নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিশানায় দলোদাস প্রচারমাধ্যমগুলো

১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:১১

নিশানায় দলোদাস প্রচারমাধ্যমগুলো
--------------------------------------------------------------------
যখন ভালো-মন্দ-বিশ্লেষণ-মূলক সালিশি তর্কাসরে ভালোকে পাওয়াই যাচ্ছে না, শুধু পাওয়া যাচ্ছে মন্দকে, কম আর বেশি, কাছে এবং দূরে- তখন ‘বেশি ভালো না-কি কম ভালো’ এমন বিতর্কের আয়োজনে দর্শক হওয়া তাদের-ই মানায়, সময়ের অপচয়ে যাদের কিছুই এসে যায় না।

তবে, ‘বেশি এবং কম’ মন্দগুলোর মধ্যে বেশি মন্দগুলোকে ‘মন্দ’ এবং কম মন্দগুলোকে ‘মন্দের ভালো’ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে এমন একটি দেশকে দেখানো যেতে পারে, যেখানে অনেকগুলো দল থাকবে। দলগুলো দেশোদ্ধারকারী সেজে জনসাধারণের জন্যে অনেক ভালো কিছু ক’রে দেখাতে চাইবে, কিন্তু যেগুলো করলে জনস্বার্থে ভালো হ’তে পারে, অর্থাৎ, জনসাধারণের কল্যাণ হ’তে পারে,- তেমন কিছুই তারা করবে না। সাধারণ জনগণকে তারা ধোঁকা দেবে এবং পালাক্রমে দলগুলোর দলোগণ নিজেরা বেহিসেবি সম্পদে ধনাঢ্য হবে। জনসাধারণের যাতে কোনোভাবেই ভালো না-হয়,- সেই লক্ষ্যেই বেছে বেছে যা-কিছু মন্দ কর্মকাণ্ড, দলোগণ দলোস্বার্থে সেগুলোই ক’রে যাবে। কেবল নিজেদের দলোস্বার্থেই কোনো দল বেশি করতে পারবে, কোনো দল কম করতে পারবে, আর এভাবেই দলগুলো দেশের উন্নয়নে বাধা দিয়ে দিয়ে দলোগণ নিজেরা ধনবান হবে। অবৈধ সম্পদের যন্ত্রণার বোঝা সামলাতে গিয়ে তারা কিন্তু কিছু নরাধম দলোদাসের অত্যাচার সহ্য করতেও বাধ্য হবে। জনগণের মন্দ করতে চেয়ে, প্রতিযোগিতায় যারা বেশি মন্দ রূপে কৃতিত্ব দেখাতে পারবে তারাই বেশি যন্ত্রণায় ভুগে ভুগে নিজেরাই ধ্বংস হবে। কম মন্দগুলো টিকে থাকবে মন্দের ভালো হিসেবে।

উদাহরণের দেশটির মতো কোনো ভূখণ্ডে, প্রচার মাধ্যমগুলো যদি দর্শক সাধারণকে নির্বোধ ভেবে ‘মন্দের ভালো’-গুলোকে ‘নির্দোষ ভালো’ হিসেবে দেখানোর নোংরা প্রতিযোগিতার আয়োজনে নির্লজ্জ দলীয় সমর্থদেরকে খুঁজে খুঁজে টেনে টেনে আনে আর দলীয় মদদপুষ্ট ঐ সমর্থকেরা যদি প্রতিপক্ষ বক্তারূপে ‘মন্দের ভালো’-গুলোর মন্দগুলোকে লুকোনোর উদ্দেশ্যে তাদের পছন্দের দলগুলো ‘বেশি ভালো না-কি কম ভালো’ প্রমাণের বিতর্কে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়, তাহলে তো বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে প্রচার মাধ্যমগুলো অচল হবেই। বিজ্ঞাপন দাতারা চালক রূপে তখন প্রচার মাধ্যমগুলোকে যদি দয়া ক’রে ক’রে চালিয়ে না-নেয় তো, ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করার অধিকার বিজ্ঞাপন দাতাদের থাকতেই পারে।

‘কোন্ দলটি বেশি ভালো আর কোন্ দলটি কম ভালো’- এমন বিশ্লেষণে দলোগণ নিজেদের পছন্দের দলটির প্রশংসা গাইলেই যে দলটির কুকর্মের দুর্গন্ধই বেশি বেশি ছড়ায়, দলান্ধ দলোদাসেরা তা’ না-ইবা বুঝলো, প্রচার মাধ্যমগুলোর চলমানতার স্বার্থেই প্রচারণাজীবীরা যেন সতর্ক থাকতে পারে,- এমনটাই সাধারণ দর্শকদের কাম্য।

‘আমাদের দলটি তোমাদের দলের চেয়ে বেশি কুকর্ম করেনি’, ‘আমরা অপকর্মের সুযোগ পেয়ে দলোস্বার্থে দেশের যে ক্ষতিগুলো করেছি সেগুলো আপনাদের অপকর্মের তুলনায় কম জঘন্য’ বা ‘আমরা মন্দের ভালো’- এমন ধরণের বিতর্কের অনুষ্ঠান প্রচার-মাধ্যমে দেখানোর জন্যে কোনো আয়োজন থাকবে, সেটাই উদাহরণের ঐ দেশটির মতো কোনো ভূখণ্ডে সাধারণ বিবেচকদের প্রত্যাশা।

বিজ্ঞাপনদাতাদের দুয়ারে দুয়ারে ধরনা দিয়েও দলোদাস প্রচারমাধ্যমগুলো তাদের নোংরা প্রতিযোগিতা চালু রেখে আর যে টিকে থাকতে পারবে না, এমন একটা ভীষণ সময় সম্ভবত গণযোগাযোগ-বান্ধব বর্তমান এই বিশ্বে খুব বেশি দূরে নয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.