![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মধ্যেই ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বীজ লুক্কায়িত ছিল। ১৯৫২ সালে মাতৃভাষাকে রক্ষার জন্য সালাম-বরকত-রফিক-জব্বার-শফিউর প্রাণ দিয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা এনে দিয়েছেন। ’৫২-এর সূত্র ধরেই মহান মুক্তিযুদ্ধের দানা বাঁধতে থাকে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ নারীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি লে.জে.হু.মো. এরশাদকে এ জন্য ধন্যবাদ দিতে হয় যে, তিনি কবিতা লিখুক কিংবা মেয়ে-ছেলেদের নিয়ে খেলা করুক আর যাই করুন না কেন, ১৯৮৭ সালে তিনি বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও প্রকৃত অবস্থার পরিবর্তন অনেক স্থানেই হয়নি। আজও বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আসনে অর্থাৎ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম বাংলায় চালু করা যায়নি। এটা বিজ্ঞ আদালতের বিষয়, সে ব্যাপারে কথা না বলে দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরাই।
কোনো দেশের বিমানবন্দরের নাম ভিনদেশি ভাষায় লেখা আছে এমনটা আমার জানা নাই। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম বাংলায়, ইংরেজি ও আরবিতে লেখা রয়েছে। আমার প্রশ্ন, ইংরেজি না হয় আন্তর্জাতিক ভাষা, কিন্তু আরবিতে লেখা থাকতে হবে কেন? আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ধার্মিক মালয়েশিয়ার মানুষ। কই, তাদের বিমানবন্দরের নাম তো আরবিতে লেখা নাই।
এবার আরো একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে!! বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনে “ইন্ডিয়ান রেলওয়ে” লোগো দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, ট্রেনের লোগো, নির্দেশনা ও অন্যান্য লেখায় ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দিও ব্যবহার করা হয়েছে! বাহ কি চমৎকার!!
ভারত থেকে ব্রডগেজের জন্য আনা এলএইচবি কোচগুলোর ফ্যানে লেখা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে, পাওয়ার কারে ইংরেজিতে ডেনজার লেখার পাশে হিন্দি লেখা। এছাড়া কোচের দরজাতেও হিন্দি লেখা। এলএইচবির প্রথম চালান আসার পর দুই মাসের অধিককাল সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপে সংস্কারের কাজ চলেছে। সৈয়দপুর কারখানাতেও লেখাগুলো কেন মুছে ফেলা হলো না সে প্রশ্নের জবাব দিবে কে??
ভারত সৌদিআরব কিংবা মালয়েশিয়া ভাষার জন্য জীবন দেয়নি অথচ স্বদেশি ভাষাকে মূল্যায়ন করছে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। পৃথিবীর সব দেশেই দেখেছি ভাষাকে তারা যথেষ্ট মূল্যায়ন করে, সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। জাপান, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভারত, ফ্রান্স, জার্মান, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসÑ এসব দেশের মানুষ নিজ ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা ব্যবহার করে না। আর আমরা দৌড় দিয়ে নিজের ভাষা ত্যাগ করে অন্যের ভাষা গ্রহণ করছি। বেশ ভালো !!
সূত্রঃ Click This Link
http://www.bd-desh.net/newsdetail/detail/200/224006
http://bangladesh.shafaqna.com/BD/BD/1100745
http://www.protikhon.com/বাà¦à¦²à¦¾à¦¦à§à¦¶à§à¦°-à¦à§à¦°à§à¦¨à§-à¦à¦¾à¦°à¦¤à§à§/
৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:১১
কলম চোর বলেছেন: আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর আপনি নিজেই দিতে পারেন নাই। উত্তর হচ্ছে, ইংরেজ দেশগুলো ব্যাতিত প্রায় সব দেশেই বিমানবন্দরের নাম ভিনদেশি নয় সেসব দেশের নিজস্ব ভাষায় লেখা আছে।
আপনি আপনার ২য় প্রশ্নের হাস্যকর উত্তর দিয়েছেন। দেশের ৯০% মুসলমান মানুষ নিশ্চই আরবি পড়ার জন্য বিমানবন্দরে যাবে??
৩য় উত্তরের ব্যাপারে বলছি, ভারতের নাম হিন্দুস্তান বহু আগে থেকেই। আপনি জানেন না বলেই আন্দাজে বাকবাকুম করছেন। সিন্ধু নদের আদি ফার্সি নাম হিন্দু থেকে হিন্দুস্থান শব্দটির উৎপত্তি। সিন্ধু নদের অববাহিকাতে বসবাসকারীরা ফার্সিদের কাছে হিন্দু নামে পরিচিত ছিল। সেই হিন্দুদের থাকার জায়গাই পরবর্তী কালে হিন্দুস্তান অথবা 'হিন্দুদের দেশ' নামে পরিচিত হয়। প্রাচীন গ্রিকরা ভারতীয়দের বলত ইন্দোই বা ‘ইন্দাস’ (সিন্ধু) নদী অববাহিকার অধিবাসীরা।. স্বাধীনতার পর ভারতের সংবিধানে ও লোকমুখে ভারত নামটিই মান্যতা লাভ করে।এছাড়াও মধ্যযুগে ফার্সি হিন্দুস্তান (বা হিন্দুস্থান, যার অর্থ ‘হিন্দুদের দেশ&rsquo শব্দটিও উত্তর ভারত অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকত। এটি বর্তমানে মাঝে মাঝে সমগ্র ভারত অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ভুলভাল যুক্তিতে কথা না বলে উপযুক্ত যুক্তিতে কথা বলুন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৮
কলম চোর বলেছেন: লিঙ্ক দিচ্ছি পড়ুন। আল্লাহপাক পড়তে বলেছেন।আন্দাজে তর্ক করতে বলেন নাই। কোরআনের প্রথম আয়াত 'ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী খলাক। খলাকাল ইনসানা মিন আলাক। ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরামুল্লাযী আল্লামা বিলকালাম। আল্লামাল ইনসানা মালাম ইয়া’লাম'।
হিন্দুস্তানের নাম ক্যামনে হিন্দুস্তান হইল সেটা জানতে পারবেন। আর হ্যা, আপনি আমার লেখার মর্মকথা উপলব্ধি করতে অক্ষম।
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/ভারতের_নামসমূহ
২| ৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
পিস মিসাইল বলেছেন: আপনি নিজেও রেলগাড়ি না বলে বলছেন ট্রেন। কেন?
এছাড়া লোগো,কোচ,ওয়ার্কশপ এসব বিদেশি শব্দ ব্যবহার করেছেন। কেন?
৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০০
কলম চোর বলেছেন: মিসাইল ভাই আপনি অসম্ভব জ্ঞানী। আপনার সাথে যুক্তি-তর্কে যাওয়া অহাম্মকি। সেযাজ্ঞে রেল কি বাংলা ভাষা??
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: বাংলাদেশে বাংলা ভাষার পতন শুরু হয়েছে আরোও বহু আগে, মোবাইল ফোন কোম্পানি গুলো ব্যাপক ইংরেজী ব্যবহার করে, হিন্দি চ্যানেলে হিন্দি ভাষা, বার্মিজ পন্যে বার্মিজ ভাষা, চাইনিজ পন্যে চায়না ভাষা, সংখ্যাগরিষ্ঠ এর ধর্মীয় অনুভুতি ব্যবহার করে পন্যের বাজার ধরতে তার গায়ে প্রয়োজন না থাকলেও সেখানে আরবী ভাষা সেটে দেয়া, এফএম রেডিওর বাংলিশ ভাষা এসবই অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে গেছে।
যাক তাও ভাল রেলে হিন্দি দেখে আমাদের ভাষাচেতনা জেগে উঠেছে। বেচে থাক বাংলা।
৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০১
কলম চোর বলেছেন: বেচে থাক বাংলা
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
রেজা এম বলেছেন:
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০
আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: হাস্যকর, একেবারেই হাস্যকর। বাঙালি যে কতটা ইস্যুবাজ হতে পারে তার নমুনা। পণ্য তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের ভাষায় নির্দেশনা দেবে এতো স্বাভাবিক একটি ঘটনা! অত্যন্ত স্বাভাবিক! আপনি মোবাইল ফোনের ব্যাক কভার খুলে দেখুন চাইনিজ লেখা পাবেন, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য (আমদানিকৃত) যে দেশ থেকে আসে সেই ভাষায় নির্দেশনা লেখা থাকে। যে প্রতিষ্ঠানের তৈরি তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্য নিশ্চয় বাংলাভাষায় লিখবে না। দুঃখের বিষয় কী জানেন! দুই এক শতাব্দী পর বাংলা ভাষা (অধিকাংশ ভাষাই) আর জীবিত থাকছে না।
৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
কলম চোর বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সহিত শতভাগ সহমত। আসলেই আমরা ইসুবাজ। সেজন্যই আমরা ভাষার জন্য আন্দোলন করেছিলাম, ৬দফা চেয়েছিলাম, পরে ১দফা অর্থাৎ স্বাধীন দেশ চেয়েছিলাম।
কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ রেলওয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে অন্য ভাষা সম্ভলিত নির্দেশনা কাম্য নয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮
পিস মিসাইল বলেছেন: প্রশ্নঃ কোনো দেশের বিমানবন্দরের নাম ভিনদেশি ভাষায় লেখা আছে?
উত্তরঃ ইংরেজ দেশগুলো ব্যাতিত প্রায় সব দেশেই বিমানবন্দরের নাম ভিনদেশি ভাষায় লেখা আছে। ইংরেজি তাদের দেশিয় ভাষা নয়।
প্রশ্নঃ ইংরেজি না হয় আন্তর্জাতিক ভাষা, কিন্তু আরবিতে লেখা থাকতে হবে কেন?
উত্তরঃ ভিনদেশী ইংরেজি ভাষা সহ্য করতে পারছেন কিন্তু আরবি কেন সহ্য হচ্ছে না। বাংলাদেশের ৯০% মানুষ মুসলিম। এরা স্বল্প শিক্ষিত হলেও কুরআন পড়ার জন্য আরবি শিখে। অন্তত পড়তে পারে। তাই ৯০% মুসলিমের দেশে ইংরেজি থাকতে পারলে আরবিও থাকতে পারে। এতে সমস্যা নেই। হিন্দি নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে। বাংলাদেশের ১% জনগনও হিন্দি পড়তে পারে না।
প্রশ্নঃ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ধার্মিক মালয়েশিয়ার মানুষ। কই, তাদের বিমানবন্দরের নাম তো আরবিতে লেখা নাই।
উত্তরঃ অন্য দেশের সাথে যদি তুলনা করতে চান তাহলে বলি, আমদের চেয়ে অনেক বেশি সেকুলার দেশ হল ভারত। ভারত যদি তাদের অপর নাম হিন্দুস্থান রাখতে পারে তাহলে আমরা কেন মুসলিমস্থান রাখতে পারি না? সব ক্ষেত্রে অন্য দেশের সাথে তুলনা করা বোকামি।