নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই দেশের জন্য যুদ্ধ করা কি আমাদের অপরাধ ছিল ?

২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৪০


"আমাদের কুত্তার মতো পেটায়, নিচে ফেলাইয়া পড়ায়। এই জন্যই কি যুদ্ধ করেছিলাম?" - একজন জুলাই যোদ্ধার মুখে কণ্ঠে এমন হাহাকার শুনে চোখটা নিজের অজান্তেই ভিজে গেল। যে ছেলেটা দেশের জন্য রাস্তায় নেমেছিল, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, আজ তাকেই কুত্তার মতো পেটানো হচ্ছে। এটাই কি ছিল আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন ?

রিয়াদের যে বয়সে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘোরার কথা, সেই বয়সেই চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলো। তার দোষ হচ্ছে সে সাবেক এক এমপির বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিল। কিন্তু রিয়াদের আর কোনো উপায় ছিল না। বাবা দিনমজুর, গরিব পরিবারের সন্তান সে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর ছেলেটা একটু টাকা-পয়সার মুখ দেখা শুরু করলো। আর শেখ হাসিনার দোসর DGFI তার ইনকামে বাধা হয়ে দাড়ালো ।

রিয়াদকে চাঁদাবাজির মামলায় ফাসিয়ে এখন ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুলিশ দিয়ে পিটুনি খাওয়াচ্ছে। রিয়াদ যা করেছে তার জন্য কি সে একাই দায়ী? রিয়াদের মতো ছেলেরা কখনো এসব চাঁদাবাজির সরদার হতে পারে না - কারণ সে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। রিয়াদকে দিয়ে মূলত টাকা তোলার কাজ করানো হতো। আসল মাস্টারমাইন্ডরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।

রিয়াদের সাথে নাহিদ ইসলাম এবং তার বাবার গভীর সম্পর্ক ছিল। তারা কি সাহায্য করতে পারে না যে পুলিশ যেন এই ভাইটির সাথে ভালো ব্যবহার করে? একজন জুলাই যোদ্ধাকে কেন কুত্তার মতো পিটানো লাগবে? পুলিশ জুলাই যোদ্ধাদের হাতের কাছে পেলেই যেন প্রতিশোধের নেশায় উন্মত্ত হয়ে ওঠে। তাদের সাজানো সংসার ভেঙে দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

নাহিদ ইসলাম কি রিয়াদের জন্য কিছুই করতে পারে না? সে এখন চায়নাতে চিল করছে আর জুলাই যোদ্ধা ভাইটি কারাগারে ডালের পানি দিয়ে সকাল-সন্ধ্যা কুলি করছে। এনসিপি নেতাদের মাঝে আসিফ আর নাহিদ বাদে সবাই জোর গলায় বলেছে যে এক টাকা অনিয়ম কেউ খুঁজে পেলে তারা রাজনীতি করা ছেড়ে দিবে। কিন্তু বাস্তবে কী হচ্ছে ?

রিয়াদ ছেলেটার পারিবারিক অবস্থা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। একজন দিনমজুরের ছেলে, যে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল, তার সাথে এমন আচরণ কি ন্যায়সংগত ? এই দেশে অপরাধী না হতে চাইলে একটাই উপায় : রাজনীতিবিদ হও। তাহলেই কোটি কোটি টাকা লোপাট করলে তাকে বলা হবে উন্নয়ন। আর গরিব ছেলেটা দুই পয়সা রোজগার করলে তাকে বলা হবে চাঁদাবাজি।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



মনে হচ্ছে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ কুত্তাদের বুঝে গেছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফ্যাসিবাদী পুলিশ আর সেনাবাহিনী এখনো রয়ে গেছে। তাই জুলাই আন্দোলনের ভাইটিকে এভাবে পেটাচ্ছে।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পড়ে গেলাম।

২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.