নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত বউকে ডেকে নয়ন বললো, "দ্যাখো, ফুউলমুন!"
পরদিন সকাল। বউয়ের ডাকে নয়নের ঘুম ভাঙল, "দ্যাখো, ফুউলসান!"
বিজ্ঞাপন
মার্কেটপ্লেসের বিজ্ঞাপন: একটি ব্যবহৃত সিলিং ফ্যান বিক্রি হবে। দাম ২২০০ টাকা। সাথে দুই গজ লম্বা মজবুত দড়ি ফ্রি দেয়া হবে।
ব্যাচেলর
বাইরে যাবে, দ্যাখে আর কোনো সার্ট নেই। দীর্ঘশ্বাস ফেলে খাটের নীচের ময়লা সার্টগুলো বের করলো। এগুলোর একটা বেছে নিলেই হবে...
গৃহিণী
সব কাজ শেষ করে রিপা ঘুমাতে এলো, তখন রাত বারোটা। ক্লান্ত পিঠ বিছানায় ঠেকাতেই মনে পড়লো, জগে পানি ভরে নাই!
বিপরীতার্থক
দরজার কাছে গিয়ে পিছন ফিরলো বীনা, "আসি"।
বলে চলে গেল। কখনো কখনো মুখের কথা আর কাজে কোনো মিল থাকে না।
সেলিব্রিটি
সকালে লেবুর রস দেয়া একবাটি ঠান্ডা ফ্যান খেয়ে, ব্যাগে আমরেলা আর ফ্যান নিয়ে বেরোতেই দুজন ফ্যানের সাথে দেখা হয়ে গেল।
লাভের হিসাব
- স্যার, আপনার সই না থাকলে আমার বিদেশে যাবার অনুমতি হবে না।
- আপনি বিদেশে গেলে আমার কী লাভ, হিসাব করে দেখিয়েছেন?
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: পাঠকের কাছ পাওয়া এমন মন্তব্য লেখককে আরও লিখতে অনুপ্রেরণা দেয়। অনেক ধন্যবাদ শ্রাবণধারা।
তিন নম্বর গল্পের সাথে হেমিংওয়ের গল্পের মিল একটাই, দুটোই বিক্রয়- বিজ্ঞাপন। তবে মাত্র ছয়টি শব্দ দিয়ে যে গল্প বলা যায়, যে গল্প পাঠকের মনে হাহাকার জাগিয়ে তোলে, যে গল্প বারবার পড়লেও আবেদন ফুরায় না, হেমিংওয়ের এই গল্পটা না পড়লে জানা হতো না। এই যে এখন পড়লাম, প্রথমবার পড়ার মতোই অনুভূতি হলো।
গানের শেষে এসে তাল কেটে গেলে যেমন হয় শেষ গল্পটি দেয়ার ফলে তেমন হয়েছে। আসলে পোস্টের বাকি গল্প যখন লিখে ফেলেছি, পোস্ট করবো, তার কিছুক্ষণ আগে একজন মহিলা ডাক্তার কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলছিলেন যে, তিনি বাহরাইনের হাসপাতালে চাকরি পাবার পর সরকারি অনুমতি পাচ্ছিলেন না। তারপর মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি তার লাভের হিসাব জানতে চান। মন্ত্রীর কথাটা খুবই কুৎসিত, মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছিলাম না তাই গল্পে ঢুকিয়ে দিলাম।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অসাধারণ
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
করুণাধারা বলেছেন: এক শব্দে বলা আপনার মন্তব্যটিও অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৬
শায়মা বলেছেন: সবচেয়ে মজার দড়ি আর ফ্যান!!! হা হা হা
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২
করুণাধারা বলেছেন: সবচেয়ে মজার দড়ি আর ফ্যান!!! হা হা হা
নতুন ফ্যানের পাখা বাক্সে ভরা থাকে বহন করার সুবিধার জন্য। কিন্তু পুরনো ফ্যান নিয়ে যেতে গেলে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিতে হয়। বিক্রেতা সেজন্য দড়ি ফ্রি দিবেন বলেছেন। এই সাধারণ জিনিসটা তোমার মতো যদি সবাই বুঝতো...
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম গল্প আর গল্পের শিরোনাম দু'টাই তুলনাহীন। এই গল্পের কার্যকারীতা অচিরেই আরেকবার দেখতে পাবো বলে আশা প্রকাশ করছি!!!
বাকীগুলা ঠিক আছে। পড়ে শান্তি পাইলাম, এইটাই বড় কথা। ব্যতিক্রমী আয়োজন নিয়া আসলেন। ভাবছি, আমিও অনুগল্পের একটা পোষ্ট দিবো। বহুদিন গল্প-টল্প লেখা হয় না।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২৮
করুণাধারা বলেছেন: এই গল্পের কার্যকারীতা অচিরেই আরেকবার দেখতে পাবো বলে আশা প্রকাশ করছি!!!
আমিও এটাই আশা করি। তাকে আমি সত্যিই মিস করছি। একটা সত্যি কথা বলার জন্য তাঁর শাস্তি হয়েছে, এটা দুঃখজনক।
ব্যতিক্রমী আয়োজন বলতেই পারেন। আমি লিখছিলাম অপরিকল্পিত নগরায়ন, কংক্রিটের স্তুপ আর অত্যধিক এসির ব্যবহারে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকা কতটা খারাপ অবস্থায় পৌঁছাতে পারে, সেটা নিয়ে। এর সাথে আছে ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ পানি তোলার ফলে ভূমির অবনমন। কিন্তু মনে হলো এসব কেউ পড়তে চায়না। বরং এমন কিছু লিখি যা লেখা আর পড়া দুটাই সহজ। এই লিখা লিখে আপনাকে শান্তি দিতে পারলাম এটাই বড় কথা।
লিখে ফেলেন গল্প, পড়ে একটু শান্তি পাই। যুদ্ধের কথা পড়লে তো শুধুই মন খারাপ হয়।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ পোস্টের মাধ্যমে আপনার আরেকটি উন্নত মানের প্রতিভার পরিচয় পাওয়া গেল। সেটা হচ্ছে কুড়ি শব্দের গল্প লেখা।
প্রায় সবগুলোই কম-বেশি ভালো লেগেছে; তবে শ্রাবণধারা এর মত আমার কাছেও শেষের গল্পটি তেমন ভালো লাগেনি।
সানমুন, গৃহিণী আর বিপরীতার্থক বেশি ভালো লেগেছে।
আপনার দেখাদেখি আমিও একটা লেখার চেষ্টা করে দেখলাম; কিন্তু সত্যি সত্যিই এ কাজটা বড়ই কঠিন!
চমৎকার, ইনোভেটিভ পোস্টে প্লাস। + +
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এই মন্তব্যের জন্য, আমার জন্য এটা অনেক অনুপ্রেরণা।
তবে এটা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। আপনার জন্য তো খুবই সহজ হবে বলে মনে করি, কারণ আপনি নানা ধরণের লেখা লিখতে পারেন। ছোট ছোট কোন ঘটনা যা মনে থেকে যায়, সেটাকে কিছু শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা। যেমন একজন গৃহিণী একবার আমাকে বলেছিলেন, সব কাজ শেষ করে যেই বিশ্রাম নিতে যাবেন, তখনই মনে হয় আরো কোন কাজ বাকি রয়ে গেছে। এটা মনে রয়ে গিয়েছিল, প্রথমে লিখতে গিয়ে ৩০-৩২ শব্দ হয়েছিল, তারপর শব্দ বদল, বাক্য বদল... অনেকটা শব্দ নিয়ে খেলার মতো! আমার করতে ভালো লেগেছে, আরো ভালো লাগছে আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে। ধন্যবাদ আরেকবার। আশাকরি প্রবাসে গিয়েও সাথে থাকবেন। সুস্থ এবং আনন্দে কাটুক প্রবাসের দিনগুলো।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২১
শেরজা তপন বলেছেন: দুর্দান্ত!! সনেটের মত আমারা গদ্যকারেরা এমন ধারার লেখার একটা নাম দিতে পারি না?
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যও দুর্দান্ত!
সনেটের মত আমারা গদ্যকারেরা এমন ধারার লেখার একটা নাম দিতে পারি না?
অবশ্যই পারি। টি টোয়েন্টি গদ্য নামটা কেমন মনে হয়?
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০০
আরোগ্য বলেছেন: সবার আগে গৃহিণীর কাণ্ডেই চোখ পড়লো। গৃহের দায়িত্ব যার স্বস্তির ঘুম নাই তার।
ইহা কী বলিলেন, সিগারেটের সহিত সামুর তুলনা?
শায়মার কী হয়েছে, সবচেয়ে ভীতিপ্রদ যেটা সেটা হাসির মনে হলো।
মধ্যরাতে এমন ইউনিক একটা পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপা।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০১
করুণাধারা বলেছেন: রাত দুইটা মধ্যরাত!! রাত জাগা কোনো ভালো অভ্যাস না আরোগ্য!
সিগারেট ক্ষতিকর, সামু তার বিপরীত। কিন্তু সামুর সাথে সিগারেটের তুলনা দিয়েছি এটা বোঝাতে, বারবার ছেড়ে দিয়েও আবার ফিরে আসতে হয়, ছেড়ে দেয়া খুব কঠিন। যিনি একসময় দিনে পাঁচ ছয়টা পোস্ট দিয়েছেন, তার জন্য তো আরো কঠিন।
গৃহিণীর কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই।
শায়মা কেন খুশি হলো কে জানে! হয়তো কাউকে বেঁধে রাখার জন্য দড়ি খুঁজছিল, ফ্রিতে পেয়ে যাবে দেখে খুশি...
৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০১
আরোগ্য বলেছেন: শায়মা আপা *
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০২
করুণাধারা বলেছেন: শায়মা আপা হাজির উইথ উত্তর।
৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৩৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
হায়রে রবি ঠাকুর ও শরৎ বাবু, অনেক কিছুই না'জেনেই দুনিয়ার কাগজ নষ্ট করেছেন!
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩
করুণাধারা বলেছেন: সত্যিই! আমাদের তো কাগজ নষ্টের ব্যাপার নেই....
১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪২
বাকপ্রবাস বলেছেন: শব্দ, বিষয়বস্তু ছাড়িয়ে শিরোনাম। শিরোনাম এতই যুৎসই হয়েছে যে এমন মিনি গল্পকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আসলে এতো ছোট আকার এর গল্পকে ধারণ করার জন্য যুৎসই শিরোনাম না হলে গল্পটা তলিয়ে যেতে পারে। প্রতিটা গল্প অনন্য।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
করুণাধারা বলেছেন: আপনার প্রশংসা বাক্যে আপ্লুত হলাম বাকপ্রবাস। অনেক ধন্যবাদ।
১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৯
শায়মা বলেছেন: হা হা আরোগ্য ভাইয়া আমার তো এমনই হয় সবাই যেটা ভুই পায় সেটাতেই আমার হাসি পায়। কি কব্বো বলো আমি তো এমনই।
জানোনা এই কারণেই মনে হয় করুনাধারা আপু আমাকে মহিলা পাগলা দাশু বলে। হা হা
আপু আবার আমার কাঁধে ঝোলানো অদৃশ্য যাদুর বাক্সটাও দেখতে পায় তাই দিয়ে নাকি আমি ভেকলী দেখিয়ে সবাইকে বোকা বানাই। হা হা হা
তবে পাগলা দাশুর বাক্সে কিছুই না থাকলেও আমার বাক্সে ম্যাজিকের অনেক সরঞ্জাম আছে কিন্তু!!!!!!!!!
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১১
করুণাধারা বলেছেন: ঠিকই বলেছ। সবাই ফ্যানের সাথে দড়ি দেখলে একটাই চিন্তা করতে পারে, তোমার মতো বহুমুখী চিন্তা কজন করতে পারে!! যেমন তুমি ভাবতে পারো এই দড়ি দিয়ে স্কিপিং করা যায়, দড়িটা ফেলে না রেখে একটা গরু কিনে তার গলায় দেয়া যায়...
১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯
শায়মা বলেছেন: আরোগ্য ভাইয়া ভুই পেয়েছে এই ফ্যান ভাবীজি পেলে যদি দড়ি ঝুলায় দেয় ভাইয়াকেই তাই .....
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২২
করুণাধারা বলেছেন:
তুমি যে কত রহস্য উদঘাটন করতে জানো!!
১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭
শায়মা বলেছেন: দড়ি নিয়ে দৌড়ানী দেওয়া যায়.......
দড়ি দিয়ে দড়াদড়ি মানে দড়ি টানাটানি খেলা যায়.......
দড়ি দেখে সেই কবিতাটা মনে করা যায়
একটা দড়ির দুদিক থেকে টানছে দুদল ছেলে
তাই না দেখে বনের বানর লাফায় খেলা ফেলে।
সকল বানর ফন্দি আঁটে জবর মজার খেলা
এমন খেলা খেলেই সবাই কাটিয়ে দেব বেলা।
কিন্তু দড়ি মিলবে কোথায়? ঘাবড়ে গেল মাথা
পালের সেরা বানর বলে মগজ তোদের যা-তা।
নেইকো দড়ি বয়েই গেল ভাবিস মিছে হাবা
লেজে লেজে ধরব টেনে হবে দড়ির বাবা।
যেইনা বলা দুদল বানর দুদিক থেকে বসে
একের লেজটি ধরল টেনে জোরসে চেপে কষে।
বনের গাধা দাঁড়ায় মাঝে উঁচিয়ে দু'টি কান
বলে, আমার দুদিক থেকে কান ধরে দে টান
কান ধরে এই মাথা নিবি আপন দলে টেনে
জিতবি তবে এই খেলাতে, রাখিস সবাই জেনে।
অমনি দুদল হেঁইয়ো টানে- গাধার বিপদ ভারি
কান ছিঁড়ে সব হুমড়ি খেয়ে পড়ল সারি সারি
সাঙ্গ হল দড়ির খেলা বানররা সব হাসে
কান হারিয়ে গাধা শুধুই চোখের জলে ভাসে।
হি হি হি কার কান মনে করবো এই গাধার কানের জায়গায়!!!
থাক এমনিতেই বেচারা অবস্থা .......
০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫
করুণাধারা বলেছেন: জানিনা এতবড় মন্তব্য কী করে চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল!! ইচ্ছা করে না, ভুল করে দেরি করে ফেললাম উত্তর দিতে!
এই কবিতা আমার ক্লাস ফোরের পাঠ্যবইয়ে ছিল। অনেক দিন পর পড়তে ভালো লাগলো।
গাধার কানের জায়গায় কার কান মনে করলে!! কে সেই বেচারা!!!! নামটা কানে কানে বলে যেও।
১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সবগুলাই সুন্দর।
লেবু দিয়া ফ্যান খাব এখন
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
করুণাধারা বলেছেন: লেবু দিয়ে ফ্যান খেয়ে ব্যাগে ফ্যান নিয়ে অফিসে যাবেন।
১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "টি টোয়েন্টি গদ্য নামটা কেমন মনে হয়?" - ভালোই তো হয়! তবে আরেকটু যুৎসই হয় "টি টোয়েন্টি" এর বদলে "W-20" দিলে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: আরেকটু যুৎসই হয় "টি টোয়েন্টি" এর বদলে "W-20" দিলে।
W-20 খুবই যুৎসই হয়, কারণ এটা অভিনব কিছু।
কিন্তু আমি ভাবছিলাম আমার মাথায় এমন গল্প কেন এলো, মনে হলো সামুতে কখনো পড়েছিলাম এমন। পরে খুঁজে বের করেছি, বুঝতে পারলাম আমার আগেও সামুতে অন্যরা এমন গল্প লিখেছেন, আর তার মান অবশ্যই আমার লেখার চাইতে অনেক ভালো। রাজিব নূরের মন্তব্য থেকে জানলাম ফেসবুকে ২০ শব্দের গল্প নামে একটা গ্রুপই আছে।
এই যে আগের দুটো পোস্টের লিঙ্ক।
view this link
view this link
অসংখ্য ধন্যবাদ আরেকবার ফিরে আসার জন্য।
১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাহ খুব সুন্দর হয়েছে প্রতিটা অনুগল্প। আপনার অনুগল্পগুলো পড়ে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার অনুগল্পগুলোর কথা মনে পড়ে গেল।
একটা দিলাম এখানে -
ওষুধ
হোজ্জা একবার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এক হেকিমের কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন। কয়েক মাস পর হোজ্জা আবার সেই হেকিমের কাছে গেলেন ওই ওষুধ আনার জন্য।
হেকিম: আচ্ছা, গতবার তোমাকে কী ওষুধ দিয়েছিলাম, একেবারেই মনে করতে পারছি না।
‘তাহলে ওই ওষুধ এখন থেকে আপনি নিজেই খাবেন’, হোজ্জা বিনীত গলায় বললেন।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১২
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাবিয়ান, আমার অনুগল্প ভালো লাগায়। আপনার দেয়া হোজ্জার গল্প পড়েও ভালো লাগলো। যদিও জানতাম, কিন্তু শেষ টুকু পড়ার আগে গল্পটা মনে করতে পারছিলাম না, হোজ্জা আর তার হেকিমের মতোই।
১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "W-20" বলতে Words-20 বুঝিয়েছিলাম। সে জন্যেই বলেছি আরেকটু যুৎসই হয় "টি টোয়েন্টি" এর বদলে "W-20" দিলে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১
করুণাধারা বলেছেন: "W-20" বলতে Words-20 বুঝিয়েছিলাম।
আমি W কেন তা আগে বুঝতে পারিনি, এখন আপনি ব্যাখ্যা করে বলায় বুঝতে পারলাম! আসলেই W-20 দিলে অভিনব হয়। ধন্যবাদ আপনাকে, এই চমৎকার আইডিয়া শেয়ার করার জন্য।
১৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার জন্য তো খুবই সহজ হবে বলে মনে করি, কারণ আপনি নানা ধরণের লেখা লিখতে পারেন" - এ কথা দ্বারা উৎসাহিত হয়ে একটা লিখেই ফেললামঃ
অতৃপ্তি
তীব্র দাবদাহে সকালেই একটি তৃষ্ণার্ত পাখি উড়ে এলো। খাদ্য না পেয়ে অগত্যা সে মাত্র দু'ঢোক জলপান করেই আবার উড়ে গেল।
গল্পটি চলমান হীট-ওয়েভ এর একটি চিত্র। চিত্রটি আমারই ব্যালকনিতে দেখা। সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি, একটু আগেই আমার দ্বারা পূরণকৃত জলপাত্রটি থেকে একটি শালিক মাত্র দুই ঢোক পানি পান করে উড়ে গেল। তখনও ওদের খাবার দেয়া হয়নি, তাই বেচারা শুধু পানি পান করেই চলে গেল।
তবুও, পাখিটার ওটুকু পানি পান করা দেখেই যেন অনুভব করলাম, আমার কলজেটাও ঠান্ডা হয়ে গেল! অসহনীয় দাবদাহে মানুষ, পশুপক্ষী সকলেরই এখন ত্রাহি অবস্থা।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার বিশ শব্দের গল্প চমৎকার হয়েছে, শিরোনামটাও যথাযথ হয়েছে, মনে হচ্ছে না এটা আপনার প্রথম প্রচেষ্টা! আশাকরি আগামীতেও আরও লিখবেন।
অবশ্য এই গল্পের পিছনের গল্পটা জানতে পেরে যেন শালিকের পানি পান করে উড়ে যাওটাও দেখতে পেলাম। এই প্রবল তপ্ত দিনে আপনারা পাখিদের পানাহারের ব্যবস্থা করছেন জেনে ভালো লাগলো।
অসহনীয় দাবদাহে মানুষ, পশুপক্ষী সকলেরই এখন ত্রাহি অবস্থা। এই প্রচন্ড গরমের কারণেই আপনার চমৎকার গল্পটি আগে পড়া সত্বেও উত্তর দিতে দেরি করে ফেললাম।
১৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সব গুলোই ভালো লেগেছে তবে সেলিব্রেটিকে ফ্যান খাওয়ানোর টায় বেশি মজা পেলুম!
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
করুণাধারা বলেছেন: গরমের মধ্যে লেখা আর পড়া, দুটোই কষ্টকর। সেজন্য এই সংক্ষিপ্ত গল্প। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো গেঁয়ো ভূত।
২০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মিরোরডডল বলেছেন:
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
I agree, সামু আসলেই একটা নেশা।
সকালে লেবুর রস দেয়া একবাটি ঠান্ডা ফ্যান খেয়ে, ব্যাগে আমরেলা আর ফ্যান নিয়ে বেরোতেই দুজন ফ্যানের সাথে দেখা হয়ে গেল।
এটা মজার ছিলো।
গৃহিণীর টা মায়া লেগেছে
সবগুলোই ভালো হয়েছে।
ধারাপুর কাছ থেকে ভিন্নরকম পোষ্ট পেলাম।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
করুণাধারা বলেছেন: গরমে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, কত কাজ করার ছিল কিন্তু ঘর থেকেই বের হতে ইচ্ছা করে না। তাই এই ছোট ছোট গল্প লেখা। প্রথম গল্পটা যাকে নিয়ে লিখেছি , তাকে আমি সত্যিই মিস করছি।
তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো মিড!
২১| ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: জলে ভাসা পদ্ম আমি, ব্যাচেলর, গৃহিণী, লাভের হিসাব- এই গল্পগুলো বেশ ভাল লেগেছে।
সানমুন আর বিজ্ঞাপন-বুঝতে পারিনি।
পোস্টে ভাল লাগা রইল।
০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০০
করুণাধারা বলেছেন: যা লিখতে ইচ্ছা করে তা লিখতে পারিনা, তাই এই পোস্ট। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আমি তুমি আমরা।
অনেকদিন পর ব্লগে ফিরলেন... আশাকরি আবারও আসবেন।
২২| ০৩ রা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
শায়মা বলেছেন: হা হা আমি ভেবেছিলাম গাধার কানের কবিতা দেখে ভয় পেয়েছো আবার কোন কেচালের সৃষ্টি হয় ভেবে। কিন্তু কেচারলের সম্ভাবনা তো নেই এখন। ভয় কি??
০৪ ঠা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬
করুণাধারা বলেছেন: না না, আমি কেচালের ভয়ে উত্তর দেইনি এমন না। আসলে ভুল করে বাদ দিয়েছিলাম।
এখন আমি আগ্রহ নিয়ে একটা গল্প অনুসরণ করছি। ব্লগে মনে হয় নায়কের নামের আকাল পড়েছে!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫২
শ্রাবণধারা বলেছেন: মনে দাগ কাটার মত গল্প করুণাধারা আপু। প্রথম দুটি পড়ে ভেবেছিলাম হয়ত সবগুলিও কিছু রসাত্মক হবে।
তিন নম্বরটিতে এসে থমকে গেলাম। তবে এটির সাথে হেমিংওয়ের "For sale: baby shoes, never worn" এর কিছু মিল আছে। দুটোই চমকে দেয়, ব্যথা দেয় - এই অর্থেই হয়তো।
বিপরীতার্থক গল্পটিও সেরকম মনে দাগ দিয়ে যাওয়ার মত।
তবে একদম শেষের গল্পটি তেমন ভালো লাগেনি! মনে হল গল্পের পেছনে পেট মোটা ভুড়িওয়ালা একটা লোককে দেখতে পাচ্ছি!