![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”
সরনকালের সবচেয়ে খারাপ সময় পাড় করছে বাংলাদেশে-ভারত সম্পর্কে। কুটনীতি- বানিজ্য সবকিছুতেই যাচ্ছে তাই অবস্থা!!! সম্পর্ক খারাপ হবেই না বা কেন??? দিল্লি গত ১৭ বছর বাংলাদেশকে এক প্রকার ভারতীয় প্রদেশের মত করে রেখেছে পলাতক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে। বিডিআর বিদ্রোহ ভারতের পরোক্ষে অবস্থান অনেকটা ওপেন সিক্রেট এর মত। এছাড়া অসামঞ্জস্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, দুই দেশের বানিজ্যিক ঘাটতি, ন্যায্য পানি, করিডোর, বাংলাদেশ থেকে ইচ্ছে মত সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার বিষয়গুলিই আছেই । কিন্তু আমার আজকের বিষয় ভারতীয় আগ্রাসন নিয়ে না। একটু যদি ফ্ল্যাশ ব্যাক এ যাই, স্বাধীনতা পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেক উন্নতি-অবনতি মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু ২০০৯ এর পুর্বে ভারত কখনো প্রকাশ্যে ও নগ্নভাবে বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট দলকে বা অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে এভাবে হস্তক্ষেপ করেনি। এর দায় কি শুধু ভারতের???
২০০৪ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্রের কথা মনে আছে!!! বর্তমানে কিছু হুজুগে পাবলিকেই দেখছি, দশ ট্রাক অস্ত্র, ভারতকে ভাগ করার স্বপ্নে বিভর হয়ে লুত্ফুর জামান বাররকে নায়কোচিত বীর বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আমার কাছে ব্যাপারটি মোটেও এমন না!! নিছকই একটি হটকারীতা!! প্রথমত, বাংলাদেশর তিন দিক থেকে পরিবেষ্টিত একটি দেশ ভারত, যা কিনা পরমানু শক্তিধর আবার বাংলাদেশ থেকে ২২ গুন বড় একটি দেশে যখন আপনি, নিজ ভুখন্ড ব্যবহার করে বিচ্ছিন্নপন্থী (উলফার) বা স্বাধীনতাকামীরদের অস্ত্র সরবরাহে করবেন, তারা কি মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকবে? নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে, একজন বাংলাদেশী হিসেবে, গত ১৬ বছর ভারতীয় আগ্রাসন আমাকে যেভাবে ব্যাহত করেছে, তেমনি বা়ংলাদেশের ভুমি ব্যবহার করে ভারতীয় বিচ্ছিন্নপন্থীদের অস্ত্র সরবরাহ করার খবর নিশ্চিয় একজন ভারতীয়কে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ঠিক, নিউটনের ৩য় সুত্রের "Every action has the same & opposite reaction" এর মত করে কি গত ১৬ বছর আমরা ভারতের কাছ থেকে এই বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখেছি????
দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা কিভাবে স্বৈরাচারী হয়ে উঠলো? শেখ হাসিনার প্রথম আমলের শাসন খুব বেশি ভারত কেন্দ্রিক বা স্বৈরাচারী মনোভাব ছিল বলে আমার মনে হয় না। বাজারে এমন কথা চাওর আছে, পশ্চিমা ও ভারতীয় কোম্পানিকে বা়ংলাদেশের জ্বালানী খনিগুলোতে ঠুকতে না দেওয়ার, তিনি ২০০১ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এরপরের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট ২১ আগষ্টের বোমা হামলায় শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা!!!! বর্তমান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রায়ই সময় বিভিন্ন টকশোতে ২১ আগষ্ট সম্পর্কে বলছেন, "রাষ্ট্রীয় মদদ ছাড়া এ ধরনের হামলা অসম্ভব"!!! বিএনপির নেতা ও তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা এই হামলার বিরুদ্ধে ও বিএনপি অবস্থান নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে ছিলেন। সাংবাদিক ইলিয়াস, আমার দেশ আরো কিছু নিউজে দেখলাম, শেখ হাসিনা নাকি ভারতীয় "র" এর সাহায্য নিজেই এই হামলা ঘটিয়েছেন। এর কিছুই আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় নী!!! কোন
তথ্য -প্রমাণ ছাড়া, ব্যাকরাউন্ড মিউজিক দিয়ে একটি রিপোর্ট করা আর কি!!!! যদি এমন ই হয়, তবে তৎকালীন সরকার কেন জর্জ মিয়ার নাটক সাজালো???? তবে একটু সন্দেহ থেকে যায়, কারন, হাসিনা নাকি জাতিসংঘ সহ বিদেশি কোন পর্যবেক্ষক দলকে বোমা হামলার বিষয়ে তদন্তে সহযোগিতা করে নি?
যাইহোক, ইহা একান্ত আমার ব্যাক্তিগত চিন্তা-ভাবনা। আমি কোন দল কানা বা কোন দলের অন্ধভক্ত না। রাজনীতি সচেতন ব্লগারগন নিজ নিজ অবস্থান থেকে উপযুক্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা করলে হয়তো, উপযুক্ত বিষয়ে উপসংহার টানতে পারবো।
১৭ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:৪০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: বেশ ভালো একটি লেখা। র-এর সাহায্যে হাসিনা নিজেই নিজের উপর হামলা করেছে - এতো দেখি সাংঘাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক!
ইহা এমনিতেই একটি ঘোলাটে বিষয়! আপনি তো দেখি কোন উপসংহার ছাড়া,আরো মাথা ঘুরায়ে দিলেন??
আর ২০০১ সালে জ্বালানি খনিগুলোতে পশ্চিমা ও ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে হাসিনা ভোটে হেরেছে - এটা ডাহা মিথ্যা কথা। বাস্তবতা হলো, খুব সামান্য কিছু কয়লা ছাড়া, বাংলাদেশে এমন কোনো জ্বালানি খনিই নেই।
একদা আমেরিকার "ইউনোকল", কানাডার "নাইকো" বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্র গুলো খনন করতো। যতদূর মনে পড়ে, দেশে উত্তোলন কৃত এই গ্যাস বিদেশি কোম্পানিগুলো আবার বাংলাদেশে বিক্রি করতো।
২| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:৪৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারত ভুল নীতি ধরে এগুচ্ছে।
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:২৭
পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: হিমালয়ান বরফ বেল্টের অর্ধেক হাইড্রো পটেনশিয়াল আছে বাংলাদেশের মাথার উপরে। এ ইকনমিক গোল্ডমাইন ফর ইন্ডিয়া এন্ড লাইফলাইন ফর বাংলাদেশ। ভারত এই হাইড্রো-পটেনশিয়ালকে কাজে লাগাতে চায়। কিন্তু শিলিগুরি করিডোরে যায়গা না থাকায় বাংলাদেশের উপরদিয়ে হাই ক্যাপাসিটি বৈদ্যুতিক করিডোর নিতে চায়। এই বিষয়টা সম্ভবত বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি অথচ সবচেয়ে ধামাচাপা দেওয়া একটা ইস্যু। এই লেখা দুইটা পড়লে আরও বিস্তারিত বুঝবেন:
দক্ষিণ এশিয়ায় জলবিদ্যুৎ গ্রিড বাংলাদেশের জন্য একটি মৃত্যুফাঁদ।
সাউথ এশিয়ান গ্রিডের নামে বৈদ্যুতিক করিডোরের ভয়াবহ পরিনাম
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:১৬
চাষী২০২৫ বলেছেন:
সামু তো নতুন নতুন রাষ্ট্র-বিজ্ঞানীর জন্ম দিচ্ছে!
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ২ এবং ৩ নং প্যারায় বলেই দিয়েছেন। আসলে আমরা অনেক মানুষকে দেখি নিজে যা খুশি করুক, রিঅ্যাকশন এলেই খারাপ। বাইরের দেশ থেকে অস্ত্র এনে আরেক দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য করবেন কিন্তু তারা কিছু করলেই দোষ। আমি আপনাকে বোমা মেরে মারার চেষ্টা করব, চিকিৎসাও করতে দেব না, তারপর বলব আপনি নিজেই বোমা মেরে মরতে চেয়েছেন। আপনি কি জানেন এই ব্লগে এখনও সুশীল বেশধারী শুয়োর ছানা আছে যারা মনে করে শেখ হাসিনা নাকি নিজেই নিজেদের ওপর বোমা মারছেন?
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: পোস্টে কইস্যা মাইনাস। একজন বাংলাদেশপন্থী এমন লেখা লিখতে পারে না। ব্লগের ভারতপন্থীদের জন্য আদর্শ লেখাই বটে !
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:০৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: বেশ ভালো একটি লেখা। র-এর সাহায্যে হাসিনা নিজেই নিজের উপর হামলা করেছে - এতো দেখি সাংঘাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক!
আর ২০০১ সালে জ্বালানি খনিগুলোতে পশ্চিমা ও ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে হাসিনা ভোটে হেরেছে - এটা ডাহা মিথ্যা কথা। বাস্তবতা হলো, খুব সামান্য কিছু কয়লা ছাড়া, বাংলাদেশে এমন কোনো জ্বালানি খনিই নেই।