![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোনামাত্রই থুতু নিক্ষেপণ
----------------------------------------
দুর্বলদের ঘরবাড়ি জ্বালাও-পোড়াও, জমিদখল বা নিরীহদের প্রতি উগ্র ধান্দাজীবীদের পরিকল্পিত আক্রমণের দৃশ্য সভ্যজনেরা যদি দেখতে না-চায়, তবে, অবশ্যই মুখ এবং কান থেকে ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ শব্দটিকে মুছে ফেলতেই হবে। কেহ উগ্রদের হামলার ঘটনাগুলোকে ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ বললেই বক্তা ব্যক্তিটির মুখে যেন জুতা ছুড়ে মারা হয় অথবা মারতে চাওয়া হয়, লাগাতে না-পারলেও, আমরা মনে করি তার মুখের ওপর থুতু ছিটাতে চাইলেও যথেষ্ট।
মানবসমাজকে বিভক্তকারী ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ শব্দটি চলমান থাকলে উগ্রগুলোকে সামাজিক কর্তব্য হিসেবেও দমানো এজন্যেই সম্ভব নয় যে, তাতে হামলাকর্মীরা খণ্ডিত শক্তিহীন সমাজে যেকোনো সম্প্রদায়ের ভিতরে সহজেই মিশে গিয়ে যেমন আশ্রয় নিতে পারে, তেমনি ঐ দুঃসাহসী সন্ত্রাসীগুলো অতিধার্মিকের আবরণে প্রকাশ্যে বেরিয়েও আসতে পারে। ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ শব্দটিকে সরিয়ে ফেললে বহুরূপী বদমাশগুলো মানবসমাজে আশ্রয়হারা হ’য়ে পড়বে জন্যেই, জেনে বুঝেই সন্ত্রাসজীবীগুলো যেকোনো অসামাজিক দখলদারি হামলাকে যেকোনোভাবে ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ নামে চালিয়েছে এবং চালাবে, এটাই স্বাভাবিক।
ভূমিদস্যু বা যেকোনো প্রজাতির লাফাঙ্গাগুলো চরিত্রে বহুরূপী। জনপদে প্রকাশ্য দিনের আলোতে ওগুলো আবরণে সাধু-সজ্জন-ভদ্রলোক, ধর্মীয় পোশাকের আড়ালেই চলে ওগুলোর আচরণের শয়তানি। আনুষ্ঠানিক ধর্মাচার প্রদর্শনে ওরাই থাকে সামনের সারিতে। প্রত্যেকটি সম্প্রদায় বা মানবগোষ্ঠীতে, কম বা বেশি সংখ্যায় ওরা থাকবে, যেভাবে সুযোগ পেয়ে ওরা আগেও ছিল এবং এখনো আছে। ওগুলো সর্বকালেই প্রতারক এবং ওগুলোর কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায় নেই, ওগুলোর নেই কোনো সাম্প্রদায়িক মতাদর্শ- ওগুলো স্বেচ্ছাচারী। ওগুলোর কোনো কীর্তিকলাপ কখনোই কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কিম্বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমতুল্য নয়। ওগুলোকে এবং ওগুলোর সমর্থকগুলোকে মানবসমাজে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় না-দেওয়ার লক্ষ্যে ওগুলোকে দেখে দেখে চিনে রাখাটা সভ্য ভদ্রজনদের কর্তব্য।
উগ্ররা নিরীহদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে, এমন কোনো ঘটনাকে ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ হিসেবে প্রচারণা চালানোটা নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শয়তানি। তাতে হাতেগোণা কিছু উগ্র চিহ্নিত চরিত্র সহজেই মানবসমাজে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় পেয়ে আত্মগোপন ক’রে সমাজের মধ্যেই ধরাছোঁয়ার বাইরে লুকিয়ে থাকার মহাসুযোগটি পায়। আর, তাতে সভ্য ভদ্র ধার্মিকেরা শুধু যে অপদস্থ হয়, তা’ নয়, কখনো সখনো নির্দোষেরাও অত্যাচারিত হয় অন্ধ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাকর্মী বাহিনীর অজ্ঞ কর্মতৎপরায়ণতায়।
---------------------------------------------------------------
দর্শক : আখতার২৩৯
##### ১৩/১১/২০১৭খ্রি:
শোনামাত্রই থুতু নিক্ষেপণ
©somewhere in net ltd.