![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো আমার বরাবরই খুব ভাল লাগে। জীবন ধারন ব্যায় তুলনামুলক কম, মানুষের আচার ব্যবহার আন্তরিকতা আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে। এছাড়া উন্নত দেশ যেমন কোরিয়া-জাপান বা পশ্চিমাদের মত এরা এত ফরমাল আর প্রিন্টেডিং না, মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা, রেস, আউটভিট দেখে এত বাধ-বিচার করে না, তাদের কথাবার্তা আচার ব্যবহার কেজুয়াল, পর্যটকদের মানুষের মতোই দেখে।। এটা অবশ্যই আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই প্রাপ্ত শিক্ষ্যা। ভ্রমণে একটি দেশের কৃষ্টি-কালচার, কুইজিন, মানুষের সাথে পরিচয়ের যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়, তা জীবনে চলার পথে খুব সাহায্য করে। কর্মব্যস্ত জীবনে মনটাকে ও অনেক সতেজ আর প্রফুল্ল রাখে। ভ্রমণ যদি একবার নেশা হয়ে যায়, কিছুদিন পরপর কোথায় না গেলে আর ভাল লাগে না।
এইবার আসি মুল প্রসঙ্গে! থাইল্যান্ডকে ভ্রমণকারীদের জন্যে ভেটিকান বলতে পারেন। এক ঋতুর দেশ, উষ্ণ আবহাওয়া, তুলনামূলক সস্তা থাকা-খাওয়া, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অসাধারণ সব দ্বীপ, স্বচ্ছ পানি, পরিচ্ছন্ন বিচ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই দেশটি ভ্রমন পিপাসুদের স্বর্গ রাজ্য বলতে পারেন। থাইল্যান্ডে ভ্রমণের কোন পিক সিজন বলে কিছু নাই, সারাবছর ই পর্যটকদের মেলা। পর্যটকদের টার্গেট করে বছরজুড়ে থাইল্যান্ডে নানারকম উৎসবের আয়োজন করা হয়। পর্যটকদের কেমন ভির একটা ধারনা দেই? দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বড় এয়ারপোর্ট গুলোর একটি ব্যাংককের সুবর্নভুমি, বছরে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি যাত্রী এটি ব্যবহার করে। যখন থাইল্যান্ড থেকে ফিরে আসবেন যাত্রীদের এত চাপ যে চেক-ইন, ক্লিয়ারেন্স, ইমিগ্রেশন, শেষ করতে দেড় থেকে ২ ঘন্টা লেগে যায়।
ব্যাংকক আসলে অবশ্যই ডাব খাবেন। এত মিষ্টি পানি আর কোথায় আছে কিনা জানি না?
থাইল্যান্ডে প্রথম গেছিলাম ২০১৬ তে। এরপরে ও কয়েকবার যাওয়া হইছে। কিন্তূ প্রতিবার সংক্ষিপ্ত ভ্রমন ব্যাংকক আর পাতায়ায় মধ্য সীমাবদ্ধ ছিল। ভাবলাম এভাবে ট্যূর হয় না, এবার নিজের জন্য বেড়াবো, থাইল্যান্ডের অলি গলি, প্রান্তিক অঞ্চল, ইচ্ছেমত খাব-দাব, এক্টিভিটিস করবো, কোনরকম পেরেশানি নিব না, যতদিন মন না ভরে থাকবো।
"মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন
তাইরে নাইরে, নাইরে গেল সারাটা জীবন"
যেই কথা সেই কাজ, কোন লাগেজ-ফ্যাগেজ ছাড়া শুধু হ্যান্ড ব্যাগ এ প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিয়ে চলে গেলাম থাইল্যান্ডে। কিছু লাগলে এইখানে থেকেই কিনে নিব অযথাই ভারি জিনিস চেঁচায়ে কোন লাভ নাই। ব্যাংকক যেয়ে পৌঁছালাম ভোর রাতে। এয়ারপোর্টে ছাড়া ও ব্যাংককে প্রচুর বাংলাদেশি পর্যটক পেলাম। বাংলাদেশ থেকে এখন প্রচুর মানুষ বিদেশে ভ্রমণ করে, এর বেশিরভাগই মধ্যে বয়সে তরুন। এই জেনারেশন মধ্য সঞ্চয়ের আগ্রহ খুবই কম। তারা জীবনকে উপভোগ করতে চাই, বিশ্ব দেখতে চায়। আমার মনে হয় নিম্নবৃত্ত দেশ ও লাইফস্টাইল থেকে কিছুটা আপডেট হওয়ার পর যে ফেস অতিবাহিত হয়, আমাদের জেনারেশনটা এখন তার মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। ভাল রেস্টুরেন্টে খাওয়া, ব্যান্ডের স্টোরে থেকে জামাকাপড় পড়া, বিদেশ ভ্রমন এখন আর বিলাসীতা বলা হয় না বরং এইগুলো এখন অতি সাধারণ প্রাত্যহিক জীবনের একটা অংশ। যাইহোক এয়ারপোর্ট কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে, আকাশে কিছুটা আলো ফোটার পর চলে গেলাম রিসোর্ট এ। সকালবেলা কি সুন্দর মনোমুগ্ধকর ব্যাংকক শহর। শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা টেম্পল আর বুদ্ধের মূর্তি গুলো স্পিরিচুয়াল একটা অনুভুতি দিচ্ছিল।
থাইল্যান্ডে গ্রীষ্মে যে গরম পড়ে, নিজেকে ডিহাইড্রেটেড রাখতে সেভেন ইলেভেনের এই ড্রিংকস ছিল আমার ভরসা। সাথে এক্সটা আইস আর জার নিয়ে নিবেন।
রিসোর্ট এর লবিতে বসে আছি, গ্রামীন পরিবেশে খোলামেলা অসাধারণ একটা জায়গা। পাখি কি সুন্দর কিচিরমিচির করছে, কৃত্রিম ঝরনার ফোয়ারা থেকে পানি উঠছে। এদিকে ঘুমে আমার অবস্থা শেষ।রুমে ও এখন যেতে পারবো না, ১২ টার আগে খালি হবে না। আমি আগে চলে আসছি। রিসিপসনে বসে থাকা ছেলেটা অনেক ভাল, ইংলিশ কম বুজে কিন্তূ আমাকে একটা সোফা দেখায়ে বললো তুমি এখানে একটু ঘুমাও।এতো আলোতে কি আর ঘুম আসে, তার উপর গরম আবার গান বাজছে। লবিতে আস্তে আস্তে কিছু গেস্ট বের হয়ে চা- কফি খাচ্ছে কেউ আবার লেপটপ-মোবাইলে বসে কাজ করছে। হালকা একটু শুয়ে বুঝলাম ঘুম আসবে না, কফি খাওয়া দরকার। দুপুর পর্যন্ত এভাবে জেগে থাকতে হবে।
ব্যাংকক মেট্রো।
কফি নিয়ে বসে আছি। পাস থেকে একটা সুন্দরী কন্যা বলে উঠলো "তোমারে দেইখা মনে হচ্ছে রাতে খুব পার্টি করছো" মুচকি হেসে কইলাম আমি একটু আগে আইসা চেক ইন দিলাম , রাতে ঘুম হয় নাই। আলাপচারিতা জানতে পারলাম ভারতীয় মেয়ে দিল্লি থাকে পাঞ্জাবি ডিসেন্ট নাম ইয়াশিকা। আলাপচারিতা খুবই ভাল লাগলো ফ্রেন্ডলি, ডাউন টু আর্থ পারসন উইথ নো ইগো। দুইদিন হইলো ব্যাংকক আসছে, সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় ফুকেট চলে যাবে। আমাকে জিজ্ঞেস করলো ওর সাথে বের হবো কিনা? ভাবলাম এখানে বসে থেকে কি আর করবো? তাই এরচেয়ে বরং ওরসাথে বাইরে থেকে ঘুরে আসি! একটা কনভিনিয়ানট স্টোর থেকে দুইজন হালকা পাতলা খাবার নিলাম, আমার জন্য তো একটা আমেরিকানো কম্বলসারি! নাইলে সারাদিন টিকে থাকা যাবে না! প্রথমে মেট্রোতে করে গেলাম চায়না টাউন। ব্যাংকক এর মেট্রো মোটামোটি সহজলভ্য, সব জায়গায় যাওয়া যায়। দুপুর পর্যন্ত চায়না টাউন ঘুরলাম। রাস্তায় থাকা অনেক স্টিট ফুড খেলাম। কাঁচা আমের সাথে লবন মরিচের মত কিছু একটা ছিল, অসাধারণ খেতে! একটা দোকানে দেখলাম অনেক ভির, লাইন ধরে খাবার খাচ্ছে, আগ্রহ নিয়ে গেলাম, দেখি শুকরের কোন একটা আইটেম। চায়না টাউনের পাশে থাকা একটা বুদ্ধো মন্দিরে গেলাম। ব্যাংককে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অসংখ্য মন্দির আছে। থাইরা দেখলাম বৌদ্ধ ভিক্ষু আর রাজাকে খুব শ্রদ্ধা করে। রাজাকে তারা ঈশ্বরের দূত মনে করে। এরপর দুইজন মিলে আসে পাসে এরিয়াগুলোতে অনেক হাঁটলাম, একটু পার্ক যেয়ে রেস্ট নিলাম। তারপর আবার হাটা শুরু করলাম, একটু যাওয়ার পর দেখি লোকাল কমিউনিটিতে কিছূ বয়স্ক রাস্তায় বক্স বাজায়ে নাচ-গান করছে। যেমনটা বলেছি থাইরা অনেক আন্তরিক তেমন কোন ভনিতা করে না, আমাদের কে নিয়ে টেবিলে বসালো। ওদের কিছু খাবার কোমল পানীয় খাইতে দিল, একটু আলাপচারিতা এক পর্যায়ে জোর করে নিয়ে ওদের সাথে নাচাইলো।
চায়না টাউন।
ঐতিহ্যবাহী একটি বুদ্ধ মন্দির। ছবিতে প্রয়াত থাই রাজা।
লোকাল কমিউনিটির সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত।
লেখাটি বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে, পর্ব আকারে পরে লিখবো। তবে ব্যাংককে আমার প্রথমদিনে মুগ্ধতা ছিল ইয়াশিকার সাথে পরিচিতি। অনেক কিছুই শিখেছি বুঝেছি। ইয়াশিকা সারাদিনের ঘুরাঘুরিতে দামী বা হেভি কোন খাবার খায় নী। আর্তসম্মানবোধ প্রচুর কোন কিছু কিনতে গেলে ভারতীয় একসেনটে বলে "ওকে ইউ পে ফিফটি আই পে ফিফটি"। সারাদিন ঘুরে ফিরে আসার সময় তার জুতার সোল খুলে যায়, হাঁটার সময় উদ্ভট একটা শব্দ আসছিল। বিব্রতকর অবস্থায় যাতে না পরে আমি বুঝে না বুঝার ভান করে আসছি। এইটা বলার কারন হচ্ছে মেয়েটি যে আর্থিক ভাবে অসচ্ছল ভাল খাবার কিংবা জুতা কিনার টাকা নেই এমন না, বরং আরো বেশি ঘুরাঘুরি বা দুই একটা এক্টিভিটি বেশি করাটাকে বেশি প্রাধান্য দেয়। আমি যেমন নিজের একটা নির্দিষ্ট কমফোর্ট জোন ছাড়া কোথায় যেতে চায় না, বাজেট এর চিন্তা ভাল ছবি, ক্যামেরা, মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত সেখানে একদল নিজের সামর্থ্যর মধ্য সুন্দর করে দুনিয়াকে ঘুরে দেখছে , অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করছে। মানুষকে আসলে অসাধ্যকে সাধন করে তার ইচ্ছেশক্তি দিয়ে।
রাতের ব্যাংকক।
এই সেই বিখ্যাত পেড থাই। সাথে ডিম দেয় না, এইটা আমি এক্সট্রা এড করছি।
০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২৯
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
২| ০১ লা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
জুন বলেছেন: আমার অনেক অনেক চেনা ব্যাংকক তথা থাইল্যান্ড নিয়ে লেখায় লগ না হয়ে পারলাম না কালিমুদ্দি। এয়ারপোর্টের নাম সুবর্নভুমি। সুকুমভিত হলো ব্যাংককের একটি পর্যটক প্রধান এলাকা
চায়না টাউনে যাবার জন্য কোন স্টেশনে নেমেছিলেন? সাম ইয়ত নাকি ওয়াট মংকুন?
আসলেই সারা বছর উৎসব। কিছুদিন আগেই হলো চীনা নববর্ষ। কি ধুমধাম! অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে আমার থাইল্যান্ড ভালোলাগে। mbk এর ছবিটা অত্যন্ত পরিচিত।
চীনা নববর্ষ এর একটা ছবি দিলাম দেখেন
০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০২
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: জ্বি।হ্যাঁ!!! সুবর্ণভুমি! ঠিক করে নিয়েছি।
কি অদ্ভুত কারনে সুকুমভিত নামটা মনে আসে শুধূ।
চায়না টাউন যাওয়ার সময় স্যাম ইয়ত নামা হয়েছিল মনে হয়।
স্যাম ইয়ত, ওয়াট ম্যাংকুন, বাং ওয়া, বাং প্রা, থাই প্রা, এই লাইনটা বেশি ব্যবহার করা হইছে।
mbk এর ছবিটা অত্যন্ত পরিচিত!
হ্যাঁ। একটা সন্ধ্যা ছিলাম এমবিকে চত্ত্বরে। অসাধারণ ভিউ।
এখন থেকে প্রতি বছর থাইল্যান্ডে যাবো ভাবতেছি। কেন জানি ঘুরে মন ভরে না।
অদ্ভুত এক মায়া কাজ করে।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৩
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: ভ্রমণ নিয়ে আরো ব্লগ দেখতে চাই।
০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০৩
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো আরো দেওয়ার।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪১
শায়মা বলেছেন: এবারে ব্যাংকক এয়ারপোর্টে ৮ ঘন্টা বসে ছিলাম। এত আলো ঝলোমলো এয়ারপোর্ট আগে ২০১৫তে যখন গেছিলাম তখন তেমনটা দেখিনি। এত সুন্দর বিশাল কারুকার্য্যময় ড্রাগন!!! এবারে যেন একটু বেশি সজ্জিত ছিলো।
অনেক মজা লাগলো লেখাটা পড়ে আর ছবিগুলো দেখে....
০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:১৩
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এবারে ব্যাংকক এয়ারপোর্টে ৮ ঘন্টা বসে ছিলাম।
থাই এয়্যারে নাকি? আমার ২০১৭ দিকে ১০ বার ১২ ঘন্টার একটা লম্বা টার্নজিট ছিল থাই এয়্যারে।
এই সময় এয়ারপোর্টে আংশিক কাজ বাকি ছিল। এই ড্রাগন এর পাশে এয়্যারকন, লাইট, দোকানপাট অতো বেশি ছিল না তখন।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫| ০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৪৪
জনারণ্যে একজন বলেছেন: আমি কোথাও বেড়াতে গেলে লোকাল কমিউনিটির সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করি। লোকাল পাব/বারে যাই, কথা বলি ওদের সাথে। ভালোই লাগে, প্রতিবারেই নতুন নতুন ইনফো পাই।
পোস্ট ভালো লেগেছে, লোকাল কমিউনিটির সাথে ছবিটা দেখেও ভালো লাগলো।
আরো ভালো লাগতো ইয়াশিকার সাথে ছবি দেখতে পেলে।
০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: হ্যাঁ! লোকাল কমিউনিটির সাথে সময় কাটালো একটা ক্লিয়ার পোর্ট্রেট পাওয়া যায় এই দেশের উপর।
সাউথ-ইষ্ট এশিয়ার মানুষ এক্ষেত্রে যথেষ্ঠ আন্তরিক। আমার কিছু রাশান বন্ধু আছে ওরা ভিয়েতনাম প্রান্তিক এক গ্রামে ২ মাস ছিল। থাকা-খাওয়া ওরাই দিত ফ্রিতে। বিনিময়ে কিছু কাজ করে দিত।
লোকাল পাব/বার,লোকাল বিয়ার, স্টিট ফুড সবসময়ই খেতে খুবই অসাধারণ। মনে হয় না কখনো খেয়ে হতাশ হয়েছি।
আরো ভালো লাগতো ইয়াশিকার সাথে ছবি দেখতে পেলে।
হ্যাঁ হ্যাঁ! ভাবছিলাম একবার দিতে। পড়ে মনে পড়লো ব্লগ জ্ঞানী-গুনিদের স্থান।
এখানে বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা লেখালেখি হয়। তাই আর ব্যাক্তিগত ছবি না দেই।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ২০০২ সালে তৃতীয় ও শেষবারের মতো ব্যাংকক গিয়েছিলাম। আমি যেহেতু বেশ বড় ইন্টাভ্যাল দিয়ে বিভিন্ন সময়ে থাইল্যান্ডে গিয়েছি, তাই তাদের পরিবর্তন আর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বেশ নজরে পড়েছে। আপনার লেখাটা পছন্দ হয়েছে তবে ছবি নির্বাচনে আরেকটু বৈচিত্র আনলে ভালো হতো। তবে, যা দিয়েছেন, সেগুলিও ভালো লাগলো।
দেখি, পরের পর্বগুলো কেমন হয়।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ১:২৫
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: তবে ছবি নির্বাচনে আরেকটু বৈচিত্র আনলে ভালো হতো।
আপনে গুরু মানুষ! যেহেতু কইছেন, তাহলে ঠিক ই আছে। এডিট কইরা নিচ্ছি।
তবে কথা হইলো অনিয়মিত ব্লগিং করাতে, সামুতে ব্লগ লিখা, ছবি আপলোড এখনো ইউজ টু হইতে পারলাম না।
২০০২ সালে তৃতীয় ও শেষবারের মতো ব্যাংকক গিয়েছিলাম।
মেলাদিন আগে! তখন তো আমি বিমান ও চোক্ষে দেখি নাই। আচ্ছা আপনার সময়ের ট্রাভেলটা কেমন ছিল?
আমরা যেমন গুগল ম্যাপস, ট্রিপ এডভাইজর, থেকে ধারনা নিয়ে রাস্তা-ঘাট, যানবাহন কিভাবে কোথায় যাব, কি খাব ঘুরবো বের করে ফেলি? ক্যাশলেস ও চলাফেরা করা যায়, কার্ড এ সব যায়গায় পেমেন্ট হয়।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেলাদিন আগে! তখন তো আমি বিমান ও চোক্ষে দেখি নাই। আকাশে উড়তেও দেখেন নাই!! হাউ কাম!!!!
তখন গুগল ম্যাপ, ট্রিপ এডভাইজার ছিল কিনা জানি না, তবে আমার কোন ধারনা ছিল না। টিপিকাল ট্রাভেলাররা তখন যেভাবে ঘুরতো আর কি...........ট্রাভেল এজেন্টদের কাছ থেকে ধারনা নেয়া, নেট থেকে যতোটা তথ্য / সাহায্য পাওয়া যায় সেগুলোর প্রিন্ট আউট সাথে রাখা, লোকাল লোকজনের সাহায্য নেয়া, সাথে ক্যাশ রাখা......এইসব!!!
এখন কি অবস্থা জানি না, তবে শেষবারেও দেখেছি এদের ইংরেজির অবস্থা ভয়াবহ। যে কয়দিন ছিলাম, মোটামুটি পার্থ প্রতিম মজুমদারের মতো করে চলাফেরা / ভাব বিনিময় করেছিলাম!!!
০২ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৫৫
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ট্রাভেল তো এখন পানির মত সোজা! আমি শুধু থাকার জায়গাটা ঘাঁটাঘাঁটি করে বুক দিছি।
বাকি আর কোন প্রিপারেশন ই ছিলো না। গুগল ম্যাপ, ইউটিউবে এখন আলাদিনের চেরাগের মত সব পাওয়া যায়। আপনাদের সময়
ট্রাভেলটা মনে হয় এত সস্তা ছিল না,তবে বৃটিশ কুইড পকেটে নিয়া সাউথইস্ট এশিয়া আসলে নিজেরে ছোটখাটো একটা জমিদার মনে হইবো। সবকিছু এত সস্তা:p
এখন কি অবস্থা জানি না, তবে শেষবারেও দেখেছি এদের ইংরেজির অবস্থা ভয়াবহ। যে কয়দিন ছিলাম, মোটামুটি পার্থ প্রতিম মজুমদারের মতো করে চলাফেরা / ভাব বিনিময় করেছিলাম!!!
অবস্থা এখন অনেক ভয়াবহ! ওগো দেশে সারাদেশে এত টুরিস্ট ইংলিশের এই অবস্থা কেন আল্লাহ মালুম?
৮| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো কথা.........বলতে ভুলে গিয়েছি। সেই সময়ে আমার ক্যামেরা ছিল জাপানী ইয়াশিকা ব্র্যান্ডের। ইয়াশিকা আসাহি পেনট্যাক্স!!! পান্জাবী ওরিজিনের ভারতীয় মেয়ের জাপানী নাম এই প্রথম শুনলাম। গুষ্ঠির কেউ নিশ্চয়ই জাপানী ছিল!! মেয়ের নাম শুনে আমার ক্যামেরার কথা মনে পড়লো।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ২:০৫
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: পান্জাবী ওরিজিনের ভারতীয় মেয়ের জাপানী নাম এই প্রথম শুনলাম।
সোস্যাল মিডিয়াতে নাম! Yashika, ইয়াশিকা If I made it write.
বাপে জাপানি এ্যানিমি- হেনতাই দেখতো কি না কে জানে??? :p
আসাহি তো অনেক নামকরা জাপানিজ বিয়ার। ক্যামেরা বানাইতো নাকি জানি না।
৯| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যাংককে প্রথম আমি যাই ১৯৮৬ সালের জুন মাসে, থাই এয়ারওয়েজ এর একটি দুপুরের ফ্লাইটে। আবার সেটা ছিল আমার প্রথম বিদেশ যাত্রাও। ইন্দোনেশিয়া যাবার সময় সেখানে দু'দিনের যাত্রা বিরতি ছিল। যতটুকু সময় সে শহরে ছিলাম, খুবই ভালো লেগেছিল, শুধু হোটেলের চারপাশে নিশাচারিণী এবং তাদের দালালঋদের বেপরোয়া দৌরাত্ম ছাড়া। এর পরে আরও কয়েকবার গিয়েছি। পরে যতবার গিয়েছি, প্রতিবার আগেরবারের চেয়ে প্রভূত উন্নতি দেখে অভিভূত হয়েছি। আর প্রথমবারের সমস্যাটাও ধীরে ধীরে কমে এসেছিল। রাষ্ট্রের উন্নতির সাথে সাথে সামাজিক নৈতিকতারও উন্নতি হয়েছে।
থাইল্যান্ডের স্ট্রীটফুড বিশ্বের সেরা।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:০৬
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ব্যাংককে প্রথম আমি যাই ১৯৮৬ সালের জুন মাসে!
ভাবা যায় ব্লগে এতো পুরানো ট্রাভেলার ও আছে! আপনার তখনকার অভিজ্ঞতা, মহা মুল্যবান ছবি যদি থাকে বিস্তারিত লিখবেন আশাকরি। এই সময়, সম্ভবত এত নগরায়ন হয় নী, দুষন কম ছিল। পর্যটন নির্ভরশীল এই দেশটি আর্লি ২০ শতকে মনে হয় ব্যাপক পরিবর্তনের আর উন্নতির মধ্যে দিয়ে গেছে।
থাইল্যান্ডের স্ট্রীটফুড বিশ্বের সেরা।
একদম! ওদের স্টিট ফুড চেইন গুলো খুবই অর্গানাইজ, দাম ও আহামরি কিছূ না।
মধ্যবিত্ত দেশ অনুযায়ী হাইজিন ও পরিচ্ছন্নতা মেইনটেইন করে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
১০| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন কাহিনী।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নকল কাক বলেছেন: ভাল লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম