নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Jinnatul Hasan Blog | জিন্নাত উল হাসান ব্লগ

আমার সাথে যোগাযোগ করতে http://bn.jinnatulhasan.com/blog এ ভিজিট করুন।

হাসান

আমার নাম হাসান, পুরো নাম জিন্নাত উল হাসান। ২০০৫ সালের অক্টোবরে এসেছি লন্ডনে। আপাতত মাস্টার্স শেষ করে একটা বহুজাতিক কোম্পানীতে ওয়েবমাষ্টার হিসেবে র্কমরত আছি। কম্পিউটার নিয়ে আমার কাজ সারাদিন। ওয়েবসাইট বানাই, ব্লগ লিখি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করি … দিন কেটে যায়। সার্চ ইঞ্জিন, বিশেষ করে গুগল, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ব্লগিং আর ইন্টারনেটে আয়ের উপায় নিয়ে পড়তে ও লিখতে ভালবাসি। আর অর্জিত জ্ঞানগুলো ঝাড়ি বিভিন্ন ব্লগে।

হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজনামচা - ডেইলী লাইফ

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ১১:৪৭

এই ব্লগে লেখা শুরু করেছি বেশ কিছু দিন হল। ব্লগগুলো পড়তে ভালই লাগে, বেশ কয়েকবারই এক কথা বলেছি। এখানে আমার সবাই নিজেদের মনের কথা বলি, আদর্শের কথা বলি, পাওয়া- না পাওয়ার কথা, চাওয়া- হতাশার কথা বলি। আদর্শের কথা লিখতে ও পড়তে ভালই লাগে। স্বপ্নের বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা সবাই দেখছি, কিন্তু আমরা কি কোনভাবে চেষ্টা করছি একে স্বপ্নের মতো করে গড়ে তুলতে।



সারাদেশের সবাই যখন দেশের তুলোধুনো করে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত তখন স্রোতের প্রতিকূলে এসে কিছু করাটাই মূখতর্া বলে মনে হয়। আমি যেবার প্রথম আয়করের জন্য কাগজপত্র ঠিক করছিলাম, সবাই বলল কম করে আয় দেখাতে, তা না হলে আয়করের লোকজন এসে যন্ত্রনা দেবে। শেষপযনর্্ত আয়করই দেইনি।



একসময় প্রত্যেক বছর টিভি লাইসেনস করতাম, বোধ করি 125 টাকা কিংবা 500 টাকা ছিল, মনে নেই। বিনোদনের তুলনায় টাকার অংকটা খুবই কম, তবুও কিছুদিন হয় ফি দেওয়াটা ঝামেলা মনে করে এটা দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছি।



আমরা নিজেরা নিজেদের কাছে স্বচ্ছ নই বলে আমরা অন্য কাউকে তার কৃতকর্মের জন্য দোষারোপ করতে পারি না। আবার আমরা আমাদের সমমনা লোকদেরকে জন প্রতিনিধির আসনে বসাই, যাতে পরবতর্ীতে আমাদের সুবিধা হয়। আর এরই সুবিধা নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা আমাদের বারোটা বাজায়, দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির উছিলা ধরে হরতাল করে, দুধ খাওয়া বাচ্চাও জানে এতে কখনই দ্রব্যের দাম কমবে না, অথচ এরা জানে না যে হরতাল কখনই রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান হতে পারে না।



আমি অন্য কারোও সম্বন্ধে বলার চেয়ে আত্নসমালোচনা করার চেষ্টা করছি। আমরা সবাই যদি প্রতিদিন কয়েক মিনিটের জন্য আত্নসমালোচনা করি তাহলে এক মাসে প্রচলিত দূনর্ীর্তির স্রোতের বিপরীতে অন্তত একটা ভাল কাজ করতে পারবো । ফলে 14 কোটি মানুষ এক মাসে একটি করে ভাল কাজ করলে বছর শেষে 168 কোটি ভাল কাজ হবে।



এভাবেই হয়তো একদিন দূনর্ীতিবহুল দেশের তালিকায় সবশেষ দেশটি হবে "বাংলাদেশ" ।



ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ বিকাল ৫:০২

অতিথি বলেছেন: আপনেরে 100 তে 500 দিলাম ভাই

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০২

অতিথি বলেছেন: হাসান ধন্যবাদ। আপনার যে বোধোদয় তা অন্যদের মধ্যেও হোক। তার অপেক্ষায়ই আছে বাংলাদেশ। অন্যের দুর্নীতি নিয়ে পাড়া মাতানো কিছু ব্লগারকে বলেছিলাম এই আত্মসমালোচনা করতে। আমরা সহজ, সৎ ও সরাসরি পথে না যেয়ে নানাভাবে নিয়মগুলোকে নিজেদের পক্ষে মুচড়াতে যাই। পরে নিজেরাই তার ফাঁদে পড়ি। তার চেয়ে ভালো নিয়ম মানা। আর সচেতন নাগরিকের কাজ হলো সেসব নিয়মে কোনো অসুবিধা থাকলে তা জানানো, প্রয়োজনে প্রতিবাদ করা। সমাজ এভাবেই এগিয়ে যায়।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ১:০২

হাসান বলেছেন: মন্তব্য করে ধন্যবাদ দেবার জন্য ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম। কিন্তু এতটুকুই কি শেষ? আশা করবো না। কারন আমরা সবাই যদি চরম সত্যটাকে উপলব্ধি করতে শুরু করি সেটাই হবে সার্থকতা। উপলব্ধিটা লিখে প্রকাশ করতে হবে না, নিজের মধ্যে থাকলেই হবে। আমরা কি পারি না, কিছু কিছু ছোট অভ্যাসের মাধ্যমে আমাদের পরিবর্তন করতে। যেমন ধরুন রাস্তা পার হচ্ছেন, সবুজ বাতি পড়েনি, একটু অপেক্ষা করেই রাস্তা পার হই। কিংবা লাইন ভেঙ্গে বাসে না উঠে, লাইনে দাঁড়িয়ে বাসে উঠার চেষ্টা করি। এটা আপাতঃদৃষ্টিতে তুচ্ছাতিতুচ্ছ মনে হতে পারে কিন্তু এই অভ্যাসগুলোই আমাদের বড় অভ্যাসের দিকে ধাবিত হতে শিক্ষা দেবে।

আমি আগেই বলেছিলাম, আমি কারোও সমালোচনা করার জন্য ব্লগটি লিখিনি। উপরে যে দুইটি অভ্যাসের কথা বলেছি সেগুলো আমি নিজে প্রাকটিস করেই তারপর আপনাদের বলছি, তাই আমাকে প্রশ্ন করবেন না, প্রশ্ন করুন নিজেকে, জবাবটা নিজেই যাচাই করুন।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.