নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ডোরা আপা

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৯

 

শিখাকে...
আমার পরম প্রিয় মানুষ ডোরা আপা আজ ভোরে মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। উনি ব্লগার শিখা রহমানের মা। আজ মেঘলা বিষন্ন দিন গেছে, আমার মনও আকাশের মতো বিষন্ন হয়ে আছে।

ডোরা আপাকে প্রথম দেখার কথা খুব মনে পড়ছে। আমি আর আমার বন্ধু সুমি (অন্য নাম) পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগ দিয়েই ঠিক করলাম ডোরা আপাকে দেখতে যাব, কারণ উনি দেশের প্রথম নারী প্রকৌশলী। ডোরা আপা ছিলেন তখন তিস্তা ব্যারেজ ডিজাইনের নির্বাহী প্রকৌশলী। আমি আর সুমি ছিলাম আলাদা দুই অফিসে, দু'জনে একসাথে গেলাম ডোরা আপার অফিসে, বললাম, আপনাকে দেখতে এসেছি। "দেখতে!!" বলে উনি খুব হাসলেন, তারপর কত গল্প যে করলেন। আমাদের চাইতে এত সিনিয়র কিন্তু একটুও অহংকার নেই। ওনার অফিস থেকে বের হয়েই আমি আর সুমি ঠিক করলাম ডোরা আপার অফিসেই কাজ করতে হবে। ক'দিন পর দুজন আবার গিয়ে আবদার করলাম, আমরা আপনার সাথে কাজ করতে চাই। এভাবে ইচ্ছা মতো অফিস বদল করা যায় না, বিশেষ করে পাউবোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা ব্যারেজ ডিজাইনে এত সহজে যোগ দেয়া যায়না। কিন্তু আমরা দুজন যোগ দিতে পারলাম, এটা সম্ভব হলো ডোরা আপার জন্যই কারণ নিজের কাজে  দক্ষতার জন্য উনার এত সুনাম ছিল যে উনার কথায় আমাদের বদলি হয়ে গেল।

আমাদের অফিসটা ছিল আমরা সবাই রাজা ধরনের, কাজ না করার জন্য কখনো বকা খেতে হতো না বলে খুব ফাঁকি দিতাম, ডোরা আপা কিন্তু খুব কাজ করতেন। মাঝে মাঝে অফিসে আসতেন ডোরা আপার স্বামী আমিন ভাই। উনি পাউবো থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজে ফার্ম করেছিলেন। ওঁরা দুজনেই খুব হাসিখুশি আলাপী, কত গল্প যে করতেন। আমরা মাঝে মাঝে ডোরা আপার বাসাতেও যেতাম। শিখাকেও ডেকে আনতেন ডোরা আপা, ও চুপচাপ বসে আমাদের কথা শুনত। ওকে লেখাপড়া থেকে উঠিয়ে আনা ঠিক না এটা আমাদের কখনোই মনে হতো না।

শিখা লেখাপড়ায় ভালো, চাকরি করা মায়ের মেয়ে লেখাপড়ায় ভালো করছে এটা অনেকেরই পছন্দ হতো না, অনেকেই ডোরা আপাকে ঠেস দিয়ে কথা বলতেন। আমিন ভাই মারা যাবার পর যখন অনেকে ডোরা আপার সাথে দেখা করতে গেছেন তখনও এক মহিলা ডোরা আপার সামনে বলে উঠলেন,

- মায়েরা চাকরি করলে ছেলেমেয়ে কখনো মানুষ হয়না। ডোরা আপা চুপ করে থাকলেন, আমি বললাম,

- শিখাকে দেখার পরও আপনি একথা বলেছেন! শিখা লেখাপড়াও করেছে, ভালো মানুষও হয়েছে!

সামুতে যাদের সাথে শিখার ভার্চুয়াল পরিচয় আছে তারা নিশ্চয় জানেন শিখা কতটা বিনয়ী। এটা ডোরা আপার শিক্ষা।

ডোরা আপা খুব ভালো স্ট্রাকচারাল ইন্জিনিয়ার ছিলেন। তিস্তা ব্যারেজের মত বিশাল প্রকল্পের অধিকাংশ ডিজাইন উনি করেছিলেন। এই প্রকল্পটি যদি ব্যর্থ না হতো (কেন ব্যর্থ হলো সেটা সেটা বলা যাবে না) তবে উত্তরাঞ্চলের অনেক মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারত। শুধু অফিসের কাজে না, ডোরা আপা সব কাজেই পারফেকশনিস্ট ছিলেন। উনার বাসা খুব সুন্দর করে সাজানো থাকতো, ইনডোর প্ল্যান্টসগুলোর পাতা এত চকচক করত যে আমি ভাবতাম এগুলো প্লাস্টিকের। শেষ যেবার উনার বাসায় গেছি তখনও দেখেছি সব কিছু সুন্দর সাজানো, কিন্তু দীর্ঘদিনের সংগী স্বামীকে হারিয়ে উনি কিছুটা চুপচাপ, কিন্তু আতিথেয়তায় বরাবরের মতই। আমি বিকালে গিয়েছিলাম, বললেন রাতের খাবার খেয়ে আসতে হবে। বললাম আমাকে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। উনি বললেন,

- চুপ! কোন কথা বলবে না, মাগরিবের নামাজ পড়েই খাবার দিয়ে দেব। খেয়েই চলে যেও তাড়া থাকলে।

ধানমন্ডিতে উনার বাসার কাছাকাছি অনেকগুলো খাবারের আস্তানা, উনি ফোন করে খাবার অর্ডার করতে গেলে আমি বাঁধা দিলাম, আমি উনার রান্না করা রুটি তরকারি খেতে চাইলিম। আমার জোরাজুরিতে উনি রাজি হলেন। উনি সবসময় সুন্দর করে টেবিল সাজিয়ে খেতে দিতেন, সেদিনও যখন সুন্দর বাসন, ম্যাট সাজাচ্ছেন তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম,

- ডোরা আপা, আপনি একা বসে খান এভাবে টেবিল সাজিয়ে!!
 বলেই বুঝলাম তার একাকীত্বর কথা মনে করিয়ে দিয়ে ঠিক করিনি। উনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন, তারপর বললেন,

-  আমি একেকবার একেক ঘরে নামাজ পড়ি, তাহলে আর ঘর খালি খালি লাগে না।

কথা বলতে বলতে একসময় বললেন,

- জানো, শিখা আজকাল গল্প লিখছে। আড়িপাতার বইয়ে ওর তিনটি গল্প ছাপা হয়েছে। ওর বাবার লেখালেখির অভ্যাস ছিল, ও সেটাই পেয়েছে।

ডোরা আপা উঠে গিয়ে আড়িপাতার বই এনে পাতা উল্টে শিখার গল্প বের করে দেখালেন, মনে হয় চাচ্ছিলেন আমি যেন শিখার গল্প পড়ি, কিন্তু আমার ইচ্ছা করছিল ওনার সাথে গল্প করতে। আমি শিখার গল্প পড়ার কোন আগ্রহ দেখালাম না। উনি কিন্তু বইটা ছাড়লেন না, আমার সাথে গল্প করতে করতে বইয়ের পাতা উল্টে তিনটি গল্পই একে একে বের করে গল্পের উপর খুব যত্ন করে হাত বোলাতে লাগলেন। আমার খুব অদ্ভুত লাগছিল, এমন কেন করছেন...

 কেন করছিলেন বুঝলাম ক'মাস পরে, যখন আমার মেয়েও এমেরিকা চলে গেল। একদিন ওর টেবিল খালি করার জন্য আমি ওর পুরানো খাতার পাতা ওলটাচ্ছিলাম। হঠাৎ একসময় খেয়াল করলাম আমি খাতার পাতায় হাত বুলিয়ে যাচ্ছি, মনে হচ্ছিল দূরে চলে যাওয়া মেয়েটাকে ছুঁয়ে দেখছি... ডোরা আপার কথা মনে পড়লো, উনিও হয়তো সেদিন শিখার লেখা গল্প ছুঁয়ে শিখাকে স্পর্শ করছিলেন...

অবশ্য শিখার গল্প পড়েছি পরে,সামুতে। শিখা রহমান নাম দেখেই মনে পড়ল, "শিখা আজকাল গল্প লিখছে।" বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম, ভেবেছিলাম ডোরা আপাকে বলব শিখার গল্প আমি পড়েছি, কিন্তু কথাটা আর বলা হয়নি...

জিজ্ঞেস করেছিলাম, "একা একা থাকেন... শিখার কাছে চলে যান না কেন!" বলেছিলেন, "এমেরিকা বেশিদিন ভালো লাগে না যে!"

 একই মাইক্রোবাসে করে আমরা অফিস যেতাম, পুরো পথ ডোরা আপা অনেক রকম গল্প করতেন, আমরা মন দিয়ে শুনতাম। আজকে মনে হচ্ছে শিখার গল্প বলার এই গুণ ডোরা আপার থেকেও হয়তো পেয়েছে। আমার বন্ধু সুমি যতদিন ছিল দু'জনে খালি ভাবতাম, ডোরা আপা কী করে এত কাজ করার পরও এমন পরিপাটি করে সাজতে পারেন। উনি গাড়িতে উঠতেন সবার আগে, সাড়ে ছয়টায় কারণ উনি বনানীতে পাউবোর কোয়ার্টারে থাকতেন আর গাড়ি সেখানে থাকত। আমরা ভেবেই পেতাম না, এত সকালে উনি বাসার সবকিছু ঠিকঠাক করে, রান্নার ব্যবস্থা করে হাজার সময় কোথায় পান!

সুমি বিদেশে চলে যাবার পর আমার জুনিয়র একটা মেয়ে জয়েন করেছিল, একদিন ডোরা আপা যখন তরতর করে সিঁড়ি বেয়ে চারতলায় উঠছেন, আর আমরা জিরিয়ে জিরিয়ে, তখন ও বললো,

-ডোরা আপা যেন মহারানী, আর আমরা ফকিরনী, তাই না আপা?

 একমত না হয়ে উপায় কী!! ডোরা আপা এত মেধাবী, স্মার্ট- কথায় আর পোশাক আশাকে যে আমরা উনার ধারে কাছেও যেতে পারিনা। ডোরা আপা যে শাড়ি গুলো পড়তেন সেগুলোও আলাদা রকম, অন্যরকম সিল্কের শাড়ি যেগুলোর মতো কোথাও দেখিনা। একদিন জিজ্ঞেস করেই ফেললাম,

- এসব শাড়ি কোথায় পান ডোরা আপা?

- নিজে বানাই। কোন শাড়ি একটু পুরানো হলেও জরিরপাড়- আঁচল নতুন থাকে। আমি সেই পাড় আঁচল সিল্কের থান কাপড়ে বসিয়ে নতুন শাড়ি বানাই।

শুধু শাড়ি না, উনি সবরকম সেলাইয়ে দক্ষ ছিলেন। একদিন একটা বাচ্চা মেয়েদের জামায় এপ্লিকের ডিজাইনের বই দেখে জিজ্ঞেস করলাম এটা কিসের। বললেন দেশে শিখাকে ছোট রেখে থাইল্যান্ডে এআইটিতে পড়তে গিয়েছিলেন। সেখানে সস্তায় থান কাপড় পাওয়া যেত, উনি প্রতিদিন আধা গজ কাপড়ের উপর এপ্লিক করে শিখার জন্য জামা বানাতেন। এসব করে পড়াশোনা কখন করতেন জানিনা, কিন্তু এআইটিতেও ভালো রেজাল্ট করেছিলেন।

অফিসের যার যতরকম সমস্যা আছে সবাই সেসব নিয়ে সমাধানের জন্য উনার কাছে যেতেন, উনিও সবসময়ই সাহায্য করতে থাকতেন। অফিসের  সবার উনি আপনজন, তাই পিয়ন থেকে শুরু করে সবাই উনাকে ডোরা আপা বলত, বড়জোর খালেদা আপা। ওনাকে ম্যাডাম বলতে কাউকে শুনিনি। উনার নাম ছিল খালেদা শাহরিয়ার কবির, ডাকনাম ডোরা, সেই নামেই সবাই চিনতো।

 এদেশে মেয়েদের প্রকৌশল শিক্ষার পথিকৃৎ ডোরা আপা। ১৯৬৪ সালে উনি সহ তিনজন মেয়ে অনেক চেষ্টার পর প্রকৌশল পড়ার অনুমতি পান, এক্ষেত্রে উনি অগ্রনী ভূমিকা নেন, কারণ উনার বাবা ছিলেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ডোরা আপা শুরু না করলে হয়তো মেয়েদের প্রকৌশল পড়া শুরু হতে হয়তো দেরি হতো...

দুমাস আগে ওনার মুখে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। উনি সবসময় করোনা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলতেন, একবার আমাকে এমন এক মেসেজে পাঠালেন, "সরকারের কাছে আপনি শুধু একটা সংখ্যা, কিন্তু প্রিয়জনদের কাছে আপনি পুরো পৃথিবী।"

অথচ ডোরা আপা নিজে আক্রান্ত হলেন কোভিডেই, মারা গেলেন, শিখার পৃথিবী শূন্য করে দিয়ে।

প্রিয়জনের মৃত্যুতে মনখারাপ করে পোস্ট দেয়াতে কেউ খোঁচা মারা মন্তব্য করেছেন আগে। দয়া করে এটা এই পোস্টে করবেন না।

/


মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগার শিখা রহমানের জন্য সমবেদনা রলো।

আপনি কি ইন্জিনিয়ার?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ সমবেদনা জানানোয়।

হ্যা।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আল্লাহ তাআলা শিখা আপার আম্মাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম কবুল করুন। আমিন

মাতাপিতা সন্তানের মাথার উপর ছায়া। এই ছায়া ঝড় বৃষ্টি বাদলা রোদ্র তাপ খরা থেকে রক্ষা করে। আমার আব্বা ১৯৯৯ সনে ইন্তেকাল করেছেন, তাঁর অভাব আমার চিরোকাল থাকবে।

শিখা আপাকে বলবো, আপনার স্মৃতিতে আপনার আম্মা চিরোকাল বেঁচে থাকবেন। আপা স্মৃতিতে কারো মৃত্যু নেই। আপনার আম্মা যে কাজগুলো করে আনন্দ পেতেন আপনি সেই একই কাজ করে যাবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া করছি পরম করুণাময় আল্লাহপাক যেনো আপনাকে আপনার মনকে শান্ত রাখেন।

রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগিরা।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১২

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ তাআলা শিখা আপার আম্মাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম কবুল করুন। আমিন

শিখা একমাত্র সন্তান, মা-বাবাকে আঁকড়ে ধরা। ছয় বছর আগে ওর বাবা মারা যাবার পর মা-ই ছিলেন ওর সব। আল্লাহ যেন শিখার জন্য করা আপনার দোয়া কবুল করেন, ওঁর মনে যেন শান্তি দেন।

মন্তব্য ও লাইকের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৯

রামিসা রোজা বলেছেন:

বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রকৌশলী খালেদা শাহরিয়ার
কবির (শিখা আপার মা ) আমাদের এ দেশের গর্ব।
আপনার লেখার মাধ্যমে অনেক কিছুই জানা হলো আর
শিখা রহমান আপার প্রতি সমবেদনা রইলো ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৭

করুণাধারা বলেছেন: উনি খুব বিনয়ী আর পরোপকারী ছিলেন। ঠিকমতো লিখতে পারি নি।

মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ রামিসা রোজা।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:


করুণাধারা আপা,
সম্ভব হলে পোস্টের শুরুতে একটি কালো ব্যাজ দিন, তাতে পোস্টটি সবার নজরে আসতে সুবিধা হবে। প্লিজ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, দিয়ে দিয়েছি। উনার অসংখ্য ছবি আছে অন্তর্জালে, ভেবেছিলাম সেখান থেকে একটা নিয়ে এই পোস্টে দেব। কিন্তু উনার এক আত্মীয় দেখলাম অনুরোধ করেছে উনার ছবি যেন কেউ আর না দেয়, তাতে উনার আযাব হবে নাকি। একথা শুনে আর উনার ছবি দিতে পারি নাই। আপনার কালো ব্যাজ এক্ষেত্রে উপযুক্ত হয়েছে। আবার ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: খবরটা আজ ভোরে ফজরের নামায পড়েই ফেসবুকে দেখেছিলাম। কিন্তু নামটা মেলাতে পারছিলাম না। আপনারই লেখা কোন পোস্ট কিংবা মন্তব্য পড়ে জেনেছিলাম, ওনার ডাক নাম 'ডোরা' ওরফে 'ডোরা আপা'। কিন্তু সকালে পোস্টে ওনার আসল নামটি ছিল। যাহোক, আমি বুঝে নিয়েছি যে উনিই হবেন, কারণ বাংলাদেশের মহিলা প্রকৌশলীদের পথিকৃৎ উনি ছাড়া আর কেউ হতে পারেন না।

শিখা রহমান এর যতগুলো গল্প আমি এ ব্লগে পড়েছি, তার প্রত্যেকটি পড়ে অভিভূত হয়েছি। তার ভাষার বুনট চমৎকার, উপস্থাপনা প্রাঞ্জল ও সাবলীল। তার মন্তব্য টু দ্য পয়েন্ট, মার্জিত এবং অত্যন্ত পরিশীলিত হয়ে থাকে। মন্তব্য করার সময় তিনি লেখকের বা লেখার এমন কোন উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট উল্লেখ করে থাকেন, যা অন্যদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। লেখকেরা তার মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হয়ে থাকেন।

দুঃখের বিষয় যে শিখা রহমানকে এখন আর এ ব্লগে দেখা যায় না, যদিও ফেসবুকে তিনি নিয়মিতভাবে না হলেও প্রায়ই উপস্থিত থাকেন। আজকের এই কঠিন সময়ে তাকে সমবেদনা জানাচ্ছি, তিনি যেন ধৈর্যের সাথে এ অপূরণীয় ক্ষতি মোকাবিলা করতে পারেন। প্রকৌশলী খালেদা শাহরিয়ার কবির এর জন্য আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এর দরবারে প্রার্থনা জানাচ্ছি, তিনি যেন মরহুমার সকল জাগতিক ভুল ভ্রান্তি, দোষ ত্রুটি, ছোট বড় সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে তাকে জান্নাতের সম্মানিত অধিবাসীদের দলভুক্ত করে নেন।

কাকতালীয়ভাবে, করোনার ব্যাপারে 'ডোরা আপা' আপনাকে যে মেসেজটি দিয়েছিলেন, ঠিক একই মেসেজ আমার ভাগ্নে করোনায় আক্রান্ত হবার আগে আমাদের পারিবারিক গ্রুপে পোস্ট করেছিল। করোনা তাদের উভয়কে কেড়ে নিয়েছে, আমার ভাগ্নে কে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিঃস্ব করে দিয়ে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

করুণাধারা বলেছেন: আসলে করোনা এমন যে কোনদিক দিয়ে আক্রমণ করবে সেটা বোঝা যায় না। করোনা যাতে আক্রমণ না করতে পারে সেজন্য ডোরা আপা সব রকমের সাবধানতা অবলম্বন করেছিলেন। কিন্তু ডিসেম্বরে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হলেন, তার ফলে সৃষ্ট জটিলতায় তিনি মারা গেলেন। আমার পরিচিত যতজন মানুষ অন্য রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, হাসপাতালগুলো এখন করোনা ছড়ানোর কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

আপনার ভাগ্নের কথা মনে আছে, তাঁর স্ত্রী এবং ছোট ছোট দুটি সন্তানের পৃথিবী শূন্য করে তিনি চলে গেছেন। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন এবং তাঁর পরিবারকে সবর দান করেন।

মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সুস্থ থাকুন।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: আগেও উনার সম্পর্কে অল্পবিস্তর জেনেছিলাম। আজকে আপনার লেখা পড়ে শ্রদ্ধা আরো বেড়ে গেল। যদিও উনি এসবের ঊর্ধে্ব এখন। ভালো থাকুন সেখানেও।

শিখা আপার জন্য সমবেদনা।

"সরকারের কাছে আপনি শুধু একটা সংখ্যা, কিন্তু প্রিয়জনদের কাছে আপনি পুরো পৃথিবী।" --- যে এর ভিতর দিয়ে অল্পবয়সেই গিয়েছে তিনি বোঝেন এর মর্মবেদনা। আমিও একজন।

ভালো থাকুন আপা। সুস্থ থাকুন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: ডোরা আপা একজন ভালো মানুষ ছিলেন, নিরহংকার এবং পরোপকারী। আমি তাকে খুব পছন্দ করতাম কিন্তু তার একাকীত্বের দিনগুলোতে তেমন যোগাযোগ করতাম না। তখন কেউ চিরদিনের মত চলে যায় তখন একথা ভেবে আফসোস হয়, আমারও হচ্ছে। সেজন্য এই পোস্ট।

"সরকারের কাছে আপনি শুধু একটা সংখ্যা, কিন্তু প্রিয়জনদের কাছে আপনি পুরো পৃথিবী।" --- যে এর ভিতর দিয়ে অল্পবয়সেই গিয়েছে তিনি বোঝেন এর মর্মবেদনা। আমিও একজন।

আল্লাহ আপনাকে সবর দান করুন। ভালো থাকুন, এই ভয়ংকর অনিশ্চিত সময়ে।

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ শিখা আপাকে শোক সইবার ক্ষমতা দিন।
আপনাকে জাজাকিল্লাহ খাইরান

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ছবি, খুব ভালো লাগছে আপনাকে দেখে। আমি কদিন থেকে আপনার কথা ভাবছিলাম, আপনার জায়গায় সোহানী হলে কলাবাগানের উটকো মন্তব্যের উপযুক্ত জবাব দিতে পারতেন। যাহোক, তার উটকো আক্রমণ আর আপনার সবর- দুটোর প্রতিফল আল্লাহ দেবেন।

ভালো থাকুন, সপরিবারে।


৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৫

শায়মা বলেছেন: আপু

শিখা আপুর মায়ের মৃত্যুর খবরটা শুনে খুব কষ্ট হচ্ছে। শিখা আপু তার মায়ের একমাত্র মেয়ে। আপুর কষ্টের কথা ভেবেও খারাপ লাগছে। শিখা আপুর মা বাংলাদশের প্রথম নারী ইঞ্জীনীয়ার জেনে খুব গর্ব হলো। শিখা আপু নিজেও এ কারণেই এত মেধাবী হয়েছে।

এটাই জীবনের নিয়ম আপু আমরা কেউ চিরদিন থাকবো না। শিখাআপু আর মায়ের জন্য অন্তর থেকে দোয়া রইলো। উনার রুহের মাগফেরাত কামনা করি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০২

করুণাধারা বলেছেন: আমরা কেউ চিরদিন থাকবো না, এটাই নিয়ম শায়মা। কিন্তু যে রয়ে যায় সে অনেক দিন শূন্যতা আর স্মৃতির ভার বহন করে। শিখা ছয় বছরের মধ্যে মা-বাবা দুজনকেই হারালো, কিন্তু সামলে ওঠার শক্তি ওর নিশ্চয়ই হবে।

শিখাআপু আর মায়ের জন্য অন্তর থেকে দোয়া রইলো। উনার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। আমিন।

তুমিও ভালো থেকো।

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন।
শিখা আপাকে আল্লাহ এই শোক সহ্য করার ক্ষমতা দিক।

এই পোষ্ট টির জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর। কিছুদিন থেকে ব্লগে অনিয়মিত, তাই অফলাইনে আপনার কন্যাকে নিয়ে পোস্ট পড়লেও মন্তব্য করা হয়নি। আশাকরি শিগগিরই যাব, অভিনন্দন আর শুভকামনা বাবুর জন্য।

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,






মনের গভীর ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। যেন একটি এপিটাফ লিখে গেলেন।

দেশের প্রথম নারী প্রকৌশলী "ডোরা" (আপা) হয়তো একটি সংখ্যা কিন্তু তাঁর যে ছবি এঁকেছেন তাতে তিনি অসংখ্য হয়ে উঠেছেন। তিস্তা ব্যারেজে বয়ে যাওয়া জলের মতোই যেন কলকল ছন্দে বয়ে গেছেন তিনি জীবনভর।

এমন মহিয়সী মা'য়ের সন্তান সহব্লগার শিখা রহমানের এই অপুরনীয় ক্ষতিতে সমব্যথী। মরহুমার আত্মার শান্তি কামনার সাথে সাথে প্রার্থনা, শিখা রহমান যেন প্রিয়জন হারানোর সকল কষ্ট সইয়ে নতুন শিখা হয়ে জ্বলে ওঠেন!

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৬

করুণাধারা বলেছেন: আহমেদ জী এস, আপনার মন্তব্য মন ছুঁয়ে গেল।

সংগ্রামী ডোরা আপার কথা এখানে লেখা হয়নি। উনার জন্ম ১৯৪৬ সালের ৮ই নভেম্বর। ১৯৬৪ সালের জানুয়ারিতে উনি যখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে তাকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেবার জন্য লড়াই করছেন তখন তার বয়স মাত্র ১৭ বছর!! সেই সময়ের সামাজিক অবস্থায় উনি অনেক কঠিন কাজ করেছিলেন।

মরহুমার আত্মার শান্তি কামনার সাথে সাথে প্রার্থনা, শিখা রহমান যেন প্রিয়জন হারানোর সকল কষ্ট সইয়ে নতুন শিখা হয়ে জ্বলে ওঠেন! আমিন।

ভালো থাকুন আপনিও।

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪২

সোহানী বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল। অফলাইনে খবরটা দেখে লগইন করলাম।

আমি উনার কথা জানি আমার ভাই এর কাছ থেকে। ও বুয়েট থেকেই পড়াশুনা করেছিল।

যে ছবি আপনি একেঁছেন ডোরা আপুর তার মতো এমন একজন মানুষকে হারানো অনেক অনেক কষ্টের। ভালো থাকুক ওপারে সবার প্রিয় একজন মানুষ। আর শিখার জন্য জন্য রইলো সমবেদনা। মা হারানো ব্যাথা আমি বুঝি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৩

করুণাধারা বলেছেন: শিখার জন্য জন্য রইলো সমবেদনা। মা হারানো ব্যাথা আমি বুঝি। মা হারানোর শূন্যতা কখনো পূরণ হয় না। শিখার বেলায়, একমাত্র সন্তান হওয়ায় ওর সব দুঃখ সুখের সাথী ছিলেন ওর মা-বাবা। ৬/৭ বছরের মধ্যে দুজনেই চলে গেলেন। সবকিছু মানিয়ে নিতে শিখার হয়ত সময় লাগবে।

ভালো থাকুন সোহানী।

১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫৪

আমি সাজিদ বলেছেন: ডোরা ম্যাডামের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৫

করুণাধারা বলেছেন: ডোরা ম্যাডামের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।

অনেক ধন্যবাদ আমি সাজিদ। ভালো থাকুন আপনিও, শুভকামনা।

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: শিখা রহমান এর কিছু লেখা আমি পড়েছি
এবং ভালো লেগেছে, অথচ তার মা'র সর্ম্পকে
কিছুই জানতাম না ।

...................................................................
অভিবাবক বিহীন একজন সন্তানের অনেক মনকষ্ট,
দোয়া করি যেন দ্রুত এই শোক কাটায়ে উঠবে ।
আল্লাহ খালেদা শাহরিয়ার কবিরকে বেহেশতের মর্যাদা দান করুন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: দোয়া করি যেন দ্রুত এই শোক কাটায়ে উঠবে ।
আল্লাহ খালেদা শাহরিয়ার কবিরকে বেহেশতের মর্যাদা দান করুন।
আমিন।

এই পোস্ট শিখা রহমানের কথা বলার জন্য নয়, বরং ডোরা আপার কথা বলার জন্য। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রক্ষণশীল পরিবেশে ১৭ বছর দুই মাস বয়সী এক কিশোরী ইপিইউয়েট কর্তৃপক্ষের সাথে লড়াই করে প্রকৌশল শিক্ষার অধিকার আদায় করেছিল। আমি সেই পথিকৃৎকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছি, কারণ তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে অনেক লেখা অন্তর্জালে আছে।

ভেবেছিলাম একজন পথিকৃৎকে নিয়ে লেখা এই পোস্ট নির্বাচিত পাতায় যায়নি, আমার অন্য সকল পোস্টের মত।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল, ভালো থাকুন।

১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ উনাকে বেহস্তবাসী করুণ। সমবেদনা পরিবারের প্রতি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ উনাকে বেহস্তবাসী করুণ। সমবেদনা পরিবারের প্রতি। আমিন।

অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি, ভালো থাকুন সপরিবারে। শুভকামনা রইল।

১৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৪১

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: অন্তরের অন্ত:স্হল থেকে উনার জন্য দোআ।
আর আপনাকে ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: অন্তরের অন্ত:স্হল থেকে উনার জন্য দোআ।

অনেক ধন্যবাদ কবিতা ক্থ্য, আপনাকে প্রথমবারের মতো পেয়ে খুব ভালো লাগলো।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভেচ্ছা রইল।

১৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৪৮

ঢাকার লোক বলেছেন: আল্লাহ সবার প্রিয় প্রকৌশলী ডোরা আপাকে জান্নাতুল ফিরদউস মনজুর করুন। পরিবারের সবাইকে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠার শক্তি দান করুন। আমিন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ সবার প্রিয় প্রকৌশলী ডোরা আপাকে জান্নাতুল ফিরদউস মনজুর করুন। পরিবারের সবাইকে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠার শক্তি দান করুন। আমিন।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ঢাকার লোক। স্বস্থিতে আর সুস্থ থাকুন আপনিও।

১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:০৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: প্রকৌশলী খালেদা শাহরিয়ার কবির এর ব্যাপারে আগে জানতাম না। উনি গুনি মানুষ ছিলেন। তিনি আমাদের গর্ব, তাঁর জন্য দোয়া রইল।

শিখা রহমানের লেখা আমি পড়েছি, অত্যান্ত ভাল লিখেন তিনি। তাঁর প্রতি সমবেদনা রইল।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কাছের মানুষ। আমি কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়ায় আপনার পোস্টে মন্তব্য করিনি। আশাকরি শিগগিরই যাব।

নিরাপদে থাকুন।

১৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৫

ইসিয়াক বলেছেন:

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।
ডোরা ম্যাডামের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।গতকালই গ্রুপে জেনেছিলাম খবরটা যদিও। খুব খারাপ লাগছে।

আল্লাহ উনাকে বেহেস্ত নসীব করুণ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ উনাকে বেহেস্ত নসীব করুণ। আমিন।
এটাই এখন প্রার্থনা।
সাবধানে থাকুন ইসিয়াক, সুস্থ্য থাকুন।

১৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন:




রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগিরা।
#শিখা আপুর জন্যও দোয়া রইলো।

ধন্যবাদ

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫২

করুণাধারা বলেছেন: তিনি চলে গেছেন তিনি সব কিছুর উর্ধ্বে, কিন্তু তার একমাত্র সন্তান শিখা বাবার মৃত্যুর পর মাকে অবলম্বন করে ছিল। মায়ের মৃত্যু তার জন্য বড় আঘাত। এই সময়ে আপনার আমি আমার দোয়া তার প্রয়োজন।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ইসিয়াক, ভালো থাকুন সবসময়।

২০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ডোরা আন্টির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। তিনি যেনো জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান পান।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: ডোরা আন্টির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। তিনি যেনো জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান পান। আমিন।
অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা কামরুননাহার কলি।

২১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫০

সামিয়া বলেছেন: লেখাটি পড়তে পড়তে চোখে জল চলে এলো। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: লিখতে লিখতে আমারও চোখে জল এসেছিল। কী ভয়ানক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা, শেষ সময়ে এসেও করোনারি কারণে কোন প্রিয়জনের দেখা পাননি... :(

অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা সামিয়া।

২২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: এক নিঃশ্বাশে পড়লাম লেখাটা। মনে হচ্ছিল কোন গল্প পড়ছি অথচ এটা সত্য ঘটনা। ব্লগার শিখা রহমানের কবিতা ও গল্প আগে পড়েছি এই ব্লগে। বইমেলা হলেই তিনি দেশে চলে আসতেন এবং ব্লগারদের সাথে বইমেলায় দেখা করতেন এমন অনেক ছবি দেখেছি ব্লগে। উনার মা সম্পর্কে পড়ে শ্রদ্ধায় মাথাটা নুয়ে পড়ল। উনার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩২

করুণাধারা বলেছেন: করোনা কালে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক, মানুষের মানবিক গুণাবলী সবকিছুই বদলে গেছে। একসময় হয়তো করোনা পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে, সেদিন অনেক রকম গল্প শোনা যাবে।

আপনার মন্তব্য ভালো লাগলো ঢাবিয়ান। অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: ব্লগার শিখা রহমানের জন্য সমবেদনা

আমি ডোরা আপা কে চিনতাম না আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানলাম চিনলাম !!!


আল্লাহ ওনাকে বেহেস্তবাসি করুন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ ওনাকে বেহেস্তবাসি করুন। আমিন।

ডোরা আপা ছিলেন কর্মদক্ষ এবং সৎ। আমি হয়তো ঠিকমতো ওনার সম্পর্কে লিখতে পারিনি। শোক সামলে উঠে শিখা মায়ের কথা লিখবে আশাকরি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রানার ব্লগ। শুভকামনা রইল।

২৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন এবং শিখা ম্যাডামকে শোক কাটিয়ে উঠার তওফিক দিন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪০

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন এবং শিখা ম্যাডামকে শোক কাটিয়ে উঠার তওফিক দিন। আমিন।

আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মোহামমদ কামরুজজামান। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

২৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ব্লগার শিখা রহমানের জন্য সমবেদনা রইলো।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪২

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগার শিখা রহমানের জন্য সমবেদনা রইলো।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী। ভালো থাকুন সবসময়।

২৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আল্লাহ উনাকে মনের অজান্তের সব ভুল ত্রুটি মাফ করে দিয়ে বেহেস্তবাসী করুন, আমীন।
শিখা আপুর জন্য মন থেকে সমবেদনা রইলো। আমি এই মেসেজ পেয়েছিলাম আগেই।
প্রথিতযশা একজন সহ বুয়েটিয়ানকে আমরা আজ হারিয়ে ফেললাম। আমরা সব বুয়েটিয়ানদের জন্যই এটা বেদনাদায়ক খবর।
আপনিও সুস্থ এবং নিরাপদে থাকুন। করোনাকালীন সময় অনেকদিন আপনার কোন খোজখবর না পেয়ে খুব চিন্তায়
পড়ে গিয়েছিলাম।
শুভ কামনা আপনার জন্য।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫২

করুণাধারা বলেছেন: প্রথিতযশা একজন সহ বুয়েটিয়ানকে আমরা আজ হারিয়ে ফেললাম। আমরা সব বুয়েটিয়ানদের জন্যই এটা বেদনাদায়ক খবর
দুঃখজনক নিঃসন্দেহে, উনি যেখানে নিজে সবাইকে মেসেজ পাঠিয়ে যাচ্ছিলেন করোনা থেকে রক্ষা পাবার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে, নিজে সাবধান থাকতেন কিন্তু তারপরও তিনি করোনা আক্রান্ত হলেন।
উনি একই সাথে সৎ, কর্মদক্ষ এবং মেধাবী ছিলেন। তিনি অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।

আল্লাহ উনাকে মনের অজান্তের সব ভুল ত্রুটি মাফ করে দিয়ে বেহেস্তবাসী করুন আমিন।

ধন্যবাদ নীল আকাশ, শুভকামনা জানাই।

২৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

জুন বলেছেন: ডোরা আপা কে আপনার মাধ্যমেই জানলাম করুনাধারা।আল্লাহ ওনাকে বেহেস্ত নসীব করুন। তার আরেকটি পরিচয় সে আমাদের কো-ব্লগার শিখা রহমানের মা। ওনাকে মা হারানোর ব্যাথা সহ্য করার মত শক্তি দিন মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন এই দোয়া করি ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: জুন, আপনার মায়ের মতো শিখার মায়েরও ক্যানসার হয়েছিল, কিন্তু চিকিৎসা করতে গিয়ে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। এই অসহায়ত্বের কথা শিখার হয়তো সারাজীবন মনে থাকবে।

ওনাকে মা হারানোর ব্যাথা সহ্য করার মত শক্তি দিন মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন এই দোয়া করি । আমিন। এই দোয়া এখন ওর খুব দরকার।

অনেক শুভকামনা জুন।

২৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসম্ভব আবেগময় লেখা।শিখা আপুর মায়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। আপুর পৃথিবী সত্যির আজ মহাশূন্য হয়ে গেল। জানি প্রিয়জন হারানোর বেদনায় কোন সান্ত্বনা যথেষ্ট নয়, তবুও শিখা আপুর প্রতি সমবেদনা রইল।উপরওয়ালা যেন আপুকে এই কঠিন সময়ে কাটিয়ে ওঠার পূর্ণ শক্তি দান করেন।
সঙ্গে আপু আপনাকেও অনুরোধ, কর্মজীবনের এমন একজন অভিভাবক সম সহকর্মীকে হারিয়ে ভীষণই ভেঙে পড়েছেন। পোস্টে আপনার আবেগময়ী কথা পড়তে গিয়ে নিজেও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লাম। আমি আগে থেকেই জেনে আসছি আপনার শরীর ভালো যাচ্ছে না। যদিও মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন, বলেছিলেন। কিন্তু আজকে পোস্টটি পড়ে আপনাকেও ভেঙে না পড়তে অনুরোধ করবো।শক্ত হোন আপু। চিন্তা যতটা সম্ভব কম করুন। ভালো থাকুন আপু সবসময়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৬

করুণাধারা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী, যখন কাছের কেউ মারা যান তখন আমার মনে হয় কেন তার কাছে আরেকবার যাইনি!! আমার অপরাধ বোধ হয়; সেই অপরাধ বোধ থেকেই এই লেখা। আবেগময় হয়ে গেছে, কারণ এই অদ্ভুত সময়ে উনাকে শেষ দেখাও দেখতে পারিনি...

আমার শরীর ভালো আছে, তবে মনের জোর কমে গেছে। আপনার দোয়া পেয়ে ভালো লাগলো। আপনিও ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

২৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: (আমাদের ব্লগ গল্পের) রুপালি মানবী শিখা রহমানের মা যে আমাদের দেশের মেয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম মানবীদের একজন সেটা জেনেছিলাম ব্লগেই উনার একটা লেখা থেকে। দূরে থেকে মানুষকে সব সময় চেনা যায় না। কিন্তু কাছের মানুষের কাছে যারা ভালো তারাই আসলে সত্যিকার ভাবে ভালো মানুষ। আজকে আপনার 'ডোরা আপা' সম্পর্কে আরো অনেক জানা হলো আপনার এই লেখা থেকে যে উনি ব্যক্তিগত জীবনেও কত চমৎকার মানুষ ছিলেন। প্রিয় একজন মানুষের জন্য গুণমুগ্ধতা নিয়ে লেখার জন্য আপনার জন্যও শ্রদ্ধা । আল্লাহ উনাকে বেহেস্ত নসিব করুন। শিখা রহমানকে বলবেন উনার মা-র জন্য আজকের দিনে আমাদেরও মন খারাপের কথা।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: আমার একটা খারাপ অভ্যাস হচ্ছে, মানুষের খোঁজ খবর না করা। আসলে প্রতিটা সম্পর্ক পরিচর্যা করা প্রয়োজন, তেমন কিছু না মাঝে মাঝে একটু ফোন করলেই চলে। আমি এটুকুও করিনা আলস্যবশত, তারপর প্রিয় কেউ তখন চিরতরে হারিয়ে যান তখন আমার মন হাহাকার করতে থাকে। ডোরা আপার বেলায় তাই হয়েছে, আমি উনার একাকীত্ব সম্বন্ধে জানতাম তবু কেন ফোন করতাম না জানি না। উনার মৃত্যুর খবর শুনে খুব মনখারাপ হলো, তাই ভাবলাম উনার কথা সহ ব্লগারদের সাথে শেয়ার করি। উনি আমার বস ছিলেন, কিন্তু বসিং উনি করতেন না বরং আমার নানা সমস্যা মেটাতে সাহায্য করতেন।

নিজের কাজে উনি বিশেষজ্ঞ ছিলেন, একসাথে চাকরি, সংসার আর সন্তানের দায়িত্ব সব ভালোভাবে পালন করেছেন।
আল্লাহ উনাকে বেহেস্ত নসিব করুন আমিন।

আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মলাসইলমুইনা। শিখার সাথে কখনো দেখা হবে নাকি জানিনা, দেখা হলে অবশ্যই আপনার কথা বলব।

৩০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪২

পদ্মপুকুর বলেছেন: যেকোনো মৃত্যুই কষ্টের, সেখানে প্রিয়জন হলে কষ্টটা আরও বেশি। গেল বছরের প্রথম দিকে অফিসে আমার বায়ের সিটে এবং সামনের সিটে বসা দুই কলিগের মা মারা যান, আমি খুব কাছ থেকে তাঁদেরকে দেখে নিজেও আবেগাক্রান্ত হয়ে গেছিলাম।

খুব সম্ভবত ওনাকে নিয়ে একবার কোনো একটা দৈনিকে লেখা হয়েছিলো। আল্লাহ তাঁকে জান্নাত নসীব করুন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০২

করুণাধারা বলেছেন: যেকোনো মৃত্যুই কষ্টের, সেখানে প্রিয়জন হলে কষ্টটা আরও বেশি। সেটাই, পদ্মপুকুর। জীবন থেমে থাকে না, কিন্তু প্রিয়জনের চিরদিনের জন্য চলে যাবার ফলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয় তা কখনো পূরণ হয়না। এই শূন্যতার ভার বহন করাও কষ্টকর।

উনাকে নিয়ে অনেক লেখা আছে, খালেদা শাহরিয়ার কবির বা ডোরা রহমান দিয়ে সার্চ দিলেই আসে।

আল্লাহ তাঁকে জান্নাত নসীব করুন। আমিন।

৩১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: ওনার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৪

করুণাধারা বলেছেন: ওনার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আমিন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ঢুকিচেপা, অনেক শুভকামনা রইল।

৩২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যদিও অফ লাইনে পড়েছি। আজ মন্তব্য করলাম।রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ।

ওনি বেচে থাকবেন তার কর্মের মধ্যে।

শিখা আপু দারুন লেখেন। ব্লগে এখন না আসলেও ফেবুর লেখাযোখাতে সক্রিয়।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৯

করুণাধারা বলেছেন: রুহের মাগফেরাত কামনা করছি । আমিন।

ওনি বেচে থাকবেন তার কর্মের মধ্যে। সেটা ঠিক, ভাবীকালে উনার কর্মের যথার্থ মূল্যায়ন হবে আশাকরি।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

৩৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কেউ-ই এই পৃথিবীতে চিরদিন থাকবে না, তবে কিছু কিছু বিদায় আমাদের মনোজগতে নাড়া দিয়ে যায়। আপনার লেখাটা পড়ে মন অনেকই খারাপ হলো। আমারও আপনার মতো পরিচিতজনদের সাথে যোগাযোগ করার ব্যাপারে আলসেমি আছে। এখন দেশে বেশ রাত......কালই কয়েকজনের সাথে কথা বলবো। বহুদিন এদের সাথে কথা বলি না।

আল্লাহ সহব্লগার শিখা রহমানকে এই দুঃখের বোঝা বইবার শক্তি দান করুন। আশা করছি, যতো দ্রুত সম্ভব উনি এই শোক কাটিয়ে উঠবেন।

আর ডোরা আপার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। মহান আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৫

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ সহব্লগার শিখা রহমানকে এই দুঃখের বোঝা বইবার শক্তি দান করুন। আশা করছি, যতো দ্রুত সম্ভব উনি এই শোক কাটিয়ে উঠবেন। আমিন

ডোরা আপার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। মহান আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন। আল্লাহ আপনার এই দোয়াও কবুল করুন, আমিন।

আজকাল অসংখ্য বিশেষ দিবস সৃষ্টির ফলেই হয়তো আমরা মানুষের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছি। বয়স্ক মানুষেরা খুব একাকী বোধ করেন, তাদের মাঝে মাঝে খোঁজ নেয়া দরকার- এই কথাটা মনে হয় কখনো, পরমুহূর্তেই ভুলে যাই!! আশাকরি আপনি ফোন করতে ভুলে যাননি। প্রতিমন্তব্য লিখতে লিখতে আমারও মনে হলো, সাথে সাথে ৮২ বছর বয়সী খালাকে ফোন করলাম...

৩৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:



মানুষ কি ভাবে আর কি হয় । আমি পোষ্টের শিরোনাম দেখে ভেবেছি কোনও মজার পোষ্ট পরিচিত কাউকে নিয়ে ।
এসে দেখি ঠিক তার উল্টো । ডোরা আপাকে নিয়ে আপনার স্মৃতিচারণ থেকে বুঝলাম যে উনি খুবই মোটিভেশনাল পারসোনালিটি ছিলেন । আপনার লেখা পড়েই ওনাকে ভালো লেগে গেছে ।
ক্যান্সার আমার পরিবারের দুজনকে নিয়ে গেছে তাই জানি কি কষ্টের এই মৃত্যু!
চলে যাবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অসহনীয় কষ্ট!
May her soul rest in peace!

শিখার জন্য উইশ যেন এই কঠিন সময় দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে ।



২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৮

করুণাধারা বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো মিড। ( আমার একটা লেখা আছে ডা. জামিলুর রেজা চৌধুরীকে নিয়ে- উনি সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন জেআরসি নামে, সুতরাং নাম এভাবে সংক্ষিপ্ত করার প্রচলন অনেক পুরানো)

হ্যাঁ, একেবারে ঠিক কথা, ডোরা আপা ছিলেন মোটিভেশনাল পারসোনালিটি, কিন্তু চুপচাপ নিজের লক্ষ্যে সর্দির থেকে কাজ করতেন। উনাদের ব্যাচের এগারো বছর পর মেয়ে ইন্জিনিয়ারদের দ্বিতীয় ব্যাচ পাশ করে। ততদিনে উনি অফিস সামলে ভালোভাবেই মেয়েকে বড় করছিলেন, অথচ প্রতিনিয়ত তাকে শুনতে হতো চাকরি করা মায়েরা ছেলে মেয়ে মানুষ করতে পারে না। উনি কখনো তর্ক করেননি, শিখাকে সবরকম শিক্ষা দিয়ে মানুষের কথার জবাব দিয়েছেন।

ক্যান্সার এক ভয়ংকর রোগ, আমার দশ বছর বয়স হবার আগেই ক্যান্সারে আমার বাবার যন্ত্রনাময় মৃত্যুর পর আরো কয়েকজন নিকটাত্মীয়কে হারিয়েছি।

শিখার জন্য উইশ যেন এই কঠিন সময় দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে । তাই যেন হয়।

অনেক শুভকামনা মিড।


৩৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ডোরা আপার কথা প্রথম জেনেছিলাম আড়িপাতার কোন একটা পোস্টেই, এই মুহূর্তে পোস্টদাতার নাম মনে পড়ছে না। উনার মৃত্যুর খবরও প্রথম দেখলাম আড়িপাতাতেই।

ব্লগার শিখা রহমানের জন্য সমবেদনা রইল।

আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসীব করুন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৭

করুণাধারা বলেছেন: ডোরা আপারা পাশ করে যাবার পরও মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসতো না, উনারা পাশ করার এগারো বছর পর ১৯৭৯ সালে মেয়েদের দ্বিতীয় ব্যাচ পাশ করে। চাকরি করা কালেও ডোরা আপাকে নানা প্রতিকূলতার সংগে লড়াই করতে হয়েছে, সে সময় নাকি কেউ ভাবতেই পারতো না মেয়েরা কখনো ডিজাইন করে আবার ফিল্ডে গিয়ে তা পরিদর্শন করতে পারে। উনি তা করে দেখিয়েছেন, তাই আমার মনে হয় তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা উচিত।

আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসীব করুন। আমিন।

৩৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: শুভ কামনা।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা আপনার জন্যও।

৩৭| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

অক্পটে বলেছেন: আপনার মাধ্যমে জানলাম বাংলাদেশের একজন মেধাবীকে। অনেক কিছুই নতুন জানা হলো। খুব টাচি লেখা। শিখা তার মা হারাল, দেশ হারালো একজন গর্বিত সন্তানকে। শিখা রহমানের জন্য সমবেদনা। আর উনি ওপারে শান্তিতে থাকুন।

১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে বোধহয় প্রথমবার আমার ব্লগে পেলাম অকপটে, অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আমাদের দেশে চারপাশে এখন শুধু অসততার কাহিনী শুনি। এরমধ্যে কিছু ভালো মানুষ আছেন যারা অনেককে উদ্বুদ্ধ করেন ভালো হতে। ডোরা আপা এমন একজন মানুষ। তার চলে যাওয়া মেনে নেয়া কষ্টকর আমার জন্য।

৩৮| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন ছুয়েঁ যাওয়া লেখা আপু !
আপনার লেখা পড়েই জেনেছিলাম এই কষ্টের সংবাদ।
শিখার জন্য ভালোবাসা ! আল্লাহ খালামনি কে জান্নাত নসীব করুন।

১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

করুণাধারা বলেছেন: প্রতিটা মৃত্যুই আমাকে আঘাত করে মনিরা। বিশেষ করে এমন কেউ যাকে একটা ফোন করব ভেবেও দীর্ঘদিন ধরে করা হয়ে ওঠেনি। ডোরা আপা সবসময় আমাকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত মেসেজ পাঠাতেন, জানতেও চাই নি তিনি কেমন আছেন। যখন ক্যানসার শুনলাম তখন করোনা আক্রান্ত, তারপর সবকিছুর উর্ধ্বে চলে গেলেন...

আল্লাহ খালামনি কে জান্নাত নসীব করুন। আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.