![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মধ্যবিত্তের তথাকথিত ভদ্দরনোকি আমার মধ্যে নাই। আমি কটূবাক্য বর্ষণ করতে পছন্দ করি। আমার কোনো পোস্টে মন্তব্য দেওয়ার সময় দ্বিতীয়বার চিন্তা করার আহবান জানাই। অবান্তর মন্তব্য করে আমাকে কটূশব্দ ও বাক্য টাইপ করতে বাধ্য করবেন না। আমার কাছে ভদ্দরনোক শব্দের অর্থ হলো আপোষকামী। মধ্যবিত্ত শ্রেনীটিকে আপোষ করে চলতে গিয়ে ভদ্দরনোক হতে হয়। এই শ্রেণীর অংশ হিসেবে বাধ্য হয়ে সমাজে আমাকেও আপোষ করে চলতে হয়। তাই আমি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্য পরাজিতদের মধ্যে একজন, যারা আপোষকামী নয়, কিন্তু বাধ্য হয়ে যাদেরকে আপোষ করে চলতে হয়।
ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর সার্বজনীন ব্যখ্যা কি? ধর্মীয় একই বাণীর ব্যাখ্যা মাওলানা বা পুরুতভেদে ভিন্ন হয়। শিয়া, সুন্নি, আহমদীয়া, কাদিয়ানী থেকে শুরু করে শুধুমাত্র মুসলিমদের মধ্যেই হাজারটা বিভাজন। এবং এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মারামারি-ঠাপাঠাপি লেগেই রয়েছে। আবার প্রত্যেক গোষ্ঠীই কোরান-হাদিসকে অনুসরণ করেন।
সুন্নীদের হাতে শিয়া এবং শিয়াদের হাতে সুন্নী খুন হচ্ছে। প্রত্যেকেই নিজেদেরটা ঠিক মনে করে এবং অপরটাকে বেঠিক মনে করে। তাহলে ইসলাম ধর্মের সার্বজনীন ব্যাখ্যা কি? কে ঠিক?
আমাদের দেশের সুন্নী মুসলিমরা বলবে যে, তারা সঠিক। কিন্তু সেটা কোনো উত্তর নয়।
পাকিস্তানে তালেবানেরা মসজিদে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমাদের দেশের অনেক মুসলিম বলবে, ওরা ইসলামের পথে নেই। কিন্তু তালেবানেরা যারা এই কাজটি করছে তাদের বক্তব্যও জানা উচিত। তারাও কোরান বের করে জিহাদের জন্য কত কিছু করা যায় তারও ব্যাখ্যা দিবে। অর্থাৎ সবার কাছেই তালগাছ আমার। এখানে সার্বজনীন কোনো মানদণ্ড নেই।
এই সামহয়্যারেই কত মুসল্লি ধর্মীয় পোস্ট মারার মাধ্যমে ডিজিটাল তাবলীগ করছেন। এই মুসল্লিদের মধ্যেও কিবোর্ডের ঠাপাঠাপি লেগেই রয়েছে। কেও বলে জাকির লায়েক ভুল, কেও বলে সঠিক। এবং একে অপরকে নির্বোধ জ্ঞান করেন। যদিও এটা কিবোর্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে তাই রক্ষা। কিন্তু সার্বজনীন গ্রাহ্য ব্যাখ্যা না থাকায় পৃথিবী জুড়ে চলছে ঠাপাঠাপি। অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যেও বিভাজন রয়েছে। তবে তূলনামূলকভাবে সহনশীল হওয়ায় তাদের মধ্যে ঠাপাঠাপির মাত্রা কম মুসলিমদের তূলনায়। ঠাপাঠাপির মাত্রা কম হোক বা বেশি হোক, ধর্মগন্থ তথা ঈশ্বরের বানীর সার্বজনীন না হওয়ায় পৃথিবীজুড়েই অশান্তি রয়েছে। যদিও কথিত শান্তির জন্যই নাকি ধর্মের উৎপত্তি।
শান্তির জন্য ধর্মের আবির্ভাব হলেও ধর্মের কারনেই মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে। আমাদের দেশের মুসলিমদের অনেকেই এর ব্যাখ্যা করে বলেন যে, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যার কারনে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
আমার প্রশ্ন হলো, ধর্মে বা ধর্মীয় গ্রন্থে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো কেন? ধর্মে বা ধর্মীয়গ্রন্থগুলোতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনেই তো এতো অশান্তি। এর ব্যর্থতাও ধর্মের ওপরই বর্তায়।
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনে??
ব্লগের ওলামাদের প্রতি আমার এই প্রশ্নটি রেখে লালনের গানের একটি উক্তি স্মরণ করছি
''এক কানা কয় আরেক কানারে
চলো এবার ভবো পাড়ে
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারংবার''
আরও কিছু অসঙ্গতি নিয়ে আমার মধ্যে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। এ নিয়ে 'সৃষ্টিকর্তা কি ছোটোলোক'' শিরোনামে আমি একটি গদ্য রচনা করেছিলাম। সময় থাকলে পড়ার আহবান জানাই
Click This Link
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: এটা কোনো উত্তর হলো?
কে আসল আর কে নকল সেটা কে নির্ধারণ করবে। আর ধর্মে যদি নকল তৈরির সুযোগই রাখা হয় তবে দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় অশান্তির মূল তো ধর্মই।
আপনি আমার কথা অনেকটাই বোঝেননি। বুঝলে এ কথা বলতেন না।
কে আসল কে নকল সেটাই বা কে নির্ধারণ করবে?
আমি বলেছি সার্বজনীন মানদণ্ড কি?
ধর্মে বা ধর্মীয় গ্রন্থে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো কেন? ধর্মে বা ধর্মীয়গ্রন্থগুলোতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনেই তো এতো অশান্তি। এর ব্যর্থতাও ধর্মের ওপরই বর্তায়।
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনে??
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: হা হা অনেক কিছুই বলার ছিল কিন্তু বলে লাভ নাই। খালি অল্প বলি। একদম বাস্তবাদী, যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমন্সক একাডেমিক শিক্ষিত বাংলাদেশী নাস্তিকরা একে অপরে পিছে লাগালাগি ঠাপা ঠাপাই করেনা নাকি? কতজন নাস্তিক আছে বাংলাদেশে? তাতেই ফেসবুকে কে কত বেশি প্রভাব আর ফেমাস হতে পারবে তা নিয়া কোপাকপি লাগে আর যদি নাস্তিক বেড়ে মেজরটি হয়ে যায় তাহলে যে দুনিয়াতে শান্তি আসবে তার গ্যারান্টি কি? এইটা মানুষের খাইসলত। ধর্ম একটা উসিলা। ধর্ম যদি বিলুপ্ত হয়ে নাস্তিকতা প্রভাব বিস্তার করে তবে নাস্তিকদের মাঝেও ক্ষমতা, টাকা , ফেম এই সবের জন্য প্যাচ লাগবে। কে বেশি ভালো নাস্তিক আর ভুয়া নাস্তিক, কে পচা নাস্তিক আর কে খাটি নাস্তিক, কে সহি নাস্তিক আর কে অসিহ নাস্তিক সেইটা নিয়াও লাগবে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: এটা তো কোনো উত্তর হলো না। নাস্তিকরা তো 'শান্তি'র কথা বলছে না। বা ধরেই নিলাম নাস্তিকেরা বদের হাড্ডি। সেটা এখানে আসছে কেন? সেটাতো আলাদা আলোচনা হতে পারে। কিসের মধ্যে কি আনলেন।
আমার প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দিন। না পারলে মন্তব্য না করাই তো ভালো।
আমার প্রশ্ন:
ধর্মে বা ধর্মীয় গ্রন্থে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো কেন? ধর্মে বা ধর্মীয়গ্রন্থগুলোতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনেই তো এতো অশান্তি। এর ব্যর্থতাও ধর্মের ওপরই বর্তায়।
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনে??
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: নাস্তিকরা সান্তির কথা বলছে না তো কি তাইলে অশান্তির কথা বলছে? ভেজিটেরিয়ান দের মাঝে দুধ কি ভেজ নাকি নন ভেজ এই ছোট ব্যাপার নিয়াই গুতাগতুই লাগে আর নাস্তিকদের মাঝে যে খাটি নাস্তিকতার ব্যাপার নিয়ে গুতাগুতি লাগবে সেইটা কেমনে বলেন?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: এই পোস্টের আলোচনায় আসুন।
ধর্মে বা ধর্মীয় গ্রন্থে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো কেন? ধর্মে বা ধর্মীয়গ্রন্থগুলোতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনেই তো এতো অশান্তি। এর ব্যর্থতাও ধর্মের ওপরই বর্তায়।
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনে??
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: সবকিছুর মুল লক্ষ্য তো ওই শান্তিই।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বাস্তবতা হলো শান্তি আসেনি। এর পেছনে কারন কি?
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২
নতুন বলেছেন: মানুষের সভাবই হইলৈা ভ্যজাল লাগানো... তাই লাগায়..
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪২
সাউন্ডবক্স বলেছেন: সব কয়টা ধর্মই ফাউল। আর কোরআন শরিফ এ ভুল নাই কেডা কইছে আপনেরে?? ফাউল কথজা কন মিয়া।
ভুল আপনের কয়টা লাগব??
আপ্নে জীবনেও বাংলায় কোরআন পরছেন?? নাকি খালি আরবিতে পইরা গেছে। বিশ্বাস রাইখা যুক্তি দিয়া দেখেন যে ২০১৩ সালে ইসলাম ধর্মের রুলস গুলা কতটুকু চলে, আরবিতে না পরা বাংলায় পইরা তারপর চিন্তা করেন, আর সাইন্স এর কথার সাথে কোরআন এর কিছুই মিল নাই, কোরআন এ একটা জিনিস ও ভাল ভাবে দেয়া নাই, যেই কারনে ৩০ জন ৩০ রকম ব্যাখ্যা দেয়। কোরআন এ বলা আছে যে আল্লাহ আসাখ থেকে পানি বর্ষিত করেন, অতঃপর তিনি তা মাটিতে সংরক্ষন করেন, তিনি সেই পানি অপরাসনে ও অক্ষম, এখন মোল্লা রা বলে যে এই আয়ান দিয়া নাকি এইটাই বোঝানো হইছগে যে পানি বাস্প হয়ে আকাসে উরে যায়। সাইন্স যদি বলত যে পানি চান্দে চইলা যায় তেইল্লে মোল্লারা ও এইটাই বলতো যে অপসারন বলতে ওইটাই বোঝানো হইছে,
আপনি পইরা দেইখেন বাংলায়, নেট এ অভাব নাই।
মুদ্রার ২ টা পিঠ থাকে, এপিট ওপিট, এক পিট দেইখা ই সিদ্ধান্ত নিয়েন না, ওই পিঠ পরেন দেন সিদ্ধান্ত নেন। নেট এ সার্চ করেন হাজার হাজার বই এবং ভিডিও আছে নেট এ গড যে ফেক তার এভিডেনশ হিসাবে, গুগুল এ সার্চ মারেন religion is লেইখা, এরপর দেখেন কি সাজেস্ট করে। আর বিজ্ঞান রে বিশ্বাস না করলে আজকে থেই কা গারি তে চরবেন না, উট এ চরবেন। ফেসবুক চালাবেন না, ব্লগ এ আসবেন না।
প্রতিটা ধর্মই আসছে ডার্ক এইজ থেকে যে যুগ গুলো ছিল কুসংস্কার এ ভরা, বললে অনেক কথগা হয়ে যাবে।
ভাল থ্যাকবেন চিন্তা করেন আর ভাবেন যে সংসদ ভবনের সাম্নের পতিতা টার আল্লাহ কই???
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৩
সাউন্ডবক্স বলেছেন: @কসমিক রোহান কে বলছি।
৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫১
লোপা এসহক বলেছেন:
প্রতিটি ধর্মে ও ধর্মগ্রন্থে কিছু না কিছু বিভ্রান্তি আছেই। ধর্মগ্রন্থগুলোতে চোখ বুলালে অনেক প্রশ্নের উদয় হবে, যা ব্লগে লিখতেও ভয় হয়।
ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপার,
যুক্তি বা বিজ্ঞানের কাছে ধর্ম সাধারনত পরাজিত হয়।
কিন্তু পরাজিত হয়েও ধার্মিকরা পরাজয় মানে না। হাজারো যুক্তি পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরলেও এরা শুনবে না। মারতে আসবে!
ধর্মগ্রন্থে ভুল থাকলেও এদের সাথে তর্ক না করে যে যেমনে চলছে চলতে দেন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: হুমম। ধর্মান্ধরা তো তাদের মতো করেই চলছে।
৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধর্মের কারনেই যে যুদ্ধ লাগে এটা আমার মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় সকল যুদ্ধের একমাত্র কারন ক্ষমতা। ক্ষমতার আকাঙ্খা মানুষের জেনেটিকাল। সেখানে ধর্ম শুধুমাত্র একটা হাতিয়ার।
ধর্মকে হাতিয়ার বললাম শুধু একারনে যে যখন গ্রামে দু পক্ষ মারামারি লাগে তখন অনেক গুজবের মধ্যে এরকম গুজব শোনা যায় যে দু'টা লাশ ফেলানো হয়েছে বিপক্ষ গ্রুপের লোক দিয়ে অথবা অন্য পক্ষের লোক এ পক্ষের কোনো ব্যাক্তির বাসায় গিয়ে সে বাড়ির মেয়েদের ওপর আঘাত করেছে। এতে অনেকটা আগুনে ঘি ছোড়ার মতই!
দেখেন আমার কথাটা সর্বক্ষেত্রে মেলে কিনা! যদি মেলে তাহলে আলোচনা বাড়ানো যেতে পারে
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনি নিজেই বলছেন ক্ষমতার আকাঙ্খা জেনেটিক্যাল। এবং ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনার সঙ্গে একমত। মানুষের এই বৈশিষ্ট্যের কথা বিবেচনা করেই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য হয়তোবা ধর্মের আবির্ভাব। কিন্তু সেই শান্তিই যদি না এসে ধর্ম যদি হানাহানি এবং হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কারন হয়ে দাড়ায় তবে ধর্ম কি ব্যর্থ নয়?? আমার পোস্টের মূল প্রশ্ন এটাই। বিশ্বব্যাপী সেই শান্তি কি আদৌ হয়েছে? বরং ধর্মীয় সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে মানুষ হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন, ধর্ম কি শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ নয়??
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ বা সুযোগ রাখার কারনে?? আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১
নতুন বলেছেন: যুদ্ধ মারামারী লাগে মানুষের ক্ষমতার লোভের জন্য....
কোন ধমে`ই বলেনাই মানুষ মাইরাফালা... সবাই শান্তির কথাই কইছে... কিন্তু যখন দরকার পরে তখন ঐ ধমের দোহাই দিয়া যুদ্ধ হালাল করে নেতারা....
ধম` ট্রাফিক আইনের মতন.... সবাই যদি অপরের কথা চিন্তা কইরা গাড়ি চালায় তাইলে ট্রাফিক আইনের দরকার নাই... কিন্তু অধে`ক মানুষই তা করবে না... তাই আস্তে আস্তে ট্রাফিক আইন তৌরি হইছে...
তেমনি ধম` মানুষের প্রয়জন অনুযায়ী মডিফাই হইছে...
তাই ধম` না সব ভ্যাজালের মুল হইতেছে মানুষের খাসিলত আর কিছু না...
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনি বলছেন ভেজালের মূল হচ্ছে মানুষের খাসলত। ভালো কথা। এই খাসলতের কথা বিবেচনা করে ধর্ম যদি শান্তির জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে বলা হয়ে থাকে। কিন্তু সেই শান্তিই যদি না এসে ধর্ম যদি হানাহানির কারন হয়ে দাড়ায় তবে ধর্ম কি ব্যর্থ নয়?? আমার পোস্টের মূল প্রশ্ন এটাই। বিশ্বব্যাপী সেই শান্তি কি আদৌ হয়েছে? বরং ধর্মীয় সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে মানুষ হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন, ধর্ম কি শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ নয়??
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ বা সুযোগ রাখার কারনে??
১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধর্ম কখনও অশান্তির কারণ হতে পারে না।
আমার দৃষ্টিতে লোভ সব অশান্তির মূলে।
সেটা ক্ষমতার লোভ হউক আর অর্থের লোভ হউক কিংবা ভালবাসা পাওয়ার লোভ হউক।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বলা হয়ে থাকে ধর্ম শান্তির জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী সেই শান্তি কি আদৌ হয়েছে? বরং ধর্মীয় সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে মানুষ হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন, ধর্ম কি শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ নয়??
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনে??
১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: ..
দুনিয়ায় অশান্তির মূলে আছে "শয়তান", যে আল্লার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলো মানবজাতিকে পথভ্রষ্ট করবে এবং বিভ্রান্ত করবে।
শয়তান is a super intelligent and supernatural being. He can move, travel multi-dimensions. He is created from flame of fire.
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: শয়তানকে কে বানাইছে?? সব দায় তাহলে তার ওপরই বর্তায় যিনি শয়তান পয়দা করেছেন। সব অশান্তির মূল তাহলে তিনিই । নাকি ?? তাহলে 'শান্তি'র ধর্ম বলার দরকারটা কি??
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ধূসর পানিপোকা বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।স্রষ্টার বর্ণণা দেখে বোঝা যায় সেই সময়ের সভ্যতার বুদ্ধিমত্তার ধাপ ।হাজার হাজার ধর্ম ছিল।যে সময়ে বুদ্ধিমত্তা যেমন ছিল সে সময়ে স্রষ্টার বর্ণণা তেমন ।যত পুরাতন ধর্ম তত লেজে গোবরে অবস্থা ।মিথের কোয়ালিটির সাথে ধর্মীয় ঈশ্বরের ধারণা সমানুপাতিক ।ফেরেশতার কোন স্বাধীন ইচ্ছা থাকে না ।ইবলিসের আগে কোন শয়তান ছিল না ।তাকে কেউ কুমন্ত্রনা দেয় নাই ।তাহলে এক উপায়েই সে অবাধ্য হতে পারে ।আল্লাহ নিজেই যদি অবাধ্যতা প্রবেশ করিয়ে থাকেন।তাছাড়া আর কারো সে ক্ষমতা নাই ।তার আগে কোন শয়তান ও নাই।নিজেই শয়তানি প্রবেশ করিয়ে সিজদাহ করতে বলছেন আদমকে ।তিনি সৃষ্টিই করেছেন এমনভাবে যেন অবাধ্য হয় ।তো শয়তানের ই কি দোষ আর আদমেরই কি দোষ !লো কোয়ালিটি মিথ এন্ড লো কোয়ালিটির গড ।এটা বোধহয় সবচেয়ে আধুনিক ধর্মগুলোর মিথ ।
১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মেংগো পিপোল বলেছেন: ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর সার্বজনীন ব্যখ্যা কি? ধর্মীয় একই বাণীর ব্যাখ্যা মাওলানা বা পুরুতভেদে ভিন্ন হয়। শিয়া, সুন্নি, আহমদীয়া, কাদিয়ানী থেকে শুরু করে শুধুমাত্র মুসলিমদের মধ্যেই হাজারটা বিভাজন। এবং এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মারামারি-ঠাপাঠাপি লেগেই রয়েছে। আবার প্রত্যেক গোষ্ঠীই কোরান-হাদিসকে অনুসরণ করেন।
ভাই, একজন মানুষ যখন কোন ধর্ম নিয়ে জীবনযাপন করে তখন তো তার অন্য কারো কাছে তার ধর্মের ব্যাখ্যা জানার দরকার নাই, আপনি যেহেতু নিজেও নিরপেক্ষ না হয়ে ইসলাম নিয়ে ঠাপা ঠাপি (শব্দটা আপনার কাছ থেকে কপি করা) করলেন তাই ইসলামের কথাই বলি, দেখুন ইসলাম পালনের জন্য কোরআন আর হাদিস গ্রহন্থ আছে, আপনার যখন কোরআন আর হাদিস দুই টাই স্পর্শ(কোথাও কোথাও ধর্ম গ্রহন্থ স্পর্স করলেও জাত যায়, ইসলামে এমন কোন নিয়ম নেই) করার অনুমতি আছে সুতারং নিজেই কোরআন হাদিস পড়ে সিধ্বান্ত নেবার সুজগ আছে ঠিক বেঠিকের। তবে মানুষের মধ্যে একটা চিন্তা ঢুকে গেছে, "কত সর্টে ধর্ম পালন করা যায়"। ইসলাম পালনের জন্য মোল্লাদের কাছে যাওয়া জরূরী না এটা বুঝতে হবে সবার।
সুন্নীদের হাতে শিয়া এবং শিয়াদের হাতে সুন্নী খুন হচ্ছে। প্রত্যেকেই নিজেদেরটা ঠিক মনে করে এবং অপরটাকে বেঠিক মনে করে।
ঠিক যেভাবে আপনি যেটা বিশ্বাস করেন সেটাকে ঠিক ভেবে ইসলামেকে ঠাপাইতে আসছেন।
পাকিস্তানে তালেবানেরা মসজিদে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমাদের দেশের অনেক মুসলিম বলবে, ওরা ইসলামের পথে নেই। কিন্তু তালেবানেরা যারা এই কাজটি করছে তাদের বক্তব্যও জানা উচিত। তারাও কোরান বের করে জিহাদের জন্য কত কিছু করা যায় তারও ব্যাখ্যা দিবে। অর্থাৎ সবার কাছেই তালগাছ আমার। এখানে সার্বজনীন কোনো মানদণ্ড নেই।
খুনীর কাছেও খুন করার পেছনে হাজারটা যুক্তি আছে। তাই বলে যদি আপনি বা কেউ খুনির যুক্তিকে মেনে নেন, কারো কিচ্ছু করার নাই।
এই সামহয়্যারেই কত মুসল্লি ধর্মীয় পোস্ট মারার মাধ্যমে ডিজিটাল তাবলীগ করছেন। এই মুসল্লিদের মধ্যেও কিবোর্ডের ঠাপাঠাপি লেগেই রয়েছে। কেও বলে জাকির লায়েক ভুল, কেও বলে সঠিক। এবং একে অপরকে নির্বোধ জ্ঞান করেন। যদিও এটা কিবোর্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে তাই রক্ষা। কিন্তু সার্বজনীন গ্রাহ্য ব্যাখ্যা না থাকায় পৃথিবী জুড়ে চলছে ঠাপাঠাপি। অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যেও বিভাজন রয়েছে। তবে তূলনামূলকভাবে সহনশীল হওয়ায় তাদের মধ্যে ঠাপাঠাপির মাত্রা কম মুসলিমদের তূলনায়। ঠাপাঠাপির মাত্রা কম হোক বা বেশি হোক, ধর্মগন্থ তথা ঈশ্বরের বানীর সার্বজনীন না হওয়ায় পৃথিবীজুড়েই অশান্তি রয়েছে। যদিও কথিত শান্তির জন্যই নাকি ধর্মের উৎপত্তি।
ঐ প্যারাটা আপনার পোষ্টের মধ্যে একটা ভ্যা ভ্যা সুচক আওয়াজ করলো এবং আপনার এই পোষ্ট দেয়ার কারন ধরা পরে গেলো। দেখুন আপনি জাকির নায়েক কে অবগ্যা করে লিখলেন জাকির লায়েক, মানে আপনিও ওনার কথা মানতে পাড়তেছেন না বা আপনিও একটি পক্ষকে সমর্থন করে ধর্মের বুরুদ্ধে এখানে ঠাপা ঠাপি করছেন। আবার ব্লক করা লাইনে সুকৌশলে অন্য ধর্মের ঠাপা ঠাপি এড়িয়ে গেলেন। এবং প্রধান জোড় দিলেন ইসলমাকে হেয় করার জন্য। আপনি নাস্তিক না সেটা প্রমান হয় নিশ্চুপ শরিফ ভাইয়ের কমেন্টসের জবাবে। মানে এই প্যারায় আপনি কিছু ধর্মের সমর্থন করে গেলেন ইসলাম ছারা। বংলাদেশে ইসলামের পরই হিন্দু ধর্মের অবস্হান। বোঝা যায় ইসলাম ভিন্ন অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে বলা থেকে কেনো বিরত থাকলেন।
শান্তির জন্য ধর্মের আবির্ভাব হলেও ধর্মের কারনেই মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে।
ভাই কেবল ২য় বিশ্ব যুদ্বে যে পরিমানে লোক মারা গেছে তার সিকি ভাগও মারা যায় নাই ধর্ম যুদ্বে। আর যেকোন ব্যাপারেই আপনাকে দেখছি ধর্মকে দায়ী করে বসে থাকছেন। কম্পিউটার এই শতকের সেরা যন্ত্র এখন কেউ যদি কম্পিউটারে পর্ন দেখে বা এটার মধ্যমে অনের সাইট হ্যাক করে তাহলে সেই দোষটা কার কম্পুইটারের নাকি যে এই অপকর্ম গুলা করলো। এখন আপনার মত মানতে গেলে সব কম্পিউটার ফেলে দিতে হবে।
আমার প্রশ্ন হলো, ধর্মে বা ধর্মীয় গ্রন্থে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো কেন? ধর্মে বা ধর্মীয়গ্রন্থগুলোতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনেই তো এতো অশান্তি। এর ব্যর্থতাও ধর্মের ওপরই বর্তায়। সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনে??
হা হা, আপনার কথা গুলোই অন্যভাষায় লিখি, আপনার প্রশ্ন হলো কেনো পুরুষকে কেবল পুং জনন অংগ দেওয়া হলো, কেনো পুরুষ অংগের পাসেই একটা স্ত্রী প্রজনন অংগ দেওয়া হলো না, কেবল পুংজনন তন্ত্র থাকার কারনেই যত গোল, বিয়ে করার ঝামেলা, নারী ধর্ষন লেগেই আছে। মানুষ- পুরুষ, নারীতে বিভক্ত হয়েছে। পুং এবং স্ত্রী জনন অংগ একসাথে না থাকায় নারী পুরুষে ঠাপা ঠাপি (শব্দটি আপনার কাছ থেকে ধার করা) করছে। এই ধর্ষনের দায় তাহলে কার উপরে বর্তায়?? ধর্ষন কারীর নাকি ভুল অংগ দান কারীর।
এবার আপনার উদ্যেশে এবং ব্লগার @সাউন্ডবক্স এর জন্য দুটি কথা, ধর্মকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে তাসলিমা আপারর ধর্মের বিপক্ষে বলা নারীর জরায়ুর স্বাধিনতা মেনে নিন। আপনাদের ভাগ্য ভালো যে আপনার বাবারা তখন তাসলিমার কথা মানেনি, মানলে এখন বাবার নামের জায়গায় কার নাম লিখতেন ভেবে দেখুন।
শেষে লালন ভদ্র লোকের একটা গান দিয়ে দিলেন, যার অনুসারীরা একে অপরের সেবা দাশী ভাগ করে ঠাপা ঠাপি করে ( শব্দটির চরম ব্যাবহার মহান আনার কাছ থেকেই শেখা) গন্জিকাতে সিদ্ধি খোজে। ওনার দেখানো পথেই তো নানান ঠাপা ঠাপি, ফরিদা পারভিন লালান অনুসারী কিনা তা নিয়াও তিন পৃষ্ঠার লেখার পুরাটাই ঠাপা ঠাপি পরতে হয় এই ব্লগে। লেখেন আপনারাই। আবার খোদ ফরিদা পারভিনই বলেন সাহ আব্দুল করিব বাউল না। ভাই ঠাপা ঠাপি সব জায়গায়ই আছে, আর একটা কথা, ঠাপা ঠাপি না থাকলে আপনে দুনিয়ার মুখ দেখতেন কি না, ভেবে দেখেন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৩
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার সব কথাই অবান্তর, অপ্রাসাঙ্গিক এবং হাস্যকর। আপনার চতুষ্পদীয় মস্তক থেকে প্রসূত কিছু বাক্যের উত্তর দেই:
১. যুক্তরাষ্ট্র কি ধর্মকে ব্যবহার করে আফগানিস্তান, ইরাকে হামলা চালায়নি?? বহু বড় অশান্তির মধ্যে ধর্ম নিবিড়ভাবে জড়িত। এবং যুগ যুগ ধরে অশান্তি তৈরি হচ্ছে। যারা পরিসংখ্যানিক হিসাব আপনি ১০ টা মহাযুদ্ধ দিয়েও করতে পারবেন না।
৩. আপনি বললেন আমি অন্য ধর্মের ঠাপাঠাপি এড়িয়ে গেছি।
আমার বক্তব্য: এসব আচুদা কথার উত্তর দিতে ইচ্ছা করে না।
৪. আপনি সার্বজনীনতা বোঝাতে গিয়ে যৌনাঙ্গর যে উদাহরণ টানলেন তা সবচেয়ে বেশি হাস্যকর অবান্তর আর ফালতু।
মানুষের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যেই নেতিবাচক দিক রয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থ এবং চাওয়া পাওয়ার জন্য মানুষের ঠাপাঠাপি বন্ধেই তো ঈশ্বর বাণী পাঠালেন। সেই বাণীতে মানুষ নানানভাগে বিভক্ত হয়ে ঠাপাঠাপি করে গেলো। তাহলে ব্যর্থতা কার??
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ও প্রথম অংশটি সবচেয়ে বেশি অবান্তর। আপনি বোধহয় সার্বজনীন শব্দের মানে জানেন না। আপনি বলছেন অন্যের কাছ থেকে ধর্ম না জেনে কোরান হাদিস পড়তে। কোরানের আয়াত আপনি বুঝবেন আপনার মতো করে, আমি বুঝবো আমার মতো করে। তালেবানেরা বুঝবে তালেবানদের মতো করে। শিয়া-সুন্নী -কাদিয়ানি - আহমদিয়া থেকে শুরু করে সবাই কোরান হাদিস অনুসরণ করে। আপনি বলবেন আপনিই সঠিক, অর্থাৎ সুন্নি সঠিক পথে আছে। অন্য গোষ্ঠীগুলোও নিজেদের সঠিক দাবি করে। এখানে সার্বজনীনতা কোথায়?? যুক্তি না বুঝে মন্তব্য না দেওয়ার আহবান জানাই আপনাকে।
১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা জ্ঞানী মানুষদের পরীক্ষা করতে চান , কে তার কথা গুলো অনুধাবন করতে পারে , তার কথা গুলো কে বুঝতে পারে , সার্বজনীন বাণী দেয়া হলে পৃথিবীতে অশান্তি বলে কিছু থাকত না , শুধুই শান্তি , রহমত বিরাজ করত , তাই বলে এই নয় যে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে অশান্তি চান , তিনি তার সৃষ্টি কে এর মাধ্যমে পরীক্ষা করেন , মোট কথা যারা তার কথা গুলো কে বুঝে নিতে সক্ষম হবে তারাই প্রকৃতরূপে সফল হবে আর সৃষ্টিকর্তার রহমত এর ছায়াতলে থাকবে। কোরান এর একটা আয়াত মনে পরছে বাংলায় এই মুহুর্তে , ''এটি এমন এক কিতাব যার মধ্যে জ্ঞানী দের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ'' ...(কত নম্বর আয়াত অথবা সুরা এই মুহুর্তে মনে নেই )
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আমি কয়েকদিন আগে আমার এক আত্মীয়’র কাছে টাকা ধার চেয়েছিলাম পরীক্ষা তাঁর মানসিকতা পরীক্ষা করার জন্য। পরীক্ষায় ফল: তিনি আমাকে সহজভাবেই ধার দেন। আমি যদি আগে থেকেই পরীক্ষার ফল জানতাম তাহলে এই পরীক্ষার নাটক করতাম না।
সৃষ্টিকর্তা পরীক্ষা করবেন কেন? তিনি কি পরীক্ষার ফল জানেন না? আচুদা সব কথাবার্তা
১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিন্তু সেই শান্তিই যদি না এসে ধর্ম যদি হানাহানি এবং হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কারন হয়ে দাড়ায় তবে ধর্ম কি ব্যর্থ নয়?? আমার পোস্টের মূল প্রশ্ন এটাই।
প্রশ্ন গুলো মনে হয় খুব কঠিন কিছু নয়। তবে যুক্তি তর্কে আগানোর জন্য যদি আপনি কোনো কিছু জানতে চান তাহলে সেটা অবশ্যই উপভোগ্য হয়।
উত্তরটা এভাবে দেয়া যায়। আইনস্টাইন যখন ভরের সাথে গতির সূত্রটা বের করে দিলেন তখন পদার্থবিজ্ঞানের জন্য সাবএটমিক আর স্ট্রিং লেভেলের দ্বার খুলে যায়। কিন্তু আইজেনহাওয়ার আর আমেরিকা মিলে বানায় এটম বোম। নিক্ষেপ করলো হিরোশিমা নাগাসাকিতে।
দোষটা কি তবে বিজ্ঞানের? আবার ধরা মডিফাইড জেনেটিক্যাল এমব্রায়ো দিয়ে এখন অনেক রোগের চিকিৎসার কথা ভাবা হচ্ছে কিন্তু এর গোড়াপত্তন শুরু হয় মার্স গ্যাস দিয়ে। আপনি কি জেনেটিক্যাল সায়েন্সকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন?
আপনি অবশ্য তা করবেন না। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন ঈশ্বরের ভূমিকা কি? ইসলাম আর খ্রিষ্টধর্মেই কিন্তু ফ্রি উইল মানে মানুষে নিয়ত স্বাধীন সেটার কথা বলা আছে স্পষ্ট এবং সরাসরি ভাবেই। অন্যান্য ধর্মে কি বলা আছে জানি না। মানুষের সবকিছু নিয়ন্ত্রিত যতই করা হোক না কেন যেহেতু মানুষের ক্ষমতা আছে তার ফ্রি উইল অনুসরন করে পারিপার্শ্বিকতাকে পরিবর্তন করার সেহেতু সবকিছুই সম্ভব এবং সেটা সম্ভব ঈশ্বর নিয়ন্ত্রিত মহাবিশ্বেই। আপনার জন্য সবচেয়ে বড় উদাহরন কোষের ভেতর মাইটোকন্ড্রিয়া আর নিউক্লিয়াসের ব্যাপারটা দেখেন যার সবকিছুই এমাইনো এসিড দিয়ে তৈরী কিন্তু তাদের কাজ গুলো ভিন্ন এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের জন্ম দিচ্ছে!
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ বা সুযোগ রাখার কারনে?? আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
এটা আমিও ভেবেছি সার্বজনীনতা নিয়ে। কিন্তু এটা যদি হতো তাহলে জীব বৈচিত্রের কলোরল বা স্বতঃস্ফূর্ততা বলে কিছু থাকতো না। এই স্বতঃস্ফূর্ততা আছে বলেই আজকে বিভিন্ন কিছুর জন্ম। ঈশ্বর কিন্তু এটাও বলেছেন যে এই ফ্রিউইলের কারনেই সবকিছু নির্ধারিত হওয়া স্বত্বেও এতকিছু পজিটিভ নেগেটিভ ঘটছে। ডারউইনের এভুলুশন এই জন্যই বলেছে সারভাইভেল অব দ্য ফিটেস্ট। সকল ধর্মের বানী কিন্তু আপনাকে পথ দেখানো ঘাড়ে ধরে সেটা করানো না।
আপনাকে একটা উদাহরন দেই আপনি যখন কোনো ট্রিপল এর ফিজিক্সের জার্নাল অথবা আই ট্রিপল ই এর কোনো জার্নাল পড়বেন সেখানে কিন্তু ওখানে স্টেপ বাই স্টেপ কিছু লেখা থাকে না। কোন তত্বে এবং সেটার ইমপ্লিমেন্টেশন কিভাবে হয়েছে সেটা লেখা থাকবে আর যন্ত্রের বর্ননা থাকবে। তার কোড গুলো শুধু সেটার জন্যই। আপনি এখন যদি মনে করেন অন্য একটা প্রসেসর দিয়ে ঐ তত্বের ওপর ভিত্তির একই আউটপুট পেতে চান সেটাও সম্ভব। আপনি আউটপুট নিয়ন্ত্রন করতে চান সেটাও সম্ভব। জার্নাল পেপার মানে এই না যে ঘাড়ে ধরে করানো।
ধর্মের বানীর সাথে জার্নালের এই একটাই পার্থক্য সেটা হলো যদি আপনি এই তত্ব না মানেন তাহলে আপনার পরিনতি বলা থাকে যেটা জার্নালে বলা থাকে না। আর তাই বিজ্ঞান কখনো ধর্ম নয়।
আর ধর্মকে দোষালেন আপনি এই জন্য যে ঈশ্বর সুযোগ করে দিয়েছে তাকে সেভাবে ব্যাব হার করার জন্য। কিন্তু যদি আমি বলি ঈশ্বরের এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি সেটার কারনই হলো দেখা আপনার সামনে দুটো রাস্তা তৈরী করে দেখতে চাওয়া আপনি কোন পথে যান...তাহলে তো সেখানে ধর্মকেও দোষানোর কিছু নেই।
আপনি ব্যাক্তিগত ভুলের জন্য পুরো সিস্টেমকে গালি দেবেন এটা কি লজিক্যাল?
আরেকটু ভেঙ্গে বলি.....হাসিনা-খালেদার কুকর্ম দেখে আপনি পুরো রাস্ট্রব্যাবস্হা বা গনতান্ত্রিক ব্যাবস্হার দোষারোপ করবেন সেটা কি বুদ্ধিমানের কাজ?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন, আপনি প্রথমত মানুষের কর্মকাণ্ডের উদাহরণ দিয়ে সৃষ্টিকর্তার বাণীর উদাহরণ দিলেন। সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মানুষের তূলনা রীতিমতো অবান্তর। প্রথমত, আইনস্টাইন কাজ করবেন বিজ্ঞানের জন্য । তার তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে কেও ধ্বংসাত্মক কাজ করলো কিনা সেটার জন্য সে দায়ী নয়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার বাণী হবে সবার শান্তির জন্য । যেটা বলা হয়ে থাকে। ঈশ্বর কি জানতেন না , তার বাণীর ভূল ব্যাখ্যা করে জগতে অশান্তি সৃষ্টি হবে। তিনি যদি জেনেই সেটা করে থাকেন, তাহলে কথিত শান্তির বানীর সাইনবোর্ড দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। সৃষ্টিকর্তার কর্মকাণ্ড মানবিক প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করে সৃষ্টিকর্তাকে মানুষই বানিয়ে ফেলেন আপনারা। এ নিয়ে আমার একটি পোস্ট রয়েছে আপনাকে পড়ার আহবান জানাই।
Click This Link
আশা করি মানবিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার কর্মকাণ্ডের তূলনা করবেন না। আর যদি করেন তাহলে বলেন, সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান নয়, তিনি মানুষ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আর একটা কথা, আমি বলেছি, একটিমাত্র ধর্মগ্রন্থ ব্যাখ্যা করেই মানুষ হাজারটা পদে বিভক্ত হয়ে পড়ে ঠাপাঠাপিও করছে। এখানে সার্বজনীনতা কোথায়। ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যা কোনটা সঠিক সেটা কে নির্ধারণ করবে?
আর যদি স্রষ্টা জানতেনই যে বিভক্তি তৈরি হবে, তাহলে তিনি বিভক্তি সৃষ্টির জন্যই ধর্ম দিয়েছেন। তাই নয় কি? তাহলে কথিত শান্তির কথা না বলাই ভালো ছিল। সেটাই নয় কি?
গণতন্ত্র মানুষের সৃষ্টি, ধর্মগ্রন্থও কি মানুষের সৃষ্টি? কাজেই মানুষের সৃষ্টি দিয়ে ঈশ্বরের সৃষ্টির ব্যাখ্যা দেন কিভাবে? আর গণতন্ত্র যদি বি্শ্বের কোথাও শান্তি আনতে না পারে তবে সেটাও গণতন্ত্রেরই ভুল। সেটা আলাদা বিষয়। আমি আপনাকে মানবিক উদাহরণ দিয়ে স্রষ্টার কর্মকাণ্ডের উদাহরণ না দেওয়ার আহবান জানাই।
১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
খাটাস বলেছেন: বিরাট প্রশ্ন।
বেক্তিগত কিছু কথা বলতে চাই।।
আমরা মুসলমানরা বিশ্বাস করি। আল্লাহ পাক দুনিয়া কে আমাদের পরিক্ষা হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। ইসলাম মেনে চলার পরিক্ষা। কোরআন আর হাদিস হচ্ছে আমাদের এই পরীক্ষার গাইড। আবার কোরআন এই বলা আছে, " সারা পৃথিবীর সব পাতা কাগজ আর পানি কালি হয়ে গেলেও কোরআনের ব্যাখ্যা লিখে শেষ হবে না। " কোন সুরা মনে পরছে নাই,আ মি এত জান্নে আলা নই। তবে জোড় করলে বলতে পারব খোঁজ খবর নিয়ে। তার মানে কোরআন এই ভুল ব্যাখ্যার স্থান রাখা হয়েছে, কিন্তু কেন? শান্তি প্রতিষ্ঠার ধর্মে কেন সবার জন্য এক বানি রাখা হল না? দোষ তো তাহলে স্রস্থার ওপর বর্তায়, তাই না?
আফসোস ধর্ম নিয়ে বলতে বিজ্ঞানের সৃষ্টি কেই উদাহরন দিতে আনতে হচ্ছে।
আপনি ছোট বাচ্চাদের জন্য ভিডিও গেমস গুলো দেখেছেন। ধরুন কোন স্টেজ গেম, সেগুল তুলনামুলক অনেক সহজ।
এবার আপনি যদি কোন সাইবার গেমস প্রতিযোগিতার কথা চিন্তা করেন, সেটা তুলনা মুলক কঠিন হবেই, কারন বিজয়ীকে বড় পুরস্কার দেয়া হবে। ধরেন সাইবার গেমসের জন্য একজন প্রোগ্রামার একটা স্টেজ গেমস বানাল। যেখানে শেষে বস কে মেরে নায়িকা উদ্ধার করতে হবে। স্তারতিং থেকে বস পর্যন্ত যেতে বনের ভিতর দিয়ে, পানি দিয়ে, আকাশ দিয়ে তিনটা রাস্তা বানান হল যেগুলো দিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে গেলেও বসের কাছে যাওয়া যাবে। আবার প্রোগ্রামার এমন কত গুলো পথ বানালেন যেগুলোর শেষ এমন একটা জায়গায় যা বস পর্যন্ত যায় না, বা ঘুরে ফিরে আগের জায়গায় আসে। মুলত গেমস টাকে কঠিন করার জন্য। এখন গেমার কোথায় গিয়ে পৌছবে, তার জন্য কি আপনি প্রোগ্রামার কে দায়ি করবেন? প্রোগ্রামার তো প্রতিযোগিতা টা কঠিন করেছেন, কারন জয়ির জন্য পুরস্কার আছে। আর সাইবার গেমসে কোন শিশু বা গেমস সম্পর্কে অজ্ঞ কে তো ঐ কঠিন গেম দেয়া হয় না।
যেখানে, ইসলামে মানুষ কে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ আশরাফুল মাখলুকাত বলা হয়, কারন মানুষ জ্ঞানে গুনে অনন্য। সেখানে পৃথিবীতে তাদের পরীক্ষার জন্য পরকালে আল্লাহ পাক অকল্পনীয় পুরস্কারের ওয়াদা করেছেন, সেখানে পরীক্ষাটা কঠিন করাই তার দোষ হয়ে গেল? মানা না মানা তো মানুষের হাতেই দেয়া আছে, সে কোন পথে যাবে- এটা মানুষের ব্যাপার। কিন্তু এর মানে এই না যে তিনি চান মানুষ হেরে যাক। মানুষের ক্ষমতা আছে জয়ি হউয়ার- তা সবার ই সেই কারনেই পরিক্ষা টা কঠিন। বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।
আপনি যদি বলেন , ঠিক আছে, তাহলে কোন ব্যাখ্যা সঠিক?
তাহলে বলব, এটা আপনার প্রথম প্রশ্ন ছিল না, এটা দ্বিতীয় প্রশ্ন।
প্রথম প্রশ্নে একমত হলে দ্বিতীয় প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
আপনি বিপক্ষ যুক্তি দেখাতে পারেন। আমি ও কিছু জানতে পারব।
তবে অবশ্যই প্রশ্ন করবেন না এই ব্যাখ্যা কোন আলেম দিয়েছেন,
শুভ কামনা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: খাটাস সাব কিছু মনে করবেন না। হুরপরীর লোভ দেখিয়ে যে পরীক্ষা সেটাকে আমি নিকৃষ্ট মনে করি। এ নিয়ে আমি এখন আলোচনায় যেতে চাচ্ছি না।
যাইহোক আসল কথায় আসি
সৃষ্টিকর্তা কি ছোটোলোক শিরোনামে আমার লেখাটার যথার্থতা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন আপনারা সব সময় মানবিক নানা উদাহরণ টেনে। পরীক্ষা নেয় মানুষ। কারন মানুষ পরীক্ষার ফল জানে না।
আমি কয়েকদিন আগে আমার এক আত্মীয়’র কাছে টাকা ধার চেয়েছিলাম পরীক্ষা তাঁর মানসিকতা পরীক্ষা করার জন্য। পরীক্ষায় ফল: তিনি আমাকে সহজভাবেই ধার দেন। আমি যদি আগে থেকেই পরীক্ষার ফল জানতাম তাহলে এই পরীক্ষার নাটক করতাম না।
সৃষ্টিকর্তা পরীক্ষা করবেন কেন? তিনি কি পরীক্ষার ফল জানেন না? দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, লোভ আর ভয় হলো দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজের উৎস। লোভ আর ভয় দেখিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার কাছ থেকে অ্যাজ ইউজুয়াল ধার্মিকদের মতো মন্তব্য প্রত্যাশা করি নাই।
১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: স্রষ্টার তুষ্টি, অতুষ্টি, পরীক্ষা করা, তোষামোদ নেওয়ার বাসনাসহ সব মানবিক অনুভূতিই রয়েছে। তার মেজাজও নাকি খারাপ হয়। একবার এক পয়গম্বর নাকি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, গজব নাজিলের সময়তো ভালো মানুষও মারা যায়, কেন?? তিনি বলেছিলেন এর উত্তর পরে দেবেন। তো একদিন ওই পয়গম্বর রাস্তা দিয়ে স্রষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। পথে কিছু পিপড়া তার পা কামড়ায়। ওই পয়গম্বর এক ডলা দিয়ে সব পিপড়া মেরে ফেলেন।
স্রষ্টার সঙ্গে দেখা করার পর স্রষ্টা জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি সব পিপড়া মারলে কেন? এইবার সে গজবে ভালো মানুষ কেন মারা যায় তার উত্তর পায় । হা..হা...হা..
মানুষের জানার ক্ষমতা নেই কোন পিপড়া তাকে কামড়েছে। তাই ডলা দেওয়ায় তার একমাত্র পথ। স্রষ্টাও মানুষের মতো জানার ক্ষমতা নেই। তার অন্যভাবে ব্যবস্থা নেওয়ারও ক্ষমতা নেই। তিনি ডলা দিয়ে ভালো মানুষও মেরে ফেলেন। হা..হা.....
অথচ আবার তিনি নাকি সর্বশক্তিমান?? হা..হা..
১৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
খাটাস বলেছেন: হাহাহা ভাই আপনাকে আপনার মন মত উত্তর দিতে না পারায় খারাপ লাগছে।
লেখক বলেছেন: খাটাস সাব কিছু মনে করবেন না। হুরপরীর লোভ দেখিয়ে যে পরীক্ষা সেটাকে আমি নিকৃষ্ট মনে করি।
হাহাহা ব্যাপার টা বেশ মজা লাগল। আপনি কি মনে করেন তা তো পরের কথা। আলোচনা হচ্ছিল পদ্ধতি টা নিয়ে। আমি সেই ব্যাপারে বলার চেষ্টা করেছি। মুলত গেমস এর কথা টা যেহেতু আপনার মানবিক চিন্তা থেকে নেয়া মনে হয়েছে, তাই আপনি ব্যাপার টা পছন্দ করছেন। কিন্তু আপনি এক প্রশ্নের উত্তরের কিন্তু আপনার আগের প্রশ্ন নিয়ে আসলেন, সৃষ্টি কর্তা কি ছোট লোক কিনা?
আপনি ঠিক কি ধরনের উত্তর কি ভাবে আশা করছেন, বোঝা দায় ভাই। গেমস এর কথা দিয়ে জাস্ট একটা লক্ষ্য আর কিছু কন্ডিশন দিয়ে একটা পরীক্ষার সিচুএসন বোঝান হয়েছে। পরিক্ষা, কন্ডিশন আর লক্ষ্য কে ও যদি আপনি প্রথমেই মানবিক উদাহরন মনে করে অযৌক্তিক বলেন, তা হলে আমি কেন কেউ ই বুঝবে না- আপনি আসলে উত্তর টা কিভাবে চাচ্ছেন।
আপনি পদ্ধতির প্রশ্নে কি ধরনের উত্তর চাচ্ছেন?
আমার কথার প্রেক্ষিতে আপনি আগের সৃষ্টিকর্তা বিষয়ক যে প্রশ্ন টা এনেছেন, তা এক তরফা ভাবে সব সময় বিচার করলে কখন আলোচনা এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
ধরুন, একটা গ্লাসে অর্ধেক পানি আছে। আপনি বলতে পারেন, গ্লাস টা অর্ধেক ভরা বা অর্ধেক খালি?
আপনার সৃষ্টি কর্তা বিষয়ক প্রশ্ন টা তেমন ই। আপনি ভাবছেন, আমরা মানুষের মত সৃষ্টিকর্তা কে হিরো ভাবি।
আমাদের বিশ্বাসীরা ভাবি, বিপদে কেউ হিরো হয়ে আসে, সৃষ্টিকর্তার দয়ায়। যা আমরা ধর্মগ্রন্থে শিখেছি, যেমন যুগে যুগে নবি রাসুল এর আগমন। আর মুলত সবাইকে হিরো হবার ই আহবান জানান হয়েছে ধর্মে, সৎ কাজের মাধ্যমে।
আপনি ভাবছেন, সৃষ্টি কর্তা রাগ ভালবাসা আছে, এটা আমারা মানুষের থেকে শিখে তুলনা করছি।
আর আমরা ভাবছি, রাগ ভালবাসার অনুভুতির শিক্ষা টা আমরা সৃষ্টিকর্তা থেকেই পেয়েছি। সেই অনুভুতির আলকেই আমরা তাকে বর্ণনা করি।
সৃষ্টিকর্তা পরীক্ষা করবেন কেন? তিনি কি পরীক্ষার ফল জানেন না? দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, লোভ আর ভয় হলো দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজের উৎস। লোভ আর ভয় দেখিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
ভাই প্রশ্নের উত্তর শুনে যুক্তি টা আপনার পক্ষে যাক, আর বিপক্ষে যাক, কত টুকু যৌক্তিক তা মূল্যায়ন না করে, আপনি তা মানবিয় দোষে দুষ্ট বলে মত দিয়ে আর একটা প্রশ্ন করলে আমাদের উদাহরন মানবিয় দোষে দুষ্ট কেন। মানেন না মানেন। উত্তর গুলোর অর্ডার অব লজিক কে স্বীকার তো করছেন ই না, অনেক গুলো প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন। এভাবে তো কথা বলা আমার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আমি ভেবেছিলাম, আপনি প্রশ্ন করবেন, বিভ্রান্তির সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া সত্ত্বেও ইসলাম শান্তির ধর্ম হয় কিভাবে? কিন্তু উল্টো প্রশ্ন পেলাম, যা উত্তরের সাথে প্রাসঙ্গিক হলে ও একটু পরে আসা উচিত ছিল ভেবেছিলাম।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: এবার আসল কথায় আসি। সৃষ্টিকর্তার স্রষ্টা হলো মানুষ। তাই মানবিকভাবেই মানবিক যুক্তিতেই তিনি চলেন। তাহলে স্রষ্টাকে মানুষই বলেন। সর্বশক্তিমান বলার কি দরকার?? আমি আমার লেখায় বলেছিলাম, সর্বশক্তিমান বলার পর থেমে যেতে হবে । তাকে নিয়ে আর কিছুই বলা যাবে না।
ব
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: এবার আসল কথায় আসি। সৃষ্টিকর্তার স্রষ্টা হলো মানুষ। তাই মানবিকভাবেই মানবিক যুক্তিতেই তিনি চলেন। তাহলে স্রষ্টাকে মানুষই বলেন। সর্বশক্তিমান বলার কি দরকার?? আমি আমার লেখায় বলেছিলাম, সর্বশক্তিমান বলার পর থেমে যেতে হবে । তাকে নিয়ে আর কিছুই বলা যাবে না।
ব
১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মেংগো পিপোল বলেছেন: তালগাছ পন্থি কিছু মানুষ এখোন দুনিয়ায় আছে, যেটা আপনার উত্তর দেখলে বোঝা যায়, আর মানুষের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যেই যে নেতিবাচক দিক রয়েছে, সেটা আপনার ভাষা ব্যাবহার দেখলেই বোঝা যায়। যদিও বা আপনি মানুষ হন।
যুক্তরাষ্ট্র কি ধর্মকে ব্যবহার করে আফগানিস্তান, ইরাকে হামলা চালায়নি?? হ্যা চালিয়েছে, কিন্তু তাদের এই নগ্নতার কারন কিন্তু ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা না। তাদের উদ্যেশ্য আর্মস বেচা, আর তেল চুরি করা। আমি তো আগেও বলেছি কম্পিউটারে কেউ পর্ন দেখলে কম্পিউটার দায়ীনা, দায়ী পর্ন জিনি দেখলেন তিনি। আর একটা কথা বলেনতো আমেরিকা এখন কোন ধর্মের কারনে সিরিয়ার হামলা করতে চাচ্ছে?? আর আলেকজেন্ডার কি কারনে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ মেরে ছিলেন??
৩. আপনি বললেন আমি অন্য ধর্মের ঠাপাঠাপি এড়িয়ে গেছি।
আমার বক্তব্য: এসব আচুদা কথার উত্তর দিতে ইচ্ছা করে না।
আবারো সু কৌশলে একটা গালির ব্যাবহার করে এড়িয়ে গেলেন ল্যান্জা বের করার হাত থেকে। গিরগিটি কখন পাদ মারে জানেন যখন সে নিজের আত্য রক্ষার জন্য আর কিছু পায়না। আপনি বায়ু ত্যাগ মর্কা কথা বলে নিজকে যুক্তিহীন প্রমান করে নিজেকেই হাস্য কর করছেন।
আপনি বোধ হয় কোরআন সম্পর্কে জানেন না, কোরআনে নিজের মতা মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার অধিকার কাউকে দেয়নি। আপনি যেটা বুঝলেন সেটা অন্যকে বলতে পারেন, সে না বুঝতে চাইলে তাকে জোড় করা যাবেনা। আর জোড় করার বিধান যদি কোরআনে থাকতো, তা হলে মুসলিম সংখ্যা গিরষ্ঠ দেশ গুলোতে কোন অন্য ধর্মের মানুষ দেখতেন না। জানিনা আপনার আচোদা(আপনার কাছ থেকে শেখা ২য় শব্দ) মস্তিষ্কে এটা ঢুকবে কিনা।
আমি উপরে যে কথা গুলো লিখলাম তার উত্তর আপনার দেবার দরকার নাই। আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্নঃ আপনি ধর্মহীন, কোন সমাজ বা দেশের কথা বলছেন? যেটা হলে পৃথীবিতে শান্তি তে ভরে যাবে? আপনি আমাকে সে রকম একটা দেশ বা জাতীর উদহারন দেন, যারা ধর্ম ত্যাগি হয়ে দুনিয়াতে মহান হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বা যার সাথে তুলনা করে নিজেদের কে সুখের দিকে ধাবিত করতে ধার্মিকেরা ধর্ম ত্যাগ করতে পারে। যদিও ধর্ম ত্যাগী হয়ে আপনার মন্তব্যের ভাষার ব্যাবহারই বোঝা যায় ধর্মহীনতা মানুষ কে কতটা নিচে নামেতে পারে।
আর কোরআন কেইতো হেয়ো করার চেষ্টা করছেন বেশি আপনি। দেখেন কোরআনেই আপনাদের মতন মানুষ সম্পর্কে কি বলা আছে,
তুমি ক্ষমাশীল হও, সৎ কাজের আদেশ কর, আহাম্মকদের থেকে দূরে থাকো. -সুরা আরাফ, আয়াত.১৯৯
ভালো থাকবেন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সুশীল ভদ্দরনোকদের আমি ঘৃণা করি। যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য হামলা চালায়নি। কিন্তু ধর্মকে ব্যবহার করছে অশান্তির কাজে। মুসলিমদের ধর্মীয় উন্মোদনা ব্যবহার করে মুসলিমদেরই গুয়া মারছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবান তাদেরই সৃষ্টি।
যাইহোক যে সার্বজনীনতার মানে বোঝে না তার সঙ্গে কথা বলা অর্থহীন। ফালতু আর অযৌক্তিক কথাবার্তার উত্তর দিতে ইচ্ছা করে না।
আমার এখানে ভদ্দরনোকি চুদাতে আসবেন না। আমার প্রোফাইল দেখে নিয়েন। আপনার মতো বহুত ভদ্দরনোক দেখেছি। আমাদের সমাজের মধ্যবিত্ত আচুদা ভদ্দরনোকদের চেয়ে অশিক্ষিত রিকশাওয়ালা শ্রমিক শ্রেণী অনেক ভালো। ধন্যবাদ
২০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
খাটাস বলেছেন: লেখক বলেছেন: এবার আসল কথায় আসি। সৃষ্টিকর্তার স্রষ্টা হলো মানুষ।
ভেবেছিলাম, আপনি পোস্ট দিয়েছিলেন আপনার একটা ধর্ম বিরোধী প্রশ্ন নিয়ে আলোচনার জন্য। আমরা যারা বিশ্বাসী তাদের অনেকের কাছে আপনার কথা গুলো আপত্তিকর হলে ও আমরা যেমন উদাসি ভাই, মেঙ্গো ভাই রাগা রাগি না করে আপনার সাথে যুক্তি দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছেন, আপনার কাছে সব কিছুই মানবিয় যুক্তি। আপনি কি আশা করেন, তা নিয়ে কনফিউজড হয়ে ছিলাম। কিন্তু আপনার এই মন্তব্য শুনে বুঝতে পেরেছি, আপনি কোন উত্তরের আশায় পোস্ট দেন না বা আলোচনার জন্য পোস্ট দেন না, নিজের জ্ঞান দিয়ে সবার কাছে প্রচার করার চেষ্টা করছেন তাল গাছ আপনার। এই শেষ আসা আপনার পোস্টে।
এটা এ কারনে নয় যে আপনি আমার যুক্তি মানছেন না। এটা এ কারনে যে আপনি আলোচনার জন্য আহবান জানিয়ে নিজের রায় জানিয়ে দিচ্ছেন। মুলত আপনার এহেন তাল গাছ নিতিতে আপনার সাথে হেফাজতিদের মানসিকতার কোন পার্থক্য দেখছি না। তা হচ্ছে যে যা বলুক ভাই, তাল গাছ আমার ই থাকা চাই।
তাল গাছ পন্থী প্রমানিত হলে তার কাছে মাফ ও চাই, দোয়া ও চাই।
আগে ও নাই, পিছে ও নাই।
ইউর লাইফ, ইউর চয়েস, ইউর গেইন ওর ইউর সাফার।
গুড লাক।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: তালগাছ তো আপনারও। আপনি এমন কোনো যুক্তি দেন নাই, যা দিয়ে তালগাছ আপনাকে দেব। আমি তো বলেছি, সৃষ্টিকর্তাকে মানবিকভাবে বিচার করলে তাকে সর্বশক্তিমান বানান কোন আক্কেলে? বলুন তিনি মানুষ বা মানুষের সৃষ্টি।
প্রথম কথা হলো সৃষ্টিকর্তার আলোচনায় সর্বশক্তিমান শব্দটি তুলে নিয়ে বলুন যে মানুষ নিজের মতো করে তাকে সৃষ্টি করেছে। যতোবারই মানবিক উদাহরণ দিবেন ততোবারই সেই কথাই প্রমাণিত হচ্ছে। তাই নয় কি??
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: স্রষ্টা কি জানতেন না তার বানীতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ঠাপাঠাপি করবে?? নাকি ঠাপাঠাপি করার জন্যই তিনি বানী দিয়েছেন। তাহলে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলার কি দরকার ছিল ?? বারবার শুধু মানবিক তত্ত্ব আর উদাহরণ নিয়ে আসছেন। ভালো করে বুঝে মন্তব্য করুন। আমি আবারও বলছি, ভালো করে বুঝে নেন আমি আসলে কি বোঝাতে চাচ্ছি। তারপর বলুন। যৌক্তিক উত্তর আমি গ্রহণ করি।
২১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
দেলোয়ার02 বলেছেন: ধর্ম গ্রন্হ সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন? কয়টা ধর্মগ্রন্হ পড়েছেন? এমনভাবে আপনি কথা বলতেছেন যেন ধর্ম নিয়া একটা পিএইচডি করে ফেলেছেন। বিভিন্ন জনের কমেন্টসের উত্তরে বলতেছেন এটা কোন উত্তর হল না। অশান্তির মুল ধর্মগ্রন্হ নয় বরং ধর্মকে না মানার জন্যই দুনিয়ায় আজ এত অশান্তি। কোন্ ধর্মে লেখা আছে মারামারি কাটাকাটি করতে? ইসলাম ধর্মে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হয়েছে এটা আপনাকে কে বলেছে? আপনি ইসলাম সম্পর্কে জানেন না বিধায় আপনার কাছে এটা মনে হয়েছে। বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত প্রমান করতে পারে নাই কোরআনে ভুল আছে। আন্দাজে মনগড়া কথা বলে ব্লগে হিট বাড়াতে চান তাই না? আগে ধর্ম সম্পর্কে জানেন তারপর ধর্মে কোন ভুল পেলে সেটা প্রশ্ন করে বলেন আপনি কোথায় ভুল পেয়েছেন? আপনি কসমিক রোহানকে প্রশ্ন করেছেন কে আসল আর কে নকল সেটা কে নির্ধারণ করবে? তাহলে ধর্মে তথা ইসলামে ভুল আছে সেটা নির্ধারনের আপনি কে? আপনি কতটুকু জানেন ইসলাম সম্পর্কে। আপনি কোরআনের তাফসির জানেন? আপনি কি ফকিহ বা ফিকহ শাস্ত্র জানেন? তাহলে আপনি কিভাবে বললেন যে ইসলামে তথা কোরআনে ভুল আছে? আপনার মত কিছু দুই লাইন আরবি জানা লোক যারা আরবির কিছুই বুঝে না এরাই বলে কোরআনে ভুল আছে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ভালো করে পড়েন। না বুঝেই আচুদা মন্তব্য কেন দেন বুঝি না বাড়া। আমি কোনো গ্রন্থের ভুল ধরছি না। ব্যর্থতা কোথায় সেটা আপনি বলেন।
কোরান হাদিস ফলো করে এমন মুসলিমদের মধ্যে কতগুলো বিভাজন আছে জানেন?? এই বিভাজনের দায় কার ?? মানুষের?? ধর্মগ্রন্থের প্রবক্তা কি জানতেন না এই বাণীতে বিভক্তি হবে? যদি জানেন, তাহলে শান্তির কথা বলার প্রয়োজন ছিল না। আর যদি জেনেই দেন তাহলে অশান্তির জন্যই দিয়েছেন। বাকিটা আপনারা বলুন। সোজা উত্তর দিন। প্যাচানোর দরকার নেই।
২২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
অচেনা যাত্রী বলেছেন: আপনি যে বিভক্তি নিয়ে পোষ্টটি দিয়েছেন তার কথা ১৪০০ বছর আগেই বলা হয়েছে...
রাসূল (ছাঃ) মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পরিচয় প্রসঙ্গে বলেন, ما انا عليه وأصحابى.‘(মুক্তিপ্রাপ্ত দল) হচ্ছে আমি ও আমার ছাহাবীগণ যে পথের উপর আছি’।
ছহীহ তিরমিযী হা/২১২৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৩৪৮; হাকেম ১/১২৯; আহমাদ বিন হাম্বল, সুন্নাতের মূলনীতি, বাংলায় ইসলাম, (ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সংস্করণ, এপ্রিল ২০০২), পৃঃ ২৪।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, سَتَفْتَرِقُ أُمَّتِيْ عَلَى ثَلاَثٍ وَّسَبْعِيْنَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلاَّ وَاحِدَةً قِيْلَ َمَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ الَّذِيْنَ عَلَى مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِيْ- ‘আমার উম্মত তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে। একটি দল ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে। জিজ্ঞেস করা হ’ল, তারা কারা হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! তিনি বললেন, ‘যারা আমার ও আমার ছাহাবীদের আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত’।
তিরমিযী হা/২৬৪১; মিশকাত হা/১৭১ ‘কুরআন ও সুন্নাহ দৃঢ়ভাবে অাঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০৪৮
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৩
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: তাহলে তো অশান্তির জন্যই.......................... থাক আর কিছু বললাম না।
২৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
অচেনা যাত্রী বলেছেন: পাকিস্তানে তালেবানেরা মসজিদে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
এই কথা কি তারা স্বীকার করেছে ??? নাকি মার্কিন নিয়ন্ত্রিয় মিডিয়ার সুরে সুর মিলিয়ে বলছেন ???
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: হামলার ঘটনাতো ঘটছেই । তাই নয় কি? মূল কথা হলো অশান্তি চলছে। এটাতো অস্বীকার করার কিছু নেই।
২৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
অচেনা যাত্রী বলেছেন: আপনি বলেছেন,
সুন্নীদের হাতে শিয়া এবং শিয়াদের হাতে সুন্নী খুন হচ্ছে। প্রত্যেকেই নিজেদেরটা ঠিক মনে করে এবং অপরটাকে বেঠিক মনে করে। তাহলে ইসলাম ধর্মের সার্বজনীন ব্যাখ্যা কি? কে ঠিক?
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
দু জনের একজন ঠিক, আর একজন ফেতনাবাজ।
কারন স্বাভাবিকভাবেই, হক্ব ও হক্ব দলের ভিতরে দ্বন্ধ হয় না
বা না-হক্ব ও না-হক্বের ভিতরে দ্বন্ধ হয় না (সাধারনত)
হক্ব ও না-হক্ব -এর ভিতরেই দ্বন্ধ হয়ে থাকে...
এবার এটা বুঝে নিতে হবে হক্বকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য না-হক্ব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে
এবং
হক্ব প্রতিরোধ করছে . . .
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: কে হক্ব আর কে ফেতনাবাজ? কে চিহ্নিত করবে। সবাইতো নিজেরটাকেই হক্ব মনে করছে। পৃথিবীতে হাজারটা সম্প্রদায় আছে। সবাই নিজেরটাকে ঠিক ভাবে। একেকজন একেকভাবে ব্যখ্যা করে। এখানে সার্বজনীন মানদণ্ড কি??
২৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৩
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঐশ্বরিক ব্যাপারটার সাথে মানবিকতার উদাহরন একটা ভালো পয়েন্ট বলেছেন। আপনার এই পয়েন্ট টা আমার পছন্দ হয়েছে।
এর পেছনে আমি যে যুক্তি দেবো সেটা হলো আমি যখন ভাবি তখন আমি আমার পারিপার্শ্বিকতা থেকে আহরিত জ্ঞানের সাহায্য নিয়েই আমি ভাবি। আমি ঈশ্বর নই অথবা ঈশ্বরের কনসেপ্ট ও বোধগম্য নয়। যদি আমি মনে করি সবকিছুর পেছনে ঈশ্বরের হাত আছে সেটাও যেমন সম্ভব তেমনি সম্ভব ঈশ্বরহীনতা নিয়ে ভাবাও। সেহেতু ঈশ্বরের চিন্তা ভাবনাকে বোঝার মতো সামর্থ্য আমার নেই। আমি যেটা করতে পারি আশেপাশের থেকে সংগৃহিত ঘটনা থেকেই আমি আমার যুক্তিগুলো খাড়া করাবো। সেহেতু মানবিক কারন দিয়েই আমি আমার ঈশ্বরকে ডিফাইন করতে চাই।
একটা উদাহরন দেই। বিয়ের পর আমাদের প্রথম সন্তান মিসক্যারেজ হয়ে যায় একটা এক্সিডেন্ট। আমি ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস খানিকটা হারিয়েই ফেললাম। কেন যেন মনে হলো ঈশ্বর থাকুক না থাকুক তাতে কিছু আসে যায় না। তারপরও আমাদের সংগ্রাম চলছে। এখন বুঝতে পারি আমাদের সন্তান মারা যাবার পক্ষে বিপক্ষে অনেক কার্যকরন এবং ফলাফল আছে। জানি না এটা সান্তনা বা মনকে কাঠিনত্বে বেধে ফেলা তবে যেটা বুঝি জীবনটা গণিতের সরল সূত্রে চলে না। এই গণিত এখনো পদার্থবিজ্ঞান বা কোনো এলগরিদম বের করতে পারেনি।
আরেকটা কথা হলো তার বানীর প্রয়োগ। ঈশ্বর কিন্তু তার বেশ কয়েকটা ধর্মগ্রন্হে বলেই কিন্তু দিয়েছেন তার বানীর অনেকরকম ধারা চালু হবে। এখানে শুধু ইসলামেই নয়, খ্রিষ্টধর্ম, ইহুদীদের ধর্মেও এটা বলা আছে। ঈশ্বর এই সবকিছুর তৈরীই করেছিলেন মানবজাতীকে পরীক্ষা করবার জন্য। তাকে এমন বানী দেয় যার অন্তঃবানীর অর্থ খুজলেই শান্তি আসবে কিন্তু কেউ যদি তাকে নিজের স্বার্থে ব্যাব হার করে তাহলে অশান্তি আসবেই।
ইসলামের ইবলিশ, খ্রিস্ট ধর্মের লুসিফার এরা সবাই ফেরেশতা ছিলো ঈশ্বরের সবচেয়ে বড় প্রেমিক ছিলো। রাবন সে ছিলো একজন দেবতা। এই যে হানাহানী, ধর্মকে কাজে লাগিয়ে এত অরাজকতা এর মধ্যে থেকেও কিছু ভালো মানুষ বেরিয়ে আসবে এবং ঈশ্বর এদেরকেই পুরষ্কৃত করবে। মাঝে মাঝে ভাবতে পারেন মৃত্যু জিনিসটা শাস্তি।
কিন্তু আমার কাছে মনে হয় না। মুমিনদের জন্য প্রতীক্ষার অবসান অথবা খ্রিস্টানদের উৎসবে গমন।
এখন আপনি যদি ঈশ্বরহীনতাকে মেনেই জীবন চালিত করতে চান, করতে পারেন। কিন্তু প্রশ্ন একটাই আপনার স্বতঃস্ফূর্ত জীবনে কি সব সমস্যার সমাধান সম্ভব?
ধর্মহীনতাই যদি সমাধান এনে দিতো সবকিছুর, তাহলে ধর্মহীন দেশগুলোতে চার্চের সংখ্যা বাড়তো না!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: এক যাজক বলেছিলেন, মানুষ এখন ভক্তি নিয়ে চার্চে আসে না। আসে চার্চে কোনো অপকর্ম চলছে কিনা সেটা দেখতে।
যাইহোক, লোভ আর ভয় দিয়ে কখনো নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। পরোকালের লোভ দেখিয়ে ভালো কাজ করাতে গিয়ে মানুষকে বরংবাদে ভোগবাদী করছে। মদ দুনিয়াতে খারাপ , পরোকালে ভালো। এই কথা বলার মাধ্যমে আপনি মদকে আকর্ষণীয় রুপেই তুলে ধরলেন। লোভ ধরিয়ে দিলেন। লোভ থেকে কখনোই ভালো জিনিস আসে না। ব্যাভিচারের শাস্তি গলা পর্যন্ত পুতে জনসম্মুখে পাথর মেরে হত্যা করা। যা বর্তমানে আধুনিক সমাজের মানুষ কল্পণাও করতে পারে না। জনসম্মুখে এই শাস্তির মাধ্যামে আপনি নিষ্ঠুরতাকেই উস্কে দিলেন। আপনি এই শাস্তি মানেন?? বারট্রান্ড রাসেলের মতে, শাস্তি অপরাধকে চিরন্তন করে।
উন্নত দেশগুলো এখন মৃতুদণ্ড বাতিল করার চিন্তা করছে নিজেদের বিবেক দিয়ে । ধর্মের বিবেক দিয়ে নয়। গির্জা যতই বাড়ুক । ধর্মকে তারা পুতুলের মতো গির্জার ভেতরে রেখে দিয়েছে। ধর্মের বিবেক দিয়ে তারা চলছে না শিল্প বিপ্লবের পর থেকে।
আমাদের দেশে প্রকাশ্যে গরু জবাই দেওয়া হয়। তাই জবায় করে হত্যার কথা মানুষ কল্পনাতে আনতে পারে। একটু চিন্তা করে দেখুন, একটা শিশুকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে সে এসব বিষয় কল্পনাতেও আনতে না পারে। আপনিই মানুষকে নৃশংসতা শেখাচ্ছেন। উন্নত দেশগুলো এখন শাস্তি নয় সংশোধনে বিশ্বাসী। এটাই হওয়া উচিত।
আরেকটা জিনিস খেয়াল করে দেখুন , বর্তমান পৃথিবীতে যে জাতির মধ্যে ধর্ম অনুভূতি যতো বেশি সে জাতি ততো বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত ভণ্ড।
বারট্রান্ড রাসেলের মতে ভয় হলো সব নিষ্ঠুরতার জনক ও জননী।
আর সৃষ্টিকর্তার মানবিক সত্ত্বা নিয়ে আমার একটি পোস্ট রয়েছে। আপনি সেটা পড়েছেন। আমার কথা হলো সর্বশক্তিমান বলার পর আপনি স্রষ্টার সম্পর্কে আর কিছু বলতে পারেন না। সেখানেই আপনার থেমে যেতে হবে। কারন সর্বশক্তিমান কোনো বিষয় আমাদের কল্পণার অতীত। আপনি যদি থেমে না গিয়ে আরও কিছু বলেন তবে সেটা মানবিক প্রেক্ষিতেই বলা হয়ে যাবে। তাহলে সে আর সর্বশক্তিমান থাকবে না।
আমার কথা হলো ধর্ম কথিত শান্তির জন্য প্রতিষ্ঠা হলেও ধর্মের বাণী সার্বজনীন না হওয়ায়
তা বরং অশান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এই ব্যর্থতা ধর্মের ওপরই বর্তায়। শিয়া সুন্নী থেকে শুরু করে সবাই কোরান ফলো করে অথচ সবাই নিজেরা নিজেদেরটা সঠিক দাবি করে এবং হানাহানি করে। এখানে সার্বজনীনতা কোথায় ? যে শিশু শিয়া ধর্মে জন্ম নিয়ে শিয়া হিসেবে গড়ে উঠছে, ওই শিশুর দোষটা কোথায়?? আমি যদি অনিষ্ঠ করার উদ্দেশ্যে খারাপ কিছু তৈরি করি তাহলে আমি কি ভালো ?
শয়তানের সৃষ্টিকর্তা তাহলে কি?
লাখ লাখ অসঙ্গতি আপনি পাবেন। এই অসঙ্গতির কারন মানুষই এই ছোটলোকী সৃষ্টিকর্তার স্রষ্টা।
২৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৬
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আপনার উল্ল্যেখিত সমস্যা গুলো ফাঁক দিয়ে কিন্তু একটা শ্রেনী জাতি মানুষ পেরিয়ে গেছে যাচ্ছে যাবে, বিধাতা তাদের অপেক্ষায় আছেন।
আজকে এইটুকু বললাম,কাল আরো বিস্তারিত বলার ইচ্ছে আছে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম
২৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: কিছু পরাজিতের অতি চুলকানি অশান্তির জন্য দায়ী ।
ইহারা ভন্ড ভন্ড ভন্ড , ইহাদের কাজকে শয়তানী বলা যায়, ইহাই মুলত অশান্তি সৃষ্টি করে ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: জ্বি , সত্য কথা বললে সব সময়ই আচুদা সমাজ সেটাকে চুলকানী বলে বিবেচনা করে।
২৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
দেলোয়ার02 বলেছেন: আপনার ভাষা দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনি কোন শ্রেণীর মানুষ? মুখের ভাষা সংযত করলে পারলে ব্লগে পোষ্ট দিয়েন অন্যথায় ব্লগিং না করাই ভাল। সৃষ্টিকর্তা ধর্ম গ্রন্হে বিভক্তির অবকাশ রাখে নাই, ধর্মগ্রন্হ ঠিক আছে। ধর্মের বানী জগতের সবার জন্য এক। কারণ ইসলাম ধর্ম শুধু মুসলমানের জন্য আসে নাই বরং তা পৃথিবীর সবার জন্যই । ধর্মের বানী না বুঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে মানুষ। বইযে গরুর রচনা লেখা আছে আর আপনি গরুর রচনা লিখতে গিয়ে লিখলেন গন্ডারের রচনা। এটা বইয়ের দোষ না, দোষ আপনার না বুঝে পড়ার। বর্তমানে প্রচলিত সব ধর্মেই আপনার মত কিছু আবাল লোক আছে যারা বুঝতে চেষ্টা করেনা বরং শুধু বিভক্তি খুজে । সৃষ্টিকর্তা ধর্মগ্রন্হে এটাও বলে দিয়েছেন আপনার মত কিছু আবাল আর বলদ লোক দুনিয়া জুড়ে আছে যাদেরকে শত যুক্তি দিলেও তারা বুঝবে না । তারাই দুনিয়াতে বিভক্তি সৃষ্টি করবে এবং তারা মনে করে তাদের যুক্তিই ঠিক মানে তালগাছটা তাদেরই ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ভদ্দরনোকি চুদাতে আমার এখানে আসবেন না। আমি আগেই বলেছি, ভদ্দরনোকদের আমি অপছন্দ করি। আমার প্রোফাইলটা দেখে নিবেন। আর না বুঝে মন্তব্য দেন কেন??
আপনি বলছেন
ধর্মের বানী না বুঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে মানুষ।
ভুদাই কোথাকার । এসব কথা তো আমি পোস্টেই বলেছি
শান্তির জন্য ধর্মের আবির্ভাব হলেও ধর্মের কারনেই মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে। আমাদের দেশের মুসলিমদের অনেকেই এর ব্যাখ্যা করে বলেন যে, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যার কারনে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
আমার প্রশ্ন হলো, ধর্মে বা ধর্মীয় গ্রন্থে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো কেন? ধর্মে বা ধর্মীয়গ্রন্থগুলোতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনেই তো এতো অশান্তি। এর ব্যর্থতাও ধর্মের ওপরই বর্তায়।
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনে??
২৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশী !
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: জ্বি , আপনার দলিল প্রমাণ তো অনেক। ওটা ধুয়ে পানি খান।
৩০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার প্রতিমন্তব্যে আমি যুক্তির চেয়ে অভিমত খুজে পেলাম বেশী যার মধ্যে ক্রোধের মিশেল ভয়াবহ। আপনি ক্রোধান্বিত হতেই পারেন।
কিন্তু কোনো একটা বিষয়ে আপনি যখন আলোচনা করতে যাবেন তখন তাতে যুক্তি প্রতিযুক্তির একটি সমন্বয় থাকতে হয় যার মধ্যে পক্ষ প্রতিপক্ষের তথ্য এবং তার নিরপেক্ষ ও বোধগম্য সংশ্লেষন একটা মূখ্য ব্যাপার হয়ে দাড়ায় যার অনুপস্হিতিতে যেকোনো সুস্হ আলোচনা ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়।
আপনি আমাকে প্রথমে বললেন ঈশ্বরের যাবতীয় কর্মকান্ড কেন আমি মানবিক দিক থেকে উদাহরন দিয়ে বিচার করছি, কেন ঐশ্বরিক দিক থেকে নয়। সেখানে আপনি ঐশ্বরিক কর্মকান্ডের সার্বজনীনতার প্রশ্ন তুলছেন মানবিক বিভেদকে সামনে রেখে। বলতে দ্বীধা নেই আপনি সবকিছুর সমাধান ধর্মের মধ্যে খুজলেও কে কিভাবে পালন করছেন সেটার ওপর দৃষ্টিপাত না করে আপাত কর্ম পরিপন্হা অনুযায়ী একটা অভিমত দিয়ে যাচ্ছেন যা রীতিমত হতাশাজনক। এবং উন্নত বিশ্বের ঘটনার সাথে ধর্মের অপ্রয়োজনীয়তার কথা টেনে আপনি একই জিনিসটা করছেন।
একটু সহজ ভাবে চিন্তা করি:
এত কলহ বিদ্বেষের কারন কি?
ধর্ম না ক্ষমতার লোভ?
যদি ধর্মই হয়ে থাকে তাহলে দিনে দিনে নাস্তিকের সাথে আস্তিকের সংখ্যাও বাড়ছে কেন?
অথবা উন্নত বিশ্বে ধর্মহীনতার কারনেই কি অপরাধপ্রবনতা শূন্যের কোঠায়? তারা কি সকল সমস্যার উর্ধ্বে?
এটা সর্বৈব ভুল। হতে পারে তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবনতা খুবই কম কিন্তু অর্থনৈতিক বিপর্যস্ততার মুখে যখন এদের নিজস্ব অলস সন্তানেরা বর্নবৈষম্যের দিকে ঝুকে নানা অপরাধে ঝুকছে তখন সরকার বাধ্য হয়ে এসব আনার্কিস্টদের শাস্তি না দিয়ে উল্টো তাদের দাবী মেনে নিচ্ছে। পূর্ব জার্মানীর অনেক গুলো বড় শহর এবং সুইডেন নেদারল্যান্ড ডেনমার্কের বেশ কিছু ঘটনাকে আপনি উদাহরন হিসেবে নিতে পারেন।
তাহলে কি দাড়ায়?
ধর্মহীন অথবা ঈশ্বর হীনতাও কিন্ত পরিপূর্ন সমাধান নয়। আপনি যেরকম এক শিয়া সুন্নীর বিবাদ নিয়ে চিন্তিত তার চেয়েও বড় বিবাদ এখনও চলছে ইমিগ্রান্টদের সাথে লোকাল মানুষের, কালোদের সাথে ককেশিয়ানদের, পুজিবাদের বিরুদ্ধে শোসিত শ্রেনীর ইত্যাদি যার আঁচ আমরা প্রতিমুহুর্তেই টের পাচ্ছি।
আজকে আপনি ধর্ম উঠিয়ে দেন, দেখবেন সমাজে আরও নতুন সমস্যার উদ্ভব ঘটবে আবার ধর্মকে জাকিয়ে বসান তখনও সমাজ পিছিয়ে পড়বে।
তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
আমি বলব সমস্যাটা আমাদের মাঝেই। আমাদের মধ্যে কিছু কু কর্মের বীজ আছে যার কারনে আমরা খুবই প্রতিহিংসা এবং অপরাধ প্রবন। বলতে পারেন আমরা সৃষ্টি এভাবেই হয়েছি। নতুন নতুন এসে আমিও মনে করতাম সুইডিশরা মিথ্যে বলতে পারে না, আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম এরা ছুপা রেসিস্ট তখন মনে হলো এটা মিথ্যের চাইতে কম নয়।
আপনি ঈশ্বরহীনতা নিয়ে এখন অভিমত দেবেন নাকি আলোচনা করবেন এটার উত্তর দিন। কারন আপনার পরের প্রতিমন্তব্যের সবগুলো উত্তরই কিন্তু আমি দিয়ে দিয়েছি।
ঈশ্বরহীনতা যদি প্রমান করতে চান তাহলে আপনাকে যুক্তির আধারে আসতেই হবে নাহলে সবই কোমড় বেধে ঝগড়া করার মতোই!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ক্রোধের কিছু নাই। হয়তো আপনার কাছে মনে হতে পারে।
ক্ষমতার লোভ কথাটা ঠিক আছে। এক্ষেত্রেও ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ধর্মহীনতা সমাধান আমি কোথাও বলিনি।
কিন্তু ধর্মকে আমি মোটেই সমাধান ভাবি না। আমি মনে করি মানুষের মুক্তির জন্য ধর্ম আরও প্রতিবন্ধক।
সমস্যা সব সময়ই থাকবে। এর জন্য মানুষেরই পথ খুজতে হবে। ধর্ম বরং আরও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
৩১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩
সাদা পাখি বলেছেন: ধর্ম শান্তিময়। লোভ, লালসা, ক্ষমতার মোহ, হিংসা ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি সমাজে বিভেদ তৈরি করে শান্তি নস্ট করে। সমাজবিজ্ঞানীরাও একমত বিষয়টিতে।
কথায় কথা বাড়ে, তাই কথা বলে সমাধান হবে না কখনোই। সৃস্টিকর্তা আছেন তার যেমন জ্ঞানগত প্রমান হাজির করা যাবে, নেই বললে তারও জ্ঞানগত প্রমান হাজির করা যাবে। কিন্তু সমাধান ?
ধর্মকে যারা পছন্দ করেন তারা ধর্মে মঙ্গল দেখেন, আর যারা ধর্মকে বেকডেটেড মনে করেন তারা ধর্মকে এভয়েড করে মঙ্গল পান।
সো ধর্ম ধর্মের জায়গায় আছে ........ সমাধান এ-ই, আপনি ধর্মকে পছন্দ করেন না তাই এটা আপনার কাছে বর্জনীয়, অশান্তির।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সাদা পাখি,
আমার এই লেখার এই অংশটি আরেকবার পড়ার আহবান জানাই
শান্তির জন্য ধর্মের আবির্ভাব হলেও ধর্মের কারনেই মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে। আমাদের দেশের মুসলিমদের অনেকেই এর ব্যাখ্যা করে বলেন যে, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যার কারনে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
আমার প্রশ্ন হলো, ধর্মে বা ধর্মীয় গ্রন্থে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো কেন? ধর্মে বা ধর্মীয়গ্রন্থগুলোতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনেই তো এতো অশান্তি। এর ব্যর্থতাও ধর্মের ওপরই বর্তায়।
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনে??
৩২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০
rafiq buet বলেছেন: @সাদা পাখি
আপনার বিশ্লেষনটি সুন্দর।
ইশ্বর কি এমন একটি পাথর তৈরি করতে পারবেন, যা তিনি নিজে উঠাতে পারবেন না।"
তিনি কি এমন আরেকজন ইশ্বর বানাতে পারবেন, যে তাকে মেরে ফেলার মত শক্তি ও ক্ষমতা রাখে।"
সুন্দর এই কোশ্চেনেগুলোর ধরনকে বলা হয় ব্লকিং কোশ্চেন।
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে হলেও ইশ্বরকে দোষী বানানোর কিংবা তাকে ব্লক করার আপনার প্রচেস্ঠা সফল হোক।
আপনার এ কথাগুলো পড়ে মূলত লিখলাম।
.ধর্মে বা ধর্মীয় গ্রন্থে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো কেন? ধর্মে বা ধর্মীয়গ্রন্থগুলোতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনেই তো এতো অশান্তি। এর ব্যর্থতাও ধর্মের ওপরই বর্তায়।.
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: র্মে বা ধর্মীয় গ্রন্থে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো কেন? ধর্মে বা ধর্মীয়গ্রন্থগুলোতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনেই তো এতো অশান্তি। এর ব্যর্থতাও ধর্মের ওপরই বর্তায়। সৃষ্টিকর্তার বানীর সার্বজনীনতা নেই কেন?? বা কথিত শয়তানের সৃষ্টিকর্তা কে?
৩৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪
rafiq buet বলেছেন: আমাদের এক ইহুদী প্রফেসর আলোচনার এক পর্যায়ে বলেছিলেন
ইশ্বর আছেন এটা কনফার্ম। সেটা আল্লাহ, ইশ্বরম, গড, ভগবান যে নামেই হোক।
একটি ছেলে একটি মেয়ে, তাদের সেক্স সিস্টেম, সেক্ম মোমেন্টে তাদের শারিরীক পরিবর্তনগুলো, শুক্রানু ডিম্বানুর বেসিক, বাচ্চার জন্ম, মায়ের পেটে অবস্থান এগুলো কারো না কারো মেধাবী চিন্তার ফসল।
তোমরা জান, একটি বাচ্চার হওয়ার পর তার দাত থাকে না কেন ? এটাও মেধাবী কোন একজনের সিদ্ধান্ত।
লেখক, আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলিনি, বলতে মন চাইল তাই বললাম।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আমি প্রফেসরের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। প্রফেসরের ওই বক্তব্য আর কওমী মাদ্রাসার কোনো এক অশিক্ষিত মাওলানার প্রশ্ন একই।
সিস্টেমটা যদি অন্য রকম হতো তাহলেও বলা হতো মেধাবী কারও কম্ম। আর মেধাবী সৃষ্টিকর্তা থাকলে তার সৃষ্টিকর্তা কে সেটা নিয়েও প্রশ্ন আসতেই থাকবে।
পানি যদি আপনি স্যাতস্যাতে পরিবেশে রেখে দেন দেখবেন পানির মধ্যে শ্যাওলা জন্মাবে। শ্যাওলা ওপর থেকে নাজিল হয় না। পানিরই রুপান্তরিত রুপ।
আমার সৃষ্টিকর্তা কি ছোটোলোক শিরোনামের গদ্যটিতে শেষের অংশটি তুলে ধরলাম।
মহাবিশ্বে শক্তি রয়েছে । শক্তির কোনো আকার-আকৃতি নেই। এই শক্তিই পদার্থের রুপ ধারণ করে। আবার পদার্থকে আলোর গতিতে ছেড়ে দিলে তা শক্তিতে পরিণত হয়। এবং শক্তির নিত্যতা বিধি অনুযায়ীও শক্তি সর্ব শক্তিমান। যার কোনো ধ্বংস নেই। যার কোনো স্রষ্টা নেই। এবং আমার এখনকার ধারণা অনুযায়ী জগতে সর্ব শক্তিমান ওই জিনিসটা হলো শক্তি। যা সব পদার্থের মধ্যে বিদ্যমান। সব কিছুর মধ্যেই শক্তি বিরাজমান। শক্তিকে পূজা করার কিছু নেই।
আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখুন। আমরা যে পৃথিবীতে জন্মেছি, আমাদের শরীরের মধ্যে এমন কোন উপাদান আছে যা এই দুনিয়াতে নেই।
আয়রন আছে
খনিজ আছে
সবই আছে। অন্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আমরাও পদার্থেরই শক্তি। আমাদের মধ্যে এক্সট্রা শক্তি রয়েছে যা পদার্থের নেই, সেটা হলো ইচ্ছা শক্তি। আমরা যেহেতু পদার্থ থেকেই সৃষ্টি তবে এই ইচ্ছাশক্তিটাও পদার্থেরই শক্তি। শক্তির মানবিক রুপ দেওয়ার কিছু নেই। আপনাকে আমার সৃষ্টিকর্তা কি ছোটোলোক শিরোনামের লেখাটি পড়ার আহবান জানাই । ধন্যবাদ।
৩৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৪
দেলোয়ার02 বলেছেন: পাগলে কিনা বলে আর ছাগলে কিনা খায়? বেটা তুই যে একটা পাগল আর গাধা সেটা তোর প্রতিউত্তরেই বুঝা যায়।তুই ভদ্দরনোকি (আমার ভাষা না, তোর ভাষা) পছন্দ করিস না তাই তোকে অভদ্দরনোকি ভাষায়ই বলছি। আরে রাম ছাগল তুই তো যুক্তি কি জিনিস তাই জানিস না। তোর প্রোফাইলও পড়েছি আর তোর লেখাও পড়েছি। ভাবিস না না বুঝে তোকে কেউ কমেন্টস করে। বরং তুই কমেন্টস এর যুক্তি বুঝিস না। তুই বুঝিস না তার মানে এই না আমাদের মন্তব্য ভুল। তুই একটা গোয়ার বলে না বুঝে বার বার একই কথা বলিস। ধর্ম না থাকলে যে মানুষ কেমন হয় তার প্রমাণ তুই। তোর মুখের ভাষা রাবিস। মনে হয় তোর মাবাবা তোকে ভদ্রভাবে কথা বলতে শিখায় নাই। তাই তুই ভদ্দরনোকি (ভদ্রলোকি) পছন্দ করিস না। তুই যে একটা অভদ্র আর ইতর সেটা তোর কথাতে তুই নিজেই বলেছিস । একটা অভদ্র আর ইতরের সাথে কথা বলতে এখন আমার রুচিতে বাধতেছে। শালার কিছু অভদ্র আর ইতর এসে ব্লগের সৃজনশীল পরিবেশটাকে নষ্ট করতেছে। মডারেটরদের এটা খেয়াল করা উচিত।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: হুশ সর্বনাশ।
বেজায় যুক্তিবিদ এসে গেছে দেখছি। কি আমার সৃজনশীল মানুষ গো!
বলছিই তো, আমি ভদ্দরনোকি অপছন্দ করি। আপনার ভদ্দরনোকি নিয়ে এখান থেকে এবার বিদায় হোন। আচুদা ভদ্দরনোক।
সমাজের আচুদা ভদ্দরনোকদের ভেতরে কি আছে তা আমার জানা আছে।
এ ব্যাপারে পোস্টও আছে
পড়ে নিয়েন। তবে ভদ্দরনোকি চুদায়েন না। আমার সঙ্গে। আচুদা মন্তব্য না করারও আহবান জানাই।
Click This Link
৩৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
এম আর ইকবাল বলেছেন: বহু পুরানো একটা গল্প, সম্ভবত আমার মরহুম বাবার কাছে শুনা ।
মসজিদের পাশে কসাইয়ের দোকান ।
কসাই কিন্তু কখন ও মসজিদে নামাজ পড়তে যায় না । অথ্রাথ সে নামাজই পড়ে না ।তাই তাকে মসজিদের ইমাম ও নিয়মিত মুসল্লিরা গালমন্দ করে । দোজখের ভয় দেখায় ।
একসময় হঠাৎ ভারতের অনেক জায়গা জুড়ে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা শুরু হলো । দাঙ্গাকারীরা মসজিদ ভাঙ্গার জন্য ছুটে এলো । অবস্হা বেগতিক দেখে ইমাম , মুসল্লি সবাই নিরাপদ জায়গায় চলে গেলো ।কেউ মসজিদ বাচাতেঁ এগিয়ে এলোনা ।
কসাই একাই তার ছুরি নিয়ে মসজিদের সামনে এসে দাড়ালো ।
হুম্কার দিলো কার সাহস আছে আয়, আমার মসজিদ ভাঙ্গার জন্য।
কসাইযের হাতের উম্মুক্ত ছুরি , সিংহের মত হুম্কার আর দানবিয় সাহস দেখে দাঙ্গাকারীরা কেটে পড়ল ।
গল্পটা পাকিস্হান ভারত স্বাধীনতার আগে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা নিয়ে ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: গল্পটার ফজিলতটা ঠিক স্পষ্ট হলো না। ভাইজান যদি একটু ন্যাংটা করে বলেন।
৩৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শান্তি আর শান্তির মা'কে নিয়েত সবাই দিশাহারা এবার বলেনত কোনটা শান্তি,শান্তি কেমন, শান্তি যে শান্তি তার প্রমান কি?
৩৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
দিশার বলেছেন: যে দেশ যত "ধার্মিক" সেই দেশ য়ে তত বেশি মার্ডার, আর সহিংস ঘটনা ঘটে।
সেকুলার দেশ, নরওয়ে , হল্যান্ড এর ক্রাইম রেট্ দেখেন, আর ধার্মিক দেশ, আমেরিকা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সুদান , মালির দিকে তাকান , পার্থক্য স্পষ্ট। এমনকি আমেরিকার সাউথ "বাইবেল" বেল্ট যে, ক্রাইম রেট , মার্ডার রেট সবচেয়ে বেশি .
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সহমত, ধন্যবাদ।
৩৮| ১১ ই মে, ২০১৪ ভোর ৪:০২
উড়ালপঙ্খি বলেছেন: পোস্ট টা চমৎকার
প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসীদের কাছে এর উত্তর থাকার কথা ন
তবে অনেকেই বলে থাকেন কোন ধর্মই মানুষ মারার কথা বলে না
"অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর| আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক| কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও| নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু| ৯-৫"
এটা একটি পবিত্র গ্রন্থের কথা
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি মার্কেটে নজর ফিরান, দেখুন সেখানে যে ব্রান্ড টা সবচেয়ে বেশি চলে তার নকল ব্রাণ্ডটা ও ততবেশি, কিন্তু যে ব্রাণ্ড টা পাবলিক খায়না সে ব্রান্ড এর কোন নকলও পাওয়া যায়না।
সারা পৃথিবিতে দ্বীনের পথ অথবা ধর্ম কেবল মাত্র একটি-ই সত্য হতে পারে। একাধিক নয়। আর যে ধর্ম সত্য তার নকল ও বেশি হবে।
দেখুন কারো প্রডাক্ট কে কেউ কি নকল বলে মেনে নেবে?
আসল প্রোডাক্ট এর মালিক যে সেও তারটাকে আসল বলবে আবার নকল যে প্রোডাক্ট , তার মালিকও নিজেরটাকে আদি ও আসল দাবী করবে।
এখন আসুন প্রমাণেঃ
ইসলামই যে একমাত্র সঠিক ও সত্য দ্বীন বা ধর্ম, তা ইসলাম এর গুনাবলী থেকেই প্রমাণ করা যায়।
সারা পৃথিবিতে অনেক ধর্ম আছে এবং তাদের ধর্মিয় পুস্তক আছে, যাতে অগনিত ভুল এবং সীমাবদ্ধতা পাওয়া যায়। কিন্তু একমাত্র আল কুরআন এর কোন ভুল কেউ কোন্দিন প্রমাণ করতে পারেনি। যারাই ভুল প্রমাণ করতে গেছে তারাই অপমানিত, অপদস্থ হয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যসব ধর্মিয় পুস্তক আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত অবিকৃত নেই। কিন্রু আল কুরআনই একমাত্র কিতাব যা আদিকাল থেকেই অবিকৃত রয়ে গেছে। পৃথিবির প্রাচীনতম কুরআন ও বর্তমান যুগের কুরআন কপি কে মিলিয়ে দেখুন কোন অমিল খুজে পান কিনা।
ইসলামের মূল উৎস হচ্ছে আল কুরআন। আর নবীজী সঃ আল কুরআন সমর্থিত সকল সুন্নাহ সারাজীবন দেখিয়ে দিয়ে গেছেন, আর তাই হল হাদীস। নবীজী সঃ হলেন আল কুরআন এর শিক্ষক এবং প্রশিক্ষক। তাই তিনি যেভাবে বলে গেছেন সেটাই হল প্রকৃত ইসলাম। আর বাকি সব ইসলাম বহির্ভুত। আল্লাহর নবী সঃ বলে গেছেন “ তোমরা যতদিন আল-কুরান ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরে রাখবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবেনা”।
ইসলাম এর কয়েকটি আদর্শ ও শর্ত আছে যা ফলো করলে কেউ ইসলাম বহির্ভুত হবে না।
ইসলাম সম্পৃক্ত কিংবা যে কোন কিছু যাচাই বা ণির্ণয় এর জন্য অবশ্যই বিশুদ্ধ ইসলাম সম্মত উপায়ে করতে হবে। আর ইসলাম সম্মত উপায় বলতেই কুরআন ও সহীহ হাদীস সম্মত উপায়। এখানে মনগড়া উপায় বা নিজস্ব লজিক এর কোন স্থান নেই।