![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কোরবান বর্তমানে ব্যবসায়ী কিন্তু ব্লক পরা আমার নেসা। আমি জিবনে অনেক বড় হতে চাই এজন্য আমি হার্ড ওয়ারকিং করতে রাজি।
মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ বাধলে কারা জয়ী হবে?
ক্ষয়ক্ষতি কাদের বেশি হবে?
বর্তমানে সামরিক শক্তিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে (মানেন আর না মানেন) । কিন্তু মাত্র ১০ বছর আগেও তারা সবক্ষেত্রে আমাদের থেকে পিছিয়ে ছিল ।
২০০০ সালে বিডিআর একাই যুদ্ধ করে বার্মাকে যেভাবে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিল, বার্মা সশস্ত্র বাহিনী এখন সেই পর্যায়ের চেয়ে কয়েকগুন বেশি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। যে বার্মার সীমান্ত রক্ষী, সেনাবাহিনী ও
নৌবাহিনীর যৌথ আক্রমন প্রতিহত করে বিডিআর একাই ৬০০ বারমিজ সেনা হত্যা করে দেশের অংশ রক্ষা
করেছিল, আজ সেই বার্মার কাছে আমাদের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নিহত হলে লাশটি ফেরত আনতেও
বেগ পেতে হয়। এটি বার্মার সাথে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতার বর্তমান অবস্থানকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
একটা কথা মনে রাখতে হবে ২০০০ সালের বিডিআর আর বারমিজ সেনাবাহিনী আর এখনকার অবস্থা সম্পূর্ণ বিপরিত ।
এই মুহুর্তে যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি। যেহেকু এটা নিশ্চিত যে আক্রমনের সূচনাটা হবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাই ক্ষয়ক্ষতিটা বাংলাদেশেরই বেশি হবে বলে ধারনা করা হয় । পাহাড়ে ঘেরা মায়ানমার এক্ষেত্রে বেশী সুবিধা পাবে , সমতল ভুমির দেশ হওয়াতে আমাদেরই বড় আঘাত সহ্য করতে হবে ।
আমার সবচেয়ে আশ্চর্য্য লাগে বাংলাদেশের সাধারন মানুষের পাশাপাশি দেশের সামরিক বাহিনীগুলোও
নীরবতা পালন করছে এটা দেখে। তাদের সেরকম কোন তৎপরতা এখন পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি। সরকারের
কোন মাথাব্যথাই নেই মনে হচ্ছে এব্যাপারে। অথচ মিয়ানমার খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছে পুরো ব্যাপারটিকে।
সীমান্তে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সমাবেশ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। তারা যে এখন বড় ধরনের কোন
পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে এতে এখন আর কোন সন্দেহ নেই। হঠাৎ করে আক্রমন করে বসলে সেটা ঠেকানোর মত ক্ষমতা বিজিবির কতটুকু আছে তা নিয়েও সন্দেহ আছে।
বিশেষ করে ২০০০ সালের বিডিআর আর এখন কার বিজিবির মধ্যে অনেক পার্থক্য । যখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর একটি
বিশাল অংশ ভারি অস্ত্র সামগ্রী নিয়ে আমাদের সীমান্তে স্থায়ী ভাবে অবস্থান নেয়া শুরু করেছে। সেই হিসেবে সীমান্তে বিজিবির সংখ্যা বর্তমানে তাদের সংখ্যার ১০ ভাগের ১ ভাগ মাত্র আর ভারি অস্ত্র তো নেই বললেই চলে,। সত্যি কথা
বলতে গেলে,এখন যদি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমন চালায় সীমান্তে বিজিবি একদিনের বেশি টিকে থাকতে পারবে না । যদি আসলেই যুদ্ধ হয় তবে জয় আমাদেরই হবে শেষ পর্যন্ত, তবে এটা ভেবে নেওয়া বোকামি যে
২৪, ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার ভেতর আমরা মায়ানমার সেনাবাহিনী কে ধ্বংস করে দিতে পারব, দুই পক্ষের ই তুমুল লড়াই হবে, দুই পক্ষেরই কয়েক লক্ষ সেনা নিহত হবে, তবে সবশেষে জয় আমাদেরই হবে সেই সাথে ক্ষতির পরিমান ও ।
.
.
(Collected&Edited) Global Defence News
©somewhere in net ltd.