নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অকৃপণ জনসাধারণ এখানে প্রচণ্ড ক্ষমাশীল

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৫

অকৃপণ জনসাধারণ এখানে প্রচণ্ড ক্ষমাশীল

===============================

ভোটদাতারা যদি দলোগণের পক্ষে থাকতো, কোনো দলের দলীয় উপদেষ্টারা ভোটের পদ্ধতি নিয়ে দলোগণের মধ্যে সংঘর্ষময় বিশৃঙ্খলা চালিয়ে যাবার মতো কোনো উপদেশ দেবার সুযোগ পেয়ে আদাজল খেয়ে লেগে থাকতো না।



ভোটদাতাদেরকে মর্যাদা না-দেওয়ার পরিণতিতেই যে এখানে প্রায়শ্চিত্তের আত্মঘাতী দলোধ্বংসী কোন্দল চলমান, তা’ কখনোই ‘কোন্দলের মধ্যেই অস্তিত্বশীল’ দলগুলোর দলনেতারা তাদের ক্যাডার ক্রীতদাসদেরকে বুঝতে দেয় না।



‘এবারে জিততে পারলেই তোমাদের বিশ্রাম এবং সেই সাথে সম্মানজনক পাওনা পুরস্কারের সম্পূর্ণটাই পাবে তোমরা,’-এভাবে দলীয় ক্রীতদাসগুলোকে আশ্বাস দিয়ে দিয়ে দলোগণকে টিকে থাকতে হ’তো না, যদি সৎসাহসীদের মতো চেষ্টা চালিয়ে তারাও জনসাধারণের প্রাপ্য মর্যাদাটুকু এখানে দিয়ে যেতে পারতো।

গণমনোনয়নে প্রতিনিধিরূপে নির্বাচিত হ’লে পরে, জনসাধারণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার মতো, গণমালিকদের ওপরেই মালিক সাজার প্রবণতার পাপটিও কোনো প্রকাণ্ড পাপ নয়।



ভদ্র পরিবেশে টিকে থাকতে না-পারা, অতি সামান্য এই বিড়ম্বনাটুকু, এখানে অন্যান্য হালকা গোছের সাধারণ পাপের প্রায়শ্চিত্তের মতোই, অতি সাধারণ জনগণকে মর্যাদা না-দেওয়ার সামান্য পাপের প্রায়শ্চিত্ত।



কেবল আত্মবিশ্বাসী যোগ্যরাই সৎসাহস নিয়ে জনসাধারণকে ঐ মর্যাদাটুকু দিতে পারে।



বিশ্বাসঘাতকদের জন্যে সৎসাহসী হওয়াটা যদিও সহজসাধ্য নয়, তবে তা’ সাধ্যের বাইরে কিম্বা অসম্ভবও নয়।



দলোগণের জন্যে নিত্য স্মরণীয়, অকৃপণ জনসাধারণ এখানে প্রচণ্ড ক্ষমাশীল। যে কেউ ক্ষমা চাইলে এরা ক্ষমা করতে কার্পণ্য করে না।





গণকরণিক : আখতার২৩৯ বাংলাদেশ : ৩০/১২/২০১৩খ্রি:

আতঙ্কিত কেউ লুকোচ্ছে দেখলেই এরা তাকে লুকোতে দেবে

যদিও ‘গণতন্ত্র চাই’ চাওয়াটা আত্মপ্রতারণা ...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১২

স্তব্ধতা' বলেছেন: আপনি কি আসলেই চান আপনার লেখা কেউ পড়ুক? "দলোগণ'' কি জিনিস? এইটা কোন্ বাংলা !!!

আপনি লেখার সময় আপনার চিন্তার পথকে অনুসরন করে অনুসরনের প্রতিটি ধাপ শব্দে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেন, এটা না করে সমষ্টিক চিন্তার সারমর্ম গুলো লিখলে তা পাঠকের জন্য আরো বোধগম্য হতো। আপনার মূল্যবান ভাবনা গুলি গণচিন্তায় রূপান্তরিত হবার একটি প্রয়াস হয়ে উঠতে পারতো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২০

করণিক আখতার বলেছেন: ইহারাই `দলোগণ’ পদবীতে ভূষিত
================
দু’প্রকারের মানবসন্তান, দলোগণ ও জনগণ, উভয়ের মধ্যেকার পার্থক্য মানসিকতায় এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে, যা’ সুস্পষ্ট।
যারা কোনো আমলে হরতালের পক্ষে এবং কোনো আমলে হরতালের বিপক্ষে যায়, তারাই দলোগণ, --আর যেনারা কখনোই হরতালের পক্ষে থাকেন না, তেনারাই জনগণ।
দলোগণ, অবৈধ অস্ত্রধারী হ’তে পারাকে পছন্দ করে এবং কখনোই প্রতিপক্ষ অস্ত্রধারীকে ভয় পায় না।
অস্ত্রধারীরা অস্ত্রধারীদের ভয়ে ভীত বা আতঙ্কিত হয় না। তবে, ঐ অস্ত্রধারীরাই নিরস্ত্র জনসাধারণের গণপিটুনিকে ভয় পায়, যত ভয় পাওয়া উচিত, ভয় পায় তারা তার চে’ অনেক বেশি।
প্রতিপক্ষের দলোগণের কাছে দলোগণ প্রশ্রয় না-পেলেও, অসীম ধৈর্যশীল জনগণের সীমিত সহ্যশীলতায় আশ্রয় পেয়ে পেয়ে টিকে থাকে সকল দলোগণ।

গণকরণিক : আখতার২৩৯

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.