নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ধর্মশিক্ষা

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:২৮

প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ধর্মশিক্ষা
------------------------------------
কোনো সম্প্রদায় বিশেষের কোনো ধর্মগ্রন্থ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাঠ্যতালিকায় না-রেখে, ধর্মশিক্ষা দেবার লক্ষ্যে ‘সাধারণ ধর্ম’ বা ‘শান্তি’ নামকরণে একটাই ধর্মের পাঠ্যপুস্তক সকল সম্প্রদায়ের জন্যে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে রাখলে পরে, তাতে ধার্মিকেরাও যেমন সন্তুষ্ট হবে, তেমনি সাম্প্রদায়িক কলহের অভিশাপ থেকে মানবসমাজও মুক্তি পাবে।
বিশ্বাস, সততা, শান্তি, সত্যবাদিতা, আত্মরক্ষা, মানবতা, সামাজিকতা, চুক্তিবদ্ধতা, তর্ক, উপহাস, সংঘাত, যুদ্ধ, ধৈর্য, সহ্য, উদারতা, সহনশীলতা, জ্ঞনার্জন, মুক্ত-আলোচনা, ভ্রমণ, সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা, ন্যায়বিচার, সাক্ষ্য, সাক্ষী, আত্মীয়-প্রতিবেশী-অতিথি-জনদের প্রতি দায়িত্ব, শ্রদ্ধা, ভক্তি, কৃতজ্ঞতা, ব্যবসা-বাণিজ্য, উত্তরাধিকারিতা, সম্পদের বণ্ঠন, অপচয়, মজুরি নির্ধারণ, ভিক্ষা, চুরিকর্ম, লুটতরাজ, বৈধ-উপার্জন, বন্দেগি-দাসত্ব-ইবাদত-আরাধনা, অহঙ্কার প্রদর্শন, আত্মহত্যা, ফ্যাসাদ-বিশৃঙ্খলা, হত্যাকর্ম, গিবত, মিথ্যাচারিতা, ভেজাল-মেশানো, ঘুস দেওয়া-নেওয়া, স্বজনপ্রীতি, প্রতারণা, প্রবঞ্চনা, জালিয়াতি, সীমালঙ্ঘন এবংবিধ শিরোনামে ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে,- কোন্ ধর্মগন্থে কী দেওয়া আছে পবিত্র ঐশী বাণীতে, সেগুলো তুলে এনে এনে, সংকলিত একটাই ‘সাধারণ ধর্ম শিক্ষা’ বই সকল সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক পাঠ্য হিসেবে রাখলে, শিক্ষিতরা কোনো ব্যক্তির আচরণ দেখেই, ঐ ব্যক্তি ধার্মিক নাকি প্রতারক, সেটা সহজেই বুঝে নিতে পারবে।
ধার্মিকের আবরণে ঢাকা অতিধার্মিক বা মুনাফিক (প্রতারক) যারা, সাধারণ শান্তিধর্মী ধার্মিকদের ভালো কোনো উদ্যোগে তারা বাধা দেবার উদ্দেশ্যে দূর থেকে তাদের শয়তানি চালিয়েই যাবে। তবে, অভিশপ্তদের কোনোই ক্ষমতা নেই। কোনো তেজ বা শক্তির জোরে তারা ধার্মিকদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কখনোই দুঃসাহস দেখাতে পারে না। অজ্ঞদের সহযোগিতা এবং সমর্থন পেয়ে পেয়েই তারা টিকে থাকে। কোনো শান্তিকামী শিক্ষিতজনের সামনে দাঁড়াতেও পারে না তারা, তাদের প্রতারণার পোশাক খুলে পড়বার ভয়ে।

##### ৩১/১০/২০১৬খ্রি:
আমার গুরুজনের ধর্ম শিক্ষা
রাষ্ট্রধর্ম # ‘শান্তিতে সমর্পণ’
ধার্মিকের ভাষ্য
জটিল শয়তানি চরিত্রের সরল অনুবাদ
আমি শুনি বাংলায়
সন্ত্রাসের মহাকালীন বর্তমানতা প্রসঙ্গে
সন্ত্রাসকে সমূলে উচ্ছেদে সদিচ্ছুকদের প্রতি ..

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার কাছে এটা মনে হয় ধর্মহীনতা তথা নাস্তিকতার দিকে আরো দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে শিশুদের। বরং ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত যেভাবে ধর্মীয় বই আছে সেভাবেই থাকা উচিত। বর্তমানে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত নিজ ধর্মের বই থাকার পরও ছেলে মেয়েরা অল্প বয়সেই কেন ধর্মবিমুখ হচ্ছে আর পাপাচারে লিপ্ত হচ্ছে তাও ভেবে দেখতে হবে...

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: আধুনিক ছেলেমেয়েদের এবং তাঁদের বাবা-মায়েদের ধর্মবিমুখতার প্রধান কারন- ডিস্ এন্টিনা এবং ইন্টারনেট দুনিয়ায় অবাধ বিচরণ !
কোনো ধর্মগ্রন্থ কিংবা শ্রেণী পাঠ্যপুস্তক ছেলেমেয়েদের ধর্মবিমুখ অথবা সাম্প্রদায়িক করে তোলে এমনটা মনে হয় না !
বর্তমান পৃথিবীতে আমরা যে সাম্প্রদায়িকতা দেখতে পাই এ জন্য ছেলেমেয়েরা নয়; এ জন্য ধর্ম প্রচারকারীদের দায়ী করা যেতে পারে ! খেয়াল করলে দেখা যাবে এরা পেশাদার প্রচারকারী ! সুতরাং, পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন কিংবা সিলেবাস পরিবর্তন করলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করি না !
তবে আপনার চিন্তার প্রস্তাবনা অংশটুকু বাদ দিলে বাকিটুকু খুব ভালো হয়েছে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.