নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

০৩ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪

পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

ছবি কৃতজ্ঞতা এআই।

ভূমিকা

নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা ইতিহাসের এক দীর্ঘ অধ্যায়। পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন শুরু হয় ১৮শ শতকের শেষভাগে, যার ফলশ্রুতিতে ধীরে ধীরে নারীবাদ (Feminism) একটি রাজনৈতিক ও দার্শনিক মতবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই নারীবাদের ঢেউ এসে লাগে উপমহাদেশের মুসলিম সমাজেও। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে প্রশ্ন হলো, ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি রাষ্ট্রে পাশ্চাত্য ঘরানার নারীবাদ কতটা গ্রহণযোগ্য? আরও গভীর প্রশ্ন হলো, এই নারীবাদ কি প্রকৃতপক্ষে নারীর সম্মান ও অধিকার রক্ষায় সহায়ক, নাকি তা ইসলামি সমাজ কাঠামো ধ্বংসের একটি উপায়মাত্র?

ইসলামী শরীয়তে নারীর মর্যাদা

ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আরব সমাজে নারী ছিল অবহেলিত ও নির্যাতিত। ইসলাম নারীর মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। কুরআনে বহু আয়াতে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। যেমন:

উত্তরাধিকার: “পুরুষদের জন্য রয়েছে যা তারা উপার্জন করে এবং নারীদের জন্য রয়েছে যা তারা উপার্জন করে।” (সূরা আন-নিসা: ৩২)

শিক্ষা: হাদীসে এসেছে—"জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর ও নারীর উপর ফরজ।" (ইবনে মাজাহ)

পরিবারে সম্মান: হাদীসে এসেছে—"তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।"

অর্থাৎ ইসলাম নারীকে ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করেছে—সমান নয়, বরং তাদের প্রকৃতি অনুযায়ী ন্যায়ের ভিত্তিতে।

বাংলাদেশের নারী নীতির বিতর্ক

বাংলাদেশের বর্তমান নারী নীতির খসড়া ও প্রস্তাবনার দিকে তাকালে দেখা যায়, একাধিক ক্ষেত্রে কুরআন-হাদীসের নির্ধারিত বিধান অগ্রাহ্য করে পশ্চিমা আদর্শকে অনুসরণ করা হয়েছে। বিশেষ করে ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত নারী নীতি বাস্তবায়ন কমিটির কিছু সুপারিশে স্পষ্টভাবে ইসলামী শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক উপাদান লক্ষ্য করা গেছে:

উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সুপারিশ: শরীয়তে পুত্র ও কন্যার অংশ নির্ধারিত, যেখানে পুত্র দ্বিগুণ পায়। কিন্তু প্রস্তাবিত নারী নীতিতে সমান ভাগের কথা বলা হয়েছে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও পোশাক: নারীর পর্দা, মসজিদে অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে এমন কিছু নির্দেশনা রয়েছে যা ইসলামের নির্ধারিত সীমার বাইরে।

পারিবারিক কাঠামো: পিতৃতান্ত্রিক পরিবার ব্যবস্থাকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে বিকল্প ‘লিঙ্গ-সমতা’ভিত্তিক কাঠামোর প্রস্তাব এসেছে।

এসব প্রস্তাব সরাসরি কুরআন, হাদীস ও ইসলামী শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক।

নারীবাদ: একটি আদর্শিক অনুপ্রবেশ?

নারীবাদ শুধুমাত্র একটি অধিকার আন্দোলন নয়, এটি একটি দার্শনিক মতবাদ। এতে নারীর ‘নিজস্বতা’কে সর্বোচ্চ স্থান দেওয়া হয়, যা বহুক্ষেত্রে পারিবারিক ও ধর্মীয় কর্তৃত্ব অস্বীকার করার পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়। মূলত নারীবাদ তিনটি তরঙ্গে (wave) বিভক্ত:

প্রথম তরঙ্গ – ভোটাধিকার ও শিক্ষার সুযোগের দাবিতে।

দ্বিতীয় তরঙ্গ – ১৯৬০-৭০ এর দশকে যৌন স্বাধীনতা, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বৈধতা ইত্যাদি বিষয়ে আন্দোলন।

তৃতীয় তরঙ্গ – সমকামী অধিকার, জেন্ডার নিউট্রাল নীতিমালা এবং 'টক্সিক ম্যাসকুলিনিটি' ইত্যাদি।

এই তিনটি তরঙ্গই মূলত পাশ্চাত্য সমাজ ব্যবস্থায় নারীর নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আবির্ভূত হলেও, তা এখন মুসলিম সমাজে আমদানি করা হচ্ছে, যেখানে ধর্ম ও সংস্কৃতি ভিন্ন।

ধর্মবিরোধী এজেন্ডা?

গবেষণা বিশ্লেষণে দেখা যায়, বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা (যেমন UN Women, USAID, Amnesty International) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘জেন্ডার ইকুইটি’ বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন করে। এই অর্থায়নের পেছনে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উদ্দেশ্যও থাকে। লক্ষ্য করা গেছে, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দেশের ভেতরে কিছু এনজিও, ব্যক্তিবিশেষ ও তথাকথিত নারীবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় ভূমিকা রাখে, যারা ধর্ম ও সংস্কৃতিকে বাঁধা হিসেবে চিহ্নিত করে।

উপসংহার

বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে নারী উন্নয়ন অবশ্যই প্রয়োজন, তবে তা হতে হবে ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। কুরআন ও হাদীসের আলোকে নারীকে যে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে তা পাশ্চাত্য নারীবাদের চেয়ে বহু গুণ শ্রেষ্ঠ ও টেকসই। কাজেই যারা ইসলামী আদর্শ অস্বীকার করে নারীবাদী নীতিমালা চাপিয়ে দিতে চান, তারা আসলে দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করতেই সচেষ্ট।

আমাদের করণীয় হলো—নারী উন্নয়নের নামে কোনো ধর্মবিরোধী মতবাদ বা নীতিকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে না দেওয়া এবং ইসলামের মূলনীতির আলোকে নারীর প্রকৃত মর্যাদা রক্ষায় সক্রিয় থাকা।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৬

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: হেফাজত জুলাই বিপ্লবকে পন্ড করতে মাঠে নেমেছে।বাংলাদেশে খেলাফত নাই, শরিয়া আইন নাই। এই দেশের আইন আদালত ব্রিটিশ সিস্টেমের। তাহলে কেন তাদের নারী কমিশনে আপত্তি? যাতে মামুনুল গং বহুকামিতা নিরুপদ্রপে চালিয়ে যেতে পারে?

০৩ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



হেফাজতের নারী কমিশন নিয়ে আপত্তি মূলত তাদের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, যেখানে তারা মনে করে কিছু নীতি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। মামুনুল হকের ব্যক্তিগত আচরণ দিয়ে পুরো সংগঠনকে বিচার করা যৌক্তিক নয়। আবার, নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে যেকোনো উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে, তবে তা যেন ধর্মবিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য না করে—এই চাহিদাও উপেক্ষা করা যায় না।

২| ০৩ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

Sulaiman hossain বলেছেন: মেঠোপথ২৩:বলেছেন: হেফাজত জুলাই বিপ্লবকে পন্ড করতে মাঠে নেমেছে।বাংলাদেশে খেলাফত নাই, শরিয়া আইন নাই। এই দেশের আইন আদালত ব্রিটিশ সিস্টেমের। তাহলে কেন তাদের নারী কমিশনে আপত্তি? যাতে মামুনুল গং বহুকামিতা নিরুপদ্রপে চালিয়ে যেতে পারে?
আমার প্রশ্ন হল, এত অধিক সংখ্যক মুসলমানের দেশে একটি ইসলামবিরোধী আইন কিভাবে মেনে নেওয়া যায়। যদি তা ধর্মীয় আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হয়।অথচ দেশের থেকেও মুসলমানদের নিকট ধর্ম আগে।তারা ধর্মকে রক্ষা করার জন্য সবকিছু ছাড়তে এমনকি নিজের জীবন হাসিমুখে বিলিয়ে দিতে রাজি আছে।
বাংলাদেশে খেলাফত নাই শরীয়া আইন নাই
কিন্তু বাংলাদেশে কি মুসলমানও নাই, কি মনে হয় আপনার।আপনার চিন্তা ভাবনা চমৎকার!!!

০৩ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও বাস্তবতার প্রতিফলন রয়েছে। ইসলামবিরোধী কোনো আইন যদি অধিক মুসলমানের দেশে প্রণীত হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে—এটা স্বাভাবিক। ধর্মপ্রাণ জনগণ ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক নীতি মানতে চাইবে না, এটাই বাস্তবতা। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্ম ও সংবিধানের ভারসাম্য রক্ষা করাও জরুরি।

৩| ০৩ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মেঠোপথ ২৩@ সবাই কে আপনার জুলাই অভ্যুত্থান পন্ডকারী মনে হয়। নারী কমিশনে নারী ইসলামিক স্কলার সদস্য হিসাবে নিলে এই সমস্যা হতো না।

০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৮:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



যথার্থ বলেছেন। নারী কমিশনে নারী ইসলামিক স্কলারদের সদস্য হিসাবে নিলে এই সমস্যা হতো না। ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

যামিনী সুধা বলেছেন:



যা আপনার পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়, উহা নিয়ে গরুর রচনা লেখেন কেন? আপনি বজ্রপাত থেকে বাঁচার দোয়া নিয়ে লিখুন।

০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৮:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পরবর্তী আইডির নাম ঠিক করেছেন? উহা ঠিক করার সময় সম্ভবতঃ কাছাকাছি।

৫| ০৩ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

যামিনী সুধা বলেছেন:



ইসলাম হচ্ছে বেদুইনদের সামাজিক জীবন ভাবনা।

০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৮:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার বক্তব্যটি ইতিহাস ও বাস্তবতার বিপরীতে বিদ্বেষপ্রসূত। ইসলাম কোনো বেদুইন সমাজের চিন্তা নয়—এটি এক বিশ্বজনীন জীবনব্যবস্থা, যা মানবতার কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষ ইসলামের অনুসারী—যারা বিভিন্ন জাতি, সংস্কৃতি ও ভাষার। এভাবে ধর্মকে হেয় করা কেবল অজ্ঞতা ও অসহিষ্ণুতারই পরিচয়।

ইসলামের মৌলিক শিক্ষা মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, দয়া ও শান্তির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। বেদুইনদের যাপিত জীবনের সঙ্গে এর তুলনা করা যেমন নির্বুদ্ধিতা, তেমনি ইচ্ছাকৃত অপপ্রচারের শামিল।

তথ্য না জেনে বা বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে এভাবে ধর্মকে হেয় করার চেষ্টা এক ধরনের বুদ্ধিবিকলতা ও অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করে। ভিন্নমত থাকা এক কথা, কিন্তু ইতিহাস বিকৃত করে বিদ্বেষ ছড়ানো কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

৬| ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৮:৪২

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নারীদের সমান অধিকার, বহুবিবাহ বন্ধের প্রস্তাব, যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি, বিভিন্ন বিষয়ে নারী-পুরুষ সমান অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।


বাংলাদেশে যেহেতু শরিয়া আইন বলবৎ নয়, তাই এখানে ধর্মের আলোকে আইন বাস্তবায়নের প্রশ্নই বা উঠে কেন? সংস্কার কমিশনে যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে তা সবই উন্নত ও সভ্য দেশে আইন হিসাবে আছে। এই আইনগুলোর মাধ্যমে উন্নত দেশে বহুগামিতা , পরকিয়া রোধ করা হয়। আমাদের দেশের নারী ও শিশুদের রক্ষার জন্য কো্ন আইনই নাই। পুরুষের ইচ্ছে হলেই আরেকটা বিয়ে করতে পারে , পরকিয়া করে খুব সহজেই ডিভোর্স দিয়ে দিতে পারে। পরকিয়াতো আমাদের দেশে এখন মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেছে। এর কুফল ভোগ করছে করছে নারী ও শিশুরা। কারন তাদের অধিকার রক্ষায় কোণ আইনই নাই। আবার সম্পত্তির ক্ষেত্রেও উন্নত দেশে ছেলে মেয়ে সমান ভাগ পায়। বাংলাদেশে এখন অনেকেই সন্তানদের সমভাবে বন্টন করার উদ্দেশ্যে সম্পত্তি সন্তানদের নাম ধরে হেবা করে দিচ্ছে । কেউ যদি ছেলে সন্তানকে বেশি দিতে চায় তাহলে সেইভাবে হেবা করলেই চলে। তাই আইন হলেতো সমস্যার কিছু দেখি না। কারন প্রচলিত আইনে মেয়েদের বঞ্চিত করার একটা প্রয়াস রয়েছে যেটা অনেক পিতা মাতাই চায় না।

জুলাই বিপ্লব হয়েছে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যও নয় বা মৌ্লবাদীদের আস্কারা দেয়ার জন্যও নয়। এই দেশটাকে উন্নত ও সভ্য রাস্ট্রে পরিনত করার জন্যই ছাত্ররা ডক্টর ইউনুসকে বেছে নিয়েছে।

০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৯:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



বাংলাদেশে যেহেতু শরিয়া আইন বলবৎ নয়, তাই এখানে ধর্মের আলোকে আইন বাস্তবায়নের প্রশ্নই বা উঠে কেন?

-যেহেতু বাংলাদেশের জনগণের বড় অংশ মুসলিম, তাই ন্যায়ের ভিত্তিতে আইন তৈরিতে ধর্মীয় মূল্যবোধ উপেক্ষা করা যায় না। ইসলাম শুধু ইবাদতের ধর্ম নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা—আইন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা এতে রয়েছে। তাই শরিয়াভিত্তিক আলোচনার যৌক্তিকতা এখানেই।

এছাড়া, আপনার বক্তব্যে যেসব সামাজিক সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে—যেমন পরকীয়া, বহুগামিতা, নারী ও শিশুদের অধিকার হরণ—এসব সত্যিই আমাদের সমাজের জন্য উদ্বেগজনক। তবে এসব সমস্যার সমাধান ইসলামবিরোধী আইন বা পশ্চিমা অনুকরণ নয়, বরং ইসলামি শিক্ষার সঠিক বাস্তবায়নেই রয়েছে।

ইসলামে নারী ও শিশুদের অধিকারের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
পুরুষের একাধিক বিয়ে করার অনুমতি থাকলেও তা কঠিন শর্তসাপেক্ষ—ন্যায়বিচার, সামর্থ্য ও সততা ছাড়া তা বৈধ নয় (সূরা নিসা ৪:৩)। পরকীয়া ইসলাম স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করেছে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান দিয়েছে। ইসলামের প্রচলিত শরিয়া আইন হলে বরং এই অপরাধগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হতো।

সম্পত্তি বণ্টন ক্ষেত্রেও ইসলাম একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিধান দিয়েছে।
পিতা-মাতার সম্পত্তি ছেলে-মেয়েকে নির্দিষ্ট অংশে বণ্টনের নির্দেশ আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে (সূরা নিসা ৪:১১)। এখানে ‘বঞ্চনা’ নয়, বরং পরিবারের দায়িত্ববন্টনের ভিত্তিতে একটি ন্যায্য সমাধান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সমানভাবে দিতে চান, ইসলাম হেবা বা দানকে অনুমোদন করে, তবে তা যেন সুবিচারভিত্তিক হয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—আইন যতই আধুনিক হোক, যদি নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ না থাকে, তবুও সমাজে অন্যায়-অবিচার চলতেই থাকবে। তাই শুধু আইন সংস্কার নয়, আমাদের প্রয়োজন ধর্মীয় শিক্ষার সঠিক চর্চা ও সমাজে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা।

৭| ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:০৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ভাই আপনার ইসলাম ধর্ম বিষয়ে ব্যপক পড়ালেখা রয়েছে বলে আপনি কোরআনের আলোকে সুন্দর যুক্তিগুলো তুলে ধরেছেন। কিন্ত হেজাজত এইসব যুক্তিগুলো তুলে ধরে নাই। তারা সরাসরি নারী সংস্কার কমিশন বাতিল চেয়েছে!! এতে কিন্তু সমাজে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ভিন্ন বার্তা যাচ্ছে।

ইসলামে নারী ও শিশুদের অধিকারের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
পুরুষের একাধিক বিয়ে করার অনুমতি থাকলেও তা কঠিন শর্তসাপেক্ষ—ন্যায়বিচার, সামর্থ্য ও সততা ছাড়া তা বৈধ নয় (সূরা নিসা ৪:৩)। পরকীয়া ইসলাম স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করেছে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান দিয়েছে। ইসলামের প্রচলিত শরিয়া আইন হলে বরং এই অপরাধগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হতো।

নারী সংস্কার কমিশনেও বহুবিবাহ বন্ধের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটাই তারা হয়ত তারা একজন ইসলামিক স্কলারের সাহায্য নিয়ে সে আলোকে করলে ভাল হত। পরকীয়া ইসলামে যেহেতু স্পষ্টভাবে হারাম , তাই ডিভোর্স প্রসিডিউর কঠিন করা প্রয়োজন। উদাহরন হিসাবে অপু শাকিব বুব্রলির কথাই বলি। তারা মিডিয়ার মানুষ বলে আমরা জানতে পারছি।তবে এরকম ঘটনা এখন আমাদের দেশে ঘরে ঘরে হচ্ছে। শাকিব বাংলাদেশে যা করতে পেরেছে তা কিন্তু পশ্চিমা দেশে হলে করতে পারত না কারন ডিভোর্স আইন খুবই কঠিন তা নারী হোক বা পুরুষই হোক।

সংস্কার কমিশনের উচিত একজন ইসলামিক স্কলারকে সাথে নেয়া।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ ভোর ৫:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই। আমি চেষ্টা করেছি কোরআনের আলোকে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করতে। তবে কারো উগ্র বা একপেশে বক্তব্যে যেন ইসলামকে ভুলভাবে না বোঝা হয়, সে দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ইসলাম সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ ও যুক্তিভিত্তিক ধর্ম।

নারী সংস্কার কমিশনেও বহুবিবাহ বন্ধের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটাই তারা হয়ত তারা একজন ইসলামিক স্কলারের সাহায্য নিয়ে সে আলোকে করলে ভাল হত। পরকীয়া ইসলামে যেহেতু স্পষ্টভাবে হারাম , তাই ডিভোর্স প্রসিডিউর কঠিন করা প্রয়োজন। উদাহরন হিসাবে অপু শাকিব বুব্রলির কথাই বলি। তারা মিডিয়ার মানুষ বলে আমরা জানতে পারছি।তবে এরকম ঘটনা এখন আমাদের দেশে ঘরে ঘরে হচ্ছে। শাকিব বাংলাদেশে যা করতে পেরেছে তা কিন্তু পশ্চিমা দেশে হলে করতে পারত না কারন ডিভোর্স আইন খুবই কঠিন তা নারী হোক বা পুরুষই হোক।

সংস্কার কমিশনের উচিত একজন ইসলামিক স্কলারকে সাথে নেয়া।


আপনার কথাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিই, ইসলামিক স্কলারের পরামর্শ নিয়ে সংস্কারের প্রস্তাব দিলে তা সমাজে গ্রহণযোগ্যতা পেত। পরকীয়া হারাম—এটা যেমন পরিষ্কার, তেমনি ডিভোর্স ব্যবস্থাকেও আরও দায়িত্বশীল করা জরুরি। আইন ও ধর্ম—দুটোর সমন্বয়েই টেকসই সমাধান আসতে পারে।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ ভোর ৪:২০

লুধুয়া বলেছেন: আপনার মতো মোল্লা মানসিকতার লোকজন যত দিন থাকবে মুসলিম বিশ্ব পিছুবে আরো।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ ভোর ৫:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:


আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। তবে ইসলাম বিদ্বেষ নয়, শান্তি, যুক্তি ও জ্ঞানের আলোকে আলোচনা করলেই সমাজ এগিয়ে যাবে। বিদ্বেষ কখনোই সমাধান হতে পারে না।

৯| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: যামিনী সুধা বলেছেন: যা আপনার পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়, উহা নিয়ে গরুর রচনা লেখেন কেন? আপনি বজ্রপাত থেকে বাঁচার দোয়া নিয়ে লিখুন।

আমার ওস্তাদ যা লিখেছেন, এরপর আর কোনো কথা চলে না।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



যার অন্তরে ঈমান থাকে, সে জানে—বিশ্বাসের জগতে অনেক কিছুই 'অনুধাবন' নয়, বরং 'অনুভব'-এর বিষয়। আপনি আর আপনার ওস্তাদ যাকে 'গরুর রচনা' বলছেন, হয়তো সেটাই কারও চিন্তার জানালা খুলে দিতে পারে। ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করার আগে নিজের বোধের সীমা নিয়ে ভাবুন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা হয়নি। কটাক্ষ করা হয়েছে তাদের যারা গতকাল নারীদের অপমান করেছে।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি এবং আপনার ওস্তাদের এই ব্লগে প্রধান কাজই ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করা।

অবশ্য আপনাদের দুই চার জনের কটাক্ষের কারণে বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটি মুসলিমের তেমন কিছু যায় আসে না। ধন্যবাদ।

১১| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২১

নতুন বলেছেন: নারীদের নিয়ন্ত্রনে রাখাই ধর্মের উদ্দেশ্য। মোল্যারা নারীরা তাদের চেয়ে বেশি স্বাধীন সেটা মানতে পারেনা।

স্বামীর অধিনস্থ থাকার জন্য শত শত হাদিস আছে। না থাকলে কি কি সাজা সেটার বর্ননা আছে।

নারীকে কেন পুরুষেরা তাদের ইচ্ছা মতন পোষাক পরিধান করতে দিতে চায় না?
কেন একজন নারী মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেবার স্বাধিনতা দিতে চায় না?

উন্নত দেশে নারীরা সাধারন মানুষের মতন বাচতে পারে। এটা যত বেশি আমাদের দেশের নারীরা দেখবে তাদের কে মোল্যারা বেধে রাখতে পারবেনা।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যটি ধর্ম ও নারীর স্বাধীনতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে তবে এতে ইসলাম সম্পর্কে একপাক্ষিক ও নেতিবাচক ধারণা প্রতিফলিত হয়েছে। ইসলাম নারীকে শুধু নিয়ন্ত্রণের অধীন রাখে—এমন দাবি পুরোপুরি সঠিক নয়। বরং ইসলাম নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে, যেগুলোর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য এবং প্রয়োগ বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।

নারীর পোশাক, স্বাধীনতা ও স্বামীর অধীনতা সংক্রান্ত হাদীসগুলোকে অনেক সময় ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। ইসলাম নারীকে যেমন পবিত্রতা ও সম্মানের চাদরে রাখে, তেমনি পুরুষের ওপরও দায়িত্ব দিয়েছে নারীকে মর্যাদা, অধিকার ও স্বাধীনতা দেওয়ার। আধুনিক বিশ্বের অনেক দেশেই নারীর ‘মুক্তি’ কথাটির আড়ালে শোষণ, বাণিজ্যিক ব্যবহার ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা যায়।

সত্যিকার মুক্তি তখনই আসে যখন একজন নারী নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে—ধর্মের আলোকে, বিবেকের আলোকে, বাধ্যবাধকতার নয়, বরং স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে। ইসলামে সেই ভারসাম্যটাই খোঁজা হয়েছে।

উন্নত দেশে নারীরা সাধারন মানুষের মতন বাচতে পারে। এটা যত বেশি আমাদের দেশের নারীরা দেখবে তাদের কে মোল্যারা বেধে রাখতে পারবেনা।

-ভাবীকে নিয়ে উন্নত দেশে (যতটুকু জানি, মধ্যপ্রাচ্যের) আছেন বহু বছর। বাস্তব অভিজ্ঞতায় মন্তব্যের প্রতিফলন দেখছেন বলে মনে হয় না। কারণ, আপনার নিকট থেকে ইতোপূর্বে জেনেছিলাম যে, ভাবী একজন ধার্মিক মহিলা এবং আপনি তার ধর্মকর্মে বাধা দেন না। আশা করি, অভিজ্ঞতা জানাবেন এবং আমাদের সন্দেহ দূর করতে সাহায্য করবেন।

১২| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৪:১৫

নতুন বলেছেন: -ভাবীকে নিয়ে উন্নত দেশে (যতটুকু জানি, মধ্যপ্রাচ্যের) আছেন বহু বছর। বাস্তব অভিজ্ঞতায় মন্তব্যের প্রতিফলন দেখছেন বলে মনে হয় না। কারণ, আপনার নিকট থেকে ইতোপূর্বে জেনেছিলাম যে, ভাবী একজন ধার্মিক মহিলা এবং আপনি তার ধর্মকর্মে বাধা দেন না। আশা করি, অভিজ্ঞতা জানাবেন এবং আমাদের সন্দেহ দূর করতে সাহায্য করবেন।

উন্নত দেশে অথবা মধ্যপ্রাচ্যে - আরব আমিরাতে থাকা অর্থ কিন্তু নারীরা ছোট পোষাক পরিধান করে তেমন না।

আমি কারুরই ধর্মকর্মে বাধা দেই না। কিন্তু সামনে যদি কেউ ভুল ধারনা নিয়ে ওয়াজ করে তখন তাকে প্রশ্ন করি।
আমরা দুজন পরিবারের প্রতিটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেই। তার যে কোন প্রয়োজন মেটাতে যথাসাধ্য চেস্টা করি।
দুজন একসাথে দীর্ঘ দিন সংসার করলে দুজনের চয়েস একই রকমের হয়ে যায়। একে অন্যের লাইন শেষ করতে পারে।

একজন পুরুষ টাকা আয় করতে পারে, হোটেল ভাড়া করে থাকতে পারে, রেস্টুরেন্টে ৩ বেলা খেতে পারে। পতিতা দিয়ে যৌন ক্ষধা মেটাতে পারে। তার জীবন খুবই আরাম আয়েশে পার করতে পারে।

কিন্তু একজন স্ত্রী পুরুষের জীবন পরিপূর্ণ করে। স্ত্রী চার দেয়ালকে বাড়ীতে পরিনত করে, সন্তান নিয়ে আসে পরিবারকে পূর্ণ করে।

আপনি ভাবনায় একটু মডারেট ভাবে নারী স্বাধিনতার কথা বলেন। কিন্তু মামুনুল হকেরা সেটার চেয়েও অনেক কঠিন ভাবেই নারীদের নিয়ন্ত্রনের কথা বলে। কারন তাদের মাথায় কাজ করে যে নারী পুরুষের অধীন। তাই তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। সেটা দোজোখের ভয় দেখিয়ে, নতুবা বেহেস্তের লোভ দেখিয়ে।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি কারুরই ধর্মকর্মে বাধা দেই না। কিন্তু সামনে যদি কেউ ভুল ধারনা নিয়ে ওয়াজ করে তখন তাকে প্রশ্ন করি।
আমরা দুজন পরিবারের প্রতিটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেই। তার যে কোন প্রয়োজন মেটাতে যথাসাধ্য চেস্টা করি।
দুজন একসাথে দীর্ঘ দিন সংসার করলে দুজনের চয়েস একই রকমের হয়ে যায়। একে অন্যের লাইন শেষ করতে পারে।

একজন পুরুষ টাকা আয় করতে পারে, হোটেল ভাড়া করে থাকতে পারে, রেস্টুরেন্টে ৩ বেলা খেতে পারে। পতিতা দিয়ে যৌন ক্ষধা মেটাতে পারে। তার জীবন খুবই আরাম আয়েশে পার করতে পারে।

কিন্তু একজন স্ত্রী পুরুষের জীবন পরিপূর্ণ করে। স্ত্রী চার দেয়ালকে বাড়ীতে পরিনত করে, সন্তান নিয়ে আসে পরিবারকে পূর্ণ করে।


-আপনার এই কথাগুলো খুবই ভালো লাগলো। আসলে, ইসলামের আলোকে, নারী ও পুরুষ উভয়েই আল্লাহর কাছে সমান মর্যাদাসম্পন্ন, তবে তাদের ভূমিকা আলাদা। কুরআনে বলা হয়েছে:

“তোমাদের মধ্যে যে পুরুষ কিংবা নারী সৎকর্ম করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে” (সূরা আন-নিসা 4:124)।

নারীর স্বাধীনতা ইসলাম স্বীকৃত করেছে, যেমন—নিজ অর্থ ব্যবহারের অধিকার, শিক্ষা ও সম্পত্তির অধিকার, সম্মানের সাথে জীবনযাপনের অধিকার।

তবে ইসলাম শালীনতা ও সামাজিক শৃঙ্খলার দিকেও গুরুত্ব দেয়। কারো পছন্দ বা চয়েসকে ইসলাম অগ্রাহ্য করে না, বরং একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজের দিকে আহ্বান জানায়।

কাজেই, ইসলামে নারীকে দোজখের ভয় বা বেহেশতের লোভ দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ করাকে ধর্মীয়ভাবে সমর্থনযোগ্য বলা যাবে না। বরং বোঝাপড়া, সম্মান ও দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমেই ইসলামি সংসার গড়ে ওঠে।

আপনার চিন্তাভাবনায় ভারসাম্য ও দায়িত্ববোধের যে দৃষ্টিভঙ্গি আছে, সেটিই ইসলামি শিক্ষার মূল সুর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.