নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“কলিমদ্দিকে আবার দেখা যায় ষোলই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাজারের চা স্টলে। তার সঙ্গীরা সবাই মুক্তি, সে-ই শুধু তার পুরনো সরকারি পোশাকে সকলের পরিচিত কলিমদ্দি দফাদার।”

কলিমুদ্দি দফাদার

“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”

কলিমুদ্দি দফাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে ক্যানিং শাস্তির বিধান করলে; কেমন হবে?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার ক্যানিং  নামে  খুব বিখ্যাত এবং ভয়ংকর একটি শাস্তির বিধান আছে‌‌। সাধারণত "রাটান ক্যান"  ব্যবহার করে, যা বাঁশের মতো শক্ত ও নমনীয় এক ধরনের লাঠি। ধর্ষণ, ডাকাতি, মাদক পাচার বিশেষ কিছু অপরাধের জন্য এই শাস্তি প্রয়োগ করা হয়। আসামির নগ্ন নিতম্বে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ৩-২৪ টা বেতাঘাত করা হয় যা  ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক । যারা শাস্তি পেয়েছে, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রতিটি আঘাত শরীর চিরে ফেলে, চামড়া উঠে যায়, প্রচণ্ড ব্যথা হয়। অনেকেই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, এমনকি জীবনভর দাগ থাকে এমনকি মানুষিক ট্রমায় ভোগে।

বাংলাদেশে একটি গরীব দেশ; জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং ক্রাইমের অনুপাতে পর্যাপ্ত জেলখানা ও পুলিশ নেই। তারপরে মাদক, ছিনতাই, ইভটিজিং চুরির মতো ছোটখাট অপরাধের কারনে জিডি, এফ আই আর সরকারী কাগজ-কলম লিখালিখি, জেলে রেখে খাওয়া দাওয়া পিছনে অর্থ ও সময় নষ্ট হয়‌। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইসব অপরাধীদের কয়েকদিন জেলে রেখে কিছু টাকা পয়সার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আইনের এমন ফাঁক-ফোকরে সমাজে অপরাধ করার মাত্রা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ছোট খাট এইসব অপরাধ রাঙা হাতে ধরা খাওয়ার পর সরাসরি কেনিং শাস্তির আওতায় নিয়ে আশা উচিত। এতে সরকারের পয়সা,‌ সময় দুইটাই বাঁচবে। এখনকার মব-সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, নতুন বগলের পশম কাটা হুজুরদের নিতম্বে দশটা করে বাড়ি দিলেই এই ঝামেলা চিরতরে শেষ।

বয়স্ক মানুষ,‌ নারী এবং অসুস্থ ব্যক্তি এই শাস্তির আওতার বাইরে। ১৯৯৪ সালে এক আমেরিকান কিশোরের অপরাধে নানা কুটনৈতিক টানাটানি পরে ও সিংগাপুরে এই শাস্তি‌ প্রয়োগ করা হয়। পশ্চিমা অনেক মানবাধিকার সংস্থা একে টর্চার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তাঁদের শুকনা‌ কথায় তো আর চিড়া ভিজবে না!!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমাদের দেশে Canning punishment হয়ে যাবে মোরাল পুলিশিং । এখানে ইভটিজারের পাশাপাশি যে ইভটিজিং এর শিকার হয়েছে তাকেও ডোজ দেয়া হতে পারে। আমরা বাঙালি বেশি নলেজ রাখি দুনিয়া থেকে। :-P

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
হ্যাঁ হ্যা হ্যাঁ। খারাপ বলেন‌‌ নাই; তবে প্রচলিত ধারার নিয়ম-কানুন দিয়ে আর হচ্ছে না। মানুষ নাকি আগে পুলিশ এর নাম শুনলে গলা শুকাইয়া যাইতো আর্মির নামে বাঘ-মহিশে এক ঘাটে পানি খাইতো। এখন কিছু হইলে হাসনাত ক্যান্টনমেন্ট চলে যায়; বুঝেন ঠেলা!!! ;) মানুষের মনে এখন আর কোন ঠর-ভয় নাই; দেখি জামাত, চরমোনাই আইসা যদি শরিয়া আইন চালু করে?

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৯

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



বিয়ার ও হুইস্কি মানুষকে অনেক আইডিয়া দেয়। জুল ভার্ণ ও সত্যপথিক হলো আইডিয়ার গুদাম।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
শেখ ৭১ এর মুজিব বাহিনীর উপর কেনিং সিস্টেম চালু করলে অকালে নিজের প্রাণ দিতো না ; দেশে চাকরি না‌ পাওয়ার কষ্টে আপনাকে ও আমেরিকা যাওয়া লাগতো না।

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৩৬

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



১৯৭২ সালের জানুয়ারীতে শেখ যদি ছাত্রলীগকে বিলুপ্ত করতেন, উনার নিহত হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ ভাগ কমে যেতো; ইডিয়ট জাসদ ১৯৭৫ সালের ক্যু'কে সফল হতে সাহায্য করেছিলো; ঠিক শিবির যেভাবে জল্লাদের কাজ করেছে ২০২৪ সালে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:১৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
১৯৭২ সালের জানুয়ারীতে শেখ যদি ছাত্রলীগকে বিলুপ্ত করতেন, স্রোতের বিপরীতে এদেশের কোন রাষ্ট্রপ্রধান ই দুই একটি ভালো কাজের ল্যাগেসি রেখে যান নি। হাসিনা জামাত কে নিষিদ্ধ না করে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারতেন; ধর্মীয় শিক্ষার সংস্কার করে মৌলবাদীদের গুরুত্ব সমাজে কমিয়ে দিতে পারতেন। সংবিধান সংশোধন করে ধর্মনিরপেক্ষ করতে পারতেন। সেটা না করে কাওমি জননী উপাধিতে সম্মানিত বোধ করেছেন।‌

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:০৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



সুদখোর ইউনুস মানুষের জন্য কি করার চেষ্টা করছে, সেটা আজো বলেনি।
সে বলেনি কিভাবে সে ক্ষমতায় এলো?

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪০

মাথা পাগলা বলেছেন: @জেনারেশন একাত্তর

বাংলাদেশে শরিয়তি আইন আসতে চলেছে বা আধা শরিয়তি আইন আসবে। রিয়ালিটি মাইনা নেন মুজিবের কূটনৈতিক বুদ্ধি কম ছিলো, তার মেয়েও সেম পথেই হেঁঠেছে। দেশের স্বার্থ ভুলে নিজেদের স্বার্থে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেন নাই। বাংগুর দেশে এগুলা নিষিদ্ধ করলে প্রথম দিকে অনেক প্রবলেম হতো ঠিকই, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত তৈরি হতো এবং ভিন্নধর্মী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে আলাদা হয়ে থাকতেন।

আমার ধারনা, ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক হাসিনার দেখানো অগনতান্ত্রিক কার্যকলাপ ফলো করবে আর সেটা আরও বড় করে করবে। কারন মানুষ মারা-গুম, পুলিশ পিডানো, পুলিশকে থ্রেট দেয়া - এগুলা খুবই নরমালাইজড হয়ে গেছে, মানুষ কোন রিয়েকশনও দেয়া না। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় রামদা, চাপাতি দিয়ে কোপাকোপি করে ছিনতাই হচ্ছে - প্রশাসন চুপ। এগুলা নিয়া কিছু বলা যায় না, বললে হাসিনার দোসর, ইসলাম বিদ্বেষী আখ্যা দেয়া হয়।

আমি শুধু ভাবছি দেশ অস্থিতিশীল করার জন্য আপার নেতৃত্বে সোনার ছেলেরা যদি জামাতকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেয়, কোন লেভেলের কমেডি শো হবে? কুতুব ভাই তো বলেই দিসেন এবার উনি জামাতকে ভোট দেবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.