নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেবল সাম্প্রতিক গণহত্যা নয়, গত ১৫ বছরে আওয়ামী শাসনামলে অসংখ্য হত্যাকান্ড হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে যার বিচার বিলম্বিত হয়ে আসছে। কালানুক্রমিক ভাবে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করলাম এখানে।
১) পিলখানা হত্যাকাণ্ড: ফেব্রুয়ারি ২৫-২৬, ২০০৯
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনার ফাঁসি দাবি।
২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ হয়, যেখানে ৫৭জন অফিসারসহ মোট ৭৪ জন কে হত্যা করা হয়। বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাত, অথচ তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ নাম দিয়ে অন্য খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে, এবং বিচারের একটা প্রহসন করে।
উপরে দেয়া লিংকের খবর থেকে উদ্ধৃতি:
তিনি বলেন, সেদিনের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের নাটের গুরু ছিলেন শেখ হাসিনাসহ তার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী। সরকার নিজেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিরপরাধ অফিসার ও জোয়ানদের ফাঁসিয়ে শত শত বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার জোয়ানকে চাকরিচ্যুত করেছিল।
২) সাগর রুনি হত্যা: ফেব্রুয়ারি ১১,২০১২
সাগর রুনি হত্যার পর কেটে গেছে ১২ বছর
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি হত্যা করা হয় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার আর মেহেরুন রুনিকে। ধারণা করা হয়, তারা এমন কোন সংবাদ জেনে ফেলেছিলেন যা প্রকাশ পেলে খুবই প্রভাবশালী কেউ বিব্রত হতে পারেন। সেই সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করার জন্য তাদের খুন করা হয়। সাগর সারওয়ার ছিলেন সামুর ব্লগার। আমার মনে আছে, এই হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘদিন ধরে সামুর প্রথম পাতায় কালো বর্ডার দেওয়া একটা ব্যানার থাকতো, যেখানে সাংবাদিক দম্পতির ছবির নিচে লেখা থাকতো, "আজ হত্যাকাণ্ডের অমুকতম দিন।" প্রতিদিন দিনের সংখ্যা বদলে যেত। মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের ১০০০ দিন পরেও সামুতে এই ব্যানার দেখেছি, দেখে বুঝতে পেরেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উল্লেখিত ৪৮ ঘণ্টার পরেও কতদিন কেটে গেছে কিন্তু খুনি ধরা পড়েনি!! তারপর কেটে গেছে আরো নয় বছর, বিচার হয়নি, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবার তারিখ পিছিয়েছে ১১১ বার!
উপরের লিংকে দেয়া খবর থেকে কিছুটা উদ্ধৃত করছি:
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো হতাশা প্রকাশ করে একে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ১২ বছরের ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছে।
গত সপ্তাহে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদকে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক দম্পতি হত্যার তদন্ত শেষ করার কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি আনিসুল হক বলেছিলেন, সাগর-রুনির খুনিদের খুঁজে বের করতে যদি তদন্ত ৫০ বছর লেগে যায়, তাহলে দিতে হবে।
৩) ইলিয়াস আলী হত্যা: এপ্রিল, ২০১২
ইলিয়াস আলী হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা ্যাবের কর্মকর্তার
বিএনপির সাবেক এমপি নিখোঁজ হন ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে। তাঁকে ফিরে পেতে তাঁর পরিবার চেষ্টা চালায়, একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানায় যেন তিনি সাহায্য করেন তাঁদের। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, কথিত মাদার ওফ হিউম্যানেটি তাঁদের দুঃখে বিগলিত হন এবং আশ্বাস দেন ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে সাহায্য করবেন বলে। তারপর ১২ বছর পর জানা গেল যে ইলিয়াস আলীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে!! মানবতার মায়ের কী চমৎকার মানবতা!!
৪) ত্বকী হত্যা: ৬ মার্চ, ২০১৩
১১ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শেষ হয়নি।
১১ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শেষ হয়নি।
পিতা রফিউর রাব্বিকে শাস্তি দেবার জন্য হত্যা করা হয় ১৭ বছরের কিশোর তানভীর মহম্মদ ত্বকীকে ২০১৩ সালের ৬ মার্চ। এই ঘটনায় মামলা করেন রবিউর রাব্বি।
গত ১১ বছরে তদন্তের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে ৭০ বার। অথচ হত্যার প্রথম বছরের মধ্যেই একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হয়। সেটা প্রকাশ করা হয়নি, কিন্তু ফাঁস হয়ে যায়।
উপরে দেয়া লিংকের কিছু অংশ উদ্ধৃত করলাম:
র্যাবের ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর ত্বকী হত্যার কেবল পরিকল্পনাই না, বরং এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন আজমেরী। তার নির্দেশে, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ তার সহযোগীরা ত্বকীকে অনুসরণ করে এবং তাকে অপহরণ করে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে উইনার ফ্যাশনে তার 'টর্চার সেলে' নিয়ে যায়।
পরে ওই রাতে, আজমেরী এবং তার সহযোগীরা ১৭ বছর বয়সী ত্বকীকে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তার লাশ বস্তায় ভরে আজমেরীর গাড়িতে করে চারারগোপ এলাকায় নিয়ে যায়।
র্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে রফিউর রাব্বি তার সমর্থকদের নিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালায়। ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারেন শামীম ওসমান।
আজমেরী ওসমান শামীম ওসমানের ভাইয়ের ছেলে। প্রভাবশালী শামীম ওসমানের কর্তৃত্বের কারণে এতদিন ত্বকী হত্যার বিচার হয়নি। শামীম ওসমান পালিয়ে গেছেন, তাই আশা করা যায় এবার বিচার হবে।
৫) নারায়ণগঞ্জের সাত খুন: ২৬ এপ্রিল, ২০১৪
নারায়ণগঞ্জে সাত খুন: এক দশক ধরে বিচারের অপেক্ষায় স্বজনেরা
২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে হত্যার জন্য কয়েকজন কর্মকর্তাকে ভাড়া করেন আরেকজন কাউন্সিলর নূর হোসেন। নজরুল ইসলামকে অপহরণের সাক্ষী লোপাট করতে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনকেও অপহরণ এবং পরে হত্যা করা হয়। আইনজীবী চন্দন সরকারসহ মোট সাতজনকে হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ডুবিয়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে র্যাবের কয়েকজন সদস্য। পরে শীতলক্ষ্যা নদীতে সাতটি লাশ ভেসে ওঠার পর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হয়, মামলা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ নূর হোসেন এবং র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা সহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে যান। বলা হয়ে থাকে প্রভাবশালী আসামিদের কারণে রায় কার্যকর করা হয়নি এখন পর্যন্ত।
৬) তনু হত্যা: মার্চ, ২০১৬
তনু হত্যার আট বছর, বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন মা-বাবা
সোহাগী জাহান তনুকে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয় ২০১৬ সালের মার্চ মাসে। তদন্ত শেষে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে দীর্ঘ সময় পার করা হয়েছে, কিন্তু কোন প্রতিবেদন দেয়া হয়নি, বিচার তো বহুদূর!! সেই সময়, এই ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি তোলা হয় সমাজের সব জায়গা থেকে। আমার মনে আছে, বেশ কিছুদিন ধরে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে দীর্ঘ মানববন্ধন করত, কিন্তু বিচার হয়নি।
৭) ফারদিন নূর হত্যা: নভেম্বর ২০২২
বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যা: ফের পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ
বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যা: ফের পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ
আবরারকে হত্যা করার পরে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়, যদিও ছাত্রলীগ বারবার চেষ্টা করেছে বুয়েটে ফিরে আসতে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বুয়েটের ক্যাফেটেরিয়ায় এক সভা করে, উদ্দেশ্য ১৫ই আগস্ট বুয়েটে শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা। সাধারণ ছাত্রদের পক্ষ থেকে ফারদিন এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেয় এবং এই কারণে সেই অনুষ্ঠান করতে পারেনি ছাত্রলীগ। সেই বছরের ৫ নভেম্বর ফারদিন নিখোঁজ হয়, ৭ই নভেম্বর তাঁর লাশ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে হাত বাঁধা অবস্থায়। প্রথমে হত্যাকাণ্ড বলা হলেও পরবর্তীতে তদন্তে বলা হয় ফারদিন আত্মহত্যা করেছে। বুয়েটের সাধারণ ছাত্ররা তদন্তের এই ফলাফলের প্রতিবাদ করে আন্দোলন করে। বরাবরের মতো তাদের আন্দোলন বন্ধ করে দেয় আওয়ামী সরকার।
আওয়ামী সরকার আর নেই! বুয়েটের ছাত্ররা আশা করছে এবার ফারদিন হত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার হবে।
তবে এই সব হত্যাকাণ্ডকে ছাড়িয়ে গেছে ২০২৪ সালের জুলাই - আগস্ট মাসে চালানো আওয়ামী লীগের গণহত্যা। আন্দোলন চলাকালীন গুলিবিদ্ধ কয়েকশত মানুষ মারা যান। সেই সময় গুলিবিদ্ধ অনেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয় চিকিৎসা না করেই। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল কোন সরকারি হাসপাতালে যেন আন্দোলনকারীদের চিকিৎসা করা না হয়! অসংখ্য তরুণ আর শিশুদের হাসিমুখের ছবি দেখেছি, বুলেট বিদ্ধ হয়ে যারা মারা গেছে। নিহতদের সবার কথা এখানে লেখা সম্ভব না, আমি শুধু আজকের (১২ আগস্ট ২০২৪) পত্রিকায় প্রকাশিত Click This Link নাফিজের একটি ছবি দিলাম যেখানে সে রিক্সা থেকে পড়ে না যাবার জন্য হাত দিয়ে রিকশা ধরে রেখেছিল, কিন্তু আওয়ামী নেতারা তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা না নিতে দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
নাফিজের মৃত্যুর খবর থেকে কিছুটা উদ্ধৃত করলাম:
গুলিবিদ্ধ গোলাম নাফিজকে পুলিশ যখন রিকশার পাদানিতে তুলে দেয়, তখনো সে রিকশার রডটি হাত দিয়ে ধরে রেখেছিল। রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ তাকে নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেটের একটি হাসপাতালে ঢুকতে গেলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বাধা দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক। পরে ১৭ বছরের গোলাম নাফিজকে নিয়ে রিকশাচালক খামারবাড়ির দিকে চলে যান।
এখন মা–বাবা আর ওই ফটোসাংবাদিকের আক্ষেপ, যদি দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যেত আর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যেত, তাহলে হয়তো ছেলেটিকে বাঁচানো সম্ভব হতো।
আরো অনেক এমন হত্যা হয়েছে, সব লেখা সময়সাপেক্ষ। তাই শেষ করি নাহিদ ইসলামের মতো সব হত্যার বিচার চেয়ে।
শেখ হাসিনার অধীনে সংঘটিত সব হত্যার বিচার চাই: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: এতগুলো খবর পড়ে, তারপরে তার থেকে কিছু উদ্ধৃত করে, লিংক দিয়ে ছবি দিতে পোস্টা করতে সময় লেগেছে, লেখা শুরু করেছিলাম দুপুর থেকে। আমি আশা করেছিলাম যে, এই সমস্ত খুনের বিচার হবে বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত যিনি তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করবেন, বিচার না হয় পরেই করলেন। কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম তিনি যারা এই হত্যার সাথে জড়িত তাদের বিচার হবে এমন কোন কথা বলেন নি।
আমার একটা কথা মনে পড়ল। একটা কার্টুন দেখেছিলাম, সেখানে ডাক্তার মিলনের মেয়ে শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করছে, "আপনি আপনার বাবার হত্যাকারীদের ধরছেন, আর আমার বাবার হত্যাকারীকে ছেড়ে দিচ্ছেন কেন?"
আমার ধারণা ছিল, পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু বলবেন, কারণ তিনিও আর্মির লোক। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম তিনি কিছুই বললেন না।
লেখা হয়ে গেছে বলে পোস্টটা দিলাম, কিন্তু আমি একেবারেই আশাবাদী হতে পারছি না বিচার নিয়ে, এমনকি এই গণহত্যার বিচার হবে বলেও মনে করছি না।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিয়োগ দিয়েছেন ড. ইউনুস। উনার বিচার-বিবেচনার প্রতি আমাদের সন্মান দেখানো উচিত।
এই সরকারের মেয়াদ হয়েছে মাত্র তিনদিন। উনাদেরকে একটু সেটল হতে দেন। দেশের যেই অবস্থায় উনারা হাল ধরেছেন, তাতে নতুন উস্কানী না দিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে। দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য দেশে-দেশের বাইরে চক্রান্ত চলছে। কাজেই এখন উপদেষ্টাদেরকেও সেই ফাদে পা না দিয়ে কৌশলী কথাবার্তা বলতে হবে। কয়েকদিন পরে এসব নিয়ে কথা বললে সেটা যুক্তিযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি।
আর বিচার করার কাজ আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের। দুই মন্ত্রণালয় মিলে কাজ করতে হবে। কোঅর্ডিনেশানে সময় লাগে। এইসব প্রসিডিংস এর প্রিপারেশান ২/১ দিনে হয় না।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৯
করুণাধারা বলেছেন: উপদেষ্টা অনেকেই প্রেসিডেন্টের পছন্দে নির্বাচিত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তৈরি হচ্ছে নির্বাচিত কিনা জানিনা, কিন্তু হলেই যে তিনি কোন ভুল করতে পারেন না অথবা ভুল করলে সেটা বলা যাবে না এমন তো নয়!
আমি বলিনি যে এখনই বিচার করতে হবে। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগকে বলছেন, দেশের জন্য তাদের অনেক অবদান আছে (একবার মনে করিয়ে দিতে পারতেন তারা গণহত্যা করেছে), তাদেরকে বলছেন দল গোছাতে এখন!!
আমি রাজনীতি বুঝি না, তাই হয়তো বুঝতে ভুল করেছি। কিন্তু রাজনীতির বোঝেন এমন একজন বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এটা বেফাঁস উক্তি।
ব্যস্ত সময়ের অনেকখানি খরচ করে দুবার দীর্ঘ মন্তব্য করেছেন, অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন:
শেখ হাসিনার অধীনে সংঘটিত সব হত্যার বিচার চাই।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: শেখ হাসিনার অধীনে সংঘটিত সব হত্যার বিচার চাই। ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় হত্যাকাণ্ড করেছেন, সেগুলোরও বিচার করতে হবে।
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫০
কামাল১৮ বলেছেন: বিচার করতে চাইলে ৭২ এর পর যত হত্যা হয়েছে সব হত্যার বিচার করতে হবে।হত্যার বিচার কখনো তামাদি হয় না।দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল্ সব হত্যার বিচার হতে পারে।আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল হত্যার বিচার চাই।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২
করুণাধারা বলেছেন: ওওও, আচ্ছা!
৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:০৩
সোনাগাজী বলেছেন:
উপদেষ্টা নাহিদ ও তাদের কমরেড বেকুব ফেইসবুকারদের ক্যাম্পাস থেকে পুলিশের ড়াইফেলের সামনে নিয়ে, পুলিশের দিকে ককটেল মেরেছে, ইহা আন্দোলনের ডিজাইনের মাঝে ছিলো নিশ্চয়।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: পরের নিন্দা করা আপনার স্বভাব। একটা স্ক্রিনশট দেখতে পেলাম আপনি আমার নিন্দা করেছেন, আমি ফেসবুকে আজেবাজে লিখি বলে। শুধু নিন্দা না, এটা মিথ্যাচার। কারন আমি ফেসবুকে দেখি না।
আপনার জন্য ধিক্কার।
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৪২
রবিন_২০২০ বলেছেন: ভুয়া মফিজ এর সাথে একমত। নুতন সরকারকে সব কিছু গুছিয়ে আনার জন্য সময় দিতে হবে। ১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করে Law and order establish হবার পরে নিশ্চয়ই সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
করুণাধারা বলেছেন: গুছিয়ে আনতে সময় অবশ্যই দেবো। কিন্তু গুছিয়ে আনতে সময় লাগবে বলে এমন কোন কথা বলা উচিত না যা খারাপ মানুষদের খারাপ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। এখন কেবল কাজের কথাই বলা উচিত, কোন রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া উচিত না। এই আমার বক্তব্য।
৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৫৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি আশা করি আপনি যে হত্যাকান্ডগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন এগুলো এবং পরবর্তী সময়ের ছাত্র-জনতা হত্যার পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান এবং বিচার হোক।
হাসিনা তো বটেই হাসিনা যাদেরকে দিয়ে এই খুনগুলো করিয়েছে তাদের প্রত্যেকের ঘটনা আমাদের জানতে হবে, আর এই ধরনের কাজ যাতে জীবনে আর কেউ করার সাহস না পায়, সেই দৃষ্টান্ত সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: আমিও চাই যে প্রতিটি হত্যার বিচার হোক। প্রাণের বিনিময় যদিও অর্থ দিয়ে হয় না, তবুও যে সমস্ত মানুষ সন্তানের জন্য খাদ্যের জোগাড় করতে গিয়ে বের হয়ে গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন, তাদের সন্তানেরা খুব দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। আমি চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এদের সহায়তা করা হোক।
আর যে শিশু কিংবা তরুণেরা মারা গেছে, তাঁদের মা-বাবার অপরিসীম শোকভার লাঘবের জন্য কোন সান্ত্বনাই যথেষ্ট নয়। তাই আমিও আপনার মতই চাই, হাসিনা তো বটেই হাসিনা যাদেরকে দিয়ে এই খুনগুলো করিয়েছে তাদের প্রত্যেকের ঘটনা আমাদের জানতে হবে, আর এই ধরনের কাজ যাতে জীবনে আর কেউ করার সাহস না পায়, সেই দৃষ্টান্ত সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
আবরার হত্যার বিচার চান নাই। হেফাজতের শাপলা চত্বরের গণহত্যার ঘটনারও উল্লেখ করেননি পোস্টে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার হতেই হবে। এবং শুধু এগুলোই নয়, বিগত দেড় দশকে এমন আরও যতগুলো অন্যায় বল প্রয়োগে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে, গণহত্যা চালানো হয়েছে - প্রতিটা হত্যার বিচার অবশ্যই করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পোস্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। +
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৬
করুণাধারা বলেছেন: আবরার আমার মনে সবসময় থাকে, আমি আবরারকে নিয়ে একাধিক পোস্ট লিখেছি। আবরারের হত্যাকারীদের বিচার হয়ে গেছে। ২৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে কিন্তু সেটা কার্যকর করা হয়নি এখনও।
একটা কথা বলি, আমি চাই মৃত্যুদণ্ডের বদলে এই ছেলেগুলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক। না, আমি কোন আওয়ামী লীগার না। কিন্তু যখন ভাবি যে এই ছেলেগুলোকে যারা পিশাচ বানিয়েছে, তারা বেঁচে থাকবে মানুষের চেহারা নিয়ে, নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য এইরকম আরো তরুণের জীবনকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়ে তখন মনে হয় নাটের গুরুদের ছেড়ে দিয়ে তাদের হাতের পুতুলদের শাস্তি দিয়ে কি হবে। আশা করি সেই দিন আসবে, যেদিন কোন নেতা আর কোন ছাত্রকে হাতের পুতুল বানাতে পারবেনা।
হেফাজতের শাপলা চত্বরের গণহত্যার কথা আমার মনে পড়েছিল, কিন্তু মৃতের সংখ্যা একেক খবরে এক এক রকম দেখে আমি কোন্ লিংক দেবো ঠিক করতে না পেরে আর উল্লেখ করিনি। আপনি যদি কোন লিংক দিতে পারেন তাহলে আমি যোগ করে দেব।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য।
৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৩২
আহলান বলেছেন: একটা সময়ে কেউ অন্যায় করলেই মানুষ বলতো তু্ই মানুষ না আওয়ামিলীগ! এমনিই বলতো না।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৮
করুণাধারা বলেছেন: একটা সময়ে কেউ অন্যায় করলেই মানুষ বলতো তু্ই মানুষ না আওয়ামিলীগ!
কথাটা বলতো চুপেচুপে। এখন আমরা বাক স্বাধীনতা পেয়েছি, তাই এই কথা বলতে পারছি, এমন পোস্ট লিখতে পারছি।
১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৪৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: প্রতিটি হত্যার বিচার অবশ্য অবশ্যই করতে হবে।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১২
করুণাধারা বলেছেন: কত হত্যা! প্রথমে শুনলাম পাঁচশ, তারপর শুনলাম এক হাজার, এখন শুনছি তিন হাজারও হতে পারে...
নিজের দেশের মানুষকে এভাবে খুন করতে পারলেন একজন নারী!!! যিনি কিনা নিজেকে মাদার অফ হিউম্যানেটি বলে আখ্যায়িত করেছেন!!
প্রতিটি হত্যার বিচার করতে হবে।
১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:০৯
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: view this link
জুলাই হত্যাকান্ড দিয়েই এখনি শুরু হোক বিচার প্রক্রিয়া ।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৩
করুণাধারা বলেছেন: দেখলাম অনেক কষ্ট করে।
আমিও চাই এখনই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হোক।
১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সাথে সহমত কিন্তু ওরা সফল এই আন্দোলন নস্যাৎ করতে সক্রিয়।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৩
করুণাধারা বলেছেন: ইলিয়াস আলীর ছোট মেয়েটি এবং মেঘ, এরা যদি দেখে তাদের বাবা এবং মা-বাবার হত্যাকারী মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে না, তাহলেই ওরা প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারবে।
আমি চাই প্রতি হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক। প্রভাবশালীদের চাপে যেন কোন হত্যাকাণ্ডের বিচার ব্যাহত না হয়।
১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০০
নীল আকাশ বলেছেন: হাসিনাকে ১০০ বার ফাসি দিলেও কম হয়ে যায়। এরা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া উচিৎ। গনপিটুনি এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত শাস্তি।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৬
করুণাধারা বলেছেন: হাসিনাকে ১০০ বার ফাসি দিলেও কম হয়ে যায়। এরা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া উচিৎ। গনপিটুনি এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত শাস্তি।
আমি যখন হাসিনার মিথ্যাচার, শয়তানি আর নিষ্ঠুরতার কথা ভাবি, তখন ভেবে ঠিক করতে পারিনা কোন শাস্তি ওর জন্য উপযুক্ত হতে পারে!! সাইকোপ্যাথ! অশেষ ঘৃণা হাসিনার জন্য।
১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০১
নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। লাইক সহ।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৬
করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫
দি এমপেরর বলেছেন: আপনি যেসব হত্যাকান্ডের উল্লেখ করেছেন সেগুলো ছাড়াও নিশ্চয়ই আরও অনেক হত্যাকান্ড ঘটেছে, যেগুলো হয়ত প্রকাশ হয়নি। কী ভয়ংকর ছিল এরা! এসব অপরাধের মূল হোতাদেরকে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে। কোনোভাবেই বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। এখনই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: এগুলো ছাড়া আরো অনেক হত্যাকান্ড আছে, অসংখ্য মানুষকে গুম করা হয়েছে। তাদের যদি ফিরিয়ে না দেয়া হয়, তাহলে ধরে নেয়া যায় যে তাদের ইতিমধ্যে হত্যা করা হয়েছে। এই সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা দরকার।
আপনি ঠিকই বলেছেন এসব হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের তাদের শাস্তি দিতে হবে। আবরার হত্যার কথা মনে করুন, যারা আবরারকে হত্যা করেছে, তারাও আবরারের এর মতই মেধাবী তরুণ ছিল, লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এসেছিল। এদেরকে ছাড়া ছাত্রলীগ তথা খুনি লীগ বানিয়েছে, তাদেরও বিচার হতে হবে।
আপনার মত আমিও এখনই বিচার শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।
১৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৪০
জুন বলেছেন: তনু হত্যা, ত্বকী হত্যা, সাগর রুনী হত্যা কার কথা রেখে কার কথা বলবো? ইলিয়াস আলীর মেয়েকে জড়িয়ে ধরে যখন স্বজন হারানোর বেদনার অংশীদার হয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে তখন তারই নির্দেশে শুনি তাকে মেরে ফেলে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। কি নিষ্ঠুর! ভাবতেও শুধু যে ঘৃনা তা নয়, কেমন যেনো ভয় হয় তাকে।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: আসলেই!! এত নিষ্ঠুর একটা মানুষ কি করে হতে পারে! জুলাই মাসের ১৭ তারিখ থেকে শুরু করে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা জুড়ে থাকত গুলিতে নিহত শিশু কিশোরদের ছবি। এগুলো দেখেও তার মনে একটুও দয়া হয়নি বরং আগস্টের ৫ তারিখে কেউ উনি বলেছিলেন আরো কঠোরভাবে দমন করতে!! ভয়ানক।
তবে এর চাইতে ভয়ানক হচ্ছে, তখন যারা হাসতে হাসতে গুলি চালাবার হুকুম দিত, গুলিতে মানুষের মরে যাবার ভিডিও দেখতো হাসিমুখে, তারা এখনকার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সহযোগী!!
১৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:২৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ওরা আন্দোলনকে ব্যর্থ করার চেষ্টায় লিপ্ত ওদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪১
করুণাধারা বলেছেন: ওরা আন্দোলনকে ব্যর্থ করার চেষ্টায় লিপ্ত ওদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
অনেক রক্তের বিনিময়ে আন্দোলন সফল হয়েছে, বিজয় অর্জিত হয়েছে। যারা এটাকে ব্যর্থ করার চেষ্টায় লিপ্ত তাদেরকে প্রতিহত করতেই হবে।
১৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দেশে ফিরিয়ে এনে হাসিনার বিচারের দাবি করছি। প্রয়োজনে ওর দলকে চিরদিনের জন্য নির্বাসনের দাবি করছি। এই দল ক্ষমতায় এসে যদি এত হত্যাকান্ড সংগঠিত করতে পারে, আগামীকাল আবার সুযোগ পেয়ে জনগণের উপর আবার যে হত্যাকান্ড চালাবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
একটা স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী ঠান্ডা মাথায় এতো নির্মম নিষ্ঠুর পিশাচ হত্যাকারী প্রতিহিংসাপরায়ণ কুচক্রী রক্তচোষক হতে পারে ভেবে শিউরে উঠতে হয়।আর মায়ের যাবতীয় অন্যায় কাজে বিরোধীতা না করায় পরোক্ষ পরোক্ষ মদত দেওয়ার শাস্তি ছেলে মেয়ে আত্মীয়দেরও দেওয়া উচিত। মায়ের সাফল্যের ছোঁয়ায় যেহেতু তারা লালিত কাজেই তার সমস্ত আত্মীয়দেরও বিচারের আওতায় আনা দরকার।যদি হাজিরা না দেয় তাহলে ওদের দেশের পথ চিরদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা দরকার।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: এই দল ক্ষমতায় এসে যদি এত হত্যাকান্ড সংগঠিত করতে পারে, আগামীকাল আবার সুযোগ পেয়ে জনগণের উপর আবার যে হত্যাকান্ড চালাবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
সেজন্যই এদের ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে। পিশাচ কখনো মানুষ হতে পারে না, এরাও মানুষ হবে না। এরা কখনো দেশের জনগণের বন্ধু হতে পারবেনা বরং আবার ক্ষমতায় আসলে চেষ্টা করবে দেশটাকে নর্থ কোরিয়ার এক নায়কের মত শাসন করতে।
আপনার মন্তব্যের প্রতিটি বাক্যের সাথে সহমত। দেশে ফিরিয়ে এনে শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে অতি অবশ্যই।
শেখ হাসিনার জন্য আমি কোন উপযুক্ত বিশেষণ পাচ্ছিলাম না, আপনি একবারে সবগুলো বিশেষ খুঁজে দিয়েছেন, নির্মম নিষ্ঠুর পিশাচ হত্যাকারী প্রতিহিংসাপরায়ণ কুচক্রী রক্তচোষক অনেক ধন্যবাদ পদাতিক!
১৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রতিটি হত্যার বিচার হোক।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: প্রতিটি হত্যার বিচার হোক।
এত অশ্রু, এত রক্ত কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। প্রতিটি হত্যার বিচার হোক।
২০| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫১
জটিল ভাই বলেছেন:
বিচার হোক, তবে তা জনসম্মুখে দৃষ্টান্ত তৈরী করে। যেনো পরবর্তিতে কেউ অপরাধের কথা চিন্তা করতেও সাহস না পায়!
পোস্টের জন্য জটিলবাদ।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: অবশ্যই বিচার করে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধ করার কথা চিন্তাও না করে।
আপনাকেও ধন্যবাদ, মন্তব্য করার এবং লাইক দেবার জন্য।
২১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৫
এম ডি মুসা বলেছেন: স্বাধীনতা পর ১৯৭৫ সালের হত্যা ছিল এই দেশের মানুষ হত্যার উৎসাহ। কোন মানুষ হত্যা করার অধিকার কারো নেই। সে জালেম জালেম কে সাপোর্ট করে সে ও জালেম। এতে ইসলাম তার স্থান নেই। সকল হত্যাকান্ডের বিচার করা উচিত।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: সকল হত্যাকান্ডের বিচার করা উচিত।
সহমত এম ডি মুসা। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫
সোহানী বলেছেন: দেশের প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার হতেই হবে। আইন চলবে নিজের গতিতে, আইনকে কোনভাবেই বাঁধা দেয়া যাবে না।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: অবশ্যই প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার হতে হবে। ঘাতকের বুলেটে এতগুলো প্রাণ চলে গেল তাদের হত্যার বিচার হতে হবে, গত পনের বছরে আওয়ামী লীগ অনেক হত্যাকান্ড করেছে, বিচার না করে সময় পার করে গেছে । সেগুলোর বিচার এখন করতেই হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রতিটা হত্যার বিচার হবে ইন শা আল্লাহ। আর সব আওয়ামী ক্রিমিনালদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই দলটার কর্মকান্ড নিষিদ্ধ রাখার দাবী জানাই। প্রয়োজনীয় রিফর্মের পরে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হলে তারা আবার কার্যক্রম শুরু করতে পারে।