নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“কলিমদ্দিকে আবার দেখা যায় ষোলই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাজারের চা স্টলে। তার সঙ্গীরা সবাই মুক্তি, সে-ই শুধু তার পুরনো সরকারি পোশাকে সকলের পরিচিত কলিমদ্দি দফাদার।”

কলিমুদ্দি দফাদার

“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”

কলিমুদ্দি দফাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিপহপ! প্রতিবাদের ভাষা থেকে জনপ্রিয় মিউজিক....

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২০


হিপহপের জন্ম ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে, নিউইয়র্ক সিটির দক্ষিণ ব্রংক্সে, বিশেষ করে আফ্রিকান-আমেরিকান এবং ল্যাটিনো সম্প্রদায়ের মধ্যে। হিপহপ ছিল কালো আমেরিকানদের প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব যা পরবর্তীতে সারাবিশ্বে জনপ্রিয় একটি সংগীত মাধ্যমে হয়ে উঠে। নিউ ইয়র্কের দক্ষিণ ব্রংক্স ছিল চরম দারিদ্র্য, বেকারত্ব, গ্যাং সহিংসতা এবং শহুরে অবক্ষয়ের কেন্দ্র। সরকারি নীতির ফলে সেখানে "আরবান রিনিউয়াল" (Urban Renewal) নামে একটি প্রকল্প চালু হয়, যা মূলত কম আয়ের কালো ও ল্যাটিনো পরিবারগুলোকে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এই সংকটের মধ্যেই যুবকেরা তাদের কণ্ঠস্বর ও শিল্প প্রকাশের নতুন উপায় খুঁজে বের করে। তারা রাস্তাকে তাদের স্টুডিও বানিয়ে নেয়


জনপ্রিয় একটি হিপহপ

গ্র্যান্ডমাস্টার ফ্ল্যাশ অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস ফাইভ-এর গান "দ্য মেসেজ" (1982) হিপহপের প্রথম স্পষ্ট প্রতিবাদী anthem হিসেবে পরিচিত। গানটি সরাসরি দারিদ্র্য, বস্তি জীবন এবং হতাশার চিত্র তুলে ধরে; কথাগুলো অনেকটা এমন:

"রাস্তায় সর্বত্র ভাঙা কাঁচ / সিঁড়িতে মানুষ প্রস্রাব করে, তারা কোনো পরোয়া করে না / আমি গন্ধ আর কোলাহল সহ্য করতে পারছি না / কোথাও যাওয়ার টাকাও আমার নেই, আমার আর কোনো উপায় নেই"।

১৯৮০-৯০ দশকে আমেরিকাতে হিপহপের স্বর্নযুগ বলা হয়। একে একে আত্মপ্রকাশ করে জনপ্রিয় সব হিপহপ আর্টিস। টু-পেক, আইস কিউব,‌ ডক্টর ড্রি,‌ snoop dogg ইত্যাদি।‌ আমেরিকার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি হিপহপের ক্রেজ এবং জনপ্রিয়তা দেখে নুতন আংগিকে বিনিয়োগ করা শুরু করে। এরপর দেশে দেশে ইন্টারনেট প্রসারের সাথে দাবানলের মতো সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে হিপহপ মিউজিক। "পপ" মিউজিক কম সময়ে মধ্যে সারাবিশ্বে  শাসন করলে ও হিপহপ বর্তমানে শীর্ষে অবস্থান করছে জনপ্রিয়তার আঙ্গিকে। তবে ক্রিটিকরা  হিপহপ মিউজিক নিয়ে অনেক সমালোচনা ও করেন। যেমন গানের লিরিক্স ভিডিও এর মাধ্যমে অবাধ যৌনতা, বডি সেমিং এবং নারীদের কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়।

"All I fuck is bad bitches
I don't want no mediocre hoe
Don't want no mediocre
I don't want no mediocre no"

Medicore= সাধারন নারীদের বুঝানো হয়েছে।



ব্লগে অনেকে আছেন কবিতা লিখেন; কবিতা মধ্যযুগ থেকে শিল্পায়নের মাঝারি সময়ের রোমান্স, ভালোবাসা, প্রেম, প্রতিবাদ প্রকাশ করার মাধ্যমে ছিল; এখন সময় হিপহপ এর। কাজী নজরুল এই জেনারেশনের হলে, ট্রেনে মেয়ের সৌন্দর্য দেখে "আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন" কবিতা লিখতেন না; হিপহপের ভাষায় হয়তো  বলতেন-

"পাশের বগির মাইয়ের তুই পিছন ফিরা চা-
বিদেশ থেকে আইশি আমি ডলার খাওয়াইয়া"

তাই কবিতা না, হিপহপ লিখুন।


বাংলায় ও আজকাল বেশ ভালো হিপহপ গান তৈরি হচ্ছে। জুলাই আন্দোলন সময়ে নারায়ণগঞ্জ একটি জেলে প্রতিবাদে হিপহপ গান করায় তাকে জেলে ভরে হাসিনা রেজিম।

হিপহপ শুধুমাত্র সঙ্গীতের একটি ধারা নয়; এটি ছিল এবং এখনও আছে আমেরিকার কালো সম্প্রদায়ের জন্য একটি সাংস্কৃতিক অস্ত্র। এটি সেই সমস্ত যুবকের সৃজনশীল উত্তরাধিকার যারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের সূচনা করেছিল।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে rap গান শুরু করে storic bliss । এফএম রেডিওর যুগে মামাদের এসব গান শুনতে দেখতাম। আমার ভালো লাগে আমেরিকান Eminem কে ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৬

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
হ্যাঁ! রেপ হিপহপের একটি পার্ট। Stoic bliss ওরা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান। গানের রেকর্ডিং গুলো আমেরিকার স্টুডিও করা হয়। এই সময় দেশি নতুন ধাঁচের এই গান ইয়ং পোলাপানের মধ্যে ভালো সারা ফেলে। পরে এর জনপ্রিয়তা ধরে দেশে ও অনেক পোলাপান শুরু করে।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: হিপহপ টাইপ গান বাজনা আমার কোনো দিনই ভালো লাগেনি।
আমি ভাই প্রাচীনপন্থী মানুষ।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার লেখাটা আরো ভিউ পাইতো কিনতু পাঠক দের বেকুব বানিয়ে ফেলেছে কিছু লেখক । তাই পাঠকরা আলাদা বিষয় নিয়ে পড়তে মজা পায় না।

সামুতে এমন সব লেখা আসে যেগুলো পলিটিকালি ভুল এবং দলিয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.