![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এদেশে রাজনৈতিক চাটুকারিতা শুরু হয়েছিল খুব সম্ভব পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সেনাপতি ও রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের আমলে। এককথায় বলাচলে তিনি ছিলেন তোষামোদ, তেলবাজী চাটুকারিতা সৃষ্টির পথ প্রদর্শক।
আইয়ুব খান আবার ফিল্ড মার্শাল ছিলেন ( ১৯৬৫ সাল থেকে) । তাও আবার স্বঘোষিত!! যদিও ফিন্ড মার্শাল হয়ে গেলে বড় দুটি যুদ্ধ জয়ের রেকর্ড থাকতে হয়, কিন্তু তার একটিও ছিল না। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধ তো সোভিয়েতের চাপে তাসখন্দ চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়েছিল। আর কোন যুদ্ধ!!???
সে যাকগে, মি. ফিল্ড মার্শাল ছিলেন খুবই হামবড়া স্বভাবের। নিজেকে তাবৎ পশু ও সমুদ্রের মৎসকুলের অধিশ্বর বলে মনে করতেন!! শুধু তাই নয় তিনি সর্বদাই চাইতেন সবাই যেন তার তোষামোদ করে। স্কুলের বাচ্চাদের রোদের মধ্যে দাড় করিয়ে পতাকা হাতে নিয়ে ইলি-বিলি খেলা তার আমল থেকে শুরু হয়েছিল, শুরু হয়েছিল তোরণ নির্মান। বারবার তোরণ নির্মানের ঝামেলার পাট চুকাতে দেশের বহু স্থানে তৈরি হয়েছিল স্থায়ী তোরণ। যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মোড়ে যশোর ক্লাবে যাওয়ার রাস্তায় কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাড়িয়ে আছে সেই স্থায়ী তোরণ, যদিও বর্তমানে সেটি রঙ-বে-রঙের পোষ্টানে সজ্জিত।
চাটুকারেরা ছিল আইয়ুব খানের প্রথম পছন্দের মানুষ।
একদা এক চাটুকার নাক বলেছিল "স্যারের সবথেকে বড় দিক হচ্ছে তিনি যাই পছন্দ করুক না কে, তেলবাজদের একদমই পছন্দ করেন না"। এটা শুনে খান সাহেব বেজায় খুশি হয়েছিলেন। পিট চাপড়ে সেই চাটুকারকে বলেছিলেন " তুমনে ইয়ে বাত বিলকুল সেহি বোলা"!!
মানুষ মরে যায়, চলে যায় কিন্তু রেখে যায় তার স্মৃতি/দুঃস্মৃতি । মাঝে মাঝে কিছু মানুষ তাদের প্রেতাত্মাও রেখে যায়। আইয়ুব খান সেই সব মানুষের মধ্যে একজন যায় প্রেতাত্মা এখনো এই বাংলায় ঘুরঘুর করছে।
দেশের মানুষ নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য, দলীয় পদ পাওয়ার উদ্দেশ্যে, কিংবা আরো পছন্দের পাত্র হবার আশায়, ঠেকায় পড়ে নিতান্ত অনিচ্ছায় বর্তমান নেতা নেত্রীদের বিভিন্ন ভাবে তোষামোদ করে চলেছে। চাটুকারেরা তাদের দিচ্ছে বিভিন্ন উপাধি। নামকরণ করে চলেছে বিভিন্ন বিশেষণে। যেমন, অমুক নেত্রী, অমুক রত্ম, তমুক পাথর , অমুক মানশ পুত্র/কন্যা ইত্যাদি ইত্যাদি। জন্মদিনে সবাই মিলে কাটছে কেক। নেতার বয়স ৩০, কেকের ওজন ৩০ পাউন্ড, নেতার বয়স ৫০ কেকের ওজন ৫০ পাউন্ড। নেতা/নেত্রী আসুক আর নাই বা আসুক, কেক কাটা চাই। সঙ্গে চলবে ফটগ্রাফারের ক্লিক ক্লিক, কারণ পত্রিকায় আসতে হবে তো, নাহলে নেতা জানবে কিভাবে?? আর ফেসবুকে তো দিতে হবে অবশ্যই। লাইকের বন্যাকে মহাপ্লাবনে পরিণত করতে হবে না??
কিন্তু দেশের মূল নেতা/নেত্রীদের বুঝতে হবে, এই চাটুকারেরাই যে তাঁর এবং তার দলীয় আদর্শকে নষ্ট করছে আর দলীয় আদর্শ নিয়ে ব্যবসার পসরা সাজিয়েছে, তাঁর আদর্শকে বিক্রি করে গোছাচ্ছে নিজেদের আখের। আর ক্ষতি করছে সেই দলের আর দেশের। এরা ঘরের শত্রু বিভীষণ, বিপদে এই চাটুকারদের পাওয়া যাবে না। টিনের চশমা পরে ঘুরে বেড়াবে এরা। এদের চাটুকারিতা দেখে আবেগে আপ্লুত না হয়ে এর লাগাম টেনে ঘরুন এখনি, অন্যথায় অনেক দেরি হয়ে যাবে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
কলম চোর বলেছেন: আপনাকে যে চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছি সেটাই বা কম কিসের?? :v :v
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২০
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: কে কত দিন রাজনীতিতে টিকবেন?, পদ পাবেন? সেটা দলীয় প্রধানকে তোষামোদ করার উপর নির্ভর করে।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২০
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: কে কত দিন রাজনীতিতে টিকবেন?, পদ পাবেন? সেটা দলীয় প্রধানকে তোষামোদ করার উপর নির্ভর করে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫০
কলম চোর বলেছেন: যতদিন ব্যক্তিগত যোগ্যতাকে অগ্রাহ্য করে তোষামোদের উপর নির্ভর করে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে ততদিন দেশ,জাতি অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় থাকবে, আলোর পথ খুজে পাবে না। ইতিহাস সাক্ষী, যদি ১৯৫২, ১৯৬২,১৯৬৯, ১৯৭১,১৯৮৮-১৯৯০ সালে তোষামোদের ভিত্তিতে নেতা নির্বাচিত হতো তাহলে এখনো আমরা সেই পরাধিনতার জালে অবদ্ধ থাকতাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"কিন্তু দেশের মূল নেতা/নেত্রীদের বুঝতে হবে, এই চাটুকারেরাই যে তাঁর এবং তার দলীয় আদর্শকে নষ্ট করছে "
-কোন দলের কি আদর্শ রয়েছে, যা আবার নস্ট করাও সম্ভব; আপনি আমাকে চিন্তিত করলেন।