![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মধ্যবিত্তের তথাকথিত ভদ্দরনোকি আমার মধ্যে নাই। আমি কটূবাক্য বর্ষণ করতে পছন্দ করি। আমার কোনো পোস্টে মন্তব্য দেওয়ার সময় দ্বিতীয়বার চিন্তা করার আহবান জানাই। অবান্তর মন্তব্য করে আমাকে কটূশব্দ ও বাক্য টাইপ করতে বাধ্য করবেন না। আমার কাছে ভদ্দরনোক শব্দের অর্থ হলো আপোষকামী। মধ্যবিত্ত শ্রেনীটিকে আপোষ করে চলতে গিয়ে ভদ্দরনোক হতে হয়। এই শ্রেণীর অংশ হিসেবে বাধ্য হয়ে সমাজে আমাকেও আপোষ করে চলতে হয়। তাই আমি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্য পরাজিতদের মধ্যে একজন, যারা আপোষকামী নয়, কিন্তু বাধ্য হয়ে যাদেরকে আপোষ করে চলতে হয়।
সাভারে ভবন ধসে বহু মানুষ মারা গেলো। ১৭ দিন পর শুধু রেশমা জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হলো। কি আচানক কাহিনী!।
নিশ্চয়ই রেশমার মধ্যে বাতেনী এলেম রয়েছে বিধায় সৃষ্টিকর্তা কেবল তাঁর প্রতিই সহায় হয়েছেন। আসুন আমরা রেশমার মুরিদ হই। তাঁহার পড়া পানি পান করি। এতে অশেষ নেকী হাসেল হওয়ার পাশাপাশি রোগবালাই এবং বালা-মুসিবতও হয়তো দুর হবে। রেশমা যদি একটু ভেগ ধরেন তবে ব্যবসাও হবে বেশ।
রেশমাকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনার পর বহু মানুষ যেন নতুন করে ঈমান ফিরে পেয়েছেন। পথেঘাটে, বাসে, ব্লগে, ফেসবুকে বহু মানুষ ঘটনাটিকে অলৌকিক অ্যাখ্যা দিয়ে এবং ঈশ্বরের কুদরতের কথা ভেবে পাগলপাড়া হয়ে পড়ছেন। বাসে যাতায়াতের সময় উত্তেজিত কোনো কোনো যাত্রীর কণ্ঠ থেকে আক্রোশমূলক বচন ঝড়ে পড়তে দেখেছি। কি? ‘এরপরও যদি কেও অবিশ্বাস করে...সে কি মানুষ? এদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত’।
হঠাৎ করে ঈমানের তেজ অনেকের এতোটাই বেড়ে গেছে যে, মনে হয় কোনো অবিশ্বাসীকে কাছে পেলে ওই যাত্রী নগদে হত্যা করবেন।
যতদূর জানি, আটকে পড়া অবস্থায় রেশমার জন্য আসমান থেকে খাবার নাজিল হয়নি। পরিস্থিতির কারনে রেশমা বেঁচে গেছেন। এখানে অলৌকিকতার প্রসঙ্গ আনাটা অর্থহীন। বিশ্বাস জিনিসটা সাটিফিকেটধারী তথাকথিত অনেক শিক্ষিত লোককেও যুক্তিশুন্য করে ফেলেছে। বিশ্বাসের যথাথ অযৌক্তিক যুক্তি মিশিয়ে জগাখিচুরি বানালে ধর্মকেই অপমান করা হয়। বিশ্বের বড় বড় ভবন ধস বা খনি ধসের পর এরকম দুই একজনের সৌভাগ্য হয় ব্যতিক্রম পরিস্থিতিতে পড়ার। এতোবড় একটা আরসিসি পিলার বিশিষ্ট ভবন ধসের ঘটনায় এরকম পরিস্থিতি একজন না পড়াটাই বরং অস্বাভাবিক ছিল। ধার্মিকদের অনুরোধ করি, আপনারা অযৌক্তিক যুক্তি দিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রমাণ করবেন না।এতে করে ধর্মই বরং অপমানিত হবে।
রেশমার ঘটনার পর বিপুল সংখ্যক মানুষ যেভাবে রেশমার ঘটনাকে অলৌকিক আখ্যা দিচ্ছেন তাতে একটা বিষয়ই পরিস্কার হয় দেশে ঈমানদার ব্যক্তি নেই বললেই চলে। মনে হয় যেন তারা নতুন করে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে পেয়েছেন। আগে পাননি বা আগে বিশ্বাসের ঘাটতি ছিল।
অথবা বলা যেতে পারে একজন বিশ্বাসীর মধ্যেও অবিশ্বাস থাকে। এ কারনেই তারা রেশমার বেঁচে থাকাকে অলৌকিক বলে আখ্যা দিয়ে সান্তনা খুঁজতে চান। প্রকৃত ঈমানদার কখনো যুক্তি খুঁজে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করতে চাইবে না। নিজেদের ঈমান ঠিক করুন। মূলত এই সব আবাল কিসিমের লোকজনই ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে এবং নিজেদের খেলো করছে। নাস্তিকদের আগে এদের বিচার হওয়া উচিত।
অটল বিশ্বাস স্থাপন করার পর কেন আমি অবান্তর যুক্তি খুঁজবো?
রেশমার উদাহরণ দিয়ে যারা সৃষ্টিকর্তার প্রমাণ দেখাতে চান তাঁদের ঈমান নেই । সৃষ্টিকর্তাকে মানতে হলে বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু যারা সৃষ্টিকর্তাকে মানার জন্য বিশ্বাসকে বাদ দিয়ে অবান্তর যুক্তির আশ্রয় নেন তারা ধার্মিক তো ননই , ছাগল ছাড়া কিছু নন।
একটা বিষয় পরিস্কার, একজন ধার্মিকের মধ্যে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস দুই-ই বিদ্যমান। তাঁদের অবচেতন মনে অবিশ্বাসটাও কাজ করে সাঙ্ঘাতিকভাবে। যে কারনে তারা জাগতিক ব্যাখ্যা না খুঁজে অযৌক্তিক-যুক্তি খুঁজে সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করতে যান। তারা একটা বিষয় বোঝে না যে, সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করতে চাওয়া মানেই তাঁর মধ্যে অবিশ্বাস রয়েছে। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে থেকে ভণ্ডামি করার অর্থ কি? হয় বিশ্বাসী হোন। না হয় অবিশ্বাসী হোন। তাহলে ভণ্ডামি থাকবে না।
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: কিসের সঙ্গে কি মেলালেন বুঝলাম না। হাসাহাসির সঙ্গে এ পোস্টের বিরোধ কোথায়? রেশমাকে উদ্ধার করায় আমিও তো খুশি হয়েছি। কিন্তু সেটা তো আমার লেখার বিষয়বস্তু নয়। যৌক্তিক সমালোচনা করতে শিখুন । ধন্যবাদ।
২| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৪
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ছোট বেলা থেকে জেনে এসেছি যে কোন কাজে কথায় অন্য কে আদেশ উপদেশ দেয়ার পুর্বে আগে নিজেকে সুধরাতে হয় , তারপর নিজ পরিবার পরিজন দের তারপর অন্য দের , ইসলাম তাই বলে ।
কিন্তু বাস্তবতা দেখি ভিন্ন আমরা নিজেরা হাজার অন্ন্যায় ভুল করেই যাচ্ছি অথচ আঙ্গুল তুলছি অন্যদের দিকে ।আস্তিক নাস্তিক নিয়ে ক্যচালে দেশ আজ ধংসের পথে , কিন্তু ইমানদার দের কাছে জানতে চাই।যারা নিজেদের নাস্তিক বলে দাবি করে উল্টো পাল্টা বলে তারা আমাদের পরিবার পরিজনের মদ্ধেও পরেন না ,তাদের কিছু বলার আগে আমাদের দায়িত্ব নয় কি যারা নিজেদের আস্তিক বলে দাবি করে অথচ এই ধরনের নানা পুজায় লিপ্ত তাদের কিছু বলা , ধর্মের নামে এই সকল ভন্ডামী ব্যবসা র নির্মুল করা! !!
লেখক কে ধন্যবাদ । আমার এই সকল মিরাকলস খোজা মানুষ দের দেখলে করুনা হয় , আর কিছুই বলার নেই
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৪২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: একটা বিষয় পরিস্কার, একজন ধার্মিকের মধ্যে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস দুই-ই বিদ্যমান। তাঁদের অবচেতন মনে অবিশ্বাসটাও কাজ করে সাঙ্ঘাতিকভাবে। যে কারনে তারা জাগতিক ব্যাখ্যা না খুঁজে অযৌক্তিক-যুক্তি খুঁজে সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করতে যান। তারা একটা বিষয় বোঝে না যে, সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করতে চাওয়া মানেই তাঁর মধ্যে অবিশ্বাস রয়েছে।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৪
ভীতু সিংহ বলেছেন: প্রকৃত ঈমানদার কখনো যুক্তি খুঁজে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করতে চাইবে না। নিজেদের ঈমান ঠিক করুন। মূলত এই সব আবাল কিসিমের লোকজনই ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে এবং নিজেদের খেলো করছে। নাস্তিকদের আগে এদের বিচার হওয়া উচিত।
চরম সত্যি কথা বলেছেন। অনুমতি দিলে লেখাটা শেয়ার করতে চাই, অবশ্যই আপনার নাম সহ।
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: শিওর।
৪| ১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
গোবর গণেশ বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে +
৫| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
দুষ্টু ছোড়া বলেছেন: ১৭ দিন পরে বের হওয়া মিরাক্ল, তাইলে প্রথম ধাক্কায় মারা যাওয়াটা কি? ওইটাও মিরাক্ল।
ধর্ম পালনের খবর নাই -খালি সৃষ্টিকর্তার নিদর্শন খুঁইজ্যা বেড়াই। তরমুজ, মাংস, গরু, পাহাড়, গাছ, রেশমা -কোনটাই বাদ নাই।
৬| ২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
নীলমেঘ আমি বলেছেন: আল্লাহ বড়ই দয়াময়। ১২০০ মানুষ মেরে ২২০০ পঙ্গু করে একজন কে বাচিয়ে রেখে বিশাল দয়াময় তিনি।
৭| ২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
নীলমেঘ আমি বলেছেন: সবই আল্লাহার ইচ্ছা এটা দেখুন
৮| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
খাটাস বলেছেন: ইসলামের মুল বিশ্বাসে, আর শিক্ষা হচ্ছে সহনশীলতা। আর নাস্তিকতার ভিত্তি যুক্তি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মুসলমানরা ( আমি নিজে ও বিশ্বাসী) এখন যুক্তির জবাব দিতে না পারলে ও সহনশীলতার পরিবর্তে ইমসন, গালাগালি, কাটাকাটি এসব বেছে নিচ্ছেন। তারা যে ইসলামের মুল শিক্ষা সহনশীলতা থেকে দূরে গিয়ে ইসলাম কেই অবমাননা করছেন, এটা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। একজন নাস্তিক যদি কোন যুক্তি দিয়ে তার বিপরিতে যুক্তি দেয়া দোষের বলে মনে করি না। আল্লাহ পাক আমাদের দিয়েছেন মহা গ্রন্থ আল কোরআন ,যাতে সকল প্রস্নের উত্তর আছে বলে আমরা মুসলমান রা বিশ্বাস করি। নাস্তিক দের যুক্তির জবাব দিতে আমাদের মনে বিশ্বাস নিয়ে যদি আমরা কোরআন নিয়ে আরও বেশি জানার চেষ্টা করি তা দোষের হবে কেন? কিন্তু আজকাল সবাই না জেনে গায়ের জোরে কথা বলাটাকে বেশি পছন্দ করে। এসব মানুষদের কারনেই আমাদের ইসলাম বেশি অবমাননা হচ্ছে। আমরা আমদের নবীজির শিক্ষা কেই ভুলে গেছি। আমাদের মহানবী (সা) যদি মানুষের কটু কথার জবাব গালাগালি আর কাটাকাটি দিয়ে দিতেন, তাহলে পৃথিবীতে ইসলামের অস্তিত্ব থাকত না আজ। হ্যাঁ তিনি ও যুদ্ধ করেছেন কাফিরদের বিরুদ্ধে, কিন্তু যুদ্ধের প্রেক্ষাপট টা ও ভাবতে হবে। আমি বেশি কিছু জানি না, তাই সেই আলচনায় গেলাম না। মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত আমাদের মহানবী কে অনুসরন করা। আমি নিজে ও পারি না। কিন্তু সেটাই সঠিক পথ বলে বিশ্বাস করি।
আর আপনি নাস্তিক, তাতে সমস্যা নেই। আপনি ইসলামের সমালোচনা করতেই পারেন। কিন্তু অনেক নাস্তিক আছেন, যারা মানবতার বুলি আওড়ান। তবে তারা বিশ্বাসীদের এমন ভাষায় সমালোচনা করেন, যা মানুষের ব্যাবহারের পর্যায়ে পড়ে না। অন্যকে উস্কানি দেয়া কেমন মনবতা আমার বোধগম্য নয়। তাদের দেখে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে, অন্তত তাদের মত কিছু মানুষ এর ক্ষেত্রে হয়ত ডারউইনের বিবর্তনবাদ সত্য। তাদের ব্যাবহারে মনে হয়, তারা সত্যি ই বানর নামক পশুর বংশধর। তবে আপনার লেখা টা অনেক ভাল লেগেছে। সুন্দর ভাষায় যে কোন সমালোচনা কে স্বাগতম। সমালোচনার মাঝেই হয়ত বিশ্বাস ফিরে আসবে অনেক ভাই বোনদের। অনেক বেশি লিখে ফেললাম। মাফ করবেন। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:১৬
সিরাজুলইসলাম বলেছেন: সাভার এ ঘটনার দিন থেকে যারা সেখানে উপস্থিত ছিল রেশমা উদ্ধারের পূর্ব পর্যন্ত কেও কি তারা হাসতে পারছিল ? রেশমাকে উদ্ধার করার পর তাদের মনে হাসি আসতে দেখা গেছে একটু কি ভেবে দেখেছেন বিষয়টা ? কত আনন্দ পেয়েছে তারা ? সৃষ্টির্কতার সৃষ্টিতে যেমন রহস্য আছে থাকবে তেমনি আপনার মত ভ্রান্ত সমালচকও থাকবে।