় পর্যায়ে । বিষয়টা কিন্তু সেইম । Its all about dream and opportunity. You must go to pursue your dream and take the opportunity. If you have the opportunity then why not go and explore the world and justify your merits. There is no harm to do so. দেশের বাইরে থাকলেই দেশপ্রেম থাকবে না আর দেশের মধ্যে থাকলেই দেশপ্রেম থাকবে এটা একদমই ঠিক কথা না । দেশপ্রেম থাকা না থাকার সাথে একজন মানুষের ক্যারিয়ার গড়া আর কোথায় সেটেল হচ্ছে এর কোনও সম্পর্ক নেই । দেশপ্রেম মানে শুধু একটা ল্যান্ড না , তার মানুষের প্রতি টান, ভালোবাসা, মমত্ববোধ । আই বিলিভ যে করেনা, সে দেশে থেকেও কিছু করেনা, আর যে করার সে যত দুরেই যাক ঠিকই করে তার দেশের মানুষের জন্য ।

• এবার আসি মূল্যায়নের কথায় । সবাই যে শুধুই যোগ্যতার প্রপার মূল্যায়ন হচ্ছে না বলে দেশের বাইরে যাচ্ছে তা কিন্তু না । আরও অনেক কারন আছে । মেইনলি সোশ্যাল সিকিউরিটি । একজন মানুষ চায় একটা সুস্থ সুন্দর সিকিউরড পরিবেশের মধ্যে থাকতে । হয়তোবা বাইরে এগুলোর অনেক প্রিভিলেজ আছে যেটা শুধু বাংলাদেশ না আমাদের মতো আরও অনেক দেশেই নেই কিন্তু ডেভেলপড দেশগুলোতে আছে । এটা অনেক বড় একটা কারন বাইরে সেটেল হবার । যখন একজন মানুষ ঝামেলা চায়না, শান্তিপূর্ণ জীবন চায় তখন হয়তো এটাই তাকে পিছুটান তৈরি করে ।

• এবার বলি রেমিটেন্সের কথা । ঠামা ঠিক বলেছে যে মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর আরব দেশগুলো থেকে রেমিটেন্স যায় খুবই সত্যি কথা । কিন্তু আমেরিকা ইউরোপ কানাডা অস্ট্রেলিয়া থেকে মানুষ তাদের পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজন লোকাল এরিয়া গ্রামে বিভিন্ন খাতে বিভিন্নভাবে যে মানুষকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে না তা কিন্তু না, এই ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্টগুলো কিন্তু আল্টিমেটলি এখানে অর্জিত ফরেন কারেন্সি দিয়েই করছে । বাইরের অনেকেই নিজের দেশে আনপ্রিভিলেজদের জন্য কাজ করে, একটিভলি ইনভল্ভ আছে দূরে থেকেও । সো, হোয়াট আই’ম ট্রায়িং টু সে, যে করার সে করবেই দেশে থাক আর নাই বা থাক । আর যে স্বার্থপর সুবিধাবাদি সে দেশে থেকেও করেনা ।

• এবার বলি তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক বিষয়ে । আমি সত্যিই জানিনা উনি কোন দেশকে বোঝালেন কারন আমার আইডিয়া নেই অন্য কোনও দেশ সম্পর্কে । কিন্তু অস্ত্রেলিয়ারটা আমি বলতে পারি । তৃতীয় বলে এখানে কিছু নেই । দুইরকম সিটিজেনশিপ এখানে । একটা হচ্ছে এখানে যাদের জন্ম বাই বোর্ন সিটিজেন, আরেকটা হচ্ছে মাইগ্র্যান্ট সিটিজেন আমরা যারা এখানে স্টুডেন্ট ভিসায় এসে লোকালি পড়ালেখা করে ওদের ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করে রেসিডেন্ট হয়ে থেকে গেছি অথবা যারা একবারেই বাইরে থেকে যোগ্যতা নিয়ে রেসিডেন্ট হয়ে এসেছে । কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে দ্যা মোমেন্ট অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট হোল্ডার হচ্ছি, তখন থেকে নো ডিফারেন্স জন্মগত না মাইগ্র্যান্ট । উই অল গেট সেইম ফেসিলিটিজ অ্যান্ড প্রিভিলেজ এজ এ সিটিজেন । বরং বাংলাদেশেই দেখেছি আমরা যারা ঢাকায় জন্ম এবং বেড়ে উঠেছি আর যারা বাইরে মফস্বল থেকে এসেছে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মাঝে ডিসক্রিমিনেশন হচ্ছে । আমি হয়তো করছিনা কিন্তু অন্য একজন হয়তো করছে । কিন্তু এখানে এটা নেই । সবাইকে ইকোয়ালি ট্রিট করছে । এক্সসেপ্ট এক্সসেপ্সন এখানে রেসিজম কম, দেশে বেশী, ধনী দরিদ্রের মাঝে, শিক্ষিত অশিক্ষতদের মাঝে, ক্ষমতাসীন আর ক্ষমতাহীনদের মাঝে ।

• এ আলোচনার শেষ নেই সাজিদ । সে অনেক কথা । শুধু এটুকুই বলবো, সব জায়গাতে ভালো মন্দ আছে । কখনও কোনকিছু একতরফা বলতে নেই । আমরা সবাই এখানে বাংলাদেশী বাঙালী । সবাই সবাইকে যে যেই অবস্থানেই আছে সেখানে থেকে রেস্পেক্ট করি প্রবাসী না দেশি ওটা বিষয় না, কখনোই না । কাদা ছোঁড়াছুড়ি না করে পাশে থাকি । মিলেমিশে থাকি । যার যার সামর্থ্য থেকে আমরা সবাই আমাদের দেশের ডিজএডভান্টেজ আনপ্রিভিলেজ মানুষগুলোর জন্য কিছু করার চেষ্টা করি । সামু প্লাটফর্ম হতে পারে একটা কমন গ্রাউন্ড আমাদের সবার জন্য ।



২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #মিরোরডডল@সালাম নিবেন। আমার একটা মন্তব্যই সবার কাছে পৌছে দিলাম।

আমি দুঃখিত, আমার পোষ্টোর মূলভাবটি অনেকেই বুঝতে পারেননি। আমি কিছু উদাহরণ দিবো-
আমার শিক্ষক কেনো এই উদাহরণ টা দিয়েছেন, সেই ব্যপারে অনেকেই ক্লিয়ার না। দেখুন, আমি দেশের বাইরে পরে থাকা যে বিজ্ঞ,জ্ঞানী মানুষগুলোর কথা বললাম কেনো বললাম সেই প্রশ্নটা কেউ করলো না। অনেকেই উল্টাপাল্টা বললেন। তাতে দুঃখ নেই।
আমি একটা উদাহরণ দেই- “দরুন একজন ডাক্তার, বাংলাদেশের বড় ডাক্তার। হতে পারে সেই ক্যান্সারের, হার্ড কিডনি, বা গাইনি অথবা সেই শিশু বিশেজ্ঞাতা। এখন তার থাকার কথা কোথায়? নিশ্চয় দেশে, কারণ সে দেশে থেকে দেশের সেবা দিবে, দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করবে তাই তো?

এখন এই ডাক্তারকেও তো পালন করতে হবে তাই না? তাকে তো তার প্রাপ্ত সম্মান দিতে হবে, তার মর্যাদা দিতে হবে। এবার বলি আসল কথা- ধরুন এই ডাক্তারের গ্রামের বা পরিচিত অথবা অপরিচিত কোন ব্যক্তি তেমন ভালো পড়ালেখা জানা না, বা ভালো চাকুরিও করে না। নেতামি করে, রাজনীতি করে বেড়ায় মাসে ইনকাম করে লাখ লাখ টাকা, বাড়ি করেছে, গাড়ি করেছে বিশাল আরাম আয়েসে থাকে। এবার বলুন ঐযে ডাক্তার যে কষ্ট করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এতো বড় একজন ডাক্তার হলো তার সম্মান থাকার কথা বেশি, ঐ নেতার সম্মান থাকার কথা বেশি? ডাক্তারের তো বাড়ি গাড়ি থাকার কথা তাই না। তার বসার আসনটা তো সবার উপরে থাকার কথা তাই না? তাহলে কেনো সেই অল্প শিক্ষিত একজন নেতা কাছে হার মানতে হয় একজন ডাক্তারকে, একজন ইনঞ্জিনিয়ারকে একজন বিজ্ঞানীকে।

কেনো তাকে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়? কেনো বিদেশিরা তাকে তার প্রাপ্ত সম্মান দিয়ে ধরে রাখে? সেটা কেনো পারেনা এই দেশর সরকার। যেটা করার কথা এই দেশের সরকারের। কেনো একজন বিজ্ঞ মানুষকে তার প্রাপ্ত সম্মান, প্রাপ্ত মূল্যায়ন না দিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে?

অনেকেই বলেন তারা নিজেদের জীবন সেটেল করার জন্য এই সব ভাবে। তাহলে বলুন তো বিশ্বের অন্যান্য দেশের এরকম বিজ্ঞ মানুষগুলো তার নিজ দেশ ছেড়ে পালায় জীবন সেটেল করার জন্য। তারা কিন্তু নিজের দেশের সেবা দেয় সবার আগে, তারপর অন্যান্য দেশেও দেয়, তারা অনেক বেশি সম্মান পায়। সেটা আমাদের দেশে কেনো নয়? এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।

আর এই জন্য এখন আমাদের দেশের ডাক্তারখানা হয়ে গেছে কসাইখানা, ইনঞ্জিনিয়ার খানা হয়ে গেছে হাতুরে ইনঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানখান হয়েছে লোহায় জমে ধরার মতো। তাই বিষণ কষ্ট হয়। এতো সুন্দার দেশে বাস করেও মানুষগুলোদের সুন্দর পেলাম না। তারা সবাই কসাই খানা গড়ে নিয়েছে। তাই খুব করুনা হয়, খুব মনে ধরে, খুব কষ্ট হয়, ধম বন্ধ হয়ে আসে এই দেশে বাস করতে। এটাই কি হওয়ার কথা ছিলো স্বাধিনতার দেশে।

ব্লগে অনেকেই ভালো ভালো বিজ্ঞজনেরা বিদেশে থাকেন। তারা নিজেরা নিজেদের কাছে প্রশ্ন করুন তো। আজ বিদেশ যেয়ে জীবনের যেটুক উন্নত করতে পেরেছেন সেই প্রাপ্তটুক যদি দেশের মাটিতে পেতেন তাহলে কি দেশ ছেড়ে যাওয়া চিন্তা করতেন। যদি পদে পদে মনে আতংক, পদে পদে অসম্মান না সইতে হতো তাহলে কি বিদেশে পড়গাছের মতো পড়ে থাকতেন?।

যারা কয়েক বছর দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পরে আছেন তারা একবার এসে দেখেন দেশের মাটিতে দেখবেন পিছন থেকে চামচিকাটাও আপনাকে লাথি মারবে। আপনার বড় বড় ডিগ্রি, বড় বড় সম্মান তার সামান্যটুকো মূল্য থাকবেনা। এদেশের পাতি নেতা খেতাদের কাছে। বা সামান্য গ্রামের ছোকরাদের কাছেও আপনার কোন মূল থাকবে না। তাই শুধু একটু ভাবুন আমি কেনো স্যারের এই উদাহরণটা দিলাম। স্যার কতটা কষ্ট নিয়ে কথাটি বলেছেন।

স্যার বলেছেন-আমি একজন ইনঞ্জিনিয়ার সরকারি বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করি। আমার বেতন দেয় রিক্সাচালকের সমান। যেখানে একজন ঢাকার শহরের রিক্সাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আর আমি ইনঞ্জিনিয়ার হয়ে ৩০ টাকা বেতন পাই। বাকি টাকা যারা কিচ্ছু বোঝেনা, যারা প্রজেক্টের ঠিকাদারি তারা সব পেটে ভরে। আর আমার সম্মান তো দূরের কথা কষ্টের পারিশ্রমিকটাও দেয়না। এটাই যদি হয় তাহলে তাদের বলবো যারা না বুঝে কথা বলেন তারা হয়তো সেই পর্যায় পৌছাতে পারেনি। তারা অল্পকে টাকার মালিক হয়েছে।

১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই, ঢাবিয়ান ভাই, মিরোররডল আপুকে ধন্যবাদ আপনাদের মতামত তুলে ধরার জন্য। ঠাকুর ভাই আশা করি ' তৃতীয় শ্রেণীর ' নাগরিক শব্দটা ক্লিয়ার করবেন। আমিও অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।

১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৭

স্প্যানকড বলেছেন: কে কইছে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না? আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ই তো দেশে আইসা কাজ করছে। যেসব সোনার ছেলেরা দেশ ছেড়ে চলে গেছে তারা স্বর্গের গেলমান হতে রাজি নরকের বাদশাহ হতে চায় না। মনে হয় এতক্ষণে দেশের গন্য মান্য ব্যক্তিরা দরজা বন্ধ কইরা আলোচনায় বইছে বিষয়
" সোনার ছেলেদের দেশে কেমনে ফেরত আনা যায় "?

আচ্ছা!বিমান বন্দরে কি কোন বাড়তি সিকিউরিটি বসানো হইছে?যদি কোন সোনার ছেলে বা গেলমান আপনার পোষ্ট পড়ে দেশে চলে আসে!দেশের সোনা দেশে রাখাই বুদ্ধিমান এর কাজ কিন্তু এই মহান কাজ করবে কে?
ভালো থাকবেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #spanked @ সালাম নিবেন। আমার একটা মন্তব্য সবার কাছে পৌছে দিলাম।

আমি দুঃখিত, আমার পোষ্টোর মূলভাবটি অনেকেই বুঝতে পারেননি। আমি কিছু উদাহরণ দিবো-
আমার শিক্ষক কেনো এই উদাহরণ টা দিয়েছেন, সেই ব্যপারে অনেকেই ক্লিয়ার না। দেখুন, আমি দেশের বাইরে পরে থাকা যে বিজ্ঞ,জ্ঞানী মানুষগুলোর কথা বললাম কেনো বললাম সেই প্রশ্নটা কেউ করলো না। অনেকেই উল্টাপাল্টা বললেন। তাতে দুঃখ নেই।
আমি একটা উদাহরণ দেই- “দরুন একজন ডাক্তার, বাংলাদেশের বড় ডাক্তার। হতে পারে সেই ক্যান্সারের, হার্ড কিডনি, বা গাইনি অথবা সেই শিশু বিশেজ্ঞাতা। এখন তার থাকার কথা কোথায়? নিশ্চয় দেশে, কারণ সে দেশে থেকে দেশের সেবা দিবে, দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করবে তাই তো?

এখন এই ডাক্তারকেও তো পালন করতে হবে তাই না? তাকে তো তার প্রাপ্ত সম্মান দিতে হবে, তার মর্যাদা দিতে হবে। এবার বলি আসল কথা- ধরুন এই ডাক্তারের গ্রামের বা পরিচিত অথবা অপরিচিত কোন ব্যক্তি তেমন ভালো পড়ালেখা জানা না, বা ভালো চাকুরিও করে না। নেতামি করে, রাজনীতি করে বেড়ায় মাসে ইনকাম করে লাখ লাখ টাকা, বাড়ি করেছে, গাড়ি করেছে বিশাল আরাম আয়েসে থাকে। এবার বলুন ঐযে ডাক্তার যে কষ্ট করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এতো বড় একজন ডাক্তার হলো তার সম্মান থাকার কথা বেশি, ঐ নেতার সম্মান থাকার কথা বেশি? ডাক্তারের তো বাড়ি গাড়ি থাকার কথা তাই না। তার বসার আসনটা তো সবার উপরে থাকার কথা তাই না? তাহলে কেনো সেই অল্প শিক্ষিত একজন নেতা কাছে হার মানতে হয় একজন ডাক্তারকে, একজন ইনঞ্জিনিয়ারকে একজন বিজ্ঞানীকে।

কেনো তাকে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়? কেনো বিদেশিরা তাকে তার প্রাপ্ত সম্মান দিয়ে ধরে রাখে? সেটা কেনো পারেনা এই দেশর সরকার। যেটা করার কথা এই দেশের সরকারের। কেনো একজন বিজ্ঞ মানুষকে তার প্রাপ্ত সম্মান, প্রাপ্ত মূল্যায়ন না দিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে?

অনেকেই বলেন তারা নিজেদের জীবন সেটেল করার জন্য এই সব ভাবে। তাহলে বলুন তো বিশ্বের অন্যান্য দেশের এরকম বিজ্ঞ মানুষগুলো তার নিজ দেশ ছেড়ে পালায় জীবন সেটেল করার জন্য। তারা কিন্তু নিজের দেশের সেবা দেয় সবার আগে, তারপর অন্যান্য দেশেও দেয়, তারা অনেক বেশি সম্মান পায়। সেটা আমাদের দেশে কেনো নয়? এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।

আর এই জন্য এখন আমাদের দেশের ডাক্তারখানা হয়ে গেছে কসাইখানা, ইনঞ্জিনিয়ার খানা হয়ে গেছে হাতুরে ইনঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানখান হয়েছে লোহায় জমে ধরার মতো। তাই বিষণ কষ্ট হয়। এতো সুন্দার দেশে বাস করেও মানুষগুলোদের সুন্দর পেলাম না। তারা সবাই কসাই খানা গড়ে নিয়েছে। তাই খুব করুনা হয়, খুব মনে ধরে, খুব কষ্ট হয়, ধম বন্ধ হয়ে আসে এই দেশে বাস করতে। এটাই কি হওয়ার কথা ছিলো স্বাধিনতার দেশে।

ব্লগে অনেকেই ভালো ভালো বিজ্ঞজনেরা বিদেশে থাকেন। তারা নিজেরা নিজেদের কাছে প্রশ্ন করুন তো। আজ বিদেশ যেয়ে জীবনের যেটুক উন্নত করতে পেরেছেন সেই প্রাপ্তটুক যদি দেশের মাটিতে পেতেন তাহলে কি দেশ ছেড়ে যাওয়া চিন্তা করতেন। যদি পদে পদে মনে আতংক, পদে পদে অসম্মান না সইতে হতো তাহলে কি বিদেশে পড়গাছের মতো পড়ে থাকতেন?।

যারা কয়েক বছর দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পরে আছেন তারা একবার এসে দেখেন দেশের মাটিতে দেখবেন পিছন থেকে চামচিকাটাও আপনাকে লাথি মারবে। আপনার বড় বড় ডিগ্রি, বড় বড় সম্মান তার সামান্যটুকো মূল্য থাকবেনা। এদেশের পাতি নেতা খেতাদের কাছে। বা সামান্য গ্রামের ছোকরাদের কাছেও আপনার কোন মূল থাকবে না। তাই শুধু একটু ভাবুন আমি কেনো স্যারের এই উদাহরণটা দিলাম। স্যার কতটা কষ্ট নিয়ে কথাটি বলেছেন।

স্যার বলেছেন-আমি একজন ইনঞ্জিনিয়ার সরকারি বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করি। আমার বেতন দেয় রিক্সাচালকের সমান। যেখানে একজন ঢাকার শহরের রিক্সাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আর আমি ইনঞ্জিনিয়ার হয়ে ৩০ টাকা বেতন পাই। বাকি টাকা যারা কিচ্ছু বোঝেনা, যারা প্রজেক্টের ঠিকাদারি তারা সব পেটে ভরে। আর আমার সম্মান তো দূরের কথা কষ্টের পারিশ্রমিকটাও দেয়না। এটাই যদি হয় তাহলে তাদের বলবো যারা না বুঝে কথা বলেন তারা হয়তো সেই পর্যায় পৌছাতে পারেনি। তারা অল্পকে টাকার মালিক হয়েছে।

১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




প্রথমেই অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় লক্ষ্য করেছি ব্লগার মিরোরডডল নাম বিকৃত করে কথা বলেন এটি করে তিনি কি আনন্দ পান তা তিনি ভালো জানার কথা। এটি খুবই দুঃখজনক বিষয় এবং খুবই লজ্জাকর।

ব্লগার মিরোরডডল আমার মন্তব্যে আপনার স্যাররা বলা হয়েছে সবাইকে বলা হয়নি, আমি সবাইকে জাজ করছি না। আপনিও জাজ করবেন না, আপনি মন্তব্য করতে পারেন জাজ করার কাজ আপনার না। জাজ করার জন্য ব্লগ এডমিন আছেন। আপনি সম্ভবত পড়তে ভুল করেছেন। ব্লগার মিরোরডডল, আপনার সাথে ব্লগার অনল চৌধুরির কি সমস্যা হয়েছে সেই জন্য আমি দায়ী নই। ব্লগার অনল চৌধুরি আমার বন্ধু নন, আর আপনিও আমার শত্রু নন। তাই দয়াকরে এক দিকের রাগ আরেক দিকে দেখানো শোভন কাজ না। আপনি অনল চৌধুরি দুজনকেই আমি পছন্দ করি। আপনার হয়তো মনে থাকার কথা আপনাকে ফ্রন্ট পেজে আনার জন্য আমি কিছুটা হলেও কাজ করেছি। ঠিক তেমনই অনল চৌধুরি যখন ব্যান ছিলেন আমি অনল চৌধুরির ব্যান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে আস্ত একটি পোস্ট দিয়েছি। ব্লগে কেউ ফ্রন্ট পেজে আসতে পারছে না তার জন্য আমি আমার পক্ষ থেকে সামান্যতম সুপারিশ করা সম্ভব হলেও করি, ঠিক তেমিনই কেউ ব্যান হলেও তার জন্য সুপারিশ করি। ব্লগে কেউ আমার শত্রু না কেই আমার বন্ধুও না। কারো সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। আমার পক্ষে কারোও সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হওয়া সম্ভবও হচ্ছে না। (দুঃখিত)

গ্লোবালাইজেশন বলে যারা কথা বলেন তাদের জানার কথা বাংলাদেশে সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শিক্ষকগণ আছেন তারা চাইলে জাপান জার্মান, সুইস, নরডিক ভিসা পাবেন, এখন গ্লোবালাইজেশনের যুগে সব ভালো শিক্ষক প্রবাসে চলে গেলে (এই সাইকেল নিয়মিত চলবে) তাহলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক হিসেবে কারা থাকবেন? এই শিক্ষগগণ কি বোকা নাকি তারা গ্লোবালাইজেশন সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ? বাংলাদেম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সর্ম্পকে যারা জানেন তারা জানেন সেখানে এক একজন কি?

প্রবাসে যারা যান অবশ্যই তারা নিজ ও নিজ পরিবারের কথা চিন্তা করেই প্রবাসে পাড়ি দেন কখনো কখনো প্রবাসে স্থায়ীও হয়ে যান। এর অর্থ এই নয় যারা দেশে আছেন তারা সবাই দেশকে ভালোবাসেন। আবার এর অর্থ এই নয় প্রবাসে যারা আছেন তারা সোস্যাল সিকিউরিটির জন্য আছেন - কেউ যখন সোস্যাল সিকিউরিটির কথা বলবেন তখনই জানতে হবে তার নামে কি তাহলে দেশে হুলিয়া জারি হয়ে আছে। তিনি কি রাষ্ট্র/সরকার বিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলেন? নয়তো বাংলাদেশে এতো এতো মানুষ সবাই কি সিকিউরিটিবিহীন আছেন? প্রবাসে মানুষ যাচ্ছেন ভালো সুযোগ সুবিধা ভালো আয়ের জন্য, ভালোভাবে থাকার জন্য, ভালোমন্দ খাবার জন্য। যদিও একজন বাংলাদেশীর কাছে বাংলাদেশী খাবার বেস্ট হবার কথা।

পৃথিবীর সবদেশে বর্ণবাদ আছে বর্ণবাদের সাথে আছে শ্রেণী বৈষম্য। আমার পক্ষে আপনাদের কোনো সুযোগ ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব না, কোনো সুযোগ দিতেও পারবো না। কারণ আমি আপনাদের উক্ত দেশের নাগরিক নই, সেই দেশের সরকারও নই। প্রবাসে চাকরি খাতে ব্যবসা খাতে বাংলাদেশের মতো পার্শিয়ালিটি নেই। তারপরও যখন আপনি সেই দেশে বঞ্চিত হবেন বুঝতে হবে আপনার সাথে আপনার শ্রেণী বৈষম্য করা হয়েছে। কারণ আপনিও আমেরিকান সেই দেশী তারাও আমেরিকান তাহলে আপনি বঞ্চিত হবার কারণ কি?

আমি সাজিদ ভাই প্রবাসে ইমিগ্রেশন থানা কোর্ট কিভাবে শ্রেণী বৈষম্য করে তা বলতে চাচ্ছি না। যারা জানেন তারা সম্ভব হলে আগামীকাল দেশে চলে আসবেন। যারা জানেন না তারা কষ্ট করে জেনে নিবেন। ব্লগে বিনা পয়সায় আর কতো জানবেন।

প্রসঙ্গ সিটিজেনশিপ: আপনি যেই দেশের সিটিজেন হয়ে আছেন আপনার সেই দেশী পাসপোর্টে আপনি একজন বাংলাদেশী তা উল্লেখ করা আছে। নিজ দেশের প্রতি এতোটা পরিহাস করা যায় না। যেদিন বিপদে পরবেন আপনার নতুন নাগরিকত্ব দেওয়া দেশটি অস্বীকার করলেও বাংলাদেশ অস্বীকার করবে না - একমাত্র আপনি যদি কোনো কারণে জঙ্গি তৎপরতায় না জড়িয়ে পরেন।

প্রসঙ্গ হিংসা: ব্লগে কেউ কাউকে হিংসা করা সম্ভব না, হয়তো সাময়িক দেন দরবার হয়। তবে হিংসা অসম্ভব বিষয়। আপনাকে হিংসা করবেন আপনার প্রতিবেশী আপনার আত্মীয় পরিজন এমনকি আপনারন ভাইবোনও হতে পারে। কোনো ব্লগার আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে জানেন না - তাহলে কোন দুঃখে ব্লগার আপনাকে হিংসা করবেন? আপনাকে যারা ব্যক্তিগত ভাবে জানেন চিনেন তারা হিংসা করলেও করতে পারেন। হিংসা করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে চেনা জানার প্রয়োজন পরে।

কালোরাও আমেরিকান তারা ইকোয়্যালি ট্রিট পাচ্ছেন না। যাইহোক সর্বশেষ বলছি - প্রবাসে অনেক অনেক মানুষ আছেন যাদের মন পরে থাকে দেশে, দেশে সামান্যতম সুযোগ করতে পারলে তারা দেশে চলে আসবেন, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করেই প্রবাসে চলে গেছেন এমন অনেক আছেন যাদের মন পরে থাকে দেশের বিলে পাড়ে তাদের জন্য রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা, আপনাদের জন্য দেশ তৈরি হচ্ছে আপনি একদিন দেশে সত্যি সত্যি আনন্দ করবেন। যেই সম্মান আপনি দেশে আশা করছেন সেই সম্মান আপনি আপনারা দেশে পাবেন।

সর্বশেষে বলছি ব্লগার কামরুননাহার কলি, আপনার স্যার যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে থাকেন তিনি কিন্তু বাংলাদেশের অর্থে পড়ালেখা করেছেন - বাংলাদেশের বদনাম করার আগে তার কষ্ট লাগা উচিত ছিলো - আফসোস তার কষ্ট লাগে নি।

আমার যা বলার আশা করছি বলা শেষ, এই ব্লগে বলার মতো আর কিছু নেই। অন্য কোনো দিন অন্য কোনো পোস্টে আবার আলোচনা হবে।

আমি সাজিদ ভাই আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ।

সবাইকে শুভ কামনা। খোদা হাফেজ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #ঠাকুরমাহমুদ @ সালাম নিবেন। আমার একটা মন্তব্য সবার কাছে পৌছে দিলাম।

আমি দুঃখিত, আমার পোষ্টোর মূলভাবটি অনেকেই বুঝতে পারেননি। আমি কিছু উদাহরণ দিবো-
আমার শিক্ষক কেনো এই উদাহরণ টা দিয়েছেন, সেই ব্যপারে অনেকেই ক্লিয়ার না। দেখুন, আমি দেশের বাইরে পরে থাকা যে বিজ্ঞ,জ্ঞানী মানুষগুলোর কথা বললাম কেনো বললাম সেই প্রশ্নটা কেউ করলো না। অনেকেই উল্টাপাল্টা বললেন। তাতে দুঃখ নেই।
আমি একটা উদাহরণ দেই- “দরুন একজন ডাক্তার, বাংলাদেশের বড় ডাক্তার। হতে পারে সেই ক্যান্সারের, হার্ড কিডনি, বা গাইনি অথবা সেই শিশু বিশেজ্ঞাতা। এখন তার থাকার কথা কোথায়? নিশ্চয় দেশে, কারণ সে দেশে থেকে দেশের সেবা দিবে, দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করবে তাই তো?

এখন এই ডাক্তারকেও তো পালন করতে হবে তাই না? তাকে তো তার প্রাপ্ত সম্মান দিতে হবে, তার মর্যাদা দিতে হবে। এবার বলি আসল কথা- ধরুন এই ডাক্তারের গ্রামের বা পরিচিত অথবা অপরিচিত কোন ব্যক্তি তেমন ভালো পড়ালেখা জানা না, বা ভালো চাকুরিও করে না। নেতামি করে, রাজনীতি করে বেড়ায় মাসে ইনকাম করে লাখ লাখ টাকা, বাড়ি করেছে, গাড়ি করেছে বিশাল আরাম আয়েসে থাকে। এবার বলুন ঐযে ডাক্তার যে কষ্ট করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এতো বড় একজন ডাক্তার হলো তার সম্মান থাকার কথা বেশি, ঐ নেতার সম্মান থাকার কথা বেশি? ডাক্তারের তো বাড়ি গাড়ি থাকার কথা তাই না। তার বসার আসনটা তো সবার উপরে থাকার কথা তাই না? তাহলে কেনো সেই অল্প শিক্ষিত একজন নেতা কাছে হার মানতে হয় একজন ডাক্তারকে, একজন ইনঞ্জিনিয়ারকে একজন বিজ্ঞানীকে।

কেনো তাকে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়? কেনো বিদেশিরা তাকে তার প্রাপ্ত সম্মান দিয়ে ধরে রাখে? সেটা কেনো পারেনা এই দেশর সরকার। যেটা করার কথা এই দেশের সরকারের। কেনো একজন বিজ্ঞ মানুষকে তার প্রাপ্ত সম্মান, প্রাপ্ত মূল্যায়ন না দিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে?

অনেকেই বলেন তারা নিজেদের জীবন সেটেল করার জন্য এই সব ভাবে। তাহলে বলুন তো বিশ্বের অন্যান্য দেশের এরকম বিজ্ঞ মানুষগুলো তার নিজ দেশ ছেড়ে পালায় জীবন সেটেল করার জন্য। তারা কিন্তু নিজের দেশের সেবা দেয় সবার আগে, তারপর অন্যান্য দেশেও দেয়, তারা অনেক বেশি সম্মান পায়। সেটা আমাদের দেশে কেনো নয়? এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।

আর এই জন্য এখন আমাদের দেশের ডাক্তারখানা হয়ে গেছে কসাইখানা, ইনঞ্জিনিয়ার খানা হয়ে গেছে হাতুরে ইনঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানখান হয়েছে লোহায় জমে ধরার মতো। তাই বিষণ কষ্ট হয়। এতো সুন্দার দেশে বাস করেও মানুষগুলোদের সুন্দর পেলাম না। তারা সবাই কসাই খানা গড়ে নিয়েছে। তাই খুব করুনা হয়, খুব মনে ধরে, খুব কষ্ট হয়, ধম বন্ধ হয়ে আসে এই দেশে বাস করতে। এটাই কি হওয়ার কথা ছিলো স্বাধিনতার দেশে।

ব্লগে অনেকেই ভালো ভালো বিজ্ঞজনেরা বিদেশে থাকেন। তারা নিজেরা নিজেদের কাছে প্রশ্ন করুন তো। আজ বিদেশ যেয়ে জীবনের যেটুক উন্নত করতে পেরেছেন সেই প্রাপ্তটুক যদি দেশের মাটিতে পেতেন তাহলে কি দেশ ছেড়ে যাওয়া চিন্তা করতেন। যদি পদে পদে মনে আতংক, পদে পদে অসম্মান না সইতে হতো তাহলে কি বিদেশে পড়গাছের মতো পড়ে থাকতেন?।

যারা কয়েক বছর দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পরে আছেন তারা একবার এসে দেখেন দেশের মাটিতে দেখবেন পিছন থেকে চামচিকাটাও আপনাকে লাথি মারবে। আপনার বড় বড় ডিগ্রি, বড় বড় সম্মান তার সামান্যটুকো মূল্য থাকবেনা। এদেশের পাতি নেতা খেতাদের কাছে। বা সামান্য গ্রামের ছোকরাদের কাছেও আপনার কোন মূল থাকবে না। তাই শুধু একটু ভাবুন আমি কেনো স্যারের এই উদাহরণটা দিলাম। স্যার কতটা কষ্ট নিয়ে কথাটি বলেছেন।

স্যার বলেছেন-আমি একজন ইনঞ্জিনিয়ার সরকারি বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করি। আমার বেতন দেয় রিক্সাচালকের সমান। যেখানে একজন ঢাকার শহরের রিক্সাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আর আমি ইনঞ্জিনিয়ার হয়ে ৩০ টাকা বেতন পাই। বাকি টাকা যারা কিচ্ছু বোঝেনা, যারা প্রজেক্টের ঠিকাদারি তারা সব পেটে ভরে। আর আমার সম্মান তো দূরের কথা কষ্টের পারিশ্রমিকটাও দেয়না। এটাই যদি হয় তাহলে তাদের বলবো যারা না বুঝে কথা বলেন তারা হয়তো সেই পর্যায় পৌছাতে পারেনি। তারা অল্পকে টাকার মালিক হয়েছে।

১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বিশেষ দ্রষ্টব্য:
===========================

প্রবাসে থেকে যারা দেশকে অপমান করেন একমাত্র তাদের জন্য প্রবাসে থাকা দেশের সোনার সন্তান’রা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যান। একের পাপে দশের বোঝা। প্রবাসে দেশের সর্বশ্রেষ্ট সন্তানও আছেন তারা দেশকে আর যাইহোক অপমান করেন না। দেশ তাকে অবমূল্যায়ন করেছে এই ধরনের কথাও বলেন না।

সোনার সন্তানরা গর্ব করে বলেন আমি একজন বাংলাদেশী।

যেতে যেতে একটি রেসিপি দিয়ে যাই - যারা ঢাকা সহ দেশের শহরাঞ্চলে আছেন, নতুন আলু কাঁটা চামচে বিদ্ধ করে গ্যাসের চুলাতে পুড়ে খেতে পারেন। গ্রামের টেস্ট পাবেন।

===========================
সবাইকে আবারও ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।


১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্টটিতে আলোচনা করার বেশ কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে ।
মেধাবীদের বিদেশে পাড়ি জমানোর কারণ ও তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে । তাদের নিয়ে বিবিধ ধরনের কথামালাও উঠে এসেছে মন্তব্যের ঘরে । বিজ্ঞ ব্লগারদের সকল কথাথেই নীজ নীজ দৃষ্টিকোন হতে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে । এটা ঠিক যে সবকিছুরই একটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে । অনেক সময় দেখা যায় যে বিদেশে পাড়ি জমানো অনেকেই বিবিধভাবে দেশের নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরে তাদের প্রতি দেশে বসবাসকারী মানুষদের মনে একটি বিরোপ ধারণা জন্ম নিতে প্ররোচিত করেন । দেশের সীমাবদ্ধতা , সামাজিক , রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর দুরাবস্থা ও অক্ষমতার কথা তারা ভুলে যান । ভুলে যান নীজের শিকড়ের কথা । কোন মহল বিশেষের/দলের কর্মফলের জন্য কিছু কথা বলতে গিয়ে তারা প্রকারান্তরে সমগ্র দেশটিকেই বিদেশীদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করে ফেলেন । তারা কি বলতে কি বলে ফেলেন তা তারা নীজেরাও জানেন না। বিজ্ঞ ব্লগার ঠাকুর মাহমুদ তাদের এমন একটি বিষয়ের দিকেই অঙ্গুলি তুলেছেন বলে মনে হল।

যাহোক ,আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের হাজার হাজার মেধাবী বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী , চিকিৎসক ও অন্যান্য সমাজ বিজ্ঞানী এবং পেশাজিবী বিদেশে গুরুত্বপুর্ণ অবদান ও কৃতিত্ব রেখে চলেছেন সুনামের সাথে । তাঁদের বিষিষ্টজনদের নামের তালিকা দিতে গেলে অনেক লম্বা হবে । আলোচনার সুবিধার্থে মহাকাশ গবেষনার সাথে সংস্লিষ্ট এ দেশের প্রথিতযশা একজন বিজ্ঞানীর কিছু কথা এখানে তুলে ধরা হলো যিনি দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে দেশে ফিরে এসে যে মহতি কির্তী গড়েছেন তা দেখানোর জন্য ।
মৌলিক বিজ্ঞানে যে সমস্ত বিজ্ঞানী জগত বিখ্যাত তার মধ্যে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম অন্যতম ।

ছবি সুত্র : Click This Link
১৯৩৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদশের ঝিনাইদহে তিনি জন্ম গ্রহন করেন । প্রায়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি এবং সম্মানজনক ডক্টর অব সায়েন্স বা ডিএসসি ডিগ্রি অর্জনকারী এ বিজ্ঞানী জগত বিখ্যাত বিজ্ঞান-প্রতিভা স্টিফেন হকিং এর ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন ।

জামাল নজরুল ইসলাম ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরাল ফেলো, ১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজ ইনস্টিটিউট অব থিওরেটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমিতে গবেষণা , ১৯৭১-৭২ ,ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভিজিটিং অধ্যাপক ,১৯৭৩-৭৪ সালে লন্ডনের কিংস কলেজে ফলিত গণিতের শিক্ষক, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স রিসার্চ ফেলো এবং ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মনে সিটি ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করেছেন। তাঁর অনেক গবেষণা নিবন্ধ বিখ্যাত সব সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে । ১৯৮৩ সালে তাঁর গবেষণাগ্রন্থ দ্য আল্টিমেট ফেইট অব দ্য ইউনিভার্স কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হলে সারা বিশ্বের কসমোলজিস্টদের মধ্যে হই চই পড়ে যায়। বইটি পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় দ্রুত অনূদিত হয়। পরের বছর কেমব্রিজ থেকেই প্রকাশিত হয় ক্লাসিক্যাল জেনারেল রিলেটিভিটি। তাঁর গবেষণা আইনস্টাইন-পরবর্তী মহাবিশ্ব গবেষণায় বিরাট অবদান রেখেছে। তিনি এই ধারায় গবেষণা অব্যাহত রেখে পরবর্তীকালে লেখেন ফার ফিউচার অব দ্য ইউনিভার্স বা মহাবিশ্বের দূরবর্তী ভবিষ্যৎ।
সুত্র : Click This Link
পাচ্যাত্তের উন্নত দেশে প্রায় ৩০ বছরের অভ্যস্ত জীবন, সম্মানজনক পদ, গবেষণার জন্য উন্নতমানের অনুকূল পরিবেশ, বিশ্বমানের গুণীজন সাহচর্য এবং আর্থিকভাবে লোভনীয় চাকরি ছেড়ে প্রফেসর ইসলাম দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে দেশে ফিরে আসেন ১৯৮৪ সালে । দেশে ফিরে নীজ জেলা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে যোগ দিলেন মাত্র তিন হাজার টাকা মাসিক বেতনে।তিনি বলেছেন নিজের দেশে নিজের মানুষের মধ্যে যে গ্রহণযোগ্যতা এবং অবস্থা সেটা বিদেশে কখনোই সম্ভব নয় ।

কারো কোন বিশেষ মুল্যায়ন বা অন্য কোন বিরোপ প্রতিবন্দকতার কথা বিশেষ বিবেচনায় না নিয়ে দেশে ফিরে এসে জামাল নজরুল ইসলাম গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গাণিতিক ও ভৌতবিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্র বা রিচার্স সেন্টার ফর ম্যাথমেটিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্স (আরসিএমপিএস), যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী, আপেক্ষিক তত্ত্ববিদ এবং বিশ্ব সৃষ্টি তাত্ত্বিকদের আগমন ঘটেছে । সেখানে অনেক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন হত নিয়মিতভাবে ,অনেক নোবেলজয়ীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের পণ্ডিতগন যোগ দিয়েছেন তাতে । দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০১৩ সনে তাঁর ইন্তেকালের পরে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে এই সম্ভাবনাময় গবেষনা প্রতিষ্ঠানটি করতে পারছে না তার ভূমিকা পালন যথাযথভাবে। দেখার অপেক্ষায় আছি বিদেশে পাড়ি জমানো বড় বড় বিজ্ঞানীরা জামাল নজরুলের অনুকরনে, দেশে কষ্টে সৃস্টে বসবাসকারী অন্য সব বিজ্ঞানীদের মত স্বল্প বেতনের চাকুরী করেও দেশকে মহান ও সমৃদ্ধশালী করার ব্রত নিয়ে দেশে ফিরে আসেন কবে। সবাই যেন গর্ব করে বলেন আমি একজন বাঙ্গালী তিনি যেন তার মেধা ও কর্মগুন দিয়ে সকল প্রতিকুলতা দুর করে বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশে পরিনত করতে অবদান রাখেন প্রত্যক্ষভাবে ।

সহ ব্লগার আমি সাজিদের আমন্ত্রনে এসে পোষ্টটি দেখে গেলাম বলে তাঁর প্রতি রইল ধন্যবাদ ।
একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে আলোচনার সুত্রপাত করার জন্য আপনার প্রতিও রইল ধন্যবাদ ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #ডঃ এম এ আলী @ সালাম নিবেন। আমার একটা মন্তব্য সবার কাছে পৌছে দিলাম।

আমি দুঃখিত, আমার পোষ্টোর মূলভাবটি অনেকেই বুঝতে পারেননি। আমি কিছু উদাহরণ দিবো-
আমার শিক্ষক কেনো এই উদাহরণ টা দিয়েছেন, সেই ব্যপারে অনেকেই ক্লিয়ার না। দেখুন, আমি দেশের বাইরে পরে থাকা যে বিজ্ঞ,জ্ঞানী মানুষগুলোর কথা বললাম কেনো বললাম সেই প্রশ্নটা কেউ করলো না। অনেকেই উল্টাপাল্টা বললেন। তাতে দুঃখ নেই।
আমি একটা উদাহরণ দেই- “দরুন একজন ডাক্তার, বাংলাদেশের বড় ডাক্তার। হতে পারে সেই ক্যান্সারের, হার্ড কিডনি, বা গাইনি অথবা সেই শিশু বিশেজ্ঞাতা। এখন তার থাকার কথা কোথায়? নিশ্চয় দেশে, কারণ সে দেশে থেকে দেশের সেবা দিবে, দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করবে তাই তো?

এখন এই ডাক্তারকেও তো পালন করতে হবে তাই না? তাকে তো তার প্রাপ্ত সম্মান দিতে হবে, তার মর্যাদা দিতে হবে। এবার বলি আসল কথা- ধরুন এই ডাক্তারের গ্রামের বা পরিচিত অথবা অপরিচিত কোন ব্যক্তি তেমন ভালো পড়ালেখা জানা না, বা ভালো চাকুরিও করে না। নেতামি করে, রাজনীতি করে বেড়ায় মাসে ইনকাম করে লাখ লাখ টাকা, বাড়ি করেছে, গাড়ি করেছে বিশাল আরাম আয়েসে থাকে। এবার বলুন ঐযে ডাক্তার যে কষ্ট করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এতো বড় একজন ডাক্তার হলো তার সম্মান থাকার কথা বেশি, ঐ নেতার সম্মান থাকার কথা বেশি? ডাক্তারের তো বাড়ি গাড়ি থাকার কথা তাই না। তার বসার আসনটা তো সবার উপরে থাকার কথা তাই না? তাহলে কেনো সেই অল্প শিক্ষিত একজন নেতা কাছে হার মানতে হয় একজন ডাক্তারকে, একজন ইনঞ্জিনিয়ারকে একজন বিজ্ঞানীকে।

কেনো তাকে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়? কেনো বিদেশিরা তাকে তার প্রাপ্ত সম্মান দিয়ে ধরে রাখে? সেটা কেনো পারেনা এই দেশর সরকার। যেটা করার কথা এই দেশের সরকারের। কেনো একজন বিজ্ঞ মানুষকে তার প্রাপ্ত সম্মান, প্রাপ্ত মূল্যায়ন না দিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে?

অনেকেই বলেন তারা নিজেদের জীবন সেটেল করার জন্য এই সব ভাবে। তাহলে বলুন তো বিশ্বের অন্যান্য দেশের এরকম বিজ্ঞ মানুষগুলো তার নিজ দেশ ছেড়ে পালায় জীবন সেটেল করার জন্য। তারা কিন্তু নিজের দেশের সেবা দেয় সবার আগে, তারপর অন্যান্য দেশেও দেয়, তারা অনেক বেশি সম্মান পায়। সেটা আমাদের দেশে কেনো নয়? এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।

আর এই জন্য এখন আমাদের দেশের ডাক্তারখানা হয়ে গেছে কসাইখানা, ইনঞ্জিনিয়ার খানা হয়ে গেছে হাতুরে ইনঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানখান হয়েছে লোহায় জমে ধরার মতো। তাই বিষণ কষ্ট হয়। এতো সুন্দার দেশে বাস করেও মানুষগুলোদের সুন্দর পেলাম না। তারা সবাই কসাই খানা গড়ে নিয়েছে। তাই খুব করুনা হয়, খুব মনে ধরে, খুব কষ্ট হয়, ধম বন্ধ হয়ে আসে এই দেশে বাস করতে। এটাই কি হওয়ার কথা ছিলো স্বাধিনতার দেশে।

ব্লগে অনেকেই ভালো ভালো বিজ্ঞজনেরা বিদেশে থাকেন। তারা নিজেরা নিজেদের কাছে প্রশ্ন করুন তো। আজ বিদেশ যেয়ে জীবনের যেটুক উন্নত করতে পেরেছেন সেই প্রাপ্তটুক যদি দেশের মাটিতে পেতেন তাহলে কি দেশ ছেড়ে যাওয়া চিন্তা করতেন। যদি পদে পদে মনে আতংক, পদে পদে অসম্মান না সইতে হতো তাহলে কি বিদেশে পড়গাছের মতো পড়ে থাকতেন?।

যারা কয়েক বছর দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পরে আছেন তারা একবার এসে দেখেন দেশের মাটিতে দেখবেন পিছন থেকে চামচিকাটাও আপনাকে লাথি মারবে। আপনার বড় বড় ডিগ্রি, বড় বড় সম্মান তার সামান্যটুকো মূল্য থাকবেনা। এদেশের পাতি নেতা খেতাদের কাছে। বা সামান্য গ্রামের ছোকরাদের কাছেও আপনার কোন মূল থাকবে না। তাই শুধু একটু ভাবুন আমি কেনো স্যারের এই উদাহরণটা দিলাম। স্যার কতটা কষ্ট নিয়ে কথাটি বলেছেন।

স্যার বলেছেন-আমি একজন ইনঞ্জিনিয়ার সরকারি বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করি। আমার বেতন দেয় রিক্সাচালকের সমান। যেখানে একজন ঢাকার শহরের রিক্সাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আর আমি ইনঞ্জিনিয়ার হয়ে ৩০ টাকা বেতন পাই। বাকি টাকা যারা কিচ্ছু বোঝেনা, যারা প্রজেক্টের ঠিকাদারি তারা সব পেটে ভরে। আর আমার সম্মান তো দূরের কথা কষ্টের পারিশ্রমিকটাও দেয়না। এটাই যদি হয় তাহলে তাদের বলবো যারা না বুঝে কথা বলেন তারা হয়তো সেই পর্যায় পৌছাতে পারেনি। তারা অল্পকে টাকার মালিক হয়েছে।

১৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: উগ্র জাতীয়তাবাদ বর্তমান বিশ্বের একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে।তার কিছু আলামত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।আমরা যদি মানবতাবাদকে কম গুরত্ব দিয়ে যাতীয়তাবাদকে আকড়ে ধরি তবে ধ্বংস হতে বেশিদিন লাগবেনা।মনে রাখতে হবে প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত।এখন আর তরোয়ালে তরোয়ালে যুদ্ধ হয় না যে একজন একজনকেই মারবে এখন তরোয়ালে নিজেই উড়ে গিয়ে হাজার হাজার লোককে মেরে ফেলে।উগ্র জাতীয়তাবাদের ভিতর লুকিয়ে থাকে যুদ্ধের বিচ।

১৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা আমি কি লিখলাম!আমি সুধু প্রথম প্যারাটাই পড়েছিলাম।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: গুড। পারলে সবগুলো প্যারা পড়ে নেন। ভালো থাকবেন সবসময়।

২০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। সবার মন্তব্য গুলো পড়তে।

২১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৮

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে সব খানেই যদি যোগ্য মেধার মুল্যায়ন করা হয় তবুও অনেকই কাজ পাবেনা। তাই মেধা থাকলে বিশ্বের অন্য দেশে গিয়ে কাজ করাটা খারাপ কিছু না।

আমাদের দেশেই প্রথম,২য় ৩য় শ্রেনীর মানুষ নাগরিক এই সব নিয়ে মানুষ মাথা ঘামায়। বিশ্বের বেশির ভাগই অন্য কি করে সেটা নিয়ে নাক গলায় না।

বিশ্বায়নের যুগে অন্য দেশের মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করে স্থান করে নেওয়ার মাঝে ভালো ছাড়া খারাপ কিছু দেখি না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: খারাপ কিছুনা সেটা আমিও জানি ভাইয়া। তবে নিজের দেশের সম্মান গর্ব এগুলো তো পেতে হবে। এগুলো যদি দেশ না দিতে পারে তাহলে এতো বড় বড় ড্রিগ্রি দিয়ে অন্য দেশের সেবা করে যাচ্ছে। আর আমাদের দেশ নিচে নিচেই পরে থাকথে

২২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫৩

সোহানী বলেছেন: আমি শুধু লিখাটার কমেন্টস করছি, মন্তব্যের নয়। এবং পুরোপুরি সহমত পোষন করছি। যে স্ট্রাগল আমি দেশে থাকতে করেছি তার বিনিময়ে লাথি খেয়েছি তা নিয়ে নিশ্চয় একদিন লিখবো। আজ আমাকে বলুক কেউ, শুধুমাত্র নিরাপত্তা দিবো তোমাকে দেশে এসে কাজ করো নিজের মতো দেশের জন্য দশের জন্য। আমি মূহুর্তেই ছুটে আসবো। কোন টাকা সুযোগ সুবিধার কথা বলবো না কিছুতেই। কেউ কি বলবে তা?

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: @ধন্যবাদ সোহানী আপু। আপনি আমার লেখার মমার্থটা বুঝতে পেরেছেন। কেমন আছেন আপু? ভালো আছেন? আপনার পরিবারের সবাই ভালো আছেন।

২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:০৪

মিরোরডডল বলেছেন:



@ ঠাকুরমাহমুদ

দুঃখিত কারো নাম বিকৃতি কখনোই আমার উদ্দেশ্য না, আর সেটা করে আনন্দ পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না । বড় নিক বা নাম ছোট করে ডাকি যদি কারো আপত্তি না থাকে । শুরু থেকেই আমি এভাবেই ডেকেছি, জানা ছিলো না আপনি বিকৃতি হিসেবে দেখছেন । আপনার আপত্তি আছে জানলে কখনোই আমি সেটা করতাম না । থ্যাংকস তিন বছর পর জানাবার জন্য ।

অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি - বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিকগুলো প্রবাসে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে আপনার বক্তব্যর মতো দেশের বদনাম করে শেষ জীবনে আফসোস করে করে মরে। - তখন তাদের জন্য করুণাও হয় না। বিশ্বাস করুন তাদের জন্য সামান্যতম করুণাও করি না।

নাহ আমি কাউকে জাজ করছি না, আমি জাজ করার কেউ না, শুধু ওপরের মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছে এই কথাটা কিছুটা জেনেরালাইজড করা হয়েছে আমি যদি বুঝতে ভুল না করে থাকি ।

ব্লগার মিরোরডডল, আপনার সাথে ব্লগার অনল চৌধুরির কি সমস্যা হয়েছে সেই জন্য আমি দায়ী নই। ব্লগার অনল চৌধুরি আমার বন্ধু নন, আর আপনিও আমার শত্রু নন। তাই দয়াকরে এক দিকের রাগ আরেক দিকে দেখানো শোভন কাজ না।

ভুল বললেও এনাফ না, চরম ভুল । এই পোষ্টে আমার মন্তব্যের কোনকিছুই অনলের সাথে সম্পৃক্ত না । এখানে আপনি অনলকে টেনে আনলেন কেনো, আই’ভ নো আইডিয়া ! আর আমি অনলের ওপর রেগে আছি এটাও ঠিক না ।
Whatever he did, its nothing new from him. I’m not surprised or angry at all. I know that’s how he is. আপনি বুঝতে ভুল করেছেন ।

আপনার হয়তো মনে থাকার কথা আপনাকে ফ্রন্ট পেজে আনার জন্য আমি কিছুটা হলেও কাজ করেছি। ব্লগে কেউ ফ্রন্ট পেজে আসতে পারছে না তার জন্য আমি আমার পক্ষ থেকে সামান্যতম সুপারিশ করা সম্ভব হলেও করি


অবশ্যই আমার মনে আছে আপনি আমাকে ব্লগ এডমিনের ইমেইল দিয়ে সেখানে জানাতে বলেছিলেন । আপনার সাথে আমার যোগাযোগ থাক আর নাই বা থাক, জেনে রাখুন আমি এর জন্য আপনার কাছে সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবো ।

কেউ যখন সোস্যাল সিকিউরিটির কথা বলবেন তখনই জানতে হবে তার নামে কি তাহলে দেশে হুলিয়া জারি হয়ে আছে। তিনি কি রাষ্ট্র/সরকার বিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলেন? নয়তো বাংলাদেশে এতো এতো মানুষ সবাই কি সিকিউরিটিবিহীন আছেন?

আমার মন্তব্যে সোশ্যাল সিকিউরিটি বলতে আমি একজন নাগরিকের সামাজিক সুবিধা, অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা এগুলো বুঝিয়েছি । রাজনৈতিক আশ্রয় বুঝাইনি, তাই ওপরের কথাগুলো এপ্লিকেবল না ।

যদিও একজন বাংলাদেশীর কাছে বাংলাদেশী খাবার বেস্ট হবার কথা।
অবশ্যই বাংলাদেশী খাবার বেস্ট, এটা নিয়ে কেউ কি দ্বিমত পোষণ করেছে !

তারপরও যখন আপনি সেই দেশে বঞ্চিত হবেন বুঝতে হবে আপনার সাথে আপনার শ্রেণী বৈষম্য করা হয়েছে। কারণ আপনিও আমেরিকান সেই দেশী তারাও আমেরিকান তাহলে আপনি বঞ্চিত হবার কারণ কি?

এ বিষয়েও আমার কিছু বলার নেই কারন অভিজ্ঞতার আলোকে আমি দেখেছি সকল সিটিজেনকে একই সুবিধা দেয়া হয় । তারমানে এই না রেসিজম নেই কিন্তু অফিসিয়ালি সেটা খুব একটা দেখা যায়না ।

দেশ নিয়ে পরিহাস করার প্রশ্নই উঠে না । অফকোর্স আমি গর্বের সাথে বলি যে আমি একজন বাংলাদেশী । আমার দেশ আমার ভালোলাগা, আমার ভালোবাসার জায়গা নো ম্যাটার আমি পৃথিবীর যেই প্রান্তেই থাকি না কেনো । সবশেষে আপনাকে বলছি, সাজিদের অনুরোধে আমি এই পোষ্টে ওপরের মন্তব্যে আমার মতামত লিখেছি । এতে আপনার সাথে আমার কোনও কনফ্লিক্ট নেই ।

থ্যাংকস সাজিদ, থ্যাংকস কলি এই সুন্দর পোষ্টের জন্য ।
ভুম, ঢাবি, নতুন, আলী ভাই, সোহানিপু সবার মন্তব্য অনেক ভালো লেগেছে ।






২৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পোস্টে বিজ্ঞ ব্লগারদের মূল্যবান কমেন্টে আলোচনা অনেক জমে উঠেছে।

তবে অনেকের আলোচনাতে প্রবাসে মেধাবীদের গমন ও সেখানে প্রতিষ্ঠার বিষয়টি যার যার দৃষ্টিকোন থেকে অতি একপেশেভাবে দেখা হচ্ছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। বিষয়টির অতি সরলীকরণ না করে বাস্তবতার আলোকেই বিশ্লেষণ করা যুক্তিযুক্ত হবে।

- প্রথমেই বলে নেই তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক কনসেপ্টটি বাংলাদেশের মতো সামন্তবাদী কিছু দেশের মানুষের মনের মধ্যে রয়ে গেছে। বিশ্ব এখন অনেক এগিয়ে গেছে এবং উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এই কনসেপ্টটি খুঁজে পাবেন না। আপনি লিফ্টম্যান হন, ঊবার ড্রাইভার হন বা ফাস্টফুডে বার্গার ফ্লিপ করুন, একজন ট্যাক্স প্রদানকারী হিসাবে আপনার দেশটির সাধারণ নাগরিকের সকল অধিকার সমানভাবেই ভোগ করতে পারবেন। সামান্য বেতনের চাকুরী হবার কারণে পুলিশের বা সরকারি প্রশাসনের কাছে অন্য দৃষ্টিতে দেখার কোনো সুযোগই নেই যদি আপনি কোনো অন্যায় বা অপরাধ না করে থাকেন।

- উত্তর আমেরিকায় দুই দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে অনেক দেশি ভাইবোনদের সাথে আমার পরিচিতি হয়। এই সকল শিক্ষার্থীদের অনেকে পাশ করেই পছন্দ মতো চাকুরী পাওয়ার মতো ভাগ্যবান। আবার অনেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর লটারি জিতার মতো পছন্দনীয় চাকুরী পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। আবার অনেকে পছন্দনীয় চাকুরী না পেয়ে অন্যান্য পেশাকেই বেছে নেন। কিন্তু এদের কেহই অযোগ্য নন, এবং এরা যে যে পেশাতেই কাজ করুন না কেন, এই দেশে সকল কাজের প্রতিই সম্মান করা হয় - এই কাজ দিয়ে প্রথম বা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক বিচার নয়। পছন্দ মতো চাকুরী পাওয়াটা প্রবাসে অনেকের ক্ষেত্রে ব্যাটে বলে সংযোগ হওয়ার মতোই, অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং যে ওই ধরণের চাকুরী পান না তাকে অযোগ্য বলাটা ঠিক হবে না।

পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয়। দেশে পরিবেশ ও পরিস্থিতির শিকার হয়ে অথবা লোভের বশবর্তী হয়ে আরেকজনের হক মারার দুর্নীতি, লুটপাট, ধান্দাবাজি করার চাইতে প্রবাসে প্রচন্ড পরিশ্রম করে পছন্দের হক বা অপছন্দের হোক, যে কোনো কাজ করাই উত্তম এবং সম্মানজনক বলে আমি মনে করি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #স্বামী বিশুদ্ধানন্দ @ সালাম নিবেন। আমার একটা মন্তব্য সবার কাছে পৌছে দিলাম।

আমি দুঃখিত, আমার পোষ্টোর মূলভাবটি অনেকেই বুঝতে পারেননি। আমি কিছু উদাহরণ দিবো-
আমার শিক্ষক কেনো এই উদাহরণ টা দিয়েছেন, সেই ব্যপারে অনেকেই ক্লিয়ার না। দেখুন, আমি দেশের বাইরে পরে থাকা যে বিজ্ঞ,জ্ঞানী মানুষগুলোর কথা বললাম কেনো বললাম সেই প্রশ্নটা কেউ করলো না। অনেকেই উল্টাপাল্টা বললেন। তাতে দুঃখ নেই।
আমি একটা উদাহরণ দেই- “দরুন একজন ডাক্তার, বাংলাদেশের বড় ডাক্তার। হতে পারে সেই ক্যান্সারের, হার্ড কিডনি, বা গাইনি অথবা সেই শিশু বিশেজ্ঞাতা। এখন তার থাকার কথা কোথায়? নিশ্চয় দেশে, কারণ সে দেশে থেকে দেশের সেবা দিবে, দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করবে তাই তো?

এখন এই ডাক্তারকেও তো পালন করতে হবে তাই না? তাকে তো তার প্রাপ্ত সম্মান দিতে হবে, তার মর্যাদা দিতে হবে। এবার বলি আসল কথা- ধরুন এই ডাক্তারের গ্রামের বা পরিচিত অথবা অপরিচিত কোন ব্যক্তি তেমন ভালো পড়ালেখা জানা না, বা ভালো চাকুরিও করে না। নেতামি করে, রাজনীতি করে বেড়ায় মাসে ইনকাম করে লাখ লাখ টাকা, বাড়ি করেছে, গাড়ি করেছে বিশাল আরাম আয়েসে থাকে। এবার বলুন ঐযে ডাক্তার যে কষ্ট করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এতো বড় একজন ডাক্তার হলো তার সম্মান থাকার কথা বেশি, ঐ নেতার সম্মান থাকার কথা বেশি? ডাক্তারের তো বাড়ি গাড়ি থাকার কথা তাই না। তার বসার আসনটা তো সবার উপরে থাকার কথা তাই না? তাহলে কেনো সেই অল্প শিক্ষিত একজন নেতা কাছে হার মানতে হয় একজন ডাক্তারকে, একজন ইনঞ্জিনিয়ারকে একজন বিজ্ঞানীকে।

কেনো তাকে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়? কেনো বিদেশিরা তাকে তার প্রাপ্ত সম্মান দিয়ে ধরে রাখে? সেটা কেনো পারেনা এই দেশর সরকার। যেটা করার কথা এই দেশের সরকারের। কেনো একজন বিজ্ঞ মানুষকে তার প্রাপ্ত সম্মান, প্রাপ্ত মূল্যায়ন না দিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে?

অনেকেই বলেন তারা নিজেদের জীবন সেটেল করার জন্য এই সব ভাবে। তাহলে বলুন তো বিশ্বের অন্যান্য দেশের এরকম বিজ্ঞ মানুষগুলো তার নিজ দেশ ছেড়ে পালায় জীবন সেটেল করার জন্য। তারা কিন্তু নিজের দেশের সেবা দেয় সবার আগে, তারপর অন্যান্য দেশেও দেয়, তারা অনেক বেশি সম্মান পায়। সেটা আমাদের দেশে কেনো নয়? এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।

আর এই জন্য এখন আমাদের দেশের ডাক্তারখানা হয়ে গেছে কসাইখানা, ইনঞ্জিনিয়ার খানা হয়ে গেছে হাতুরে ইনঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানখান হয়েছে লোহায় জমে ধরার মতো। তাই বিষণ কষ্ট হয়। এতো সুন্দার দেশে বাস করেও মানুষগুলোদের সুন্দর পেলাম না। তারা সবাই কসাই খানা গড়ে নিয়েছে। তাই খুব করুনা হয়, খুব মনে ধরে, খুব কষ্ট হয়, ধম বন্ধ হয়ে আসে এই দেশে বাস করতে। এটাই কি হওয়ার কথা ছিলো স্বাধিনতার দেশে।

ব্লগে অনেকেই ভালো ভালো বিজ্ঞজনেরা বিদেশে থাকেন। তারা নিজেরা নিজেদের কাছে প্রশ্ন করুন তো। আজ বিদেশ যেয়ে জীবনের যেটুক উন্নত করতে পেরেছেন সেই প্রাপ্তটুক যদি দেশের মাটিতে পেতেন তাহলে কি দেশ ছেড়ে যাওয়া চিন্তা করতেন। যদি পদে পদে মনে আতংক, পদে পদে অসম্মান না সইতে হতো তাহলে কি বিদেশে পড়গাছের মতো পড়ে থাকতেন?।

যারা কয়েক বছর দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পরে আছেন তারা একবার এসে দেখেন দেশের মাটিতে দেখবেন পিছন থেকে চামচিকাটাও আপনাকে লাথি মারবে। আপনার বড় বড় ডিগ্রি, বড় বড় সম্মান তার সামান্যটুকো মূল্য থাকবেনা। এদেশের পাতি নেতা খেতাদের কাছে। বা সামান্য গ্রামের ছোকরাদের কাছেও আপনার কোন মূল থাকবে না। তাই শুধু একটু ভাবুন আমি কেনো স্যারের এই উদাহরণটা দিলাম। স্যার কতটা কষ্ট নিয়ে কথাটি বলেছেন।

স্যার বলেছেন-আমি একজন ইনঞ্জিনিয়ার সরকারি বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করি। আমার বেতন দেয় রিক্সাচালকের সমান। যেখানে একজন ঢাকার শহরের রিক্সাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আর আমি ইনঞ্জিনিয়ার হয়ে ৩০ টাকা বেতন পাই। বাকি টাকা যারা কিচ্ছু বোঝেনা, যারা প্রজেক্টের ঠিকাদারি তারা সব পেটে ভরে। আর আমার সম্মান তো দূরের কথা কষ্টের পারিশ্রমিকটাও দেয়না। এটাই যদি হয় তাহলে তাদের বলবো যারা না বুঝে কথা বলেন তারা হয়তো সেই পর্যায় পৌছাতে পারেনি। তারা অল্পকে টাকার মালিক হয়েছে।

২৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। প্রবাসে থেকে আসলে দেশকে কেউ গালি গালাজ করে না।ঘৃনা, ক্রোধ বা রাগ সবই দেশের প্রচলিত রাজনীতির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে রাজনীতি মানে হচ্ছে গুন্ডা, পান্ডা, খুনী বদমাসদের আড্ডাখানা। আর এদের হাতেই দেশের ক্ষমতা।প্রচন্ড ক্ষমতাবান এই অপশক্তিদের বিরুদ্ধে কথা বলার বাক স্বাধীনতা এখন দেশে থাকা মানুষের নাই বললেই চলে। প্রবাসে থাকা মানুষেরা প্রবাসে থাকার সুবিধা নিয়ে কিছুটা সাহসের সাথে এদের বিরুদ্ধে কথা বলে থাকে। এদের বিরুদ্ধে কথা বলার অর্থ নিজের দেশকে অবমূল্যায়ন নয় কোন অবস্থাতেই। দেশকে ভাল না বাসলে কোন প্রবাসী বাংলা ব্লগে লিখত না।

ছয়টি ঋতূর অপরুপ সৌন্দর্য ও বৈচিত্র নিয়ে আসা এই দেশটাকে ভালবাসে না এমন বাংলাদেশি নাই। প্রবাস থেকে প্লেনে চড়ে দেশে ফিরে প্লেনের চাকাটা যখন দেশের মাটি ছোয় সেই মুহুর্তের আবেগের কথা কাউকে বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয়। শিকড়ের টান মায়ের নাড়ির টানের মতই তীব্র।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #ঢাবিয়ান @ সালাম নিবেন। আমার একটা মন্তব্য সবার কাছে পৌছে দিলাম।

আমি দুঃখিত, আমার পোষ্টোর মূলভাবটি অনেকেই বুঝতে পারেননি। আমি কিছু উদাহরণ দিবো-
আমার শিক্ষক কেনো এই উদাহরণ টা দিয়েছেন, সেই ব্যপারে অনেকেই ক্লিয়ার না। দেখুন, আমি দেশের বাইরে পরে থাকা যে বিজ্ঞ,জ্ঞানী মানুষগুলোর কথা বললাম কেনো বললাম সেই প্রশ্নটা কেউ করলো না। অনেকেই উল্টাপাল্টা বললেন। তাতে দুঃখ নেই।
আমি একটা উদাহরণ দেই- “দরুন একজন ডাক্তার, বাংলাদেশের বড় ডাক্তার। হতে পারে সেই ক্যান্সারের, হার্ড কিডনি, বা গাইনি অথবা সেই শিশু বিশেজ্ঞাতা। এখন তার থাকার কথা কোথায়? নিশ্চয় দেশে, কারণ সে দেশে থেকে দেশের সেবা দিবে, দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করবে তাই তো?

এখন এই ডাক্তারকেও তো পালন করতে হবে তাই না? তাকে তো তার প্রাপ্ত সম্মান দিতে হবে, তার মর্যাদা দিতে হবে। এবার বলি আসল কথা- ধরুন এই ডাক্তারের গ্রামের বা পরিচিত অথবা অপরিচিত কোন ব্যক্তি তেমন ভালো পড়ালেখা জানা না, বা ভালো চাকুরিও করে না। নেতামি করে, রাজনীতি করে বেড়ায় মাসে ইনকাম করে লাখ লাখ টাকা, বাড়ি করেছে, গাড়ি করেছে বিশাল আরাম আয়েসে থাকে। এবার বলুন ঐযে ডাক্তার যে কষ্ট করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এতো বড় একজন ডাক্তার হলো তার সম্মান থাকার কথা বেশি, ঐ নেতার সম্মান থাকার কথা বেশি? ডাক্তারের তো বাড়ি গাড়ি থাকার কথা তাই না। তার বসার আসনটা তো সবার উপরে থাকার কথা তাই না? তাহলে কেনো সেই অল্প শিক্ষিত একজন নেতা কাছে হার মানতে হয় একজন ডাক্তারকে, একজন ইনঞ্জিনিয়ারকে একজন বিজ্ঞানীকে।

কেনো তাকে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়? কেনো বিদেশিরা তাকে তার প্রাপ্ত সম্মান দিয়ে ধরে রাখে? সেটা কেনো পারেনা এই দেশর সরকার। যেটা করার কথা এই দেশের সরকারের। কেনো একজন বিজ্ঞ মানুষকে তার প্রাপ্ত সম্মান, প্রাপ্ত মূল্যায়ন না দিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে?

অনেকেই বলেন তারা নিজেদের জীবন সেটেল করার জন্য এই সব ভাবে। তাহলে বলুন তো বিশ্বের অন্যান্য দেশের এরকম বিজ্ঞ মানুষগুলো তার নিজ দেশ ছেড়ে পালায় জীবন সেটেল করার জন্য। তারা কিন্তু নিজের দেশের সেবা দেয় সবার আগে, তারপর অন্যান্য দেশেও দেয়, তারা অনেক বেশি সম্মান পায়। সেটা আমাদের দেশে কেনো নয়? এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।

আর এই জন্য এখন আমাদের দেশের ডাক্তারখানা হয়ে গেছে কসাইখানা, ইনঞ্জিনিয়ার খানা হয়ে গেছে হাতুরে ইনঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানখান হয়েছে লোহায় জমে ধরার মতো। তাই বিষণ কষ্ট হয়। এতো সুন্দার দেশে বাস করেও মানুষগুলোদের সুন্দর পেলাম না। তারা সবাই কসাই খানা গড়ে নিয়েছে। তাই খুব করুনা হয়, খুব মনে ধরে, খুব কষ্ট হয়, ধম বন্ধ হয়ে আসে এই দেশে বাস করতে। এটাই কি হওয়ার কথা ছিলো স্বাধিনতার দেশে।

ব্লগে অনেকেই ভালো ভালো বিজ্ঞজনেরা বিদেশে থাকেন। তারা নিজেরা নিজেদের কাছে প্রশ্ন করুন তো। আজ বিদেশ যেয়ে জীবনের যেটুক উন্নত করতে পেরেছেন সেই প্রাপ্তটুক যদি দেশের মাটিতে পেতেন তাহলে কি দেশ ছেড়ে যাওয়া চিন্তা করতেন। যদি পদে পদে মনে আতংক, পদে পদে অসম্মান না সইতে হতো তাহলে কি বিদেশে পড়গাছের মতো পড়ে থাকতেন?।

যারা কয়েক বছর দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পরে আছেন তারা একবার এসে দেখেন দেশের মাটিতে দেখবেন পিছন থেকে চামচিকাটাও আপনাকে লাথি মারবে। আপনার বড় বড় ডিগ্রি, বড় বড় সম্মান তার সামান্যটুকো মূল্য থাকবেনা। এদেশের পাতি নেতা খেতাদের কাছে। বা সামান্য গ্রামের ছোকরাদের কাছেও আপনার কোন মূল থাকবে না। তাই শুধু একটু ভাবুন আমি কেনো স্যারের এই উদাহরণটা দিলাম। স্যার কতটা কষ্ট নিয়ে কথাটি বলেছেন।

স্যার বলেছেন-আমি একজন ইনঞ্জিনিয়ার সরকারি বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করি। আমার বেতন দেয় রিক্সাচালকের সমান। যেখানে একজন ঢাকার শহরের রিক্সাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আর আমি ইনঞ্জিনিয়ার হয়ে ৩০ টাকা বেতন পাই। বাকি টাকা যারা কিচ্ছু বোঝেনা, যারা প্রজেক্টের ঠিকাদারি তারা সব পেটে ভরে। আর আমার সম্মান তো দূরের কথা কষ্টের পারিশ্রমিকটাও দেয়না। এটাই যদি হয় তাহলে তাদের বলবো যারা না বুঝে কথা বলেন তারা হয়তো সেই পর্যায় পৌছাতে পারেনি। তারা অল্পকে টাকার মালিক হয়েছে।

২৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৫

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমার মনে হয় মিসকমিউনিকেশন হচ্ছে কোথাও।
সম্মানীত ব্লগারদের অনেকই বলছেন- আমি সবার কথা বলছিনা, বা ইন জেনারেল সবাইকে না; কিন্তু কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে- জেনারালাইজড করেই কমেন্টগুলো লেখা। আমার মনে হয় কাউকে জাজ করার আগে তার পরিস্হতি জানা উচিত।

দেশে থেকে প্রবাশীদের যেমন হেয় করা অন্যয়, প্রবাশে থেকে দশের বদনাম করাটা ও লজ্জাজনক।
আমাদের মনে রাখা উচিত- বিদেশে যেমন পি কে হালদার থাকে, তেমোনই থাকে জামাল নজরুল ইসলাম।
দয়া করে কেউ এক্সেপশন কে এক্সামপল হিসাবে ব্যবহার না করি।

মূল প্রসংগ- মেধার মূল্যায়ন: এইটুকুই বলব- আমরা সবাই প্রপ্ত বয়স্ক। দেশের সার্বিক পরিস্হতি কারোই অজানা নয়।
দেখবার বিষয়- এরই মাঝে আমরা কে কতটুকু করতে পারলাম।

সবাই কে ধন্যবাদ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: #কবিতা কথ্য @ সালাম নিবেন। আমার একটা মন্তব্য সবার কাছে পৌছে দিলাম।

আমি দুঃখিত, আমার পোষ্টোর মূলভাবটি অনেকেই বুঝতে পারেননি। আমি কিছু উদাহরণ দিবো-
আমার শিক্ষক কেনো এই উদাহরণ টা দিয়েছেন, সেই ব্যপারে অনেকেই ক্লিয়ার না। দেখুন, আমি দেশের বাইরে পরে থাকা যে বিজ্ঞ,জ্ঞানী মানুষগুলোর কথা বললাম কেনো বললাম সেই প্রশ্নটা কেউ করলো না। অনেকেই উল্টাপাল্টা বললেন। তাতে দুঃখ নেই।
আমি একটা উদাহরণ দেই- “দরুন একজন ডাক্তার, বাংলাদেশের বড় ডাক্তার। হতে পারে সেই ক্যান্সারের, হার্ড কিডনি, বা গাইনি অথবা সেই শিশু বিশেজ্ঞাতা। এখন তার থাকার কথা কোথায়? নিশ্চয় দেশে, কারণ সে দেশে থেকে দেশের সেবা দিবে, দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করবে তাই তো?

এখন এই ডাক্তারকেও তো পালন করতে হবে তাই না? তাকে তো তার প্রাপ্ত সম্মান দিতে হবে, তার মর্যাদা দিতে হবে। এবার বলি আসল কথা- ধরুন এই ডাক্তারের গ্রামের বা পরিচিত অথবা অপরিচিত কোন ব্যক্তি তেমন ভালো পড়ালেখা জানা না, বা ভালো চাকুরিও করে না। নেতামি করে, রাজনীতি করে বেড়ায় মাসে ইনকাম করে লাখ লাখ টাকা, বাড়ি করেছে, গাড়ি করেছে বিশাল আরাম আয়েসে থাকে। এবার বলুন ঐযে ডাক্তার যে কষ্ট করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এতো বড় একজন ডাক্তার হলো তার সম্মান থাকার কথা বেশি, ঐ নেতার সম্মান থাকার কথা বেশি? ডাক্তারের তো বাড়ি গাড়ি থাকার কথা তাই না। তার বসার আসনটা তো সবার উপরে থাকার কথা তাই না? তাহলে কেনো সেই অল্প শিক্ষিত একজন নেতা কাছে হার মানতে হয় একজন ডাক্তারকে, একজন ইনঞ্জিনিয়ারকে একজন বিজ্ঞানীকে।

কেনো তাকে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়? কেনো বিদেশিরা তাকে তার প্রাপ্ত সম্মান দিয়ে ধরে রাখে? সেটা কেনো পারেনা এই দেশর সরকার। যেটা করার কথা এই দেশের সরকারের। কেনো একজন বিজ্ঞ মানুষকে তার প্রাপ্ত সম্মান, প্রাপ্ত মূল্যায়ন না দিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে?

অনেকেই বলেন তারা নিজেদের জীবন সেটেল করার জন্য এই সব ভাবে। তাহলে বলুন তো বিশ্বের অন্যান্য দেশের এরকম বিজ্ঞ মানুষগুলো তার নিজ দেশ ছেড়ে পালায় জীবন সেটেল করার জন্য। তারা কিন্তু নিজের দেশের সেবা দেয় সবার আগে, তারপর অন্যান্য দেশেও দেয়, তারা অনেক বেশি সম্মান পায়। সেটা আমাদের দেশে কেনো নয়? এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।

আর এই জন্য এখন আমাদের দেশের ডাক্তারখানা হয়ে গেছে কসাইখানা, ইনঞ্জিনিয়ার খানা হয়ে গেছে হাতুরে ইনঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানখান হয়েছে লোহায় জমে ধরার মতো। তাই বিষণ কষ্ট হয়। এতো সুন্দার দেশে বাস করেও মানুষগুলোদের সুন্দর পেলাম না। তারা সবাই কসাই খানা গড়ে নিয়েছে। তাই খুব করুনা হয়, খুব মনে ধরে, খুব কষ্ট হয়, ধম বন্ধ হয়ে আসে এই দেশে বাস করতে। এটাই কি হওয়ার কথা ছিলো স্বাধিনতার দেশে।

ব্লগে অনেকেই ভালো ভালো বিজ্ঞজনেরা বিদেশে থাকেন। তারা নিজেরা নিজেদের কাছে প্রশ্ন করুন তো। আজ বিদেশ যেয়ে জীবনের যেটুক উন্নত করতে পেরেছেন সেই প্রাপ্তটুক যদি দেশের মাটিতে পেতেন তাহলে কি দেশ ছেড়ে যাওয়া চিন্তা করতেন। যদি পদে পদে মনে আতংক, পদে পদে অসম্মান না সইতে হতো তাহলে কি বিদেশে পড়গাছের মতো পড়ে থাকতেন?।

যারা কয়েক বছর দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পরে আছেন তারা একবার এসে দেখেন দেশের মাটিতে দেখবেন পিছন থেকে চামচিকাটাও আপনাকে লাথি মারবে। আপনার বড় বড় ডিগ্রি, বড় বড় সম্মান তার সামান্যটুকো মূল্য থাকবেনা। এদেশের পাতি নেতা খেতাদের কাছে। বা সামান্য গ্রামের ছোকরাদের কাছেও আপনার কোন মূল থাকবে না। তাই শুধু একটু ভাবুন আমি কেনো স্যারের এই উদাহরণটা দিলাম। স্যার কতটা কষ্ট নিয়ে কথাটি বলেছেন।

স্যার বলেছেন-আমি একজন ইনঞ্জিনিয়ার সরকারি বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করি। আমার বেতন দেয় রিক্সাচালকের সমান। যেখানে একজন ঢাকার শহরের রিক্সাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আর আমি ইনঞ্জিনিয়ার হয়ে ৩০ টাকা বেতন পাই। বাকি টাকা যারা কিচ্ছু বোঝেনা, যারা প্রজেক্টের ঠিকাদারি তারা সব পেটে ভরে। আর আমার সম্মান তো দূরের কথা কষ্টের পারিশ্রমিকটাও দেয়না। এটাই যদি হয় তাহলে তাদের বলবো যারা না বুঝে কথা বলেন তারা হয়তো সেই পর্যায় পৌছাতে পারেনি। তারা অল্পকে টাকার মালিক হয়েছে।

২৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

আমি সাজিদ বলেছেন: @কলি আপু,
আপনার পোস্ট এরপর ঠাকুর ভাইয়ের মন্তব্য, আমার মন্তব্য এরপর সহব্লগারদের আলোচনা এসেছে ঠাকুর ভাইয়ের তিন ও পাঁচ নম্বর কমেন্টের সাপেক্ষে।

@সবাইকে, সবাইকে ধন্যবাদ দারুনভাবে নিজের মতামত জানানোর জন্য। কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার - উন্নত দেশের ক্রাইটেরিরা ফুলফিল না করে আমি আপনি সে দেশে যেতে পারবো না। সিটিজেনশিপ ও চাকরির জন্য খুব পরিশ্রম করতে হবে। ওখানে আমাদের মতো শ্রেনী ভিত্তিক নাগরিক বিন্যাস নেই ( ঠাকুর ভাই ভুল বলেছেন)। বাইরের দেশে মানুষের যাওয়া কারন সেখানের সামাজিক বিন্যাস স্বচ্ছ। নাগরিক সুযোগ সুবিধায় কোন দুই নম্বরি নেই। সামাজিক অস্থিরতা ও অশান্তি নেই। মূলত এই অংশগুলো বিবেচনায় নিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।

সবাইকে ধন্যবাদ। দেশের পরিবর্তনের আগে দেশের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হতে হবে। প্রবাসী মানেই পরিত্যাজ্য নয়।

২৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০১

রায়হান চৌঃ বলেছেন: টোকাই শ্রেনীর নীতিনির্ধারক দিয়ে আপনি মেধার মূল্যায়ন করতে চাচ্ছেন ? আপনি ভুল কিছু আশা করছেন।
তার চেয়ে বড় কথা হলো আমাদের দেশপ্রেম এর লেবল টা মাইনাছ জিরো এর নিচে। আর যা ই বলেন না কেন, লোক দেখানো প্রেম দিয়ে একটা দেশ জাতে উঠতে পারে না।
আমার একজন সিনিয়র জাপানিজ কলিগ (মিঃ হায়াসি, ওয়েল ফিল্ড- রিজার্ভার ইন্জিনিয়ার), এক দিন তার কিছু প্রবলেম সল্ভড করতে তার অফিস রুমে গিয়ে শুনি সে "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো ২১ই ফ্রেব্রুয়ারী" গুনগুন করে গাইছে। বলতে পারেন আমি রিতিমত সকড্‌, মোবাল বের করে দেখি ডেট ঠক আছে। তাকে জিজ্ঞাস করলাম তুমি এটা জান কি করে ? তার কথামতে, "সে বলে আমি বাংলাদেশে ৮/৯ বছর কাজ করেছি, বাংলাদেশের আনাচে কানাচে গুরে দেখেছি, এত সুন্দর একটা দেশ হতে পারে, এত সহজ সরল মানুষ হতে পারে না দেখলে বোঝা যায় না। আমার খুব ভালো লাগলো তার বাংলার স্মৃতী চারন।
কিন্তু বড় ধাক্কা খেলাম যখন সে আমায় বলে, এখন কি বাংলাদেশে "তিব্বত স্নো" পাওয়া যায় ? আমি তাকে নিষ্চিৎ করে বলতে পারিনি যে "তিব্বত স্নো" পাওয়া যায়, লোক টা খুব আপসুস এর সহিত বল্ল সত্যি তোমাদের মধ্যে দেশ প্রেম নেই, যে টুকু আছে সবটুকু ই লোক দেখানো। তোমরা যারা আজকে ফেয়ার এন্ড লাভলী ব্যবহার কর এটা ঐ তিব্বত স্নো এর আফডেটেড ভার্ষন, অথছ তোমাদের "তিব্বত স্নো" মরে গিয়েছে না বেঁচে আছে তা জান না। ঠিক এ টুকু বলে সে আমার কাছ থেকে মুখ গুরিয়ে তার কাজে মন দেয়। আর আমার মনে হলো মিঃ হায়াসি আমার পুরো মুখে কালি মেখে লেপটে দিয়েছিল সে দিন। হায়াসি রিটার্ড করেছে বছর ৩ হয়ে গেল কিন্তু আমি আজো আমার সেই কালি মাখা মুখ ভুলতে পারিনি।

ভালো থাকবেন ভাই.... দেশ টা আমার আপনার, দয়াকরে কিছু টোকাই শ্রেনীর মানুষের কাছে দেশ ও দেশের মানুষ কে জিম্মি হতে দিবেন না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: জানিনা ভাইয়া আমি ভুল না ঠিক কোনটা আশা করি সেটা জানিনা ।

২৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৬

রাােসল বলেছেন: অভাব শুধু ভাল মানুষের।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ঠিক তাই।

৩০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মন্তব্য পড়তে পড়তে এতো ভালো লাগছিল যে কি লিখবো ভেবেই পাচ্ছেলাম না। সবার মন্তব্যই সুন্দর ও গঠনমূলক হয়েছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: গুড ভাই । সবার মন্তব্য ভালো লাগছে সে জন্য আপনাদে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫০

আমি সাজিদ বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ। সুন্দর আলোচনার জন্য। কলি আপুকেও ধন্যবাদ। ভালো বিষয়ে লেখার জন্য।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।

৩২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: অনেক বড় পোস্ট এবং তার মন্তব্য।
শুনুন দেশের প্রতি ভালবাসা নিজ দেখে থাকল বা বিদেশে চলে গেল তার উপ নির্ভর করে না। দেশের ভিতরের দেশদ্রোহীর সংখ্য কম না। বিদেশে কে কিভাবে থাকে সেটা তার যোগ্যতার উপর নির্ভর করে। আন্দাজে কিছু বলা ঠিক না।
বুয়েট থেকে পাশ করে দেশে এত বছর চাকুরী করার পর আমি অবশ্যই বলবো, আমি যদি টাইম মেশিন পেতাম তাহলে ফিরে যেয়ে পাশ করার পর সোজা বিদেশে চলে যেতাম। এই দেশে মেধার চেয়ে অনৈতিকতার মূল্যায়ন বেশি হয়।
ধন্যবাদ।

৩৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪

রামিসা রোজা বলেছেন:

অস্টোলিয়া, লন্ডনে অনেক বড় বড় ডাক্তার,ইনঞ্জিনিয়ার, গবেষক, বিজ্ঞানীরা পড়ে আছে বড় বড় দেশগুলোতে।
কারণ জ্ঞানীদের এদেশে মূল্যায়ন করেনা। ----

কোনভাবেই আপনার এই কথার সাথে একমত পোষণ করতে পারলাম না । অনেক উচ্চতর ডিগ্রিধারী ব্যক্তিরাও দেশে এসে
সম্মানের সাথে কাজ করছেন ।

৩৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনি কি দেশে আছেন?
আপনি কোন পেশায়?

৩৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: লেখাটা ভাল তবে চিন্তার সঠিক প্রকাশ হয়নি হয়তো । ভাল থাকুন ।

৩৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সঠিক জায়গায়, সঠিক লোকের মূল্যায়ন করার মতো যোগ্যতা থাকতে হয়! - জ্বী, তা অবশ্যই হয়, ঠিক বলেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেশে অনুপস্থিত। হয়তো কিছু উজ্জ্বল ব্যতিক্রম থাকতে পারে, সেটা বাদে, কারণ সেটা সংখ্যায় অতি নগণ্য।
পোস্টটা পড়ে নুরুন নাহার লিলিয়ান এর মত আমার কাছেও মনে হয়েছে যে "লেখাটা ভাল তবে চিন্তার সঠিক প্রকাশ হয়নি হয়তো"।
মন্তব্যে অনেক চমৎার আলোচনা উঠে এসেছে, সকল আলোচকদেরকে এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তবে অনেকগুলো প্রতিমন্তব্যে আপনার একই কথা "আমার একটা মন্তব্য সবার কাছে পৌছে দিলাম" - এ কথা বলে একটা দীর্ঘ প্রতিমন্তব্য সবার মন্তব্যের উত্তরে জুড়ে দেওয়াটা আমার দৃষ্টিতে ভাল ঠেকেনি। এতে কেবল পোস্টের কলেবরই অযথা বৃদ্ধি পেয়েছে, লেখকের কাছ থেকে নতুন কোন কিছু যোগ হয়নি। এতে আপনি মন্তব্যকাররীদেরকে সঠিক মূল্যায়ন করে তাদের মন্তব্যকে যথাযথ মর্যাদা দেন নি। হাতে সময় না থাকলে অতি সংক্ষেপেও উত্তর দিতে পারতেন। এখনো আপনার ঐ কপি-পেস্ট করা দীর্ঘ প্রতিমন্তব্যগুলো মুছে দিতে পারেন এবং সেটাকে একটা আলাদা মন্তব্য হিসেবে যোগ করে দিয়ে সেটার প্রতি সকল পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।

৩৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৩

করুণাধারা বলেছেন: ভালো লেগেছে।

৩৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

অক্পটে বলেছেন: আমাদের দেশে পরীক্ষিত মেধাবীদের সরকার ওএসডি করে রাখে। এর ভুরিভুরি প্রমাণ আছে। জনগণ বান্ধব সরকার এই জাতি এখনো পায়নি। পেয়েছে লুটেরা, শোষক আর মাফিয়া সরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.