![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংযমের এই মাসে
-------------------------------
ধর্মগ্রন্থের তাফসীরগুলো (ব্যাখ্যাগুলো) যে কী ভয়াবহ বদমাশিতে ভরা, তা’ বোঝা যায় কোনো সরল অনুবাদ (তরজমা) পাঠ করলে। ফেলে ছেড়ে নয়, কোথাও না-বুঝলেও ক্ষতি নেই, পড়তে হবে সম্পূর্ণটা। নিজের-ই একটা ব্যাখ্যা উঠে আসবে, নিজের জন্যে যেটা প্রযোজ্য। একজনের ব্যাখ্যার সাথে অন্যের ব্যাখ্যা সাংঘর্ষিক হওয়াটাই স্বাভাবিক। যেই ভাষাতে মূলগ্রন্থটি রচিত, সেই ভাষার ব্যাকরণ জানা থাকলে তো ভালোই ছিল। কোনো ব্যাখ্যা (তাফসীর) প’ড়ে সময়ের অপচয় না-ক’রে, ধর্মের বাণীগুলো নিজের জানা ভাষায় শুনে নেওয়া বা প’ড়ে নেওয়া যেতে পারে। কেহ যদি পড়তে চায় তো, তাফসীরের (ব্যাখ্যার) ধারে কাছে না-গিয়ে, শুধু অনুবাদ (তরজমা) পড়াটাই উচিত।
অন্যের ব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত নয়, এমন কেহ কোনো ধর্মগ্রন্থ পড়লে, পাঠক ব্যক্তিটি নিজের ভুলভ্রান্তিগুলোর দিকেই মনোযোগী হয় এবং সাধ্যমতো নিজেকেই শোধরানোর চেষ্টা চালায়। সে তখন অন্যদের ধর্মাচারগুলোকে শ্রদ্ধাই শুধু করতে পারে, কারো সাথেই তার কোনো ফিৎনা-ফ্যাসাদ-হাঙ্গামা থাকে না। তাকে পাওয়া যায় শান্তিধর্মীদের দলে।
শান্তিতে সমর্পিত যে-সমাজটি, সেটাই আরবি মিশ্রিত শব্দে উচ্চারিত ‘ইসলামী সমাজ’। মুখেই শুধু শান্তিধর্মীদের মতো বাণী, আচরণে ফ্যাসাদ কলহ হানাহানি, এমন কিছু হিংস্র চরিত্র যেই সমাজটিকে কামনা করে সেটা আরবি মিশ্রিত নামকরণে ‘ফাসাদুন সমাজ’, বাংলায় সেই অমানবিক সমাজটিকে, কোন্দলকামীদের আধিপত্যের রাজত্ব হিসেবে ধরা হয়।
যে-সব কলহকর্মী নিজেদেরকে শান্তিধর্মী দাবি করে এবং ধর্মীয় জ্ঞানার্জনকে দূরে ঠেলে ফেলে রাখে এবং যারা আত্মসমর্পন, ইসলাম বা শান্তিকে না-নিয়ে, সংঘর্ষে জড়িয়ে জয়ী হ’তে পারার মধ্যেই সাফল্যের আনন্দ পায়, তারা যখন তাদের ‘মুফসিদ’ পরিচয়টি স্বীকার করার বদলে নিজেদেরকে ‘মুসলিম’ হিসেবে দাবি করে, তখন তারা প্রমাণিত প্রতারক, আরবিতে মুনাফিক। [ধর্মের বাণীর ঘোষণায় প্রতারকদের (আরবিতে মুনাফিকদের) অবস্থান জ্বালাময় আগুনের গভীরতম স্থানে।]
মদিনা সনদের অনুসারীদের সমাজটি আরব্য ‘ইসলামী সমাজ’-এর একটা উদাহরণ হ’তে পারে, যেখানে কোনো সম্প্রদায়ের অশান্তিকর্মী বা বিশৃঙ্খলাকামীরা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের কাছেও আশ্রয় বা প্রশ্রয় পায়নি এবং বিভিন্ন ধর্মমতাবলম্বীরা একটি সমাজে সকলে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্মাচার নিয়ে সসম্মানে থাকতে পেরেছিল।
---------------------------------------------------------------
সহপাঠক : আখতার২৩৯
##### ৩০/০৫/২০১৭খ্রি:
২| ১২ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:০৩
কাউয়ার জাত বলেছেন: চক্ষু বন্ধ করে হিটাইলেই পোস্ট আলোচিত পাতায় যায় এটা এখন পাগলেও বোঝে।
৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:১২
কাউয়ার জাত বলেছেন: এই লেখকের পূর্বের অসংখ্য পোস্ট চেক করে দেখা গেল প্রত্যেকটি গড়ে ৩০বার পঠিত। আজকের লেখাটি কোন কেরামতিতে হাজারবার পঠিত হল কে জানে?
৪| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
গোবর গনেশকে তাফসীর পড়তে বলেছে কে? বামনের চাঁদ ধরার খায়েশ তো কম না!!!
''আধসের ওজনের মাথা নয়,
তায় সেরেক দশে চাল উঠা্য়।''
অবস্থা যদি এই হয়, মাথা তো উল্টে পড়বেই। সাথে ঘাঁড়েও মোচর খাওয়াই স্বাভাবিক।
তাফসীর মুফাসসিরদের জন্য। কোন কলা-কচু বেচা কেরানীর তাফসীর বোঝার ক্ষমতা না থাকলে তাতে তাফসীরের দোষ অন্বেষন করাকে 'নাচতে না জেনে উঠানের দোষ' দেয়া ছাড়া আর কীইবা বলা যেতে পারে?
৫| ১৩ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:০৯
করণিক আখতার বলেছেন: *****
কোনো বক্তার বক্তব্যের উপর বিরূপ মন্তব্যকারীদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যেনারা নিজেদের মন্তব্যের উপর ঐ বক্তা বা লেখকের জবাব বা মন্তব্য প্রত্যাশা করেন। কোনো মন্তব্যের জবাব দিলে কিম্বা যুক্তি চালিয়ে নিজের বক্তব্যের ভিত্তি পোক্ত করার চেষ্টা চালালে মন্তব্য-প্রার্থী বক্তার কোনো কল্যাণ হয় কি-না জানি না, তবে, আমি এতটুকু বুঝি যে, যিনি কোনো লেখকের বক্তব্যের উপর মন্তব্য প্রকাশ করতে পেরেছেন, নিশ্চয়ই তিনি ঐ লেখকের মতো একরৈখিক চিন্তায় আবদ্ধ নন, বরং বিভিন্ন দিককোণ থেকে তিনি দেখার স্বাধীনতাপ্রাপ্ত এবং স্বতন্ত্র যৌক্তিক ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত।
যেকোনো লেখার ওপর সকল মন্তব্যই একজন সতর্ক লেখকের সংশোধনে মান্যগণ্য গুরুত্বধারী হিসেবে ভীষণ মূল্যবান।
-----------------------------------------------------
করণিক : আখতার২৩৯
৬| ১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
''ধর্মগ্রন্থের তাফসীরগুলো (ব্যাখ্যাগুলো) যে কী ভয়াবহ বদমাশিতে ভরা,''
করণিক আখতার,
---এরকম উদ্ভট দায়িত্ব বিবর্জিত জ্ঞানহীন কথা বলার উদ্দেশ্য কি? আপনি কি বিতর্ক উস্কে দিতে চান? মনে রাখবেন, আরবি 'তাফসীর' শব্দটি শুধু কুরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের ক্ষেত্রে এক্জাক্ট এই শব্দ ব্যবহার হয় না। বাইবেলের ব্যাখ্যাকে 'তাফসীর' বলা হয় না। আর বাইবেলের ব্যাখ্যাকারী পন্ডিতকেও মুফাসসির বলা হয় না। গীতার ব্যাখ্যাকারীকেও ঠাকুর, পন্ডিত কিংবা সাধু বৈ নয়। নিশ্চয়ই আপনার জানা থাকার কথা, এমনিভাবে বাকী ধর্মগ্রন্থের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
কুরআন যেমন মহা সম্মানিত গ্রন্থ। এর সাথে রিলেটেড সকল কিছুই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। যে রেহাল বা কাষ্ঠখন্ডে রেখে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়, সেটিরও তাজিম করা উচিত। যে কাপড় খন্ড দিয়ে কুরআন যত্নের সাথে মুড়িয়ে রাখা হয়, সে কাপড়টিকে আপনি কখনও মাটিতে ফেলতে দিবেন? আমাদের বিশ্বাস, অবশ্যই দিবেন না। এর কারন, কুরআনের স্পর্শধন্য হওয়ায় এসব তুচ্ছ জিনিষও অনেক দামী হয়ে যায়। বিশ্বাসীদের কাছে।
সুতরাং কুরআন নাযিলের অব্যবহিত পর থেকে শুরু করে এযাবত যারা তাফসীর লিখেছেন, তারা তাদের মত করেই লিখে এসেছেন। তাফসীর তাফসীরই। তাফসীর আসমান থেকে নাযিল হয় নি। নিশ্চয়ই কোন না কোন কুরআনের পন্ডিত মান্যবর ব্যক্তিদিগের মস্তিষ্ক প্রসূত বিশ্লেষন এগুলো। তাই সকল তাফসীর হুবহু মিলে যাবে এমনটা ভাবার কোন যৌক্তিক কারন থাকতে পারে না। একেকজন একেক দৃষ্টিকোন থেকে আল কুরআনের তাফসীর করেছেন। কেউ করেছেন রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিত্তিক তাফসীর। কেউ এক্ষেত্রে ইসলামের বৈপ্লবিক দৃষ্টিকোনকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কেউবা আবার, সূফিজম ঘেঁষা হওয়ায় এই দিকটিকে তুলে আনার প্রয়াস পেয়েছেন। কেউ বিজ্ঞানভিত্তিক তাফসীর করার প্রয়াসী হয়েছেন। কেউ মাসআলা উদ্ভাবনের দিকে দৃষ্টি রেখেছেন। এমনিভাবে অসংখ্য মুফাসসিরে কিরাম অদ্যাবধি তাফসীরুল কুরআনের খেদমতে নিজেদের শ্রম মেধা সময় দিয়ে ধন্য হয়েছেন। এই বৈচিত্র বরং মহাগ্রন্থ আল কুরআনের বিশাল পরিমাপহীন জ্ঞানের বারিধিকে প্রকাশের পথকে উম্মুক্ত করে দিয়েছে। আমাদের কাছে এই বিচিত্রতা অনেক উপভোগ্য। আলহামদুলিল্লাহ। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
এসব কারনে, একেকজনের তাফসীর একেক গুনে গুনান্বিত। কারও তাফসীর পড়তে দুর্বোদ্ধ ঠেকলে কিংবা অর্থ উদঘাটনে জটিলতা দেখা দিলে, অথবা, কোন ক্ষেত্রে অসাবধানতা হেতু কোন অসামাঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে তার গঠনমূলক মার্জিত মূল্যায়ন করা যায়। কিন্তু, কুরআনের সম্মানহানির কারন হয়, এমন কোন শব্দ ব্যবহারকে নিতান্তই মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সাথে অসৌজন্যতা, অভদ্রতা ছাড়া আর কিইবা বলা যেতে পারে?
সুতরাং বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্য না থাকলে, কথা বলার পূর্বে অন্তত: একটু ভেবে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা আশা করি, অস্বীকার করবেন না।
পূর্বের এবং এই মন্তব্যের কোন কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে দয়া করে মাফ করে দিবেন।
আপনার মঙ্গল কামনা করছি।
আল্লাহ পাক আমাদের মাফ করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
শান্তিতে থাকার জন্য আমরা সবাই মদীনায় বসবাস করলে কেমন হয়?