![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”
জুয়া বা বেটিং মানব সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন বিনোদনের একটি। এর ইতিহাস প্রায় হাজার বছর পেছনে মোটামোটি খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ সাল পুরানো। প্রথম দিকের প্রমাণ মেলে চীন, মিশর, ভারত ও মেসোপটেমিয়া সভ্যতায়। প্রত্নতাত্ত্বিকরা হাড় বা পাথর দিয়ে তৈরি পাশা (dice) খেলার। ভারতীয় মহাকাব্য “মহাভারত”এ পাশা খেলার উল্লেখ আছে। শকুনী মামার কাছে পান্ডব ভাইরা পাশা খেলায় হেরে দ্রৌপদীর বস্ত্র হরন উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা।
গ্রিস ও রোমে, সৈন্য ও নাগরিকরা পাশা বা বোর্ডগেম ও প্রাণী দৌড়ে বেট করতো। আরবরা বিভিন্ন "দেব-দেবীর" নামে বাজি ধরতো।ক্রুসেডাররা মধ্যপ্রাচ্যে বেটিং ও পাশা খেলা আরও জনপ্রিয় করে তোলে। মধ্যযুগের শেষদিকে কার্ড গেমস (Playing cards) চীনের মাধ্যমে ইউরোপে আসে। ১৯৬০–৭০ দশকে ক্যাসিনো ইন্ডাস্ট্রি লাস ভেগাস ও মোনাকোতে উত্থান ঘটায়। এশিয়ার ম্যাকাও, হংকং লাইভ ক্যাসিনোর জন্যে বিখ্যাত। রোলেট, স্লট মেশিন, ব্লাক জ্যাক জনপ্রিয় সব ক্যাসিনো গেম। ১৯৯০ দশকে ইন্টারনেট বেটিং শুরু হয়। এখন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন ক্যাসিনো, স্পোর্টস বেটিং, ই-স্পোর্টস বেটিং, ক্রিপ্টো গ্যাম্বলিং চলছে। ২০২০-এর দশকে, বিশ্বব্যাপী অনলাইন বেটিং বাজারের মূল্য $70–100 বিলিয়ন ডলারের বেশি।
সুইডেনে বেটিং বা জুয়া রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধ এবং সুইডিশ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অংশ। আয়ের একটি অংশ দিয়ে তারা বেটিং ধরে, লটারি কিনে এর মধ্যে পেনশনে থাকা বৃদ্ধ মানুষ আছে। রথের ঘোড় দৌড় তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি খেলা।
১-ইউনিভার্সিটি পড়া অবস্থায় গেমসের দোকানে টাকা লোড করে বসে থাকতাম। জাপানিজ রামেন, ফ্রাইড রাইস, ড্রিংক অনেক কিছু খাইতে দিতো; খেয়ে আবার টাকা বের করে চলে আসতাম। মালয়েশিয়া "গেন্টিং হাইল্যান্ড" সহ আরো কিছু লাইভ ক্যাসিনো যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। লাইভ খেলার অভিজ্ঞতা ও বেশ রোমাঞ্চকর! তবে সর্বোপরি বেটিং এর হিসাব করলে লাভ থেকে এখনো লোকসানের পাল্লা বেশ ভারী।
২- এক বড় ভাই (ভয়ংকর জুয়াড়ি) ভার্সিটির টিউশন ফ্রি দিয়ে গেমসে যায়। "রুলেট" স্পিন করে (লাখ দেড় এক টাকা) সম্ভবত বাংলা টাকায় কনভার্টে ২২ লাখ টাকায় জিতে। সেই রাতে রুমে মোটামোটি টাকায় বৃষ্টি হইছে, দুনিয়ার যাবতীয় সুখ ছিল পায়ের নিচে। এর ঠিক তিন দিন পরে সম্পন্ন অর্থ টাই আবার "রুলেট" খেলে হারায়।
৩-ইংলিশ ফুটবল ক্লাব টটেনহ্যাম আর শেফিল্ড ইউনাইটেডের ম্যাচ ২০২২-২৩ ইপিএল সিজনে। হোম গ্রাউন্ডে টটেনহ্যাম ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে। টটেনহাম জিতবে এই "অডসের" পরিমান ছিল ১০১; মানে এক টাকায় ১০১ টাকা। কি বুঝে যেন ১৫ ডলার বেট প্লেস করলাম। ৯৫ মিনিট পর্যন্ত ০-১ স্কোর এরপর আশা ছেড়ে দিয়ে আর দেখলাম না...পরবর্তীতে যথাক্রমে ৯৮ এবং ১১১ মিনিটের গোলে ২-১ টটেনহ্যাম ম্যাচ জিতে যায়!!!!!! আর একাউন্টে জমা হয় ১৫১৫ ডলার; এটাই আমার সবচেয়ে বড় বেটিং প্রাপ্তি।
আমি যেহেতু ফুটবল ফ্যান, লাইভ ম্যাচ উত্তেজনার জন্যে খুবই সামান্য পরিমান বেট প্লেস করি মাঝেমাঝে। ইহা হারলে আমার আর্থিক অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। তবে কখনো নিয়মিত বা আয়ের বড় অংশ দিয়ে বেট খেলা উচিত নয়। এতে ধ্বংস সুনিশ্চিত আর আর্থিক দৈন্যতা আছেই। বুদ্ধিমান স্মার্ট লোকেরা কখনো বেটিং করে না তারা বিনিয়োগ করে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:২৪
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
ভালো একটি বিষয় নিয়ে বলেছেন। বাংলা বানানে নিয়ে অনেক দুর্বলতা আছে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আর সেন্টেস ফ্রেমিং আমি নিজে ও অনেকক্ষণ ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। কিভাবে করলে সুবিধা হয় একটা ধারনা দেন? একটি পেরা পুরোটা একসাথে জুড়ে না দিয়ে স্পেস করে দিয়েছি। আমার ধারনা এতে পড়তে সুবিধা হবে। আর দ্বিতীয় ছবিটা নিয়ে একটু দ্বিধায় ছিলাম। ফরেক্স ট্রেড, স্টক এসব নিয়ে পড়ে ধরতেছি আপনাকে.....
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইপিএলে কোন দল সাপোরট করেন ? আমি লিভারপুল সাপোরটার । বাংলাদেশে আইপিএল খেলা নিয়ে বেটিং হয় বেশি । লটারি ধরেন ?
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৪০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
যারা বেটিং খেলে তাদের কোন দল থাকতে হয় না বেশি ওডসের নেশায় তারা নিজ দলের বিরুদ্ধে ও বেট প্লেস করে। প্রিমিয়ার লীগে আমার অনেকগুলো দলের খেলাই ভালো লাগে; কিন্তু আমি ম্যান ইউর সাপোর্টার। স্কিল, পাস, বল ধরে রাখা, এট্যাকিং এ সিটি এন্ড লিভারপুল বেষ্ট।
আইপিএল, ক্রিকেট দেখি না বেটিং ও করি না; এগুলি তে ওডস কম ঝুঁকি বেশি। আইপিএল নিচু স্ক্রিপ্টের ম্যাচ ফিক্সিং ক্লাশ ২ এর বাচ্চা ধরতে পারে।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেটিং আমি খুব একটা করি নাই, তবে রুলেট খেলেছি প্রচুর একটা সময়ে। ৩৭টা নাম্বারের এই খেলাটা আমি বেশ উপভোগ করি। এই খেলায় জেতা যায়, তবে কোথায় থামতে হবে সেটা জানা জরুরী। এক সেশানে দীর্ঘসময় খেললে বা হারাটা চেইজ করলে চাট্টি-বাট্টি গোল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা, প্রায় শতভাগই বলা যায়!!!
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:০১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
তবে রুলেট খেলেছি প্রচুর একটা সময়ে। কিছুটা বয়স হলে ও আপনি যে বিনোদন প্রেমী, আধুনিক মনা একজন মানুষ সেটা বুঝতে সমস্যা হয়নি। প্রথমদিকে আমার রুলেট স্পিন হাত পা কিছুটা ঠান্ডা হয়ে যেত; হায়রে সব টাকা শেষ!! যে ভাইয়ের কথা বলতেছি পড়ে ওনার স্পিন এ বিনিয়োগ করা শুরু করি। উনি ৪-৫ টি সংখ্যা নিয়ে স্পিন করে, এরপর রিবেট আর প্লেস ডাবল করতে থাকে; এই কৌশল টা আমার বেশ পছন্দের।
এক সেশানে দীর্ঘসময় খেললে বা হারাটা চেইজ করলে চাট্টি-বাট্টি গোল হওয়ার সমূহ শতভাগ সঠিক। প্রথমে মাথা ঠান্ডা অবস্থায় সাফল্য না পেলে আর কনটিনিউ করা উচিত না। তবে কোথায় থামবে বেটিং হারার পর এই জ্ঞান কাজ করে না। তখন নানা রকম সাইকোলজি কাজ করে।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:২১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
জামাত-শিবির কোরানের শাসন চায়; ১ জামাতী ও শিবির ঠিকই নিজেদের জুয়া খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করলো!
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:৫৫
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
উনি আধুনিক মানুষ; কোথায় কি প্রয়োজন বুঝেন। আপনি পিগমি, গুহাবাসী টাইপ।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৩:৩২
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
উনারা ২ জনেই বিদেশে ছিলো ও আছে; ওখানে জুয়া খেলেছে, ব্লগে এলে কোরানের শাসন চায়; এই হলো জংগীদের আসল চেহারা।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইন্টারেস্টিং একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন, কিন্তু বানান ভুল আর সেন্টেন্স ফ্রেমিঙে গণ্ডগোলের কারণে মজা পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে

সবচাইতে বড়ো গ্যাম্বলিং হলো ফরেক্স ট্রেডিং। পথে বসিয়ে ভাঙা থালা কেনার পয়সাও রাখবে না