নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘মুফ্‌সিদুন’ এবং ‘মুস্‌লিমুন’ প্রসঙ্গে

১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫১

‘মুফ্‌সিদুন’ এবং ‘মুস্‌লিমুন’ প্রসঙ্গে
--------------------------------------------------------------------------
যারা অশান্তি অস্থিরতা বিশৃঙ্খলা বা ফ্যাসাদ পছন্দ করে, আরবিতে তাদেরকে ‘মুফ্‌সিদ’ বলা হয়। আরবীয় পবিত্র ক্বূরআনেও ফ্যাসাদি স্বভাবধারীদেরকে বোঝাতে ‘মুফ্‌সিদুন’ শব্দটিকে ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে এভাবেই দেখানো হয়েছে যে, জগতের প্রত্যেকটি সম্প্রদায়েই, ‘মুফ্‌সিদুন’ ও ‘মুস্‌লিমুন’, উভয় স্বভাবের মানবসন্তান অতীতে যেমন ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। ‘মুফ্‌সিদুন’ স্বভাবধারীদেরকে সর্বকালেই সংখ্যায় বেশি পাওয়া যাবে। ‘মুফ্‌সিদুন’ স্বভাবধর্মীদের মধ্যে যারা নিজেদেরকে ‘মুস্‌লিমুন’ বা শান্তিধর্মী ব’লে দাবি করবে, তারা প্রতারক বা ‘মুনাফিক’। জ্বালাময় ‘জাহান্নাম’ বা নরকাগ্নির গভীরতম স্তরটাই প্রতারকদের জন্যে চিরকালীন বরাদ্দ হিসেবে রাখা আছে- এভাবেই সেখানে বর্ণনা করা হয়েছে।

কোনো সম্প্রদায়ের কোনো ‘মুফ্‌সিদ’ ব্যক্তিকে যারা ‘মুস্‌লিম’ (সমর্পিত বা শান্তিধর্মী) হিসেবে সম্মান দিচ্ছে, তারা তাদের অজ্ঞতা থেকেই দিচ্ছে।

এটা নিশ্চয়ই তার নিজের-ই অজ্ঞতা, নিজের ভাষায় যে-ব্যক্তি তার নিজেদের ধর্মগ্রন্থ পড়ে না, কিম্বা, তার পছন্দের কোনো ধর্মগুরুর ধান্দাবাজি ব্যাখ্যাকেও গুরুত্বপূর্ণ ভেবে, নিজ-ভাষায় ধর্মগ্রন্থ পড়াকে পাপ বা গুনাহ্-এর কাজ মনে করে। এই ধরণের গুরু বা শিষ্যদের থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখাটা অবশ্যই ধার্মিকদের ধর্মীয় কর্তব্য। এদের মূর্খতার সাথে তর্কে না-জড়িয়ে, বরং, সভ্যজনেরা যদি কোনো নোংরা নর্দমায় গড়াগড়ি খায়, সে-ও ভালো। অন্তত, অগ্নিদগ্ধ হবার ঝুঁকি নেবার চেয়ে তো অবশ্যই ভালো।

ধার্মিকের বেশধারী ধান্দাবাজগুলোর জ্ঞানের গভীরতা, সেই সাথে তাদের বিবেচনাবোধ, চরিত্র, আচরণ এবং মানবিকতা, কিম্বা কারো ধোঁকাবাজির তীব্রতা মেপে দেখতে চাইলেও ধর্মগ্রন্থগুলো নিজের ভাষায় পড়া উচিত।


দর্শক: আখতার২৩৯

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.