নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সুন্দর করে সাজাও । আমি নারী তাই কথাও বলি নারীদের নিয়ে।

কামরুননাহার কলি

আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।

কামরুননাহার কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজে নারীদের নিয়ে অমানুষদের মানসিক সংলাপ বাক্য।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬



এই সমাজে আমি ভালো মানুষের সন্ধান খুজি। এই সমাজে হরেক রকমের মানুষ বাস করে। কত রকম মানুষ আমি দেখি, ভালো মানুষ, খারাপ মানুষ এবং অমানুষ কিন্তু ভালো মানুষের সন্ধান আমি পাচ্ছি না।

বাঙালীরা খুবই হাস্যকর, এরা যদি কানাডা, অস্টোলিয়া থেকে পিএইচডি করে আসে তবুও এদের কুৎসি মানসিকতা কখনোই পাল্টাবে না। তাদের মানসিক রোগির মতো মুখের সংলাপ বাক্য কখনো পাল্টাবে না।

মানুষ বলতে নারী-পুরুষ উভয় হয়ে থাকে। কিন্তু আজকের বিশ্বে নারীদের পুরুষরা মানুষ মনে করে না। ধর্মের দিক দিয়ে যদি বলি তাহলে এই ধরণের অমানুষগুলো অবশ্যই এর জবাবদিহি করবে এবং করতে হবে, সৃষ্টিকর্তার নিকট। আমি জানিনা পুরুষ জাতি কোন দিক দিয়ে ক্ষমতাবান। যদি কোন দিক দিয়ে ক্ষমতাবান দেখাতে পারে সেটা আমি মেনে নিবে। অনেকেই কোরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দেয়। যা একে বারের নাটকীয় ব্যাখ্যা।

গতকাল আমি বাসে করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমাদের গাড়ির পিছন থেকে এসে একটা পুলিশের গাড়ি ওভার টেক করলো। আমাদের গাড়িতা সামান্য একটু বামে চাপালো। বামে ছিলো পুলিশের মোটরসাইকেলও। যদিও তার সাথে লাগেনি ড্রাইভার চেয়েছে ডান বাম দুই সাইটের গাড়ি এবং নিজেই বাঁচতে। আমরা যাত্রীরা দেখলাম ড্রাইভারের কোন দোষ নেই দোষটা ছিলো পুলিশের গাড়িটির। পিছন থেকে এসে কি ওভারটেক করার নিয়ম আছে? পুলিশের ক্ষমতা!

ঘটনাটা লেখার একটা কারণ আছে- মোটরসাইকেলের পুলিশ বেটা তার মুখের ভাষাগুলো আমাকে বিচলিত করলো। ড্রাইভার দোষ না করেও দোষি সাবস্থ হলো। কিন্তু ড্রাইভারের মা কোন দোষে দোষি হলো? ড্রাইভারকে কিছুই বললো না সবটাই বললো ড্রাইভারের মাকে, একজন নারীকে। এই ভাষাগুলোর জন্ম কোথার থেকে তা আমি জানিনা। একজন মা এককজন নারী কবরে আছে না জিন্দা আছে সেটা কেউ জানেনা। শুধু জানেন একজন নারী মাদারচোদ, একজন নারী, বেস্যা, একজন নারী খানকি মাগি। ভাষা গুলো বলতে মন চাইছিলো না তবুও বললাম। কারণ এই ভাষাগুলো মেয়েদের বলতে খুব কষ্ট হয়। নারীদের মুখের সংলাপ ছাড়তে দিদ্বাদন্দে পরতে হয়। কারণ নারীরা লজ্জা আছে। যদিও লজ্জা উভয়ের থাকার কথা। কিন্তু একজন পুরুষ সেটা অনায়েসে কবিতার মতো আবৃত্তি করতে পারে।

কিছুদিন আগে দিয়াবাড়ি ঘুরতে গিয়ে ছিলাম। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ঘোর-ফেরা করতে আসে সেটা সবাই জানেন। সেখানে কিছু শৃঙ্খল, কিছু উশৃঙ্খল ছেলে-পুলেরাও ক্রিকেট, ফুটবল খেলতে আসে। কিন্তু এই শৃঙ্খল আর উশৃঙ্খল দুটোর মধ্যেই না আমি কোন অমিল খুজে পাইনি। কারণ এরা দু’দলেই একজন মাকে, একজন নারীকে বকে। বন্ধুকে কিন্তু না, বন্ধুর মাকে বলে এই শালা তোর মাকে.... ঐ শালা তোর বইনেকে.......। আমি একটা ছেলেকে ডেকে বললাম তোমার মা আর ওর মা এই দুইজনের মধ্যে পাথ্যর্ক কি? ছেলেটা তখন প্রশ্নের উত্তরটা দিতে পারলে না।


কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন এমপি যার সংক্ষিপ্ত নাম নিক্স। এই ভদ্রলোকের একটা কল রেকর্ডার শুনলাম। কিছুই শুনলাম না শুধু শুনলাম একজন নারীকে, একজন মাকে ছড়ার সংলাপ শুনাচ্ছে।


আমি যখন স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে পড়ি তখন দেখতাম ছেলেরা কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে একজন আরেকজনের মাকে, বোনকে বলছে তোর মাকে.... তোর বোন....। প্রাণের বন্ধুকে কিছুই বলছে না। প্রাণের বন্ধুকে এটা বলতে পারছে না যে- তোকে, তোর ভাইকে, তোর বাপকে। কিন্তু কেনো?

একদিন আমি মিরপুর ১০ নং দিয়ে হেটে যাচ্ছিলিম সেই রাস্তায় ৮/১০ বছরের দুটো ছেলে সাইকেল চালানো শেখছে। দু’জনেই ছোট, একজন আরেকজনকে শেখাচ্ছে সাইকেল চালানো। যে পিছন থেকে ঠেলছে সে চালক ছেলেটাকে কথায় কথায় বাজে ভাষায় বকছে। এই খানকি পো, এই শালার পো, তোর মাইরে..... তোর গুষ্ঠিরে......। আচ্ছা প্রত্যেকটি পুরুষই কি এই রকম? প্রত্যেকটা পুরুষই কি জন্মর পর থেকে এই ভাষা গুলো আয়ত্ব করে নেয়। কিন্তু কেনো।


এই ছেলেটার নাম জীবন মাহমুদ এই অভদ্র, অমানুষটা মেয়েদের নিয়ে বাজে বাজে সংলাপ বানিয়ে ভিডিও তৈরি করে। এর জন্য ওর শাস্তি হওয়া উচিত।

পুরুষরা প্রকাশে অপ্রকাশে নারীদের এইসব বলে ক্ষ্যান্ত যায় না। তারা এখন আবার সামাজিক মিডিয়াগুলোতে ছড়াচ্ছে। নারীদের কত ভাবে কত প্রকাশের হেনাস্থ করা যায়। টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউব এই সব মাধ্যমগুলোতে দেখবেন কিছু সমাজের কিট, কিছু অশিক্ষিত, অগাছারা নারীদের নিয়ে অসামাজিক, অরুচিশীল বাক্য বলে প্রকাশে ভিডিও বানাচ্ছে। তার মধ্যে কয়েকজন মুর্খ টিকটকার আছে যেমন- জীবন মাহমুদ, মানুন, অপু আরো অনেকেই্। এরা নারীদের নিয়ে অসভ্য ভাষায় সংলাপ তৈরি করে ভিডিও বানাচ্ছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে আইনি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বাংলাদেশ।

এরকম লক্ষ লক্ষ ঘনটার উদাহরণ হয়ে আছে। পুরুষ জাতি হোক সে বাবা, হোক সে ভাই, হোক সে ছেলে, হোক সে স্বামী, সে হোক পিএইচডি করা, হোক সে ডাক্তার, হোক সে ইনঞ্জিনিয়ার, হোক সে এমপি, হোক সে ভদ্র, হোক সে অভদ্র, হোক সে আলেম, সে গোলাম, রিক্সাচালক, পুলিশ, হোক সে রাস্তার লোক। সে যেই হোক, কিছু হলেই প্রকাশে অপ্রকাশে নারীদের বাজে ভাষায় যাইচ্ছে তাই বলছে। এমন কোন পরুষ নেই বাঙালীদের মধ্যে যারা রাস্তাঘাটে, কোন না কোন মেয়েকে, কোন না কোন মাকে, কোন না কোন নারীকে বাজে বাক্য না বলছে। তাই যদি হয়! তাহলে পুরুষরা আসলেই কি মানুষ? আমার প্রশ্ন এখানেই।


আমি জানি, আমার উপর ব্লগের অনেক পুরুষই ক্ষেপে যাবেন। কারণ তাদের আতে নাড়া দিয়েছি যে আমি। পুরুষদের সত্যিটা বললে মানতে পারে না তারা। তারা মনে করে তারা সব বলবে আর নারীরা তা সইবে। অনেকেই আমাকে নারীবাদি বলে। আমি তাদের বলবো নারীবাদি শব্দটা আমি চিনিনা। আমি চিনি আমি একজন মানুষ, আমাকে সৃষ্টিকর্তা সকল বিষয় বলার, চাওয়ার, অধিকার, ক্ষমতা দিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে দুটো জাতি সৃষ্টি করেছেন শুধু মাত্র তার ইবাদত করার জন্য। তা হলো- ১। মানুষ ২। জীন। তাই আল্লাহ মানুষজাতিকে সমান ভাবেই সৃষ্টি করেছেন। কারো থেকে কাউকে কম কিছু দিয়ে সৃষ্টি করেননি। কিন্তু আমরা মানুষ হয়ে সেটা আদি কাল থেকে মানতে পারছিনা। এটাই আমাদের দুভাগ্য।

আসুন আমাদের সমাজ আমরা আরো সুন্দর করে গড়ে তুলি। আপনারা আপনাদের সন্তানদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করুন। ভেদাবেদ জিনিসটা ভুলে যান, সন্তানদের এটা থেকে দূরের রাখুন। দেখবেন দিন শেষে আমার মানুষ। আমাদের প্রত্যেকেরই সমাজে বাঁচার, থাকার, খাওয়া সমান অধিকার রয়েছে যেহেতু, সেহেতু আমরা প্রত্যেকেই সমান এবং মানুষ। নারী-পুরুষ ভেদাবেদ না করে আমরা মিলে মিছে বাস করি।

প্রত্যেকেই বুকে হাত দিয়ে স্বপথ করুন কখনো রাস্তা ঘাটে অন্যের মা, বোন, স্ত্রীকে বাজে ভাষায় বকা না দেই। কারণ অন্যেকে যে বকাটা দেন সেটা আপনার উপরে এসেই পরে। কেউ যখন অন্যের মাকে বকা দেয় সেই বকাটা কিন্তু নিজের মায়ের উপর এসেই পরে অন্যের মায়ের উপরে না।

রাস্তা ঘাটে পরিচিত অপরিচিত যারা এই ধরনের বাজে ভাষায় বকা দেয়, অশ্লীল সংলাপ কবিতার মতো ছাড়ে তাদের দু’গালে থাপ্পার মারা মতো ক্ষমতা রাখুন। তাদের শিক্ষা দিয়ে দেন যাতে জীবনে কোন দিন আর এই সব না বলে। এই বিচার করার ক্ষমতাই হলো প্রকৃতি মানুষের পরিচয়।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন যা বলেছেন ,যা তুলে ধরেছেন - সবই শতভাগ সত্যি এবং তা আমাদের সমাজের ,আমাদের-ভাই-বাবাদের ই আচরন-ব্যবহার ও কথাবার্তা।

একটা বিষয় খুবই দুঃখের সংগে বলতে হয়,যদিও মানুষ কে বলা হয় আশরাফুল মাখলুকাত "স্রষ্টার সেরা জীব" তবে এই মানুষেরা শুধু আকৃতির মানুষ নয় "প্রকৃতির মানুষ " (স্বভাবে) মানুষ হওয়া জরুরী। বর্তমানে দুনিয়ায় আকৃতির মানুষে ভরপুর কিন্তু প্রকৃতিতে মানুষের সংখ্যা খুবই কম।

আর আকৃতির মানুষকে প্রকৃতির মানুষ হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হয় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তা নর কিংবা নারী যেই হোক। মানুষ হওয়ার জন্য সেই চেষ্টাটাই এখন নেই কারোর মাঝে।আর তাইত দুনিয়ার আজ এ খারাপ পরিস্থিতি।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এই ধরনের মানুষের স্বভাব না চেঞ্জ হলে সমাজও চেঞ্জ হবে না। "স্রষ্টার সেরা জীব" এর পরেও একটা কথা আছে “যদি সে হয় পূর্ণ ঈমানদার ব্যক্তি।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরতো আর এমনি এমনি বলেননি:
“সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি।”
এখন শুধু সংখ্যাটা পাল্টেছে বাদ বাকি সব একই আছে...

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম ভাই এখন মানুষদেরও পাল্টাতে হবে। তা না হলে সমাজ ভয়ংকর রুপে রুপ নিবে।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


অন্যের মা-বোনকে গালি না দেয়ার জন্য ব্লগারদের বুকে হাত দিয়ে শপথ করতে বলছেন? আমার মনে হয় না, ব্লগারেরা অন্যের বা-বোনকে গালি দেন।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আছে আছে অনেক আমজনতা আছে। ব্লগে না দিলেও রাস্তাঘরে অফিস বাড়িতে।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩০

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটা অভিযোগের দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। আমি নিজে কুকুর শুয়োর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকি এর জন্য বন্ধুরা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে যে আমি গালি দিতে পারি না।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: তাহলে আপনার বন্ধুরা বোঝাতে চাচ্ছে যে গালি দেওয়া ছেলেদের জন্য এখন একটা প্রাক্টিক্স এর ব্যপার সেপার হয়ে উঠেছে তাই না? বা হ!

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

নতুন বলেছেন: মানুষ সত্যিকারের জ্ঞান অর্জন না করতে পারলে তার দারা সবই সম্ভব।

গালী দেওয়া মানুষের অজ্ঞতার একটা সাধারন সিম্পটম।

আমি কখনো মানুষকে গালী দেই না। তার অর্থ কিন্তু এই না যে আমি গালী গুলি জানি না।

আমার দৃঢ বিশ্বাস বাংলাভাষার অভিধানের গালীর সব গুলিই আমার জানা আছে। কিন্তু মানুষকে গালী দিতে আমার শিক্ষা, জ্ঞান বাধা দেয় এবং আমি গালী দেই না।

আপনি যা বলেছেন পুরুই সত্যি আমাদের দেশে মা, বোন নিয়েই সবচেয়ে বেশি গালী দেয় আমাদের সমাজ। :(

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: সত্যিকার অর্থ প্রকৃতি মানুষ তো তারাই যাদের মধ্যে থাকে মানুষত্ববোধ। তাই দোয়া করি সবার মনে যেনো মানুষত্ববোধটুক থাকে।

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

স্প্যানকড বলেছেন: উন্নত বিশ্বে ও গালি বলেন আর খিস্তি চালু আছে। যার প্রমাণ পাই হলিউডের মুভিতে। অনেক গল্প উপন্যাসে। দেশের বহু গল্প উপন্যাসে পাইবেন। কিন্তু মানুষ কেন গালি দেয়? অনেক সময় দূর্বল সবল রে দেয় আবার সবল দেয় দূর্বল রে। এইটা চালু কবে থেকে তা জানা নাই। হুম, আপনার কথা সত্যি! আমি খিস্তি করি স্বীকার করি। আমি ফেরেস্তা নই। অস্ত্র নাই হাতে তাই করি। এহন কইবেন আমি ঐ দলে! অনেকে পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেয়। না পারে কাউরে মারতে, না পারে কিছু করতে তহন দেয় গালি।যেমন দেশের কিছু সিস্টেমের ভেতর কিছু লোক আছে তাদের কারণে দেশ ডুবছে। আপনি না পারতাছেন তাদের কিছু করতে তহন একটা গালি দেন।অন্তত ভেতরকার জ্বালা মিটল। তারপর আপনি দেখলেন একটা অমানুষ দিন কে দিন আপনার জীবন শেষ করছে কিছু করতেও পারছেন না তহন নিজের অজান্তে বা জেনেশুনে চলে আসে গালি।

মা, বোন কে দেয় এই জন্য। হয়তো এই জায়গাগুলি খুবই স্পর্শকাতর! এহন যে গালি খাইল সে যদি চিন্তা করত, দোষ আমি করলাম মা, বইন কি করছে? আজ থাইকা এই কাজ করলাম ই না। তাইলেই গালি দেয়ার প্রবনতা কমে যেত। সবাই ভালো কাজ করার চেষ্টা করত কিন্তু বাস্তব ভিন্ন। অনেকে বলে গালাগালি আমগো সংস্কৃতির অংশ! এই জিনিস বিলুপ্ত হবে না নিশ্চিত!যাক ভালো থাকবেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: যাদের মধ্যে এই সব নোংরা অভ্যাস আছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হলো তাহলে ধিরে ধিরে এটা কমে আসবে আসা করি।

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাকার কোন প্রাইডেট ইউনিভার্সিটিতে গালিতে কমপক্ষে একটা সার্টিফিকেট কোর্স চালু করলে, চলতো।

আমি ব্লগে গালির বদলে কিছু ভালো বিশেষণ ব্যবহার করতাম; সেগুলো: 'ডোডো পাখী', ম্যাঁওপ্যাঁও, লিলিপুটিয়ান, পিগমী, ইত্যাদি; এডমিন বলছেন, এগুলো ব্যবহার করলে, আমার নিক পটল তুলতে পারে; ভয়ে ব্যবহার করছি না। আপনি কি সামুতে এডমিনের কাজ পেয়েছেন?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার বাসায় গালির কোচিং খোলে বসেন।
না গো আঙ্কেল আমি সামান্য ক্ষুদ্র একজন ব্যক্তি। আপনাদের মতো এতো বড় মাপের মানুষ হতে পারিনি।

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি রোজ কিছু নাস্তিকদের লাইভ দেখি।মুমিন পরিচয়ে কেউ কেউ ডুকে এমন গালিদেয় সেসব যদি লিখে দেই ব্লগ ছেড়ে সবাই পালাবে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: তাই নাকি। থাক তাহলে আর দিতে হবে না। ভাই আমরা ব্লগ ছেড়ে পালাতে চাই না।

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:



কলি আপু, পাঁচ প্যারায় তুমি যে গালির কথা মেনশন করেছো, ওগুলো একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের মুখের ভাষা । বাংলা ইংরেজি সব ভাষাতেই এধরণের গালির প্রচলন দেখা যায় । অনেকসময় উচ্চ শিক্ষিত মানুষকেও এ ভাষা ব্যবহার করতে দেখা যায় । এ থেকে বোঝা যায় যে বা যারা এ গালি দেয় এটা একটা বদঅভ্যাস । একাডেমিক শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা না । ভদ্রতা নম্রতা এটিকেট ম্যানার যাদের মাঝে আছে, তারা কখনোই এসব গালি দিবে না ।

তুমি মেয়েদেরকে নিয়ে গালির কথা বলেছো, তার পাশাপাশি পুরুষদের নিয়েও খুবই কমন কিছু গালি প্রতিনিয়ত ব্যবহার হয়, উদাহরণ দিতেও আমি উচ্চারণ করতে পারছি না বলে দুঃখিত । কাজেই গালির মধ্যেও আমরা নারী পুরুষ শ্রেণীবিভেদ না করি । যারা এসব গালির জনক, তারা কবে মরে ভুত হয়ে গেছে কিন্তু এসব গালি আগেও ছিল এখনো আছে ভবিষ্যতেও থাকবে । বাংলাভাষায় অকথ্য গালির ব্যবহার আগামী কয়েক জেনারেশন পর হয়তো কমলেও পারে কিন্তু তখনও ইংরেজি ভাষায় সেই সেইম গালিগুলো কিন্তু চলতে থাকবে কারন অনেক অনেক বছরের প্র্যাকটিস এগুলো ।

গালির বিরুদ্ধে তোমার লেখার সাথে সহমত পোষণ করছি কিন্তু কিছু বিষয় একমত হতে পারলাম না যেটা একতরফা সকল পুরুষকে অভিযোগ করা ।

আচ্ছা প্রত্যেক পুরুষই কি এরকম ?

এ প্রশ্নের উত্তর তোমার কি মনে হয় আপু ? অবশ্যই প্রত্যেক পুরুষ একরকম না । আমরা প্রত্যেক নারীই কি একরকম ?
একই উত্তর, অবশ্যই না । কিছু মানুষের অপরাধে সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক না ।

এমন কোনো পুরুষ নেই বাঙালিদের মধ্যে যারা রাস্তাঘাটে কোনো না কোনো মেয়েকে, কোনো না কোনো মা কে, কোনো না কোনো নারীকে বাজে বাক্য না বলছে

আই’ম সো স্যরি আপু আই অবজেক্ট । হাজার লক্ষ কোটি পুরুষ আছে যারা এরকম না ।

কাদের কে শপথ নিতে বলছো ? এই ব্লগে যারা আসে তারা সুশিক্ষিত ভদ্র মানুষরাই আসে । এখানে আমরা সবাই সবার বন্ধু । যদিও বা কারো এই বদভ্যাস থেকেও থাকে , সে কি এই ব্লগে এসে শপথ নিবে ! তোমার কি মনে হয় শপথ নিলেই গালির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে ! I don’t think so my dear.

তারপরও তোমার এই প্রচেষ্টাকে এপ্রিশিয়েট করছি ।




২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: পুরুষরা শুনে কিন্তু নারীদের মতো এতো জগন্য বকা শুনতে আমি কখনো শুনিনি আপু। আপু আমি কিন্তু না বুঝে না দেখে আমি পোস্টটি লিখিনি। আমি অনেক দিন যাবত এই ধরনের মানুষদের খোজ নিয়েছি। তারপর সময় করে লিখতে বসছি। যাক গে ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০২

নীল আকাশ বলেছেন: @ মিরোরডডল: খুব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য ব্লগের সবার পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন এক সমান না, সব মানুষও এক না। কমন বা জেনারালাইজড করে সব পুরুষকে এভাবে দোষারোপ করা ঠিক না। এটা অবশ্যই ভুল কনসেপ্ট।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হতে পারে মিরোরডডল আপুর কথা আপনার ভালো লেগেছে। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন ছেলেরা মেয়েদের যেসব নোংরা ভাষায় বকে সেই সব ভাষা কি কোন মেয়ে কোন ছেলেকে দেয়?

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমি কখনো কাউকে কোন ধরনের বকাঝকা করি না।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: গুড আপনানর মধ্যে মানুষত্ববোধ আছে। ভালো শিক্ষার গুণ আছে, বাবা মায়ের ভালো শিক্ষা পেয়েছেন। আপনার মতো সন্তান যেনো বাংলার ঘরের ঘরের জন্ময়।

১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: কিছু পুরুষ খারাপ, কিছু পুরুষ নোংরা, জঘন্য ভাষা ব্যবহার করে। কিন্তু তার মানে এই না যে সব পুরুষ খারাপ। ভালো মন্দ মিলিয়েই আমাদের সমাজ, হয়তো মন্দটাই বেশি।
তবে আসল ব্যাপার হলো, আমরাই এসব পুরুষের এই পথে যাওয়াটা সুগম করে দিচ্ছি। ছোটবেলায় শাষন করিনা, আদর দিয়ে লাই দিয়ে প্রশয় দিয়ে মাথায় তুলেছি। এখন বড় হলে তো এইসব করবেই।
লেখার থীমের সাথে আমি একমত। এইসব কাজ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
শুভ রাত্রী।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি সবাই যেনো ভালো হয়।

১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: টিকটক অমানুষদের চিনতে সাহায্য করছে।
নারীকে যারা সম্মান করে না, এরা নর্দমার কীট।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: টিকটক তো একটা ফুলতু মিডিয়া।

১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি খুবই সুন্দর হয়েছে। খুব সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১১

সোহানী বলেছেন: আসলে সমস্যা গোড়ায়। যাদের পারিবারিক শিক্ষায় গলদ আছে তাদের এ সমস্যা কোনকালেই যাবে না। যে ছেলেটি জন্ম থেকে দেখে তার মায়ের কোন সন্মান নেই। তাকে কথায় কথায় অপমান অপদস্থ করছে তার বাবা, ভাই, দাদা, দাদী সহ পরিবারের সবাই। যে ছেলে দেখে তার বোনের কোন সন্মান নেই। তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল করা হয় কথায় কথায়। সে ছেলেদের থেকে এর চেয়ে বেশী কিছুই আশা করা যায় না। তারা যতই শিক্ষিত হোক না কেন মেয়েদের সন্মান তারা কোনভাবেই করতে পারে না।

শুধু মেয়েদেরকে বলাটা ভুল কারন যে শিক্ষায় গলদ আছে তার আসল চেহারাটা বেরিয়ে পরে কোন না কোনভাবে।

শুধু প্রতিজ্ঞা নয়, দরকার সঠিক পারিবারিক শিক্ষা।

লিখায় ভালোলাগা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন আপু, ভালো আছেন আপনি।

১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৫৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
একটি বিশেষ হিপোক্রেট আর পার্ভাট শ্রেণি গালি দেয়।
ধরুন এই শ্রেণির নাম “United Gaali Society”।
তো এই “United Gaali Society” এর সদস্যরা
আবার মারাত্মক একপেশে। এরা বেছে বেছে কেবল
নারীদেরই গালি দেন। আবার কিছু লোক আছেন ফেসবুকের কমেন্ট সেকশনে আসেন দ্বীনের দাওয়াত দিতে। যেমন
এই "মাথায় হিজাব কই" অথচ কোনো পুরুষ সেলেব্রিটিকে লিখতে দেখলাম না ‘এই মর্দা মাথায় টুপি কই?’
যাই হোক,আগের প্রসঙ্গে ফিরে যাই। আমাদের সমাজের গালিগুলার দিকে একটু লক্ষ্য করুন, অধিকাংশই নারীকে
উদ্দেশ্য করে দেওয়া। আরো কিছু বিশেষ গালি আছে
যেগুলোর কোনো পুরুষবাচকই নাই।
আপনি লেখায় সুন্দর আহ্বান জানিয়েছেন ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলে ঐ ধরনের পুরুষদের মানসিকবোধ খুবই কম।

১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২০

এমেরিকা বলেছেন: আপনি কোন স্কুলে পড়েছেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাজুয়েশন করেছেন? আমি দেশের নামকরা স্কুল কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে পড়েছি। স্রেফ দশ বছর বয়েস থেকে সেসব স্কুলে ছাত্রেদের মুখে খিস্তি শুনে এসেছি। এরা সবাই পয়সাওয়ালা ঘরের ছেলেপেলে। কিন্তু খিস্তি শুনলে মনে হবে বস্তি ঘরে জন্ম নেওয়া কুলাঙ্গার। তখন তো পর্ণের এমন বিস্তৃতি ছিলনা - উঠতি ছেলেপেলেদের কাছে বিনোদন বলতে ছিল একে অন্যের মা বোনকে নিয়ে খিস্তি খেউড়।

আজকাল কর্মক্ষেত্রে এসেও দেখছি বস তার সাবঅর্ডিনেটকে সান অফ এ ** টাইপের গালাগালি দিচ্ছে। এরা গালাগালি করে অসুস্থ ধরণের আনন্দ ভোগ করে - এক রকম সাইকো বলতে পারেন এদেরকে। মাকে গালি দেবার মূল কারণ হচ্ছে, সব ছেলেরাই মূলত বাবার চেয়ে মায়ের প্রতি একটু হলেও বেশি এফেকশনেট থাকে। তাই মাকে গালি দেওয়া মানে জুতা দিয়ে পিটানোর চেয়েও বেশি অপমানজনক শাস্তি দেয়া।

তবে কিছু কিছু ছেলেপেলে আছে, যাদের মাকে গালি দিলেও গায়ে লাগেনা। এরা মূলত সেইসব পরিবারের, যারা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে, তাদের বাবা মাকে উঠতে বসতে গালিগালাজ মারধোর করে। এদের কাছে মায়ের কোন সম্মান নেই।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এই ধরনের অসুস্থ লোকদের সুস্থ করতে হবে কঠিন পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে।
বাই দ্যা বাই--আপনার প্রাফাইলে কোন পোস্ট দেখছি না যে। দু’মাসের বেশি হয়ে গেলো এখনো কোন পোস্ট করছে না যে।

১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের নৈতিকতা একেবারে তলানিতে ঠেকছে দিন দিন।
তবে সবাই যে এমন করে তা নয়।
আমাদের দেশে টিকটক ,লাইকইট এধরনের এ্যাপ গুলো না চালাতে দিলেই ভাল হত।অবশ্য এসব এ্যাপ আমি ব্যবহার করি না ।তাই যেটুকু ধারনা আছে সেটা থেকেই বললাম।

১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


আপা, সবদেশেই এই হাল! আমরা তো বলি কুত্তার বাচ্চা, ওরা বলে কুত্তির বাচ্চা (সান অভ আ বিচ)। সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে! আমার বিশ্বাস, অন্তত ব্লগারদের মধ্যে কেউ আপনার লেখায় বিরক্ত হবেন না।
কিন্তু সবকিছুর বিবর্তন আছে। আমাদের দেশেও হচ্ছে। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ইত্যাদি প্রতিবেশির চেয়ে বেশি গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে। চিন্তাজাগানিয়া লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।

২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪২

পদ্মপুকুর বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন: এ প্রশ্নের উত্তর তোমার কি মনে হয় আপু ? অবশ্যই প্রত্যেক পুরুষ একরকম না । আমরা প্রত্যেক নারীই কি একরকম ?

মিররডডল নারী ব্লগার? আমিতো মনে করতাম ছেলে.... :-B

২১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

রক বেনন বলেছেন: অফ টপিকঃ ছেলেরা সব সময় গালি দেবার সময় মা আর বোন তুলে গালি দেয় আর এটা অনেকাংশে সত্যি তবে দুঃখজনক সত্যি টা হলো একটা মেয়ে যখন একটা ছেলে কে গালি দেয় আর সেও কিন্তু সেই মা কে তুলেই গালি দেয়। এমন কি একটা মেয়ে আরেকটা মেয়েকে গালি দেয়ার সময় ও মা আর বোন কে তুলেও গালি দেয় যেটা আমি নিজের কানেই শুনেছি অনেকবার।

মূল পয়েন্টঃ প্রত্যেকেই বুকে হাত দিয়ে স্বপথ করুন কখনো রাস্তা ঘাটে অন্যের মা, বোন, স্ত্রীকে বাজে ভাষায় বকা না দেই। জি এইটাই। সবাইকেই। ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই।

ভালো থাকবেন।

২২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০০

এমেরিকা বলেছেন: আমার মন্তব্যে এমন কি পেলেন যে আমার প্রোফাইল ঘুরে আসতে হল? আমি সামুতে ঢুকেছি আসলে পোস্ট দেবার জন্য নয়। এখানে কিছু ছাগল আছে, যাদেরকে নজরে না রাখলে এরা কচি গাছের মাথা খেয়ে ফেলতে পারে। এইসব গাছপালা আমি দেখে শুনে রাখি। কোন ছাগল সেখানে মুখ দিলে আমি তাড়া দেই।

আমার এসব কর্মকান্ড সামু কর্তৃপক্ষের পছন্দ নয় বলে তারা এখনও পোস্ট দেবার জন্য আমাকে উপযুক্ত মনে করেনি। তাই, আমার পোস্ট যদি জনসাধারণ দেখতেই না পায়, লাভ কি পোস্ট দিয়ে? এইজন্য আমি কোন পোস্ট দেইনা।

২৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:২৯

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: Shob purush? Apni borong joruri bhittite apnar baba, bhai der jigesh korun.

২৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২৯

সাসুম বলেছেন: গালি দুনিয়ার সব যায়গায় আছে, থাকবে। এটা আসলে একটা ট্রেডিশান এর মত। আমি নিজেও একসময় ছাগু, পাইক্কা আর রাম পাঠা দের গালি দিতাম ব্লগে আর ফেসবুকে, বাট সময়ের সাথে আস্তে আস্তে কমিয়ে দিয়েছি তবে সব সময় চেস্টা করি যাতে মা বা বোন নিয়ে কোন ধরণের গালি বের না হয় মুখ দিয়ে। তাদের কে চাদ্গাজী ভাইর মত করে সুন্দর ভাবে গালি দেই এখন।

আর ভাল মানুষ এর খোজে আছেন এখন? ভাল মানুষ কোথাও নেই। মানুষ এখন ভাল মানুষের ভেক ধরে থাকে। এই যেমন আপনার এই পোস্টে কমেন্ট করা এক ছাগুর পোস্ট আছে ব্লগেই যেখানে সে ধর্ষন এর জন্য মেয়েদের কে দায়ী করে বিশাল পোস্ট প্রসব করে হাগার হাগার লিক কামান্ড পেয়ে চেলেব্রিটি হয়ে বসে আছে।

সো, এই দেশে ভাল মানুষের যায়গা নাই। এই দেশ একটা পচা গলা আবর্জনা হয়ে আছে। কস্টের বিষয়, আমরাও এই আবর্জনার মধ্যেই বাস করি। এটাই আমাদের নিয়তি।

সুন্দর পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.