![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতারকের ধর্মাতঙ্ক প্রসঙ্গে
--------------------------------------
শান্তিতে সমর্পিতরা অপরাধী নয়। অপরাধীরা শান্তিধর্মী নয়। বাংলায় শান্তিধর্মী বা ভদ্রলোক, যাদেরকে মুসলিম বলা হয় আরবিতে, তারা কোনো অপরাধীর বা কোনো অশান্তিকামী ব্যক্তির সমতুল্য নয়। অপরাধীরা যদি পোশাকের আবরণে সেজে থাকে, তবে তারা নিশ্চয়ই ভীষণ পাপীতুল্য চতুর প্রতারক। [দ্রষ্টব্য: সূরা কালাম (৬৮) বাক্য-৩৫]
আরব্য ‘মুসলিম’ শব্দটির অসংযত ব্যবহার, কিম্বা ইংরেজিতে ‘peace’ অথবা বাংলার ‘শান্তি’ শব্দটির উপর ব্যভিচার চালানোকে তো শিক্ষিতজনদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সচেতন শয়তানির চে’ ভিন্নতর কিছু ভাবতে পারি না আমরা।
বোঝার মধ্যে আমাদের যদি ভুল না-থাকে তো, আমরা ধর্মশাস্ত্রগুলো প’ড়ে প’ড়ে দেখেছি- অশান্তিধর্মী আচরণের কোনো কর্মী যদি নিজেকে ‘শান্তিধর্মী’ রূপে দাবি করে, তাকে প্রতারক (আরবিতে মুনাফিক) হিসেবেই দেখানো হয়েছে সকল এলাকার পবিত্র ধর্মশাস্ত্রগুলোতে।
অতিচালাকেরা ভদ্রলোকের মুখোশ বা আবরণ ধারণ ক’রে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। ঘন ঘন ধরা প’ড়ে প’ড়ে তারা অবশেষে ভদ্রলোকে পরিণত হ’তে বাধ্য হয়, তবে তাদের ওপর সাধারণের অবিশ্বাস এবং সন্দেহটা থেকেই যায়।
আমি প্রতারক না-কি ভদ্রলোক, সেটা কেবল আমি ছাড়া অন্য কেহ জানে না। মানবসমাজে প্রকাশ্যে ধর্মাচারীদের মতো ভদ্র আচরণ দেখিয়ে আড়ালে আমি সমাজবিরোধী কাজগুলো চালাই কি-না, সেটা আমি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির জানার কথা নয়। তবে আমার চাতুরির বাড়াবাড়িতে যেকোনো সাধারণ বুদ্ধিমান ব্যক্তির সামনে সহজেই আমার প্রতারণা প্রকাশ পেয়ে যায়। প্রতারকের ভয়ে কোনো প্রতারক ভীত বা আতঙ্কিত নয়, বরং সমাজের শান্তিধর্মী লোকগুলোকেই প্রতারকেরা ভীষণ ভয়ে এড়িয়ে এড়িয়ে চলে।
প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীতে কিছু ধর্মাচারী যেমন আছেন, তেমনি আছেন অনেকেই যারা ধর্মাচারের শৃঙ্খলার ভয়েই ধর্মকে পছন্দ করতে পারেন না। তবে নিশ্চয়ই কোনো ভাষাভাষী কোনো জনগোষ্ঠীর শান্তিধর্মীগণকে অপদস্থ করার মতো দুঃসাহসিকতা দেখিয়ে কেহ আত্মঘাতী হবার ঝুঁকি নিতে পারে না সচেতনে।
------------------------------------------------------
গণকরণিক : আখতার২৩৯
##### ২১/০৮/২০১৮খ্রি:
প্রতারকের ধর্মাতঙ্ক প্রসঙ্গে
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন।
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: মাথার উপর দিয়ে গেল, ব্যক্তি ব্যাক্তিগত ভাবে মন্দ হলে সেটা যদি সমাজে প্রকাশ না পায় তার বিচার এর ভার সমাজ নেবেনা দেবেওনা, সেটার জন্য স্রষ্টার বিধান। এখানে ব্যাক্তি ও সমাজ তালগোল পেকেছে মনে হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম।
ভালো আছেন।
ঈদ মোবারক।