নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সানভী-২

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০২


- আমি চাই তুমি আবার আজ সেই লাল শাড়িটাই পরো যুঁথি। সেই লাল টুকটুক জামদানী পরা নতুন নতুন বৌটাকে নিয়ে আমি যেদিন প্রথম আকাশে উড়েছিলাম। সেই ছবিটাই দেখতে চাই আরেকবার।
জানিনা এত রাগ আর বিদ্বেষের পরেও কেনো যুঁথি আমার কথাই মেনে নিলো। মনে হলো আমার এই প্রস্তাব মেনে নিতে ওর বড্ড কৌতুক হচ্ছিলো। যুঁথির এই কৌতুকে নেচে ওঠা চোখের তারাগুলি আমার বড় প্রিয়। যুঁথি জানেনা একটা কথা যে ওর মাঝে এই চেপে রাখা আনন্দের ঝিলিক খেলে যাওয়া মুখটাকে আমি দারুন ভালোবাসি। অন্যান্য সব বারের মতনই যুঁথি মনে হয় ভাবছিলো এটাও আমার নতুন কোনো খেলা। তাই সব হারিয়ে ফেলতে ফেলতেও যুঁথি সেই খেলাতেই মেতে উঠলো আবারও। যুঁথি রাজী হয়ে গেলো।

তিন বছর আগের সেই প্রথম ভ্যালেনটাইনে উপহার দেওয়া লাল শাড়িটাই পরেছে যুঁথি। আর আমি সেই সাদা টি শার্ট আর ব্লু জিনস। আমার মনে হচ্ছিলো সেই দিনগুলোতেই ফিরে গেছি আবারও। মাঝে এতগুলো দিন কোনোরকম তিক্ততায় কাটেনি আমাদের। যেন সেই নতুন দিনেরই আমরা। প্লেনে উঠবার পর যুঁথির হাতে হাত রাখলাম আমি সেই দিনটির মতই। আমার মনে পড়ছিলো সেই স্বপ্নের দিনগুলোর কথা। যুঁথিরও মনে পড়ছে নিশ্চয়ই একই কথা মানে একই ঘটনাগুলি। জানতে চাইলাম খুব আস্তে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে-
- কি মনে পড়ছে বাবুনী?
আমরা ভালোবেসে কতইনা নাম দেই একেকজন একেকজনকে তারপর দিন বদলের সাথে সাথে আমরাও বদলে যাই ভালোবাসাও হারিয়ে যায় শুধু থেকে যায় নামগুলো, থেকে যায় স্মৃতিগুলো। কখনও কখনও সেসব মনে করে ব্যথায় মুসড়ে পড়ি, কখনও বা এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে আমাদের মুখে। সে যাইহোক আমি যুঁথিকে বললাম,
- যুঁথি আমরা এই একটা মাস মাঝে ঘটে যাওয়া সবকিছু ভুলে যাবো। যেন নতুন করে চিনেছি আমরা দু'জন দু'জনকে। যুঁথি হেসে ফেললো।বললো,
- আমার বড় হাসি পাচ্ছে সানভী। তোমার এই পাগলামীতে সায় দিয়ে যাচ্ছি। কারণ আমিও তো আরেক পাগলই তাই নয় কি? এক পাগলই শুধু আরেক পাগলের পাগলামীকে মূল্য দেয়। আর সেটাই দিয়েছিলাম আমিও আসলে। যুঁথির গলা ধরে আসলো। আমারও একটু কষ্ট হচ্ছিলো।

আমি নিশ্চুপ রইলাম। মনে মনে বললাম, আমি এমনটা চাইনি যুঁথি। সত্যিই চাইনি। তোমাকে হারাতে চাইনি আমি। হুট করেও তোমাকে আমি বিয়ে করেছি এটাও সঠিক নয়। আমি ভেবে চিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এই জীবন আমাকে শিখিয়েছে ভেবে চিন্তে জাল ফেলা। হ্যাঁ জাল ফেলাই বলবো আমি এটাকে। এই জীবনে চলতে গেলে সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুলটা বাঁকাতেই হয়। সে আমি জেনে গেছি বহুদিন আগেই। এই আঙ্গুলটা বাঁকানো শিখতে হয়েছে আমাকে বড় চতুরতার সাথেই তবে আঙ্গুল বাঁকানোটা আসলে একটু কঠিন। সে বড় বড় মানুষেরা পারে। তাতে অর্থ বিত্ত বৈভব বা প্রাচুর্য্যের শক্তি থাকতে হয় অথবা পেশীর জোর। কোনোটাই আমার ছিলো না তাই আঙ্গুল বাঁকানোর পরিবর্তে আমাকে জাল ফেলাটাই শিখতে হলো। নিজের মাঝের এই আমিকে আমি ছাড়া কে চেনে আর?

যুঁথির আঙ্গুলের ভাঁজে আঙ্গুলগুলো ঢুকিয়ে সিটে মাথা রেখে চোখ বুজলাম আমি। চোখ বুজলেই আমার চোখের পাতায় চলে আসে আমার অতীত। মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুমের মাঝেও আমি আর্তনাদ করে উঠে বসি। আমার অতীত বিশেষ করে আমার ছেলেবেলা আমাকে তাড়া করে ফেরে। আজকের এই আমি, যে সাজানো আমিকে দেখছে যুঁথি এই আমিটার আসলে অন্যরকম থাকবার কথা ছিলো। আজকের এই সাজানো ফ্লাটের চাকচিক্যময় জীবনের এই আমিকে আসলে হয়তবা নর্দমা বা আস্তাকুড়েই পড়ে থাকতে হত। এমন পড়েও থাকে হাজারে হাজারে আনাচে কানাচে এই শহরের। কিন্তু আমি থাকিনি। উঠে এসেছি সুকোৌশলে। সকল প্রতিবন্ধকতাকেই জয় করে ফেলার দৃঢ় মনোবল অর্জন করেছি আমি।

হ্যাঁ এর জন্যই কিছু শঠতার আশ্রয় নিতেও হয়েছিলো আমাকে। সে আমি জানি। আর তার জন্য আমি মোটেও অনুতপ্ত নই। আমি মনে করি পৃথিবীতে মানুষ জন্মায় লড়াই করবার জন্যই। এই লড়াই এ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে টিকে থাকতে হয়। এই লড়াই এ ইতিবাচক নেতিবাচকতার ধার ধারতে গেলে আস্তাকুড়ে পড়ে থাকার সম্ভাবনাটাই আসলে বেশি। তাই যে ভাবেই হোক লড়াই এ জিততেই হবে। সেখানে শঠতা, ধূর্ততা বা নিয়ম অনিয়মের কোনো বালাই নেই। শুধু ভালোবাসার মাঝে কোনো খাঁদ থাকতে নেই। সেখানে কোনো কপোটতা থাকলেই পরাজয় অনিবার্য্য। পৃথিবীতে গায়ের জোরে সবই কেড়ে নেওয়া যায়। বুদ্ধির জোরেও। কিন্তু ভালোবাসা? দীর্ঘশ্বাস পড়ে আমার।

তবে কি আমি ভালোবাসার মাঝেও কপোটতার আশ্রয় নিয়েছিলাম? হ্যাঁ এই ব্যপারটা মনের মাঝে চেপে রাখলেও, যুঁথি এবং আর সকলের চোখে ধুলো দিতে পারলেও আমি খুব ভালো করেই জানি এখানেও আমি শঠতার আশ্রয় নিয়েছি। যুঁথির চারপাশে অদ্ভুত এক ঘোর লাগিয়েছি। সুকৌশলে এবং খুব সাবধানে। নাহ আমি এই ঘোর কেটে ওর বেরিয়ে আসবার আগেই ওকে বিয়ে নামক ঘেরাটোপে আটকে ফেলতে চেয়েছিলাম। ওকে বেশি বুঝে উঠবার আগেই আমি বন্দী করে ফেলেছিলাম। কিন্তু কেনো?

এই সব কেনোর উত্তরও একমাত্র আমারই জানা। তবুও কখনও নিজের মুখোমুখি দাঁড়াইনা আমি। ছেলেবেলায় যখন থেকেই বুঝে উঠলাম অন্য অনেকের মত আমাকে মুখে তুলে কেউ দেবে না। এমনকি নিজের মা বাবা পরিবারও না। তখনই বুঝে গেলাম এই জগতের লড়াই এ আমাকে ছিনিয়ে নিতে হবে। তখন থেকেই আমার কঠিন কঠোরতার দীক্ষার শুরু। এই পৃথিবীর কোনো মায়া দয়া প্রেম ভালোবাসাই আমাকে টানেনি। টেনেছে বেঁচে থাকার লড়াই এ উপরে ওঠার প্রতিযোগীতার সিড়িতে কিভাবে এবং কেমন করে উঠে যাবো এই নগন্য আমি সেই চিন্তাটা। বিধাতা আমাকে উপরে ওঠার সিড়ি দেননি। নীচে পড়ে থাকবার জন্যই আমার জন্ম। অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য আমি, কিচ্ছু নেই আমার কিন্তু এই যে চারপাশে এত মানুষ তাদের এত আছে কেনো? এ কি বিধাতার অবিচার? কারো থাকবে কারো থাকবে না তা তো হয় না।

আমি খুব ভালো করেই জানি আর দশটা পরিবারের মত আমার পরিবার ছিলো না। আর সবার বাবারা উপার্জন করতো আর মায়েরা সংসারের কাজ কিন্তু আমার অলস এবং অকর্মন্য বাবার কারণে মাকেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছিলো। স্কুলের বেতন যখন বাকী পড়তো দিনের পর দিন আমি মুখ বুজে শিক্ষকদের সকল অপমান সহ্য করতাম। আমার ছোট বোনটা পারতোনা। বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করতো, যেতে চাইত না। মা যা পারতো তাই তাকে দিয়ে পাঠাতো। তাকে কষ্ট সহ্য করতে যেন না হয় সেই চেষ্টা ছিলো আমার এবং মায়েরও। কিন্তু বিধাতার উপর অভিমনােই বোধ হয় আমি মুখ বুজে সহ্য করতে শিখে গিয়েছিলা। এই পৃথিবীর সকল অত্যাচার সহ্য করার ব্রত নিতে পারিনি।

এইভাবেই কাটছিলো দিন। অবজ্ঞা এবং অভিমানে আমি দিনে দিনে ক্রুড় কঠিন রুঢ় হয়ে উঠছিলাম সকলের অগোচরে। ক্লাস ৭ থেকেই টার্গেট করলাম ক্লাসে নতুন আসা বিশাল ধনী পরিবারের ছেলে ইমতিয়াজকে। বলতে গেলে তখন থেকেই আমার এই মোহ লাগানো অভিনয়ের শুরু। ওর সাথে সখ্যতা গড়ে তুললাম সুকৌশলে। ধীরে ধীরে ওর মন জয় করে নিলাম। ওর সঙ্গের কারণে আমার ভেতরে আরও দৃঢ় বিশ্বাস প্রোথিত হলো টাকাই যে জীবনের সব। যে কোনো মূল্যে নীতি বা নীতিহীনতার ধার না ধেরে টাকা উপার্জনে আসলে কোনো দোষ নেই। আমার ভেতরের বোধ বু্দ্ধি বিবেক সকলই বিসর্জিত হলো । নিজেকেই নিজে সকল নীতিহীনতার প্রবোধ দিতে শুরু করলাম নিজেরই অগোচরে .....

- দেখো দেখো জানালার বাইরে কি সুন্দর পেঁজা তুলো মেঘ।
চোখ মেলে আমি পেঁজা তুলো মেঘ না যুঁথির মুখে দেখলাম সেই আনন্দের ঝিলিক। যেই সৌন্দর্য্যের কাছে পেঁজা তুলো মেঘেরাও হার মেনে যায়।
যুঁথি আমার দিকে তাকিয়ে লজ্জিত হলো।
-স্যরি। ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলাম।
আমার মন খারাপ হচ্ছিলো। এই মেয়েটাও চলে যাবে আমাকে ছেড়ে। কেউ থাকবে না আমার। কেউ না। এই পৃথিবীতে কেউ নেই আমার। কেউ কখনও থাকবেও না। ছিলও না কখনও।


আমার আবার ভেতরে ভেতরে প্রচন্ড রাগ হতে থাকে। সেই চন্ডাল ক্রোধ। আমি যুঁথির হাত চেপে ধরি শক্ত করে। যুঁথি ভয় পেয়ে হতবাক তাকিয়ে থাকে আমার মুখে......

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: আমি আগেই কইছিলাম সানভী পুলাডা বদ আছে ! /:)

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আমি বদ বলবোনা। সে একজন সারভাইবার।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: না না বদই ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সারভাইবাররা পারেনা এমন হীনকাজ আর নেই।

কাজেই বদ মনে হতেই পারে।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৩

জটিল ভাই বলেছেন:
শান্তি....শান্তি......শান্তি.....

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শান্তিতেই আছি তো।

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সব গল্পের নায়কেরা ভিলেনের মত। গল্পের নায়িকা হোল প্রকৃত নায়িকা আর নায়কগুলি হোল নেগেটিভ চরিত্র।

একটা দরিদ্র পরিবারের ছেলে ক্লাস সেভেন থেকে বখে গেছে এবং ড্রাগে আসক্ত হয়েছে সম্ভবত। সে তাহলে কিভাবে এখন গাড়ির মালিক এবং ভালো আয় করে এটা আমার মাথায় আসে না। এটা সমাজের সাধারণ ধারার সাথে মিলছে না। নেশাখোরেরা সানভির মত জীবন নিয়ে এত সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাও করতে পারে না। ওরা শুধু বোঝে নেশার টাকা। আর কিছু বোঝে না। অনেক ক্ষেত্রেই লেখাপড়া ছেড়ে দেয় এবং কর্মবিমুখ হয়। কিন্তু আপনার সানভি ড্রাগে আসক্ত থেকেই বড় লোক হয়েছে। কিভাবে হয়েছে সেটা আপনার এই লেখায় আসে নি। লেখাপড়া বা ব্যবসা করে বড়লোক হলে হিসাবে মিলছে না।

সে ধনী পরিবারের হলে আলাদা কথা ছিল।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা সাধুগুলা একদম পান্তাভাত মার্কা এদের নিয়ে গল্প লিখলে মানুষ কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজ দিয়ে ভর্তা বানায় দেবে।

তাই ভিলেন টাইপগুলারে নিয়েই লিখতে হয়। তাদের নিজেদের হাতে ই কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ সরিষা তেল সব থাকে।

হ্যাঁ দরিদ্র একটা পরিবারের ছেলে কেমনে হয় সেটাই গল্পের ভেতরের গল্প।
এইখানে শুধু একটাই হিন্টস আছে।
সাধারণ ধারার সাথে মিলছে না বলেই এটা গল্পের মত আশ্চর্য্য।

কি করে বড়লোক হয় তার রহস্য কি আসবে।

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:



দারিদ্রতা থেকে অনেকেই বের হয়ে আসে কোঠর পরিশ্রম, মেধা আর পজিটিভ মনোবল নিয়ে ।
কিন্তু সানভীর শুরু থেকেই ভুল সিদ্ধান্ত, জীবনের প্রতি ভুল দৃষ্টিভঙ্গি ।

বড়লোক হবার সিঁড়িটা সম্ভবত ইমতিয়াজ । ড্রাগ ডিলিং, অনৈতিক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েই নিশ্চয়ই টাকা করেছে, যেহেতু সে ডিরেইল্ড ছিলো, ভালো কিছু করেনি ফর সিওর । আর সেভাবেই নিজেও একসময় ড্র্যাগ এডিক্টেট হয় ।

যেভাবে গল্পের নায়িকাকে প্রথম দিনেই কনভিন্স করে বিয়ে করে সেটার কারনও খুবই স্পষ্ট ।
যুঁথি যদি আরও কিছুদিন দেখার সুযোগ পেতো, তাহলে জেনে যেতো তার লাইফ স্টাইল, তাকে আর বিয়ে করবে না ।
এ কারনেই সে ট্র্যাপে ফেলেছে আর বোকা মেয়েও সেই ট্র্যাপে ধরা দিয়েছে ।

সেই চন্ডাল ক্রোধই হানিমুনের কাল হয়ে আসবে হয়তোবা ।
পরিণাম মার্ডার । অথবা মেরে ফেলার চেষ্টা ।





৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ইউ আর ইনটেলিজেন্ট।
মোটামুটি সবই বুঝে গেছো।

হ্যাঁ ইমতিয়াজকে দিয়েই সে সেই সিড়িতে উঠেছিলো।

হ্যাঁ যুঁথিকে মোটেও বোকা মেয়ে না। সে যথেষ্ঠ ক্যাপাবল আর বুদ্ধিমতীও।

কিন্তু কিছু প্রতারক আছে না ঘরে ঢুকে কথায় কথায় কনভিন্স করে বাসার মানুষকে দিয়ে আলমারীর তালা খুলিয়ে নেয়। বেশি সময় দেয় না। ঠিক তেমনই আর কি।

দেখো পরিনত বয়সের মানুষগুলোকেই তারা ধোকা খাইয়ে দেয়।

আর একটা ২২/২৩ বছরের মেয়ে কি পারবে?

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৫৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: দুইটা পর্বই পড়লাম। আহারে সানভী ছেলেটা কত ভাল, নেশাও করে আবার বউও ভালবাসে! অনেকটা নামাজ রোজাও করে আবার ঘুষও খায় এর মত! গল্প পড়ে একটা গানের কথা মনে পড়ল “sometimes love aint enough”। ও আচ্ছা সানভী নামটা দেখে বলিউডের জানভী কাপুরের নামটা মনে পরল, নায়িকার নাম জানভী কাপুর হলে মানাত!!!

গল্পে আমার ভাল লাগা রইল।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ সে এক মহা কনফিউজিং ক্যারেকটার।

হা হা জানভী কাপুরের কথা মনে পড়ুক সেটা ব্যপার না তবে সানভী নামটা নিয়েছি একটু অদল বদল করে তিনটে অক্ষর ঠিক আছে শুধু প্রথমটা বদলে দিলেই সত্যিকারের নামটা হয়ে যাবে। আর সেই বেটার নাম প্রকাশ করে মরবো নাকি? :P

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: নিজের মন মতো সানভীকে বানিয়ে নিয়েছেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ঠিক যাচ্ছেতাই বানায় দিলাম ঐটাকে।

আপনার আবেগিক টেস্ট নেওয়া হবে। মনে আছে তো?

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: " প্রয়োজন আবিষ্কারের জননী " এবং " যে কোন পরিস্থিতিকেই নিজের সুবিধায় ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের লক্ষণ " - এ দুটো নীতিই সানভী তার জীবনে সফল ভাবে প্রয়োগ করেছে এবং সফলতাও পেয়েছে ,এটা মোটামুটি পরিষ্কার । তবে এ দুটি নীতি প্রয়োগ করতে গিয়ে কতটা সুনীতি তথা নৈতিকতার খেলাপ করেছে ,তা হয়ত পরে আমরা জানতে পারব।

তবে , আপাততঃ এই ভেবেই ভাল আছি যে, এক মাস - নো টেনশন। আর ভবিষ্যতে কি হবে ,আমরা কেই বা তা জানি!!!

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ বলতে গেলে এক রকম সুবিধাবাধী এবং নেগেটিভ ইন্টেলিজেন্সীর মানুষ সে।


যেমন কর্ম তেমনই ফল হয়। আর এ কারণেই যত বাহাদূর হোক না কেনো মনে মনে কখনও শান্তি পাওয়া হয় না।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো হয়েছে। যেমন মেয়ে তেমন তার প্রেমিক।

নেশাখোরকে খালি চোখেই সনাক্ত করা যায়। আর এই মেয়ে প্রেমিকের মেয়ে পটানোর গুন জেনেও তার প্রেমে পড়েছে। খুব ভালো হয়েছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা যেমন মেয়ে আবার কি? মেয়ে এক রকম আর ছেলে আরেক রকম ছিলো।

তবে এই কথা সত্য যে কোথাও না কোথাও তো মিল আছেই। মনের হোক আর মস্তিস্কের হোক নাইলে কেমনে একে অন্যকে ভালো লাগবে বলেন?

তবে হ্যা আপনার মন্তব্য আমার আরেক গল্পকে মনে করিয়েছে। হায়রে জীবনে কতই না গল্প থাকে তাইনা শুধু কেউ লিখে কেউ লিখে না .....

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: গল্পে সানভীর চরিত্রের দ্বৈত সত্তা ভালো ভাবে ফুটে উঠেছে। এই ধরনের মানুষের কিন্তু ভীষণ অন্যরকম হয়। সামনে কি হয় দেখা যাক। অপেক্ষায়....

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দ্বৈত স্বত্তা না পৈচাশিক স্বত্তা এটা নিয়ে আমার একটু কনফিউশন আছে এখনও।

হা হা মনে কোনটা বানাবো ? :P

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কি জানলেন নূরভাইয়া?

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৩

একলব্য২১ বলেছেন: সানভীরা এইভাবেই নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করে।

এই পর্ব পড়ে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত কমেন্টের মধ্যে ৪,৫ ও ৬ এর কথাগুলো যুক্ত করলে আমার মনের ভাব প্রকাশ করা হয়ে যাবে।

এই পর্বও ভাল লিখেছ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না সে আত্মপক্ষ সমর্থন করা মানুষ নহে। এটা তার আত্মকথন।

তবে চুয়াত্তর ভাইয়া আমাকে আরও একটি গল্প মনে করিয়েছেন।

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৫

একলব্য২১ বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা,

এই পর্বের একদম শেষের দিনে যখন সালভী বলছে "এই মেয়েও চলে যাবে আমাকে ছেড়ে। কেউ থাকবে না আমার। কেউ না।" এটা কি আসলেই সালভীর কথন। আমি কেন জানি মনে হচ্ছে এই কথনের মধ্যে শুভ্রর গন্ধ পাচ্ছি। এটা কি আমার ওভার ক্যালকুলেশন!!!

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না শুভ্রের কথা না তবে রাইটার সেইম তো তাই মাঝে মাঝে এর ওর কথার স্টাইল সেইম হয়ে যায়।

১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নতুন গল্পের আইডিয়া মাথায় এনে দেয়ার জন্য কোন ধন্যবাদের দরকার নাই। শুধু নতুন গল্পের নায়ক যেন শুভ্রর মত কোন বাদাইম্মা পোলা বা এই গল্পের মত নেশাখোর না হয় এইটা নিশ্চিত করলেই আমি খুশি। আর মেয়ে যেন এই গল্পের মত নির্বোধ না হয় যে মেয়ে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে নাচতে নাচতে কাজী অফিসে যায়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নাচতে নাচতে যায়নি প্রতারকের ফাঁদে কেউ নাচতে নাচতে পড়ে না হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে।

আর তাই এই মেয়ের হালও একই হয়েছিলো আর কি।

১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৯

একলব্য২১ বলেছেন: আমাদের চারপাশে সানভীর ছড়াছড়ি অন্তত: আমি আমার জীবনে অনেক দেখেছি। বড় হবার জন্য সানভী সম্ভবত ইমতিয়াজকে ব্যবহার করেছে। অন্যরা একইভাবে অন্য কাউকে ব্যবহার করে উপরে সিঁড়িতে উঠেছে এবং যথারীতি তাদের ভুলেও গেছে, প্লাস তাদের সাথে আর যোগাযোগও রাখে না অধিকন্তু তাদের প্রতি নুণ্যতম কৃতজ্ঞতাবোধও নেই। পার্থক্য হয়তো সানভী ড্রাগ ফ্রাগ এর ব্যবসা বা নেশার সাথে জড়িত হয়ে উন্নতির শিখরে উঠেছে। আর অন্যরা হালকা পাতলা মদ্য পানের পার্টি সার্টি করে নিজের কাজ, ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি ইত্যাদি বাগিয়ে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা নিয়েছে। আর এদের সংখ্যা আমাদের চারপাশে অগুনিত। গুয়ের কোন পীঠই ভাল না। তাইতো একদিন দুঃখ করে তোমাকে বলেছিলাম আমার পীঠ রক্তাক্ত।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একলব্য২১ বলেছেন: আমাদের চারপাশে সানভীর ছড়াছড়ি অন্তত: আমি আমার জীবনে অনেক দেখেছি। ............

হ্যাঁ আর এই কথাটাই আমাদের সাড়ে চুয়াত্তর সাধুবাবা ভাইজান জানে না। উনি বলছেন আমার নায়কেরা নাকি সবাই নেগেটিভ!

আমি নাকি ইচ্ছা করে তাদের নেগেটিভ বানাই।

চুয়াত্তরভাইয়া এতই বোকা জানতাম না ! B:-/

১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৭

একলব্য২১ বলেছেন: আমি নাকি ইচ্ছা করে তাদের নেগেটিভ বানাই।

মানুষের ব্যাপারে আমার একটা চিন্তাভাবনা আছে। আমার মনে হয় এই পৃথিবীতে (আসলে পৃথিবীর কিইবা দেখেছি বলা উচিত সমাজে) একদম খারাপ মানুষের সংখ্যা খুব কম। তেমনি খুব ভাল মানুষের সংখ্যাও খুব কম। এখানে বেশীর ভাগ মানুষই মাঝারী। অবশ্য এই মাঝারী টাইপ মানুষের মধ্যে আবার নানান ধরনের ক্যাটাগরি আছে। কেহ ৩৩ পেয়ে পাশ করেছে কেউবা ৪০ বা ৪৫ পেয়ে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ভালোই বলেছো।
তবে আমার মনে হয় ১০০% মানুষই এ সমাজে সাধু ( নিজের চোখে)
৮০% ( অন্যের চোখেও নিজেকে একটু কম সাধু দেখে)
৫০% মাঝারী ভালো খারাপ দুটোই বুঝে
৩০% নিজেকে খারাপ জানে
১% জানে সে নিজে কত বড় শয়তান কিন্তু তাতে কি আক্ষেপ অনুশোচনা বা অন্য কোনো বোধ আছে কিনা ঠিক বুঝা যায় না। সেই গোত্রের কাউকে নিয়েই এই লেখা। আর লেখার পিছের মানুষটাকেও আরেকজন চিনেছে হয়ত তাই লেখা। হা হা তবে তাকে কি বুদ্ধিমান বা বুদ্ধিমতী বলবে নাকি বলবে আরেক শয়তান বা শয়তানী?

চুয়াত্তরভাইয়ার মতামত কাম্য।

১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৩৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: হা হা জানভী কাপুরের কথা মনে পড়ুক সেটা ব্যপার না তবে সানভী নামটা নিয়েছি একটু অদল বদল করে তিনটে অক্ষর ঠিক আছে শুধু প্রথমটা বদলে দিলেই সত্যিকারের নামটা হয়ে যাবে। আর সেই বেটার নাম প্রকাশ করে মরবো নাকি?

অবশ্যই, আপনি ঝেড়ে কাসুন! ব্লগারদের জানার অধিকার আছে, আমরা আপনার পাশে আছি!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ছোটবেলায় মাইক বাঁজতে শুনতাম খুব রাস্তায় রাস্তায় এখন সেটা কমেছে। বিশেষ করে ওয়ারীর দিকে তো মাইক বাজানোতেই মানুষের মজা ছিলো মনে হয়।

তো শুনতাম একটা গান - আমি তার ছলনায় ভুলবো না না না ...... মনে পড়লে এমন হাসি পায় তবে এই গানের লাইন জীবন চলার পাথেয়।

যেমন এখন মনে পড়ে গেলো আমি তোমার ছলনায় ভুলবো না না না - মরে গেলেও সেই নাম বলবো না না না ..... হা হা

১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৩

সোহানী বলেছেন: এতো দেখি শেষে খুনোখুনির গল্প না হয়ে যায়!!!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সানভীর পক্ষে কিছুই অসম্ভব না আসলে। :(

১৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০০

নীল আকাশ বলেছেন: সবাই এত কিছু বললো আর আসল জিনিস নিয়ে কেউ কিছু বললো না।
নামকরণে এই ছন্নছাড়া ভাব কেন? আগেরটা যুথি, এবার সানভী তাও আবার ২। ১ কৈ জানে কোথায়?
একটা ভালো দেখে নাম দিন সিরিজের। যুথি, সানভী, ইত্যাদি পর্বের নাম থাকবে।
ঠেকে ঠেকে শিখে যারা তারা ঘুরে দাঁড়াতে পিছপা হয় না। সানভীকে আমার ভাল লেগেছে। ডেস্পারেট প্রেমিক। গুড!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নামাকরণ এমনই হবে। এটা এই লেখার স্টাইল। হা হা যুঁথির কথা যুঁথি বলবে। সানভীর কথা সানভী। আর সাথে ১ ২ ৩ ৪ হা হা

হ্যাঁ সানভী চার্মিং। শয়তানরা অবশ্য চার্মিংই হয়। যুঁথিও ঠেকে যাবার মেয়ে নয়।

২০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'আর লেখার পিছের মানুষটাকেও আরেকজন চিনেছে হয়ত তাই লেখা। হা হা তবে তাকে কি বুদ্ধিমান বা বুদ্ধিমতী বলবে নাকি বলবে আরেক শয়তান বা শয়তানী?'

আপনার উপরের কথা বুঝতে পারিনি। তাই মন্তব্য করতে পারছি না।

মানলাম জুথি একটা ভিকটিম। এবার খুশি। দেখা যাক সামনে কি হয়।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: যে চিনেছে আর এই লেখা লিখছে তাহার কথা বলেছিলাম।

হ্যাঁ ভিকটিম তো বটেই।

২১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৩

একলব্য২১ বলেছেন: ডিসেম্বর মাসের ছুটিতে ব্লগে লেখালেখি নিয়ে কি পরিকল্পনা আছে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আর বলো না একটার পর একটা বিয়ে শাদী, নানা রকম ইভেন্ট মনে হচ্ছে কারো আর করোনার ভয় ডর নাই।

আর তাছাড়া নিজের কিছু প্লান আছে।

লেখা লিখি তো ভেস্তে যাবে। আজ যুঁথি ৩ লিখতেই পারলাম না। :(

২২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: একটা চরিত্রে রং ঢালা এতো সহজ নয়। চিত্রপট আর প্রতিটি বাক,সেট ও গল্প বলার ঢং তা যে ইউনিক কর্ম না স্বীকার করলে যে কৃপণতা হবে। মার লেখার ভক্ত বলে যে একটু বেশী বলে ফেলি তেমন মনে করো না।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ভাইয়া।
আসলে তেমন কোনো রং আমাকে ঢালতে হয়নি এই চরিত্র লিখতে গিয়ে। সবই তো জানা সবই তো দেখাই। শুধু লেখার সময় মনে চলে আসে নিজের মত করে।

ভাইয়া আমি খুবই গুড অবজার্ভার। যখন যা দেখি খুব মন দিয়ে। সে একটা পাতার শিরা উপশিরা সহ মানুষের মুখের শিরা উপরশিরাগুলিও বলতে পারো।

আর মানুষ দেখা। মন দিয়ে খুঁটিয়ে দেখা বা তাকে নিজের মত করে ভেবে নেওয়াও বলতে পারো সেসবই লিখে রাখতে ইচ্ছা করে আমার।

২৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: একটা চরিত্রে রং ঢালা এতো সহজ নয়। চিত্রপট আর প্রতিটি বাক,সেট ও গল্প বলার ঢং তা যে ইউনিক কর্ম না স্বীকার করলে যে কৃপণতা হবে। তুমার লেখার ভক্ত বলে যে একটু বেশী বলে ফেলি তেমন মনে করো না।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: :)

২৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০০

একলব্য২১ বলেছেন: পুরাণ ঢাকায় মাইক বাজানোটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল এক সময়। এখন আর মাইক বাজানো হয় না তার বদলে চলে বড় বড় স্পিকারের বাক্স আর সাথে পিএ সিস্টেম। আগে তো মাইকে সেই পুরানো দিনের লতা মাঙ্গেস্কারের গানই বেশী বাজাতো। সে এক দারুণ সময় পার করেছি। তুমি তো জানই জ্ঞানের ব্যাপারে আমার ভালবাসা। তোমার স্কুলিং কি পুরাণ ঢাকাতে শুরু হয়েছিল।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা জ্ঞান আর গান দুই তোমার ভালোবাসা বুঝতে পারি। আমি তার ছলনায় ভুলবোনা লতার গান না। আরেকজন সন্ধ্যা মুখপাধ্যায়ের গাওয়া মনে হয়।

না পুরান ঢাকায় স্কুলিং না। স্কুলিং নতুন ঢাকায় ছিলো। :)

২৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৯

একলব্য২১ বলেছেন: জ্ঞান না হবে গান ...হা হা হা টাইপোর জন্য সরি। আমার মা যে স্কুলে পড়াশুনা করেছেন তার নাম শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়। সেটা কোথায় জানো। :D

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জানি জানি সবই জানি।

তবে সেখানে পড়িনি আমি। আমি পড়েছি আজিমপুর গার্লসে।

২৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৭

একলব্য২১ বলেছেন: হ্যাঁ। ওটা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান। আমি লতার মাঙ্গেস্কারের সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলাম। শায়মা আপু কবে লগ ইন করবে তার কাছে ক্ষুদের লেখাপড়া বিষয়ক ২/১টা প্রশ্ন ছিল।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ওকে আজকেই বলবো তাকে আফটার ক্লাস।

২৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: সানভী ১ কৈ? ১ না দিয়ে ২ দিয়ে দিয়েছেন?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা এটা এক নিউ স্টাইল।

যুঁথি ১
সানভী ২
যুঁথি ৩
সানভী ৪

এমন আর কি। উল্টা পাল্টা মানুষ, উল্টা পাল্টা প্রেম আর উল্টা পাল্টা জীবনের নাম্বার এমনই হয়।

২৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভেবেছিলাম সানভীর সঙ্গে বিগত এক মাসের গল্প পাবো। তা না হয় উল্টো সানভীর কথন। ধারনাটা খারাপ নয়। প্রথম পর্বের যুঁথী আর পরের পর্বের সানভী। বেশ ভালো। আত্মপক্ষ সমর্থনে সানভী নিজের অবক্ষয়তার পিছনে যুক্তি খাড়া করলেও মনে হচ্ছে না যে এই ছেলে ভবিষ্যতে সংশোধন হবে। কারণ জ্ঞানপাপীরা পাপের রাস্তা সহজে ছাড়ে না।
একটা বিষয় লক্ষণীয় আপনার যে কটা উপন্যাস এখনো পর্যন্ত আমি পড়েছি তাদের পেছনে কেমন যেন বিষাদের করুণ সুর যুক্ত আছে। কঙ্কাবতী পড়ে যে উপলব্ধি হয়েছিল, চিলেকোঠার প্রেম শেষ করতে পারেনি ঠিকই তবে যতগুলো পড়েছিলাম তার মধ্যে একই ধারণা মনে হয়েছিল। এখানেও সেই বিষাদময় করুন সুর। মিলন কি উপন্যাসে অধরাই থেকে যাবে?
পোস্টে নবম লাইক।
শুভকামনা রইল।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হুম।

এই টাইপ মানুষেরা ভালো মন্দের ধার ধারেনা।
তার অবশ্য অনেক কারণ আছে।


হা হা জানিনা বিষাদ কেনো এসে যায় আমার লেখায় তবে বিষাদ জীবনের এক অংশ। বিশাল বড় অংশ সুখের গল্পগুলো কারো মনে থাকেনা বিষাদের গুলোই যেন বেশি নাট কীয় এবং স্মরণীয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.