![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতীক্ষা # ০৪-২০১৫ (০৯)
---------------------------------------------------------------
ঐশ্বর্যমণ্ডিত পরিবারগুলোর উত্তরসূরিরা কখনো অভাবগ্রস্ত হ’লেও, লুটপাট কামড়া-কামড়ি কাঙালিপনার মতো জঘন্য প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারে না এজন্যেই যে, ঐতিহ্যগত স্বভাবজাত অভ্যেসে নিজেদের অজান্তে অনিচ্ছাতেও তারা এমন কিছু ক’রে ফেলে, যেগুলোতে সার্বজনীন কল্যাণ হ’য়ে যায়।
সার্বজনীন কল্যাণে বাধা দিয়ে যাওয়াটা নিচু স্তরের জনসমষ্টির স্বাভাবিক কর্তব্য হিসেবেই বিধানে বিবেচিত। যথারীতি, আত্মঘাতী নরাধমের মাধ্যমে জনসাধারণের কোনো বিশাল ক্ষতিতেও নরাধমের কোনো পাপ নেই এজন্যেই যে, ঐ কাঙাল কৃপণ নরাধমেরা যতকিছুই লুটেপুটে সাময়িকভাবে নিজেদের দখলে আঁকড়ে রাখুক, সেগুলোকে ভোগ করবার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ধারাবাহিক প্রজন্ম বা উত্তরাধিকারী তারা রেখে যেতে পারে না। এমনকী, যেখানে ব্যতিক্রম ঘটে- তাদের মধ্যে হঠাৎ কারো উত্তম চরিত্রের প্রকাশ ঘটলে, আত্মসম্মান রক্ষার স্বার্থেই পরিবারিক প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ পূর্বসূরিদের অর্জিত সমস্ত অভিশপ্ত সম্পদ তড়িঘড়ি লুকোনোর লক্ষ্যে সার্বজনীন কল্যাণে সেগুলোকে ব্যয়ের কাজেই তাকে ব্যতিব্যস্ত দেখা যায়।
(ভিন্ন ভিন্ন ভঙ্গীতে একই ধরণের দৃশ্য বার বার দেখে দেখেও অবাক দর্শকেরা ক্যানো বিরক্ত হচ্ছে না! -তা’ ভেবে ভেবে প্রচণ্ড ভাবুকেরাও না-কি কোনো কূল-কিনারাই আজও খুঁজে পায়নি। শেষ পর্যন্ত ভাবতে ভাবতে ঐ ভাবাক্রান্তরা কত দূরে ভেসে গিয়ে জবাব নিয়ে ফিরে আসবে, আমরা আছি সেটাই দেখার প্রতীক্ষায়।)
###### ০৯/০৪/২০১৫খ্রি:
###############################################################
নির্লজ্জদেরও যথাযোগ্যতা আছে
*****
( লাজুক জনসাধারণ তাদের লজ্জাবোধকে কমিয়ে নিজেরাও নিচে নেমে না-এলে, অন্য কোনোভাবেই এখানে তারা নির্লজ্জদের নোংরামোর সাথে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠবে না। )
--------------------------------------------------------------------------------------------------------
কোনো কর্মক্ষেত্রের সাপেক্ষে, কোথাও অযোগ্য হ’য়েও কিম্বা ব্যর্থতার প্রমাণ দেখানোর পরেও যোগ্যগণকে দূরে সরিয়ে যোগ্যের জন্যে বরাদ্দ দায়িত্বপূর্ণ জায়গাগুলো দখলে ধ’রে রাখাটা নির্লজ্জদের জন্যেই শোভনীয়।
অন্য কোনো কর্মক্ষেত্রে নির্লজ্জদেরও যথাযোগ্যতা থাকতে পারে এবং থাকাটাই স্বাভাবিক।
কেউ যদি তার জন্যে মানানসই যথাযোগ্য কর্মক্ষেত্রটি খুঁজে না-নেয় বা জায়গাটা খুঁজে পেয়েও অপছন্দ করে,- এখানে ভিক্ষাবৃত্তিকেও স্বেচ্ছায় সে তো তার পেশা হিসেবে বেছে নিতেই পারে, তাতে মানবসমাজে কখনোই কারো কোনো বাধা নেই। তবে, অযোগ্যতার প্রমাণ দেবার পরেও রাষ্ট্রীয় ধনভাণ্ডার থেকে বেতন-ভাতাদি কেউ ভোগ ক’রে যাবে, এমনটা কখনোই সভ্যদের কোনো দেশে সম্ভব নয়।
যারা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রমাণ দেবে, তারা যদি স্বেচ্ছায় অবসর না-নিয়ে দায়িত্বশীলদের পদবিগুলো আঁকড়ে ধ’রে রাখার চেষ্টায় টালবাহানা করতেই থাকে, রাষ্ট্রের সম্পদের অপচয় ঠেকানোর স্বার্থে সেখানে রাষ্ট্রীয় বিধানেই নির্লজ্জ বেতনভোগীকে সসম্মানে অপসারণ করাটা রাষ্ট্রের নৈতিক কর্তব্য হিসেবে নিত্য বিবেচিত।
গণকরণিক : আখতার২৩৯
নির্লজ্জদেরও যথাযোগ্যতা আছে
প্রতীক্ষা # ০৪-২০১৫ (০৯)
©somewhere in net ltd.