নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানালা দিয়ে আকাশ দেখছেন, হঠাৎ দেখলেন আকাশে ঘুড়ির মতো ভেসে চলেছে একটা লম্বা বাড়ি!! অদ্ভুত শোনালেও, এমন দৃশ্য দেখা অসম্ভব কিছু না, কারণ আকাশে ভাসমান এমন বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে! বাড়ির নকশা, নির্মাণ সামগ্রী, কোথায় নির্মাণ করা হবে এ সবকিছুই ঠিক করা আছে, এখন শুধু দরকার একটা গ্রহাণু আর গ্রহাণুর সাথে বেঁধে বাড়িটা ঝোলানোর জন্য একটা শক্ত দড়ি, তাহলেই এমন বাড়ি হয়ে যাবে!!
আকাশে ভাসমান বাড়ি বানাবার এই অভিনব ধারণা নিয়ে এসেছে নিউইয়র্কের ক্লাউড আর্কিটেকচার অফিস। ভাসমান এই সুউচ্চ বাড়ির নাম তারা দিয়েছে এনালেমা টাওয়ার (Analemma tower)। মূলত এনালেমা টাওয়ার এমন এক অট্টালিকা যা একটা গ্রহাণুর সাথে বাঁধা থাকবে, তারপর গ্রহাণুর সাথে সাথে সেই অট্টালিকা পৃথিবীর সাথে একই কক্ষপথে ঘুরবে। এভাবে একটা গ্রহাণুকে পৃথিবীর কক্ষপথে নিয়ে আসার সম্ভাবনাকে ক্লাউড আর্কিটেকচার মোটেই অলীক কল্পনা বলে ভাবছেনা, কারণ নাসা তাদের আশা দিয়েছে এভাবে গ্রহাণুকে পৃথিবীর কক্ষপথে নিয়ে আসা সম্ভব বলে!! নাসা হিসাব করে দেখিয়েছে, ১.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে একটা ছোটখাটো গ্রহাণুকে চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করা সম্ভব। সুতরাং একইভাবে, বড় একটা গ্রহাণুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা যেতেই পারে, শুধু সেক্ষেত্রে খরচ অনেক বেড়ে যাবে...
গ্রহাণুর ব্যবস্থা হয়ে গেলে অট্টালিকা বানানো কোন সমস্যা না। এনালেমা টাওয়ারের ডিজাইনার ওস্টাপ রুদাকেভিচ (Ostap Rudakevych) বলেছেন টাওয়ার বানানো হবে কার্বন ফাইবার আর এ্যালুমিনিমের মতো হালকা অথচ মজবুত বস্তু দিয়ে। ক্লাউড আর্কিটেকচারের পরিকল্পনা দুবাইতে অট্টালিকা নির্মাণ করা, কারণ এমন সুউচ্চ অট্টালিকা নির্মাণে দুবাইয়ের অভিজ্ঞতা আছে আর সেখানে নির্মাণ খরচ নিউইয়র্কের তুলনায় এক পঞ্চমাংশ পড়বে। নির্মাণের পর বাড়িটা গ্রহাণুর সাথে ঝুলিয়ে দিলেই হলো!! সমস্যা এখন একটাই, গ্রহাণু থেকে এই অট্টালিকা ঝোলাবার মতো মজবুত দড়ি যোগাড় করা! এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে শক্তিশালী কার্বন ন্যানো টিউবের শক্তিও এনালেমা ঝোলাবার জন্য যথেষ্ট না। তাই আরো কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে দড়ি আবিষ্কারের জন্য।
দেখা যাক বাড়িটা কেমন হবে... টাওয়ারের নিচের অংশে থাকবে অফিস, উপরের অংশ আবাসিক আর অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হবে।
পৃথিবীর সাপেক্ষে একই গতিতে গ্রহাণু ঘুরতে থাকবে, ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে দেখলে মনে হবে
এনালেমা টাওয়ার আকাশে স্থির হয়ে আছে। উত্তর আর দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে এর চলাচলের পথ হবে ইংরেজি আট বা বাংলা চারের মতো একটা লুপে, লুপের শেষ দুই প্রান্তে গতিবেগ সবচাইতে কম হবে। গতিপথ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে নিউইয়র্কের উপর থাকাকালীন গতিবেগ সবচাইতে কম হবে, এখানে অবস্থান করবেও বেশি সময়।
৩২ হাজার মিটার উচ্চতায় থেকে প্রতিদিন এনালেমা টাওয়ার ঘন্টায় গড়ে ৩০০ মাইল বেগে (২৪ ঘন্টায় অতিক্রান্ত দূরত্বকে ২৪ দিয়ে ভাগ করে এই গতিবেগ পাওয়া গেছে) চলতে থাকবে। এত উচ্চতায় তাপমাত্রা থাকবে -৩২° ফারেনহাইট, বাতাসে অক্সিজেন কম থাকবে। টাওয়ারের যত উপরে যাওয়া যাবে ততই বায়ুর চাপ কমবে, এই কম চাপের সাথে খাপ খাওয়াতে উপরের তলাগুলোতে জানালা ক্রমশ ছোট হতে থাকবে। নিচের তলার তুলনায় উপরের তলায় দিনের আলো চল্লিশ মিনিট বেশি থাকবে। বিদ্যুৎ শক্তি তৈরি হবে সোলার প্যানেল থেকে। পানি জোগাড় হবে মেঘ আর বৃষ্টি থেকে, যা ক্রমাগত রিসাইকেল করা হবে। তড়িৎ- চুম্বকীয় শক্তি লিফট চালাতে ব্যবহৃত হবে, কেবলে ঝোলানো লিফট না।
যদি কখনো পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করতে ইচ্ছে হয় তখন এনালেমা বাসীরা কী করবেন? রুদিকেভিচ বলছেন যাত্রীবাহী ড্রোনে চড়ে তারা পৃথিবীতে নেমে আসতে পারবেন।
এমন বাড়ি বানানোর কথা মাথায় এলো কী করে? এই প্রশ্নের উত্তরে রুদিকেভিচ বলেন, "গুহাবাসী মানুষ যখন থেকে গুহা ছেড়ে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করা শিখলো, তখন থেকে তাদের ঘরবাড়ি ক্রমান্বয়ে উঁচু আর হালকা হয়ে আসছে। আমাদের মনে হয়, এমন এক সময় আসবে যখন ভূমিকম্প, বন্যা আর সুনামী থেকে বাঁচবার জন্য মানুষ ভুপৃষ্ঠ ছেড়ে উপরের দিকে বাড়ি বানাতে চাইবে। ভবিষ্যতের সেই দিনের কথা ভেবেই এনালেমা টাওয়ারের পরিকল্পনা।"
মঙ্গলে ঊষা বুধে পা, যথা ইচ্ছা তথা যা...
পৃথিবীর সীমা ছাড়িয়ে মঙ্গল আর বুধ গ্রহে যাবার স্বপ্ন... প্রথমে মঙ্গল নিয়ে বলি। পৃথিবী তৃতীয় আর তার পরের চতুর্থ গ্রহ মঙ্গল। লাল এই গ্রহটিতে ২০৫০ সালের মধ্যে মানুষের বসতি গড়ার স্বপ্ন দেখেন স্পেসএক্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। ইলন মাস্কের আশা ২০২৪ সালের মধ্যে তার কোম্পানির মহাকাশ যান স্টারশিপ সফলভাবে আসা- যাওয়া করতে পারবে পৃথিবী ও মঙ্গলের মধ্যে। স্টারশিপ বিশাল মহাকাশ যান, ১৬৫ ফিট উঁচু, এটা উড্ডয়ণ করবে শক্তিশালী বিশাল রকেট সুপার হেভির সাহায্যে।
মাস্ক বলেছেন, পৃথিবী ছেড়ে যেন গ্রহান্তরে মানুষ বসতি স্থাপন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে তিনি ২০০২ সালে স্পেসএক্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করেন তার স্বপ্ন মঙ্গলে মানুষের বসতি গড়া, মঙ্গল গ্রহেই তিনি মরতে চান!
স্পেসএক্সের বিজ্ঞানীরা অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছেন বারবার ব্যবহারযোগ্য রকেট, অর্থাৎ স্টারশিপের উৎক্ষেপণের পর আবার নিরাপদে ফিরতে পারে এমন রকেট তৈরি করার জন্য। ইলন মাস্ক আশাবাদী যে তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে, এমন রকেট তৈরি হবেই!! রকেট তৈরি সফল হলে স্পেসএক্স সপ্তাহে একটা করে স্টারশিপ বানাবে। তারপর ১০০০টা স্টারশিপ প্রতিটিতে ১০০ জন করে মানুষ নিয়ে মোট ১০০,০০০ জন মানুষকে মঙ্গলে নিয়ে যাবে। ২৬ মাস পরপর পৃথিবী আর মঙ্গলের কক্ষপথ সবচাইতে কাছাকাছি হয়, সেইসময় মঙ্গল যাত্রা করলে যাত্রা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মাস্কের অভিপ্রায় মঙ্গলে দশ লক্ষ মানুষের উপনিবেশ গড়া, কারণ এই জনসংখ্যা এই অবধি পৌঁছালে মানুষ মঙ্গলের সম্পদ ব্যবহার করেই নিজেদের সব প্রয়োজন মেটাতে পারবে, অর্থাৎ পৃথিবী নির্ভর থাকবে না।
মঙ্গল অভিযানের সবচাইতে বড় বাঁধা রকেট উৎক্ষেপণের বিপুল ব্যয়। নাসা পারেনি, কিন্তু স্পেসএক্স পুনঃ ব্যবহারযোগ্য রকেট নির্মাণ করে খরচ কমিয়ে এনেছে। ফলে স্পেস এক্স এখন মঙ্গল অভিযানে নাসার থেকে এগিয়ে আছে, তাদের লক্ষ্য ২০২৪ এ মঙ্গলে পৌঁছা। নাসা আশা করছে ২০৩৩ সাল নাগাদ তারা মঙ্গলে পৌঁছাতে পারবে। এদিকে আমাজনের কর্তা জেফ বেজোস ব্লু ওরিজিন নামের কোম্পানি খুলেছেন মঙ্গলে যাবার সুলুকসন্ধান করতে...
মঙ্গলে বসবাস- ইউটোপিয়া না ডিসটোপিয়া, সেটা সময় বলে দেবে। স্পেসএক্সের শাখা স্টারলিঙ্ক ইতিমধ্যেই মহাকাশে থাকা স্যাটেলাইট দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া শুরু করেছে, মঙ্গলেও ইন্টারনেট সংযোগ দেবার পরিকল্পনা তাদের!!! স্পেসএক্সের ভাষ্য, মঙ্গল একটা মুক্ত গ্রহ আর পৃথিবীর কোন সরকার বা কর্তৃপক্ষের এই গ্রহের পরিচালনায় কোন কর্তৃত্ব থাকবে না। কে থাকবে মঙ্গলের দেখভাল করার জন্য তা এখনও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।
অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, মঙ্গলে জীবন কষ্টকর ও বিপদসংকুল, যাওয়ার টিকেট ওয়ান ওয়ে হতে পারে জেনেও অনেক মানুষ আছে যারা মঙ্গলে যেতে আগ্রহী!! ডেনমার্কের এক সংস্থার করা সমীক্ষায় এটা দেখা গেছে।
কিন্তু ইলন মাস্ক কেন মঙ্গল নিয়ে এত উৎসাহী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৃথিবী মানুষ বাসের অযোগ্য হয়ে যাবার আগেই মানুষকে অন্য কোথাও আবাস খুঁজে নিতে হবে। সৌরজগতের মধ্যে শুক্র, বুধ, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন, আর চাঁদের তুলনায় মঙ্গলে আবাস গড়া সবচাইতে সুবিধাজনক কারণ এর তাপমাত্রা, দিনের দৈর্ঘ্য এসব পৃথিবীর সাথে মিলে, তাছাড়া পৃথিবী থেকে দূরত্বও কম। এসব বিবেচনা করার পর তিনি মঙ্গলগ্রহ নিয়ে উৎসাহী হয়েছেন।
মঙ্গলে শুধু পৌঁছালেই তো হবে না, এখানকার আবহ অনেকটা পৃথিবীর মত হতে হবে, নাহলে মানুষ বাস করতে পারবে না। মঙ্গলের আবহ পৃথিবীর মত করাকে বলে terraforming, ইলন মাস্ক কীভাবে terraforming করতে চান সেটা বলার আগে মঙ্গলের বর্ণনা দেই। মঙ্গল আয়তনে পৃথিবীর ৭০ শতাংশ, জমাট বরফ আছে দুই মেরুতে, পৃথিবীর তুলনায় এর বাতাবরণ প্রায় ১০০ শতাংশ হালকা তাই সূর্যের তেজস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষা পাবার উপায় নেই, মঙ্গলের গড় তাপমাত্রা -৬২° সেলসিয়াস। মানুষের বাসোপযোগী করতে এর বাতাবরণকে পুরু করতে হবে, সম্ভব হলে নিঃশ্বাস নেয়ার মত বাতাস তৈরি করতে হবে। এটা করার জন্য বিজ্ঞানীরা অনেক ভেবেও কোন লাগসই প্রযুক্তি বের করতে পারছেন না। তাঁরা দেখেছেন, দুই মেরুর জমাট বরফ গলাতে পারলে পানি আর কার্বন ডাইঅক্সাইড বিমুক্ত হবে, ফলে গ্রীন হাউস এফেক্ট বায়ুর চাপ ও তাপ বাড়াবে। বরফ গলানোর উপায় হিসাবে তারা মঙ্গলের চারপাশে বিশাল প্রতিফলক স্থাপন করে সূর্য তাপকে বরফের উপর প্রতিফলিত করার কথা ভেবেছেন, কিন্তু বর্তমানের প্রযুক্তি দিয়ে সেই বিশাল প্রতিফলক তৈরি ও স্থাপনের কোনই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া গবেষণা করে দেখা গেছে, এই বরফ গলানো, কার্বন ডাইঅক্সাইড বিমুক্ত করার পরও মঙ্গলের বায়ুচাপ বেড়ে পৃথিবীর তুলনায় মাত্র ৭% হবে। তবে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে আগামী একশ বছরের মধ্যে প্রযুক্তি এতটা উন্নত হবে বরফ তো গলানো যাবেই সেই সাথে এমন উদ্ভিদের আবিষ্কার হবে তা অনেক বেশি অক্সিজেন নিঃসরণ করতে সক্ষম হবে। ফলে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
ইলন মাস্ক ভাবছেন, পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনি বরফ গলাবেন, তারপর পর্যায়ক্রমে মঙ্গলে terraforming করবেন। এই পরিকল্পনাকে তিনি নাম দিয়েছেন Nuke Mars. এটা নিছক খেয়াল বা পাগলামি না, মাস্ক তার এ পরিকল্পনা নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছেন, Nuke Mars লেখা টি সার্টও তৈরি করে ফেলেছেন!! তার পরিকল্পনা, মঙ্গলের জমাটবাঁধা মেরু অঞ্চলে অনেকগুলো পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো। ফলে বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাইঅক্সাইড অবমুক্ত হয়ে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে মিশে যাবে। এর ফলে গ্রীন হাউস এফেক্ট সৃষ্টি হবে, যা তাপমাত্রা বাড়াবে। ফলে মঙ্গলের শিলা উত্তপ্ত হয়ে আরো কার্বন ডাইঅক্সাইড অবমুক্ত করবে, তাতে তাপমাত্রা আরো বাড়বে আর তাতে ক্রমাগত কার্বন ডাইঅক্সাইড অবমুক্ত হতে থাকবে! এভাবে মঙ্গলের তাপমাত্রা পৃথিবীর তাপমাত্রার কাছাকাছি হবে, বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বাড়বে আর তরল পানি পাওয়া যাবে। তারপর কিছু গাছ লাগিয়ে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা গেলেই নতুন পৃথিবী সৃজন হয়ে যাবে!!
কিন্তু ইলন মাস্কের এই Nuke Mars পরিকল্পনায় গলদ বের করেছেন অনেকে। প্রথমত, এটা বাস্তবায়ন করতে ১০,০০০ এর বেশি পারমাণবিক বোমা মঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে বিস্ফোরণ ঘটাতে হবে (মাটিতে যেন তেজস্ক্রিয়তা না ছড়াতে পারে)। এর ফলে বরফ গলানো গেলেও পারমাণবিক শৈত্য সৃষ্টি হয়ে মঙ্গলের তাপমাত্রা বাড়ার বদলে কমবে, তেজস্ক্রিয়তা ভয়ানক ভাবে বেড়ে যাবে, আরো অনেক সমস্যা তৈরি হবে। সবচাইতে বড় কথা, ১০,০০০ পারমাণবিক বোমা জোগাড় করা !! এই জিনিস তো ইলন মাস্ক বানাতে পারবেন না... তাই মঙ্গলকে দ্বিতীয় পৃথিবী বানানো সহজে হবে না বলেই মনে হচ্ছে... অবশ্য ইলন মাস্ক এখনও হাল ছাড়েননি!
এখনি বসতি গড়া না যাক, গবেষণার কাজ চালাবার জন্য মানুষকে যে মঙ্গলে কয়েক মাস থাকতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের থাকার জন্য ঘর লাগবে। মঙ্গলে থাকার জন্য নাসা বাড়ির নকশা দেবার আহ্বান জানিয়েছিল, তাতে অনেকেই মঙ্গলে বাসের উপযোগী বাড়ির নকশা করেছেন। এরমধ্যে থেকে space exploration architecture আর clouds architecture office এর যৌথভাবে উদ্ভাবিত বরফের বাড়ি নাসা অনুমোদন করেছে। মঙ্গলের বরফ ব্যবহার করে থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে এই বরফ বাড়ি তৈরি হবে।
মঙ্গলের পরে আসে বুধ; বুধ সূর্যের সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রহ। এই বুধ গ্রহকে ব্যবহার করে সূর্য থেকে শক্তি আহরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মানুষ প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এর ব্যবহার বাড়াচ্ছে, ফলে পৃথিবীতে মজুদ জ্বালানি শেষ হয়ে আসছে। তাই ভবিষ্যতের জন্য জ্বালানির নতুন উৎস খোঁজা প্রয়োজন। এই নতুন উৎস খুঁজতে গিয়ে সূর্য থেকে শক্তি আহরণের একটি ধারণা দেন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রিম্যান ডাইসন (Freeman dyson)। তিনি সূর্যকে ঘিরে এক বিশাল স্থাপনা নির্মাণের কথা বলেন, যার নাম পরে তার নামানুসারে ডাইসন সোয়ার্ম রাখা হয়। সূর্য থেকে এর দূরত্ব হবে পৃথিবীর কাছাকাছি, নয় কোটি ত্রিশ লক্ষ মাইল। ডাইসন সোয়ার্মে অসংখ্য আয়না বা সোলার প্যানেলে প্রতিফলিত হয়ে সূর্যের শক্তি জমা হবে, তা রূপান্তরিত করে মানুষ পাবে প্রয়োজনীয় জ্বালানি। সেই আয়না বা সোলার প্যানেল পৃথিবীতে বানানো হবে না, বরং একদল কৃত্রিম বুদ্ধিসম্পন্ন রোবট বুধে গিয়ে বুধের মাটি খুঁড়ে প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করে আয়না বানিয়ে একের পর এক মহাকাশে স্থাপন করবে, তৈরি করবে শক্তির নতুন উৎস!!
সময় বলে দেবে এসব কিছু সত্যি হবে নাকি হবে না... দুঃখের বিষয়, এসব দেখার জন্য সেই সময়ে আমি পৃথিবীতে নেই!!
এতক্ষণ যা যা লিখলাম, সব যদি পড়ে থাকেন তবে এগুলোকে কি আপনার নিছকই কল্পনা বলে মনে হচ্ছে!! কিন্তু আমার মনে হয় এসব সত্যিই হবে, কারণ মানুষের কল্পনা শক্তি তাকে উদ্ভাবনের দিকে ঠেলে দেয়। রাইট ভাতৃদ্বয় যখন প্রথম আকাশে ওড়ার কথা ভেবেছিলেন তখন লোকে তাদের নিয়ে হাসাহাসি করেছে, অথচ তার পঞ্চাশ বছরের মধ্যে মানুষ শব্দের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গতিতে চলার মত উড়োজাহাজ তৈরি করেছে। ১৮৬৯ সালের ডিসেম্বরে জুল ভার্ন Around the moon নামে একটা সাই ফাই লিখেন, যে কাহিনিতে বারবীকেইন, নীকোল আর আরডান নামের তিনজন মানুষ চাঁদে যায় একটা ক্যাপসুলে করে। চাঁদের দিকে তাক করে কামান আকৃতির এক যন্ত্র থেকে এই ক্যাপসুল নিক্ষেপ করা হয়, তারপর নানা ঘটনার মধ্যে তিনজন চাঁদে পৌঁছান, আবার কামানের গোলায় চড়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন, চন্দ্রজয়ী হিসেবে বিপুল সংবর্ধনা পান।
ঠিক একশ বছর পর এই কল্পনা সত্যি হয়, ১৯৬৯ সালে তিনজন মানুষ চাঁদে পৌঁছান, তাদের নামের সাথে জুল ভার্ণের চন্দ্র বিজয়ীদের নামের মিল বিস্ময়কর!!
তাই আমার মনে হয়, একদিন সত্যিই মানুষ আকাশে ভাসা বাড়িতে থাকবে, মঙ্গলের বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে পৃথিবীকে দেখবে... সেদিন দূরের পৃথিবীকে দেখে তাদের মন কেমন করবে কিনা কে জানে!!
লেখার সূত্র সমূহ:
১) এনালেমা
২) এনালেমা
৩) মঙ্গলের ভিডিও
৪) মঙ্গলে বসতি
৫) মঙ্গল
৬) টেরাফরমিঙ
৭) বরফের বাড়ি
৮) Dyson sphere
৯) Around the moon
১০) Nuke Mars
ছবি অন্তর্জাল থেকে নেয়া।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২০
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো রাজীব নুর।
বিজ্ঞানের কল্যাণে কত কি সম্ভব হচ্ছে ঠিক কথা, কিন্তু প্রকৃতিকে যদি বিজ্ঞান ধ্বংস করে তবে তার ফল ভালো হতে পারে না।
২| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৫১
ওমেরা বলেছেন: মানুষ ঠিকই পারবে, আজকে যা কল্পনা কালকে তা বাস্তব হবে । বিজ্ঞাানের কল্যানে মানুষ, আরো অনেক কিছু করবে যা আমরা এখন কল্পনাও করতে পারছি না।
ধন্যবাদ আপু ।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৬
করুণাধারা বলেছেন: বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ অনেক এগিয়ে যাবে, কোন সন্দেহ নেই। আমি মাঝে মাঝে মোবাইল ফোন দেখি খুব আশ্চর্য হয়ে, হাতের মুঠোয় বিশ্ব! ইচ্ছা হলেই পৃথিবীর অন্য প্রান্তে থাকা কারো সাথে ভিডিও কলে কথা বলি, অথচ তিরিশ পঁয়ত্রিশ বছর আগেও চিঠির খামের উপর লিখে দিতে হতো বাই এয়ার মেইল!
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ ওমেরা।
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৫৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিজ্ঞান মানষকে চলার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে । বিশ্বটাকে হাতের মুঠি করে হাটে। ভালো লাগলো লেখা
১৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৮
করুণাধারা বলেছেন: বিজ্ঞান মানষকে চলার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে
ঠিক কথা। কিন্তু ভয় হয়, বিজ্ঞানের অপব্যবহার করে না আবার মানবসভ্যতা ধ্বংসের মুখে পৌঁছে যায়...
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:০২
কাছের-মানুষ বলেছেন: সত্যি অভিনব আইডিয়া। জুলন্ত বাড়িটি বলছেন পৃথিবি পৃষ্ট থেকে তাকালে স্থির মনে হবে। এটাকি পুরোপুরি স্থির হবে নাকি পৃথিবীর ঘূর্ন্যনের সাথে তারতম্য হবে? তারতম্য হলে মনে হয় সেই ক্ষেত্রে এই বিল্ডিংটি একবার আমারিকা থেকে দেখে যাবে আরেকবার বাংলাদেশের আকাশেও দেখা যাবার সম্ভাবনা আছে!!!!!
অধুর ভবিষ্যতে হয়ত এরকম বাড়ি নির্মান করবে মানুষ, তবে উপরে অক্সিজেনের পরিমান কম হবার কথা, মানুষের থাকার উপযোগি করার জন্য অনেক খরচ করতে হবে!!
ইলক মাস্ক অনেক আশাবাদি এবং সফল মানুষ। তিনি অন্তত জীবদ দশায় মঙ্গলে মানুষের ঘুরার উপযোগী কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয়, মানুষ টাকা ব্যয় করে ঘুরতে যাবে খুব শ্রীঘ্রই! তবে মঙ্গলে স্থায়িভাবে থাকার প্রযুক্তি করতে সময় লাগবে অনেক! তবে পারবে, প্রযুক্তি মানুষকে সেই পাথুরে যুগ থেকে এখানে এনেছে, এটাতো কল্পনার চেয়েও কম না!
পরিশ্রমি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৯
করুণাধারা বলেছেন: একটা বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেছিলাম, পোস্ট করতে যেতেই মুছে গেল...
এই লিংকে এনালেমা টাওয়ারের গতিপথ আর কিছু ভিডিও দেয়া আছে, সময় পেলে ভিডিওটা দেখতে পারেন।
টাওয়ার নির্দিষ্ট longitude এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে থেকে পৃথিবীর সাথে সাথে চলবে, তাই এটাকে সেই অঞ্চলে স্থির বলে মনে হবে। আবার বলছে এটা প্রতি দিন ইংরেজি আটের মত গতিপথ ধরে উত্তর গোলার্ধে থেকে দক্ষিণ গোলার্ধে যাবে। যেহেতু আমেরিকায় দেখা যাবে, তাই বাংলাদেশ থেকে দেখার কোন সম্ভাবনা নেই!
ইলন মাস্ক এখনও মানব মস্তিষ্ক নিয়ে পড়েছেন। আর কত কিছু করবেন কে জানে!!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কাছের-মানুষ।
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:০৫
সোহানী বলেছেন: ও আপুরে কি যে শুনাইলেন!! মরার আগে এরকম কোথাও এক রাত কাটাতে চাই । কিন্তু ততদিন বেচেঁ থাকার সম্ভাবনা আছে কি!!!
আর এলন মাস্কের কথা বইলেন না। ওরে সবার মতো আমিও এলিয়েন ভাবি। কি করে নাই সে এক জীবনে। তার মাথায় যা ঢুকে তা সহবে বের করে না। তাই ধরে নেয়া যায় কিছু একটা সে বের করবেই, করবে!!!
চমৎকার একটি ভবিষ্যত পরিকল্পনা লিখায় ভালোলাগা। আপাতত একটু দৈাড়ের উপর আছি, তাই শর্টকার্টে মন্তব্য করলাম। মেয়েকে নিয়ে বসতে আবার পড়বো।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৯
করুণাধারা বলেছেন: আসলেই! ইলন মাস্কের মাথায় এত আইডিয়া কোথা থেকে আসে জানি না! আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ যে গতিতে আগাচ্ছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি অনেক যুগান্তকারী আবিষ্কার হবে। সবচেয়ে অবাক লাগে, কৃত্রিম অঙ্গ বানানোর ফলে মানুষের আয়ু বাড়বে, মানুষ নাকি অসুখে সহজে মরবে না!! এত মানুষ থাকবে কোথায়! থাকবার জন্য জায়গা খুঁজতেই হবে। ইলন মাস্ক বলছে, মঙ্গল গ্রহ কোন দেশের বা সরকারের না, যে কেউ ওখানে থাকতে পারে। তাহলে কি মঙ্গলের দখল নিয়ে মারামারি হবে!!
দেখা যাক এই জীবনে কিছু দেখা হয় কিনা!
ভাগ্নির জন্য অনেক শুভেচ্ছা...
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২১
শেরজা তপন বলেছেন: একটু এদিক হলেও একদিন সব সত্যি হতেই পারে।
তবে মানুষ পৃথিবিকে প্রায় ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গিয়ে সৌরজগতের অন্য গ্রহ উপগ্রহ ধ্বংসের খেয়ালে মেতেছে।
এবার সৌরজগতের সিস্টেম এলোমেলো করার পালা। প্রকৃতি মানুষ সৃষ্টি করে ভীষন বেকায়দায় আছে!!!!
১৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
করুণাধারা বলেছেন: শেরজা তপন, বহুদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। যদ্দুর মনে পড়ছে, আপনার একটা বই লেখার কথা ছিল এই বই মেলায়, রাশিয়ান গল্প নিয়ে। যদি বইটা হয়ে থাকে, তবে সোহানীর লিস্টে দয়া করে যোগ করে দিন।
মঙ্গল নিয়ে মানুষের অনেক পরিকল্পনা আছে ঠিকই, কিন্তু মঙ্গলকে দ্বিতীয় পৃথিবী বানাতে গিয়ে একটু ভুল হলেই ধ্বংসের শুরু হয়ে যাবে। আর বুধ নিয়ে যে পরিকল্পনা, তাতে বুধ তো ধ্বংস হবেই। আসলে মানবজাতিই একসময় ধ্বংস হবে, হয়ত সে পথে যাত্রা শুরু হয়ে গেছে...
আশাকরি ব্লগে নিয়মিত হবেন, শুভকামনা।
৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো রাজীব নুর।
বিজ্ঞানের কল্যাণে কত কি সম্ভব হচ্ছে ঠিক কথা, কিন্তু প্রকৃতিকে যদি বিজ্ঞান ধ্বংস করে তবে তার ফল ভালো হতে পারে না।
প্রকৃতি হচ্ছে বিজ্ঞানের বন্ধু। কিছু দুষ্টলোকজন আছে তারা প্রকৃতির বারোটা বাজাচ্ছে। তারা বুঝে না প্রকৃতি ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩২
করুণাধারা বলেছেন: প্রকৃতি ধ্বংস করলে তার শাস্তি পেতে হয়। তবু আমরা নানা স্থাপনার নামে প্রকৃতির ক্ষতি করি। সুন্দরবন ধ্বংস হলে কত কিছু যে হবে!!
দ্বিতীয় বার আসার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি এই রকমের ঝুলন্ত বাড়িতে জীবনেও থাকবো না, মাগনা দিলেও না। কোন ভাবে যদি দড়ি ছিড়ে যায়..............!!
ইলন মাস্ক মাত্র পরিকল্পনা করছে, ২৬ মাস পর পর মঙ্গল যাত্রার! এদিকে আমরা, বাংলাদেশীরা কিন্তু তার থেকে অনেক অনেক এ্যডভান্স। আমরা প্রতিবছর মঙ্গল (শোভা) যাত্রা করি!!
Nuke Mars লেখা টি-শার্ট বের করাটা মঙ্গল বসবাসের ব্যাপারে একটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটা যেহেতু বের করা গিয়েছে......বাকী কাজগুলোতে আর তেমন কোন সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ! আমার তো মনে হয়, সামনে আর কোন বড় ধরনের বাধাই নাই!!
এই চমৎকার লেখাটা লিখতে গিয়ে বেশ খাটা-খাটনি করেছেন বোঝা যাচ্ছে। আপনার খাটুনি সার্থক। এসব বিশাল আয়োজনের কতোটুকু দেখে যেতে পারবো, আল্লাহই ভালো জানেন। তবে আমার দেখেই শান্তি। সুযোগ পেলেও মঙ্গলে থাকার কোন ইচ্ছা নাই, এই সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা পৃথিবী ছেড়ে!!
একটা প্রশ্নঃ মঙ্গলের দুই মেরুতে জমাট বরফ আছে, এটা কি শতভাগ নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে?
অটঃ আমার পোষ্টে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সঠিক উত্তর জানাতে আজ্ঞা হয়।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: আমি এই রকমের ঝুলন্ত বাড়িতে জীবনেও থাকবো না, মাগনা দিলেও না। কোন ভাবে যদি দড়ি ছিড়ে যায়..............!!
বাড়ি যদি আপনার মাথার উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় দাঁড়ায় আর বাড়ি থেকে আপনাকে সমানে "আইয়া পড়েন ভাই, আইয়া পড়েন, ভাড়া লাগবো না" বলে ডাকাডাকি করতে থাকে, না গিয়ে থাকতে পারবেন বলে মনে হয় না...
এটাতো আমার মাথায় আসে নাই যে আমরা প্রতিবছর মঙ্গল (শোভা) যাত্রা করি!! ইলন মাস্ককে একবার দাওয়াত দিয়ে দেখানো দরকার, আমরা শুধু প্যারিস আর সানফ্রান্সিসকো বানিয়েই থামি নাই, মঙ্গল (শোভা) যাত্রা আমরা নিয়মিত করি!!
এই লোকটার ট্যালেন্ট ঈর্ষণীয়, একটা হুজুগ তুলে দিয়ে কেমন গেঞ্জির ব্যবসা করে নিল!!
মঙ্গলের দুই মেরুতে জমাট বরফ আছে, এটা কি শতভাগ নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে? হ্যাঁ, চেক করলাম। লিঙ্ক দিতে গেলে এই লেখা হারিয়ে যাবে। Water on Mars দিয়ে খুঁজলে উইকিপিডিয়ায় পাবেন, অল্প স্বল্প না, একেবারে পঞ্চাশ লাখ কিউবিক কিলোমিটার!!
যাচ্ছি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে, এদিকটা শেষ করে নেই...
১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:০০
করুণাধারা বলেছেন: পানির কথা জিজ্ঞেস করার কারণ কী? মিনারেল ওয়াটারের মতো মঙ্গল ওয়াটারের ব্যবসা করবেন বলে ভাবছেন নাকি? ভালো চলবে বাংলাদেশে, ইউরোপীয় পানি খাওয়া বাদ দিয়ে মঙ্গল ওয়াটার খাওয়া ধরবেন উনারা।
৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইহা করা কি সম্ভব?
১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: হয়ত নিকট ভবিষ্যতে সম্ভব না, কিন্তু একেবারে অসম্ভব বলে মনে হয়না। আমার প্রথমে আজগুবি মনে হয়েছিল, কিন্তু অনেক পড়ার পর ধারণা হয়েছে এটা অসম্ভব না। আমি কিছু লিঙ্ক দিয়েছি, সম্ভব হলে এক আর তিন নম্বর লিঙ্কের ভিডিও দেখতে পারেন, প্রথমটা এনালেমার, দ্বিতীয়টা মঙ্গলের
১০| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫
ইসিয়াক বলেছেন: আজকের কল্পনা আগামীতে বাস্তব। সবই সম্ভব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে। তবে ততদিনে আমি মাটির নিচে। আর ঝুলন্ত বাড়িতে থাকার কোনরকম ইচ্ছা আমার নাই। তিনতলা থেকে নিচে তাকালে আমার মাথা ঝিমঝিম করে,
মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে । আমার কাছে মাটির পৃথিবীই সেরা।
অনেক পরিশ্রমী পোস্ট। সাধুবাদ জানাই আপনাকে।
শুভ কামনা রইলো।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৬
করুণাধারা বলেছেন: আমার কাছেও মাটির পৃথিবীই সেরা, আমিও কখনো এমন ভাসমান বাড়িতে থাকতে যাব না।
কিন্তু আমার মনে হয়, এগুলো পুরোপুরি না হলেও অনেকটাই সম্ভব হতে পারে। মানুষের মধ্যে আবিষ্কারের নেশা আছে, তাই পালতোলা জাহাজে চড়ে নতুন দেশে পৌঁছাত। এখন মানুষ গ্রহান্তরে পাড়ি দেবে, এটা আমার খুব স্বাভাবিক বলে মনে হয়।
১১| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর, কাব্যিক শিরোনাম, শিরোনামটা একটা গানের কলিও বটে।
এখন যা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে, শতাব্দী কিংবা অর্ধ শতাব্দী পরে সেটা সম্ভব হতে পারে। আর আপনি যেভাবে কঠিন ব্যাপারগুলো সহজ করে বুঝিয়ে বললেন, তাতে কোন কিছুই আর অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে না।
তবে আমার কেন জানি মনে হয়, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হোক, এ পৃথিবীর বৃহদাংশ পারমানবিক বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাবার পর ভাগ্যবান মানুষেরা মঙ্গল গ্রহে মঙ্গল যাত্রা শুরু করবে, কোন মুখোশ টুখোশ না পড়েই।
অতি চমৎকার, সুখপাঠ্য পোস্ট। খেয়াল করে লিঙ্কগুলো দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। সময় করে কখনো পড়ে/দেখে নেয়া যাবে।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩০
করুণাধারা বলেছেন: এখন যা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে, শতাব্দী কিংবা অর্ধ শতাব্দী পরে সেটা সম্ভব হতে পারে। আমারও সেটাই মনে হয়। গত পঞ্চাশ বছরে বিজ্ঞানের এত দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে যে কোন কিছুই অসম্ভব মনে হয়না। একসময় ইউরোপ থেকে পালতোলা জাহাজে করে মানুষ সাগর পাড়ি দিয়েছে নতুন দেশের সন্ধানে। যাত্রার সময়, বিপদের মাত্রা তখন যা ছিল তা আজকের গ্রহান্তরে পাড়ি দেবার তুলনায় কিছু কম ছিল না, কিন্তু মানুষ থেমে যায় নি। তাই মনে হয়, কিছু দুঃসাহসী মানুষ অজানাকে জানার জন্য মঙ্গলে পাড়ি দেবে... আর পৃথিবী ধ্বংসের ব্যাপারে আমিও আপনার মতোই ধারণা পোষণ করি।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি আমার ভাবনা ব্লগে শেয়ার করতে চাই, এটা অনেকের কাছে আজগুবি মনে হতে পারে ভেবে এটা লিখেও আগে পোস্ট করি নাই। যে লিঙ্ক গুলো দিয়েছি, অন্যগুলো পড়ার সময় না পেলেও অন্তত এক আর তিন নম্বর দেখার চেষ্টা করবেন আশাকরি, এই দুটোতে ভিডিও আছে।
১২| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এটাও সম্ভব? ঠিকই তো অসম্ভব বলে উপহাস করা যায়না। একদিন সত্যিই এর বাস্তবায়ন করা সম্ভব। পরিশ্রমী পোস্টে ভালোলাগা। শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: মানুষ তো অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করছে, তাই মনে হয় এগুলো সবই সম্ভব হবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানেও অনেক অগ্রগতি হচ্ছে, কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি হচ্ছে যার ফলে মানুষের আয়ু বাড়বে, নিজেদের মধ্যে হানাহানি বাড়বে। সভ্যতার চরম উৎকর্ষের পর পতন শুরু হবে, মানুষ নিজের ধ্বংস ঠেকে আনবে... অবশ্য এটা আমার ধারণা মাত্র!!
১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
দড়ি বানানোর কায়দা কানুন জানেনা, হেরা আবার বিজ্ঞানী !!!!!!??????
আমাগো কাছে শেকতে আইতে কৈয়েন। আমরা লোহার রডের বদলে বাশেঁর রড দিয়া দালান বানানোর তড়িকা অনেক আগে থিক্কাই রপ্ত করছি। দড়ি বানাইতে কার্বন ন্যানো টিউবের বদলে আমরাই তো "ক্যাডার" টিউব প্রযুক্তি দিতে পারি যে প্রযুক্তিতে কারো বাপের সাধ্য নাই যে হেই দলীয় ক্যাডারের চেইন (দড়ি) ছেড়তে পারে!!!
যাউগ্গা, রকেট আকাশে পাডাইন্না খরচের ট্যাহার চিন্তা করা লাগবেনা হেলাইন্না মাশুকের ( ইলন মাস্ক ) খালি পি,কে হালদারের সাথে যোগাযোগ রাখলেই হৈবে।
ইলনের ইল্যুশন নিয়া যে আজগুবী কতা ল্যাকছেন, হেইয়া পইরড়্যা মনে হৈলো - হেইয়া যদি সত্য হয় তয় আবাল মানুষগো কাছে কতা বেইচ্চা আমরা খামু কেম্মে ?
খুব চটকদার লেখনী। হ্যা..... একদিন আমাদের সব স্বপ্ন বা কল্পনা সত্যি হবে, বিজ্ঞান যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার কল্যানে শুধু আফসোস আপনার মতো আমিও তা দেখে যেতে পারবোনা এমনকি দূরের কোথাও নয়, কাছের স্বপ্নের " সোনার বাংলাদেশ" টাকেও।
পোষ্টে ++++++++
১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ হয়ে আমার ইলন মাস্কের উদ্ভাবনী ক্ষমতায় মুগ্ধ হওয়া একেবারেই ঠিক হয় নাই। লোহার রডের বদলে বাঁশের রড, এমন উদ্ভাবনের গর্বিত অংশীদার তো আমরাই। তবে ইলন মাস্ক কত পরিশ্রম করে টাকা রোজগার করে... আমাদের দেশী ভাইরা এ ব্যাপারেও উনার চেয়ে অনেক এগিয়ে আছেন...
এটা লিখে অনেক দিন পোস্ট করতে পারছিলাম না, বেশি আজগুবি কথা মনে হয় কিনা ভেবে। সাহস করে পোস্ট করলাম, আপনার মন্তব্য পেয়ে মনে হচ্ছে এতে আজবের কিছু নাই, আগে পোস্ট করলেও পারতাম! হেলাইন্না মাশুক বুঝি আমেরিকায় গিয়ে ইলন মাস্ক নাম নিয়েছে!! আগেই আমার বোঝা উচিত ছিল... আমাদের দেশের মানুষ না হলে কার মাথায় এত বুদ্ধি!!
চমৎকার মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করায় অজস্র ধন্যবাদ।
১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমার দ্বিতীয় মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০২
করুণাধারা বলেছেন: ফিরে আসায় আপনাকেও ধন্যবাদ, আপনিও ভালো থাকুন।
১৫| ২০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১:৫১
কাতিআশা বলেছেন: খুবই ইনটারেস্টিং আপু!.। আমারতো এমনিতেই পোস্ট মডার্নিজমের বিষয়টা ভাললাগে..তার মধ্যে এই futuristic housing idea টা খুবি চমৎকার লাগল!..পোস্টে ভাল লাগা রইল!
২০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৯
করুণাধারা বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগছে কাতিআশা। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমি অনেক আর্কিটেক্ট দেখেছি নিজের কাজকে তেমন ভালো বাসেন না। আপনি যে তাদের দলে না সেটা বুঝেছিলাম আপনার মা-বাবার জন্য তৈরি বাড়িতে সিঁড়ির সাথে ramp দিয়েছিলেন দেখে।
আমারও ভালো লেগেছে এই ঘরবাড়ি, তাই আজগুবি শোনালেও ব্লগে শেয়ার করলাম।
১৬| ২০ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: পরিশ্রমী পোস্ট ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা জানবেন।
২০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১১
করুণাধারা বলেছেন: এটা নতুন কিছু ধারণা নিয়ে লেখা, তাই বুঝতে গিয়ে আমাকে পড়তে হয়েছে বেশ।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জুল ভার্ন। আপনার জন্যও শুভকামনা।
১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হয়তো একদিন মানুষ ভাসবে এমন সব বাড়তে। হয়তো সেদিন লিখবে কবিতা কেউ অসীম শূণ্যে বসে। আজকের এই কল্পনা সেদিনের বাস্তবতা।
২৫ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৮
করুণাধারা বলেছেন: আজকের কল্পনা আগামীর বাস্তবতা, যদিও এর মাঝখানে মানুষ আরো অমানবিক হতে থাকবে...
তবে কোন কিছু থেমে থাকবে না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার।
১৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৬
শায়মা বলেছেন: ঝগড়াঝাটি করতে এসেছিলাম আপুনি!!!!!!!!!!!
কিন্তু এসেই তো উড়ন্ত বাড়ির গল্প দেখে মনে পড়ে গেলো উইজার্ড অব ওজের সেই ঝড়ে উড়ে যাওয়া বাড়িটার কথা আর ঐ যে সেই সিনেমাটা আপ একটা বুড়া আর বুড়ি উড়ে চলে সেটাও তো দেখছি এনালেমার মতই।
যাইহোক এমন যেদিন হবে সেদিন তো আর আমাদের দেখা হবে না। মরে ঝরে শেষ হয়ে যাবো। তবে প্রেতাত্মা হলে পৃথিবীতে এসে দেখে যাবো।
তোমার জন্য গানা
আকাশ ভরা সূর্য্য তারা বিশ্ব ভরা প্রাণ.......
তাহারই মাঝখানে আমি পেয়েছি
পেয়েছি মোর স্থান........
বিস্ময়ে তাই জাগে ......... জাগে আমার প্রান ...........
০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: ঝগড়া করতে হলে আগে একটু বলে কয়ে এসো, আমি ব্লগবাড়ি ছেড়ে পালাবো। তোমার সাথে ক্যাচাল করে কেউ টিকতে
পেরেছে!!
কতদিন মনে মনে ডরোথি হয়েছি কল্পনায়... আমার ছোটবেলার গল্প, তবু পুরোনো হয় না।
ধন্যবাদ গানের জন্য। আমি এটা লিখলাম, কিন্তু আমাদের পৃথিবীর চেয়ে সুন্দর কিছু হতে পারে না।
যত বড় হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা
আমি ভালবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা।
১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৫৭
মলাসইলমুইনা বলেছেন: "সোহানী বলেছেন: ও আপুরে কি যে শুনাইলেন!! মরার আগে এরকম কোথাও এক রাত কাটাতে চাই...." সাহসিনী সোহানীর মন্তব্যেই দেখি আমার ভয় ধরে যাচ্ছে । আমার মনে হয় আপনার এই লেখা পরেই এক্রোফোবিয়া হয়ে গেলো ! এতো ওপরে বাড়ি আমার ঘুরছে আর এতো নিচে আমাদের নীল পৃথিবী ! দেখেইতো মাথা ঘুরে পরে যাবার যোগাড় হবে । আর তাতে দিন রাত সবই মাটি । আর একটা কথা, ৩৫,০০০ কিলোমিটার ওপরে ঘুরতে থাকা এনালেমা টাওয়ারের পাশেতো মনে হয় কোনো সরকার ফারাক্কা বাঁধ দেবে ! এনালেমা টাওয়ারেতো পানির পানিরতো অভাব হবে । আমাদের এটমোস্ফিয়ারতো মাত্র ১০,০০০ কিলোমিটার। আর পানি পাবার মেঘতো ফর্ম করতে পারে ১০,০০০ -৬০,০০০ ফিট বা সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার ওপরে ! মেঘ বা বৃষ্টি থেকেতো এনালেমা টাওয়ারেতো পানি পাবার কোনো সুযোগ থাকবে না ।আপনি ইলন মুসাককে ফারাক্কা অঞ্চলে পাঠান ।সে ব্যাপারটা হাতে নাতে বুঝ এনালেমা টাওয়ারটা এটমোস্ফেয়ারের মধ্যেই বানাক তাহলে আমার হয়তো সাহস হয়ে যাবে কোনো একটা রাত ওখানে কাটাবার । আর পানি সমস্যার কথাও ভাবতে হবে না মহাশূন্যেই আরাম করে কোনো সুইমিংপুলে গরম লাগলে সারা দিন কাটিয়ে দেয়া যাবে। লেখাটা অতি চমৎকার হয়েছে । এই করোনার ভয় ছড়ানো দিনগুলোতে একটু সুখস্বপ্ন না হয় দেখলামই এনালেমা টাওয়ারে দিন কাটাবার খারাপ কি ? ভালো থাকুন ।
০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৯
করুণাধারা বলেছেন: এই মন্তব্য না পেলে আমার জানায় একটা বড় ভুল থেকে যেত, পোস্টের ভুলো থেকে যেত...
আমি এনালেমা টাওয়ার নিয়ে কয়েকটা লেখা পড়েছি, তার মধ্যে দুটোর লিঙ্ক দিয়েছি। দ্বিতীয় লিঙ্কে আছে:
Water for the tower will be captured from clouds and rainwater and maintained in a semi-closed loop system.
As proposed the top of the tower sits at 32,000m and would be expected to reach speeds of 300mph as it travels through the sky.
আমি মিটারে ভুল করে কিলোমিটার লিখেছি, এডিট করে দিতে হবে। আর পানি সংগ্রহের ব্যাপারটা আমি পোস্টে তা লেখা আছে সেটাই লিখেছিলাম। আপনি বলায় জানলাম এটা ভুল!!
চমৎকার মন ভালো করা মন্তব্য করেছেন মলা......, নতুন কিছু জানা হলো। অনেক ধন্যবাদ মলাসইলমুইনা।
২০| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জুন বলেছেন: করুনাধারা আপনার লেখা পড়ে নিজের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার না করে পারছি না । আপনি তো ভবিষ্যতের কথা বলেছেন আর আমার কাহীনি অতীত অর্থাৎ ২০০/২৫০ বছর আগের বাংলাদেশে ফ্যান্টাসী আইল্যান্ড নাকি কিংডম মনে আসছেনা যাকগা তো সেই থীম পার্কে বুড়ি বয়সে একবার পিকনিকে গিয়েছিলাম । তো সেখানে কলম্বাসের সান্টা মারিয়া দেখে তাতে চেপে বসলাম । সান্টা মারিয়া চলা (দোলা) শুরু মাত্র আমি মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার অবস্থা । পেটের যাবতীয় পার্টস মনে হয় সব উলটে আসছিলো। আমার অবস্থা দেখে লোকজন চিৎকার করে নৌকা থামাতে বল্লো । আমি জীবন নিয়ে নেমে আসলাম । এখন আপনেই কন আমি কি ঐ লাল শুকনা মরুভুমি মার্কা গ্রহ মার্সের দোলনা বাড়িতে থাকতে পারমু
সোয়ার্জেনিগারের টোটাল রিকল দেখার পর মার্সে থাকার চিন্তা পুরাই আমি বাদ দিছি
আহমেদ জী এসের মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে শ্যাষ
আর ভুয়াকে বইলেন বরফ না থাকলেও মার্সের ভুগর্ভে নাকি প্রচুর পানি ( সাগর) জমে আছে। টোটাল রিকলের মত হয়তো একদিন মাটি ফুড়ে বের হয়ে আবার আমাদের পৃথিবীর মত সবুজ শস্য শ্যামলা হয়ে উঠবে লাল গ্রহটি। ততদিন কি বাচবো ? ইলন মাস্করে একটু জিজ্ঞেস কইরেন
অনেক কষ্টের লেখায় অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+
০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৭
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য পড়ে খুব হাসলাম জুন! এই দুর্দিনে কাউকে আনন্দ দেওয়াটা কঠিন কাজ। আপনি সেটা করে ফেলেছেন...
আমার মনে হয় পৃথিবীর চাইতে ভালো বাসস্থান মানুষের জন্য আর হবে না। কিন্তু মানুষ আস্তে আস্তে পৃথিবী ধ্বংস করে ফেলছে। তাই হয়ত একদিন মঙ্গলে বসতি গড়তে বাধ্য হবে। সেদিন আমার দেখা হবে না, কিন্তু সেজন্য বিন্দুমাত্র আফসোস নেই।
অনেক শুভকামনা জুন।
২১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৭
শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঝগড়া করতে হলে আগে একটু বলে কয়ে এসো, আমি ব্লগবাড়ি ছেড়ে পালাবো। তোমার সাথে ক্যাচাল করে কেউ টিকতে
পেরেছে!!
হা হা হা এই টুকু পড়ে আসলেই চিন্তায় পড়লাম। আসলেই তো আসলেই তো!!!
কতদিন মনে মনে ডরোথি হয়েছি কল্পনায়... আমার ছোটবেলার গল্প, তবু পুরোনো হয় না।
আমি ডরোথি ছিলাম। আজও আছি!!! এ এক রহস্য কিন্তু আপুনি!!!!! হা হা হা
ধন্যবাদ গানের জন্য। আমি এটা লিখলাম, কিন্তু আমাদের পৃথিবীর চেয়ে সুন্দর কিছু হতে পারে না।
যত বড় হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা
আমি ভালবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা।
আসলেই উড়বার দরকার কি!!
তার থেকে ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা।
মাথাই ঠেকে থাক!!!
২২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাড়ি যদি আপনার মাথার উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় দাঁড়ায় আর বাড়ি থেকে আপনাকে সমানে "আইয়া পড়েন ভাই, আইয়া পড়েন, ভাড়া লাগবো না" বলে ডাকাডাকি করতে থাকে, না গিয়ে থাকতে পারবেন বলে মনে হয় না... নো চান্স। আমার এ্যক্রোফোবিয়া আছে ভয়াবহ রকমের। প্লেনে উঠি শুধু ঠ্যাকায় পড়ে!!
পানির কথা জিজ্ঞেস করার কারণ কী? মিনারেল ওয়াটারের মতো মঙ্গল ওয়াটারের ব্যবসা করবেন বলে ভাবছেন নাকি? আইডিয়া খারাপ না, করা যায়; তবে প্রতি বোতলে দু'ফোটা গো-মুত্র মিশিয়ে দিলে ভারতের বিশাল মার্কেটটাও ধরা যাবে। চলেন, পার্টনারশীপে শুরু করি।
দেখেছেন কিনা জানি না, তবে বিষয়টা আপনাকে জানানো জরুরী মনে করছি। কিন্চিৎ টেনশানে আছি, কখন আবার মনের ভুলে আপনিও মন্তব্য করে বসেন এমন কোন পোষ্টে!!! ৬, ৮, ৯ মন্তব্য, প্রতি-মন্তব্য দেখেন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৯
করুণাধারা বলেছেন: না, এই সব মন্তব্য প্রতিমন্তব্য দেখি নাই আগে! অনেক ধন্যবাদ দেখিয়ে দেবার জন্য।
যারা রূপ, গুণ, বা অর্থের অহংকার করে তাদের ব্যাপারে আমার মনে হয় যে, শিক্ষার অভাবে তাদের এই অহংকার! আমার কাছে তাদের আচরণ খুবই হাস্যকর লাগে। কিন্তু যারা শিক্ষিত হবার গর্বে গর্বিত, তাদের আমার অশিক্ষিতের চাইতে খারাপ মনে হয়। তাদের আমি ইগনোর করি, ব্লগে এমন মানুষের পোস্টে আমি যাইনা। তাই এই পোস্ট আগে দেখি নি; দেখার পরও আমি কিছু বলতাম না, স্রেফ বিতৃষ্ণায়... আমার শুধু এটাই খারাপ লাগে, অনেকের সাথে খারাপ ব্যবহার করা (আহমেদ জী এসে সহ) এই ব্লগারের প্রতি পোস্ট নির্বাচিত পোস্ট হয়, এতে তার অহংকার বেড়েই চলেছে, ভৃগুকে ক্ষমা চাইতে বলেন ... কেন যে আমার মনে হয়, আখেনাটেন একটা দুঃখ নিয়ে ব্লগ থেকে দূরে আছেন।
আবার ধন্যবাদ।
২৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০
আখেনাটেন বলেছেন: ইন্টারেস্টিং বিষয়।
কিন্তু দুর্ভাগ্য যে আমরা এগুলো দেখার আগে হয়ত ফুটুস।
তবে ভবিষ্যতের পৃথিবী যে এরকম নানামুখি বৈজ্ঞানিক এক্সপিরিমন্তির উপর আরো বেশি করে ঝুঁকবে তা বলায় যায়। এবং পৃথিবীর নেক্সট তেল ও গ্যাসের বিকল্প হিসেবে সোলার এনার্জি জায়গা করে নেবে আগামী এক দশকের ভেতরে। থিন ফিল্ম ফোটোভোল্টেইক সেল উৎপাদন খরচ হ্রাস মানে পাওয়ারের খরচও কমে যাওয়া যা ক্লিন এনার্জির কারণে তেল ও গ্যাসকে মাঠ থেকে ফেলে দেবে।
আর ইলন মাস্ককে আমি ফলো করি। এই লোকের চিন্তাভাবনা আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়। চরম মেধাবী একজন মানুষ। আর পারমানবিক বিস্ফোরণ ঘটায়ে যেভাবে মঙ্গলকে বাসযোগ্য জায়গা করার পরিকল্পনা করেছেন সেটা বাস্তবে সম্ভবপর নয় বলেই মনে হয়।
চমৎকার লেখাটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপা। জানার কোনো শেষ নেই। এ ধরনের লেখা আরো চাই। প্রকৃত বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান বাড়ুক মানুষের, সস্তা হাউকাউ মার্কা লেখা, গল্প, উপন্যাস থেকে যা অনেক বেশি দরকার আমাদের সমাজে।
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২১
করুণাধারা বলেছেন: পৃথিবীর নেক্সট তেল ও গ্যাসের বিকল্প হিসেবে সোলার এনার্জি জায়গা করে নেবে আগামী এক দশকের ভেতরে। থিন ফিল্ম ফোটোভোল্টেইক সেল উৎপাদন খরচ হ্রাস মানে পাওয়ারের খরচও কমে যাওয়া যা ক্লিন এনার্জির কারণে তেল ও গ্যাসকে মাঠ থেকে ফেলে দেবে। তেল ও গ্যাসের মজুদ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হচ্ছে, তাই সোলার অথবা নিউক্লিয়ার এনার্জি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষের পক্ষে বিকল্প শক্তি খোঁজার কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
ইলন মাস্ককে আমিও ফলো করি, টেসলা বা অন্য প্রজেক্টের জন্য না, নিউরা লিঙ্কের জন্য। আমার মনে হয় সত্যি একদিন মানুষ একজন আরেকজনের সাথে মনে মনে কথা বলবে, আর সেদিন হয়তো খুব দূরে নয়।
অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ আখেনাটেন। উত্তর দিতে দেরি হলো, নিজের ব্লগে আসতে ইচ্ছা করে না, তাই।
২৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪১
পুলক ঢালী বলেছেন: বাপরে বাপ! এটা কি লিখেছেন ? ইলু-মুখোশ একটা পাগল কুনু সন্দো নাইক্যা।
এ্যাটম বোম ফুটাইলে তাপ বাড়বে কিন্তু রেডিয়েশনের ঠ্যালায় মাস্ক যে পিগমী হইয়া যাইতে পারে সেই খবর আছে?
৫০ লক্ষ কিউবিক কিলোমিটার বরফ !!? কল্পনার হাত পা ভেঙ্গে নূলা আর পঙ্গু হইয়া যাইতেছে।
যত ফানই করি আপনি অনেক পরিশ্রম করে এমন একটি বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনী পাঠকদের উপহার দিয়েছেন, যে কল্প-কাহিনীকে বাস্তবে রূপদান করার স্বপ্নকে অলীক বলে মনে হচ্ছেনা, হয়তো বা সম্ভব যদিও ১০ হাজার পারমানবিক বোমা (কত মেগাটন ক্ষমতা সম্পন্ন সেটা অবশ্য করুণা করে প্রকাশ করা হয়নি, প্রকাশ পেলে পাঠক যদি অক্কা যায় !! ?) যোগাড় করার সমস্যার কথা বলা আছে, সেক্ষেত্রে বোমা নয় অন্যকোন ন্যানো প্রযুক্তির ডিভাইস মঙ্গলে রেখে দিলে ওটা যদি পদার্থকে এটমিক পর্যায়ে ভেঙ্গে সরাসরি শক্তিতে পরিনত করে তাহলে বোমার সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।
হা হা হা ইলন মাস্ক একাই কল্পনা করবো? আমরা বাঙ্গালীরা আছি কি করতে???
বিজ্ঞান-ভিত্তিক লেখা আমার খুব পছন্দ ।
এমন একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন করুণাধারা।
০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৬
করুণাধারা বলেছেন: প্রথমেই আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এত দেরি করে উত্তর দেয়ার জন্য।
পারমাণবিক বোমার ক্ষমতা সম্পর্কে কবি কিছু বলে যাননি, তাই জানাতে পারিনি, দুঃখিত...
সেক্ষেত্রে বোমা নয় অন্যকোন ন্যানো প্রযুক্তির ডিভাইস মঙ্গলে রেখে দিলে ওটা যদি পদার্থকে এটমিক পর্যায়ে ভেঙ্গে সরাসরি শক্তিতে পরিনত করে তাহলে বোমার সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।
হা হা হা ইলন মাস্ক একাই কল্পনা করবো? আমরা বাঙ্গালীরা আছি কি করতে??? এভাবে ভাবিনি তো!! বাঙ্গালী মনে হয় এবার মুখোশধারীকে টেক্কাই দেবে...
ভালো লাগলো আপনার মত পাঠককে পেয়ে। এ ধরনের লেখা কেউ পড়তে চায়না, নিজের আগ্রহ আছে বলে লিখেছিলাম।
ভালো থাকুন আপনিও।
২৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কাছের-মানুষ, সোহানী, আহমেদ জী এস, শায়মা (১৮) এবং তার পরের সবগুলো মন্তব্য চমৎক্কার হয়েছে, ভাল লেগেছে। +
০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩১
করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি করার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। দ্বিতীয়বার পোস্টে এসে সকলের মন্তব্য পড়ে আপনার ভালো লাগা জানিয়ে গেলেন- কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভালো থাকুন।
২৬| ১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩১
শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!!!!
ঈদের খানাপিনা তো সব বাসী হয়ে গেলো!!!!!!!
০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: হায় হায়!! বাসি করলে কী করে হবে। ফ্রিজারে ঢুকিয়ে রাখ- কিছু কাজ সেরেই খানাপিনায় রোগ দিচ্ছি। গরম না হয় নিজেই করে নেব।
২৭| ১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪০
শায়মা বলেছেন: হা হা খায়রুলভাইয়ার মন্তব্যের পর সব মন্তব্যগুলো পড়ে এলাম। হা হা হা হা হা
০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: রাজীব নুরের অনুসারী হলে কবে থেকে?
২৮| ০২ রা জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪৬
শায়মা বলেছেন: ০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬০
লেখক বলেছেন: রাজীব নুরের অনুসারী হলে কবে থেকে?
রাজীব ভাইয়ার কাজ নাই তাই বসে বসে সবার মন্তব্য পড়তে আসে। কারো সাতে পাঁচে ছিলো না নিজের মনেই মাঠে বনে ঘুরে বেড়াটও। কিন্তু ইদানিং গোয়ার হয়ে উঠেছে ভাইয়ামনিতা!!!
আমি তার অনুসারী হবো কেনো!!!!!!!!!!!!! আমি পাগল বটে তাই বলে ওতো বড় পাগল হবো না!!!!!!!!
জাতে পাগল তালে ঠিক হতে পারি!!!!
যাইহোক খায়রুল ভাইয়ার মন্তব্য পড়ে দেখতে গিয়েছিলাম কি লিখেছিলাম আমি এবং আমরা ....
০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২২
করুণাধারা বলেছেন: খুবই দেরি করে ফেললাম উত্তর দিতে, কারণ বলতে এখন ইচ্ছে করছে না। পরে কখনো বলতে পারি হয়তো। তবে তোমার মন্তব্যর উত্তর দিতেই আসতে হলো...
দেখি এরপর তোমার পোস্টে যাই...
২৯| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ৩:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এমন সুন্দর মনোহর পোষ্টটি আমার নজর
এড়ালো কেমন করে সে কথা ভেবেই কষ্ট
হচ্ছে মনের ভিতরে ।
পৃথীবীতে বিপর্যয়ের সম্ভাবনায় নিরাপদে
মহাশুন্যে বসতি গড়ার জন্য দুটি মনোজ্ঞ
পরিকল্পনার সুন্দর বিবরন দেখা গেল
লেখাটিতে ।
এর সফল বাস্তবায়ন কবে হবে সে আশায়
আছি এখন । এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছু
কারিগরী সহায়তা ও অর্থায়নে আমাদের
গুণী ব্লগার আহমেদ শুনিয়েছেন কিছু ভাল
আশার বানী ।
লেখাটির মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কৌশলের
বিষয়ে রয়েছে বিস্তারিত অলোচনা ।আলোচনা
পাঠে মনে হলো পরিকল্পনাবিদদের দু একটি
বিষয়ে প্রয়োজন রয়েছে পুর্ণবার পর্যালোচনার ।
পর্যালোচনার বিষয়গুলি ব্লগার মলাসইলমুইনা
সুন্দর করে পুর্বেই বলে দিয়েছেন , তাই আমার
আর তেমন কিছু বলতে হলোনা।এখন পরিকল্পনা
বিদেরা এগুলিকে তাদের পরিকল্পনার ভিতরে
ঠিকমত সমন্বয় করে নিলেই চলবে বলে মনে হয় ।
ইলন মাক্স মঙ্গলে এত হেভি ওয়েটের পারমানবিক
বোমা নিবেন কিভাবে সেটাও চিন্তায় রাখতে হবে ।
একটু এদিক সেদিক হয়ে গেলে রাস্তাতেই না আবার
ফুটে বসে । আবার মহাকাশে বিভিন্ন মহাশক্তিধর
দেশের এন্টি মিসাইল তাক কর করা আছে, তাতে
করে কারো যানে পারমানবিক বোমার গন্ধ পেলে
সেগুলি অটোমেটিকেলি ধেয়ে গিয়ে বিনষ্ট করে দিতে
পারে । যাহোক পরিকল্পনাবিদেরকে এ সম্ভাবনার
বিষয়টিকেও বিবেচনায় নিতে হবে । যাহোক, আমার
মনে হয় মহাশুন্য এমন বসতির ব্যপারে বিশ্বের নামি
সব অআর্কিটেক্টরা বেশ সচেতন । তারা উদ্ভাবন করে
চলেছেন বিভিন্ন ডিজাইনের । এমনি একটি ডিজাইনের
সন্ধান আছে আমার কাছে । আর্কিটেক্ট অসগারদিয়ার তৈরী
মহাশুন্যে বসতির একটি ডিজাইন দেখানো হলো নীচে :
উল্লেখ্য শুধু কি মহাকাশে , মহাসাগরেও বসতি স্থাপনের
লক্ষ্যে স্থপতিরা রচনা করে চলেছেন সুন্দর পরিকল্পনা ।
তেমনি একটি পরিকল্পনার সচিত্র বিবরণ রয়েছে আমার ব্লগে।
নীচের লিংক অনুসরন করে সেই সচিত্র পরিকল্পনা দেখা যাবে।
ভাসমান জৈব-তরীতে আবাসনের জন্য ফরাসী স্থপতী উদ্ভাবিত একটি স্থাপত্য শৈলী
আপনার সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য মানেই নিজের জানার সীমানা অনেকখানি বাড়িয়ে নেয়া!! মহাশূন্যে এমন বসতির কথা জানা ছিল না... ডিজাইন দেখে বিস্মিত হলাম। আমার মনে হয় একসময় সত্যি এগুলো হবে, এখন হয়ত আজগুবি মনে হচ্ছে। একশ বছর আগে মানুষ ভাবতে পারত না যে আকাশে ওড়া সম্ভব, অথচ আজ মানুষ বিশাল আকাশযানে করে উড়ে বেড়াচ্ছে...
মহাসাগরেও বসতি গড়ার পরিকল্পনা হয়েছে, জানা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে জানলাম এবং বিস্মিত হলাম। ওই পোস্টে বিস্তারিত মন্তব্য করার আশা রাখি।
অনেক ধন্যবাদ ডাঃ এম এ আলী, আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। সবসময় সুস্থ থাকুন, শুভকামনা রইল।
৩০| ২৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার কাছে ব্যাপার টা দারুণ বলেই মনে হয় !
জানি না দেখে যেতে পারবো কিনা।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: কবির মন্তব্যর উত্তর কবিতা দিয়েই দিতে ইচ্ছে হলো... নিজের কবিতা নেই তাই ধার করলাম কবিতা!!
"যতদূরে হোক, ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা,
আমি ভালবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা।"
আজি হতে শতবর্ষ পরে এমন অনেক কিছুই হবে যা আজ কল্পনাও করতে পারছি না। হয়ত মানুষ সত্যিই পৃথিবীর বাইরে বসতি গড়বে... আমি অবশ্য তেমন বসতিতে যেতে আগ্রহী না একেবারেই...
৩১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এনালেমার ধারণাটা কোনভাবেই বাস্তবায়নযোগ্য মনে হচ্ছে না।
১।একটা গ্রহাণুকে নিয়ে কিভাবে চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করা হবে? কোন রকেটের দ্বারা উৎক্ষেপন হবে? নাকি বিস্ফোরনের মাধ্যমে ছুড়ে মারা হবে? পৃথিবীর অভিকর্ষ দ্বারা যেমন সে প্রভাবিত হবে, একইভাবে চাঁদের আকর্ষণও কি তার গতির ওপর প্রভাবে ফেলবে না? তাছাড়া পৃথবীর আহ্নিক গতির মত যদি গ্রহাণুও নিজের অক্ষের চারিদিকে আবর্তন করতে শুরু করে, সেক্ষত্রে এনামেলা টাওয়ারের কি হবে?
২। ধরে নিলাম, গ্রহাণুর সাথে এনামেলা টাওয়ারকে বেঁধে রাখার মত কোন স্পেশাল দড়ি তৈরী করা হল। সেই দড়ির জীবনকাল কতদিন হবে?
৩। মাঝেমাঝে পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন গ্রহাণু আছড়ে পরে। সেইসব গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য কি কি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে?
৪। এই এনামেলা টাওয়ার কি ভূপৃষ্ঠে তৈরী করে রকেটের মত উৎক্ষেপন করা হবে?
এনামেলা টাওয়ার নিয়ে মাথায় আরো প্রচুর প্রশ্ন ঘুরছে। সাইন্স ফিকশান উপন্যাস বা মুভির জন্য খুব চমৎকার কনসেপ্ট, কিন্তু বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না। অবশ্য আমার মনে হওয়া বা না হওয়াতে কোনকিছু যায় আসে না। বিজ্ঞান কতদূর পথ পাড়ি দেবে, সেটা একমাত্র সময়ই বলতে পারে।
পোস্ট ভাল লেগেছে। আপনি প্রচুর পড়াশোনা করে পোস্ট দেন, সেজন্য একটা বড়সড় ধন্যবাদ পেতেই পারেন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৬
করুণাধারা বলেছেন: এত দীর্ঘদিন পর মন্তব্যের উত্তর দিতে হলো বলে আন্তরিক দুঃখিত। আপনার মন্তব্যে খুব যুক্তিযুক্ত প্রশ্ন করেছেন, কিন্তু তার কোন উত্তর আমার কাছে নেই, আমি তুমি আমরা।
আপনার ১, ২, ৩ নম্বর প্রশ্ন আমারও মনে জেগেছিল, উত্তর পাইনি। ৪ নম্বর প্রশ্ন অনেকেই করেছেন, এনালেমা পরিকল্পনাকারীরা বলছেন বাড়ি নির্মাণের পর গ্রহাণু থেকে দড়ি নামিয়ে বাড়িটা বেঁধে তুলে নেয়া হবে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে অগ্রাহ্য করে কিভাবে এত ভারী স্থাপনা তুলে নেবেন তা তারা ব্যাখ্যা করেননি।
তাদের ভাবনায় অনেক ফাঁকফোকর আছে, তার দরুণ এনালেমাকে অবাস্তবই মনে হয়, আজকের দিনে।
কিন্তু সন্দেহ নেই, আগামী দিনে পৃথিবীতে যুদ্ধ বিগ্রহ, মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাবার ফলে অনেক কিছু ধ্বংস হবে, তারমধ্যেও মানুষের জ্ঞানের চর্চা চলবে, ক্রমান্বয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ হবে আর ভবিষ্যতের পৃথিবী হয়তো এমন যা আজ আমরা কল্পনাও করতে পারি না। জানিনা সেই পৃথিবী কেমন হবে, জানবার প্রচন্ড বাসনা নিয়ে ভবিষ্যতের পৃথিবী সম্পর্কীয় নানা লেখা পড়ি, তার কিছুটা শেয়ার করার জন্য এই পোস্ট লেখা।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।
৩২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ৩০ নং প্রতিমন্তব্যটা ভাল লেগেছে। বিশেষ করে অতি প্রাসঙ্গিকভাবে উদ্ধৃত কবিতাংশটি জুড়ে দেয়ার জন্য। +
শেষের দিকের কয়েকটা নতুন মন্তব্য পড়লাম। ডঃ এম এ আলী এবং আমি তুমি আমরা এর মন্তব্যদুটো ভালো লেগেছে। +
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৮
করুণাধারা বলেছেন: আপনি তৃতীয়বার ফিরে এসে আরো কিছু মন্তব্য- প্রতিমন্তব্য মূল্যায়ন করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
৩৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু দীর্ঘ দিন আপনি ব্লগে অনুপস্থিত। কেমন আছেন প্লিজ জানাবেন খুব চিন্তায় আছি।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৯
করুণাধারা বলেছেন: এত দেরী করে উত্তর দেবার জন্য খুবই দুঃখিত পদাতিক চৌধুরী। কিছু সমস্যা ছিল, তার জন্য ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে সমস্যা কেটে গেছে, কিন্তু আমি কিছু লেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। মাঝে মাঝেই ব্লগে এসেছি, কিছু পোস্ট পড়ে জানাতে ইচ্ছা করেছে কেমন লাগলো, কিন্তু মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি লিখতে পারি না। এমনকি নিজের পোস্টের মন্তব্যের উত্তর পর্যন্ত দিতে পারছিলাম না... দীর্ঘদিন ধরে এই উত্তরগুলো লিখে একবারে কপি পেস্ট করলাম।
চেষ্টা করছি নিয়মিত হবার।
ভালো থাকুন, শুভকামনা।
৩৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আপু দীর্ঘ দিন আপনি ব্লগে অনুপস্থিত। কেমন আছেন প্লিজ জানাবেন খুব চিন্তায় আছি"।
আমিও ভাবছিলাম, আপনার কী হলো?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, খবর নেবার জন্য আরেকবার ফিরে আসায়।
আমার তেমন কিছু হয়নি, শুধু এমন অনেক বিষয়ে নিরাসক্তি এসেছে আগে যাতে আমার প্রচন্ড আগ্রহ ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালোই আছি বর্তমানে, শারীরিক নানা ধরনের সমস্যা পার হয়ে এসে।
অসংখ্য ধন্যবাদ, বার বার ফিরে এসে আমাকে অনুপ্রাণিত করবার জন্য। শুভকামনা রইলো।
৩৫| ১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার শেষ পোস্টটি দেয়ার পর বছর পার হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। আশাকরি, কুশলেই আছেন। ব্লগের একজন মেধাবী ব্লগারের অনুপস্থিতি পীড়াদায়ক। তাই আশা রাখছি, অচিরেই ব্লগে প্রত্যাবর্তন করবেন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪১
করুণাধারা বলেছেন: আরেকবার ধন্যবাদ, আমার সম্পর্কে আপনার আপনার বিশেষণের প্রয়োগ আমাকে বিশেষভাবে আনন্দিত করেছে।
আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনিও ভালো থাকুন, শুভকামনা।
৩৬| ১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এতো দিন ধরে অনুপস্থিত আপু খুবই চিন্তায় আছি। আপনার পরিবারের সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৩
করুণাধারা বলেছেন:
দুঃখিত পদাতিক চৌধুরী, আপনাকে চিন্তায় ফেলে দেবার জন্য।
পরিবারের সকলে এখন ভালো আছে। ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে আমার শুধু writer's block নয়, আমি কোন কিছু করার উৎসাহ পাই না। চেষ্টা করছি কাটিয়ে উঠতে।
আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য শুভেচ্ছা।
৩৭| ১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
বিজন রয় বলেছেন: আপা কেমন আছে।
খোঁজ নিতে এলাম।
নতুন পোস্ট নিয়ে চলে আসুন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৫
করুণাধারা বলেছেন:
খোঁজ নিতে এসে নিখোঁজ হয়ে গেলেন বিজন রয়!
নতুন পোস্ট নিয়ে আসলে কি আপনি পড়তে আসবেন?
খোঁজ খবর নেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৩৮| ২০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০৬
ফয়সাল রকি বলেছেন: Upside Down (২০১২) মুভিটা দেখেছেন? যদিও বাস্তবতা বিবর্জিত তবুও এনালেমা টাওয়ারের কথায় মুভিটার কথা মনে পড়লো!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৬
করুণাধারা বলেছেন:
Upside Down দেখিনি, নামও শুনিনি। তবে আপনার থেকে নামটা জানার পর গুগল থেকে কিছু জানলাম। ইন্টারেস্টিং! দেখার চেষ্টা করবো। অনেক ধন্যবাদ ফয়সাল রকি, এই মুভির কথা জানাবার জন্য।
শুভকামনা রইলো।
৩৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: শেষ পোষ্ট দিয়েছেন মাত্র এক বছর পাঁচ মাস হোল!!!!!!!!!
এখন কি সময় হবে নতুন পোষ্ট দেবার?
ব্লগে ফিরে আসুন আপু- আপনাকে মিস করছি।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫২
করুণাধারা বলেছেন: এক বছর পাঁচ মাস!! সময় কিভাবে চলে যায়! সময় আছে, কিন্তু পোস্ট দেবার স্পৃহা হারিয়ে গেছে!
পোস্ট দেবার স্পৃহা হারিয়ে ফেলেছি ঠিকই, কিন্তু আমি মাঝে মাঝেই পোস্ট পড়ি আর তারপর মন্তব্যও লিখে রাখি, এমন অনেকগুলো মন্তব্য লিখে রেখেছি, আপনার বাবনিকের পুরানো পর্ব আর আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিনকে নিয়ে লেখা পড়েও মন্তব্য লিখেছিলাম, কিন্তু পোস্টে গিয়ে সেই মন্তব্য কপি পেস্ট আর করা হয়ে ওঠেনি।
৪০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আর কি আসবেন না বলে পণ করেছেন?
আপনি সুস্থ্য আছেন কি-না, সব সহি সালামতে আছে কিনা সেটা আন্তত জানান?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার এমন ডাকাডাকিতে সাড়া না দিয়ে পারলাম না, ফিরতেই হলো।
না, পণ করিনি, বরং খুব চেষ্টা করছি নিয়মিত হবার, প্রতিদিন কিছু মন্তব্য করে হলেও থাকবো আশাকরি।
অসুস্থ ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ! এখন সুস্থ আছি।
৪১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও ব্লগে আপনাকে অনেক মিস করি।
ফিরে আসুন, করুণাধন্য করুণাধারা!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্টে আপনার ষষ্ঠ মন্তব্য! আপনার এই আন্তরিকতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
চেষ্টা করবো নিয়মিত হবার। আপনার অনেক পোস্ট পড়েও মন্তব্য লিখেছিলাম যা পরে পোস্ট করা হয়নি। একবার আপনি একটা ফুল গাছের ছবি দিয়ে কমলা রঙের ফুলের নাম জানতে চেয়েছিলেন। আমি গুগল থেকে নামটা খুঁজে বের করি... কিন্তু কেন জানি না লিঙ্কটা পোস্ট করিনি। জানি না এই ইচ্ছাহীনতার কী নাম!!
শুভকামনা।
৪২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩০
অপ্সরা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আই মিস ইউ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০১
করুণাধারা বলেছেন: অপ্সরা!!!
অনেকদিন পর ব্লগে ফিরেছ দেখে আমিও খুব আনন্দিত!!
আমিও মিস করেছি, তোমার জড়ুয়া বোনের ঝলমলে পোস্টে আমাকে....
৪৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: আহ জেনে বড় আরামবোধ করছি
ফিরে আসুন স্বমহিমায়। ব্লগে আপনার জাত চেনাবেন ফের সেই প্রত্যাশায়...
০১ লা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে এত দেরি হয় আন্তরিকভাবে দুঃখিত শেরজা তপন। আসলে আমার কাছে নোটিফিকেশন আসে নি।
ভালো লাগছে এটা জেনে ব্লগে আমার অভাব বোধ করেছেন আপনি। এখন থেকে নিয়মিত থাকবো আশা করি।
৪৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি নিশ্চিত যে আমার মত আরও বহু ব্লগার আপনার এই প্রত্যাবর্তনে (সাময়িক যদি হয়, তাহলেও) খুবই আনন্দিত হবেন। আমার কিছুদিন পরেই আপনি এখানে ব্লগিং শুরু করেছিলেন, কিন্তু খুব দ্রুত আপনি আপনার পোস্ট এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য দিয়ে প্রতিভা ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রাখতে পেরেছিলেন। আপনার পোস্ট এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য- এই তিনটে বিষয়ের উপরেই আমার আকর্ষণ ছিল, শুধুমাত্র আপনার জ্ঞান ও সৌজন্যসমৃদ্ধ, সৎ এবং বুদ্ধিদীপ্ত মতামতের জন্য। সর্বোপরি, আপনি নীতির প্রতিও ছিলেন আপোষহীণ।
যাহোক, আল্লাহ'র কাছে হাজার শুকরিয়া যে আপনি ধীরে ধীরে উৎসাহের অভাব কাটিয়ে উঠতে পারছেন এবং ব্লগিং এও হয়তো খুব শীঘ্রই পুনরায় আগ্রহী হবেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সবার (বিশেষ করে প্রবাসী সন্তানদের) সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
০১ লা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
করুণাধারা বলেছেন: আপনার চমৎকার এই মন্তব্যের উত্তর কিভাবে দেবো জানিনা। কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে ব্লগে নিয়মিত থাকতে পারিনি, কিন্তু ব্লগের টান এমনই যে বেশিদিন ছেড়ে থাকা যায় না। এই সময়ের মধ্যে আমি অনেক কিছু লিখেছি, কিন্তু তার অনেক কিছুই অসমাপ্ত রয়ে গেছে। আশাকরি সেগুলো শেষ করে পোস্ট করতে পারবো।
চমৎকার কিছু কথা দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত করায় অসংখ্য ধন্যবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের জন্য, বিশেষ করে আমার প্রবাসী সন্তানদের কল্যান কামনা করায়। জীবনের প্রয়োজনে তারা দূরে গেছে, আমার মনে কিছু ব্যথা থাকলেও আক্ষেপ নেই এজন্য। কিন্তু আশেপাশের মানুষজন এমনভাবে আমার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন, মনে হয় সন্তানেরা আমাদেরকে ছুঁড়ে ফেলে গেছে... এই ব্যাপারটা আমাকে খুব দুঃখিত করে। আমার মনে পড়ে খলিল জিবরানের সন্তান নিয়ে কবিতা, যা আপনি অনুবাদ করে ব্লগে দিয়েছিলেন।
আপনার পরিবারের সকলের জন্যেও শুভকামনা রইল, শান্তি সম্মান আর সুস্থতাসহ ভালো থাকুন।
৪৫| ০১ লা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০১
এম ডি মুসা বলেছেন: বহুদিন ব্লগে নাই দেখা যায় না
০১ লা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
করুণাধারা বলেছেন: আশাকরি এখন থেকে নিয়মিত দেখা যাবে।
শুভকামনা রইল এম ডি মূসা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: খুবই সুন্দর পোষ্ট দিয়েছেন।
বিজ্ঞানের কল্যানে কত কি যে সম্ভব হচ্ছে!!!!