নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন আছে কঙ্কাবতী-৪

১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:৪৭


আর্শীয়া যতই তার স্মৃতি এই পৃথিবীর সকলখান থেকে মুছে ফেলতে চাক না কেনো? আমি জানি আরবাজের জীবন থেকে তো নয়ই বরং আমার জীবন থেকেও কখনও তাকে মুছে ফেলা সম্ভব হবে না এবং আমি তা চাইও না। আমি খুব ছোটবেলার স্মৃতিও মনে রাখতে পেরেছি। এত ছোটবেলার যে যারা শোনে তারা প্রায় সবাই অবাক হয়ে যায়। কিন্তু এটাই সত্য। সব সময় স্মৃতির চর্চা করেছি আমি। কিন্তু এই পার্থীব জগতের তুচ্ছ স্মৃতি নয়, আর্শীয়ার রেখে যাওয়া সব চেয়ে বড় দুটি জ্বাজল্যমান স্মৃতিই তার দু সন্তান। তাদের দেখে অবাক হই আমি। কখনও তারা মুখ ফুটেও মায়ের স্মৃতি নিয়ে হা হুতাশ করে না। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে মায়ের কথা কি মনেই পড়ে না ওদের? ছোট থেকেই যেই মাকে নিয়ে হাহাকার ছিলো আমার। মায়ের স্নেহের জন্য সেই হাহাকার একটা সময় এক আশ্চর্য্য ইগোর সৃষ্টিও করেছে আমার মাঝে তা আমি জানি। কিন্তু ওরা কখনই মা নেই বা মা থাকলে এমন হত বা মায়ের জন্য কষ্ট হচ্ছে এসব বলে না।

রবিঠাকুরের কবিতা "মাকে আমার পড়েনা মনে" এই কবিতাটি পড়েনি ওরা সে আমি জানি। তবে আমি নিজে খুব ছোট বেলায় ১১/১২ বছর বয়েসেই সেই কবিতা পড়ে কত যে চোখের জলে বুক ভাসিয়েছি লুকিয়ে। তবুও একটা বারও মুখ ফুটে মায়ের কাছে আহলাদ আবদার করিনি। রবিঠাকুরের সেই কবিতা পড়ে কোনো এক হারিয়ে যাওয়া মায়ের জন্য চোখের জল ঝরতো আমার। যেই মা আমার চোখের সামনে থেকেও হারিয়ে গিয়েছিলো আমার শৈশবে দূর বহু দূরে। কোনো এক অজানা তারার দেশেই হয়তো। আমি আর সেই তারাকে খুঁজিনা। তবে রাতের আকাশ দেখা আমার পুরনো স্বভাব। আজও সেই অভ্যাসটা রয়ে গেছে। মাঝে মাঝেই আমি রাতের আকাশে তাকিয়ে নতুন কোনো তারাকে খুঁজি। কোন তারাটা আর্শীয়া খুঁজে বেড়াই আমি। খুব বোকার মত শোনালেও ছোট থেকেই তো ওমনটাই শুনেছি আমি। মানুষ মরে গেলে আকাশের তারা হয়ে যায়।

আমি জানি আমার এ ডায়েরি আমি যা লিখছি আমার দু একজন অন্ধ পাঠক যারা আমাকে ভীষন ভালোবাসে তারা আর্শীয়ার ব্যাপারটা বার বার আনাটা মোটেও পছন্দ করছে না। কিন্তু আমিও খুবই বেয়াড়া লেখক হয়েছি মনে হয়। আমার এই যা লিখতে চাই তা লিখবার ইচ্ছাটার ব্যাপারে আমি একেবারেই অপকট। যেমন এই এতগুলো দিন পর নতুন এক জীবনের অধ্যায় শুরু করার পিছে হয়তবা কিছু বিষয় কাজ করেছে আমার মাথায়। তার মাঝে আর্শীয়া একটা বড় অংশ জুড়ে আছে। আর আছে তার অকালে মা হারা দুটি সন্তান। সে কথাগুলিই আমি লিখে যেতে চাই। তবে আসলে মনের কথা ভাষায় আনতে পারা বা লিখতে পারার মত এত শক্তিশালী লেখক এখনও হতে পারিনি বলে মাঝে মাঝেই আটকে যাই আমি।

যাই হোক এ বাড়িতে আসার পিছনে বা নতুন এক জীবন শুরু করার পিছে আরবাজের ব্যাপারটাও যে এখানে ছিলো না তা নয়। আরবাজের সাথে পরিচয় তো আমার আজকের নয়, বহু বছর ধরে সে আমার পাশে ছিলো এক প্রিয় বন্ধুর মত ছায়াসঙ্গী হয়ে। একমাত্র আরবাজকেই আমি দেখছি আবেগের সাথে চরম বাস্তবতা নিয়ে একই পথে চলতে জানা একজন মানুষ হিসেবে। আমি বড় বেশি আবেগী ছিলাম একটা সময়। তারও চাইতে বেশি জেদীও। আরবাজ আমার এই আবেগ এবং জেদকে জেনেও আমার পাশে থেকেছে জীবনের অনেকগুলো বছর বিশ্বস্ত বন্ধুর মত। আরবাজ ছাড়া আর কেউই হয়ত আমাকে কখনও বুঝতেই পারতো না এমন করে। তাই জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত তাকেই বেছে নিলাম আমি হয়ত। এ ব্যপারে ফুপিও বেশ কিছুদিন যাবৎ গোয়ার্তুমী করে চলেছিলো। ফুপি চাইত আমার একটি নতুন জীবনের অধ্যায় দেখে যেতে। শান্তিতে নইলে চোখও বুজতে পারতেন না তিনি। এমনই তার বক্তব্য ছিলো আর কি। সেই মুহুর্তেই আর্শীয়া নামে এক অবাক বিস্ময় উপস্থিত হয়েছিলো আমার জীবনে।

হ্যাঁ আর্শীয়া এক বিস্ময় আমার কাছে কারণ সে এই জাগতিক জীবনের আমার দেখা মানুষগুলো থেকে বেশ খানিকটা আলাদা রকম। তার চাওয়া পাওয়া ভাবনা চিন্তার মাঝে চিরায়ত বাঙ্গালী রমনীর শেকল বাঁধা ভাবনাটাই নেই যেন। সে এক মুক্ত চিন্তার মানুষ। এবং খুবই ভালো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকারী একজন বুদ্ধিমতী নারী। এছাড়াও তার রেখে যাওয়া দু সন্তান তারা যেন আমারই ছেলেবেলাকার প্রতিচ্ছবি। আমার ছেলেবেলায় পাওয়া সেই অসহনীয় কষ্টগুলির মত একটুও কষ্ট যেন ছুঁতে না পায় ওদেরকে তাই ওদের সাথে আমার এ জীবনকে বেঁধে ফেলার ইচ্ছেটাই ছিলো আমার। এখন ওরা যে বয়সে আছে তাতে তারা নিজের মত চলতে পুরোপুরিই সক্ষম। তাদের খাইয়ে দেওয়া, গোসল করিয়ে দেওয়া বা এমন ধরনের কোনো পরিচর্যার দরকারই নেই আসলে। তারা সেসব করবার মত যথেষ্ঠ বড় হয়েছে। তাদের দরকার শুধু একটু গাইডেন্স, একটু মায়াময় পরিবেশ বা সবচাইতে বড় যে ব্যাপারটা সেটা তাদের একটি সুস্থ্য সুন্দর স্বাভাবিক পারিবারিক পরিবেশ। আমি যে কোনো কিছুতেই অংশগ্রহন করলে সফল হবার শেষ চেষ্টাটুকু করি তাই আমার ধারণা আমার এ চেষ্টাও বিফলে যাবেনা। সুন্দর একটা জীবন গড়ে উঠবে এ কটা প্রাণীর অন্তত আমারই কারণে।

মানুষ তার নিয়তির হাতে বন্দি। এ জগতে চাইলেই সব হয়না। অনেকেকই আসলে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবেই চলে যেতে হয়। যারা বেঁচে থাকে তাদের প্রয়োজন শুধু মানিয়ে নেওয়া বা যাই সামনে আসুক ইতিবাচকভাবে গ্রহন করে নেওয়া। সেই ব্যাপারটা ছেলে দুটোর মাঝে খুব সুন্দরভাবেই প্রবেশ করানো হয়েছে। মা হবার কোনো দরকারই ছিলো না আমার আসলে ওদের জন্য। বরং আমি তাদের বন্ধু হয়েই থাকতে চাইলাম। আর একটা ব্যাপার আমি বাচ্চাদেরকে ভালোবাসি বটে খুব ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃ্দ্ধ পর্যন্ত কনভিন্স মানে বাংলাটা এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না, বলতে চাইছিলাম সব বয়সী মানুষেরেই কনভিন্স করে নেবার ক্ষমতা আমার আছে। কাজেই আমার নিজের নতুন জীবনে এটাও ছিলো আমার নিজের সাথে নিজের এক চ্যালেঞ্জ বা মজার খেলা।

আমি জানি আমার হাতে বেশ কিছু অদৃশ্য যাদুর কাঁঠি আছে। সে কাঁঠিগুলি সযতনে লুকিয়ে রাখি আমি শুধু যখন যেটা দরকার হয় তখনই সেটা বুলিয়ে নেই চোখের সামনে দিয়ে। তো এই যাদুকাঁঠির স্পর্শে খুব শিঘ্রী আমি একদিন সকালে এ বাড়ির চিরায়ত নাস্তা বা ব্রেকফাস্টের ব্যপারটিকে মানে নাস্তার উপকরণ ও টেবিলটির ভোল পাল্টে দিয়ে ওদেরকে ডেকে উঠালাম। এই লকডাউনের সময়টাতে সবার ঘুমের রুটিন বদলে গিয়েছিলো আর তাই সাত সকালে ব্রেকফাস্ট বা নাস্তা করার ব্যপারটাই প্রায় ভুলতে বসেছিলো ওরা। কিন্তু আমার যাদুকাঁঠির স্পর্শে ভোল পালটে ফেলা ডাইনিং টেবিল আর সাজসজ্জা দেখে তারা তো থ! ওদের চোখে মুখে যে অবাক বিস্ময় দেখলাম তাতে মহানন্দ বা কৌতুকে প্রাণ নেচে উঠলো আমার।

ছোটটা তো অবাক হয়ে বললো, তুমি তো বাড়িতেই রেস্টুরেন্ট বানিয়ে ফেলেছো। ওর প্রিয় বিফস্টেক আর ঠান্ডা ম্যাংগো মিল্ক শেক পেয়ে সে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলো। বড়টাও কালাভুনা দিয়ে ঘিয়ে ভাজা পরোটায় কামড় বসিয়ে তার কথার ঝাঁপি খুলে বসলো। প্রথম দিনটি থেকেই আমি খেয়াল করেছিলাম যার যার রুমে ব্রেকফাস্ট নাতো সকাল গড়িয়ে প্রায় দুপুর হয়ে আসা সময়ে ব্রাণ্চ যেত ট্রে করে করে যার যার ঘরে সসেজ, বয়েল্ড এগ ইত্যাদি ইতাদি। এক সাথে ফ্যামিলীর সবাই মিলে যে খাবার আনন্দ তা মনে হয় গড়েই উঠেনি এ বাড়িতে। তারা খুব চুপচাপ বা স্বল্পভাষী স্বভাবের ছিলো। কিন্তু আজ এই আনন্দঘন পরিবেশে তারা খুলে বসলো তাদের কথার ঝাঁপি।

খাবার শেষে ওদের প্রিয় গিটারের টুংটাং ধ্বনীর মায়াময় সূরে মনে হলো হাওয়ায় ভেসে এলো আর্শীয়া। সবার অগোচরে আমার কানে কানে বলে গেলো অনেক অনেক ভালোবাসা আর ধন্যবাদ তোমাকে কঙ্কাবতী....... আমি আর্শীয়ার ফিসফিস কথাগুলো শুনতে পেলাম..... সবার অগোচরে কোনো অস্পস্ট ছায়াশরিরী হয়ে বসলো সে সুদীর্ঘ টেবিলটার কোনার চেয়ারটাতে..... আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে ফের মিলিয়ে গেলো হাওয়ায় ......

আমি ওদের গিটার টেনে নিয়ে আমার অপরিপক্ক হাতে সূর তুললাম, গাইলাম......

সে যে চলে গেলো বলে গেলো না ......
সে যে কোথায় গেলো ফিরে এলো না .....
তাই আপন মনে বসে আছি কুসুম বনেতে.........

আমার চোখের কোনে জল জমে উঠছিলো। কেনো তার কারণ জানিনা আমি .......

চলবে...

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:১৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: হ্যাপী হ্যাপী গল্প ভালো লাগে । কঙ্কাবতীর জীবনেও তাই ঘটছে তাই অনেক বেশি ভালো লাগছে। :)

১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ .....

তোমার জীবনও হ্যাপী হোক। অনেক অনেক শুভকামনা।

২| ১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কঙ্কাবতী আরশিয়াকে খুশি করতে পেরেছে এটাই তাঁর প্রাপ্তি। দেখা যাক সামনে কি হয়।

১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নিজেকেও খুশি করতে পেরেছি হয়ত।

মানুষ কি আসলে কারো জন্য কিছু করে?

এ এক বিরাট প্রশ্ন......


মানুষ আসলে নিজের খুশির জন্যই সব করে .....


এটাই উত্তর........

৩| ১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: বাচ্চারাও মনে হয় মানিয়ে নিচ্ছে নতুন এই পথচলার সঙ্গীকে। তবে কঙ্কাবতীর উপর আর্শীয়ার ভালোমতো প্রভাব পড়েছে বুঝা যাচ্ছে।

১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৫২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হাহা আর্শীয়ার ভূত ...... মায়ের মত সিজোফ্রেনিয়া হয় কিনা ভাবছি ......

৪| ১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: মায়ের মত সিজোফ্রেনিয়া হয় কিনা ভাবছি ...... ---যদিও এটি হেরেডিটেক্যালি আসতে পারে.....তবে পারিপার্শিক ফ্যাক্টরগলোও এই রোগকে প্রভাবিত করে। এপ্যাথি ও সামাজিকভাবে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া লক্ষণ দিলে সর্বনাশ। তবে রাজকন্যাকে তো এসবের বালাইয়ের মধ্যে নেই, মনে হয় না এ জিনিস কঙ্কাবতীকে অ্যাটাক করবে।

১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা সে আর বলতে! সে তো জাঁতে মাতাল তালে তাল লয় সোম ফাক সবেতেই ঠিক... :P

৫| ১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চতুর্থ পর্ব দেরিতে আসা দেখে ভেবেছিলাম, এখানে হয়তো অনেক কথা থাকবে। পড়ে মনে হলো, এ পর্বটা লিখতে লেখকের হয়তো কিছু একটা অসুবিধে হচ্ছিল।

কঙ্কাবতী আর তার নতুন পরিবারের সবার জন্য শুভকামনা.....

১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৪১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ কথা সত্যি।

প্রথমত ৩ পর্বের কিছু মন্তব্য আমাকে ভাবিয়েছিলো লেখা আর বাড়াবো কিনা এটা ভাবতে .....

দ্বিতীয়ত আমি খুবই পেশাগত ঝামেলায় ছিলাম।

তৃতীয়ত মনোজগতের অলিগলির শাখা প্রশাখার কোনটার দ্বার কতটুকু খুলবো এটা ভাবতেই একটু দেরী হলো।

মনে হয় আর একটা পর্বই লিখবো আমি এই লেখাটার।

আবার যদি কখনও গল্পের নতুন মোড় খুঁজে পাই সেটা নিয়ে আসবো যদি বেঁচে থাকি।

৬| ১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৪৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: আহা আর্শীয়ার কথা যতই শুনছি ততোই মুগ্ধ হচ্ছি। কী এক রমনী যার যাদুতে জেদী কঙ্কাবতী অন্যের বাড়ীঘর সামলাচ্ছে।

১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হাহা তাইতো মনে হচ্ছে আমারও!

আসল যাদুকরী সেই ছিলো।

৭| ১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৭

একলব্য২১ বলেছেন: বাচ্চারা কঙ্কাবতীকে কি বলে সম্বোধন করতো। বা কি বলে সম্বোধন করতে হবে সেটা কি তাদের বলে দেওয়া হয়েছিল।

১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কি আবার বলবে!
রাজকন্যা ছাড়া!

৮| ১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৫

একলব্য২১ বলেছেন: কি আবার বলবে!
রাজকন্যা ছাড়া!


:)

এই পর্বে আরবাজ সাহেব অনুপস্থিত। আগামী পর্বে কি কঙ্কাবতী আর আরবাজ সাহেবে মধ্যে দাম্পত্যের সম্পর্কের খুনসুটি বা অন্য কোন বিষয় আলোচনায় আসবে।

মনোজগতের অলিগলির শাখা প্রশাখার কোনটার দ্বার কতটুকু খুলবো এটা ভাবতেই একটু দেরী হলো।

মনে হয় আর একটা পর্বই লিখবো আমি এই লেখাটার।


নিজের একান্ত ব্যক্তিগত বর্তমান জীবন নিয়ে লেখাটা ভীষণ চাপের তাই নয় কি। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের লেখা কি ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা বুঝা যাচ্ছে আমার একান্ত পাঠকেরা আমার আগেই আমার মনের ভাবসাব আন্দাজ করা শুরু করে ফেলেছে! হা হা হ্যাঁ নেক্সট পর্ব সেটাতেই সমাপ্তি ঘটিবেক।


না আমার কোনো চাপের জীবন নেই। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যা যা হয় সেসবেও আমার কোনো তোয়াক্কা নেই। আমার সত্যিকারের বাস্তব জীবনে কেউ আমাকে চার্জ করতে আসবে বা উল্টা পাল্টা ভাববে তেমন পরিবেশটাও নেই।


তবে ওপেন প্লাটফর্মে আমি প্রকাশিত হয়ে পড়াটা খুব একটা কেনো যেন পছন্দ করিনি কখনও। আসলে চাইনিও।

এতে নানা রকম কাল্পনিক জগতেরও সৃষ্টিও হয়েছে আমি জানি।

সেখান থেকে বেরিয়ে আসাটাও কিন্তু এখন কষ্টের...... হা হা

৯| ১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ৩:১৭

সোহানী বলেছেন: পড়ছি আর ভাবছি, এতো উদার কোন মেয়ে কি সত্যিই আছে এ পৃথিবীতে???

১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আছে আছে আর্শীয়া আছে, কঙ্কাবতী আছে।

ভালো ভালো মেয়েরাই তো থাকে গল্পের পৃথিবীতে।

১০| ১৫ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবগুলো পর্বই পড়ে শেষ করলাম। আর কয়টা পর্ব আছে?

আরবাজ নামটা যখনই পড়ি, আমার বাজপাখীর কথা মনে পড়ে যায়, যার ছো মারা বাদে আর কোন কম্মো নাই! =p~

স্থায়ীভাবে প্রক্সি (একজনের গড়ে যাওয়া সংসার সামলানো অর্থে, এটা অনেকটা রিলে রেসের মতো!!) গৃহকর্ত্রী হওয়া খুব কঠিন, আর লং রানে সফল হওয়া আরো কঠিন। মনে মনে হলেও, প্রতি মুহুর্তেই তুলনা চলে আসে বাসার লোকজনের মধ্যে। দেখা যাক, রাজকন্যা এই চ্যালেন্জটা কতোটা সফলভাবে উৎরাতে পারে।

রাজকন্যা কি ফুলটাইম হাউজওয়াইফ, নাকি অন্য কিছু করে? এটা ভবিষ্যতের জন্য অতীব দরকারী।

যাই হোক, একটু ভিন্নধর্মী কাহানী, পড়তে ভালো লাগছে। তবে দার্শনিক কথাবার্তা প্রচুর! এতো দর্শন সামলানো আমার জন্য বেশ কষ্টকর। ব্লগের শ্রেষ্ঠ দার্শনিককে দেখছি না যে? খবর পায়নি এখনও?? =p~

১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আর একটাই আছে।

হ্যাঁ আমারও তেমনটাই মনে হয়েছিলো। তবে বাজপাখি না আরবাজের সাথে মিলিয়ে গিরিবাজ। মানে গিরিবাজ পায়রা...

রাজকন্যা কোনো চ্যালেঞ্জে কখনও বিফল হয়না।

সে তো রাজিয়া সুলতানারও বড় বোন.....

আরে করোনার মাঝে আবার ফুলটাইম হাফটাইম কি?? অফিস ফ্রম হোম সো বাসার বুড়া থেকে শুরু করে গুড়া এবং ড্রাইভার দারোয়ান মালী বুয়া সবই সাইজ করার উত্তম সময়।

শ্রেষ্ঠ দার্শনিকের দর্শন চর্চা করতে কিছু একাকী নির্জনের সময় প্রয়োজন হয়। তাই তারা হাইবারনেশন বা ধ্যানে গেছেন।


১১| ১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা,





কঙ্কাবতী যে এখন রাজকন্যার মতো সুখে আছে তা বোঝাই যাচ্ছে! কঙ্কাবতী যে নিয়তির হাতে বন্দি।

৫ নম্বর প্রতিমন্তব্যে বলেছেন - "মনোজগতের অলিগলির শাখা প্রশাখার কোনটার দ্বার কতটুকু খুলবো এটা ভাবতেই একটু দেরী হলো।"
মনোজগতের অলিগলির কি কোনও শেষ আছে? কোথা থেকে কোথা যে যায়!!! গলিপথ কি আর ফুরোয় ............

তাই মাকড়সার মতো পেট থেকে অফুরান সুতো বের করে বুনে যেতে থা্কুন কঙ্কাবতীর জাল। পাঠক তাতে নিয়ত ধরা পড়বেই।

১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ নিয়তি বড় সৌন্দর্য্যে গড়া ছিলো।


বেদনা মধুর হয়ে যায় যদি তুমি দাও গানটার মত.....


মনোজগতের অলিগলির দ্বার সাবধানে একটু খুলেই বন্ধ করে ফেলতে হয়। কোথায় আবার কে উঁকিঝুঁকি দিয়ে ফেলে ???

তাই খুবই সাবধানে মাকড়সা হতে হয়। হা হা


১২| ১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গত পর্বটি যদিও দেরী করে চোখে পড়েছে এই পর্বটি পেয়েই পড়তে পারিনি কেননা এই গল্পের প্রথম দিকটাও আমি ধারাবাহিক পাঠক এখন আগে পড়ে হলে মজাই যাবে বেস্তে। ধারাবাহিক পড়ে নিলাম। পড়ার পর যে তৃপ্তির ঢেকুর ওঠে তাতো তুমার লিখনীর ভঙ্গিমার কারণেই। ভালো থেকো সব সময়।

১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।


আর একটা লিখবো তারপর অন্য কিছু।

১৩| ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পড়েছি গতরাতে ভালো হচ্ছে তোমার এই লেখাটি। আসলেই মানুষ নিয়তির হাতে বন্দি।

১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ!

১৪| ১৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বনি, পোস্টের পর এখন সহ এ নিয়ে ৪ বার পড়লাম।মন্তব্য করতে সাহস পাচছিনা তাই পোস্টে মন্তব্য করিনাই। কারন , কি বলতে কি বলে ফেলব (কি লিখতে কি লিখে ফেলব)।পরে আপনাকে আবার স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিতে হবে নতুবা মন্তব্য মুছে ফেলতে হবে।আপনাকে ঝামেলায় ফেলতে চাচছিলাম না ,তাই মন্তব্য করতে এ দেরী।তার পরেও মনে হচছে মন্তব্য না করলে লেখকের প্রতি তথা লেখার প্রতি পাঠকের যে দায় তা থেকেই যাচছে।আর এ জন্যই ----------------------- B:-)

এই পর্ব অনেকটাই কঙ্কাবতী রাজকন্যার confessions বা স্বীকারোক্তির মত মনে হয়েছে।যদিও আমাদের সকলেরই self-realization বা আত্মোপলব্ধি থাকা বা হওয়া জরুরী বিশেষ করে জিবনের জন্য বড় বা গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ত অবশ্যই।আর যথাযথ আত্মোপলব্ধি মানুষকে তার জীবনে সফল হতে,সমস্যার সমাধান করতে বা সমস্যা থেকে বের হতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
দৃশ্যমান আর্শিয়া যতটা না থাকত আরবাজ এবং কঙ্কাবতী রাজকন্যার জীবনে তথা পরিবারে, না চাইলেও অদৃশ্যমান আর্শিয়া তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী থাকবে আরবাজ এবং কঙ্কাবতী রাজকন্যার জীবনে এবং তাদের পরিবারে।কারণ,মানুষের জীবনে যা দৃশ্যমান তা থেকে অদৃশ্যমান জিনিষ-মানুষের প্রভাব বেশী থাকে সবসময়।

আমরা মানুষেরা একটা চরম সত্যি কথা ভুলে যাই বা পালন করিনা ,যা হলো - একজন মানুষের কাছে যাওয়ার বা সবচেয়ে আপনজন তথা তার ভাললাগার জন হওয়ার জন্য কাউকে খাওয়ানো একটা সবচেয়ে সহজ উপায়। কাউকে তার মনপছন্দ খাওয়া যদি খাওয়ানো যায় তাহলে খুব তাড়াতাড়িই কারো মনে একটা ভাললাগার বা পছন্দের মানুষ হিসাবে স্থান করে নেওয়া যায়।এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।
আর আমাদের কঙ্কাবতী রাজকন্যা সুচিন্তিত-ঠান্ডা মাথার- বুদ্ধিমতি নারী এবং অন্য রাজকন্যাদের মত তার আরও অনেক গুনের সাথে সাথে আছে জীয়নকাঠি (যাদুর সোনার কাঠি - রুপার কাঠি)।তার একটি অদৃশ্য যাদুর কাঠির প্রয়োগেই পুরো পরিবার তার কাছে কুপোকাত (ভালবাসার কাছে বন্দী ) ।

সব মিলিয়ে ভালোই এগিয়ে যাচছে আরবাজ এবং কঙ্কাবতী রাজকন্যার সুখের সংসার। তবে "সুখের ঘরে দুঃখের আগুন" তথা রাম-সীতার মাঝে রাক্ষসরাজ রাবণ কখন চলে আসবে (যদিও আপাতত দৃশ্যমান কোন রাবন নেই) এ নিয়ে চিন্তায় আছি কারন লেখিকার মিলনে :P তথা সুখে এলার্জি আছে বলে মনে লয় (পূর্বের অভিজ্ঞতা ),যিনি বিরহ X(( ব্যাপোক বালাবায়।

১৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা যাক মন্তব্যও যে সাবধানে করতে হয় তা এইবার শিখলে।

হ্যাঁ আর্শীয়া আজীবন সকলের হৃদয়েই থাকবে।

হা হা খাইয়ে ভুলিয়ে দেবার বুদ্ধি শুনে হাসছি।

আর রাজকন্যা সুখে আছে। রাম রাবনের স্থান নাই সেখানে। রাজকন্যা মনে হয় ভালোই বুদ্ধিমতী রাম রাবন লক্ষন কারোরই পাত্তা হবে না হা হা হা ।

১৫| ১৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:০১

করুণাধারা বলেছেন: কঙ্কাবতী আমার প্রিয় চরিত্র, তাই নতুন করে শুরু করা তার গল্প যখনই পেয়েছি সাথে সাথেই পড়েছি, জেনো আগামীতেও থাকবো কিন্তু মন্তব্য করতে আসতে হয়তো দেরি হতে পারে।

এই সিরিজে সবাই বড় বেশি ভালো। সত্যি কি আমাদের চারপাশে সব এত ভালো হয়? ছোট/ টিন এজার কঙ্কাবতীর সাথে প্রায় সবাই নিষ্ঠুর আচরণ করেছে, কেবল ঝুমকী ফুপু, দোলন আর আরবাজ বাদে। এবার দেখা যাচ্ছে মৃত আর্শীয়ার মা-বাবা থেকে শুরু করে সবাই বড় ভালো!!

তাছাড়া কিছু প্রশ্ন থাকছে- কঙ্কাবতী বিদেশে ঝুমকী ফুপুর সাথে থেকে চাকরি করতো, দেশে এল কখন এবং কেন? বিয়ে করতেই? এখন সে কি কেবল ঘরকন্না করে?

কঙ্কাবতী তো ভায়োলিন বাজাতো, শান্তিনিকেতনে গান গাইতো... তাহলে এখন গিটার বাজিয়ে গান গাইতে অসুবিধা হবে কেন?

বরাবরের মতই আবেগী লেখা মন ছুঁয়ে গেল। ++++

অন্য পর্ব গুলোতে পরে মন্তব্য...

১৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপুনি তুমি নাকি আমাদেরকে ছেড়ে যাবার হুমকী দিয়েছিলে?
এমন বুদ্ধি যেন স্বপ্নেও করো না আর।

যত খুশি বকা দিও মেনে নেবো তবুও ছাড়বো না।

হ্যাঁ এটা তো খেয়াল করিনি? আসলেই এই বড়বেলায় আসলে খারাপ মানুষগুলোর আর পাত্তা নেই। সকল খারাপ ঝেটিয়ে বিদায় করেছি।

প্রশ্নগুলো শুনে হাসছি।

সে গল্প শেষ হয়েছে মাঝে অনেক গল্প ছিলো এ গল্পে সেই মাঝের গল্পগুলো ঢাকা পড়েছে। এই কমেন্টে বুঝলাম।

আর গিটার বাজানোর শিক্ষা চলছে। ইনশাল্লাহ খুব শিঘরী গিটার বাজিয়ে গানা শুনাবো।

আজকে আপাতত শেষ করে দিচ্ছি এই লেখা.......

৫ পর্ব দিয়েছি।

আপাতত এখানেই শেষ থাকুক..... অথবা বেঁচে থাকলে আবার নিয়ে আসবো কঙ্কাবতীর ঝুলি.....

১৬| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:২২

মিরোরডডল বলেছেন:




আমি জানি আরবাজের জীবন থেকে তো নয়ই বরং আমার জীবন থেকেও কখনও তাকে মুছে ফেলা সম্ভব হবে না এবং আমি তা চাইও না।

মুছে ফেলবে কেনো ! মানুষ তার প্রিয়জনদের স্মৃতি আমৃত্যু সঙ্গে রাখতে চায় এবং রাখে ।
মরে গিয়েও মানুষ বেঁচে থাকে প্রিয়জনদের মনে । এটাইতো স্বাভাবিক ।

যেই মা আমার চোখের সামনে থেকেও হারিয়ে গিয়েছিলো আমার শৈশবে দূর বহু দূরে।

একজন মানুষ যে মাতৃস্নেহ, মায়া মমতা পায়নি, সেই একমাত্র বোঝে এর কষ্ট ।
তাই কঙ্কাবতী তাদের প্রতি স্নেহভাজন হবে, আদর ভালোবাসা দিয়ে তাদের আপন করে নিবে এটাই প্রত্যাশা ।

আমি জানি আমার এ ডায়েরি আমি যা লিখছি আমার দু একজন অন্ধ পাঠক যারা আমাকে ভীষন ভালোবাসে তারা আর্শীয়ার ব্যাপারটা বার বার আনাটা মোটেও পছন্দ করছে না।

এখানে সামান্য বোঝার ভুল । আর্শীয়ার কথা তাদের জীবনে ঘুরে ফিরে আসবেই । এটাই নরমাল ।
ইভেন বিয়ের রাতেও তার কথা চলে আসবে, এটাও গ্রহণযোগ্য।
কিন্তু অনলি ফর দেট নাইট, যেনো প্রয়োজনের অনেক বেশীই বার বার চলে আসছিলো ।
সেটা আনএক্সপেক্টেড ছিলো । বিয়ের রাতটা অনেক বেশি স্পেশাল, তাই মনে হয়েছে যে কঙ্কাবতী হয়তো আরো বেটার রোম্যান্টিক সময় ডিজার্ভড করে, যেটা হয়নি ।

আরবাজ আমার এই আবেগ এবং জেদকে জেনেও আমার পাশে থেকেছে জীবনের অনেকগুলো বছর বিশ্বস্ত বন্ধুর মত।

মানুষ এট দ্যা এন্ড একজন লাইফ টাইম বন্ধুই চায় জীবনসঙ্গী হিসেবে ।
যে তাকে ভালো বুঝতে পারে । তাই কঙ্কাবতী আরবাজের জন্য শুভকামনা যেনো সবসময় এরকম বন্ধু হয়েই থাকতে পারে ।

বরং আমি তাদের বন্ধু হয়েই থাকতে চাইলাম।

রাইট । যেকোন সম্পর্ক তখনই সুন্দর হয় যখন সেখানে ভালো বন্ধুত্ত গড়ে উঠে ।
কঙ্কাবতীও যে তাদের বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে উঠবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই ।

লেখাটা শেষ করেছো আমার অনেক প্রিয় একটি গান দিয়ে । থ্যাংকস আপুটা ।







১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আয়নামনি.....

আমার জীবন ঘটনাবহুল স্মৃতিবহুল।

ঠিক কিছুক্ষন আগে এমনই এক ঘটনায় অনেক কথা এলো মেলো মনে পড়ে গেলো।

আবেগী হয়ে পড়লাম সেই কিশোরীবেলার মত।


১৭| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৩৯

একলব্য২১ বলেছেন: আমি জানি আমার এ ডায়েরি আমি যা লিখছি আমার দু একজন অন্ধ পাঠক যারা আমাকে ভীষন ভালোবাসে তারা আর্শীয়ার ব্যাপারটা বার বার আনাটা মোটেও পছন্দ করছে না।

এখানে সামান্য বোঝার ভুল । আর্শীয়ার কথা তাদের জীবনে ঘুরে ফিরে আসবেই । এটাই নরমাল ।
ইভেন বিয়ের রাতেও তার কথা চলে আসবে, এটাও গ্রহণযোগ্য।
কিন্তু অনলি ফর দেট নাইট, যেনো প্রয়োজনের অনেক বেশীই বার বার চলে আসছিলো ।
সেটা আনএক্সপেক্টেড ছিলো । বিয়ের রাতটা অনেক বেশি স্পেশাল, তাই মনে হয়েছে যে কঙ্কাবতী হয়তো আরো বেটার রোম্যান্টিক সময় ডিজার্ভড করে, যেটা হয়নি ।

একদম। একদম ঠিক বলেছো মিরোরডল। :)

view this link


১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা এই দুইটা পিচকি আর পাচকাকে কেমনে বুঝাই.....


অনেক কথা যাও গো বলে কোনো কথা না বলি
তোমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলী .....

আমি তো লাজবতী লতা...... সব কিছু লিখতেই পালি না .... কি কববো???

১৮| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:




থ্যাংক ইউ শুভ । লেডি ইন রেড ক্রিসের বেস্ট গান আর আমারতো ভীষণ প্রিয় ।
ওর এ গানটাও আমার ভালো লাগে ।

I wish I was sailing away
With you tonight





লজ্জাবতী আপু, আমি যাই লাস্ট পর্ব পড়ি ।


১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আচ্ছা পড়ো পড়ো!!! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.