নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Life is like a flute.It may’ve many holes& emptiness but if u work on it,It can play magical melodies

কলিমুদ্দি দফাদার

“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”

কলিমুদ্দি দফাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালী বিড়ম্বনা

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

১। ঢাকা এয়ারপোট টারমিনালে বসে আছি, গন্তব্য দক্ষিন কোরিয়া। কলেজ ছুটি হয়ার কারনে , ক্লাস মেট সবাই নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছে। এখানে বলে রাখা ভাল আমি মালশিয়াতে পরাশোনা করি। কিছু কোরিয়ান বন্ধুদের ইনভাইটেশনে কোরিয়াতে ঘুরতে আশা। ভিসা জটিলতার কারনে আমাকে নিজ দেশে আসতে হয়। কেননা বাংঙালীরা ইচ্ছা করলে যে কোন দেশে ভিসা ছারা যেতে পারে না।

যদি ও কোরিয়ান বা মালয়েশিয়ান তাদের কারোই এইসব সমস্যা পরতে হয় না। তাই সবসময় বন্ধুদের ভ্রমনের সুযোগ খুব বেশি একটা হয় না।

২। আমার ফ্লাইট ছিল সন্ধায়। এর মধ্য টার্নজিট ছিল চিনের কোয় মিং এবং সাংহাই। রাতে কোয়মিং পোছৈ ইমিগ্রেশন জন্য অপেক্ষা করছি।
চাইনিজ ভদ্র মহিলা ( ইমিগ্রেশন অফিসার) আমার পাসর্পোট দেখে খুব সুন্দর করে জিজ্ঞাস করলো, WHERE ARE YOU GOING ?বল্লাম দক্ষিন কোরিয়া। তিনি একটু বিরক্ত হয়ে WHAT??? ?WHAT DO YOU WANT HERE???? ট্রানজিট। তো বুঝার কোন বাঁকি রইলো না , হয়তো বাঙালী এবং
পাসপোর্ট দেখে একটু তিনি একটু বিরক্ত ।ওনার ভাবসাব এমন যে ,কোন বাঙালী চীনের মাটিতে পা রাকতে পারবে না। তো তিনি আমার ভিসাটা খুব নিখুঁত ভাবে কিছুক্ষন পর্যবেক্ষন করলেন। হাত দিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে
কি যেন করলেন? এরপর আমি বল্লাম IS THERE ANYTHING WRONG ??? কোন কিছু বের করতে না পেরে, একটু বাকা হাসি দিয়ে, YOU CAN GO NOW.


৩।এর পরের বেপারটা আরো একটু মজার । সাংহাই এ ইমিগ্শন এ আমাকে জ্ঞিগেস করা হল ,SO YOU ARE GOING TO MEET WITH YOUR FRIENDS? বলে রাখা ভাল, ভিসাতে REMARK করা ছিল PURPOSE OF MY VISIT.
জবাবে YES. অফিসার বললো CAN YOU SPEAK KOREAN ? I SAID NO I CAN'T . HE SAID ITS SO INTERESTING. YOU ARE GOING TO SEE YOUR FRIENDS BUT YOU CANT SPEAK KOREAN.
ওনার কথা শুনে মনে হল , কোরিয়ান ভাসা ছারা কেরিয়ান সাথে কথা বলা যায় না। আর বাঙালী হয়ে কোরিয়ান বন্ধু হওয়া মানে বামন
হয়ে চাদে হাত দেওয়া।

বতমান সময়ে এইসব হয়তো এইসব হর হামেশাই হয়ে থাকে । কিন্তু আমাদের সমস্যা মনে হয় মরার উপর খারার ঘা। একেতো মুসলমান তার উপর বাঙালী। যে সব দেশে বাঙালী WORKER বেশি ঐই সব দেশে খুব বেশি মাএায় বৈসম্ দেখা যায়। মালয়েশিয়াতে
পড়াশোনার সুবাধে আমার খুব কাছ থেকে এইসব দেখার সুযোগ হয়েছে। এইসব দেখে মাঝে মাঝে বাঙালী জাতি ভেবে অনেক লজ্জা হয়।

মনে পরে যায় ,হিন্দি লাগান ছবির CAPTAIN ANDREW RUSSELLসেই বিখ্যাত ডায়ালোগ , "তুম শালেহ লোগ হামারী পায়ের নিচেই রাহেগা"। কথাটা মনে হয় আসলে সত্য, এখনো তো ইংরেজ আমেরিকানদের পায়ের নিচে পরে আছি। সাধীনতার ৪১ বছর পর আজ ও আমরা কত পিছিয়ে আছি। অথচ ১৬ কোটির এই দেশে একটু দূনীতি কমিয়ে একসাথ হয়ে কাজ করলে উন্নত হতে ১০ বছরের্ বেশি লাগার কথা নয় ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। নৈতিকতার সাথে পরিশ্রম করলে বাংলাদেশ এত পিছিয়ে থাকত না। আর কেউ বাঙ্গালীদেরকে এভাবে অবমাননা করতে পারত না।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: কিছু মানুষ হয় পরিশ্রম করছে ঠিকই, শাসক গোষ্টীর লুটপাট আজ এই অবস্থা। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আসাকরি সব সময় পাশে পাবো।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৩

মিঃ আতিক বলেছেন: সহমত

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.