![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজ-ভাষায় ধর্মগ্রন্থ পড়ছে দেখলেই..
------------------------------------------------------
এমনও অনেক বক্তাকেই দেখা যায় যারা ‘মুফ্ ছিদ’ (কলহ বা ফ্যাসাদকারী) গুলোকে ‘মুসলিম’ বলছে। তবে, ঐ বলার মধ্যে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শয়তানি না-থাকে তো, ধর্মগ্রন্থপাঠকগণ সহজেই বুঝে নিতে পারে যে, অচেতন বক্তারা ধর্ম সম্পর্কে উদাসীন বা অজ্ঞ। মুনাফিকেরা (বাংলা পরিভাষায় প্রতারক) কেবল অজ্ঞদের ওপরেই প্রতারণা চালাতে পেরেছে সর্বকালে, যেমনটা আজও তারা চালিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। নিরাপদ দূরত্ব থেকে ধৈর্য ধ’রে সহ্য ক’রে যাওয়া ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ধার্মিকগণের কিছুই করার নেই।
কোনো সম্প্রদায়ের শান্তিতে সমর্পিত (আরবি পরিভাষায় ‘মুসলিম’) ধার্মিকগণ কখনোই নিজেদেরকে কলহ বা স্বেচ্ছাচারিতায় জড়াতে পারে না। ভদ্র আচরণের চরিত্রগুলোকে ধার্মিক হিসেবে না-দেখানোটা অথবা দোষী চরিত্রগুলোকেই ধার্মিক রূপে প্রচারণা চালানোটা নিশ্চয়ই জঘন্য শয়তানি। ধার্মিক তথা সভ্য ভদ্রজনদেরকে অপদস্থ করার চেষ্টা চালানোটাই কুলাঙ্গারগুলোর আন্তরিক উদ্দেশ্য।
ধর্মগ্রন্থ থেকে সরিয়ে রেখে নিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যা শুনিয়ে শুনিয়ে পড়িয়ে পড়িয়ে অজ্ঞদেরকে বিভ্রান্তির মধ্যে ডুবিয়ে রাখার মধ্যেই বদমাশদের সার্থকতা। এখানে তাদেরকেই ব্যাখ্যা শুনিয়ে উন্মাদ বানানো সম্ভব যারা মূল গ্রন্থ ছুঁয়ে দেখতেও ভয় পায়।
অজ্ঞদের কেহ কখনো নিজ-ভাষায় কোনো ধর্মগ্রন্থ পড়ছে দেখলেই ‘মুফ্ ছিদ’-রা (স্বঘোষিত মুসলিম) তা’ সহ্য করতে পারে না। নিজ-ভাষায় ধর্মগ্রন্থ পড়াকে নিরুৎসাহিত করবার লক্ষ্যে তারা ব্যতিব্যস্ত শয়তানি চালায়। তবে যারা নিজ-ভাষায় ধর্মগ্রন্থ পড়েছে, তাদের নাগালে গিয়ে বুঝতে পারলেই ফ্যাসাদকারীরা পালাবার পথ খোঁজে এবং পূর্বপরিচিতি থাকলে সভয়ে তাদেরকে এড়িয়েই চলে।
----------------------------------------------------------
গণকরণিক : আখতার২৩৯
##### ২৬/১১/২০১৭খ্রি:
নিজ-ভাষায় ধর্মগ্রন্থ পড়ছে দেখলেই..
©somewhere in net ltd.