![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মধ্যবিত্তের তথাকথিত ভদ্দরনোকি আমার মধ্যে নাই। আমি কটূবাক্য বর্ষণ করতে পছন্দ করি। আমার কোনো পোস্টে মন্তব্য দেওয়ার সময় দ্বিতীয়বার চিন্তা করার আহবান জানাই। অবান্তর মন্তব্য করে আমাকে কটূশব্দ ও বাক্য টাইপ করতে বাধ্য করবেন না। আমার কাছে ভদ্দরনোক শব্দের অর্থ হলো আপোষকামী। মধ্যবিত্ত শ্রেনীটিকে আপোষ করে চলতে গিয়ে ভদ্দরনোক হতে হয়। এই শ্রেণীর অংশ হিসেবে বাধ্য হয়ে সমাজে আমাকেও আপোষ করে চলতে হয়। তাই আমি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্য পরাজিতদের মধ্যে একজন, যারা আপোষকামী নয়, কিন্তু বাধ্য হয়ে যাদেরকে আপোষ করে চলতে হয়।
ধর্ম নিয়ে যারা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে তাদের আমি সমর্থন করি না। সেই সঙ্গে তাদের কঠোর শাস্তি হোক সেটাও সমর্থন করি না।
কিন্তু যেসব মডারেট মুসলিমরা কঠোর শাস্তির দাবি সমর্থন করছেন তাদের প্রতি আমার কিছু প্রশ্ন:
আমাদের দেশে আরজ আলী মাতুব্বর, আহমদ শরীফসহ অনেকেই নাস্তিক ছিলেন বটে তবে তারা কুরুচিপূর্ণ কোনো মন্তব্য করেনি। তাদের ভাবনা চিন্তা তারা যুক্তিতর্কের আলোকে লিখে গেছেন। আরজ আলী মাতুব্বরের লাইফস্টাইলও ছিল অসাধারন। তিনি কখনো কারও সঙ্গে রেগে কথা বলেননি।
যাইহোক, তাদের নিয়ে দেশের কত আস্তিক কত কটুক্তি এবং আজেবাজে কথা বলছে জানেন? অনেকে 'খানকির পোলা' টাইপের ভাষা ব্যবহার করেতে দেখেছি। তাহলে ওই আস্তিকদেরও কি সাজা হওয়া উচিত নয়?? তারাও কি একই অপরাধে অপরাধী নয়?? এটা কি বিদ্বেষ নয়??
এই সামহয়্যারেই অনেক পোস্ট আছে যেখানে গঠনমূলক ও যুক্তি দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবং বিদ্বেষমূলক কোনোই কথাবার্তা নেই। কিন্তু দেখা যায়, সেখানে কিছু লোক বুঝে না বুঝে ব্যক্তি আক্রমণ ও বিদ্বেষমূলক আচরণ করে বসেছে। এটা কি ??
এটাও কি একই ধরনের অপরাধ নয়?
আর এরকমভাবে সাজা দিতে চাইলে হাজার হাজার আস্তিকেরও সাজা দিতে হবে যদি নৈতিক মানদণ্ডে বিচার করতে চান। আস্তিকদেরই শুধু অনুভূতি থাকবে আর নাস্তিকদের কোনো অনুভূতি থাকতে পারে না??
একটা সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে সবার অধিকারই সমান। মজার ব্যাপার হলো বেশিরভাগ লোক সভ্য ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতাও রাখে না। কারন তারা মানবিক বিবেকবোধের চাইতে ধর্ম তথা সাম্প্রদায়িক পরিচয়কে বড় করে দেখে।
বিদ্বেষ উভয়পক্ষ থেকেই ছড়িয়েছে। উভয়পক্ষই একই অপরাধে অপরাধী। হিসাবটা সোজা। নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখুন।
কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক পোস্ট দেওয়া আস্তিকদের যদি শাস্তি হয় তাহলে যারা বিদ্বেষমূলক রচনা লিখেছেন তাদেরও শাস্তি মেনে নিব। সেটা কি সম্ভব? যেহেতু সেটা সম্ভব নয় তাহলে একপাক্ষিক ও সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে একপাক্ষিক বিচারকে সমর্থন সম্পূর্ণ অনৈতিক। এবং কোনো মানবিক বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষ এটা সমর্থন করতে পারে না।
আমরা সবাই জানি, বিএনপি জামায়াতের মুখপাত্র আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও তাঁর সাগরেদ ফরহাদ মাজহার (নাস্তিক হিসেবে পরিচিত) এই সাম্প্রদায়িক চুলকানি সৃষ্টি করেছেন নিকৃষ্ট মানসিকতা থেকে। স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া তরুণের প্রতি লাল সালুর ভণ্ড মজিদ প্রশ্ন ছুড়েছিলেন, ওই মিয়া তোমার দাড়ি কই?
সেই একই রাজনীতি আজ এখনো বাংলাদেশ চলে তা ভাবতেই অবাক লাগে। মোনাফেকদের সৃষ্টি করা উত্তেজনায় আমাদের সহজসরল ধর্মপ্রাণ মাদ্রাসার ছেলেরা আজ উত্তেজিত। তারা জানেও না ব্লগ জিনিসটা কি?
এটা নিয়ে জল ঘোলা করে তারাই ধর্মকে অপমান করছে। বর্তমানে আটক হওয়া ব্লগারদের লেখা যারা আগে পড়েনি তারাও তাদের লেখা পড়ছে। ওই ব্লগাররা তো তাদের লেখা পড়তে বাধ্য করেনি কাওকে। আমিও সম্প্রতি তাদের লেখা পড়লাম। দেখে কিছুটা অবাকও হলাম। প্রত্যেকে ব্লগার হিসেবে হিট। মানে তারা যা লিখেছেন, সবাই হুমরি খেয়ে পড়েছে তাদের লেখা পড়ার জন্য। যেনেশুনে থাপ্পড় খেতে গিয়ে ফিরে এসে বললো আমাকে থাপ্পড় মারলো কেন? কি অদ্ভূত আমাদের যুক্তি। তারপরও বলবো ব্লগের লেখা ব্লগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এই উস্কানি দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। মাঝখান থেকে এরশাদও হাস্যকরভাবে কিছু ভোট কামাইয়ের চেষ্টা করেছে।
আমি মনে করি যাদের কাছে সাম্প্রদায়িক পরিচয় মুখ্য তারা মানুষের আওতায় পড়ে না। আমরা কারো সঙ্গে পরিচিত হলে তার ধর্ম কি সেটা জানার প্রয়োজন মনে করি না। বাংলাদেশে এখন সম্পূর্ণ অবান্তর একটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলছে।
পরিশেষে সবাইকে মানুষ হওয়ার আহবান জানাই। নিজেদের স্বীয় বিবেকবোধ জাগ্রত করার আহবান জানাই।
Click This Link
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
জেরিফ বিন্ আমির বলেছেন:
লেখক বলেছেন: একটা সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে সবার অধিকারই সমান।
বাংলাদেশ একটি সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ..ওরে কে আছিস আমারে ধর
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: অসভ্য দেশ বলেই এখনো মোনাফেকদের দেওয়া উত্তেজনায় ভাসছে জাতি। তারপর আশাবাদী , কারন এ জাতি ফাকিস্তানের মতো উগ্র নয়।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
সত্য কথা বলি বলেছেন: শাহবাগ থেকে নেয়া সভ্যতার এই সবক ডাস্টবিনের আবর্জনার চেয়েও বেশি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে জীবনের ৬ টি বছর এই গাজাখোর আর নেশার ঘোরে বুদ হয়ে থাকা নাস্তিকদেরকে দেখেছি এবং দেখছি। আর এখন মানুষ এবং সভ্যতার সংজ্ঞা দিতে নেমেছে !
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর যে গাধা উৎপন্ন হচ্ছে তা আপনার বচন শুনলেই বোঝা যায়। গঠনমূলক কিছু না বলে অবান্তর কথা বলতে লজ্জা করে না?? আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজ্জত না মারার আহবান জানাই আপনাকে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এতো ফালতু শ্রেণীর ছাত্র তৈরি হচ্ছে সেটা বেশ আশঙ্কার বিষয়। রাম ছাগলটা বলে কি? ক্ষমতা থাকলে গঠনমূলক কিছু বলেন তো? মগজের দৌড় বোঝা গেছে আপনার বচন শুনেই।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
হরতাল ১০ বলেছেন: আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলকে কটাক্ষ করা আর আমি আপনার মত সাধারণ মানুষকে কটাক্ষ করা বা গালি দেয়া কি সমান অপরাধ ?
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: পৃথিবীতে নবী রাসুল ও পয়গম্বরেরা কেও বেঁচে নেই। সৃষ্টিকর্তাও বিমূর্ত । বিশ্বাসও বিমূর্ত। কিন্তু দুনিয়াতে মূর্তমান জিনিস যেমন বাস ভাঙচুর সহ অন্য অনেক অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা দুই বছর। সেখানে ব্লাসফেমী আইন কোনো ভাবেই ন্যয়বিচারের অংশ নয়। ধর্মও সেটা বলে না। আর তাদের বিচারের দায়িত্ব স্রষ্টার হাতেই ছেড়ে দিন। যারা যারা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তারা কেও জোর করেননি পড়ার জন্য। তবে তারা কাজটি ঠিক করেননি। তাদের উচিত ক্ষমা চাওয়া।
আর একটা জিনিস খেয়াল করে দেখুন,
এক ধর্মের প্রবক্তার কাছে অন্য ধর্মের প্রবক্তার বিশেষ কোনো দাম নেই।
যুক্তরাষ্টের এক গবেষক দাবি করেছিলেন, যীশু সমকামী ছিলেন। তাতে ওরা হাঙ্গামা বাধিয়ে দেয়নি। মধ্যযুগের মতো হাঙ্গামা বাধালে দেশ পেছনেই চলে যাবে। ধর্মও থাকবে না মানুষও থকাবে না। সহনশীল হওয়ার অনুরোধ জানাই।
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
সেফানুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ সময়উপযোগী লেখার জন্য। আমরা মানুষ হতে পারবো তখনই যখন অন্যের প্রতি বা অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে শিখবো। যখন বাংলাদেশে এতগুলো মন্দির ভাংগা হলো তখন যদি তখন কেউ প্রতিবাদ করেনি ব্যাপারটা খুব আশ্চর্য্যের। বরং ব্যাপারটাতে সবাই মনে হয় এক ধরনের মজা পেয়েছে। "যাক বিধর্মীদের উপাসনালয়। আমার টা তো ঠিক আছে।" আশ্চর্য্য হই আমাদের বিবেকের অবস্থা দেখে। আশ্চর্য্য হই আমাদের নৈতিকতা দেখে।
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
অসীম দিগন্ত বলেছেন: সুন্দর গঠনমুলক নিরপেক্ষ লেখা।++
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: আমার মনে হয় একজন মানুষের বোঝার জন্য এর থেকে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এতেও যদি কেউ না বুঝে, তবে আমার মনে হয় তার মনুষত্ববোধ আর ধর্ম জ্ঞ্যান/বুঝ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অমুলক নয়।