নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন বিদ্রোহীর গর্জন

কবি ও কাব্য

একজন বিদ্রোহী বলছি ঃ যেখানে দেখিবে কোন অন্যায় অত্যাচার সেইখানে পাইবে শুনিতে আমার হুংকার সময় এসেছে সাথিরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আবার নতুন করে গর্জে উঠার।

কবি ও কাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা গান এর অন্যএক ধারার নাম “জেমস” (জেমস এর অজানা অধ্যায়)

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫৪

অনেক দিন আগের কথা তখন আমি ২য় শ্রেণীতে পড়ি। আমার ছোট মামা একদিন একটি সাদা রঙের কভারের একটি অডিও ক্যাসেট নিয়ে ঘরে ফিরলেন যেটি সেদিন প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো। আমি ক্যাসেটটি হাতে নিয়ে দেখতে লাগলাম । সেখানে ছিল একজন মানুষের ছবি আকা যে দাঁড়ানো অবস্থায় আছে এবং এর নিচে লিখা “অনন্যা- জেমস “। আমি মামাকে জিজ্ঞেস করলাম “মামা এটা কার ক্যাসেট”? মামা বললেন “জেমস এর ক্যাসেট”? আমি নাম শুনে আবার জিজ্ঞেস করলাম “ও এটা ইংরেজি শিল্পীর গান”? মামা বললেন “নারে! এটা বাংলা শিল্পীর গান”। আমি মামার কথায় তখনো বিশ্বাস করেনি,তাই বললাম “ তুমি জানো না, এইটা ইংরেজি শিল্পীর গান, না হলে নাম ‘জেমস ‘ হতো কেন”? মামা এবার বিরক্ত হয়ে বললেন “বাপ! আমারে মাপ কর তুই! তুই থাকলে থাক ,না থাকলে ভাগ! আমি ক্যাসেটটা শুনি, বিরক্ত করিস না”! মামার ঝাড়ি খেয়ে আমি চুপচাপ মামার পাশে বসে সেই ক্যাসেটের গান শুনতে লাগলাম। সেই থেকে পরিচয় এক অদ্ভুত কণ্ঠের সাথে! যার গান আজো মুগ্ধ করে যায় অবিরত। হ্যাঁ বন্ধুরা, আমি আমাদের প্রিয় “জেমস” এর কথা বলছি। যার পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। তাঁর বাবা ছিলেন সরকারি চাকুরেজীবি, সেই সুত্রে ছোট বেলা থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেরিয়েছিলেন। তাঁর বাবা যখন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারমান ছিলেন তখন সেই চট্টগ্রাম থেকেই তাঁর সঙ্গীতের পাগলামি শুরু মানে সেখান থেকেই তারে সবাই চিনতে শুরু করে। ৯ম শ্রেণী পড়া অবস্থায় বাবা তাঁর বখে যাওয়া সন্তান টিকে একদিন ঘর থেকে বের করে দেয় পড়াশুনায় মনোযোগ না থাকায়। সেই সময় চট্টগ্রামের “আজিজ বোর্ডিং” হয় তাঁর গানের কারখানা । যে “আজিজ বোর্ডিং “ নিয়ে সম্পূর্ণ একটা গান তিনি পরে গেয়েছিলেন। “আজিজ বোর্ডিং” এর সব গুলো কথা তাঁর সৃতিময় সেই দিনগুলো থেকে নেয়া যা সব সত্যি ঘটনা। তাঁর উপর ক্ষুব্ধ থাকা তাঁর সেই স্বর্গীয় পিতা নিশ্চয় আজ স্বর্গ থেকে ছেলের সফলতা দেখে খুশী মনে আছেন! তিনি যাকে শিক্ষিত করে তাঁর মতো বড় কোন সরকারী কর্মকর্তা বানাতে চেয়েছিলেন আজ হয়তো তাঁর সেই দুঃখ নেই। কারন তাঁর ছেলে যে আজ বাংলাদেশের সঙ্গীতের অভিভাবক হয়ে বিদেশেও সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

১৯৮৭ সালে বের হয় জেমস এর প্রথম একক অ্যালবাম “অনন্যা”। যার সবগুলো গান ছিল আসলেই অনন্যা ও ব্যতিক্রম। আজ যদি কেউ সেই অ্যালবাম প্রথম শুনে তাহলে তারও বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে গানগুলো জেমস এর গাওয়া। এর মূল কারন সেই গানগুলোতে ছিল সদ্য টগবগে এক তরুনের মিষ্টি মধুর পরিশীলিত সুর। আজ জেমস এর মাঝে খুব কম গানে পাওয়া যায়। ১৯৮৮ সালে আসাদ, ফাণ্টী ও বুলবুল কে নিয়ে জেমস গড়ে তুলেন “ফিলিংস” ব্যান্ড যাদের অনুশীলন থেকে শুরু করে থাকা ,খাওয়া সব হতো সেই “আজিজ বোর্ডিং” এর এক কামরায়। সেই কামরায় তাঁদের কত বিনিদ্র রাত কেটেছে শুধু গান তৈরির নেশায়। ১৯৮৯ সালে বের হয় “ফিলিংস’ এর ১ম অ্যালবাম “স্টেশন রোড”। যেখানে সেই “অনন্যা জেমস” আবারো একইরকম অন্য কিছু ভালোলাগা নিয়ে হাজির হয়। সেই অ্যালবাম এর “ঝর্না থেকে নদী”, “স্টেশন রোড” “দুঃখ কেন কররে মন” “আমায় যেতে দাও” “রুপসাগরে ঝলক মারিয়া” “সত্যই সুন্দর” সহ সবগুলো গানই ছিল অপূর্ব। যেখানে জেমস এর নীরব হাহাকার, প্রেমের আকুতি,অন্যায়ের প্রতিবাদ সব কিছু ফুটে উঠেছে এক অদ্ভুত সুন্দর ভাবে। বাংলাদেশের মানুষকে “জ্যাজ মিউজিক” এর সাথে সুন্দর ভাবে পরিচয় করিয়ে দেয় তাঁরা। সেদিন বাংলাদেশের মানুষ ও বুঝতে পারলো আমাদের ছেলেরাও কঠিন “জ্যাজ মিউজিক” করতে জানে। এরপর টানা ৯০-৯২ জেমস এবং ফিলিংস এর কোন নতুন খবর তাঁদের ভক্তরা পায়নি। এর মধ্যে ৯২ সালে জেমস ভালোবেসে বিয়ে করেন মডেল ও পরবর্তীতে অভিনেত্রী ও রথি কে (১৯৯২ সালে নায়ক আমিন খান এর সাথে জুটি হয়ে “অবুজ দুটি মন” ছবিতে অভিনয় করেন যা ছিল তাঁর একমাত্র ছবি ও সুপারহিট) বিয়ে করেন। যিনি পেশগত ভাবে একজন শিক্ষিকা ছিলেন। ১৯৯৩ সালে আবার চুপচাপ থাকা জেমস ও “ফিলিংস” শ্রোতাদের সামনে নিয়ে আসেন “জেল থেকে বলছি “ অ্যালবাম। মুলত এই অ্যালবাম দিয়ে নতুন দশকের শ্রোতাদের কাছে জেমস ও ফিলিংস এর পরিচয় ঘটে। তখন এই অ্যালবামটি কিছুদিন আগে বাজারে আসা এল.আর.বি এর প্রথম ২টা অ্যালবাম এর জনপ্রিয়তায় ভাগ বসায় এবং অডিও বাজারে একটা বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেয়। যার ফলে ১ম অ্যালবাম দিয়ে চুপ করে থাকা “মাইলস” তাদের প্রত্যাশা অ্যালবাম প্রকাশ করে সেই ঝাঁকুনিটা আরও বাড়িয়ে দেয়। শ্রোতারা তখন একসাথে ৪ টি অ্যালবাম (হকার, ঘুম ভাঙা শহরে (এল.আর.বি), জেল থেকে বলছি (ফিলিংস), প্রত্যাশা (মাইলস) নিয়ে দিশেহারা হয়ে যায়, কোনটা রেখে কোনটা শুনবে এই ভেবে। আর অডিও বাজারও তখন চরম সফলতার যুগে প্রবেশ করে। সেই “জেল থেকে বলছি’ এক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর করুন অনুভুতি ও আর্তনাদ নিয়ে জেমস তাঁর আসন পাকাপোক্ত করে নেন। তখন ব্যান্ড এর কন্সার্ট এ জেমস কে পাওয়া মানে শ্রোতাদের অন্যরকম উম্মাদনা। ১৯৯৪ সালে বের হয় জেমস এর ২য় একক অ্যালবাম “পালাবে কোথায়” যেটি ছিল এক প্রেমিকের প্রেমিকার প্রতি কঠিন প্রশ্ন ! যে তাঁর ভালোবাসার অস্রু ও সুখময় সৃতি দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে বেঁধে রাখতে চায়। এই অ্যালবাম টিও তখন শ্রোতা প্রিয়তা পায়। জেমস তখন হয়ে যায় “গুরু জেমস”। যেন নতুন যুগের এক কাণ্ডারি যে কিনা যেমন নাচাতে চায় শ্রোতারাও তেমনি নাচে। একই বছরে বের হয় প্রিন্স মাহমুদের প্রথম ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম “শক্তি” যেখানে জেমস এর গান ২টি ছিল শ্রোতাদের আকাশের চাঁদ হাত পাওয়ার মত। একই বছরে মিক্সড ও একক অ্যালবাম এর মাধ্যমে জেমস শ্রোতাদের কাছে এক উম্মাদ ঝড়ের নাম হয়ে উঠে। চারিদিকে তখন ২টা পক্ষ “জেমস এর ভক্ত” ও “জেমস এর বিরোধী” স্পষ্টত মুখোমুখি অবস্থান নেয়। হয়তো এই অনিবার্য সংঘাত এড়ানোর জন্যই তখন জেমস ও ফিলিংস নিয়ে আসে “লেইস ফিতা লেইস” অ্যালবামটি (যেটি ছিল ফিলিংস নাম নিয়ে সর্বশেষ অ্যালবাম) । যে অ্যালবাম এ “পথের বাপ” “বায়স্কোপ” “সিনায় সিনায়” “হাউজি” “পুবের হাওয়া” “দে দৌড়” “নিরান্নব্বই নামে তিনি” সহ সবগুলো গান চরম শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। যার ফলে “গুরু” নামটি জেমসের সাথে পাকাপোক্ত ভাবে বসে যায়। তখন জেমস ছিল অবাধ্য ও বিশৃঙ্খল তরুণদের শান্ত করার এক যাদুকর। জেমস কন্সার্টে আসা আগ পর্যন্ত যে তরুণরা তাকে দেখার অপেক্ষায় উদগ্রীব হয়ে থাকতো তাদের উদ্দেশে মঞ্চে উঠেই জেমস বলতেন” তোরা শান্ত হয়ে যা! আমি এসে গেছি!” ব্যস, সবাই সেই যাদুকরের কথায় শান্ত হয়ে যেত আর তাঁর গানগুলোতে ঠোঁট মিলিয়ে গাইত। “লেইস ফিতা লেইস “অ্যালবাম দিয়ে জেমস তাঁর বিরোধী শিবিরে যে আঘাত এনেছিলেন তাঁর শেষ আঘাত দিয়ে বিরোধী শিবির কে একেবারে নিশ্চিনহ করতে তিনি নিয়ে আসেন তাঁর একক অ্যালবাম “দুঃখিনী দুঃখ করোনা”। যা দিয়ে তিনি তাঁর বিরোধী শিবির কে একেবারে লণ্ডভণ্ড করে দেন। সেই অ্যালবাম এর সবগুলো গান এতোটাই জনপ্রিয় হয় যে তাঁর বিরোধী শিবির এর লোকেরাও সবাই তাঁর ভক্ত হয়ে যায়। বিশেষ করে “যদি কখনও ভুল হয়ে যায়” গানটি জেমস এর সর্বকালের সেরা একটি গানে পরিণত হয়। যে গানে জেমস এর আবেগ এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে কোন মানুষ এর চোখে জল আনতে বাধ্য করতো। সেই ফেলে আসা ৯০ দশকে জেমস আরও একটি চমৎকারউপহার ছিল তাঁর ব্যান্ড (ফিলিংস) এর নতুন নামে প্রকাশ “নগর বাউল” এর প্রথম অ্যালবাম যেখানে “মান্নান মিয়ার তিতাস মলম” , “আমি এক নগর বাউল”, “আমি তারায় তারায় রটিয়ে দিবো”, “নাগ নাগিনির খেলা” “হুমায়রা নিঃশ্বাস চুরি হয়ে গেছে” গানগুলো। তাঁর আগে আরেকটি কথা না বললেই নয় তখনকার সমান জনপ্রিয় এল.আর.বি এর সাথে ফিলিংস এর পরপর ২ টি যৌথ অ্যালবাম “ক্যাপসুল ৫০০ এম.জি” এবং “স্ক্রু ড্রাইভার” নামক অ্যালবামগুলো। যা শ্রোতাদের কাছে আজো একটি লোভনীয় অ্যালবাম হিসেবে পরিচিত। গত দশকে এই গুরু জেমস কে আমরা যেভাবে পেয়েছিলাম এই দশকে তাঁর কোন ছিটেফোঁটাও আজো পাইনি। বিশেষ করে সেই দশকে জেমস এর ফিলিংস,নগরবাউল ও একক অ্যালবাম ছাড়াও প্রতিটি মিক্সড অ্যালবাম এ গাওয়া গানগুলো অসাধারণ! বিশেষ করে প্রিন্স মাহমুদের সুর ও সঙ্গীতের মিক্সড অ্যালবাম এর “ জানালা ভরা আকাশ”(শক্তি),”আমি ও আঁধার” (শক্তি),”শেষ দেখা “(শেষ দেখা),”মা”(এখনও দু চোখে বন্যা), “ফুল নিবে না অস্রু নিবে” (দেয়াল),”মন আমার পাথরের দেয়াল তো নয়” (দেয়াল),"কিছু ভুল ছিল তোমার" ( দাগ থেকে যায়)”নিশপাপ আমি” (স্রোত), জুয়েল বাবুর সুর ও সঙ্গীতে “ওরে দেখে যারে তুই” (মেয়ে),”পদ্ম পাতার জল” (ও আমার প্রেম), “আরও কিছুক্ষণ রবে কি বন্ধু” (নিরবতা),”তুমি বল বৃষ্টি পড়ছে” /সাদা কালো (নীরবতা), “কিছুটা আশা তুমি রেখো” (নীরবতা), “বর্ষা আমার চোখের প্রিয় ঋতু /বর্ষা” (সন্ধি), ‘’যত দূরে যাও বন্ধু আমার” (তারকা মেলা),লাকি আখন্দ এর সুর ও সঙ্গীতে “লিখতে পারি না কোন গান “ (বিতৃষ্ণা জীবনে আমার),”ভালবেসে চলে যেও না”(বিতৃষ্ণা জীবনে আমার) সহ আরও অনেক অনবদ্য অসাধারণ সব গান আজো সে যুগের এবং এ যুগের শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরে। প্রিন্স মাহমুদ ও জুয়েল-বাবু তাঁরা সব সময় তাদের মিক্সড অ্যালবাম এর গানগুলোতে জেমস কে তাঁর সেরাটা বের করে আনতেন যা জেমস নিজেও খুব উপভোগ করতেন। তখনকার সেরা সব গীতিকার যারা ছিলেন তাঁর মধ্যে লতিফুল ইসলাম শিবলি,বাপ্পি খান,দেহলভি, আনন্দ,তরুন,মারজুক রাসেল, গোলাম মোরশেদ, প্রিন্স মাহমুদ ও জুয়েল-বাবু জেমস এর জন্য আলাদা ভাবে গান লিখতেন। যে গানের কথাগুলো ছিল একটার চেয়ে আরেকটা অসাধারণ সব কথায় ভরপুর যা একবার শুনে মন ভরতো না। শ্রোতারাও দ্বিধায় পড়ে যেতেন কোন গান থেকে কোন গান বেশি সেরা এই নিয়ে আড্ডায় তুমুল তর্ক চলতো। যা মনে পড়লে আজো খুব কষ্ট হয়। জেমস কে আমাদের প্রজন্ম যেমন করে পেয়েছে তেমন করে আজকের প্রজন্ম পায়নি। আমাদের প্রজম্মের কাছে আজম খান,জেমস,বাচ্চু,হাসান,মাকসুদ,ফযল,বাবনা,সঞ্জয়, শাফিন, টুলু, চন্দন,খালিদ,টিপু ও বিপ্লব ছিল গান গাওয়ার ও শোনার এক অন্যরকম আকর্ষণ, ব্যান্ড গড়ার এক একটি প্রেরনা। তাঁরা সবাই ছিলেন আমাদের কাছে এক একটা “নায়ক” বা “আদর্শ” । প্রতিমাস,প্রতিটি ঈদ এ সময় অপেক্ষা করতাম কার কার নতুন অ্যালবাম আসবে সে জন্য। যা আজ খুব বিরল।

“পপসম্রাট” ও “গুরু” আজম খান এর পরে একমাত্র গুরু উপাধিতা যিনি শ্রোতাদের মন থেকে পেয়েছেন তিনি এই জেমস। প্রিয় "জেমস" ! যে মানুষটারে নিয়ে আমি সবসময় দ্বিধাগ্রস্ত! কারন জেমস কে আমার কখনও শুধু গানের শিল্পী মনে হয়নি। আমার কাছে সে কখনও দার্শনিক, কখনো মনরোগ বিশেষজ্ঞ একজন চিকিৎসক! কখনো একজন ছন্নছাড়া বিবাগী এক বাউল! কখনো মনে হয়েছে মানুষের ভেতর থেকে কষ্ট বের করে আনা এক যাদুকর! কখনও মনে হয় একজন রাজনৈতিক দলের দুর্দান্ত এক দেশপ্রেমিক নেতা ! কখনও মনে হয় একা নিঃস্ব একটি মানুষের হাহাকার!কখনও মনে হয় দুষ্টবালকদের দলের কোন দুষ্ট এক বালক! কোনকিছুতেই তাকে পরিপূর্ণ ভাবে সাজাতে পারি না! বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতে যিনি নিজেই একটি যুগ, নিজেই একটি ধারার সৃষ্টি করে তা নিজেই প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন আগামী প্রজম্নের জন্য। যিনি শিখিয়েছেন “জ্যাজ মিউজিক” (Jazz Music) কি এবং কি ভাবে গাইতে হয় ! ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি কোনদিন “বাংলা ব্যান্ড ও পপ সঙ্গীত” কে ভুল বশত “জেমস সঙ্গীত” নামে ডাকে তাহলে তখন অবাক হওয়ার কিছু নেই! কারন আসলেই “জেমস” যেন নিজেই সঙ্গীতের এক অন্যধারার ধারক ও বাহক। এখানেই ‘জেমস’ অন্য সবার চেয়ে আলাদা ও চিরস্মরণীয় একজন যাকে বাদ দিয়ে কোনদিন বাংলাদেশের পূর্ণ সঙ্গীত ইতিহাস লিখা সম্ভব নয়। কেউ যদি তা করার দুঃসাহস দেখায় আমি নিশ্চিত তাঁর লিখা সেই ইতিহাস কেউ গ্রহন করবে না।

একটি কথা না বললেই নয়, জেমস চট্টগ্রাম থেকে তাঁর সঙ্গীত জীবন শুরু করলেও জেমস এর মূল বাড়ি কিন্তু চট্টগ্রাম নয়। তাঁর মূল বাড়ি হচ্ছে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলায় যা নিয়ে টুগেদার মিক্সড অ্যালবাম এ একটি সৃতিচারন মুলক গান আছে “নাটোর ষ্টেশন” নামে।

জেমস এর অন্যান্য অ্যালবামগুলো-

ঠিক আছে বন্ধু (একক)

দুষ্ট ছেলের দল (নগর বাউল)

আমি তোমাদেরই লোক (একক)

জনতা এক্সপ্রেস( একক)

কাল যমুনা (একক)

তুফান (একক)

প্রিয় জেমস এর সব জনপ্রিয় ও দুর্লভ গান শুনতে চাইলে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- (https://www.facebook.com/kokbd24)

লেখক- ফজলে এলাহি পাপ্পু (কবি ও কাব্য)

২৮/১০/১১



মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:০৪

কবির চৌধুরী বলেছেন: জেমস নিয়ে বেশ তথ্যবহুল পোস্ট।


+++

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:২০

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ @কবির ভাই।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:০৭

সহ্চর বলেছেন: ব্যাপক ভালো লাগলো

অসংখ্য +

জেমসের সেরা জ্ঞান নির্বাচন করাটা একটা দুঃসাধ্য কাজ।
তবুও" যে পথে পথিক নেই,বসে আছি সেই পথে"গানটা আমার সবচেয়ে ভালো লাগে।

আমার ফেভারিট হাসান কে নিয়ে একটা পোস্ট চাই।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:২২

কবি ও কাব্য বলেছেন: @সঙ্কর ভাই অনেক ধন্যবাদ। ঠিক বলেছেন,জেমস এর সেরা ১০ গান নির্বাচন করা খুব কঠিন একটি কাজ।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:০৮

হা...হা...হা... বলেছেন: ভুল তথ্য দেয়ার জন্য মাইনাচ দিতে ইচ্ছে করছে। জেমস এর প্রথম এ্যালবাম ''স্টেশান রোড''। সেই ক্যাসেটে জেমস এর একটি ইংরেজী গানও ছিল।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১৪

কবি ও কাব্য বলেছেন: স্টেশন রোড জেমস প্রথম না ফিলিংস ব্যান্ড এর প্রথম অ্যালবাম, আর জেমস এর একক প্রথম অ্যালবাম অনন্যা। যে দুটো অ্যালবাম এর অডিও ক্যাসেট আমার ঘরে এখনও আছে @হা হা হা সাহেব।

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:০৯

ডাইনোসর বলেছেন: বাহ। দারুন হয়েছে। লেখাটা ছোট করলে আরো ভাল হতো। বড় লেখা অনেক পাঠক পড়তে চায়না। জেমসের ব্যাক্তি জিবন এবং সঙ্গিত জীবন। এমন। যা হোক আজ জেমসের একটি গানের অনুরুধ করবো।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:২৯

কবি ও কাব্য বলেছেন: @ডাইনসার ভাই অনেক ধন্যবাদ। লিখাটি আরও বড় ছিল আমার, আমি আমার মূল লিখা থেকে আরও সংখেপ করেই এই পোস্ট দিয়েছি। একটা বড় মানুষকে নিয়ে কোন কোন তথ্য মুলক কিছু লিখতে গেলে ৫০ থেকে ১০০ শব্দে কিছুই হয় না। আমি যদি ১০০ শব্দের মধ্যে কিছু লিখতাম তখন বলতেন "লিখাটি আরও বড় হলে ভালো লাগতো"। কারন কেউ সবসময় সন্তুষ্ট থাকে না এমন লোকদের দলের একজন আপনি। একটি মানুষকে নিয়ে তথ্য মুলুক কিছু লিখতে গেলে সেটা বড় হবে এটাই স্বাভাবিক । তাও আমি এই দশকের সব কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বাদ দিয়েই লিখাটি পোস্ট করেছি। এর চেয়ে ছোট কিছু করা সম্ভব ছিল না এখানে।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১১

ইয়েন বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা.....জেমস এর ব্যাক্তিগত জিবন নিয়ে আমি তেমন কিছু জানি না জানতেও চাইনা করাণ সে আমার অনেক ভাল লাগা একজন মানুষ আর ভাল লাগা মানুষদের দোষ শুনতে কারও ভাল লাগে না......জেমস তোমার নতুন গানের আশায় আছি আমরা...

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১১

টর্‌মেণ্টর্‌ বিষু বলেছেন: ভালো লাগলো।

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১৩

razu_ship বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১৪

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: অসাধারন সুন্দর ভাবে জেমসের বায়োগ্রাফি লিখেছেন ।প্লাস

৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:২১

ইসটুপিড বলেছেন: পোস্ট ভাল হইছে, পেলাস দিছি। অখন আল্লাহর নামে রিপোস্ট মারা শুরু কইরা দেন। দেরি কইরেন না।

১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। তবে জেমস জ্যাজ মিউজিক করতো এই তথ্য আমি প্রথম জানলাম। ফিলিংস এর প্রথম এ্যালবামের "দুঃখ কর কেন রে মন" গানটায় (যেটা আসলে জেমস না পাবলো গেয়েছিলো) কিছুটা জ্যাজ আমেজ আছে। কিন্তু আরো কয়েকটা গানের নাম বলেন দেখি জ্যাজ টাইপ। হয়তোবা আমার জানার ভুল থাকতে পারে, ঝালাই করে নেয়া দরকার।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৩৬

কবি ও কাব্য বলেছেন: @হাসন ভাই ধন্যবাদ। ঝর্না থেকে নদী,"দুরন্ত মেয়ে, অনন্যা, জেল থেকে বলছি, একলা প্রান্তর, যদি কখনও ভুল হয়ে যায়,আমায় ডেকো না, এমন অনেক গান পাবেন জ্যাজ আমেজের। জেমস এর প্রায় গানেই পাবেন সফট বা হার্ড জ্যাজ আমেজ।

১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:২৪

ঈশান বলেছেন: নগর বাউল ফিলিংস এর এলবাম।

১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৪০

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: গুরুর সাথে আর কারো তুলনা হয় না।
অজো পাড়াগাঁয়ে থেকে কত কষ্ট করে টিফিনের পয়সা বাচিয়ে ঐ সময়ের Band Album গুলো কিনতাম।
সে দিনগুলোর কথা মনে হলে এখন অনেক কষ্ট লাগে.... আহ্ কি স্মৃতিময় দিনগুলি কাটিয়েছি।

১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৪০

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: শিরোনামে লিখেছেন (জেমস এর অজানা অধ্যায়) আমার তো মনে হয় এটা না লিখলে ও পারতেন। কারণ এই তথ্য গুলো প্রায় সব মানুষেরই জানা। শেষের দিকে অতি আবেগ লেখার মান নষ্ট করেছে।
যিনি শিখিয়েছেন “জ্যাজ মিউজিক” (Jazz Music) কি এবং কি ভাবে গাইতে হয় ! ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি কোনদিন “বাংলা ব্যান্ড ও পপ সঙ্গীত” কে ভুল বশত “জেমস সঙ্গীত” নামে ডাকে তাহলে তখন অবাক হওয়ার কিছু নেই! এরকম সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয়না। এটা অতিকথন হয়ে গেছে।
জেমসের বলিউড পর্ব নিয়ে বলা যেত। এটা খুব গুরূত্বপূর্ণ ছিল।
বাদ বাকী ভালই।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৫৮

কবি ও কাব্য বলেছেন: @অমিয় আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আপনার আগে অন্য পাঠকরা ও পড়ে মন্তব্য দিয়েছে।কিন্তু কেউ বলেনি এসব সবার জানা। আমি ও আপনি সব জানি বলে সবাই তা জানবে এটা ভাবা বোকামি ছাড়া কিছুই ন্য।আর শেষ এর অংশটা আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিমত। আপনি কিন্তু বলি নাই ' আগামী প্রজন্ম জেমস বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীত কে জেমস সঙ্গীত নামে ডাকবেই" । আমি বলেছি "ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি কোনদিন “বাংলা ব্যান্ড ও পপ সঙ্গীত” কে ভুল বশত “জেমস সঙ্গীত” নামে ডাকে তাহলে তখন অবাক হওয়ার কিছু নেই! যার আগে যদি এবং মাঝখানে ভুলবশত শব্দ দুটি ছিল। যা কোন নিশ্চয়তা বুঝায় না। আপনি মনে হয় সেই শব্দ দুটি দেখেননি।

১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৪৭

নোমান নমি বলেছেন: গুরু জেমস। প্রতিটা এলবাম আমার কাছে আছে। একটা সময় জেমসের জন্য পাগল ছিলাম। যখন নাইনে পড়ি তখন পান্জাবীর সাথে জিন্স,জুতা পরতাম। কিন্তু বর্তমানের জেমস পুরাই হতাশ করছে। জেমসের আগুন আবেগ অথবা ভাল লিরিকস,সুর কোনটাই পাচ্ছি না।

১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৪৯

মহান পংকজ বলেছেন: গুরু জেমস সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতাম আরো জেনে অনেক ভালো লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। জেমসকে আমরা আরো চাই, কারন এই গুণি শিল্পী একদিন চলে যাবেন কিন্তু আমাদের কে ও এই পৃথিবীকে দেওয়ার অনেক কিছু আছে এখনও। তাই গুরু আমাদের বঞ্চিত করোনা।
আর জেমসের প্রিয় গান নাম বলতে গেলে সব এসে তালগোল পাকিয়ে যায়। একেক মুহুর্তে এক এক গান ভালো লাগে। তবে পথের বাপ গানটা প্রথম দিকে আছে মনে হয়।

১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: দূরন্ত মেয়ে(নাকি দুষ্টু মেয়ে!) এবং অনন্যা এইগুলা জ্যাজ? এই দুইটা গান পুরাই কপি পেস্ট প্রথমটা Queen এর I want to break free আর দ্বিতীয়টা Chris de burgh এর একটা গানের হুবহু। এখন যদি কুইন আর ক্রিস ডি বার্গরে জ্যাজশিল্পী কন তাইলে আলাদা কথা। 'জেল থেকে বলছি' গানটাতেও নূন্যতম জ্যাজ আমেজ নাই। 'হৃদয়ের একলা প্রান্তরে'ও নাই। ঐ এ্যালব্যামের কোন গানই কোনভাবে জ্যাজ ক্যাটাগরিতে ফালাইতে পারলাম না।
যাই হোক, কোন genre এ গাইসে এইটার চেয়ে কী গাইসে সেটাই বড় ব্যাপার। শুভরাত্রি।

অনটপিক-Saxophone · Clarinet · Flute · Vibraphone · Trumpet · Piano · Guitar · Banjo · Tuba · Double bass · Bass guitar · Trombone · Drum kit এইগুলা হৈলো টিপিক্যাল জ্যাজ ইনস্ট্রুমেন্ট। আবার এইগুলা থাকলেই যে জ্যাজ হবে, তা না।



শুনে দেখেন ভালো লাগবে। জ্যাজ যা করার আফ্রো আমেরিকানরাই ১৯২০-৬০ পর্যন্ত করে গেসে। এটা বলা যায় একান্তই তাদের মিউজিক।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১৮

কবি ও কাব্য বলেছেন: @হাসান ভাই ধন্যবাদ। গানগুলো আমার শুনা আছে। আমি এই ব্যাপারে অন্য একদিন বিস্তারিত আলোচনা করবো। আজ শুধু জেমস এ থাক।

১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৫৫

আগলিআগলি বলেছেন: ভালো পোস্ট ,অনেক পুরোনো সময়ের কথা মনে পড়ে গেল - জেমস-ফিলিংস নিয়ে অনেক মাতামাতি আর বাচ্চুর পাড় ভক্তদের পচানো ।

তবে একটা বিষয়, জেমস জ্যাজ মিউজিক এটা কোথাও শুনিনি । জেমস-ফিলিংস-নগর বাউল ব্লুজ ,ফাংক দিয়ে প্রভাবিত । ডায়ার স্ট্রেইটস এর মার্ক নফলার এর অনেক প্রভাব দেখেছি জেমস এর গিটারে । তবে জেমস এর জ্যাজ - এটা আমার জন্য নতুন ,সম্ভব হলে লিংক দিয়েন অথবা গানের নাম দিয়েন - শুনে নিব ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১৯

কবি ও কাব্য বলেছেন: আমি এই ব্যাপারে অন্য একদিন বিস্তারিত আলোচনা করবো। আজ শুধু জেমস এ থাক।

১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০০

কাউসার রুশো বলেছেন: জেমস নিয়ে বেশ তথ্যবহুল পোস্ট। +++ :)
জেমসের হিন্দি গানগুলো নিয়ে তো কিছু বললেন না?

১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৬

কাউসার রুশো বলেছেন: জেমস নিয়ে বেশ তথ্যবহুল পোস্ট। +++ :)
জেমসের হিন্দি গানগুলো নিয়ে তো কিছু বললেন না?

২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১৭

কবি ও কাব্য বলেছেন: @রুশো আপনাকে ধন্যবাদ। জেমস এর হিন্দি গান নিয়ে আমি ইচ্ছে করেই বলি নাই। কারন হিন্দি গান নতুন পুরানো সব শ্রোতার জানা। আমি শুধু গত দশকে জেমস কে আমরা কেমন পেয়েছি আর এখন কেমন পাচ্ছি তা নিয়ে শুধু একটা স্রিতিচারন করলাম মাত্র। তাই হিন্দি গানের ব্যাপারে কিছু বলে আর লিখা বেশি বড় করতে চাইনি।এম্নিতেই এই বড় লিখা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে লিখা এতো বড় হল কেন? সেটা আরও বড় করলে অভিযোগ এর মাত্রাটা আরও বেড়ে যেত।

২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:১২

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।

++

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:১৫

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: একটা কথা বলি ভাই কিছু মনে করবেন না দয়া করে- আপনার পোস্টে অনেকে মন্তব্য করেছেন কিন্তু আপনি সবার মন্তব্যের জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এটা কি ঠিক? কোন ব্লগারের মন্তব্যের জবাব না দেয়া, সে ব্লগারের প্রতি অশ্রদ্ধা বা অপমান করা সমান।

শুভ কামনা থাকলো আপনার প্রতি।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:৪৫

কবি ও কাব্য বলেছেন: @রুমান ভাই, এখানে যারা মন্তব্য করছেন তাদের মধ্য আমার কাছের মানুষদের মন্তব্যর জবাব আমি পরে দেই। আমি কোনদিন একসাথে একী সময়ে সবার মন্তব্যর জবাব দেই না। একেবারে শেষে আমি এক এক করে সবার উত্তর দিয়ে যাই। এটা আমার অভ্যাস বলতে পারেন। কারন আমি একেবারে ফ্রি সময়ে বসে বসে মনোযোগ দিয়ে সবার মন্তব্য পড়ি এবং তাঁর জবাব দেই। এখন আমি অন্য কাজে ব্যস্ত, তাই সবার টা দিচ্ছি না।

২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:২৫

শূভ্র আকাশ বলেছেন: জেমসের মা, বাবা, এক নদী যমুনা , ভালবেসে চলে যেও না অসাধারন....পোস্ট প্রিয়তে নিলাম

২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:৩১

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: গুরুর গান খুব মিস করি। আগের মত আর গন শুনা হয় না।

২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৫০

মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: আমার জিবনের প্রথম অডিও ক্যাসেট কিনা হল শক্তি।

জেমসকে আমার খুব ভাল লাগে তার পুরাতন গানগুলোর জন্য।নতুন গানগুলো একেবারে সাধারণ মানের।

++++ ও প্রিয়তে।

২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৪:১৫

রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: ++++ ও প্রিয়তে।

View this link

২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৫:০৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: জেমসকে নিয়ে চমৎকার একটা লেখার জন্য প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ।

তথ্যে সামান্য এদিক-ওদিক আছে অবশ্য। আমি নিজেও বাংলা ব্যান্ড, চলচ্চিত্র, নাটক ইত্যাদি নিয়ে বেশ কিছু পোস্ট লিখেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে এগুলি লেখা খুব কঠিন কাজ কারন কোনরকম রেফারেন্স পাওয়া যায় না। পুরোটাই স্মৃতির উপর ভর করে লিখতে হয় আর এত পুরোনো ঘটনা সন-তারিখ সহ নির্ভুল মনে রাখা প্রায় অসম্ভব। আমি তাই সবসময় পাঠকের উপর ভরসা রাখি যে আমি ভুল কিছু লিখলেও অন্যরা নিশ্চয়ই ঠিক করে দিবে, সবার কাছ থেকে কিছু কিছু নিয়ে একটা নির্ভুল পোস্ট দাঁড়াবে।

যাই হোক, এই পোস্টে কিছু তথ্য আছে যার সাথে এই বিষয়ে আমার জানা তথ্যের মিল নাই। আমার জানা তথ্যগুলিও যে শতভাগ নির্ভুল, সেই দাবিও করতে পারি না। তবু আমার তথ্যগুলি দেই। অন্যরা হয়ত নিশ্চিত করতে পারবে কোনটা সঠিক।

* ফিলিংস ব্যান্ড জেমস নিজে তৈরী করেননি। এটা চট্টগ্রামে অনেক আগে থেকেই ছিল। জেমস তাতে যোগ দিয়েছিলেন, পরে নিজের যোগ্যতায় ব্যান্ডের নেতৃত্বে চলে যান। উল্লেখ্য, কুমার বিশ্বজিৎ তার সলো ক্যারিয়ার শুরু করার আগে আশির দশকের প্রথম দিকে এই ব্যান্ডে গান গাইতেন। ফিলিংস নামটাও বিশ্বজিতের দেয়া।

* পালাবে কোথায় বের হয়েছিল ৯৫ সালে, খুব সম্ভব শক্তি অ্যালবামও ৯৫ এর।

* জেমস কিংবদন্তিতে পরিনত হন ৯৬ এর ঈদুল ফিতরে প্রকাশিত নগরবাউল অ্যালবাম দিয়ে। এরপর তার আরেকটি খুব জনপ্রিয় অ্যালবাম দুঃখিনী দুঃখ করোনা। এটা অবশ্য ব্যান্ডের ব্যানারে নয়, তার সলো অ্যালবাম ছিল। ৯৮ সালের মাঝামাঝি প্রকাশিত হয় লেইস ফিতা লেইস। খুব সম্ভব এই অ্যালবামের পরপরই ফান্টির সাথে তার মতবিরোধ তৈরী হয় এবং ফিলিংস বিলুপ্ত করে তিনি নগরবাউল গড়ে তোলেন।

আবারও ধন্যবাদ।

২৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৫:৪৯

হাদী নয়ন বলেছেন: অসাধারন! জেমসের সেই সময়ের গান খুব মিস করি।আমি ঐ সময় ঢাকায় ওর প্রায় সব কনসার্টে যেতাম, আসলে আমি ব্যান্ড পাগল ছিলাম কিন্তূ তাই বলে আপনাদের মত এত বুঝদার না,যা ভাললাগতো তাই খেতাম টাইপ। আর একটা কথা জানিনা এটা আমার কাছে লাগলো কিনা২০০৯ জেমসের একটা কনসার্ট দেখলাম অনেক দিন পর কিন্তূ আগের সেই গান গুলোই যেন কেমন করে গাচ্ছে তেমন ভাল লাগছিল না।
জেমস,বাচ্চু,বিপ্লব,হাসান এই গুলারে কে যে শিখাইলো "দন্তন না মধ্নন্য কনটা আসল মন " টাইপের গান গাইতে আল্লাহ জানে।
ভালো লাগলো পাপ্পু ভাই সেই সুখ সাগরে ভাসাবার জন্য,ধন্যবাদ।

২৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৬:৪৮

কাউসার রুশো বলেছেন: লেখা বড় হলেও এটা জেমসকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পোস্ট :)

২৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:১০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: বলতে ভুলে গেছি, দুঃখিনী দুঃখ করোনা প্রকাশিত হয় ৯৭ সালে।

৩০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৩৬

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: গুরুর বাড়ি নওগা তে জানতাম। ওনার বাবা ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ও চেয়ারম্যান ছিলেন।

রথীর জন্য খারাপ লাগে.।.। গুরুর জনপ্রিয়তায় ধস নামে জেল খাটা ও দ্বিতীয় বিয়ের সময়েই। পরে সেটা রিগেইন হয় হিন্দি গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়ে।

আমার যেটা মনে হয়, গুরুকে কোন জেনারের মাঝে ধরে রাখার চেষ্টা করলে আপনি ভুল করবেন। ওনার একেক সময়ের গান একেক ধাচের, জেনারের। অনন্যার সাথে কি লেইস ফিতা লেইস মেলাতে পারবেন? কিংবা থ্র্যাস ভোকালের দুষ্টু ছেলের দল এলব্যাম?

গুরুর চুলটানা বিবিয়ানা গানটা যে সময়ের, ঐ সময়ে এতো সাহসী ভাবে কাউকে মেটাল বাজাতে শুনেছেন? বলতে পারেন ঐটা আবার মেটাল হইলো নাকি? কিন্তু ঐ সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ঐটাই মেটাল।

যারা কিংবদন্তী, তাদের কোন বেড়াজালে আটকিয়ে রাখা যায় না, এজন্যই তারা কিংবদন্তী! তাই গুরুকেও কোন জেনারের মাঝে আটকে রাখা যায় না।

৩১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:৫৮

সবুজ ভীমরুল বলেছেন: ফিলিংস এর নাম কিন্তু আমরা অনেক পরে শুনি। স্কুলে থাকার সময় তাঁর "নগর বাউল" গানটা শুনে বেশ ভালো লাগে। তার "নগর বাউল", "দুঃখিনি, "বাবুরাম সাঁপুড়ে", "পদ্মার লাঠিয়াল" ইত্যাদি গান সবসময় অমর হয়ে থাকবে। আমার মনে হয় "নগর বাউল" এলবাম থেকেই "জেমস্‌ ক্রেজ" শুরু হয়।

লেখার জন্য ধন্যবাদ।

৩২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:১৭

নাজমুল নয়ন বলেছেন: ভাল লগল।
তবে জেমস আমাদেরকে আরো অনেক কিছু দেওয়ার আছে বলেই বিশ্বাস করি। ভারত তাকে অবহেলা করে কি জিনিস মিস করল বুঝবেনা। কিন্তু যে কয়েকটা হিন্দি গান গেয়েছে, তাতেই জেমস্ বুঝিয়ে দিয়েছে জেমছ বিশ্বে একজনই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.