নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্থিতি স্থাপক

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১০

স্থিতি স্থাপক
*****
(অযৌক্তিক কিছু চেয়ে চেয়ে না-পেয়ে কেউ যদি উন্মাদের মতো আচরণের মাধ্যমে নিজেকে হাস্যকর কিছু একটা বানানোতে আনন্দ পায়, সেটা তার একান্তই ব্যক্তিক অধিকার হিসেবেই গণ্য, যার সাথে অন্য কারোই কোনো সম্পর্ক নেই। তার দিকে মনোযোগী হ’য়ে তাকাতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই।)
---------------------------------------------------------------------------------------------
কখনো আমি যদি আমার ওপর হাতেগোণা কয়েকটা সন্ত্রাসীর সুসংগঠিত আক্রমণকে আমার দোষের শাস্তি হিসেবে স্বীকার করতে না-চাই, তাহলে আমার জন্যে স্মরণীয়, কিছুকাল আগে সমাজের ঐ কয়েকটা কুলাঙ্গার যখন আমার নীরবতার প্রশ্রয়েই আমার রেষারেষি সম্পর্কের প্রতিবেশীর উপর আক্রমণ চালাচ্ছিল, তখন না-দেখার ভান ক’রে আমার দায়িত্ব এড়িয়ে আমি তৃপ্তিভরে প্রতিবেশীর দুর্দশা উপভোগ করছিলাম এবং সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে স’রে গেলে পরে সামাজিক সৌজন্যতার লোকদেখানো সহানুভুতি, কপট সমবেদনা প্রদর্শন, এমনকী লৌকিকতা দেখাতে ঐ সন্ত্রাসীদের ধ্বংস কামনাকরার মাধ্যমে বুলিসর্বস্ব সান্ত্বনার প্রলেপের ফাঁকে ফাঁকে আহত প্রতিবেশীকে তার অসাবধানতার জন্যে খোঁচা দিতেও কার্পণ্য করিনি, যদিও আমি জানতাম যে, ‘এই ধরো, পালাতে দিয়ো না’ ব'লে হুঙ্কার ছেড়ে মহল্লাবাসীদেরকে জড়ো করলে, ঐ কয়েকটা কুলাঙ্গার দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্যতায় ছুটে পালিয়ে বাঁচতো।--

সুযোগ পেয়েও যদি সন্ত্রাসজীবীরা তাদের ধ্বংসাত্মক নৃশংস প্রাণঘাতী কীর্তিকলাপ না-চালায়, তাহলে তো তারা তাদের স্বভাবের সাথে, নিজেদের সন্ত্রাস-ধর্মের সাথে মোনাফেকি বা প্রতারণা করছে হিসেবেই গণ্য হবে এবং বিচার-কালে প্রতারক বা মোনাফিকদের সাড়িতে দাঁড়িয়ে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হ’তে হবে। তবে, সন্ত্রাসজীবীরা তাদের স্বাভাবিক ধর্মাচার হিসেবে যখন আতঙ্কবাজি নৃশংসতা প্রদর্শন করে, তখন তাদেরকে কর্তব্যে ফাঁকিবাজ বলাটা বৈধ নয় এবং তখন তাদেরকে প্রতারক পাপী বা নরকবাসী মোনাফিকদের দলভুক্ত রূপেও ভাবাটা কোনো বিবেচকের যুক্তিতে উচিত নয়, কিম্বা জ্ঞানীদের জন্যে শোভনীয় নয়।

############################################################

ধার্মিক, আত্মপ্রতারিত এবং প্রতারক প্রসঙ্গে
---------------------------------------------------
কোনো পেশাদার খুনী যদি মজুরি না-নিয়ে এমনিতেই খুন করে, এটা তার ধর্মের সাথে বিরোধিতা হিসেবেই গণ্য হবে। চোর হিসেবে পরিচিত কোনো ব্যক্তি যদি চুরি না-করে তো তাকে আমরা কখনোই ধার্মিক বলতে পারি না। স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণত কোনো হায়েনাতে আমরা ক্যাঙ্গারুর সার্বিক আচরণের প্রকাশকে সহজে মেনে নিতে পারি না।

দই ভেবে যদি আমি চুন খেয়ে মুখ পুড়ে ফেলি, তাহলে বলা যাবে আমি আত্মপ্রতারিত। দই বা চুন, কোনোটাকেই এখানে প্রতারক বলা যাচ্ছে না।

যেকোনোভাবে আত্মপ্রতারিত কোনো ব্যক্তির বিচারকালে আমরা তাকে অজ্ঞ, আহাম্মক কিম্বা বিভ্রান্ত হিসেবে বিবেচনায় নিতে পারি, কিন্তু কোনোভাবেই তাকে প্রতারকদের তালিকাভুক্ত করতে পারি না। তবে, আমি চাইলে প্রতারকও হ’তে পারি। যেমন, অন্যেরা যেন আত্মপ্রতারিত হয়- এই উদ্দেশ্যে, আমি যেখানে যেমনটা নই, আমার আচরণে সেখানে যদি স্বেচ্ছায় চেষ্টা চালিয়ে তেমনটা প্রকাশ করি, নিশ্চয়ই তখন আমি প্রতারক। আমি যদি কোথাও নিজের বরাদ্দে চরমতম শাস্তিটাকেই নিতে চাই, প্রতারক হওয়ার মাধ্যমেই আমি তা’ নিতে পারি সবচে’ বেশি সহজে।

############################################################

দলোগণের ধর্মীয় কর্ম
*****
(আমার প্রতি আমাদের রাষ্ট্রটা যদি বিশ্বাস হারায়, ওতে আমার বড় কোনো ক্ষতি নেই, কিন্তু সাধারণ একজন বাসিন্দা আমি যদি আমার নিরাপত্তায় রাষ্ট্রের ওপর আস্থা রাখতে না-পারি, স্বর্গীয় কোনো ভূখণ্ডেও রাষ্ট্রের ভিত তাতে নড়বড়ে হ’য়ে যায়,- এতটুকুও ভুলে গিয়ে যদি আমাদের প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা কিম্বা শিথিলতা দেখায়, তাদেরকে মাঝে মধ্যে ভদ্রজনোচিত ভাবে স্মরণ করিয়ে দেওয়াটা তখন আমাদের স্বার্থেই আমাদের নিয়মিত করণীয় কর্তব্য।)
---------------------------------------------------------
দলোগণ তাদের নিজ নিজ দলীয় কৌশলকে সততা এবং দৃঢ়তার সাথে অনড়ভাবে আঁকড়ে ধ’রে থাকতেই পারে। আত্মরক্ষার স্বার্থে জাগ্রত জনগণের কাছে আশ্রয় পাবার লক্ষ্যে তাদের কোনো ধরণের কৌশলে, মিথ্যাচারে কিম্বা জনপদে দলীয়দের কোনো বক্তব্যে বা প্রকাশভঙ্গীতে কোনো পাপ নেই। এমনকী জনস্বার্থের নাম ভাঙিয়ে দলের স্বার্থকে সুরক্ষার লক্ষ্যে ঘুমন্ত বা তন্দ্রাচ্ছন্ন জনসাধারণকে কলা দেখানোটাও দলোগণের কর্তব্য হিসেবে গণ্য। যেকোনো ভাবে জনগণকে সন্তুষ্ট রাখাটাই দলোগণের ধর্মীয় কর্ম। কোনো ভূখণ্ডে, গণতন্ত্রে, গণদেবতাকে তুষ্ট রাখতে দলোগণ এজন্যেই বাধ্য যে, জনগণ কখনো ক্ষেপে উঠলে পরে গণরোষের ধ্বংসলীলা থামানোর জন্যে কিম্বা নিরীহ নিরস্ত্র গণ-আক্রোশের নিশানার দলোগণকে রক্ষা করার জন্যে উদ্ধারকারী রূপে কোনো ঐশ্বরিক সাহায্য তখন ঐ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে না।

############################################################

প্রকৃতির সাধারণ বিধানে অলৌকিকতা
---------------------------------------------------
সন্ত্রাসীদের ধর্মটি যেমন, সুযোগ পেলেই, চোরাগোপ্তা ভাবে মানব-সমাজের ওপর নৃশংস আঘাত হেনে হেনে, নিজেদের কৃতিত্ব দেখানো এবং জনমনে অতর্কিত আক্রমণের আতঙ্ক ছড়ানো, -তেমনি, যেকোনো ভাবে সন্ত্রাসকে উচ্ছেদ ক’রে গণমানবের জন্যে সন্ত্রাসমুক্ত সামাজিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণের চেষ্টা চালানোটা রাষ্ট্রের অবশ্য-পালনীয় ধর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম।

রাষ্ট্রের ধর্ম পালনে রাষ্ট্র কোনো ধরণের দুর্বলতা বা নমনীয়তা দেখালে পরে কোথাও সন্ত্রাসীরা যদি সন্ত্রাসীদের ধর্ম পালনে উৎসাহিত হ’য়ে ওঠে, সেখানে সন্ত্রাসীদের নৃশংসতার পরিণতির দায়ভার রাষ্ট্রের ওপরেই চাপে। আর ঐ পরিস্থিতির দুর্ভোগ, রাজতন্ত্রে, যেমন রাজাকে ভোগ ক’রে যেতেই হয়, -গণতন্ত্রে, ভুক্তভোগী হয় জনগণ; এমনটাই প্রকৃতির সাধারণ বিধান।

(বিধানের আশ্রয়ে থেকেও বিধানকে অস্বীকার করা কিম্বা বিধানকে না-মেনে নিজের মতো চলাকে মানব-সমাজে ধর্মদ্রোহিতা হিসেবে ধরা হয়। বিধানের বিরোধিতার ভাবধারায় স্বভাব-চালিতরাই ধর্মের বিরুদ্ধাচারী।)

বিধানের স্বাভাবিকতার বাইরে কিছু একটা ঘটলে পরে, সেটাকে অলৌকিক নিদর্শন রূপেই সাধারণ্যে বিবেচিত হ’তে দেখেছে দর্শকেরা, দেখেছে দৃশ্যকালে।


দর্শক : আখতার২৩৯
সন্ত্রাসীদের কোনো সীমানাবদ্ধ ভূখণ্ড বা রাষ্ট্র নেই
সন্ত্রাস এবং .....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.