নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন আছে কঙ্কাবতী - ৫

১৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১৩



ইদানিং যে আমি বড় বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছি তা মনে হয় আমাকে একটু খেয়াল করলেই আমার বাস্তব পরাবাস্তব বা অন্তর্জালের প্রায় সকল মানুষই মোটামুটি বুঝতে পারবে। এইভাবে যে কোনোদিন আমি আমার সম্পূর্ণ চিন্তার বাইরের কোনো কিছুতে ঠিক এমন অতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাবো এবং তাই নিয়ে এত মেতে উঠবো বা মেতে থাকবো সত্যি বলতে স্বপ্নেও ভাবিনি আমি।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমার পূণর্জন্ম হয়েছে। মাঝে মাঝে ভাবি এ আমার কোনো অচেনা জগৎ বা কোনো ঘোরের মাঝেই চলেছি আমি। কিন্তু সবচাইতে যেটা মনে হয় এই জীবনটা না দেখা হলে আমি জানতামই না যে আনন্দধারা বহিছে ভূবনে। হ্যাঁ একটা কথা সত্যি মানুষ দুঃখকে আকড়ে ধরে রাখতে চায়। আমি সেটা কখনই করিনি। প্রায় সকল বাধা বিপত্তি দুঃখ বেদনাকেই উপেক্ষা করে বা পায়ে দলে চলে আসতে পেরেছি আমি। তবুও জীবনের প্রতিটা ধাঁপেই যেন ছিলো কিসের এক হাহাকার। আমার জীবনে এই হাহাকার বাবার জন্য হতে পারতো। মায়ের জন্যও। তবুও বাবার বিহনে যত না কষ্ট ছিলো মায়ের উপেক্ষা তার থেকেও শত সহস্র গুণ সুতীব্র ছিলো।

সে সব পেরিয়ে যখন জীবনের আরেক ধাপে পৌছুলাম তখন আকড়ে ধরেছিলাম যাকে তাকেও হারাতে হয়েছিলো। সেই অপ্রাপ্তি, ব্যাথা বা বেদনার হাহাকারের সাথে জন্মেছিলো এক অকারণ অভিমান। সেই অভিমান নিয়েই বুঝি কেটে গেলো এতটা বছর। অবশ্য আরবাজ প্রথম থেকেই আমার জীবনে এসেছিলো অসহ্য গুমোট হাওয়ার মাঝে এক ঝলক দমকা সুশীতল হাওয়ার মতন। তাই চমকেছিলাম আমি। খুব সহজেই নিঃশ্বাস টেনে নিয়েছিলাম ওর এক রাশ বিশুদ্ধ বাতাস। আরবাজ একজন খাঁটি মানুষ এর প্রমান বহু আগেই পাওয়া হয়েছে আমার।

মনে আছে একরাতের কথা। সে সময় ঘন্টার পর ঘন্টা আরবাজের সাথে ফোনে কথা বলে কেটে যেত আমার। কত রাত্রীর কত প্রহর যে কাটিয়েছি আমি আরবাজের মনোমুগ্ধকর কথার যাদুতে। কেউ হয়ত বিশ্বাসই করবেনা একটা সময় আমার কথাই বলতে ইচ্ছে হতনা কারো সাথে। আমি খুব কম কথা বলতাম সে সব দিনে। আরবাজ বলে যেত আমি হু হা করতাম। এক রাতে আরবাজ আমাকে বলেছিলো একটা গান শুনাতে। আমি গেয়েছিলাম আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যথা বাঁজে, দিগন্তে কার কালো আঁখি, আঁখিজলে যায় ভাসি। এরপর কেঁদে ফেলেছিলাম আমি নিজেই। আরবাজ বলেছিলো আমি আমার মনটাকে ফেলে এসেছি কোনো এক মায়াবী অতীতে। সেই মায়াবী জালে আটকা পড়েই আছে আমার হৃদয় আর সেখান থেকে হয়ত ছাড়া পাওয়া হবে না তার। তবে সেই মনটাকেই আজ কুড়িয়ে এনেছি আমি। ছাড়িয়ে এনেছি হয়ত সেই মায়াবী জালের বন্ধন থেকেও।

সেদিন রাতে আমাকে আরবাজ বললো, মনে আছে রাজকন্যা? কত রাত জেগে আমরা কথা বলতাম। তুমি তোমাদের ছাঁদে আর আমি আমার বারান্দায়। চলো আজ রাতে সেসব দিনের মত ছাঁদে বসে সারারাত গল্প করে কাঁটাই আরেকবার। আমরা ছাঁদে গিয়ে বসলাম। সেসব দিনের মত আজকালকার রাতগুলো আর নিশুতী হয় না। রাত ৩ টাতেও ঠিকই শোনা যায় দু একটা গাড়ি বা মোটরবাইকের হর্ণ বা রাতের আকাশ চিরে প্লেনের গুড় গুড়ু শব্দ। তারই মাঝে রাত জাগা পাখিদের ডাকে বুঝতে পারা যায় এখন নিশুতী রাত আর রাত বড় রহস্যময়। মনটাকে কেমন যেন বদলে দেয়।

সে যাইহোক, তখন আমাদের বিয়ের দু,মাস পেরিয়েছে। বসন্ত আসি আসি করছিলো। গাঢ় রাত্রীর ছাঁদের সুশীতল হাওয়ায় প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছিলো। আরবাজ বললো, সেই রাতগুলোর মত আজও তোমার গান শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে আমার। প্লিজ একটা গান শোনাও। আনন্দের গান। আমার ওর সামনে বসে গান গাইতে খুব লজ্জা করছিলো। জানিনা এতগুলো দিন পরে এসেও আমার লজ্জা কই থেকে আসে এত। আমি গান গাইতেই পারছিলাম না। হাসি পাচ্ছিলো আমার। আমি বললাম, আমি পারবো না। আরবাজ বললো, পারবে। আমার জন্য একটু চেষ্টা করো। আমার জন্য একটা গান গাও প্লিজ! অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে আমি গাইলাম-

তুমি হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধন
তাই হঠাৎ পাওয়ায় চমকে ওঠে মন .....
গোপন পথে আপন-মনে
বাহির হও যে কোন্‌ লগনে,
হঠাৎ-গন্ধে মাতাও সমীরণ ॥

নিত্য যেথায় আনাগোনা
হয় না সেথায় চেনাশোনা,
উড়িয়ে ধুলো আসছে কতই জন।
কখন পথের বাহির থেকে
হঠাৎ-বাঁশি যায় যে ডেকে,
পথহারাকে করে সচেতন ॥

গান শেষে নিজের কান্ডে নিজেই লজ্জা পেয়ে গেলাম। আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছিলো। কেনো আমি তা জানিনা। হয়ত অনেকগুলো বছর কোনো অকথিত কথন চেপে রাখবার বেদনাতেই। কিন্তু কি সেই বেদন জানিনা আমি। হয়ত এ জীবনের সকল অপ্রাপ্তি বা না পাওয়ার বেদনগুলিই জড়ো হয়ে নেমেছিলো আমার চোখের পাতায় সেই নিশুতী রাত্তিরে। আরবাজ বললো তোমার কি আজও দোলনের জন্য কষ্ট হয় রাজকন্যা? আমি মাথা নাড়লাম। নাহ দোলনের জন্য কোনো কষ্ট ভালোবাসা বা অন্য কোনো আবেগই আর কাজ করে না আমার মনে। নিজের অজান্তেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম, মানুষ কি সময়ের সাথে সাথে ভালোবাসতেও ভুলে যায়? হয়ত তাই। হয়তোবা হ্যাঁ হয়তো বা না।

আরবাজকে একটা কথা বলিনি আমি। আমার বিয়ের ঠিক দুদিন পরেই হঠাৎ ফেসবুকে আমার ইনবক্সে দোলনের মেসেজ এসেছিলো। ওর নামটা দেখে প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি আমার। কিছুতেই নিজের চোখকে বিশ্বাসই হচ্ছিলো না আমার। ওর ছবিটার দিকে তাকিয়ে প্রথমে চিনতেও পারিনি ওকে। কপালের উপরের চুলগুলিতে রুপোলী আভাস। একটু মোটাও হয়েছে যেন। সেই মোটা ফ্রেমের চশমার বদলে চিকন গ্লাসে চোখ দুটি স্পষ্ট। ওর প্রফাইলে গিয়ে দেখলাম ওর হাসি হাসি মুখের সুখী পরিবারের ছবি। ওর বউ, দুই মেয়ে। মেয়ে দুইটা কি যে সুন্দর! দীর্ঘশ্বাস পড়লো আমার। দোলনের সাথে আমার সংসার হলে ওমন দুটি মেয়ে আমারও থাকতে পারত। খুব ভালো লাগছিলো আমার এতগুলো দিন পরেও দোলন যে খুব ভালো আছে সুখে আছে এ কথাটি জেনে। সেই দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে। আর তখনই বুঝলাম দোলনের জন্য সেই মন কেমন করা দিন বা বয়স ফেলে এসেছি আমি হয়তোবা বহু দিন আগেই। হারিয়ে ফেলেছি সেই মায়াময় আবেগী আবেগ।


আমি দোলনের প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলাম। জানিয়েছিলাম আমি খুব ভালো আছি। আরবাজকে বিয়ে করার কথা জানাতেই দোলন বলেছিলো দোলন খবর পেয়েছে আমি যে বিয়ে করেছি। দোলন যে আমার সকল খবরই রাখে সেদিনই জেনেছিলাম।কিন্তু কিভাবে বা কার থেকে জানতে চাইনি আমি। দোলন বললো,
- খুব ভালো লাগছে তুমি ভালো আছো জেনে। তুমি যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছো এবং তুমি ভালো আছো এটা দেখার পরে আমার মৃত্যু হলেও আর দুঃখ নেই কোনো। আমার নিজেকে খুব অপরাধী মনে হত। মনে হত তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করে আছো। নিজেকে কখনই ক্ষমা করতে পারিনি আমি। একটা কথা কি জানো? সেদিনের পর থেকে অনেক অনেকগুলো বছর আমি শুধুই তোমাকে স্বপ্নে দেখেছি। তুমি হয়ত কখনই বিশ্বাস করবে না এমন একটা দিন নেই তোমার স্বপ্ন দেখে আমার ঘুম ভাঙ্গেনি। আমি চুপ করেই ছিলাম। তবে আমি বিশ্বাস করেছিলাম। আমি আজও দোলনকে বিশ্বাস করি। ভালোবাসা হারিয়ে গেছে তবুও বিশ্বাস আজও হারিয়ে যায়নি। অবাক হয়ে নিজের দিকে চাইলাম আমি।


অনেকগুলো বছর আমার যা মনে পড়েনি তাই মনে পড়ে যাচ্ছিলো। আমার মনে পড়ে যাচ্ছিলো সেই গড়ের মাঠ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সেই সব মেমোরেবল স্মৃতিগুলি। যা আমি প্রায় ভুলতেই বসেছিলাম। দোলন বললো, জানো আমার বড় মেয়েটা তোমার মত গান গায়, ছবি আঁকে তোমার মত কালো আর সবুজ জামা ওর খুব পছন্দের। ওর এখন ১৬। ও যখন হাসে আমার তখন তোমাকে মনে পড়ে। আমি চুপচাপ ওর কথা শুনে যাই। দোলন বলে জানি আমাকে তোমার মনে পড়ে না। আসলে মনে পড়বার কারণও নেই। আমি প্রতিবাদ করি না। চুপ করে শুনে যাই। দোলন বলে, আজ রাখি, আবার কথা হবে।
আমি বলি - না। আর কথা হবে না। দোলন অবাক হয় কিনা জানিনা তবে বলে আচ্ছা তাই হবে। তুমি ভালো থেকো। আমি নিরুত্তর থাকি। দোলনের ভালো থাকা না থাকায়ও মনে হয় আমার আর কিছুই এসে যায় না। তবুও আমি এক নিমিশেই ফিরে যাই আমার ষোড়শী বেলায়। সেই দিনগুলোর গন্ধ আমাকে জড়িয়ে নেয়। সেই মায়াময় স্মৃতিগুলিতে অনেকগুলো বছর পরেও আমি আবেশে জড়াই।


আরবাজকে আমি কখনও জিগাসা করিনা সে আর্শীয়াকে মিস করছে কিনা কিংবা ছেলেদেরকেও না। ওদের বাড়ির পুরোনো কাজের মানুষগুলও কখনই আর্শীয়ার কথা তোলে না। শুধু মাঝে মাঝে ময়নার মা সিড়ি ঝাড়ু দেওয়া বুয়াটাই একমাত্র কাজ সেরে বাড়ি যাবার পথে আমাকে দেখতে এসে আর্শীয়ার গল্প ফেঁদে বসে। অনেক দুঃখ করে বলে, আহারে কি মাডির মানুষ ছিলো গো। আর দিলডা বরা খালি ছিলো ময়া আর ময়া। আমার ছেলের অসুকের কথা হুইনা লগে লগে ৫০ হাজার টেকা বাইর কইরে দিলো। কোনোদিন আবার বলে বড়লোকগো দিলে দয়া নাইগো মইয়া। গরীবের বন্দু আল্লাহ। সে বড়ই সুবিধাবাদী বুঝা যায় তবে আমার বরাবর এমন সুবিধাবাদী মানুষদের গল্প শুনতে ভারী কৌতুক লাগে। আমি মন দিয়ে শুনি। আর মনে মনে হাসি।


ছেলেবেলা থেকেই পুতুলের উপর আমার দারুন এক ভালোলাগা ছিলো। কিন্তু আমার ছেলেবেলায় আমাকে তেমন কোনো পুতুল কিনে দেওয়াই হয়নি। তিতলীর জন্মদিনে সেই চোখ নড়া পুতুলের ভালোলাগাটাই বুঝি অন্তরে গেঁথে গিয়েছিলো। যার সাথে মিশে ছিলো অভিমান ও অপমান। এই কথাটা আরবাজকে কবে কখন বলেছিলাম মনে নেই। তবে আরবাজ ঠিকই মনে রেখেছে আমার পুতুল প্রীতির কথা। আমার ছেলেবেলায় কোনো জন্মদিনে কেউ আমাকে কখনও পুতুল দেয়নি বটে তবে এবারের জন্মদিনে আরবাজ আমাকে যে উপহার দিলো তা শুনলে অনেকেই হয়ত হাসবে আর পুতুলআপা খেপে কাই হয়ে যাবে। জন্মদিনে বউকে কেউ হীরা মোতি মালা উপহার না দিয়ে এই দেয় বুঝি ভেবেই বকা ঝকা শুরু করবে জানি। কিন্তু আমি খুবই মজা পেয়েছিলাম।

এবারের জন্মদিনটা খুবই অন্যরকম আর মজার ছিলো। ঠিক রাত ১২টায় ছেলে দুইটা উইশ করেছিলো আমাকে। খুবই সিনেমাটিক স্টাইলে বিশাল বড় কেটে কেটেছিলো ওরা ঐ রাত দুপুরেই। আমার কি যে লজ্জা লাগছিলো। কখনও কেউ আমার জন্মদিন ওভাবে পালন করেনি তো। তবে কেক কাটাকাটি আর খাওয়া খায়ির পরে আরবাজ আমাকে বলেছিলো তোমার জন্য একটা স্পেশাল উপহার আছে। সেই স্পেশাল উপহার সে লুকিয়ে রেখেছিলো ড্রেসিং রুমের অন্ধকার কোনে। সবাই যে যার রুমে চলে যাবার পর আরবাজ আমাকে টেনে নিয়ে গেলো সেইখানে। তারপর টুপ করে একটা স্যুইচ অন করে দিতেই মিষ্টি সুরের এক পিয়ানোর বাজনার সাথে সাথে আলো জ্বলে উঠলো যেথায় সে যেন এক স্বপ্নের জগত। অদ্ভুত সুন্দর একটি বিশালাকার ডলহাউজ।

সেই ডলহাউজটাতে ডিজনী প্রিন্সেসদের বসবাস। সেখানে রাজকুমারীদের সোনার পালঙ্ক থেকে শুরু করে শুকসারী বসা উদ্যান পর্যন্ত রয়েছে। আমি ভুলেই গেলাম আমি যে বুড়ি হতে চলেছি। আমি সেই ছোট্টবেলার মতই স্বপ্নের জগতেই চলে গেলাম। আরবাজ আমার চোখের সামনে হাত নেড়ে বললো,
- ম্যাডাম এখন ঘুমাতে চলেন। কাল সারাদিন ভর পুতুল খেলা খেলেন। এই খেলনাটা একমাত্র আপনারই। সত্যিকারের জীবন্ত পুতুল আসলেও তাকে দেওয়া হবে না। আরবাজ হে হে করে হাসতে লাগলো। আর ওর কথায় সম্বিৎ ফিরলো আমার। লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম আমি। রাগও লাগলো এটা ভেবে যে কি গাধার মত হা করে তাকিয়ে ছিলাম ঐ ডল হাউজটার দিকে।

যাইহোক ছেলেবেলার না পাওয়া ডলহাউজ এই বুড়ি বেলায় পেলেও তাই নিয়ে খেলা ধুলা করে কি আর চলবে? আমি তারপর মন দিলাম আমার এই সত্যিকারের বিশাল বাড়িটাকেই আমার নিজের হাতে মনের মত করে সাজিয়ে ডলহাউজ বানিয়ে তুলতে। একেবারেই উঠে পড়ে লাগলাম। সারাদিন আমার ধ্যান গিয়ানই হয়ে উঠলো কোন পর্দা দিয়ে কোন জানালা সাজাবো? কোন রঙ্গটা সোফাতে কোন ঘরে মানাবে এই নিয়ে। একটা জিনিস বুঝলাম তারপরই এই কারণেই মেয়েরা ডলহাউজ নিয়ে ছেলেবেলায় খেলে । যেন মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া এই স্বপ্নের জগত দিয়ে সে একদিন গড়ে তুলতে পারে তার মায়াময় ভূবন।

আমি আমার ছেলেবেলায় কি পেয়েছি আর কি পাইনি তার হিসাব কষিনা আর। আমার সকল অপ্রাপ্তি সকল অপূর্ণতাই ভরিয়ে দিয়েছে আরবাজ। অনেক বিলম্বে হলেও শেষ পর্যন্ত আমার জীবনে এসে পরিপূর্ণ করেছে আমাকে। বিধাতরা কাছে চাইবার আর কিছুই নেই আমার। অনেক ভালো আছি আমি। ঠিক যেমনটা চেয়েছিলাম। তেমনটাই বা আরও বেশি ভালো হাসি আনন্দ আর গানে।



কেমন আছে কঙ্কাবতী...১
কেমন আছে কঙ্কাবতী - ২
কেমন আছে কঙ্কাবতী - ৩
কেমন আছে কঙ্কাবতী-৪
কেমন আছে কঙ্কাবতী - ৫

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রিক্ত আমি সিক্ত আমি, দিবার কিছু নাই। মধুর একটা প্লাস দিয়া শুভেচ্ছা জানাই।

১৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।

আপাতত এই লেখা শেষ করছি।

অনেক ঝামেলায় আছি।

২| ১৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা কি সম্পূর্ণ উপন্যাসের ৫ নম্বর পর্ব? নাকি প্রতিটা পর্ব আলাদা গল্প?

আচ্ছা, যেজন্য বললাম - মনে হচ্ছে এই গল্পটার কিছু অংশ আপনার অন্য একটা গলের সাথে মিল আছে, যেখানে দেখা যায় নায়িকা তার পূর্ব প্রেমিকের ফেইসবুক প্রোফাইল দেখে, বাচ্চাদের ছবি দেখে। অথবা এমনও হতে পারে, এটাই পড়েছি। এবং ফেইসবুকেই পড়েছি কোনো একটা গ্রুপে।

দারুণ লিখেছেন, যেমন বরাবরই লিখে থাকেন।

১৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা সব গল্পই জগা খিচুড়ি ভাইয়া।

তবে এই গল্প গত কয়েকদিন যাবৎ মানে ৫ পর্ব লিখেছি।

ফেসবুকে তো বলতে গেলে কিছুই লিখিনা আমি।

অনেক অনেক থ্যাংকস পড়বার জন্য ভাইয়া।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:১০

হাবিব বলেছেন: আগের পর্বগুলো পড়তে হবে। আপনার লেখা মানেই তো দারুণ কিছু।

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা পড়ে তারপর আবার কমেন্ট দিলেই হবে।

৪| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৮

সোহানী বলেছেন: এইটা কি শেষ পর্ব নাকি আরো আছে?

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপাতত এটাই শেষ এবারের মত।

৫| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৪০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হুড়মুড় করে তোমার লেখা শেষ পর্বটা পড়লাম। একটা ভালোলাগা একটা সিদ্ধতায় মনটা ভরে গেল। আমার প্রিয় সাহসী, লড়াকু, পরিশ্রমী ও সদা ব্যস্ত লেখিকা খুব ভাল আছে আনন্দে আছে। এই মিনি সিরিজে লেখাটা সামুতে খুব দরকার ছিল।

খুব ভাল থাকো কঙ্কাবতী রাজকন্যা।

view this link

১৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা

আসলে একটা লেখা দিয়েই জানাতে চেয়েছিলাম কঙ্কাবতীর বর্তমান খবরগুলি।
কিন্তু আমার এক বিশেষ সমস্যা অল্প কথায় কিছুই বলা হয় না। আবার অনেক কথা বলার পরেও মনে হয় কিছুই বলা হলো না।

তাই লেখাটার কলেবর একটু বাড়লো।


বিশেষ করে তুমি,মিররডল, ঢুকিচেপা আপু, কামরুজ্জামান ভাইয়া, সাড়ে চুয়াত্তরভাইয়া, সোনাবীজ ভাইয়া, নীল দর্পন, করুনাধারা আপু, মনিরা আপু, ভুয়া মফিজভাইয়া, মাহমুদুর সুজন ভাইয়া, খায়রুলভাইয়া, মৌরিমনি। নিলাকাশ ভাইয়া, হাফসা আপু ( কত দিন দেখিনা তোমায়) কাতিয়াশা আপুনি,মেঘনা পাড়ের ছেলে, অলিয়ুরভাইয়া, সোহানী আপু, সমরাট ইজ বেস্ট, উম্মে সায়মা, তারেক ফাহিম, শাহরিয়ার, চানাচুর, আখেনাটেনভাইয়া আর মলাভাইয়. আলীভাইয়া, আহমেদ জি এসভাইয়া আরও যারা কঙ্কাবতী পড়েছিলো তাদের জন্য।


জাহিদ অনিক, মহিবুল্লাহ অয়ন, কালীদাসভাইয়া, শকুনদিৃষ্টভাইয়া আর মা হাাসান ভাইয়াকে বিশেষভাবে মিসিং..... :(

৬| ১৮ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বোঝা গেলো কঙ্কাবতী শেষ পর্যন্ত ভালোই আছে। এই পাঁচ পর্বে মন খারাপ করার মত কোন কিছু দেখা যায়নি (আর্শিয়ার মৃত্যু ছাড়া)। শুধুই আনন্দ, স্মৃতিরোমন্থন আর প্রাপ্তি। রাজকন্যাদের জীবন এমনই হওয়ার কথা। কঙ্কাবতীর আনন্দে সব চেয়ে বেশী খুশি হয়েছে আর্শিয়া এটা পাঠক বুঝতে পেড়েছে।

১৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ভাইয়া,

আসলেই জীবন হবে যে এত সুন্দর কখনও ভাবিনি আগে.....
এতো সুখ আর এতো আনন্দ স্বপ্নের মতো লাগে......

এই যে গানটা

৭| ১৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩২

ঢুকিচেপা বলেছেন: দোলন বুঝি পুরাতন ইন্টুমিন্টু ছিল ?
আবার বলবেন ইন্টুমিন্টু মানে বুঝিনি, আমিও মানে জানি না তবে ইটিশপিটিশ জাতীয় কিছু, ইটিশপিটিশ কি সেটাও জানি না তাই জিজ্ঞেস করবেন না।

কঙ্কাবতীর সংসার দেরীতে হলেও পূর্ণতা পেয়েছে এবং সে সুখী আছে এটাই বড় কথা। পাওয়া না পাওয়া হিসাব করা বোকামি।
এ পর্ব শেষ হয়ে গেলে আর পড়বো কি ? চোখে টিনের চশমা পরে বসে থাকতে হবে দেখছি।

১৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা


আসলে এই লেখার কিছু পুরোনো পাঠককুল রয়েছে।

দাঁড়াও লিন্কু দেই..

এই সেই লিন্ক

যারা ২১ পর্বের এই লেখা পড়েছেন তারাই মিলাতে পারবে এই ইন্টুমিন্টুকে .... হা হা


হ্যাঁ আসলে মানুষ চাইলেই তার পৃথিবীটা কিছু না কিছু বদলাতে পারে।

পরীমনির পুরোনো জীবন আর বর্তমানের ঘটনাবহুল বিলাসী জীবন নিয়েও আজ ভাবছিলাম আমি। কি থেকে কি হয়েছে আর হয়েই হনু বনে গেলো আর ধরাকে সরা .....

তবে তার সাথে কি অন্যায় হয়েছে কি হয়নি সেটা বলিনি আমি তার পুরোনো জীবন কাহিনী আর সেসব ছবি আর বর্তমানের ভিডিওগুলি মিলিয়ে মিলিয়ে নিজেই নিজের মনে গোয়েন্দাগিরি করে দেখছিলাম আর কি।

সমাজব্যবস্থা সমাজের আইন কানুন ব্যার্থতা, নারীর প্রতি সহিংসতা বা অনাচার এসবের প্রতিকার প্রয়োজন বটেই তবে নারী পুরুষ নির্বিশেষে কিছু সাইকোলজিকাল পরিবর্তন বা বিগড়ামীই সমাজে অনেক সমস্যার মূল কারণ হয়ে পড়ে।


৮| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: প্রতিউত্তর পড়ে মনে হচ্ছে রেগে একেবারে কাঁই। তা ব্যাপার খানা কি ?
এর মধ্যে পরীমনি কাঁহাছে আয়া ?

১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা না রেগে কাই না ....

তবে মাঝে মাঝে কিছু মানুষের ভুলভাল কাজ কর্মে রাগ বা বিরক্তি একটু লাগেই। তবে যার যা খুশি করলে আসলে আমার কিছুই যায় আসে না। নিজে ভালো থাকলেই থাকা যায় আর কি। তাই মাঝে মাঝে আবার ঘরের খেয়েও পরের মোষ নিয়ে ভাবনা ঘাড়ে এসে পড়ে। নিজের ঘর নিজের মোষ নিয়ে শান্তিতে চাইলে সবাই থাকতে পারে। হা হা

৯| ১৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার গল্পটি ফুরাল
নটে গাছটি মুরাল

১৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না না আপাতত ফুরালো।

নটেগাছ ঘুমালো......

ঘুম থেকে উঠে কি স্বপ্ন দেখলো লিখতেও পারি।

১০| ১৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

একলব্য২১ বলেছেন: 'কেমন আছে কঙ্কাবতী' তো শেষ হলো।

এরপর কি। তুমি একবার বলেছিলে যে তুমি লিখে লিখে তিলকে তাল বানাতে পারো। হ্যাঁ তাল বানালেও তার মধ্যে তিল পরিমাণ বা আরও একটু বেশী পরিমানে সত্যতা থাকবে। কিন্তু আমার হয়েছে মরণ। আমি আবার তিলকে তাল বানানোর গল্প সাধারণত পড়ি না। ইন ফ্যাক্ট তেমন গল্পের বই-ই পড়ি না। এখন আমার কি হবে। :|

মজার ব্যাপার কি জান। আমি তোমার লেখার ভক্ত। তাই চাই বা না চাই চোখে পড়লে নিশ্চয়ই পড়বো। কিন্তু তাল টাইপ লেখা পড়ার জন্য কি সেই আকুলতা থাকবে। :(

১৯ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা তাল আর তিলের মাঝে কিছু কিছু ফারাক থাকলেও যোগসূত্রের সুতাখানি অনেক অনেক মজবুত।


হা হা তোমার ভয়ে তালকে বেশি বড় বানাতে পারিনা।

যাই হোক আরও একটা গল্প এসে যাবে এখানে কিংবা ওখানে নাম হবে

এসেছিলে তবু আসো নাই জানায়ে গেলে ......

১১| ১৯ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা,




শেষটা রুপকথার সেই বহুল বলা কথাটিই মনে করিয়ে দিয়ে গেলো যেন -- "তাহারা সুখে শান্তিতে বাস করিতে লাগিল"।

কঙ্কাবতীও রুপকথার রাজকন্যাদের মতো ভালো থাকুক।

১৯ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আসলেই রুপকথায় শেষ মেষ ভালোই হয়।

অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

১২| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুখ সুখ রুপকথার গল্পটি পড়ে বেশ ভাল লাগলো। রাজকন্যার সুখানুভুতিতে পাঠকেরাও নিশ্চয়ই সুখানুভব করছেন/করবেন।

কঙ্কাবতী রাজকন্যার জীবন কথা তো কিছুটা জানা হলো। এবারে স্বয়ং রানিমাতা এমনকি রাজাকে নিয়েও একটা সিরিজ লেখার কথা ভাবতে পারেন। রানি রাজকন্যাকে যতই দুঃখ দিয়ে থাকেন না কেন, তার দুঃখটা একমাত্র রাজকন্যা ছাড়া আর কারও পক্ষে বোঝা বা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।

১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: রাণিমাতা আর রাজাপিতা তাদেরকে নিয়েও লিখবো কখনও....

অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাগুলি পড়ার জন্য।

১৩| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:




হ্যাঁ একটা কথা সত্যি মানুষ দুঃখকে আকড়ে ধরে রাখতে চায়

দুঃখকে ধরে রাখলে দুঃখ বাড়বে ।
তাই দুঃখকে সরিয়ে রেখে সুখ নিয়ে থাকবে কিন্তু অবসরে সেই দুঃখের স্মৃতিচারন হবে ।

তবুও জীবনের প্রতিটা ধাঁপেই যেন ছিলো কিসের এক হাহাকার।

একটা অতৃপ্তি বা হাহাকার জীবনে থাকে বলেই জীবনটা ব্যালান্স হয় ।
শুধুই যদি স্যাটিসফেকশন থাকে, তাহলে জীবন পানশে হয়ে যাবে ।
আমাদের ডিজসেটিস্ফাইড সোলকে তৃপ্ত করার জন্য যে প্রতিনিয়ত চেষ্টা এটা জীবনকে সামনের দিকে নিয়ে যায় ।

প্লিজ একটা গান শোনাও। আনন্দের গান।

ঠিক এভাবেই আরবাজ কঙ্কাবতী আনন্দে মেতে উঠুক প্রতিনিয়ত ।

মানুষ কি সময়ের সাথে সাথে ভালোবাসতেও ভুলে যায়?

আসলে সময়ের সাথে ভালোবাসার রঙ বদল হয় ।
জীবনের আর সবকিছুর মতো ভালোবাসাও পরিবর্তনশীল ।
একেক সময়ের ভালোবাসার ডিম্যান্ড একেকরকম, প্রকাশ ভিন্নরকম ।

একটা কথা কি জানো? সেদিনের পর থেকে অনেক অনেকগুলো বছর আমি শুধুই তোমাকে স্বপ্নে দেখেছি।

চাপা নাম্বার ওয়ান । বিয়ের কয়েক বছর পর যখন বউ বাচ্চা নিয়ে কিছুটা মনোটোনাস হয়ে যায়, তখন পুরনো প্রেমিকাকে এভাবেই বলে । তাও যদি আবার দেখে যে প্রেমিকা সদ্য বিবাহিত এবং ভালো আছে, তখনতো আরো বেশি । মন বলে এতো আমারও হতে পারতো, তাই এসব রোম্যান্টিক কথা । এগুলো সাময়িক । একটু এদিক অদিক ঘুরে সেই আবার বউয়ের কাছেই ফিরে যায় ।

দোলন বলে, আজ রাখি, আবার কথা হবে।
আমি বলি - না। আর কথা হবে না।


দেটস লাইক মাই গার্ল । এক্সরা দূরে থাক, ভালো থাক ।
কঙ্কাবতী যেন তার বর্তমান নিয়েই হ্যাপি থাকে ।



১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা এমন পাঠক আর কোথায় পাবো?

এমন মনোযোগী!! আর মনের মত!! :P

১৪| ২০ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




এবারের জন্মদিনে আরবাজ আমাকে যে উপহার দিলো তা শুনলে অনেকেই হয়ত হাসবে আর পুতুলআপা খেপে কাই হয়ে যাবে। জন্মদিনে বউকে কেউ হীরা মোতি মালা উপহার না দিয়ে এই দেয় বুঝি ভেবেই বকা ঝকা শুরু করবে জানি।

এখানে আবারও বোঝার ভুল । তোমার মনে পড়ে আমি কি বলেছিলাম, বিয়ের রাতে সেই নেকলেসের চেয়ে অনেক বেশী দামি হতো আরবাজ যদি কঙ্কাবতীর প্রতি ফোকাস হতো আর তাকে আদর দিতো । একটা বিগ হাগ নেকলেসের চেয়ে অনেক বেশী দামি ।

আমার কথা যদি বলি, আমি কখনও গহনা পরিনা ।
তাই গহনার প্রতি কোন ভালোবাসা, আকর্ষণ বা গহনা দিয়ে মূল্যায়ন আমার কাছে তুচ্ছ ।

I can afford anything materialistic by myself but what I can’t afford and I’m up to is love, affections, feelings. These are much more important than anything else in earth. These are the most precious things in someone’s life I believe. I’m in love with love.

ভালোবাসার প্রতি আমার প্রচণ্ড মোহো, কিছুটা এডিক্টিভ বলতে পারো ।
এনিওয়ে, আরবাজের দেয়া উপহার আমার খুবই পছন্দ হয়েছে । হ্যাপি এন্ডিং ভালো লেগেছে আপুটা ।
নতুন লেখার অপেক্ষায় থাকবো ।



২০ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বুঝেছি তোমার জন্য আমার স্পেশাল গল্প লিখতেই হবে। কাল থেকেই শুরু করবো ..... মেয়েটার নাম কি দেবো বলোতো??

আয়না?

১৫| ২০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: গিফটটা খুব পছন্দ হয়েছে, উপযুক্ত মানুষের জন্যে উপযুক্ত উপহার এনেছে একজন উপযুক্ত মানুষ। :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আমারও পছন্দ হয়েছে। :)

থ্যাংক ইউ নীলুমনি।

১৬| ২০ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:১৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কঙ্কাবতী আজীবন ভালো থাকুক।
জীবনবোধ গল্পের মতোই। গল্পতো আমার চারপাশের প্রতিদিকার ঘটে যাওয়া কোন ঘটনার প্রবাহ মাত্র। তুমি এতো সুন্দর করে গল্প বলে যাও মনে হয় শেষ না হলে ভালো হতো।
ভালো থেকো সবসময়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শেষ হয় না আমার গল্প।

আমার এ ঘটনাবহুল জীবনে তো ঘটনার শেষ নেই ভাইয়া।

গল্পেরও শেষ নেই।


অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়ামনি!

১৭| ২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১:০৮

মৌরি হক দোলা বলেছেন: :(

রাজকন‌্যা আপু, আমি আরও পড়তে চাই। বই চাই। চাই। চাই। চাই। :(

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আরও লিখবো?

আচ্ছা আচ্ছা লিখবো লিখবো!

১৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: রাজকন্যা আবারও এলে, আমি কিন্তু তোমার বই পড়ে রিভিউ দিয়েছিলাম, কঙ্কাবতী বর্তমান দিনকাল ভালো কাটছে জেনে ভাল লাগলো, অনেক ভালবাসা রইলো।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ মাঝে মাঝেই উঁকি দেই ভাইয়া।

থ্যাংক ইউ সো মাচ আমার বই পড়ার জন্য।

হ্যাঁ ভালো আছি। তবে একটু বিষন্ন আছি।

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৯

আরোগ্য বলেছেন: I must say this is my konka day :| .
মনে হয় সারাদিন এই সিরিজে ডুবে ছিলাম। শুরুতে মা নামক চিঠিটা পড়লাম। তার রেশ ধরে এই পাঁচ পর্ব একে একে পড়ে শেষ করতে হলো। এটাই কি কম ছিল? আবার কতগুলো মন্তব্য প্রতিমন্তব্যও পড়লাম। এবার রেস্ট দরকার। আবার দেখলাম কি এক ২১ পর্বের লিংক। দেখেই ভয় পেয়েছি। ভুলেও আজ ওখানে পা রাখা যাবে না। ইনশাআল্লাহ সময় সুযোগমত আসবো।

আর্শিয়া তো যাবার জন্যই এসেছিল। ওর যে দুটো রাজপুত্র দুনিয়ায় আসার ছিলো। আর্শিয়া যদি হুট করেই চলে যেত তবে হয়তো গল্প এত স্বচ্ছ হত না। আর্শিয়াকে হয়তো বিদায়ের সংবাদ আগেই দেয়া হয়েছিল যাতে সে কঙ্কাবতীর আগমনের পথ সহজ করে যেতে পারে। বিধাতার লেখা গল্পে আর্শিয়ার ভুমিকা অনস্বীকার্য। সে নায়িকা নয় তবে ইংরেজি সাহিত্যে সে antihero ( দুঃখিত বাংলা অর্থটা জানি না) ।

কঙ্কাবতীর জন্য অনেক শুভ কামনা যাতে সে সবসময় হাসিমুখে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি পারি দিতে পারে। আশা করি শীগ্রই কঙ্কাবতীর ডলহাউজের আলো বৃদ্ধি করতে জীবন্ত ডলের আগমন হবে ইনশাআল্লাহ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আরোগ্যভাইয়া।

তোমাকে দেখে অনেক ভালো লাগলো।

ভাইয়া এই ৫ পর্বের অনেক আগে থেকেই এক সিরিজের শুরু হয়েছিলো।

সেটাই ২১ পর্ব।

আর বলতে পারো মা লেখাটা তারই কনটিনিউয়েশন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.