![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খবরঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেসবুকে ইসলাম-বিদ্বেষী ছবির জেরে হিন্দুদের বহু বাড়ি-ঘর, মন্দির, দেব-দেবীর মূর্তি ভাংচুর ।লিঙ্কঃ Click This Link
** গতকাল ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে চলেছে তান্ডব লীলা। যেটা আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য বিরাট হুমকি। আমরা বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি কিন্তু আমাদের এই অসুস্থ এবং অশুভ মন মানসিকতা থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতেই হবে।
** ঘটনার সারসংক্ষেপঃ রসরাজ দাস নামে এক হিন্দু যুবক ফেসবুকে পবিত্র কাবা ঘরের সংগে হিন্দুদের দেবতা মহাদেব/শিবের একটি ছবি জুড়ে পোষ্ট দেন। আর এর জের ধরে ওই এলাকার মুসলমানেরা মন্দির, মণ্ডপ ও প্রতিমা ভাংচুরে মেতে ওঠেন।
** বিস্তারিত বিশ্লেষনঃ এই ঘটনায় দুটি গর্হিত কাজ হয়েছে।
** প্রথমত, রসরাজ দাস কাবা শরিফের উপর শীবের ছবি ফটোশপের মাধ্যমে স্থাপন করে তার নিজের উগ্র ও নোংরা মন মানসিকতার প্রকাশ করেছেন। যেটা একই সাথে বাংলাদেশের বিধান মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ (ধারা: ২৯৮ দণ্ডবিধি) এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বিধান আছে। একই আইনের ৬৬ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কম্পিউটার, ই-মেইল বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক রিসোর্স বা সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করলে এ জন্যও একই দণ্ড হবে।
** দ্বিতীয়তঃ ঐ এলাকার মুসলমানেরা অতি উৎসাহী হয়ে যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে সেটি ধর্মীয় দিক থেকে অগ্রহণযোগ্য ও আইনী দৃষ্টিকোণ থেকেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এখানে আমি মুসলমানদের নেক্কারজনক কর্মকাণ্ড যে ইসলাম সমর্থন করে না সেটি পবিত্র কোরআন শরীফের ১০৯ নং অধ্যায়/সূরার (সুরা কাফিরুন) নাযিলের শানেনজুল এবং শেষ আয়াতের মহত্বের বাণীর মাধ্যমে আমার কথা শেষ করবো।
** সুরা নাযিলের শানেনজুলঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, ওলীদ ইবনে মুগীরা, আস ইবনে ওয়ায়েল, আসওয়াদ ইবনে আবুদল মোত্তালিব ও উমাইয়া ইবনে খলফ প্রমুখ মক্কার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কয়েকজন একবার রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর কাছে এসে বললঃ আসুন, আমরা পরস্পরের মধ্যে এই শান্তিচুক্তি করি যে, একবছর আপনি আমাদের উপাস্যদের এবাদত করবেন এবং একবছর আমরা আপনার উপাস্যের এবাদত করব।
তিবরানীর রেওয়ায়েতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, কাফেররা প্রথমে পারস্পরিক শান্তির স্বার্থে রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর সামনে এই প্রস্তাব রাখল যে, আমরা আপনাকে বিপুল পরিমাণে ধনৈশ্বর্য দেব, ফলে আপনি মক্কার সর্বাধিক ধনাঢ্য ব্যক্তি হয়ে যাবেন। আপনি যে মহিলাকে ইচ্ছা বিবাহ করতে পারবেন। বিনিময়ে শুধু আমাদের উপাস্যদেরকে মন্দ বলবেন না। যদি আপনি এটাও মেনে না নেন, তবে একবছর আমরা আপনার উপাস্যের এবাদত করব এবং একবছর আপনি মাদের উপাস্যদের এবাদত করবেন।
আবু সালেহ্-এর রেওয়ায়েতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ মক্কার কাফেররা পারস্পরিক শান্তির লহ্ম্যে এই প্রস্তাব দিল যে, আপনি আমাদের কোন প্রতিমার গায়ে কেবল হাত লাগিয়ে দিন, আমরা আপনাকে সত্য বলব। এর পরিপ্রেহ্মিতে জিবরাঈল সূরা কাফিরূন নিয়ে আগমন করলেন। এতে কাফেরদের ক্রিয়াকর্মের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ এবং আল্লাহ্ তা'আলার অকৃতিম এবাদতের আদেশ আছে। [ সূত্রঃ Click This Link ]
** এখানে বেধর্মীদের দেবতাদের ইবাদত/পুজার যে প্রস্তাব নবীজি (সঃ) বরাবরে দেওয়া হয়েছিল এবং তার প্রেক্ষিতে আল্লাহপাক সূরার মাধ্যমে মূর্তি সমূহ ভেঙ্গে ফেলার অদেশও তো দিতে পারতেন? কিন্তু আল্লাহ সুবাহা'নাহু তাআলা সেটি না বলে শেষ আয়াতে বলেছেন “لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ”, উচ্চারণঃ “লাকুম দিনুকুম অলিয়া দিন”। অর্থঃ “তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে”
যেখানে বিশ্বনবীর (সঃ) এর কাছে অন্য ধর্মের দেবতাদের ইবাদত/পুজার প্রস্তাব তিনি গ্রহণ করেন নাই কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছিলেন, নবীজি (সঃ) এর সাহাবীগণ উত্তেজিত না হয়ে স্বাভাবিক ছিলেন, আল্লাহ সুবাহা'নাহু তাআলা যেখানে সহিংশ না হয়ে বিনীতভাবে তাদের অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন, সেখানে কেন আমরা সহিংশ হয়ে যাচ্ছি??
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
কলম চোর বলেছেন: দেখুন, এক এক পত্রিকা এক এক রকম খবর প্রকাশ করবে। আমি বিবিসির খবরের প্রেক্ষিতে কলাম লিখেছি। কালের কন্ঠ এক রকম, প্রথম আলো আরেক রকম, সংগ্রাম, ইনকিলা্ব অন্যরকম সংবাদ পরিবেশন করবে।
কিছুদিন কুমিল্লায় মসজিদে মলমূত্র ত্যাগ এবং পবিত্র কোরআন শরিফ ছেড়ার ঘটনা ঘটেছে (সূত্রঃ Click This Link ) । কিন্তু তখন কোন সহিংশতার খবর পাওয়া যায় নাই। এমন অপকর্মের জন্য দেশে আইন আছে, বিচার আছে। অপরাধের সাথে জড়িতদের শাস্তি হবে।
আর আমার উষ্কানি দেওয়ার কথাটার মানে বুঝলাম না। কোন মুসলমান কখনই কাবা শরিফ কিংবা নবীজি (সঃ) এর নামে কুৎসা রটাবে না। (যদি সে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক না হয়)। অন্যদিকে হিন্দুধর্মের মন্দির মূর্তি ভাংচুর অবশ্বই হিন্দুরা করবে না। (যদি সে হিন্দু বিদ্বেষী নাস্তিক না হয়)। প্রাইমাফেসি ভাবে ধারণা করা যায় এমন কাজ কারা করেছে। এজন্য আইনিষ্টাইন কিংবা সক্রেটিস হবার প্রয়োজন পরে না। মন্তব্যের জন্য ধন্যাবাদ।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
সুভ্র দেব কুন্ডু বলেছেন: সংখ্যা লগুদের জিবনের নিরাপত্যা চাই
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২১
কলম চোর বলেছেন: সংখ্যা লঘু শব্দের সাথে আমার ঘোর আপত্তি আছে। এদেশে কেউই সংখ্যা লঘু কিংবা সংখ্যা গুরু নয়, সবাই বাংলাদেশী। সংখ্যা লঘু শব্দের মাধ্যমে কিছু গোষ্ঠী নিজেদের হাইলাইট করে। এসব না করে শুধু বলুন ' সকলের জীবনের নিরাপত্তা চাই'।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০১
আহা রুবন বলেছেন: @ বন্দী কণ্ঠস্বর: কালের কণ্ঠের রিপোর্ট পড়লাম। কিছুতেই প্রমাণ হয় না যে হামলাকারীরা মুসলমান নয়। রসরাজ দাস আহত করল মুসলিমদের আর আক্রমন করবে অন্য কেউ? যা হোক রসরাজ দাস যে কাজটি করেছে, হামলাকারীরাও একই অপরাধ করেছে। পার্থক্য কেবল তারা পরে করেছে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩২
কলম চোর বলেছেন: সহমত
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমরা এখনো মানুষ হতে পারলাম না, শুধু হিন্দু মুসলমানই রয়ে গেলাম
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২২
কলম চোর বলেছেন: সহমত
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
বন্দী কন্ঠস্বর। বলেছেন: আপনার লেখায় অনেকাংশেই একমত,তবে আমার আপত্তি হলো
১) ঐ এলাকার মুসলমানেরা অতি উৎসাহী হয়ে যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে সেটি ধর্মীয় দিক থেকে অগ্রহণযোগ্য ও আইনী দৃষ্টিকোণ থেকেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এখানে আপনি ঐ এলাকার সব মুসলমানদের দায়ী করেছেন।কিন্তু উপজেলা পূজা উদ্যাপন সমিতির সভাপতি দত্তপাড়ার কাজল জ্যোতি দত্ত জানান, তার বাড়ি ও মন্দিরেও হামলা হয়। শত শত লোক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ফেরাতে গিয়ে এলাকার কিছু মুসলিম যুবকও আহত হয়।' নাসিরনগরে তাণ্ডব : মন্দির, ঘরবাড়ি ভাংচুর-লুটপাটউপজেলা পূজা উদ্যাপন সমিতির সভাপতি দত্তপাড়ার কাজল জ্যোতি দত্ত নিজেই জানিয়েছেন, ফেরাতে গিয়ে এলাকার কিছু মুসলিম যুবকও আহত হয়।সুতরাং ঐ এলাকার সকল মুসলমানদের উপর দায় চাপিয়ে তাদেরকে সাম্প্রদায়ীক বানিয়েছেন। এটা অবশ্যই উস্কানী।
২) সমাবেশ শান্তিপুর্ন ছিলো।প্রায় সকল পত্রিকায় একই কথা লিখেছে।তবে আক্রমনকারীদের পরিচয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ কেউ করে নাই।এত এত মোবাইল ক্যামেরা।ছোটো ছোটো ঘটনা যেখানে মোবাইল ফুটেজ পাওয়া যায়,সেখানে এতক্ষন ধরে তান্ডব চলার সময়ে কোনো ফুটেজ নাই।এর কারন কি? এর কারন হলো এতে সাধারন মুসলমানদের দায়ী করা এবং মামলা করা সহজ হয়।
৩) আপনি খোজ নিয়ে আসল ঘটনা জানুন। আসল ঘটনা হলো। ওখানে লোকাল পলিটিক্সের কারনে এক পক্ষ সুযোগ নিয়েছে।আর কিছুই নয়। এখানে সাধারন মুসলমানদের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই। এর ভিতরে কিছু নামধারী মুসলমান থাকতে পারে।কিন্তু যারা অন্য ধর্মের উপসানলয় এবং বাড়ি ঘরে হামলা করে তার ধর্ম থেকে খারিজ হয়ে যাবে,যা আপনার পোষ্টেই উল্লেখ করেছেন। তাই বলেছি,প্রকত মুসলমানরা হামলা করতে পারে না।
৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
রায়হান চৌঃ বলেছেন: মাত্র ১২% হিন্দু হলেও তারা এ দেশে অনেক সুখেই ছিল। কিন্তু নব্য দালাল গুলো চাইছে বাংলাদেশে একটা রায়ট হোক , হোক একটা হিন্দু মুসলিম এর মাঝে খুব বড় দরনের দাংগা...... কিন্তু লাভ টা কি হবে বলবেন ?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৩
কলম চোর বলেছেন: একদম মনের কথা বলেছেন, ধন্যবাদ।
৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০
সজীব মোহন্ত বলেছেন: কুরান এসব ভাঙ্গা-ভাঙ্গির বৈধতা দিয়েছে।কুরান মতে ইব্রাহিমের মাধ্যমে যা শুরু হয়েছিল তা এখনো চলছে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৫
কলম চোর বলেছেন: মি.সজীব, আপনার জবাব দেওয়ার আগে আমি আপনাকে একটা হাদিস শুনিয়ে দেই।
“কোন মুসলিম যদি অন্য ধর্মের কাউকে বিনা কারনে নির্যাতন করে তাহলে মনে রেখ হাশরের ময়দানে তার (এই নির্যাতিত অমুসলিমের) পক্ষে আমি ওকালতি করবো” ---- মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
এবার আপনার জবাবে আসছি। মি.সজীব কয় লাইন/আয়াত কুরআন পড়ে পন্ডিতি করতে আসছেন?? যেটা জানেন না, সেই বিষয়ে কথাও বলবেন না। আপনি কি জানেন ইসলাম অন্য ধর্মাবল্বীদের নিয়ে কি বলেছে?? চলুন দেখি ইসলাম আপনাদের নিয়ে কি বলে। রেফারেন্স সহ দিলাম।
** ধর্মের বিষয়ে কোন জবরদস্তি নেই। সূরা বাকারা : ২:২৫৬
** তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে” --- সূরা কাফেরুনঃ ১০৯:৬
** অবশ্যই মদ, জুয়া, মূর্তিপূজা এবং লটারি অপবিত্র ও শয়তানের কাজ। অতএব, তোমরা তা থেকে দূরে থাকবে, যাতে সফলকাম হতে পার (সুরা আল মায়িদাহ : ৯০)। এই আয়াতে আল্লাহ মূর্তিপূজা নিষেধ করেছেন, পূজা ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে মূর্তির ব্যবহার কিংবা ভাঙ্গচুর করতে বলেন করেন নি।
** মহান আল্লাহ মহানবী (সা.)-এর প্রতি ইসলামের বাণী প্রচারের দায়িত্ব দানের সাথে সাথে তাঁকে এ নির্দেশ দান করেছেন যে,তোমার প্রতিপালকের পথে প্রজ্ঞা ও উপদেশসহ আহ্বান কর এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে যখন বিতর্ক করবে তখন উত্তম পন্থায় বিতর্ক করবে (সূরা নাহল : ১২৫)। অর্থাৎ ইসলাম অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিতর্কে সকল প্রকার আক্রমণাত্মক ও তিরস্কারমূলক কথা এবং পরিহাসমূলক আচরণ পরিহারের নির্দেশ দিয়েছে।
** ইসলাম সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে : ‘মুশরিকরা আল্লাহকে ছেড়ে যাদের (উপাস্য মনে করে) আহ্বান করে তোমরা তাদের গালি দিও না।’ (সূরা আনআম : ১০৮)। এ আয়াত অনুযায়ী অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাস্যই শুধু নয়; বরং তাদের সম্মানিত ব্যক্তিদেরও কোনরূপ অবমাননা করা যাবে না।
** আল্লাহ বলেন : ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের স্বদেশ হতে বহিষ্কার করেনি তাদের প্রতি উদারতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালবাসেন। আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন যারা দীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং তোমাদের স্বদেশ হতে বহিষ্কার করেছে এবং তোমাদের বহিষ্করণে সাহায্য করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে প্রকৃতপক্ষে তারাই জালিম।’ (সূরা মুমতাহিনা : ৮-৯)। এ আয়াতে আল্লাহ বিধর্মীদের সঙ্গে সদাচরণের মানদণ্ড তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস বলেননি; বরং মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ ও তাদের ওপর নির্যাতন না করাকে সুসম্পর্কের মাপকাঠি নির্ধারণ করেছেন।
** ইসলাম সামাজিক সুসম্পর্কের মৌলিক নীতিমালা ও ভিত্তি ক্ষমাপরায়ণতা বলে উল্লেখ করেছে ও বলেছে : ‘(হে রাসূল!) তুমি ক্ষমাপরায়ণতা অবলম্বন কর,সৎ কাজের নির্দেশ দাও এবং অজ্ঞদের এড়িয়ে চল।’ (সূরা আরাফ : ১৯৯)। এ আয়াতে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বিধর্মীদের অস্বীকার এবং দৈহিক ও মানসিক কষ্টদানের জবাব ক্ষমা প্রদর্শনের মাধ্যমে দিতে বলেছেন। এ কারণেই আমরা দেখি,মহানবী (সা.) মক্কা বিজয়ের দিনে তাঁর সকল শত্রুকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
** মহানবী (সা.) তাঁর বরকতময় জীবনে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের সাথে সর্বোত্তম আচরণের নমুনা পেশ করেছেন। তিনি ইসলামী ভূখণ্ডে বসবাসকারী আহলে কিতাবদের (ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান) যেমন জিম্মী চুক্তির অধীনে পূর্ণ নিরাপত্তা দান করেছেন,তেমনি মুশরিক-কাফিরদের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করে তাদের জীবন,সম্পদ ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি সকল অবস্থায় যুদ্ধবিরতি ও সন্ধিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং মহান আল্লাহর এ নির্দেশ ‘তারা যদি সন্ধির দিকে ঝুঁকে পড়ে,তবে তুমিও সন্ধির দিকে ঝুঁকবে এবং আল্লাহর ওপর নির্ভর করবে’ (সূরা আনফাল : ৬১) এবং ‘সুতরাং তারা যদি তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা হতে সরে দাঁড়ায়,তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ না করে এবং সন্ধির প্রস্তাব দেয় তবে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের পথ রাখেননি’ (সূরা নিসা : ৯০)
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
বন্দী কন্ঠস্বর। বলেছেন: আপনিও উস্কানী দিচ্ছেন।আপনি কেমনে শিউর হলেন হামলাকারীরা মুসলমান? কালের কন্ঠের রিপোর্টটা পড়ুন।
'হামলাকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই যুব বয়সের ও তাদের পরণে প্যান্ট শার্ট ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। কেউ একজন ঘোড়ায় চড়ে এসে হামলা চালান। .।.।.।।উপজেলা পূজা উদ্যাপন সমিতির সভাপতি দত্তপাড়ার কাজল জ্যোতি দত্ত জানান, তার বাড়ি ও মন্দিরেও হামলা হয়। শত শত লোক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ফেরাতে গিয়ে এলাকার কিছু মুসলিম যুবকও আহত হয়।'
নাসিরনগরে তাণ্ডব : মন্দির, ঘরবাড়ি ভাংচুর-লুটপা
এদের একজনকেও কি সনাক্ত করা যায় না?এরা কি জ্বীন ভুত? ওখানের পলিটিক্সএর কারনে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।হামলার ঘটনায় ধর্মীয় কোনো কারন নেই।